আমার প্রেমিক ধ্রুব পর্ব ৩৫

আমার প্রেমিক ধ্রুব পর্ব ৩৫
অবন্তিকা তৃপ্তি

তৃণা সাজানো শেষে অদিতির কাঁধে থুতনি রেখে ওকে জড়িয়ে ধরে আয়নায় ওর দিকে তাকায়; হেসে মজা করে বলে ———-‘ধ্রুব কিন্তু সাজগোজ তেমন একটা পছন্দ করেনা। মানে ভারি মেকআপ আরকি! ওর বাবাও তেমন। কিন্তু আমি মেকআপ করি নিজের মর্জিতে; ঐক্ষেত্রে সৌরভের মত আমার বেলায় খাটেনা। তবে আশা করি তুমি আমার মতো নও! ধ্রুব যা বলে; আমার কাছে মনে হয় তুমি সেটাই মানো। রাইট?’
অদিতি লজ্জায় মাথাটা নামিয়ে নিল। তৃণা হেসে সরে গেল; একটা চেয়ার টেনে বসে অদিতির দিকে চেয়ে বললো

———‘আমি ওর সৎ মা হলেও ধ্রুবর ব্যাপারে আমি অনেক কিছু জানি! সবটাই ওর বাবার জন্যে। সেই জ্ঞ‍্যান থেকে বলি— ধ্রুব বাসর ঘরে ঢোকার জন্যে অস্থির হয়ে আছে। খবর নিয়ে এলাম আমি।’
অদিতির বুক কেপে উঠলো মুহূর্তেই। আজ ওরা একসঙ্গে; এক ঘরে; এক বেডে শোবে! ধ্রুব এমনিতেও যা অসভ্য; আজ কিভাবে সামলাবে নিজেকে! অদিতির সেসব ভেবে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে!
অদিতির সেসব ভেবে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে! ও পুনরায় আয়নায় নিজের দিকে তাকাল। সারা অঙ্গে বেনারসিটা; অলংকার যেন স্পষ্ট বলে দিচ্ছে— আমি অদিতি হায়াত; দ্য ওয়াইফ অব ধ্রুব ইয়ামিন!
ধ্রুবকে মেহমানদারি করে খাওয়ানো হচ্ছে! বাড়ির নতুন জামাই এর মেহমানদারির কোনো কমতি রাখেননি তোফাজ্জল! মেয়ের বিয়েতে সবটুকু জান যেন হাজির তার!

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ওদিকে খাবার টেবিলে বসে সৌরভ আর তোফাজ্জলের গল্পই যেন শেষ হচ্ছে না আজ! সৌরভ বলে যাচ্ছেন— কিছুদিন আগের কেইসের আদ্যপান্ত! কেমন করে বিরোধী দলের এক চক্রান্তে ফেসে গেছিলেন সৌরভ। তোফাজ্জল শুনে যাচ্ছেন নীরব শ্রোতার মতো করে সবটুকু কথা। সৌরভের কথার মধ্যেই বারবার; আড়চোখে তোফাজ্জল ধ্রুবর দিকে তাকাচ্ছেন। সৌরভ যা বলেছে এজে; তাতে তোফাজ্জল একপ্রকার বাধ্য হয়েছেন পাত্রপক্ষকে কল করে মানা করে; ধ্রুবর সঙ্গে বিয়েটা দিতে। ধ্রুব ইয়ামিন; কথা-বার্তায় কেমন গম্ভীর; কাঠখাট্টা! লম্বায় উনার মেয়ের থেকে অনেক উচুই! তোফাজ্জল ভাবেন- কতটা চতুর হলে সৌরভ এমন একটা ফন্দি আঁটতে পারে! ধ্রুব যেদিন জানবে; হয়তোবা বাবার উপর খুশি না হয়ে উল্টো রাগ-ই দেখাবি। ওসব কথা থাক আজ; বিয়েটা তো হয়েছেই! বাপ-ছেলে শান্তি থাকুক এবার!

