আদিল মির্জা’স বিলাভড পর্ব ১২
নাবিলা ইষ্ক
রোযা দু-হাটু ভেঙে বসেছে ফ্লোরে। ওভাবেই হৃদির নরম-সরম শরীরটা বুকের ভেতর আগলে নিয়েছে। যত্নের সাথে মাথা বুলিয়ে দিচ্ছে অনবরত। বড়ো করে শ্বাস টেনে নিয়ে ওর আদুরে মুখ জুড়ে থেমে-থেমে ছোটোছোটো চুমু বসাল। হৃদি কেমন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তার গলা। নীরবে মুখটা বাড়িয়ে ডুবিয়ে রাখল গলার ভাঁজে। অনেকক্ষণ কোনো কথাই আর বলল না মেয়েটা। ওভাবেই থাকল। এবারে রোযা ওকে কোলে নিয়েই উঠে দাঁড়াল। ওর পা-দুটো তখন তার পাতলা কোমড় জড়িয়ে রেখেছে। হৃদি ভীষণ অভিমান নিয়ে ফিসফিস সুরে প্রশ্ন করল –
‘কেনো আসোনি গতকাল? আই মিসড ইউ আ লট।’
রোযা অনুশোচনায় ভোগে। তিরতির করে কাঁপে ঠোঁটজোড়া। কেমন এক সূক্ষ্ণ যন্ত্রণা হয় বুকের ভেতরে। অথচ সামনে এই কাজটা পুরোপুরি ছেড়ে দেবার কথা। হৃদিকে ভুলে যাওয়ার কথা চিরতরে। আর সে একটাদিন এই মিষ্টি মুখটা না দেখে এমন ভেঙে পড়ছে! কীভাবে থাকবে হৃদিকে ছাড়া? দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। ওমন বাচ্চাবাচ্চা কণ্ঠের অভিমানে রোযার অনুশোচনা গাঢ় হয়। ঠোঁট ছোঁয়াল হৃদির চুলে। ওকে কোলে নিয়েই সোফায় বসতে বসতে বলল –
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
‘একটু ব্যস্ত ছিলাম, সোনা। তুমি কী করেছো গতকাল সারাদিন?’
হৃদি মুহূর্তে উচ্ছ্বাস নিয়ে বলতে থাকল গতকালের সবকিছু। বাবার সাথে কোথায়-কোথায় গিয়েছে, কী কী করেছে—সব! রোযা মন দিয়ে শুনল। ওর কথার মধ্যে ছোটো ছোটো করে সেও কথা বলছে, জবাব দিচ্ছে ওর উচ্ছ্বাস বাড়াতে। এতে মেয়েটার আনন্দের শেষ নেই। লিভিংরুমের বড়ো দেয়াল ঘড়িতে একপলক তাকাল। ঘড়ির কাঁটা ছয়টা ছুঁয়েছে। সময় হয়েছে হৃদিকে ফ্রেশ করিয়ে, তৈরি করে —স্কুলের জন্য রওনা হওয়ার। নাহলে আবার দেরি হয়ে যাবে। সম্ভবত গতকাল মেয়েটা স্কুল যায়নি। তাই আর সময় অপচয় করল না। গল্প করতে থাকা হৃদিকে কোলে নিয়েই সিঁড়ি বেয়ে উঠে এলো দোতলায়। করিডোর বেয়ে হাঁটতে হাঁটতে নিচে চোখ রাখতেই দেখল লিভিংরুমে শান্ত দাঁড়িয়ে আছে। রোবটের মতো। ঠিক সোফার পেছনে। রোযা আশ্চর্য হয়ে গেলো। হতবাকও হলো। কখন এলো? এতক্ষণ তো সে লিভিংরুমের সোফাতেই বসেছিল! কারও অস্তিত্বটুকুওতো অনুভব করেনি। এইপর্যায়ে এসে বডিগার্ড সম্পর্কে তার ধারণার মাত্রা বাড়ল। এমন নিঃশব্দেও মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারে? ভয়ংকর! শান্ত এতক্ষণ মাথা নুইয়ে রাখলেও এবারে তাকাল। রোযার চোখে চোখ পড়তেই হাসল। উচ্চস্বরেই বলল –
