আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ২১

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ২১
ইশিকা ইসলাম ইশা

রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহটা দেখে থমকে গেল রিদিতা। চারদিকে তখন শোরগোল।আশেপাশে সবাই তাকিয়ে আছে।এমন খবর শুধু নিউজ এই শুনেছে রিদি।বাস্তবে সচক্ষে কোন দিন দেখবে ভাবে নি!পড়ে থাকা নিথর দেহটা একটা “লাশ” যার এখন আর পৃথিবীতে কোন অস্তিত্ব নেই!তবে কি শুধু লাশ !!একটা মেয়ের সব হারিয়ে যাওয়ার পর তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস টুকুও কেড়ে নিয়েছে তারা।যাকে আমরা এক কথায় বলি” ধর্ষন”!!
হসপিটাল নির্মানের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গায় পড়ে আছে একটা মেয়ের লাশ। সকালে কলেজ যাওয়ার পথে মানুষের শোরগোল শুনে যখন এদিকে আসল সবাঙ্গ কেঁপে উঠল রিদির। বিধ্বস্ত অবস্থায় এলোমেলো কাপড়ে আচ্ছাদিত একটা মেয়ে।রিদি দেখল মরার পরেও এলোমেলো কাপড়ে মেয়েটার দিকে সবার দৃষ্টি কেমন প্রখর!রিদি চটপট নিজের হিজাব খুলে ওটা দিয়ে কোন মতে ঢেকে দিল মেয়েটার অঙ্গ! মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছে না।ঘন চুলে মুখখানা ঢাকা।যখন কয়েকটি মহিলা নাস মেয়েটাকে উল্টালো এরপর মুখটা দেখল রিদি!প্রিয়া!! পৃথিবী ঘুরে উঠল রিদির। ধপ করে বসে পড়ল মাটিতে ।প্রিয়া সে তো রিদির ক্লাসমেট।রিদির চোখ থেকে টপটপিয়ে পানি পড়তে লাগল।কতটা নির্দয় ভাবে যন্ত্রণা দিয়ে মারা হয়েছে।

ঘটনা স্থলে তখনও পুলিশ আসেনি। রীতিমত তারা দেরি করেই আসবে। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই শ শ আওয়াজ তুলে প্রবেশ করল দুটো গাড়ি!দুটো গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো মনসুর আলী আর তার পুত্র মির আলী।
মনসুর আলী হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পড়তে পড়তে এগিয়ে গেলেন লাশের দিকে!পালস চেক করতেই বুঝল মেয়েটির নিঃশ্বাস চলছে না। আনুমানিক রাতেই মারা গেছে মেয়েটি। আশেপাশে এই নিয়ে চলছে তুমুল কথোপকথন!এর মাঝেই একজন মহিলা আর একজন পুরুষ কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এসেই হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো।দুইজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠল পরিবেশ।
তাদের ভাষ্যমতে কাল কলেজ থেকে আর ফিরে আসেনি তাদের মেয়ে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেছিলেন কিন্তু ২৪ ঘন্টা না হলে তারা কোন একশনে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন।
এর মাঝেই পুলিশ হাজির হলো।মনসুর আলী পুলিশের সাথে কথা বলছেন! তবে পুলিশের মাঝে তেমন কোন ভাবাবেগ নেই।তারা যেন নিত্যদিন এইসবে অভ্যস্ত!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রিদি একধ্যানে তাকিয়ে দেখল লাশটাকে।বুক কেঁপে উঠলো তার!প্রিয়া মেয়েটি ছিল খুব চঞ্চল।রিদি উঠে লাশের কাছে প্রিয়ার মা বাবার কাছে যাবার জন্য পা বাড়াতেই একটা পুরুষালী শক্ত হাত তার হাতটা ধরে ফেলল।রিদি পেছনে ফিরে তাকাতেই নজরে এলো দাড়ি,মুচ আর পাগরি তে আবৃত একখান মানুষ।পড়নে তার সাদা ঢিলেঢালা কাবলি সেট।দেখত ঐ হিন্দি সিরিয়ালের গুজরাটি সাজের মানুষের মতোন হলেও মুসলমান হওয়াই কাবলি পড়েছে। সুঠামদেহী লম্বাটে পুরুষটির ধূসর রঙের চোখ জোড়া তাকে শাশাচ্ছে না যেতে!রিদি দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাত ছাড়িয়ে কলেজ ব্যাগ বুকে চেপে ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল।ঠিক তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে মনজু মিয়া নামক এক পালোয়ান! যাকে চাচু কোথাথেকে তুলে এনে তার বডিগার্ড করে রেখেছে কয়েকদিন যাবৎ হলো।
হসপিটালের জমিটা রিদির সহমতে হসপিটাল তৈরির জন্য কাগজে কলমে লিখে দিয়েছে রিদি। জানেনা কিভাবে? কিন্তু মির সকল প্রকার ফরমালেটি পূরন করে জমিটার সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক করে রিদির সই নিয়েছে।এতে রুপেস মির্জা অনেক ঝামেলার সৃষ্টি করলেও রিদির বর্তমান গার্ডিয়ান না হওয়াই আইনগত দিক থেকে তিনি কোন স্টেপ নিতে পারেন নি।তবে রিদির প্রতি তার আক্রোশ প্রকাশ পেয়েছে।

