আপনাতেই আমি গল্পের লিংক || ইশিকা ইসলাম ইশা

আপনাতেই আমি পর্ব ১
ইশিকা ইসলাম ইশা

ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসসস…..
পরপর তিনটা থাপ্পর দিয়ে চুলের মুঠি শক্ত করে চেপে ধরে আমেনা বেগম।
এই মা***বাচ্চা তোর সাহস কিভাবে হয় আমার রুপালিকে ফেলে দিস। ফুলের মতো মাইডা আমার।সহ্য হয় না !সহ্য হয় না ওর রুপ, গুন দেখে হিংসায় জ্বলে।ব্যাথায় চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে আছে রিদিতা। রুপালি ছুটে এসে ছাড়িয়ে নেয় রিদিতাকে।
আম্মু এসব কি করছো তুমি? মারছ কোন ওকে।
আমেনা বেগম তেড়ে আসতে চাইলে পারেন না রুপা আগলে নেয় বোন কে।
বোন বোন করে মুখে ফ্যানা তুলিস।এই বোনের জন্যই তো আজ পড়ে হাত কাইটা আয়ছস!!!অলক্ষী,আপয়া একটা।এই কালোকুটি মুখটা দেখলেই আমার দিন খারাপ যায়।
কি বলছ আম্মা!!রিদি তো তোমার গর্ভের সন্তান। তাছাড়া আমি ওর জন্য পড়ে যাই নি।গাউন টা ভারি ছিল তাই পড়ে গেছি আর রিদিতা না থাকলে তো……

তুই চুপ কর!!এই আপয়ার কথা শুনতে বসে নাই আমি!!না!!এমন কালোকুটি মেয়ে আমার কখনোই হতে পারে না।এই মেয়ে আমার না।জন্মের পরেই বলছি এইডা আমার মেয়ে না।তোর দাদি এই কাইলা মাইয়াকে নিয়া আইছে। হে তো উপরে চলে গেছে আমার ঘারে ফেলে রেখে গেছে এডারে।
বড়চাচি:আমেনা আর মানুষ হবে না।নিজের মেয়ের সাথে কেউ এমন করে??
ছোটচাচি: আমার তো মেজ ভাবীর কথা ঠিকই মনে হয়।মেজ ভাবি কতো সুন্দর একদম চাঁদের মতো দেখতে।ভাবিরে দেখলে মনেই হয় না তার তিনটে মাইয়া পোলা আছে। আর এই কালা মাইয়া আমাগো মেজ ভাবির মেয়ে হইতেই পারে না। ছোট চাচির কথায় তেতে উঠে আমেনা বেগম বলে।
আমেনা: সব দোষ আম্মার!!আমি বলেছি এই মেয়ে আমার চায় না। কিন্তু ওনি নিয়া আইছে।এখন সব জালা আমার কালোকুটি এইডা কেউ বিয়ে করবে না।এডারে অনেক টাকা পয়সা দিয়াও ভালো ছেলে পামু না।এবারে তো রিসকা আলা ও বিয়া করবে না। বলে রাগে গজগজ করতে করতে চলে যাই আমেনা বেগম।
আমেনা চলে যেতেই রিদিতা রুপালি কে ছেড়ে উঠে দাড়ায়।চুলে হাত বুলিয়ে বুঝতে পারে অনেক ব্যাথা করছে।গাল দুটো ভীষণ জ্বলছে। কিন্তু চোখে বিন্দুমাত্র পানি নেয় একদম শান্ত দৃষ্টিতে দেখলো আমেনা বেগমের যাওয়া।
রুপালি গালে হাত রাখতেই রিদিতা সরে যায়। স্বাভাবিক কন্ঠে বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