ওদিকে ওদের গল্পের কারণে ধ্রুব; ওর বন্ধুরা বড়ই বিরক্ত! কানের পোকা অবধি এরা নাড়িয়ে দিচ্ছে! ওদিকে বাসর ঘরে ঢোকার জন্য ধ্রুবর প্রাণ যায়যায় অবস্থা! এখন অবধি বউ সাজে অদিতিকে দেখা হয়নি। শক্ত করে ওই মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরার জন্য হাত নিশপিশ করছে রীতিমতো!
ধ্রুব দ্রুত খাবার খাওয়া শেষ করছে! বড় বড় লোকমা তুলছে পোলাউর! ইমন পাশেই বসা ছিলো; আড়চোখে সেটা দেখে ও কিছুটা ঝুঁকে ধ্রুবর কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বললো—— ‘ভাই;, আস্তে! নির্লজ্জের মতো কাজ করিস না, তোর শ্বশুর বারবার তোর দিকেই কিন্তু তাকাচ্ছেন! উনার মেয়ে হয় ভাই তোর বৌ-টা!’
ধ্রুব সেটা শুনে খাওয়া থামিয়ে আঁড়চোখে তোফাজ্জলের দিকে তাকাল! তোফাজ্জল ওর দিকেই চেয়ে আছে; ধ্রুব তাকাতেই উনি চোখ সরিয়ে নিলেন! ধ্রুব এটা দেখে মুহূর্তেই অতি মাত্রায় ভদ্র হয়ে গেল, আস্তে করে ভদ্র ছেলেটির ন্যায় আস্তে করে বিরিয়ানি মাখতে লাগলো হাতে! যেন এ তল্লাটে তোফাজ্জল হায়াতের জামাতার মতো কোনো ভদ্র ছেলে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ!

অতঃপর; হাজার বছর অপেক্ষার শেষে বাসর রাতে ধ্রুব যখন নিয়ম শেষে রুমে ঢুকে, অদিতি তখন লজ্জায়-অস্বস্তিতে মূর্ছা যাবার পথে। গুটিশুটি মেরে পালং-এর উপর বসে আছে! ধ্রুব রুমে ঢুকে সিটকিনি তুলে দিতেই অদিতি আড়চোখে তাকালো! ধ্রুব সাদা রঙের শেরওয়ানি পরেছে আজ! শেরওয়ানির হাতা-টাও আজ ফোল্ড করে কনুই অব্দি তুলে রাখা। বুকের উপরের দুটো বোতাম রুমে ঢুকেই খুলে দিয়েছে ধ্রুব! ওভাবেই কি অসম্ভব হ্যান্ডসাম লাগছে ওকে! অদিতি নির্লজ্জের মতো তাকিয়েই রইল!
ধ্রুব সিটকিনি আটকে; ওভাবেই দরজায় হেলান দিয়ে কোমর বাকিয়ে দাড়িয়ে গেল। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ফুলে সজ্জিত বিছানায় বসে থাকা তার বধূ অদিতির দিকে। অদিতি ওই দৃষ্টিতে কুকড়ে গেল যেন! বহু লজ্জা-সঙ্কোচ ঠেলে ধীর পায়ে উঠে দাঁড়ালো বিছানা থেকে সালাম করবে বলে!

কিন্তু ও উঠে দাঁড়াতেই, ধ্রুব এক দৌড়ে এসে আচমকা অদিতিকে জড়িয়ে ধরলো। রীতিমতো চমকে উঠল অদিতি! আচমকা টাল সামলাতে না পেরে দু’পা পিছিয়েও গেল! বিছানার উপর পড়তে পড়তে গিয়ে বাঁচল! ধ্রুব অদিতির ঘাড়ে ছোট্ট চুমু খেয়ে অনেকটাই শক্ত করে মেয়েটার পিঠ চেপে নিজের সঙ্গে মিশিয়ে নিল। অতোটা শক্ত বাঁধনে অদিতির কষ্ট হলো; ব্যথাও হলো! তবুও ও দুহাতে আগলে নিলো নিজের অতি আকাঙ্ক্ষিত স্বামী-টিকে! দুহাতে ধ্রুবর পিঠ জড়িয়ে ধরতেই কাঁধে জলের অনুভব পেল।
ধ্রুব কাঁদছে? অদিতি জমে গেল যেন! ও অস্ফুটে বলার চেষ্টা করল——‘ধ্রু-ধ্রুব? আপনি কাঁদছে—-‘

বলে শেষ করার আগে; ধ্রুব আবারো আগের চেয়ে আরও শক্ত করে অদিতির পিঠ চেপে ধরে; মিশিয়ে নিলো নিজের বুকের ভেতর! যেন মেয়েটাকে পিষে ফেলতে চাইছে নিজের মধ্যে। অদিতি —-‘আহ!’ বলে গুঙিয়ে উঠল! ধ্রুব এখন নিজের মধ্যে নেই। বহু সাধনার পরে সে অদিতিকে পেয়েছে! নিজের বুকের মধ্যে বয়ে চলা ঝড় কিছুতেই আজ শান্ত হচ্ছে না! অদিতিকে পেয়েছে ও! এখন অদিতিকে হারিয়ে ফেলার ভয় আর তার থাকবে না; কেউ অদিতিকে ধ্রুব এর থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। ব্রেকআপের ভয় পেতে হবে না ধ্রুবর প্রতিনিয়ত! অদিতি ওর; শুধু এবং শুধুমাত্রই ধ্রুব ইয়ামিনের! এই খুশি; এই আনন্দ কাকে বোঝাবে ধ্রুব; কাকে বলবে যে- ধ্রুবর বুকের ভেতরে কি বইছে; কোন আনন্দে ছটফট করছে ওর হৃদয়!