রুপেস মির্জা ঐ জমির জন্য টাকা নিয়েছেন পাশের গ্রামের আজাব উদ্দিন এর থেকে। ঐ জমিতে তারা নাকি মল করবে! ফুলতলি গ্রাম আর ৫টা গ্রাম থেকে উন্নত হওয়াই এখানে ব্যবসা ভালো হতো! কিন্তু গ্রামে মলের চেয়ে জরুরি চিকিৎসা।তাই বড় বড় মন্ত্রীদের সাথে মিটিং ও চলে কয়েকদিন যাবৎ।সবাই তখন মল নির্মানের জন্য সহমত দেয় কারন এতে তাদের ইনকাম আছে। কিন্তু হুট করেই আবার সবাই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সহমত দেন।এতেই গজে উঠেন রুপেস মির্জা আর আজাব উদ্দিন।আজাব উদ্দিন রুপেস মির্জা কে হুমকি ধামকি দেয়।তার টাকা সুদে আসলে ফেরত দেয়ার জন্য।নয়তো তিনি কাউকে ছাড়বেন না।
এর ঠিক দুদিন পর রাস্তা পার হওয়ার সময় রিদিকে মারার উদ্দেশ্য ট্রাক পাঠানো হয়।তবে সেদিন রিদি ভাগ্যর জোরে বেঁচে গেছিল। সেদিন রওনাফ মির্জা তুমুল কথা শুনিয়েছিলেন রুপেস মির্জা কে।তার ধারনা সেই রিদিকে মারতে চাইছে।তবে রুপেস সবটা শুনে বলেছিল,

ওরা রিদিকে মেরে ফেলতে দু বার ভাববেও না!কারন জমিটা ওদের চাই!
“ওরা “এই ওরা কারা?? তা বলে নি রুপেস মির্জা।এর দুদিন পর রিদির পরিক্ষার রুটিন ঘোষনা করা হয়।কেউ তাকে বাইরে একা বের হতে দিতে চাইছে না। কিন্তু পরিক্ষা আর রিদির জেদের কাছে হার মেনে বন্ধুর পরামর্শে মজনু নামক একজন পালোয়ান কে রিদিকে কলেজ নিয়ে আসা -যাওয়ার জন্য রাখা হয়।
রিদি না চাইতেও রাজি হয়েছে।তারপর থেকে রিদির আসা যাওয়া হয় মজনু নামক পালোয়ান এর সাথে। নিশ্চুপ মজনু কথা বলতে পারে না।তবে ইশারায় যা বোঝায়।

প্রিয়ার শরিরটা গাড়িতে তুলতেই প্রিয়ার বাবা চেঁচিয়ে উঠলো,
ধরবে না কেউ আমার মাইয়্যারে!ওর শরীর আর কাটা ছেঁড়া করবা না তোমরা!নাই!নাই এই দেশে আইন নাই!এই দেশের পুলিশ একেকটা ঘরে চুরি পড়ে বসে থাকা বৌ লাগে!
আমি কতোই না কইলাম!আমি কতোই না কইলাম রে স্যার আমার ম্যাইয়্যা ডারে খুঁইজা দেন!তহন খুঁজলেই আমার ম্যাইয়্যা বাইচ্চা থাকত।
রিদি বাবা মায়ের এমন আহাজারি কান্না দেখে মজনু কে উপেক্ষা করে এগিয়ে গেল ওদের কাছে!
আঙ্কেল!! আপনার কি কাউকে সন্দেহ হচ্ছে?
এহন আর কইয়্যা কি হবো!!
মানে আপনি জানেন এসব কে করেছে?

