অনুভবে তুমি পর্ব ২২
লিজা মনি
রাতের ডিনার টেবিল সাজিয়ে বসে আছে ইয়ানা। তারপর সবাই নিজেদের মতো খেয়ে উপরে চলে যায়। ইয়ানা আহানের জন্য খাবার নিতে নিতে বলে,,,,,,
“” বড়লোক বাবার বখাটে ছেলে পরিবারের সাথে বসে খায় না।কেনো খেলে কি শরীরের এলার্জি শুরু হয়? ছিহহ কিসব ঘাসপাতা খায়। যেমন মানুষ তার তেমন রুচি।
ইয়ানা এইসব বিরবির করতে করতে আহানকে জব্দ করার একটা ফন্দি আটে। মুহূর্তের মধ্যেই মুখে একটা রহস্যময় হাসি ফুটে উঠে।
ইয়ানা আহানের জান্য খাবার নিয়ে যায়। কিন্তু আহান রুমে নেই। একটু পুরেই ওয়াশরুমের দরজা খুলার শব্দ পেয়ে পেছন ফিরে তাকায়। আহানকে দেখে ইয়ানার ঠোট কিন্চিৎ ফাঁক হয়ে যায়। সুঠামদেহী এই পুরুষের গায়ে টাওয়াল ছাড়া আর কিছু নায়। শাওয়ার নেওয়া সদ্য ভেজা শরীর কি আকর্ষনীয় লাগছে। ইয়ানা “নির্লজ্জ” বলেই ঘুরে দাঁড়ায়।
কথাটা আহানের কানে যেতেই দাত দিয়ে ঠোট চেপে হেসে বলে,,,,
“” নির্লজ্জ তো পাশের বাসার ভাবির সাথে করছি না। নিজের বউয়ের সাথে করছি। তারাতারি তাকাও হারি আপ””
ইয়ানা দাতে দাত চেপে বলে,,,,,
“” আগে নিজের গায়ে কিছু জড়িয়ে নিন বেহায়া লোক।””
আহান চুল ঠিক করতে করতে বলে,,,,
“” অভ্যাস করে নেও বেবি । এখনতো টাওয়ালটা আছে সঠিক সময় আসলে টাওয়ালটা ও থাকবে না “”
ইয়ানার কান দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে। মানুষ কতটা নির্লজ্জ হলে এইসব বলে এইটা মি, অগ্নি চৌধুরিকে না দেখলে বুঝা যেতো না।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“”” চুপ করোন আপনি বেহায়া লোক। আমার আপনার জন্য খাবার আনাটায় ভুল হয়েছে। নিন খেয়ে তারাতারি আমাকে রেহায় দিন আপনার এইসব লাগামছাড়া কথা থেকে”””
আহান জামা পড়তে পড়তে বলে,,,,,
“” আমার কাছ থেকে তোমার কোনো রেহায় নেই বেবি। তুমি অগ্নি চৌধুরির অনুভবে আবদ্ধ হয়ে গেছো। সেই জায়গা থেকে বের হওয়া তোমার জন্য নিষিদ্ধ।””””
ইয়ানা তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে,,,
“” হ্যা, কালো দুনিয়ায় আবদ্ধ হয়ে গেছি। “”
আহান আর কিছু বলল না। আহান খাবার মুখে দিতেই ওর পুরো মুখ লাল হয়ে যায়। চোখে পানি টিপটিপ করছে। আহান রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ ইয়ানার দিকে তাকায়। দেখে সে মিটমিট করে হাসছে। আহানের সাথে চোখাচোখি হতেই হাসি থামিয়ে দেয়। আহান এইবার বুঝতে পারে কাজটা কার। সে ও খাবার ফেলে না দিয়ে খাওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত ঝালে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো। ফর্সা হওয়ার ধরুন পুরো মুখ লাল বর্ন ধারন করে। আহানের এই অবস্থা দেখে ইয়ানা ভয় পেয়ে যায়। ইয়ানা আহানকে ভয়ে ভয়ে পানি এগিয়ে দেয়। আহান পানির গ্লাসের দিকে তাকিয়ে ইয়ানার দিকে রাগী চোখে তাকায় তারপর হাত
