আপনাতেই আমি পর্ব ২

আপনাতেই আমি পর্ব ২
ইশিকা ইসলাম ইশা

গ্রামের রাস্তা ছেড়ে গাড়ি চলছে শহরের দিকে।এই প্রথম রিদি বাইরে কোথাও বের হচ্ছে।ছোট থেকেই বন্দি জীবনে অভ্যস্ত । তবে বাবা তাকে মাঝে মাঝে ঘুরতে নিয়ে যেত। বাবা আজ প্রায় ৪ বছর নিখোঁজ।রিদি রোজ আল্লাহ কাছে দোয়া করে রুপেশ এর ফিরে আসার।রুপেশ একজন পুলিশ অফিসার ছিল।সবাই ধরে নিয়েছে গোপন কোন রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। কিন্তু রিদির মন বলে বাবা আছে।শহরেই তো বাবা থাকত।এখানে খোঁজ করলে কি তার বাবা আসবে।রিদির ছোট্ট মনে এখনো আশা আছে তার বাবা আসবে।
রিদির ভাবনার মাঝেই গাড়ি বিশাল গেট দিয়ে প্রবেশ করে।শহরের চাকচিক্য ময় বাড়ি দেখে রিদিতা হতভম্ভ।রুপালি,রিদ যদিও আগে শহরে এসেছে।রাদিফ নিয়ে এসেছে। কিন্তু রিদিতার সেই সৌভাগ্য হয় নি।বিশাল তিনতলা বাড়ির সামনে ফুলের বাগান।সরু রাস্তা দিয়ে আরো একটি দেতলা বেকানো বেকানো ডিজাইনে বাড়িটা দেখে হতভম্ব হল সবাই শুধু রিদি না।

ভেতরে প্রবেশ করে আরো বেশি অবাক হয় রিদি।এটা বাড়ি না রাজমহল। টিভিতে দেখা কোন রাজমহল।রিদি এদিক ওদিক দেখে চোখ যায় সোফায় বসে থাকা পরিচিত এক মুখের দিকে।আমির চৌধুরীর দিকে।হাসিমুখে তাকিয়ে আছে।তার পাশেই বসে আছে বয়স্ক একজন মহিলা।
কেমন আছেন আম্মু??(আমেনা বেগম গিয়ে জরিয়ে ধরে মহিলাটিকে)
এতদিন পর বুঝি মায়ের কথা মনে পড়ল(মহিলাটি পিঠে হাত বুলিয়ে বলল)
মনে পড়লে কি আর আসতে পারতাম।বাবা তো আমাকে।
থাক বাদদে পুরানো কথা।আমার নাতি নাতনিদের দেখি তো এদিকে আসো
মাশাআল্লাহ “এতো দেখি তোর চেয়েও সুন্দরী।তোর মেয়ে তো তোকেও ছাড়িয়ে গেছে রে আমু।
মহিলাটি কথা বলে তাকাল রিদের পাশে দাড়ানো রিদিতার দিকে।হিজাব নিকাবে আবৃত মুখশ্রী।এমন পোশাক পড়া আমেনার আদেশ।কারন সে চায় না তার কালোকুটি মেয়েকে কেউ দেখুক আর তার সন্মান কমে যাক। তাছাড়া দরকার না পড়লে রিদিতা কে মেয়ের পরিচয় ও দেন না তিনি।
ওটা তোর ছোট মেয়ে বুঝি!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কথাটায় আমেনা বেগম বিরক্ত হলো।রিদি সালাম দিল আমির আর মহিলাটিকে।আমির রিদিতাকে এমন পোশাকে দেখে বোনের দিকে তাকাই।ব্যাপারটা বুঝে ডাকে রিদিতাকে নিজের কাছে।বোন তার ছোট্ট থেকেই অহংকারী আর জেদি টাইপের তাই তিনি এখন কিছু বললেন না।রিদিতার মাথায় হাত রেখে বলে।ট্যায়াড লাগছে আম্মু?যাও পোশাক বদলে আসো।রিদ,রুপালি তোমরাও যাও। সার্ভেন্ট তোমাদের রুম দেখিয়ে দেবে।ফ্রেশ হয়ে এসো আমি খাবার দিতে বলছি।রিদিতা,রিদ,রুপালি বাধ্য বাচ্চার মতো আমিরের কথায় সাই দিয়ে চলে যায়।
আমির বোনের দিকে তাকিয়ে বলে,তুই এখনো ছোট না আমু।রিদি তোর মেয়ে তুই কি ভুলে যাস।যা ফ্রেশ হয়ে আয় বাকি কথা পরে হবে।আমেনা বেগম কিছু না বলে ফ্রেশ হতে যায়।

