আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৪৯
ইশিকা ইসলাম ইশা
কানাডার শহরে তখন বাজে সকাল ৯ টা।রিদি সবেই গোসল করে ভেজা চুল কোনমতে শুকিয়েছে।তীব্রর পাগলামিতে সায় দিয়ে দেরি হয়েছে অনেকক্ষণ। সকালের নাস্তা করতে হবে।যদিও তীব্র তাকে মানা করেছে রান্না করার জন্য। রান্না তার করা লাগবে না। রান্না করার লোক আছে। তবুও রিদি রান্না করার জন্য নিচে নামতেই অবাক হয়ে গেল ।যেহেতু তীব্রর এই বাসা ইউনিক স্টাইলে করা তাই কিচেন থেকে বসার ঘর অব্দি সব দেখা যায়।সিড়ি বেয়ে নিচে নামতেই উন্মুক্ত কিচেনে নজর এলো এক সুন্দরী রমণীকে।পড়নে টপস সাথে ঢিলা প্লাজু।সে সুন্দরী রমনী হলো রুপালি।রুপ কে এখানে দেখে চমকে উঠল রিদি।
রুপ কে দেখেই সেদিন রুপের সুইসাইড করার ঘটনা মনে পড়ল।তারপর একে একে সবাই তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, সবার কটু কথা। রুপের সুইসাইড করার জন্য তাকে দায়ী করা। সবটাই চোখের সামনে ভাসছে।
এদিকে রুপ কিচেন থেকে রিদিকে দেখে থমকে গেল ।রিদির পড়নে লাল একটা সুতির কাজ করা শাড়ি।হাতে চকচক করছে ডাইমন্ডের বালা।কানে সিমপল ডায়মন্ডের ছোট ঝুমকা।নাকে জ্বলজ্বল করছে বিবাহিত মেয়েদের চিহ্ন ! নাকফুল।সদ্য গোসল করেছে হয়তো ফলে দেখতে স্নিগ্ধ লাগছে। নতুন বিবাহিত মেয়েদের মতোই আজ সেজেছে রিদি।সকালে তীব্র ই রিদিকে বলেছিল ড্রয়ারে কিছু গয়না আছে ইচ্ছে করলে পড়তে। কিন্তু নাকফুল মাস্ট যেন পড়ে।রিদি তো ড্রয়ার খুলে অবাক ই হয়েছিল।দুটো বক্স ভতি নোসপিন। বিভিন্ন ডিজাইনের সোনার আর হিরার সবগুলো। এছাড়াও বেশ কিছু ঝুমকা,আর চুড়ি।রিদি যদিও কনফিউজড ছিল কোনটা পড়বে কিন্তু তীব্র এসে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বাছাই করে দিয়েছে।
রুপ রিদিকে দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“”গোটা এক জীবন ও যদি অফসোস করে তবুও কি তীব্র কে সে পাবে??পাবে না।
রিদিতা এইখানে এসো! ওখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন??
রিদি রুপের কথায় অবাক হয়ে গেল।সে ভাবেনি রুপ তার সাথে নরমালি কথা বলবে।রিদি এগিয়ে এসে বলল,
কখন এলে আপু??
কাল রাতে!
ওহহহ!!রিদি কিছু বলতে চেয়েও বেশি কিছু বলল না।
এদিকে রিদি এগিয়ে আসতেই প্যান এ ঘুরানো রুপের হাত থেমে গেল। বিষাক্ত ব্যাথায় চিনচিন করে উঠল বুকের ভেতর।রিদির গলায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে তীব্রর দেওয়া ভালোবাসার চিহ্ন। যদিও রিদি শাড়ির আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আঁচল সরে ফুটে উঠেছে ভালবাসার চিহ্ন।রুপ শুকনো ঢোক গিলে বারবার নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
ভালো হয়েছে রিদি তুমি এসেছ। আসলে আমি তেমন রান্না পারি না।তুমি করো না হয় বাকিটা।
রিদি কিছু বলার আগেই রুপ তাড়াহুড়ো করে চলে যেতেই তীর আর মির উপস্থিত হল ড্রয়িং রুমে।হয়তো বাইরে কোথাও গেছিল।রিদি রুপের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল।মির একপলক রিদিকে দেখে সোফায় শরীর এলিয়ে বসলেও তীর ফুল এনার্জি নিয়ে হাজির হলো রিদির সামনে।
বাহ বাহ!! বাংলাদেশের নববধূ!!পুরাই মাশাআল্লাহ পিচ্চি ভাবি!
তীরের কথায় রিদি মুচকি হাসল।দুদিনে রিদি বুঝে গেছে তীরের মতো হাস্যোজ্জ্বল মানুষ খুব কমই হয়।
তাই রিদিও কথায় তাল মিলিয়ে বলল,
ধন্যবাদ ভাইয়া।কি খাবেন বলুন!!