ধ্রুব অদিতির ঘাড়ে চুমু খেয়ে বুঝিয়ে দিল ওই বেপরোয়া-ছটফটে অনুভূতি-টুকু! লজ্জায়; শিহরনে চোখ বুজে, ঘাড় সঙ্কুচিত করে ফেলল অদিতি!
ধ্রুব অনেকক্ষণ পর সরে গেল! ওর চোখ-দুটো ভয়াবহ লাল হয়ে আছে! যেন অনেক কেঁদে এসেছে। অদিতি তাকিয়ে রইলো ধ্রুবর মুখপানে! ধ্রুব চোখ ডলছে অন্যদিকে চেয়ে! দেখাতে চাইছে না অদিতিকে নিজের কান্না! অদিতি শুধু চেয়েই রইল; কিছু বলার ভাষা নেই ওর!
ধ্রুব তাকালো; অদিতির সরল মুখটার দিকে চেয়ে কম্পিত গলায় স্রেফ বলল——-‘ফ্রম নাও; উই আর ম্যারেড; রাইট?’
অদিতি শুধু মাথা হেলালো; ধ্রুবর পাগলামি দেখতে লাগল নিঃশব্দে! ধ্রুব হাসার চেষ্টা করলো! ওর চোখ তখনও টলমলে!

ধ্রুবর খসখসে কপাল; ওর ঝাকরা চুল আজ হঠাৎ করেই বড্ড টানছিল অদিতিকে! অদিতির বহু কালের ইচ্ছে; ধ্রুবর কপালে চুমু খাওয়ার! যখনই ধ্রুব ওর সামনে হেলমেট খুলত; ওর ঝাকরা চুল এলোমেলো হয়ে ছড়িয়ে পড়তো কপালে! ওইসময়টাই অদিতির ইচ্ছে হতো চুমু খেতে ওই কপালে!
তারপর যখন; ধ্রুব হাসার সময় ওর সামনে কপালের একপাশ চুলকাতে থাকে; অদিতি তখনও ইচ্ছে হতো গাল চেপে ওই ছেলেটার কপালে ঠোঁট বসাক!
এতদিন অদিতি নিজেকে আটকেছে! আজও কি আটকানো লাগবে নিজেকে? লজ্জায় কি এজীবনে ধ্রুবকে বলা হবে;

——‘ ধ্রুব;আমাকে কি আপনার কপালে একটা চুমু খেতে দিবেন? শুধু একটা চুমু?’
মিসেস ধ্রুব ইয়ামিনের সে কথা মুখ ফুটে বলাও লাগল না! হয়তো মিস্টার ধ্রুব ইয়ামিন সেটা বুঝলেন! ধ্রুব অদিতির দিকে ঝুঁকে এসে; নিজের কপাল এগিয়ে দিলো! স্বাভাবিক গলায় বলল——‘ ওয়ানা কিস মি? অ্যা ফরহেড কিস?’
অদিতি তাকিয়েই রইল, ঢোক গিলে! লজ্জায় এগুচ্ছে না! মাথাটা নামিয়ে নিল ও! ধ্রুব তাড়া দেখিয়ে আবার বলল—— ‘বি ফাস্ট! কিসিং হারাম নয় আমাদের জন্যে! সো কিস মি মিসেস ধ্রুব!’
অদিতি তাকালো মাথা তুলে! ধ্রুব চোখ বুজে; নিচু হয়ে মুখ বাড়িয়ে রেখেছে ওর দিকে! অদিতির লজ্জায় হাসি আসছে! তবুও নিজের লজ্জা-গুলোকে একপেশে করে; মুখ বাড়িয়ে আলতো করে চুমু খেলো ধ্রুবর কপালে!
ধ্রুব আবেশে চোখ বুজে ফেলল! ওর এত শান্তি লাগছে কেন! অদিতির নিজে থেকে করা এটাই প্রথম চুমু! তাই বোধহয় ওতটুকুতে ধ্রুব ইয়ামিনের পোষালো না!

ধ্রুব হাত বাড়িয়ে অদিতির কোমর চেপে ওকে নিজের দিকে আরো টেনে আনল! শ্বাস আটকে এলো এতেই ওর বধূর! ধ্রুব সেসব তোয়াক্কা করল না; বরং চোখ বুজে কণ্ঠে প্রবল ঘোর নিয়ে বলল——‘ফিল আসেনি! প্লিজ; মোর ডিপলি!’
অদিতির কোমরে দুহাত রাখা ধ্রুবর; ওর দিকে নিচু হয়ে বাড়িয়ে রাখা ধ্রুবর মুখ! অদিতির এবার কি হলো? নিজেই নিজের লজ্জা-গুলোকে গলা টি-পে মে-রে; দু’হাতে ধ্রুবর রূক্ষ-খোচা খসখসে গাল চেপে ধরলো! তারপর মুখ বাড়িয়ে ঠোঁট রীতিমত দাবিয়ে দিল ধ্রুবর কপালে!