গাল দুটো জ্বলছে আপা! আম্মুর হাতের চর বাপরে! আমার মনে হয় আম্মু আগের জনমে কোন পালোয়ান ছিল।কি শক্ত হাত!শোন আপা তোমার আম্মু আমাদের শুদ্ধ ভাষা বলতে বলে নিজেই অর্ধেক শুদ্ধ আর আঞ্চলিক ভাষার খিচুরি করে ফেলে। আম্মু যে এই গ্রামের একজন নেত্রী তার এমন খিচুরি মার্কা কথায় জনগন কিভাবে শোনে আল্লাহ জানে।বলেই খিলখিল করে হেসে উঠলো।
রুপালি অবাক হল না।এতো মার খায় তবুও মেয়েটা হাসে।কি সুন্দর ঝলমলে সেই হাসি। কিন্তু আমেনা কোন খুঁত পেলেই মারতে ছাড়ে না। সেখানে তো মুখের কথার সীমা নেই।সবার রাগ যেন এসে ওর উপরেই পড়ে।
মোনা:ছি আপু তোমার হাসি কি বিচ্ছিরি লাগে।সব দাত ভয়ানক বড় লাগে।এভাবে হাসো না।(মোনা ছোট চাচির মেয়ে)
রুপালি:মোনা……
মোনা:যা সত্যি তাই ই তো বললাম।আসলেও বিচ্ছিরি লাগে……
রিদিতা:তোর বিচ্ছিরি লাগে তাই না!!!এবার থেকে আরো বেশি করে হাসব!!বলে হাসতে হাসতে চলে যায়।
ছোটচাচি:দেখছেন আপা এই ম্যাইয়ার কোন লজ্জা শরম নাই।মার খাইয়াও এই মাইয়ার চোখে পানি নাই।কেমনে খিলখিলাইয়া হাসে।মেজ ভাবি ঠিকই করছে।
রুপালি রিদিতার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে,
তোর রুপ অন্যান্যা !এরপর বড় চাচি,ছোট চাচি আর মোনাকে একবার দেখে মায়ের রুমে যায়। ছোট চাচি মোনাকে টেনে বলে,

চল তোকে নতুন একটা ফেসপ্যাক লাগিয়ে দিবো। বড়চাচি ছোট একটা শ্বাস ফেলে নিজের ঘরে চলে যায়। রিদিতার জন্য খারাপ লাগলেও কিছু করার নাই।তবে মেয়েটার মধ্যে কিছু তো একটা আছে যা সবার চেয়ে আলাদা।
বেশ বড় বাড়ি।দোতলা বাড়ির একপাশে ফুলের বাগান
অন্য পাশের কিছু জায়গা জুড়ে বিভিন্ন সবজির গাছ।বাড়ির পিছে রয়েছে একটা পুকুর।যেখানে মাছ চাষ করা হয়।রিদিতার দাদা ছিল এই ফুলতলি গ্রামের চেয়ারম্যান।তিন ছেলেকে তিনি সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।বড় ছেলে একজন পুলিশ অফিসার ছিল।মারা যায় ৫বছর আগে। মেজ ছেলে রিদির বাবা ও পুলিশ অফিসার।গত দু বছর সে নিরুদ্দেশ।আর ছোট ছেলে ব্যাবসার দেখাশোনা করে তার সাথে কাজ করে বড়চাচার ছেলে রাদিফ মির্জা।রাদিফ শহরে ব্যাবসা দেখা শুনা করে ঐখানেই থাকে।মাঝে মাঝে আসে।আবার চলে যায়।রাদিফ এর বোন রিয়ার বিয়ে হইছে সে শ্বশুর বাড়িতে থাকে। রিদিরা দুইবোন এক ভাই। রুপালি বড়,তারপর ভাই রিদ,তারপর রিদিতা।এদের তিন ভাই বোনের স্বভাব তিন রকম। রুপালি শান্ত শিষ্ট সুন্দর, সুন্দর না ভয়ংকর সুন্দর।বংশের সুন্দরি মেয়ে যদি কেই হয় সেটা রুপালি।রিদ গম্ভির পড়াশুনা নিয়ে পড়ে থাকে।আর রিদি প্রানোচ্ছোল, চঞ্চল , বুদ্ধিমতি সাথে সাহসী।আর এই জন্যই মায়ের হাতের মার খায় সে। রুপালি ,রিদ এবার এডমিশন দিবে আর রিদি এবার এসএসসি দেবে। রিদ, রুপালি জমজ ভাইবোন।রুপালির বিয়ের জন্য হাজারটা ভালো ঘরের সমন্ধ আসে।প্রতিদিনই আসে। এতে খুশি হয়ে সবাইকে বলে বেড়ান আমেনা।