আপনি যা বানাবেন তাই ই খাব!এই মির আলী তুই কিছু খাইতি নাহি??
এক কাপ কফি!
সালা আমার! তোরে খাওনের কথা জিগাইছে পিওনের কথা না!
এর মাঝেই তীব্র এসে বসল সোফায়।কিচেনে রিদিকে দেখে ভু কুঁচকে তাকাল সেদিকে।শাড়ি,গয়না, কিচেন আর বৌ। কম্বিনেশন বেশ লাগছে তার কাছে। এদিকে তীর তীব্র কে দেখেই ধপ করে সোফায় বসে বলল,
এমনে তাকাস ক্যান?? একটাই তো পিচ্চি ভাবি বদনজর লাগবে!
তীব্র তীরের কথায় বিরক্ত হয়ে বলল,
তোর কোন কাজ নেই??
তীর মুখ ফুলিয়ে বলল,
না!আজ একটা বৌ নাই বলে তোর মতো কাজ করতে পারছি না!বৌ কে গিলে খাওয়াও তো একটা কাজ!তাই না মির!!
সালা আমাকে বলছিস কেন?
তীর ইনোসেন্ট মুখ করে বলল,
ওহহ সরি তুইও তো সিঙ্গেলসসস!
তীব্র এদের কান্ড দেখে বিরক্ত হয়ে বলল,
সমস্যা কি তোদের??
আমার কোনো সমস্যা নেই এটারে বল!!অযথা ফালতু!!
এইটা কিন্তু ঠিক না সালাবাবু।তোমরা আমার সালাবাবুকে এভাবে বলতে পারো না।ওর সিস্টেমে কোন সমস্যা নেই।
নাফিসের কথায় সবাই তাকালো সদর দরজায়।নাফিস আর রাইমা সাথে কোলে একটা তুলতুলে বাচ্চা। তীর রাইমা কে দেখে অবাক হয়ে বলল,
দুলাভাই!!আমরা তো আপনাকে ছোটখাটো একটা রাম ছাগল পালতে দিছিলাম হাতির মতো দেখত এডা কেডাই!!
রাইমা তেড়ে এসে কটমট করে বলল,
ইতর কোথাকার!!মির ঠিক বলেছে অযথা ফালতু একটা!আমি বুঝি না !! তীব্র এই ছাগল কে কিভাবে সহ্য করে!!
তীর অবাক হওয়ার ভান ধরে বলল,
তুই কি আমাকে ইনডাইরেক্টলি অপমান করছিস রাম ছাগল!!!
মির কথার মাঝে ফোড়ন কেটে বলল,
তোকে ডায়রেক্ট ই অপমান করেছে।
নাফিস এদের ঝগরা দেখে হাসল। এবার তাকালো তীব্রর দিকে। তীব্র কে কিচেনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সেদিকে তাকাতেই চমকে উঠলো।চট করেই বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেল। তীব্র একপলক নাফিসের চমকে যাওয়া মুখখানা দেখে আবারো ভাবলেশহীন ভাবে রিদির দিকে তাকালো।
থাক রুহ কাঁদে না বোনু!আমি ভাইয়া আছি তো!
রুহ!!!তুমি রিদিতাকে রুহ বলছো কেন??আর রিদিতাই বা তোমাকে দেখে কাঁদছে কেন?
নাফিস মিষ্টি হেসে বলল,
রুহ নাফিসার বন্ধু।আমার ছোটো আরো একটা বোন রাই।
কিন্তু ওর নাম তো রিদিতা মির্জা!
নাফিস রিদির মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
ওর পুরো নাম”” রুহনিয়া বিনতে রিদিতা””।নাফিসের বলা নাম শুনে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখল রিদিকে।
নাফিস আবারো বলতে শুরু করল,
নাফিসা আর আমি ওকে রুহ বলেই ডাকতাম।সেই ছোট্ট থেকে নাফিসার সাথে ওর পরিচয়।দুইজনেই তখন সবেই স্কুলে ভর্তি হয়েছে।তখন থেকেই দুইজনে ভালো বন্ধু। একদম বোনের মতো।দুইজনে একদম একে অপরের কাছছাড়া হতো না স্কুলে।নাফিসা আমার কাছে যেমন আদরের রুহ ও তেমনি আদরের।
মানে নাফিসা যে মাঝে মাঝে রুহুর কথা বলত!সেই রুহ আসলে রিদিতা।
হুম।রুহ ই রিদিতা….
রিদি কাঁদতে কাঁদতে বলল,
তোমরা খুব পঁচা ভাইয়া!সেদিনের পর আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করো নি।নাফুও আমাকে ভুলে গেছে।জানো তোমাদের বাসায় লুকিয়ে লুকিয়ে কতো গেছি। কিন্তু সবাই বলতো তোমরা নাকি সব বিক্রি করে চলে গেছ।
নাফিস ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
বিশ্বাস কর বোনু!আমি সব বিক্রি করার আগে গেছিলাম তোর সাথে দেখা করতে।নাফু ও গেছিল আমার সাথে! কিন্তু…..