সবাই কে সবার রুম দেখিয়ে দেয় কাজের লোক।বিশাল রুম দেখে অবাক হয় রিদিতা।এই রুম ওদের ২ টা রুমের সমান।হিজাব নিকাব খুলে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় যায় রিদিতা।বিশাল বারান্দার একপাশে ফুলের গাছ। সুন্দর লাগছে।রিদি ফুল গুলো তে হাত বুলিয়ে দেয়।নিচে থেকে ডাক পড়তেই সিরি ভেঙে নিচে নেমে আসে রিদিতা।রিদিতা নিচে নামতেই দেখে নানি হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
রিদির অস্বস্তি লাগছে এভাবে তাকাতে দেখে।এমন ভাবে দেখার কি আছে।রিদি সুন্দর না এটা তো সবাই জানে। তাহলে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন??
“মাশাআল্লাহ” তুমি দেখছি ভীষণ মায়াবী।এসো এসো বসো তোমরা। খাওয়ার সময় বেশ কথা হলো।রুপালিকে ছেলের বৌ হিসেবে আমির আর মহিলাটির মানে হাসেনা বেগমের বেশ পছন্দ হয়েছে।ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে করতে তিনি ক্লান্ত। এবার সুন্দরী বৌ যদি পারে তাকে আটকে রাখতে।আদোও কি সম্ভব!!
রাতের আকাশের তারা গুলো আজ দেখতে সুন্দর লাগছে তাই না!!

কোথায় সেম ই তো লাগছে!!যেমন রোজ লাগে।
উফফফ রিদি তুই বুঝবি না।প্রেমে পড়লে মানুষের সব ই সুন্দর লাগে!!
তুমি ছবি দেখেই তীব্র ভাইয়ার প্রেমে পড়েছ!!
হুম। জানিস ভালবাসা কি আমি কখনোই জানতাম না। সবাই আমাকে প্রপোজ করত। কতগুলো প্রপোজ যে এসেছে বলার বাইরে। আমার রুপে হয়তো সবাই দেওয়ানা। কিন্তু আমি কখনো কাউকে ভালোবাসিনি। তীব্র চোখে কিছু তো আছে যা আমাকে গভীর ভাবে ছুঁয়েছে।
রিদিতা রুপালির দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।মেয়েটা দেখতে এমনিতেই ভুবন ভোলানো রুপসি তার ওপর লাজে রাঙা মুখ দেখলে যে কেউ প্রেমে পড়তে বাধ্য!!
এভাবে দেখছিস কেন??
প্রেমে পড়লে মানুষের রুপ সৌন্দর্য বেড়ে যায় বুঝি!!
তোমাকে দ্বিগুণ সুন্দর লাগছে আপু।
রুপালি হেসে রিদিতার দিকে তাকাই। রিদিতার মধ্যেও তো রুপের কমতি নেই। আচ্ছা ওর এই সচ্ছ রুপ কি কখনো কারো চোখে পড়বে!!