ধ্রুব বড় করে এক শ্বাস টেনে নিয়ে চোখ বুজে নিল! বাহিরে ঝড়ো বাতাস জানাল ডিঙিয়ে ঘরের ভেতরটাই বইছে! বৈরী এই আবহাওয়া অদিতি হঠাৎ ধ্রুবকে এত কাছে পেয়ে; নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারালো!
কপাল থেকে ঠোঁট সরিয়ে দুহাতে ধ্রুবর মুখ শক্ত করে চেপে ধরে; ধ্রুবর সঙ্গে মিশে গেল! ধ্রুব তাকিয়ে রইলো অদিতির দিকে! অদিতি আজ ওই তাকানোতে লজ্জা পেল না; বরং মুখ এগিয়ে পাগলের মতো চুমু খেলো ওর পুরো মুখ জুড়ে! নাকে, দু’গালে, কানের লতিতে, তারপর ঠোঁটের কিনারায় এসে থেমে; দু’হাতে ধ্রুবর গাল চেপে ধরে রাখা অবস্থায় ডুকরে কেঁদে ফেলল অদিতি!
ধ্রুব এতক্ষণ চোখ-দুটো বুজে অদিতির নিজে থেকে করা চুমু-গুলো উপভোগ করছিল! এমন সময়ে অদিতির কান্নার শব্দে ও ভড়কে গেল! অদিতি ধ্রুবর কপালে কপাল ঠেকিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে! ধ্রুব দু’হাতে ওকে বুকের ভেতর আগলে নিলো——‘হুশ! ডোন্ট ক্রাই! ধ্রুব ইজ ইয়োর্স; টোটালি; কমপ্লিটলি!অ্যাই অদিতি; চোখ খুলো! দেখো, আমরা বাসর ঘরে! বিশ্বাস হচ্ছে না এখনো?’

অদিতি তবুও কেঁদেই যাচ্ছে! ধ্রুব ওকে দু’হাতে পাজকোলে তুলে নিল!কোলে তোলার সময় ধ্রুবর হঠাৎ মনে পরলো; ভার্সিটির একটা দিনের কথা! তখন ধ্রুব নিজেকে আটকে রেখেছিল অদিতির প্রতি ফল করা থেকে! তারপর ঘটে একটা কাণ্ড! অসুস্থ অদিতি জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পরে ভার্সিটিতে! কি দিন ছিলো সেসব!
অদিতির যখন ধ্রুবর শেরওয়ানি মুষ্টিতে পেঁচিয়ে ধরলো ধ্যান ফিরলো ধ্রুবর! ধ্রুব অদিতিকে বুকে আগলে বিছানায় শুইয়ে দিল! অদিতি তখনো ওর গলা ছাড়েনি! ধ্রুব ওর অর্ধেক শরীর ছেড়ে দিল অদিতির গাঁয়ের উপর! তারপর মেয়েটার চুল গুছিয়ে দিতে দিতে বললো———‘হুশ অদিতি! থামো প্লিজ! বাইরে আওয়াজ যাবে! কাঁদছ কেন? আমি তোমার সামনেই; লুক! ই‍্যয়ু আর ম্যাই ওয়াইফ; ম্যাই বিলাভড ওয়াইফ! নিজেকে দেখো; বিয়ের সাজে তুমি! এন্ড লুক এট মি; আমি শেরওয়ানি পরে আছি! ই‍্যয়ুর ফেভরেট কালার; হোয়াইট!’

ধ্রুব অনেকক্ষণ বোঝাল! তারপর অদিতির কান্না থামলো অবশেষে; সেই অনেকক্ষণ পর!
ধ্রুব ওর কান্নার শব্দ থামতে দেখে, আলগোছে ওর ভেজা চোখের উপর চুমু খেয়ে বলল—— ‘ফিলিং বেটার?’
অদিতি ভেজা চোখে মাথা নাড়ল! ধ্রুব মেয়েটার টলমলে চোখ; রক্তিম নাক; ভেজা গাল দেখতে দেখতেই হঠাৎ থামলো! অদিতি তখনো ধ্রুবর গলা জড়িয়ে ধরেছে! ধ্রুব এবার আধার রাতের ন্যায় ফিসফিসিয়ে বলল——‘ক্যান অ্যাই হ্যাভ ইউ?’