থেকে পানির গ্লাসটা সজোরে ফেলে দেয়। ইয়ানা সামান্য
কেপে উঠে। পানির গ্লাসটা ভেঙ্গে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে।আহানের চোখ দুটি প্রচন্ড রকম লাল হয়ে গেছে। ইয়ানা একটা শুকনো ঢুক গিলে দ্রুত ফ্রিজ থেকে মধু এনে দেয়।
আহান এক পলক মধু গুলোর দিকে তাকিয়ে ইয়ানাকে হেচকা টানে কোলে বসিয়ে ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দেয়। ইয়ানা চোখ গুলো বড় বড় তাকায়। ইয়ানা কিছু বুঝে উঠার আগেই আহান ইয়ানার অধর চুম্বনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ইয়ানা ছোটার জন্য আহানের বলিষ্ট বুকে ধাক্কা দিতে থাকে। আহানের হাতের বিচরন চলছে ইয়ানার শরীরের কমরের ভাজে ভাজে।ইয়ানা আহানের এই বেসামাল ছোঁয়ায় বার বার কেঁপে উঠছে। এই বুঝি নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে ঝালে। প্রায় দশ মিনিট পর আহান ইয়ানকে ছেড়ে দেয়। কপালে কপাল ঠেকিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নেয়। ঝালে ইয়ানার সারা মুখ ঝলসে যাচ্ছে। আহান ইয়ানার লাল হয়ে যাওয়া মুখের দিকে একপলক তাকিয়ে আবার ঠোট দুটি আঁকরে ধরে। কিন্তু এইবার কামড়ের দৃরতা ছিলো বেশি। ইয়ানা কামরের ব্যথায় বার বার কুকড়িয়ে উঠছে। একে তো ঝালে পুরো মুখ ঝলসে যাচ্ছে তার উপর আহানের এই কামড়ানোর বেসামাল চুম্বনের অত্যাচার। এই বুঝি প্রান পাখিটা উড়াল দিবে। আহান প্রায় দশেক মিনিটের মধ্যে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেতেই দুজনে জোরে জোরে শ্বাস টানে। আহান তর্জনী আঙ্গুলের উল্টো দিক দিয়ে নিজের ঠোট জোরা মুছে ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বাকা হাসি দেয়। নিজে একটু মধু খেয়ে ইয়ানাকে ও খাইয়ে দেয়। এখন একটু ঝাল কমেছে। ইয়ানা এইবার হিংস্র বাঘীনির ন্যায় ক্ষেপে উঠে। আহানের দিকে তাকিয়ে রেগে বলে,,,,
“” নিজেকে কি মনে করেন আপনি হ্যা? এইভাবে কেউ চুমু খাই। পুরো ঠোট রক্তক্ত করে ফেলেছেন। আমার ঠোটকে কি নিজের বাপের সম্পত্তি মনে করেন? যখন তখন হামলা করেন।””
আহান ইয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলে,,,
“নাউযুবিল্লাহ! তুমি আমার বাপের সম্পত্তি হতে যাবে কেনো? তুমি তো একান্তই আমার সম্পত্তি। এই একটুতেই যদি এত হাইপার হয়ে যাও তাহলে কিভাবে হবে বেবি। যেদিন অগ্নি চৌধুরি নিজের সমস্ত ভার ছেড়ে নিজের মধ্যে তোমাকে বিলীন করবে তখন কি করবে।তখন সামলাতে পারবে তো? এখন থেকে অভ্যাস করে নেও।