আমেনা বড়লোক বাপের একমাত্র মেয়ে ছিল।ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রিদির বাবা কে।রিদির বাবা ছিল অত্যন্ত সুন্দর পুলিশ অফিসার।রিদির বাবা ও এমন সুন্দরি মেয়েকে হারাতে চাই নি।তাই বিয়ে করে ফেলেছে।বাবা মা দুইজনেই এতো সুন্দর সেখানে রিদি কালো সেটা মানতে পারে না আমেনা বেগম।যদিও এটার কাহিনী আছে।
আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে আছে রিদিতা। নিজেকে দেখে ফিক করে হেসে উঠল। মুখে উচ্চারণ করল কালোকুটি।মা তাকে এই নামেই ডাকে।
আচ্ছা কালো হওয়া কি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন অভিশাপ!
হয়তো!!
নিজের মনে কথাটা বলে গালে বরফের টুকরো দিয়ে ঘসতে লাগল।আজ মা একটু জোরেই মেরেছে। কিন্তু রিদিতার চোখে পানি নাই। ছোট থেকে এতো পরিমাণ কেঁদেছে যে পানি শুকিয়ে গেছে।এখন আর কাঁদতে হচ্ছে হয় না। কাঁদলে কেউ আগলে রাখে না, মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় না,আদর করে না।তাই আর কাঁদতে হচ্ছে হয় না।
রিদ ব্যাস্ত পায়ে হেঁটে রিদিতার রুমে ঢুকে।মায়ের প্রতি তীব্র রাগ রিদের। নিজের মেয়ে কালো বলে শত মায়ের মতো ব্যবহার করা রিদের পছন্দ না। কিন্তু কিছু বলতে গেলে মায়ের সাথে ব্যাপক ঝরগা বেঁধে যায়।এতে রেগে আমেনা বেগম রিদি কে বেশি মারে। হাতের মলম রিদির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে।

একদিন মার খেয়েই মরবি তুই!!
ভাইয়ের কথায় রিদি চমকে উঠে রিদের দিকে তাকাই।কেননা ওর রুমে তেমন কেউ আসে না। রিদ আসে রিদিকে পড়াতে শুধু।আমেনা বেগম রিদিকে কারো সামনে আনতে চান না।এতে তার সন্মান যাবে তাই।
হঠাৎ কারো আওয়াজ এ চমকে উঠেছিল। রিদ এর কথায় রিদি হেসে বলে,
এতো সহজে মরব না ভাইয়া!!মেয়ে মানুষ কৈই মাছের জান!!
রিদ ভেবে পায় না মেয়েটা এমন কেন??মারলে হাসে,কষ্ট পেলে হাসে।কান্না করে না এখন আর।ছোট থেকে অবহেলায় মানুষ।কেন??? শুধু কালো বলে!! মির্জা বাড়ির মতো শিক্ষিত পরিবারের কাছেও এতো অবহেলিত??
মানুষ যতোই শিক্ষিত হোক না কেন তার আসল শিক্ষা প্রকাশ পায় তার ব্যাবহারে যা মির্জা বাড়ির মানুষের মধ্যে নেই।