পড়বে!!
পড়েছে তো!!
রাদিফ ভাইয়ার মতো সুদর্শন যুবক তো শ্যামাবতী তে আটকে গেছে।হাজারো আকুতি মিনতি করে শ্যামাবতীকে পাওয়ার জন্য। কিন্তু সবটাই গোপনে।মায়ের কাছে ওয়াদাবদ্ধ।না হলে এই পিচ্চি শ্যামাবতীকে যে তার চায়।ভীষন ভাবে চায়।খুব করে চাই।কথাটা ভেবেই ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে রুপালি।
কি ভাবছ আপু???
না কিছু না।চল নিচে যায়।রাত হয়েছে মা বকবে!!
আচ্ছা আপু!!এই বিশাল বড় বাড়িতে মাএ চারজন মানুষ থাকে কেন??
কি জানি!!
আচ্ছা তোমার বিয়ে হলে তুমিও এতো বড় বাড়িতে থাকতে পারবা??
তুই এতো সিউর কিভাবে ওনি আমাকে বিয়ে করবে??
তোমার মতো সুন্দরী মেয়ে হারিকেন নিয়ে খুঁজলেও পাবেনা।
রুপালি রিদিতার কথায় হেসে দেয়।দুইজনে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েলেও ঘুম আসছে না।তাই রিদিতা বেলকনিতে যাই।আকাশের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি সুরে গুনগুন করে উঠে….

“”আমার একলা আকাশ থমকে গেছে
রাতের স্রোতে ভেসে
শুধু তোমায় ভালবাসে
আমার দিন গুলো সব রং চিনেছে
তোমার কাছে এসে
শুধু তোমায় ভালবাসে
তুমি চোখ মেললেই ফুল ফুটেছে
আমার ছাদে এসে।
আমার ক্লান্ত মন
ঘর খুঁজেছে যখন
আমি চাইতাম,পেয়ে চাইতাম
শুধু তোমার টেলিফোন…
গানে গানে সময় কেটে যায় রিদির তাই রুমে এসে শুয়ে পড়ে।
সকালে হৈই চৈই এ ঘুম ভেঙ্গে যায় রিদির ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে দেখে বাড়িতে অনেক মানুষজন।সবাই বাড়ি সাজাতে ব্যাস্ত।এতো মানুষ এর মধ্যে অসস্তি লাগছে।তাই আবারো নিজের রুমে চলে আসতে গেলেই ধাক্কা খায় রিদের সাথে।

কি রে এখানে দাঁড়িয়ে যে যাবি না!!
আসলে ভাইয়া নিচে তো অনেক মানুষ।
কাল আমি কি বলেছেি রিদি!! নিজেকে এভাবে আটকে রাখবি না।তোকে আমি কতোবার বোঝাব তুই অসুন্দর না রিদি। শুধু ফর্সা রাই সুন্দর হয় না।শ্যামাবতীরাও প্রচন্ড মায়াবতী হয়।আর তুই তো মায়ার একটা সমুদ্র।অসম্ভব মায়াবতী।এখন এসব না ভেবে চল আমার সাথে।তাছাড়া কেউ তোকে অসন্মান করলে যোগ্য জবাব দিবি।আর আমার বোন তো সাহসী।আয় নিচে আয়।
জীবনে অনেক না পাওয়ার মধ্যে একটা পাওয়া হল রিদ।ভাইকে তার জীবনে না পাঠালে হয়তো জীবনটা আরো খারাপ হতো।ভাইয়ার সাথে নিচে এসে খাবার টেবিলে বসে রিদিতা।সবাই তার সাথে ভালোই ব্যবহার করছে।মায়ের মতো ব্যবহার করছে না তাতেই সন্তুষ্ট রিদি‌। কেউ তার রং নিয়ে কোন কথা বলছে না।
তীর:রিদি তোমার হাতের বিরিয়ানি খেয়ে মুখে লেগে আছে। একদিন আবার বানাবে প্লিজ।

রিদি:হ্যা অবশ্যই ভাইয়া।
তীর:তাহলে দুপুরের বিরিয়ানি কিন্তু তোমার হাতের!!
রুপালি:এমনি এমনি বিরিয়ানি রান্না হবে না ভাইয়া।আগে ক্যাশ লাগবে।
তীর:দিব বল কত চাই!!!
রুপালি:৫০০০ অবশ্যক!!
তীর:যাও দিলাম।তবে মায়াবতী বিরিয়ানি কিন্তু খাবো!!
রিদি চমকে উঠে “মায়াবতী”।
তীর: তোমার নাম রিদি না রেখে মায়াবতী রাখা উচিত ছিল।তা নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কি ভাবছ!!
রিদি:ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা আছে কথাটা বলেই ঝট করে কথাটা বলেই তাকাই আমেনার দিকে। আমেনার কোন রিয়্যাক্ট না দেখে সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
তীর:বাহহহ গুড জনসেবা।আই লাইক দ্যাট।
আমেনা বেগম সব শুনছে কি না সন্দেহ।না হলে তিনি রিদি কে কথা শোনাতে ছাড়ত না।তিনি অন্য চিন্তায় মগ্ন।রিদি আজ ভীষন খুশি আজ দিনের শুরুটা ভালো হয়েছে।