ইয়ায়ানা নিজের কান চেপে ধরে চিৎকার করে বলে,,,,
“” চুপ করুন আপনি বেহায়া পুরুষ। নির্লজ্জতার একটা সীমা পরিসীমা থাকে কিন্তু আপনার মধ্যে মিনিমাম লজ্জা টুকু ও নেয়।”””
আহান এক সাইট ঠোটে দাত চেপে হেসে বলে,,,,
“” নিজের বউয়ের সামনে লজ্জাশীল সেজেছে কোন মহাপুরুষ শুনি। আমার দাদা নির্লজ্জ ছিলো বলে আমার বাবা হয়েছে, আমার বাবা নির্লজ্জ ছিলো বলে আমি হয়েছি, এখন আমি আমি সাধু সাজতে যাবো কেনো হুম। আর তাছাড়া এখন থেকে প্রতিদিন খাবার এইভাবে ঝাল মিশিয়ে আনবে। এখন থেকে রোজ ঝাল খেয়ে এই অম্রিতটা পান করবো।”””
ইয়ানা নিজেকে নিজে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে। নিজের পাতানো ফাদে নিজেই ফেঁসেছে। কি দরকার ছিলো এই সাইকোর খাবারে ঝাল মেশানোর।
আসাদ হোসেন আজ কয়েকদিন যাবৎ অফিসে যেতে পাড়ছেন না। ফলে অনেক কাজ জমা হয়েছে। তাই আজ বাড়িতে বসে সব কাজ শেষ করছেন। এখন আগের থেকে মোটামুটি সুস্থ।
রুয়ানা আগের মতো চঞ্চলতা নেয়। হঠাৎ করেই কেমন জানি শান্ত হয়ে গেছো।
রুয়ানা কুচিং যেতেই ইউভির দেখা পায়। ইউভিকে দেখেই মুখে হাসি ফুটে উঠে। দৌড়ে ইউভির কাছে গিয়ে বলে,,,,,
“” ইউভি ভাইয়া আমার আপুই কেমন আছে? ও ভালো আছেতো? আহান ভাইয়া কিছু করে নিতো আমার আপুর সাথে? রুয়ানার চোখে পানি টলমল করছে।
ইউভি রুয়ানার ভয়েস পেয়ে ওর দিকে ফিরে তাকায়। অষ্টদশীর কান্নামিশ্রিত কথা শুনে বকটা ধুক করে উঠে।
ইউভি রুয়ানার দিকে আশ্বস্ত শুরে বলে,,,,
“” তোমার আপু একদম ঠিক আছে? কিছু হয় নি ওর। যতদিন আহান বেঁচে আছে ততদিন তোমার আপুর কিছু হবে না। “””
রুয়ানা মুখটা মলিন করে বলে,,,,,
“”” কবে আপুর সাথে দেখা করতে পারবো? প্লিজ ভাইয়া আপনি একটু আহান ভাইয়াকে বলেন না আমি আপুর সাথে দেখা করতে চায়। আপনি তো ওনার বন্ধু তাই না আপনার কথা নিশ্চয় শুনবে।”””
ইউভি কিছুটা বিরক্ত হয় রুয়ানার মুখে ভাইয়া ডাক শুনে। বির বির করে বলে,,”” এমন ভাবে ভাইয়া ডাকছে যেনো মায়ের পেটের আপন ভাই। “”
তারপর রুয়ানার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,
“” চিন্তা করো না তুমি তোমার বোনের সাথে অবশ্যয় দেখা করবে। আমি নিয়ে যাবো তুমাকে””
রুয়ানার খুশিতে মুখ চিকচিক করে উঠে। সে অতিরিক্ত খুশিতে বিবেগ বুদ্ধি হারিয়ে ইউভিকে হাগ করে বলে,,,
“” থ্যাংক ইউ ভাইয়া। থ্যাংক ইউ সো মাচ। “”
বলেই রুয়ানা এইখান থেকে প্রস্থান করে কোচিং এর উদ্দেশ্যে।