‘গুড মর্নিং মিস রোযা। ইট’স নাইস টু সি ইউ।’
রোযা বোকার মতো তাকিয়ে থেকে কোনোরকমে ‘গুড মর্নিং’ আওড়ে হৃদির রুমে ঢুকে গেলো। হৃদিকে নিয়ে সোজা ওয়াশরুম ঢুকল। দাঁত ব্রাশ করা, মুখ ধোঁয়া মেয়েটা নিজে-নিজেই করতে পারে। তবে আজ স্বেচ্ছায় কিছুই করতে চাইছে না। আর না চাইছে কোল থেকে নামতে। বাধ্য হয়ে ওকে কোলে নিয়েই সে দাঁত ব্রাশ করে, মুখ ধুইয়ে বেরিয়ে এলো। তখুনি মরিয়ম বেগম ব্রেকফাস্টের ট্রলি ঠেলে ঢুকলেন। মিষ্টি করে হেসে বললেন –
‘গুড মর্নিং, প্রিন্সেস। আজকে মন ভালো তো?’
হৃদি খানিক লজ্জা পেলো। মুখটা ড়াল করতে চেয়ে আড়চোখে রোযার মুখের দিক তাকাতেই —রোযা শব্দ করে হেসে ফেলল। ওর ফুলো গালে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। মরিয়ম বেগমও হাসছেন। খাবার সাজাতে সাজাতে বললেন –
‘গতকাল সারাদিন জুড়ে ভীষণ আপসেট হয়েছিল তোমার জন্য।’
রোযার ভেতরটা হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো নরম হয়ে এলো। বুকের খুব কাছে থাকা বাচ্চাটাকে সারাজীবন নিজের খুব কাছে রাখতে ইচ্ছে করল। বুকের মধ্যে রেখে আদরে আদরে সারাজীবন পেরুতে ইচ্ছে করা মনকে তখুনি সামলাতে পারল না সে। মন তো কতো কিছুই চায়। চাইলেই কি আর পাওয়া যায়? সবসময় মনের কথা শোনাও উচিত না। মাঝেমধ্যে মস্তিষ্কের কথা, পরিবারের কথা, ভবিষ্যতের কথাও ভাবা উচিত। হৃদিকে স্কুল ড্রেস পরাতে নিয়েই অন্যমনস্ক হয়েছিল রোযা। হৃদি দেখছিল কাছ থেকে। হঠাৎ করে মাথাটা এগিয়ে রোযার ঠোঁটে শব্দ করে চুমু খেলো। আকস্মিক এমন হওয়াতে রোযা ভ্যাবাচেকা খেলো। হৃদি ফিসফিস করে বলল –
‘স্নো-হোয়াইট তোমার লিপস কী প্রিটিইই! আই ওয়ানা কিস দেম।’
রোযার ভাবনারা মুহূর্তে উড়ে হারিয়ে যায় ফানুশের মতো। সেও পালাক্রমে হৃদির রক্তিম ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁয়ে দেয়। মরিয়ম বেগম পাশ থেকে মুচকি হেসে দেখছিলেন এই মিষ্টি মুহূর্তটুকু। হঠাৎ আঁতকে ওঠে রোযা। ঘড়ির কাঁটা ছয়টা ত্রিশে। সাতটা ছোঁবে বলে! দ্রুতো হৃদিকে ব্রেকফাস্ট করাতে চাইলে— সেখানেও হৃদির দুষ্টুমি লেগেই আছে। বাচ্চাটার মুখ থেকে আজ যেন হাসি সরছেই না। এতো হাসছে, এতো! এমন প্রাণোচ্ছল হাসি দেখে