বিরিয়ানি রান্না করছে রিদিতা।সবার মন ভালো করতেই বিরিয়ানি রান্না করছে।তবে মায়ের দিকে দেখে সে আজ খুশি মনে সবার সাথে কথা বলছে।কথায় কথায় রিদিকে কালোকুটি আর বলছে না। হয়তো অন্যর বাসায় আছে তাই। রান্না প্রায় শেষ। এবার সালাদ কাটাতে মনযোগী হয় রিদি। হঠাৎ কারো কন্ঠ শুনে চমকে উঠে,
এক কাপ কফি চাই রাইট নাও!!!
সামনের মানুষটার দিকে তাকিয়ে হা হয়ে আছে রিদি।ফোনের দিকে তাকিয়ে কথা বলছে মানুষটা।
কি হল কানে কথা যাচ্ছে না!!!বলেই রিদির দিকে তাকায় তীব্র।রিদির দিকে তাকাতেই রিদি কেঁপে উঠে।রুপালি যদি ভুবন ভোলানো রুপসি হয় তাহলে ছেলেদের রুপ ও কিন্তু ভুবন ভোলানো হয়।
তোমাকে আগে কখনো দেখিনি!! নতুন সারভেন্ট নাকি!!
জি!!না মানে!!!
যাই হোক আমার এখুনি কফি লাগবে।মেক ইট ফাস্ট আমি ওয়েটিং……..
কিন্তু আমি কফি বানাতে…….

কাজের মেয়ে হয়ে কফি বানাতে পারো না!!তোমাকে কে রেখেছে??আমার বাসায় রান্নার জন্য ও যোগ্যতা লাগে তোমাকে দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করবে না।
এবার রিদির ভীষণ খারাপ লাগল।নিজেকে সামলে নিয়ে কড়া কিছু কথা শোনাল।
শুনুন মিস্টার আমি কাজের মেয়ে না। তাছাড়া কাজের মেয়েদের সাথে কোন ভদ্রলোক এমন ভদ্র ভাবে ব্যবহার করে বলে জানা ছিল না!!যারা কাজ করে তাঁরাও মানুষ কথাটা ভদ্র ভাবে বলবেন।আর আপনার খেতে ইচ্ছে হলে খাবেন না খেতে ইচ্ছে হলে খাবেন না।আপনার সামনে হাত জোর করছি না আমি।
বলেই রিদি গটগট করে বেরিয়ে যায়। চোখে পানি টলমল করলেও তা পড়তে দেয় নি। ভীষণ কান্না পাচ্ছে তার। মানুষ এমন কেন।রুপ,রং বিবেচনা করা মানুষ গুলো কি একবারও ভাবে না অপর পাশের মানুষ টার কি জঘন্য খারাপ লাগে।