আর এইদিকে ইউভি নিস্তব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এক অষ্টদশী বুকে ঝড় তোলে চলে গেলো। পিপাসায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। কপাল দিয়ে ঘাম বের হচ্ছে। নিজেকে কন্ট্রোললেস মনে হচ্ছে। না না নিজের সুপ্ত অনুভুতিকে আয়ত্তে আনতে হবে। গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দুই হাত দিয়ে নিজের চুল গোলে খামছে ধরে জোরে জোরে শ্বস টানে।
ইউভি রুয়ানাকে এক পলক দেখার জন্য তার কুচিং সেন্টারের এইখানে এসেছিলো। কিন্তু যাকে দেখে মন শান্ত করতে চেয়েছিলো সে আবার দিগুন অশান্ত করে দিয়ে গেলো।
একটা পরিত্যক্ত গোডাউনে উল্টো হয়ে ঝুলে আছে ৩ জন বিশাল দেহী পুরুষ। একজন মধ্য বয়স্ক হয়ে উঠলে ও বয়সের ছাপ এখনো অনুপস্থিত। লোক গুলোর নিচে রয়েছে টগবগ করা ফুটন্ত পানি আর সালফিউরিক এসিড। লোকগুলো উলঙ্গ অবস্থায় অঙ্গান হয়ে উল্টো ঝুলে আছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে নির্দয়হীন টর্চারের শিকার হয়েছে।
সামনেই আহান চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে। ধারালো চাকু ধারা নিজের কপাল ঘেসছে। রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে। জানোয়ারদের এত অত্যাচার করে ও কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না। পাশেই আরিফ দাঁড়িয়ে আছে ভয়ার্ত দৃষ্টি ফেলে। এত বড় রুম জুরে আর কেউ নেই। বাহিরে বডিগার্ড পাহারা দিচ্ছে। আরিফ একবার ঝুলন্ত ব্যক্তি গুলোর দিকে তাকায়। সাথে সাথে নাক মুখ কুচকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। নিজে ছেলে হয়ে অন্য ছেলের উলঙ্গ দৃশ্য দেখার মতো নির্লজ্জ সে নই। সে তো আর দয়া মায়াহীন পাষন্ড অগ্নি চৌধুরি নয়। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ওর মতো এমন একজন সহজ সরল ভালো ছেলে এইসবে সাহায্য করছে।
আহান চেয়ারে বসা অবস্থায় নিচের দিকে তাকিয়ে কর্কশ কন্ঠে বলে,,,,,
“”” আরিফ জানোয়ারদের ঙ্গান ফিরা তারাতারি। ঙ্গান না ফিরলে প্রয়োজন হলে ফুটন্ত গরম পানি শরিরে ঢেলে দে।
আরিফ আমতা আমতা করে বলে,,,,,
“”” তা.. তার কোনো প্রয়োজন নেই স্যার । আমি ঠান্ডা পানি ঢালছি।””
আহান আরিফের দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে,,,,
“” তর ওকি এদের মতো উল্টো ঝুলার শখ জাগছে “”””
কথাটা কানে যেতেই আরিফ ভয়ে থমকে যায়। শারা শরীর কাপাকাপি শুরু হয়ে যায়। কাপাকাপা গলায় বল,,,,
“”” কে.. কে.. কেনো স.. স্যার “”
আহান দাতে দাত চেপে বলে,,,
“” কতবার বারন করেছি আমাকে স্যার না ডাকতে। কথা কানে যায় না বেয়াদপ। আরেকবার যদি স্যার বলে ডেকেছিস আই সয়ার আরিফ এই সালফিউরিক এসিডে তোকে নিশ্বেস করবো। “”””