রিদ রিদিতার সাথে কিছুক্ষণ থেকে চলে যায়।তার আবার পড়তে বসতে হবে ।ঢাকা মেডিকেল এ চান্স পেতে হবে।সে এখানে থাকতে চায় না।এই বাড়ির পরিবেশ থেকে দূরেই থাকতে চায়।
মধ্যবয়স্ক একজন পুরুষকে জরিয়ে কাঁদছে আমেনা বেগম। লোকটি মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে
আমু কাদিস না বোনু!!!
আমেনা বেগম ভাইকে ছেড়ে দেয়।আজ কত বছর পর ভাইকে চোখের সামনে দেখছে আমেনা বেগম।রিদির বাবার সাথে ভালোবাসার বিয়ে মেনে নেয় নি রিদির নানু।আর না কোন যোগাযোগ রেখেছে।আমেনা,আ দুইভাইবোন। আমেনার বিয়ের সময় আমিরের দুই ছেলে ছিল। তীর, তীব্র।তীরের তখন ৫বছর আর তীব্র হয়তো তখন ২বছরের হবে।আজ প্রায় ২৫ বছর পর দেখা হয়েছে ভাইয়ের সাথে। সেই খুশিতে কাঁদছে আমেনা বেগম।মায়ের কান্না দেখে ভূ কুচকে তাকাই রিদিতা মা কাঁদছে না ডং করছে সেটা বুঝতেই তাছিল্য হাসে।দূর থেকে দেখে নিজের রুমে চলে যায় ।

আমির চৌধুরীর বড় ছেলের বিয়ে উপলক্ষে দাওয়াত দিতে এসে ছোট ছেলের বৌ পছন্দ করে যান।রুপালির রুপ দেখে পছন্দ হয়েছে। রুপালি তার বোনের চেয়েও বেশি সুন্দর।এমন সুন্দর মেয়ে ঘরে তুলে ছেলেকে সংসার শুরু করাবে।বিগরে যাওয়া ছেলেকে এমন রূপবতী মেয়েই পারে সুধরে নিতে।এমন বৌ পেলে ছেলে নিশ্চয় হাসতে হাসতে বিয়ে করবে।
প্রস্তাব টা আমেনা বেগমের ও পছন্দ হয়েছে। বাবার বিশাল সম্পত্তি সেই সম্পত্তি দ্বিগুন করেছে তার ভাই ।সেটা বড় ছেলে আর সে সামলায়।ছোট ছেলে নাকি আরো উপরে নিজের হাতে গড়ে তুলছে সম্রাজ্য।দেশ, বিদেশে নাকি তার নাম।শহরে এক নামে চেনে তীব্র চৌধুরী কে।
রুপালি দেখেছে তীব্র কে।আমির চৌধুরী নিজে রুপালির ফোনে তীব্রর আইডি বের করে দিয়েছেন। অসম্ভব সুন্দর মেয়েটাও আটকে গেছে এক সুদর্শন যুবক কে দেখে। রুপালির ও পছন্দ তীব্র কে।সপ্তা খানেক পর যাবে আমেনা তার বাবার বাড়িতে। আমেনা বেগম বেজায় খুশি।

রিদ সোফায় বসে এদের কাযকালাপ দেখে বিরক্ত হয়ে বলে,
আম্মু হবু জামাই কে পরে দেখিও…মামা এত দূর থেকে এসেছে আগে চা নাস্তা দাও।
আমেনা খুশিতে গদগদ হয়ে আছে।আজ বাসায় বড়চাচি, ছোট চাচি নাই ওনারা বাইরে গেছে। কাজের মেয়ে ও আজ আসেনি তার ছোট বাচ্চা অসুস্থ।তিনি হাক ছেড়ে ডাকে,
রিদি এই রিদি…….
আমি রান্না ঘরেই আছি।আপনার ভাইয়ের জন্য রান্না করছি আম্মা।এতোদূ্র থেকে এসেছে দুপুরে না খাইয়ে কিভাবে বিদায় দেওয়া যায়।আজ তো চাচিরা আর কাজের মেয়ে নাই তাই তোমার কালোকুটি তার কালো কালো হাত দিয়ে মামুজান কে রান্না করে খাওয়াবে।
আমেনা বেগম দেখলেন রিদি বিরিয়ানি রান্না করছে। সুন্দর ঘ্রান আসছে।আমির এর বিরিয়ানি খুব পছন্দ।
তুই জানলি ক্যামাই ভাই বিরিয়ানী পছন্দ করে??