অদিতি তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে! ধ্রুবর দুই চোখ অদিতির চোখে; তারপর নাকে; তারপর ঠোঁটে এসে থামলো! সর্বনাশ ঠিক তখনই ঘটল! ধ্রুবর এখন নিজেকে বড্ড তৃষ্ণার্থ মনে হচ্ছে! ওর চোখ তখনো অদিতির ঠোঁটের দিকে তাক করা; ফিসফিসিয়ে আবার বললো —— ‘ক্যান অ্যাই কিস ইউ? নাও?’
অদিতি ঢোক গিলে; জোরে নিঃশ্বাস টানল! ধ্রুব ঘোরের মধ্যে চলে গেছে! ও ধীরে ধীরে; সময় নিয়ে অদিতির ঠোঁটের দিকে এগোচ্ছে! ঠোঁট ঠোঁটে মিলবে, তখন অদিতি ধীর গলায় ডাকলো———‘ধ্রুব?’
ধ্রুব ঘোরে তখনো; ঠোঁটের দিকে এগুতে এগুতে জবাব এলো তার——‘উম?’
অদিতি ফাঁকা ঢোক গিলে বলল——— ‘এ…এখন না এসব!

ধ্রুব শুনছে না যেন! ওর নেশা লেগে গেছে! ঘোরে মাথাটা আর নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই! দুজনের হৃদস্পন্দন এতই দ্রুত আর সশব্দে ছুটছে যে; একজন আরেকজনের হৃদস্পন্দন শুনতে পাচ্ছে!
তারপর ঠোঁটে ঠোঁট যখন প্রায় ছুঁইছুঁই, তখন অদিতি ধ্রুবর ঠোঁট ডান হাত চেপে ধরল! বাধা পেয়ে চোখ খুলে তাকাল ধ্রুব ওর চোখের দিকে! অদিতি কম্পিত গলায়, নিচু স্বরে ফিসফিসাল———‘এ—এ ঘরে না! এসব; ম-মানে আপনি যা চাইছেন স-সেসব আপনার বাড়িতে, আপনার র-রুমে! সবকিছু আমাদের ম-মতো করে আ-আয়োজন করে!’
ধ্রুবর ঠোঁট অদিতির হাত চেপে ধরা; এমন অবস্থাতে ধ্রুব তাকিয়ে রইল অদিতির দিকে। অদিতির ভয়ার্ত; ঘর্মাক্ত চেহারা দেখে; ধ্রুব আলতো করে ডান হাতের তালুতে চুমু খেতেই অদিতির ওর ঠোঁট থেকে হাত সরিয়ে দিল! ধ্রুব সামান্য হেসে; দুষ্টু ইঙ্গিত করে বললো-———‘ওয়ানা ট্রাই ইট ইন অ্যা পারফেক্ট প্লেস?’

অদিতি লজ্জায় পেল, তবুও মাথাটা নিচু করে বলল——‘হুঁ!’
ধ্রুব অন্যপাশে মুখ ঘুরিয়ে সামান্য হেসে তারপর আবারও ফিরে তাকাল অদিতির দিকে! নেশালো চোখ-দুটো; ওর পেটানো দেহের নিচে পরে থাকা অদিতির ঠোঁটের দিকে রেখে, ওর সফ্ট ঠোঁটের কোণ-টুকু ছুয়ে দিতে দিতে চূড়ান্ত ফিসফিস করে বললো——— ‘অ্যাটলিস্ট ওয়ান লিপকিস? প্লিজ?’
অদিতি কিছু বলল না, শুধু তাকিয়ে রইল! ধ্রুব যা বোঝার বুঝে গেল! ও এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে অদিতির উপর থেকে সরে যেতে নিলে হুট করে অদিতি ধ্রুবর শেরওয়ানির কলার চেপে ধরে আটকে দিল। ধ্রুব বাধা পেয়ে মাথাটা ঘুরিয়ে তাকাল! অদিতির চোখ-দুটো নামানো; সেভাবেই দু’আঙুলের মুষ্টিতে খামচে ধরে আছে ধ্রুবর শেরওয়ানি। ধ্রুব মাথা ঘুরিয়ে অদিতির শেরওয়ানি চেপে রাখা হাতের দিকে তাকিয়ে আবার অদিতির দিকে ভ্রু উঁচিয়ে তাকাল!

অদিতি চুপ করে আছে; ওর নিঃশ্বাস এলোমেলো! ধ্রুব অদিতির উপর আবার শুয়ে ভ্রু উঁচালো——— ‘আমি সবসময় সাইলেন্স টক বুঝি না অদিতি। ক্যান ই‍্যয়ু এক্সপ্লেইন…’
বলে শেরওয়ানি থেকে অদিতির হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে নিজের হাতে চেপে ধরে বলল——— ‘ক্যান ই‍্যয়ু এক্সপ্লেইন; এটার মানে এক্সাক্টলি কি?”
অদিতি ঢোক গিলে, মাথাটা সেভাবেই নামিয়ে অন্যপাশে সরিয়ে ফেলল! ঠোঁটে ঠোঁট চেপে; অস্থির শ্বাস ফেলছে! মুখ ফুটে বলতেও পারছে না কিছু! ধ্রুব ধৈর্য্য দেখালো; আবার জিজ্ঞেস করলো——— ‘সরে যাব? না কিস করব? কোনটা?’