মুই জানি না!তই প্রিয়া কইছিলি চেয়ারম্যানের পোলা ওরে বাজে বাজে কথা কই!আমি বিচার নিয়া গেছিলাম চেয়ারম্যানের কাছে তাই হের পোলা আমাকে হুমকি দিয়াছিল।
কি বলেছিল??
কইছিল………
রিদিতা!!!
আচমকা ডাকে রিদি ঘুরে দাঁড়ায়! রায়ান চপল পায়ে এগিয়ে আসে রিদির দিকে!রিদি কিছু বলার আগেই রায়ান হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে ভির ঠেলে।
তুই এখানে কি করছিস???
ভাইয়া! ভাইয়া আমি ওকে চিনি! আমার সাথেই পড়ত!
দেখ রিদু আমি জানি তুই এসব প্রথম দেখছিস কিন্তু বাংলাদেশে এসব অহরহ ঘটছে। কিন্তু আফসোস এদের থামানোর কেউ নেই!
কেন নেই ভাইয়া! চেয়ারম্যানের ছেলের চরিত্র সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানে তবে!!
পাশ্ববর্তী গ্রাম ওটা রিদু! তাছাড়া আজাব উদ্দিন এর ভাই নাকি কোন মন্ত্রী!!
তো!!!

তুই পাওয়ার এর খেলা বুঝবি না রিদু!
পাওয়ার!! ক্ষমতা!! একটা মেয়ের জীবন শেষ করে দিল ভাইয়া!
রায়ান কিছু বলার আগেই হুরহুর করে প্রবেশ করল একটা গাড়ি!আজাব উদ্দিন গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সাথে কথা বলতে এগিয়ে গেল। রায়ানের ফোনে কল আসায় রায়ান কল ধরে কথা বলতে কিছুটা দূরে সরে গেল।
এদিকে আজাব উদ্দিন এলো মিনিট দুয়েক পর আহাজারি করতে থাকা অসহায় বাপ মায়ের দিকে!
আহা আব্বাস!এইডা কি হইলো??কোন শয়তানে এই কামডা করল??
আব্বাসের চোখে তখন এক অসহায়ত্ব ঘেরা।রিদি দেখল সেই অসহায় চোখের পানি।আজাব উদ্দিন ফিসফিসিয়ে আরো কিছু বলল তাতেই আব্বাসের চোখে ভয়ের আভাস টের পেল রিদি।কান্নারত ভয়ার্ত মুখটা অসহায়ের মতো দেখাল।
রিদির দেখার মাঝেই মনে হলো কেউ ওর মাথা সহ শরীর এ কিছু পেঁচিয়ে দিল।চমকে উঠে তাকাল নিজের দিকে।কালো একটা হিজাব ওরনার মতো পেঁচিয়ে দিল কেউ।রিদি চট করেই পাশে তাকাল। মজনু মিয়া নামক সুঠামদেহী লম্বাটে পুরুষ তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।ধূসর চোখ জোড়া বোঝাচ্ছে কিছু।যার অর্থ এখন আমাদের বাসায় যাওয়া উচিত! ইশারায় বোঝালোও তাই!রিদি অবাক হয়!সে কিভাবে এই চোখের ভাষা বুঝতে পারে! ইশারায় বোঝানোর আগেই চোখ যেন কথা বলে তার!

রিদি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
এই হিজাব কোথায় পেলেন??
পুরুষটি উওর করল না।বরং ভাবলেশহীন ভাবে তাকালো রিদির মুখের দিকে।কালো হিজাব ওরনার মতো মাথায় পরিহিত মাস্কের আড়ালে মুখখানা!১ দেখা না গেলেও সে তাকিয়ে আছে।হালকা এলোমেলো চুলগুলা ছড়িয়ে আছে মুখের উপর।কান্নার ফলে ভেজা ঘন পাপড়ি গুলো চোখের সৌন্দর্য অদ্ভুত ভাবেই বাড়িয়েছে।গরমের কারনে কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম গুলো মুক্তোর মত ঝকঝক করছে।
মজনু মিয়া কে উওর করতে না দেখে রিদি তাকালো মজনুর দিকে।এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে বলল,
কি হল লিখুন!!
মজনু লিখল না!বরং আগের মতোই তাকিয়ে রইল দেখে রিদি কি মনে করে চট করেই বলল,
আমি বিবাহিত!
মজনুর তবুও কোন ভাবাবেগ নেই!রিদি এবার কিছুটা অস্বস্তি আর বিরক্ত হয়ে ফিরে তাকাল আব্বাসের দিকে।রিদি এগিয়ে গেল আব্বাসের দিকে। সরাসরিই বলল,