কিন্তু কি ভাইয়া!!তাহলে আমার সাথে দেখা করো নি কেন?নাফু ও আমার সাথে দেখা করেনি।জানো আমি ভেবেছিলাম ঐ গুন্ডা তোমাদের মেরে ফেলেছে!! পঁচা গুন্ডা গুলো আমাকে জানো কতো জোরেই না ধমকেছে আবার মেরে ফেলতেও বলেছিল!
তাই বুঝি!!
(বলেই আড়চোখে তাকাল তীব্রর দিকে। তীব্র চুপচাপ বসে একনজরে বৌ কে দেখে যাচ্ছে)
হুম…. পঁচা গুন্ডা ছিল!
জানো আমি তখন কতোই না ভয় পেয়েছিলাম।তুমি কেন আমাকে নাফুর সাথে দেখা করাও নি বলো বলো…..
নাফিস রিদির কথায় ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
সেদিন আমি আর নাফু গেছিলাম তোদের বাসায়। কিন্তু তোর বাবা আমাদের কে বাড়িতে ঢুকতে দেয় নি।ছোটলোক,গরিব বলে অপমান করেছিল।নাফু সেদিন কতোই আকুতি মিনতি করেছিল। বারবার বলেছিলো আমরা গ্রামের সব বিক্রি করে চলে যাচ্ছি আঙ্কেল।একবার রুহর সাথে দেখা করতে দিন। কিন্তু ওনি দেয় নি।বলেছিল রুহনিয়া বলতে এখানে কেউ থাকে না।নাফু সেদিন বাসায় এসেও অনেক কান্নাকাটি করেছিলো।তাছাড়া তুই তো জানিস ই ৫ গ্রামে মিলে তোর বাবার ক্ষমতা তখন অনেক।তাই আমি চেয়েও আর তোর সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। তবে মাঝে মাঝে নাফু যখন মন খারাপ করত ওকে তোদের স্কুলের নিয়ে আসতাম। কিন্তু তুই নাকি স্কুলে আসতি না।তোর বাবা নাকি বলেছে তুই শুধু পরিক্ষার সময় পরিক্ষা দিতেই আসবি ক্লাস করতে আসবি না।
তবুও একদিন পরিক্ষার সময় আমি নাফুকে নিয়ে গেছিলাম স্কুলে।তখন তোর বোনকে দেখছিলাম সেও হয়তো পরিক্ষা দিয়ে বের হচ্ছিল তাঁকে তোর কথা জিজ্ঞেস করতেই সে বলেছিল নাফুর জন্যই নাকি তোর পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়েছে।এখন যদি তুই নাফুর সাথে কোন যোগাযোগ করিস তো!তোকে আর কখনো পড়তে দিবে না তোর বাবা।এটা শুনে নাফু আর তোর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি।নাফু বলতো জানিস!
ভাইয়ু রুহর সাথে কোন একদিন ঠিকই দেখা হবে।তবে আমি ভাবিনি এই রুপে, এখানে তোকে দেখব।
সব বুঝলাম কিন্তু এই গুন্ডার ইতিহাস কোথায় থেকে টপকালো!!
তীরের কথায় নাফিস আড়চোখে আবারো তাকালো তীব্রর দিকে। তীব্র ভাবলেশহীন তখনো তাকিয়ে দেখছে রিদিকে।যেন দুনিয়ার একমাত্র কাজ বৌ কে দেখা।বৌ ছাড়া দুনিয়াতে আর কিছুই নেই।
এদিকে তীব্র বৌ কে দেখছে খুব মনোযোগ সহকারে। লক্ষ্য করছে বৌয়ের প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি।
কান্না করে বারবার যখন চোখ মুচছে হাতে চিকন দুখানা চুড়ি একে অপরের সাথে সংঘর্ষ লেগে ঝিনঝিন আওয়াজ তুলছে।ঘনকালো ভেজা পাপড়িযুগল যখন ঝাপটাছে তখন ভেজা ভেজা পাপড়ি থেকে যেন মুক্ত দানা ঝরছে। তীব্র রিদির ছোট ছোট বিষয় গুলো মনোযোগ সহকারে দেখছে।এই যে বৌ তার কান্না করে ভাসাচ্ছে তাতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হচ্ছে না। বরং ঐ কাঁদো কাঁদো মুখখানা তাকে আকৃষ্ট করছে। ইচ্ছে করছে ছুয়ে দিতে…….