অদিতি অন্যপাশে চেয়ে ছিলো! ধ্রুব ওর থুতনি চেপে ওর মুখ নিজের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে; আবার ভ্রু উঁচালো! অদিতি ওই প্রশ্নের উত্তরে অস্ফুট স্বরে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল———‘ক…ক…কি…’
বলার সাথে সাথে ধ্রুবর খসখসে পুরুষালি ঠোঁট চেপে ধরল অদিতির নরম মেয়েলি ঠোঁট! অদিতি চমকে উঠে বড় বড় চোখ করে তাকাল! ধ্রুব চোখ-দুটো বুজে দুহাতে অদিতির গাল চেপে ধরে রেখেছে তখন!
অনুভূতির আচরের জ-খম যখন একের পর এক নিজের ওষ্ঠপুটে পাচ্ছিল; আবেশে অদিতির চোখ-দুটো ধীরে ধীরে বুজে এলো! খামচে ধরল ধ্রুবর বুকের কাছের শেরওয়ানি, মুষ্টিতে পুড়ে মুচড়ে ধরলো সেই অংশ!

মাথায় আপাতত দুজনের কিছুই নেই! ধ্রুবর অস্থির স্পর্শ, গালে স্পর্শ করা ওর গরম হাত! সবটাই অদিতির পুরো সত্তা ভয়ঙ্কর ভাবে নাড়িয়ে দিচ্ছে। ধ্রুবর এক হাত গাল থেকে নেমে অদিতির কোমর ছুলো; নিঃশ্বাস আটকে এলো যেন অদিতির! ধ্রুব চুমু খাওয়া অবস্থাতে; কোমর থেকে এক হাতেই শাড়ির কোমরের সেফটিপিন খুলে ফেলে দিল বিছানার ওপাশে! কোমরের শাড়ি সরে গিয়ে উন্মুক্ত হলো প্রথমবারের মতো অদিতির গাঁয়ের নিষিদ্ধ কোনো অংশ! ধ্রুব সেই নিষিদ্ধ অংশে হাত ছুয়ে দিচ্ছে বেলাজে; অবলীলায়!

অদিতি হাপিয়ে উঠছে! প্রথম চুমু! জীবনের প্রথম চুমু ব্যাপারটা অদিতি নিজের প্রেমিকের সাথেই আস্বাদন করল! ধ্রুব নিজের তৃপ্তি-টুকু মিটিয়ে আস্তে করে সরে গেল! অদিতির চোখ-দুটো তখনো বন্ধ রাখা! হাঁপাচ্ছে ও!ঠোঁটে জখ-ম; রক্তিম! ধ্রুবর ঠোঁটে-চোখে তখনো প্রবল নেশা! ও সেভাবেই অদিতির বন্ধ দু চোখের পাতার দিকে চেয়ে ফিসফিস করে বলল——— ‘মাই ফার্স্ট কিস উইদ ইউ! আই হ্যাভ গিভেন মাই বেস্ট! ইজ ইট গুড; মিসেস ধ্রুব!’
অদিতি লজ্জায় চোখ খুলে; মুখ ঘুরিয়ে ফেলল! অন্যদিকে চেয়ে আছে, শ্বাস-প্রশ্বাস অস্থির; চূড়ান্ত অশান্ত! ধ্রুব অদিতির থুতনি চেপে আবার নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলো! মেয়েটা চোখ তুলে তাকানোর সাহসটুকুও করতে পারছে না সামান্য চুমুর পর।