খাবার টেবিলে সবাই এসে বসেছে। বিরিয়ানির ঘ্রাণ নাকে লাগছে। তীব্র ও বসেছে বাবার জোরাজুরি তে। রুপালি তো কয়েক দফা ক্রাশ খেয়েছে।তীব্র ও রুপালির দিকে তাকিয়েছে‌।যা নজর এড়াইনি সবার।আমির ধরেই নিয়েছেন ছেলের রুপালিকে পছন্দ হয়েছে।
তীর:রিদি তর সইছে না প্লিজ…..
রিদি হাসলো,
তীরের প্লেটে বিরিয়ানি দিতেই সে খাওয়া শুরু করলো।সবার প্লেটে বিয়িযানি রিদি দিলেও তীব্রর টাই কাজের লোক তুলে দেয়।তীব্রের জন্য আলাদা করা হয়েছে কারন তীব্রর ঝাল এ এলাজি তাই।রিদি আগে জানলে হয়তো তীব্রর জন্য রান্না করত না।এমন দেমাগী লোকের জন্য রান্না করার মানেই হয় না।
তীব্র:এসব কে রান্না করেছে???
তীর:রিদিতা!!আহহহহ কি সুন্দর দেখতে আবার সুস্বাদু।
তীব্র:তুমি আমার জন্য আলাদা রান্না করেছো কেন??এতে আবার কিছু মিশাওনি তো???
আমির: তীব্র…..

কি বলছিস এসব!!
তীব্র:কারো ওপর ভরসা করা আমার ধাচে যায় না।তাই যিনি রান্না করেছে ওনি আগে টেষ্ট করবে।
তীর: তীব্র তুই……
রিদি:থাক ভাইয়া ওনার যখন এতোই সন্দেহ আমি খেয়ে দেখাচ্ছি!!বলে রিদি বোল থেকে খেতে গেলে তীব্র বলে,
তীব্র: উহু!!তোমাকে ভরসা নাই আমার প্লেট থেকে খাও।রিদি অপমানিত হয়ে আলাদা একটা চামচ এ তুলে মুখে দেয়।চোখে পানি টলমল করছে।মুখে দিতেই তীব্র প্লেট টা রেখে বলে,
আমি কারো এটো খাই না।নিয়ে যাও আর আমার জন্য লাঞ্চ নিয়ে আসো।
রিদি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।রিদ রেগে কিছু বলতে নিলে আমেনা বেগম থামিয়ে দেয়।রিদি রেগে এক লোকমা খাবার তুলে তীব্রর মুখে পুরে দেয়।এমন কান্ডে সবাই দাঁড়িয়ে যায়।তীব্র ভয়াবহ রেগে যাই।
তীব্র ঠাসসস করে থাপ্পর মেরে দেয়।তবে মুখের খাবার ফেলে না।রিদি গালে হাত দিয়ে বলে,
কালো মানুষ কে মেরে আপনার হাত কালো করলেন কেন।রক্ত কথা বলে প্রমাণিত হয়েছে!!বলে মায়ের দিকে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে চলে যায়।
পরের দিন বিকেলে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে দুইজন।শুনেছি ঐ বিল্ডিং টা নাকি তীব্রর পছন্দ মতো বানানো হয়েছে।
রুপালির কথায় পেছনে তাকায় রিদিতা। রুপালি রিদিতার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে,
মন খারাপ করছিস রিদি!!!
রিদি হাসলো,

না আপু!!তোমার সাথে প্রেমালাপ হয়েছে!!
রুপালি লজ্জা পেয়ে বলে,
আসলে তেমন কিছু না।তবে ওনি তাকিয়ে থাকে আমার দিকে।
রিদি বোনের দিকে তাকিয়ে আছে,মানতে হবে সে রুপসি,
আচ্ছা আপু।ভালবাসা নাকি ভয়ংকর সুন্দর।
ভয়ংকর সুন্দর হয় নাকি???
তা তো জানি না। উপন্যাস এ পড়েছি।রিদি কথাটা বলেই সামনে বিল্ডিং এর দিকে তাকাই। বিল্ডিং এর বেলকনিতে ফোন হাতে দাঁড়িয়ে আছে তীব্র।নামের মতোই তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।রিদি চোখ সরিয়ে নিল। রুপালিকে ডেকে বলল,

আপনাতেই আমি পর্ব ১

তোমার উনি দাঁড়িয়ে তোমাকে দেখছে আপু,
রুপালি ভুকুচকে তাকাল। ততক্ষনে রিদি রুমে চলে এসেছে। তীব্র কে অসহ্য লাগছে রিদির।অথচ এমন ভয়ংকর সুন্দর পুরুষ কল্পনায় শুধু দেখা যায়।

আপনাতেই আমি পর্ব ৩