রোযার সকালটাই ঝলমলে সকালের মতো উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত লাগল। দুজন উচ্ছ্বাস নিয়েই ব্রেকফাস্ট করল। তারপর হৃদিকে নিয়ে রুম ছেড়ে বেরিয়ে এলো। পেছনে মরিয়ম বেগম হৃদির ব্যাগ নিয়ে আসছেন। রোযার চোখ পড়ল লিভিংরুমে। পিনপতন নীরবতা জিইয়ে রেখে সোফায় বসে আছে আদিল মির্জা। আজ আর ফুল স্যুটে নেই। লুস জিন্সের সাথে গায়ে সাদা শার্ট জড়ানো। কোলে ল্যাপটপ। তার পেছনেই শান্ত, এলেন সহ আজ স্বপন আর ক্লান্তও দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মুখের অবস্থা অবর্ণনীয়। রোযা ওদিকে আর মাথা ঘামাল না। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে হৃদিকে ছেড়ে দিলো। হৃদি হেসে ছুটল সোফার দিকে। তোতাপাখির মতো বলল –
‘আ ভেরি গুড মর্নিং, ড্যাডি।’
রোযা দাঁড়িয়ে থাকল দূরত্ব রেখেই। এগিয়ে গিয়ে শুভ সকাল জানানোর প্রয়োজনবোধ করল না। মরিয়ম বেগমের হাত থেকে এযাত্রায় স্কুল ব্যাগটা নিজের কাছে নিলো। আদিল মেয়েকে ঊরুতে বসিয়ে আনমনা পর্যবেক্ষণ করল ওর চুলে করা হেয়ারস্টাইলটা। কী কমপ্লিকেটেড আর প্রিটি হেয়ারস্টাইল!
‘মর্নিং মাই চাইল্ড। ইউ লুক সো হ্যাপি, হুম?’
হৃদি খিলখিল করে হেসে জানায়, ‘আই এম সো হ্যাপিইই।’
আদিল জেনেও প্রশ্ন করে, ‘কেনো এতো হ্যাপি?’
হৃদি ঠোঁটে ঠোঁট টিপে হেসে ফিসফিস করে বলে, ‘তুমি জানো তো।’
আদিল তাকিয়ে আছে মেয়ের হাস্যজ্বল মুখের দিকে। রোযা তখুনি তাকাল। বলতে চাইল, দেরি হচ্ছে স্কুলের জন্য –এখুনি বেরুতে হবে। অথচ কথা গলায় আটকে থাকল পরবর্তী দৃশ্যে। হৃদির ঠোঁটে চুমু খেয়ে আদিল বলল –
‘স্কুলে যাও। দেরি হচ্ছে।’
হৃদি পাল্টা তার বাবার ঠোঁটে গভীর ভাবে চুমু খেয়ে কোল থেকে নামল দ্রুতো। দৌড়ে এসে ধরল কিংকর্তব্যবিমুঢ় রোযার হাত। রোযা পলক ফেলল। চোখে চোখ পড়ল আদিল মির্জার সাথে। ওই লোক একমুহূর্তের জন্য তার ঠোঁটের দিকে চেয়ে দৃষ্টি সরিয়ে ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে কেমন অস্বস্তিতে রোযার দমবন্ধ হয়ে এলো। চটজলদি হৃদিকে নিয়ে বেরুতে উতলা হলো। যেন কোনো সিংহ তাকে তাড়া করেছে পেছনে।