রাইমা ফট করেই বলল,
যদি তুমি রুহ হও তবে সেদিন যে মারতে চেয়েছিল সে….. মানে আরকি ভয়……রাইমাও আড়চোখে তাকালো তীব্রর দিকে।মানে কি তীব্র রিদিকে আগে দেখেছে!!
তীর ভাবুক হয়ে বেশ কিছুক্ষণ ঘটনাটা ঘেটে ঘেটে ভাবতে বসল। পরক্ষনেই চেঁচিয়ে উঠলো,
কিহহহ?? মানে আমি যা ভাবছি তাই কি সঠিক!!!
রিদি তীরের চেচানোতে চমকে উঠে বললো,
কি হয়ছে ভাইয়া??
তীর ঝরের গতিতে ছুটে এলো তীব্রর সামনে।তীব্রর গম্ভীর চোখমুখ পর্যবেক্ষণ করে বলল,
পিচ্চি ভাবী!!আপনি চাইলে ঐ পঁচা গুন্ডা কে আজ এবং এখুনি ডাউনলোড করতে পারি! তীরের নজর আর ধনুকের তীর একবার বের হলে একদম সঠিক জায়গায় নিশানা ভেদ করে পিচ্চি ভাবি।
তীরের কথায় সবাই বেশ উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে তীরের দিকে।সবার শোরগোল শুনে রুপ ও বেরিয়ে এসেছে।তবে সবাই কে এমন উৎসুক হয়ে তীরের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে কিছুট অবাক হলো।
রিদি কান্নাভেজা মুখটা দুহাতে মুছে তীরের দিকে তাকিয়ে বলল,
আপনি ঐ পঁচা গুন্ডা কে চিনেন ভাইয়া??
তীর ভাব খানা নিয়ে বলল,
চিনি মানে!!আলবাদ চিনি!!
রিদি তীরের কথায় কিছু বলার আগেই তীব্র সবাই উৎকণ্ঠা উপেক্ষা করে ডাক দিল রিদিকে,
এই বৌ……
তীব্রর ডাকে রিদি এতক্ষণ পর তাকালো তীব্রর দিকে।নয়তো সকালের পর লজ্জায় আর তীব্রর দিকে তাকায় নি।তীব্রর পড়নে ফুলহাতা সাদা শার্ট কালো প্যান্ট।হাতে সিলভার রঙের ব্যান্ডের ঘড়ি। কপালে পড়া চুলগুলো বেশ লাগছে দেখতে।
এই বৌ….এদিকে আসেন তো!!!
রিদি হচকচিয়ে সবার দিকে একবার তাকিয়ে গুটি গুটি পায়ে তীব্রর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই তীর লাফ দিয়ে রিদির কাছে এসে বলল,
যাবেন না পিচ্চি ভাবি!ঐ পঁচা গুন্ডার কাছে! সালা তোমার আমি বুঝলে বাছাধন। খবরদার যদি পিচ্চি ভাবিকে বকাঝকা করেছিস তো আমিও কিন্তু কুংফু জানি!
রিদি চমকে তাকালো তীরের দিকে।তীরের কথার অর্থ বুঝতেই ভয়ে গলা শুকিয়ে এলো।
এদিকে তীব্র বিরক্ত হয়ে বলল,
বাল শুরু করেছিস?সর সামনে থেকে।
উহু!সরা যাবে না!
তীব্র চরম বিরক্ত হয়ে বলল,
ইডিয়ট!!আমার বৌ কে সাইড দে!!
সবাই বেশ উৎসুক হয়ে তাকিয়ে থাকলেও রুপ কোথাও না কোথাও এখনো মানতে পারছে না রিদি তীব্র চৌধুরীর বৌ।আর তীব্র নাকি ওকে বৌয়ের দরজা দিয়েছে।ভালোবাসে পাগলের মত।
এদিকে রিদি ভয়ে শুকনো ঢোক গিলছে বারবার।মানে তীব্র যদি সেই পঁচা গুন্ডা হয় তবে তো আজ সে ফিনিশড।তীর তীব্র কে মনে মনে কয়েকটা বকাঝকা নরম সুরে বলল,
দেখ ভাই আমার।এতে ভাবির কি দোষ? প্লিজ কিছু বলিস না। বাচ্চা মেয়ে একটা।তোকে সল্পস্বরে একটু গুন্ডায় বলেছে।বেশি বড় অপমান করে নি।
আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৪৮
রিদির না আসায় তীব্র রেগে উঠে দাড়াতেই সবাই খানিকটা ভয় পেয়ে গেল। তীব্র রিদিকে টেনে সামনে আনতেই রিদি চোখমুখ খিচে বন্ধ করে নিল।ভয়ে পা হাত মৃদু কাঁপছে।সাথে কম্পিত ঠোঁট জোড়াও সমান তালে নড়ছে। তীব্র আচমকাই ফুলের টব তুলে ছুড়ে মারল দেওয়াল বরাবর।