আরিফ আহানের হুমকিতে ভয় পেয়ে যায়। এই সাইকো কে বিশ্বাস নেই যা খুশি করতে পারে।তারপর মাতা নিচে নামিয়ে বলে “””
“” সরি ভাই “”
তারপর আরিফ লোকগুলোর শরীরে ঠান্ডা পানি ঢেলে দেয়। লোক গুলোর ঙ্গান ফিরতেই অস্ফুর্ত ভাষায় পানি চাওয়া শুরু করে।
আহান তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে,,,,
“” তোদেরকে যদি পারতাম দুর্ঘন্ধময় রক্ত খাওয়াতাম কিন্তু আমরা আজ অন্য টর্চার সেলে আছি যেখানে রক্ত নেই। যেই পৌরষত্বের কারনে এত মেয়ের জীবন নষ্ট করেছিস আজ সে পৌরষত্বের বলি দিব।”””
আজ শরিফ আমিন অনেক গুলো মেয়েকে ইন্ডিয়া পাচার করে দিতে যাচ্ছিলো। তেদেরকে এর আগে ওয়ার্ন করা হয়েছিলো। কিন্ত অনেক টাকার বাজেটের লোভে পরে আহানের কথাকে অমান্য করে এক প্রকার আহানের থেকে লোকিয়ে পাচার করছিলো। তাই আহান কথাটা আরিফ থেকে জানা মাত্রই মেয়েগুলোকে উদ্ধার করতে চলে যায়। আহান পাচার রুমে ডুকতেই দেখে তিনটা পুরুষ তিনটা মেয়েকে পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে এক এক করে রেপ করছে। তার মধ্যে শরীফ আমিন ছিলো একজন। যে কিনা টাকার জন্য নিজের বউকে অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে দেয়। আহান তাদের এই অবস্থায় দেখে মাথায় রক্ত চেপে বসে। তারাতারি করে মেয়েগুলোকে উদ্ধার করে। সাথে অন্য মেয়েদের ও পাচারের হাত থেকে বাচিয়ে পুলিশের হেফাযতে দিয়ে দেয়। কিন্তু তিনজন দর্ষককে নিজের হেফাজতে নিয়ে আসে। একজন যে কিনা টাকার জন্য নিজের বউকে আর মেয়েকে অন্য পুরুষের কাছে বিক্রি করে দেয়। দ্বিতীয়জন নিজের বোনকে দিয়ে প্রতিনিয়ত দেহ ব্যবসা করাচ্ছে । আর তৃতীয় জন নিজের শালীকে রক্ষিতা বানিয়ে রেখেছে। প্রতিনিয়ত মেয়েটাকে ফিসিক্যাল টর্চার করে ধুকে ধুকে মারছে। আর তাদের বাড়ির মা বোনেরা এই জানোয়ারদের ভয়ে কিছু বলতে পারছে না।
লোক গুলো কান্না কাটি শুরু করে ছোটার জন্য। আহান তাদের দিকে হিংস্র হায়েনার ন্যায় তাকায়। আহানের রক্তজোরা লাল চক্ষু ধারা বুঝা যাচ্ছে কতটা রেগে আছে ওদের উপর।
আহান চেয়ার থেকে উঠে একজনের চুলের মুঠি ধরে হুংকার দিয়ে বলে,,,,,,,,
“” মুক্তি চায় তোদের হুম? যেদিন তুই নিজের শালিকে দিনের পর দিন ফিসিক্যাল টর্চার করেছিলি তখন সেই ভয় কোথায় ছিলো। নরখাদক টাকার জন্য বউ মেয়েকে অন্যের ভোগবস্তু বানিয়ে দিলি। আর আজ মেয়েগুলো ঠিক সেইভাবে চিৎকার করেছিলো ছুটার জন্য। কিন্তু তোরা উপভোগ করছিলি””