ধ্রুব অদিতির চুল গুছিয়ে দিল; তারপর ঠোঁটের কোনটুকু ছুঁয়ে দিতে দিতে বললো——— ‘আমার উত্তরটা?’
অদিতি বড় শ্বাস ফেলল; মাথা নাড়াল আস্তে করে! ধ্রুবর এতটুকুতে পোষাল না; বলল——— ‘ইউজ ই‍্যয়ুর ওয়ার্ডস!’
অদিতি অনেকক্ষণ পর নিজেকে স্বাভাবিক করে উত্তর দিল———‘হা-হারিয়ে গে-গেছিলাম মনে হ-হচ্ছিল!’
ধ্রুব নিশব্দে হেসে ফেলল! অদিতি ওই হাসির শব্দে যেন আরও লজ্জায় পড়ে গেল! মুখ ঘুরিয়ে বালিশে মুখ গুঁজে চোখ খিঁচে ফেলল!
ধ্রুব হেসে বালিশে মাথা রাখল! বালিশে মাথা রেখে তারপর অদিতিকে সেভাবেই দেখতে লাগল! অদিতি আর একবারের জন্যও এদিকে তাকাচ্ছে না।
ধ্রুব এবার আর মেয়েটাকে আর লজ্জা দিল না। আলতো করে দুটো হাত বাড়িয়ে বলল——— ‘বুকে আসো?’
অদিতি এলো না, লজ্জায়! ধ্রুব এই নাজুক মেয়েকে নিয়ে করবেটা কী? সামান্য ছোঁয়াতেই এত অস্থির, এত লজ্জা! ধ্রুব এবার অধৈর্য্য হয়ে নিজেই হাত টেনে অদিতিকে বুকের ভেতর নিয়ে নিলো।
অদিতি ধ্রুবর বুকে মাথা রাখল! ধ্রুব ওর এলোমেলো চুল গুছিয়ে দিতে দিতে বলল——— ‘মেবি আমাদের চেঞ্জ করা উচিত! আমি শার্ট-প্যান্ট তো আনিনি!’
অদিতি এবার উঠে বসল; পাক্কা গিন্নির ন্যায় দায়িত্ব নিয়ে বলল———‘আব্বা এনে রেখেছেন! আমার রুমেই রাখা। বের করে দেই?’

ধ্রুব ভ্রু বাঁকাল; এতক্ষণে এই মেয়ের কথা ফুটেছে! ধ্রুবও আর লজ্জা দিল না। নিজেও উঠে বসে বলল——— ‘ইয়াহ প্লিজ! চুলকাচ্ছে এই ড্রেসে!’
অদিতি নিজের শাড়ি সামলে নেমে দাঁড়াল বিছানা থেকে। খুঁজে ধ্রুবর জন্যে শার্ট-জিন্স বের করে দিল; সদ্য কিনে আনা তোয়ালেও দিল! ধ্রুব সেসব হাতে নিয়ে বললো——— ‘তুমি শাওয়ার নেবে?’
অদিতি উত্তর দিল——— ‘হুঁ! আপনি করে আসুন আগে!’
ধ্রুবর ইচ্ছে হলো বলতে— ‘একসঙ্গে শাওয়ার নিলে কি প্রবলেম?’
কিন্তু বলা হলো না আর। সবে বিয়ে হয়েছে। যে মেয়ে ওকে কাল অব্দি হাত ধরা ছাড়া আর কিছু করতে দেয়নি, সেই অদিতির ওর সঙ্গে এসব ব্যাপারে সহজ হতে সময় লাগবে! কিন্তু ধ্রুব ও ছেড়ে দিবে না! সময় যা দেওয়ার দিবে; তবে যেদিন সময় ফুরাবে সেদিন ধ্রুব নিজের সমস্ত বেখেয়ালি ভাবনা-গুলো তুলে ধরবে অদিতির কাছে!বউ ওর; হক তো আছে ধ্রুবর!

ধ্রুব চুপচাপ তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে গেল। অদিতি ততক্ষণে যা মেকআপ ছিল মুছে ফেলেছে, চুলের কিছু ক্লিপ ছিলো; খুলে চুল খোঁপা করেছে। ধ্রুব ততক্ষণে বেরিয়েছে! অদিতি রুমে, তাই ওয়াশরুম থেকে শার্ট-প্যান্ট পরেই বেরিয়েছে।
ধ্রুব বেরিয়ে আসতেই, অদিতি নিজের তোয়ালে নিয়ে ঢুকলো! ধ্রুব আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকাল!
আয়নায় নিজেই নিজেকে দেখে আজ যেন চিনতে পারছে না ধ্রুব! ধ্রুবকে দেখতে আজ হঠাৎই যেন অন্যরকম লাগছে।
ধ্রুব ভ্রু কুঁচকে আয়নায় তাকাল; পরপর নিজেকে ভালো করে দেখতে দেখতে বিড়বিড় করলো——-‘ইয়াহ! দ্য ধ্রুব ইয়ামিন; ফ্রম নাও অ্যা ম্যারিড গায়!’

বলে নিজেই হাসলো ধ্রুব! তারপর পেছন ঘুরে নিজেদের নিউলি ওয়েডেড বাসর সাজানো বেডের দিকে তাকাল! গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে রাখা, ফুল দিয়ে সাজানো পুরো বেড! ধ্রুবর পুরুষালি বুকটা আবার ধ্বক করে উঠল! বেডের পাশে তখন ওর ফোনের মেসেজ টোন বাজছে! ধ্রুব এগিয়ে গিয়ে ফোন তুলল। স্ক্রিন অন করতেই; ইমনের অনেকগুলো মেসেজ! লাস্ট তিনটা মেসেজ পরল ধ্রুব ———
‘মাম্মা, বাসর নাইট কেমন যায়?’
পরে আরো একটা মেসেজ——
‘ভাই, প্রথম রাতে বেড়াল মা-রতে হয় জানি। বাট অদিতির বেলায় এই কাজ ভুলেও করিস না। এই মেয়ে অক্কা যাবে ফর শিওর!’
পরে আরও একটা মেসেজ———