শান্ত আর এলেনের চোখ কপালে। তাদের মুখ হা হয়ে আছে। দুজনার স্বাভাবিক হতে সময় লাগল। শান্ত আড়চোখে তাকাল ট্যাবলেটের সিসিটিভির ফুটেজের দিকে। আদিল নির্বিকার ভাবে ট্যাবলেট বন্ধ করে উঠে দাঁড়াল। সিঁড়ি ধরল। এলেনের চোয়াল ঝুলে এসেছে। ঝুলে যাওয়া চোয়াল নিয়েই বসের পেছনে কদম বাড়াল। এলেনের চোয়াল ঝুলে আসা বোধহয় এই প্রথম। অথচ ওই বিষয় নিয়ে মজা উড়ানোর মতন মস্তিষ্ক আপাতত শান্তর নেই। এলেন বোকার মতো তাকাল পাশাপাশি হাঁটা শান্তর দিকে। প্রশ্ন করল চাপাস্বরে –
‘বস দ্রুতো এসে বসল লিভিংরুমে, কোনো কারণ ব্যতীত। এখন আবার উপরে উঠছে।’
শান্ত চোখ পিটপিট করে কোনোরকমে আওড়াল, ‘তখন ব-বস…প্রিন্সেসকে চুম…’
আর বলতে পারল না। আদিল মাথা ঘুরিয়ে তাকাতেই দু-জন চুপ হয়ে গেলো। একমুহূর্তে বনে গেলো আদিল মির্জার গুরুগম্ভীর, অনুভূতিহীন পার্সোনাল বডিগার্ড। রোবটের মতো পিছু পিছু এসে দাঁড়াল রুমের সামনে। ওপরে নির্বিকার থাকলেও ভেতরে শান্ত, অশান্ত বটে। একটা অজানা স্ক্যান্ডাল ঘটে গেছে মনে হচ্ছে। ও মাই গড!!!
রোযা দাঁড়িয়ে আছে গাড়ির সামনে। এতক্ষণ অবশ্য ভেতরে বসেছিল। এখন হৃদির স্কুল ছুটি হওয়ার সময় বলেই বেরিয়ে এসে দাঁড়ানো। দৃষ্টি তাঁক করা বন্ধ গেটের দিকেই। ধ্রুবও পাশে এসে দাঁড়িয়ে আছে পাহারা দেবার মতো করে। গেইট খুলে দেবার অনেকক্ষণ পর হৃদি বেরিয়ে এলো তার শিক্ষিকার হাত ধরে। ওর স্কুল ব্যাগটা শিক্ষিকার হাতে। রোযাকে দেখেই হাত উঁচিয়ে নাড়াল মেয়েটা। মুখ ভরে কেমন হাসছে! রোযা হেসে এগিয়ে গিয়ে হৃদির স্কুল ব্যাগটা নিলো শিক্ষিকার হাত থেকে। বিদায় জানিয়ে হৃদিকে নিয়ে উঠে বসল গাড়িতে। হৃদি মুহূর্তে রোযার কোলে উঠে বসল। সারাটা রাস্তা তোতাপাখির মতো বলতে থাকল স্কুলের কাহিনী। রোযা নরম চোখে চেয়ে মন দিয়ে শুনল পুরোটা সময় যাবত।
তাদের গাড়িটা সবে এসে থামল মির্জা বাড়ির সামনে। তিতান আর থোর কোথা থেকে যেন চেঁচামেচি করতে করতে ছুটে এলো গাড়ির সামনে। হৃদি ওদের দেখে আরও আনন্দের সাথে নেমে গেলো রোযা আটকানোর আগেই। নেমে কুকুর দুটো দু-হাতে সমানে আদর করছে। আর ওমন জলদস্যুর মতো দেখতে কুকুর দুটো আহ্লাদে মাটিতে গড়াগড়ি করছে। ওই দৃশ্যে সামান্য ঢোক গিলল রোযা। সে আসলে এমনিতেই কুকুর ভয় পায়। রাস্তাঘাটের সাধারণ কুকুর গুলোও এড়িয়ে চলে। সেখানে এমন দানবের মতন কুকুর দুটোকে দেখলে তার আত্মায় পানি থাকে না। হাত-পা ঝিমঝিম করে। রোযা ভয়ে বেরুতেই পারছিল না। ওদিকে হৃদি সমানে ডাকছে –
‘স্নো-হোয়াইট, তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসো। দেখো তিতান আর থোর কেমন দুষ্টু হয়ে গেছে।’