রিদিতা সালাদ কাটতে কাটতে মুচকি হাসে।আমেনা বেগম দেখে সেই হাসি।থমকায় সেই হাসি দেখে। গর্ভের সন্তানের দিকে ভালোকরে তাকাতেই তিনি মুগ্ধ হন।এতো মুগ্ধ তো রুপালি কে দেখেও হয় নি।
আপনি বসেন আম্মা গল্প করেন আমি খাবার রেডি করছি।হয়েই গেছে একটু দমে রাখতে হবে।
রিদিতার কথায় হচকচিয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে যায় আমেনা। গিয়ে আবারো সোফায় বসে।আমির বোনকে দেখে বলে তোর দুই সন্তান ই ভয়ংকর সুন্দর।আমেনা খুশি হতে গিয়েও পারল না।রিদ ভদ্রতা সহিত বলে,
আমরা দুই বোন এক ভাই মামু!!
আমির হতবাক হয়ে তাকায় সে এসেছে ২ঘন্টার বেশি হবে একবার ও তো আমেনা বলল না তার আরও একটা মেয়ে আছে। তাছাড়া সে এসেছে শুনে তো একবারও এলো না।
কিহহহহ!!!!
না আসলে আগে কখনো আসি নি তাই তেমন জানি না।তোমাদের দুইজনকে দেখে ভাবলাম তোমরাই দুটা তা আরেক মেয়ে কোথায়? ও আসে নি কেন??
আম্মু আসতে মানা করেছে!!
ছেলের কথায় কাচুমাচু করে মিনমিনিয়ে উঠে আমেনা।আমির অবাক হয়।
কেন???

সেটা সামনে আসলেই জানতে পারবেন!শুনেছি আপনার ফ্যামিলির সবাই নাকি উচ্চশিক্ষিত।আম্মু কি আপনার ফ্যামেলির বাইরে পড়ে নাকি??
আমেনা ধমকে উঠে,
রিদদদদদদদদদ….
রিদ তোয়াগ্গা না করে বলে,
আসেন মামুজান খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।আমেনা ও তাড়াতাড়ি করে ভাইকে নিয়ে টেবিলে আসে।ছেলেকে সে পরে দেখবে।আমির কিছুটা অবাক হয়েও কিছু বলল না।টেবিলে পছন্দের বিরিয়ানি দেখে সব ভুলে হামলে পড়লো খাবারের উপর।ঘ্রান এতো সুন্দর যে খিদে ডাবল হয়ে যাবে।
মামু আস্তে আস্তে খান!!!

এতো টেষ্টি বিরিয়ানি আগে কখনো খায়নি।কে রান্না করেছে??
আমার ছোটবোন রিদিতা।
আমির অবাক হলেন।বয়স কতো রিদিতার??তোমাদের বড়???
না।ছোট! এবার এসএসসি দেবে।
আমির হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে।১৫ -১৬ বছরের মেয়ে এতো সুস্বাদু রান্না জানে?
রিদিতা কোথায়???
ওর রুমে।আসবে না এখানে!
আমির হতভম্ব হয়ে বলে,
কেন???

সেটা আপনার বোন বলবে!! কতটুকু সত্য বলবে সেটা জানা নাই।এনি ওয়ে আপনার চারজন গাড আর একজন ড্রাইভার কেও বাইরে খেতে দিয়েছে রিদি।
আমির থতমত খেলেন। এতোকিছুর মাঝে বাকীদের কথা ভুলেই গেছিলেন।আর এদিকে রুপালি আছে অন্য জগতে সে এখনো তীব্র কে দেখে ঘোরে আছে।তার ঘোর যেন কাটছে না।

আপনাতেই আমি পর্ব ২