চাচা চলুন যার উপর আপনার সন্দেহ তার নামে এফআইআর দায়ের করবেন!
আব্বাস চমকে উঠে চাইল রিদির দিকে।রিদি আব্বাসের চমকে উঠা দেখে বলল,
প্রিয়া আমার ক্লাসমেট ছিল চাচা!আমি চাই ধষনকারীর কঠিন শাস্তি হোক!
আব্বাস আবারো চমকে উঠল,
না না! আমি কোন এফআইআর দায়ের করব না।আমার আরো এডা মাইয়্যা আছে!
তুমি কেডা মাইয়্যা??এতো জোর করছ ক্যা!হের বেডি হে ভালা কইবো!!
রিদি আজাব উদ্দিন এর কথা না শুনার ভান করে বলল,
চাচা অন্যায় সহ্য করবেন??আপনার নিষ্পাপ মেয়েটা কোন ন্যায় পাবে না?
এই ম্যাইয়্যা কেডা তুই?এতো কতা কস ক্যান??এই ব্যাটা এই ম্যাইয়া কেডা??
পাশ থেকে কেউ একজন বলল,
ফুলতলি গ্রামের চেয়ারম্যান এর ম্যাইয়্যা!খাড়াই আছেন জমিডার উপরে হেডা এই ম্যাইয়ার!!
আজাব উদ্দিন বিশ্রি হাসলেন,
মির্জার ম্যাইয়া!! তুমারে দেখার শখ আছিল।তুমার দেখি মেলা সাহস!এতো সাহস দেখাইয়ো না ম্যাইয়া ফল ভালা হবে না!!

রিদি তেজি কন্ঠে বলল,
নিজেকে নিয়ে ভাবুন!আমার ফল ভালো হবে না খারাপ তা না হয় আমাকেই ভাবতে দিন!
আজাব উদ্দিন বিশ্রি হাসলেন,
তেজও দেখি আছে!
রিদি কথা বাড়ালো না। আব্বাস কে বোঝাতেই আব্বাস ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
এক ম্যাইয়া হারিয়ে আরেকটা হারাতে চাইছি না!
রিদি আব্বাসের ভয় বুঝল।রিদি নিজেকে আরো অসহায় বোধ করল।সে বুঝাতে পারছে না।হয়তো তার বয়সের সাথে এমন কথা শুনে মূল্যয়ন করছে না।তাই বলে কি ন্যায় বিচার পাবে না মেয়েটা!!
আব্বা এই ঝাসি কি রানি কেডা??
আজাব উদ্দিন ছেলের কথায় আড়চোখে তাকালেন ছেলের দিকে,
চেয়ারম্যান মির্জার ম্যাইয়া!
আজিজ কিছুটা অবাক হয়ে বলল,
চেয়ারম্যান কাকার কয়ডা মাইয়্যা? একখান তো মেলায় সুন্দরী।এইডা তো!! বলেই রিদির আপাতমস্তক দেখে বলল চোখ দিয়ে ঝলসে দিবা বুঝি ম্যাইয়া! মুখখানা দেহাও দেখি!
রিদি কটমট দৃষ্টিতে তাকালো আজিজের দিকে।আজিজ কিছুটা অবাক হয়ে বলল,
চোখের তেজেই তো পাগল করে ফেললেন ম্যাডাম।নাম কি?
রিদি কিছু বলার আগেই কেউ বলল,

নাম জেনে আপনার কোন কাজ নাই আজিজ উদ্দিন! নিজের রাস্তা মাপুন!
হুট করে মিরের কথায় আজিজ তাকালো মিরের দিকে।মির হেসে বলল,
পাপের ঘাড়া পূরন করো না আজিজ উদ্দিন।নয়তো একটা পাপেই বিচার বসবে!সে আবার যেমন তেমন বিচার না!এক পাপের বিচারে সোজা উপরে।কাজটা কিন্তু ঠিক করোনি।
কোন প্রমাণ নেই ওকিল সাহেব!!
মির হাসল,
কোথায় যেন শুনেছি বুঝলে আজিজ “পিপিলিকার পাখা গজে মরিবার তরে”
আমি না হয় প্রমাণ ছাড়া বিচার করতে পারবো না।তবে সব আদালতে কিন্তু প্রমান স্বরুপ! কিছু কাগজ লাগে না আজিজ!কিছু আদালত প্রমাণ দেখে না !শুধু রায় ঘোষণা করে!
মির এবার রিদির উদ্দেশ্য বলল,
আপনি প্লিজ বাসায় যান। কাল সবটা ঠিক হয়ে যাবে।
রিদি মিরের দিকে তাকালো,

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ২০

হুট করে এখন তাকে আপনি ডাকায় অবাক হলেও তোয়াক্কা করল না রিদি।ধীর পায়ে হেঁটে চলল মজনুর দিকে।পিছনে ফিরে একবার আব্বাসের দিকে তাকিয়ে আবারো হাঁটতে লাগলো। তার তো কোন ক্ষমতা নেই।থাকলে এখুনি সবার সামনেই কঠিন শাস্তি দিত ঐ ধর্ষক কে! এদিকে আজিজের ঠোঁটে খেলছে বাঁকা হাসি!
মজনু রিদিকে এগিয়ে যেতে দেখে সে আড়চোখে তাকালো মিরের দিকে। চোখে চোখে কথা হলো কি??কি জানি!!এরপর চুপচাপ ভদ্রলোক এর মতো হেটে যেতে থাকল রিদির পিছু পিছু।

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ২২