রোযা আবারও ঢোক গিলল। ওদিকে ধ্রুব গাড়ির দরজা খুলে ধরে আছে তার জন্য। অথচ সে বেরুচ্ছে না। অনেকটা সময় অপচয় করার পরে অবশেষে বেরুলো। সে বেরুতেই শান্ত কুকুর দুটো ঘেউঘেউ শুরু করে উঠল। রোযা আতঙ্কে দু-পা পিছুতে চেয়েও পেছাল না। ভয় পেলেই সমস্যা। কাউকেই তো ওরা আক্র মণ করছে না। রোযাকেও করবে না যদি সে শান্ত থাকে। নিজেকে নিজে বুঝিয়ে স্বাভাবিক থাকতে চাইল। অথচ অবুঝ হৃদি দু-হাতে থোরের গলা জড়িয়ে গদগদ হয়ে ডাকল –
‘স্নো-হোয়াইট কাম অ্যান্ড টাচ দেম। সি —দে আর সো সুইট।’
রোযার ভেতরটা কেঁদে উঠল। নিজেকে স্বাভাবিক রাখা কষ্টের হয়ে এলো। কোনোরকমে আওড়াল –
‘প্রি-প্রিন্সেস, লেট’স গো ইনসাইড।’
হৃদি ফিরে তাকাল। হেসে হেসে হাত নাড়িয়ে কাছে ডাকল, ‘আসো না..আসোও..’
রোযা বাধ্য হয়ে চোখমুখ খিঁচে এগুলো কয়েক কদম। তিতান দাঁড়িয়ে আছে। তাকিয়ে আছে রোযার দিকে। রোযা ভয়ে এইটুকুন হয়ে গেলো। আর এগুতে পারলো না। ওদিকে হৃদি নিজেই থোরের কলার টেনে সাথে করে আনলো রোযার কাছে। থোরের পশম ছুঁয়ে বলল –
‘দেখো ওর পশম কতো নরম হয়ে গেছে।’
রোযা কম্পিত হাত বাড়িয়ে ছুঁলো কুকুরের মাথাটা। ওমনি কুকুরটা মাটিতে শুয়ে পড়ল আহ্লাদে। তার কাণ্ড বুঝিয়ে দিচ্ছে, সে আরও আদর চাচ্ছে। রোযার সাহস বাড়ে এতে কিঞ্চিত। বরাবরই ভয়কে জয় করার মতো সাহসী সে। দুপায়ে ভর দিয়ে বসে ইতস্তত করে আরেকবার মাথা বুলিয়ে দিতেই থোর নিজের মাথাটা আরও এগিয়ে দিলো। এতো বড়ো শরীরের কুকুরটাকে মুহুর্তে একটা বাচ্চা লাগল। মোটেও আর ভয়ংকর লাগছে না। ভয়টা একটু কাটতেই হৃদির সাথে সমানে কুকুর দুটোকে রোযাও আদর করতে লাগল। এইপর্যায়ে হাসলোও। আনমনে আওড়াল –
‘দেখতে কতো ভয়ংকর অথচ পুরো বাচ্চাসুলভ।’
আদিল মির্জা’স বিলাভড পর্ব ১১
আদিলের হাতের সিগারেটটা জ্বলতে জ্বলতে আঙুলের চামড়ায় লাগতেই তার ধ্যান ভাঙল। দৃষ্টি ফিরিয়ে আনলো গার্ডেনের দৃশ্য থেকে। আঙুলের দিকে তাকিয়ে দেখল সিগারেট পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। সিগারেট ফেলে দিয়ে ফের তাকাল। হৃদি হাসছে, পাল্লা দিয়ে হাসছে মিস রোযাও।
শান্ত আর এলেনও বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। আদিলের ঠিক পেছনে। হাতে ফাইলস। কাজ রেখে হটাৎ করে এখানে এসে দাঁড়ানোর মানেটা পরিষ্কার হতেই এলেন কিছুক্ষণের জন্য চোখ বুজল। পরমুহূর্তেই থমথমে কণ্ঠে বলল –
‘বস, মিস রোযাকে তুলে আনি?’