তারপর ছেলেগুলোর গায়ে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দেয়। ছেলেগুলোর শরীর সাথে সাথে ঝলসে যায়। তারা এত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আহানের কাছে প্রান ভিক্ষে চাওয়া শুরু করে।কিন্ত আহান নিজের আদিম খেলায় ব্যস্ত। কিভাবে এদের নরকময় কষ্ট দিয়ে মারতে পারে।
তারপর আহান হাতে প্লায়ার্স, ছুরি আর চাপা*তি নেয়। সেগুলোর দিকে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দেয়।
এগুলো হাতে নিয়ে এগুতে থাকে। আর ছেলেগুলো ভয়ে ছটফট করছে আর চিৎকার করে প্রান ভিক্ষে চাইছে। কিন্তু আহানের অট্টহাসিতে পুরো দেয়ালের কম্পনের সৃষ্টি করছে। ঘন কালো জঙ্গলের পশুরাও নিশ্চুপ হয়ে গেছে আহানের সেই ভয়ানক অট্টহাসিতে।
আহান প্লায়ার্স নিয়ে ওদের সামনে বসে বাকা হাসি দিয়ে বলে,,,,,,
,,, নিজের পুরুষত্বের খুব শুক্তি তোদের তাই না। কি হবে যদি এইটাই না থাকে। তারপর চা*পাতি আর প্লা*য়ার্স দিয়ে এক এক করে সবার অন্ডকোষ দেহ থেকে আলাদা করে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো ফ্লোর রক্তাক্ত হয়ে পরে।
লোকগুলোর চিৎকার জঙ্গলের মাটি পর্যন্ত কেঁপে উঠছে।
লোকগুলো অঙ্গান হয়ে মাটিতে লোটিয়ে পরে। আহানের রাগ যেনো আরো বেরে গেলো। তারপর সে তাদের অঙ্গান অবস্থায় পর পর শুট করে দেয়। লোগগুলো গলা কাটা মরুগির মতো ছটফট করতে করতে নিশ্বাস ত্যাগ করে।
আহান এইবার তাদের দিকে থুতু দিয়ে বলে,,,,
“” তোদের আরো ছটফট করা উচিৎ ছিলো। তাহলে নির্দোষ মেয়েগুলোর আত্না শান্তি পেতো।
তারপর লাশগুলোকে এক এক করে সালফিউরিক এসিডে ডুবিয়ে দেয়।
রাতের কাটা ঠিক ১ টা বেজে ৪৫ মিনিট। এমন সময় কারোর ফোনের শব্দে সুমুর ঘুম ভেঙ্গে যায়। সুমু ঘুম ঘুম চোখে দেখে এইটা এই নাম্বার যেই নাম্বারের ব্যক্তির সাথে এক বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সুমু বিরক্ত হলে ও মুচকি হাসি দিয়ে ফোন রিসিভ করে।
ওইপাশ থেকে,,,,,
“”” সরি এত রাতে ফোন দিয়ে বিরক্ত করার জন্য। আসলে একটা কথা বলার ছিলো তাই ফোন দিয়েছি। “”
সুমু কপাল কুচকে বলে,,,,
“” কি কথা? “”
ওইপাশ থেকে,,,
“” কাল তাহলে আমরা দেখা করি? ”
সুমু একটা হাসি ফিয়ে বলে,,,,
“” অবশ্যয় কেনো নয়। আপনার সাথে তো শুধু ফোনেই কথা হয়েছে কখনো দেখিনি এই সুযোগে দেখা ও হয়ে যাবে। তাহলে বলুন কোথায় আসতে হবে?””
ওইপাশ থেকে,,,,
“” তাহলে le meridien এর এখানে এসো “””
সুমু চোখ বড় বড় করে তাকায়। তারপর গলা ঝেরে বলে,,,,
অনুভবে তুমি পর্ব ২১
“” ফাইভ স্টারে কেনো? আমরা পারলে কফি সপে ও দেখা করতে পারি। “””
ওইপাশ থেকে,,,
” আমার ইচ্ছে তাই “”
সুমু একটা নিশ্বাস ছেড়ে বলে,,,
“” ওকে “”