‘Tor pocket check korish! Kichu ekta diyechi ami! Maybe kaaje lagbe tor!’
ধ্রুবর ভ্রু কুঁচকে গেল! কি দিয়েছে এই ছাগলটা? ও আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে গিয়ে শেরওয়ানির পকেট দেখল! যা দেখল, পরমুহূর্তে চূড়ান্ত বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে গেল ওর!মুখ থেকে ইমনের জন্যে দুটো গা-লিও বের হয়ে গেল আপনা-আপনি!
ঠিক তখনই অদিতির বাথরুমের দরজা খোলার আওয়াজ পেতেই ধ্রুব ব্যস্ত হাতে দ্রুত সেটা আবার পকেটেই রেখে দিল। ধ্রুব ইয়ামিন এই প্রথম ভয় পেল সম্ভবত! ধ্রুব শেরওয়ানি আবার জায়গায় রেখে দিল!
ধ্রুবকে শেরওয়ানি নিয়ে ব্যস্ত হতে দেখে; অদিতি নিজের ভেজা চুল গামছায় ঝাড়তে ঝাড়তে বলল——-‘ওটা রেখে দিন! ও বাড়ি গিয়ে আমি ধুয়ে দেব!’

ধ্রুব হাসার চেষ্টা করল! অদিতি চুল ঝাড়ছে! পরনে একটা সুতির শাড়ি! যার ব্লাউজের পেছনের দিকটা অনেকটাই ভেজা! আজও কোমরের কাছের শাড়িতে সেফটিপিন আটকে; কোমর ঢেকে দেওয়া! আশ্চর্য হয় ধ্রুব! এখন ধ্রুব ওর হাজবেন্ড! এখন এত ঢেকে চলার কি আছে? চুমুর সময়টায়; একটু আগে এই সেফটিপিন খুলে ফেলে দিল ধ্রুব; এই ইশারা-টুকুও কি বুঝেনা এই মেয়ে?
ধ্রুব ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে! আলতো করে অদিতিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে থুতনি রাখল। অদিতি চমকে উঠে সামনে ঝুঁকে গেল! ধ্রুব ওর ঘাড়ে নাক ঘষতে ঘষতে দুহাতে অদিতির কোমরের দুপাশ থেকে ধীর ভঙ্গিতে সেফটিপিন খুলে দিল! উন্মুক্ত হলো আবার অদিতির গায়ের নিষিদ্ধ অংশ! ধ্রুব টেবিলের উপর সেফটিপিন রেখে; দুহাতে ওই উন্মুক্ত অংশ-টুকু চেপে ধরে; গম্ভীর গলায় বলল——-‘বয়ফ্রেন্ড ছিলাম যখন, তখন এসব হয়তোবা টলারেবল ছিল! বাট নট নাও!’

অদিতি লজ্জা পেল ভীষণ! ও অস্ফুট স্বরে বলার চেষ্টা করল—‘অ-অভ্যাস!’
‘পাল্টাতে হবে!’—— ধ্রুবর সহজ উত্তর!
অদিতির চুল ছড়িয়ে আছে পুরো ঘাড় জুড়ে! ধ্রুব আলতো হাতে অদিতির সবগুলো চুল ঘাড় ছুয়ে-ছুয়ে সেখান থেকে সরিয়ে কাঁধে এনে ফেলল। অদিতি জমে গেল; শিরশিরে অনুভূতি মেরুদণ্ড দিয়ে বয়ে গেল যেন। দুহাতে শাড়ির খাঁজ চেপে ধীরে স্থির হয়ে গেল প্রায়!

আমার প্রেমিক ধ্রুব পর্ব ৩৪

ধ্রুব আয়নায় তাকাল নিজেদের দিকে। তারপর বলল——‘শুনেছি ফার্স্ট নাইটে হাজবেন্ডদের গিফট দিতে হয়! আমি তো মোহরানা দিয়েছি আঙ্কেলের কাছে। তারপরও ইমন বললো, স্পেশাল কিছু দেওয়া জরুরি! কি চাই তোমার?’
অদিতি আয়নায় নিজেদের দিকে তাকাল! ধ্রুব প্রশ্নবোধক চোখে অদিতির দিকে আয়নায় তাকিয়ে আছে। অদিতি ধ্রুবর ওই সরু, নেশালো চোখ-দুটোর দিকে চেয়ে টলমলে চোখে কাঁপা গলায় স্রেফ বলল—‘একটা ধ্রুব ইয়ামিন! ব্যাস, এইটুকুই চাই একজীবনে!’

আমার প্রেমিক ধ্রুব পর্ব ৩৬