আমার হায়াতি পর্ব ৩০
Nahar Adrita
এদিকে আদিব রুম থেকে বেরিয়ে আসলো বাইকের চাবি হাতে নিয়ে। তার চোখ লাল, মুখে রাগের ছাপ স্পষ্ট। রাতের অন্ধকারে বাইক স্টার্ট করে সে বেরিয়ে গেলো, পুরোপুরি ফুল স্প্রিডে বাইক চালাচ্ছে। চিৎকার করে বললো,
– নিজেকে কী মনে করো ? যখন যা ইচ্ছে হবে তাই করবে? আমি ভালোবেসে তোমার জন্য শাড়িটা কিনে এনেছি, আর তুমি—তুমি সেটা খুলে ফেললে হায়াত।
আদিব বাইক থামালো, একটি নির্জন লেকের পাশে। কপালে হাত বুলিয়ে মাথার চুল খামচে ধরলো। কিছুক্ষণ চিন্তা করলো,
– আচ্ছা, ও হঠাৎ শাড়ি খুলে ফেললো কেন ? আর ওর চোখ-মুখের অবস্থা এমন, এর কারণ কী ? Oh no, আমি এটা কি করলাম। আমি কি একবার হায়াতকে জিজ্ঞেসও করতে পারতাম না । এখনই বাড়ি যেতে হবে। রাগের মাথায়, আমি কি করলাম এটা…..
রাত একটা পঁচিশ। মৃদু শীতের মধ্যে হায়াত ছাঁদে বসে চিৎকার করতে করতে কাঁদছিল। হঠাৎ নাক থেকে দু’ফোটা রক্ত বের হলো, আর সঙ্গে মাথায় অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হলো। কুলাতে না পেরে ছটফট করে শুয়ে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
– আল্লাহ ! আমার মাথায় কী হচ্ছে? আমি শেষ, আব্ আমার কষ্ট হচ্ছে কেনো এত ?
আদিব বাইক পার্ক করে দৌড়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো। সবাই ঘুমে। রুমে এসে হাঁপ ছেড়ে বিছানার ওপর চকলেট ও কিছু গিফট রাখল। তারপর হায়াতকে খুঁজতে লাগল, কিন্তু কোথাও সাড়া পেল না। হঠাৎ মনে হলো, ছাদে গিয়ে দেখি।
সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে আদিব দেখলো হায়াত নিচে শুয়ে পাগলের মতো চুল টানছে আর কান্না করছে। দৌড়ে গিয়ে পাশে বসলো
– কি হয়েছে বউ, এমন করছো কেনো ? আমি এসে গেছি, হায়াত, আমার দিকে তাকাও।
হায়াত চোখ বন্ধ করে পাগলের মতো চুল টানছে আর কান্না করছে,
– আব্ আমার কষ্ট হচ্ছে… আমার মাথা কেমন যেন লাগছে, আমার মাথা, আল্লাহ !
আদিব মোবাইলের ফ্ল্যাশ অন করল আর চমকে উঠল,হায়াতের নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে, কপালের দুই পাশে রগ স্পষ্ট। হায়াতের ব্যাথা বাড়ছে, অতিরিক্ত কান্না করতে করতে এমন হয়েছে। ইনজেকশন না দিলে স্মৃতি হারানোর আশঙ্কা নিরানব্বই পার্সেন্ট ।
দ্রুত আদিব হায়াতকে কোলে নিয়ে রুমে এলো। তাড়াতাড়ি শুয়ে দিয়ে ইনজেকশন পুশ করল। ওয়াশরুম থেকে পানি এনে মাথায় ঢালতে লাগলো আর আলতো আলতো করে হাত বুলাতে লাগল। গালে অসংখ্য চুমু খেতে লাগলো আদিব । ধীরে ধীরে হায়াত শান্ত হতে লাগলো, কেবল হালকা ঘুঙানোর শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
আদিব হায়াতকে বালিশে শুইয়ে দিয়ে রুমের লাইট অফ করল, এবং ড্রিম লাইট অন করে দিল। তারপর ওয়াশরুমে ঢুকলো। প্রায় দশ মিনিট পর হায়াত হালকা জ্ঞান ফিরে পেল। পাশে আদিব থাকা সত্ত্বেও তার মনের মধ্যে সেটা স্পষ্ট ছিল না। রাগ আর কষ্টে বিছানায় বসে থেকে হঠাৎ রুমের লাইট অন করে টিভি চালু করল, কার্টুন ছেড়ে দিল।
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আদিব দেখলো হায়াত ডিভানের ওপর বসে টিভি দেখছে। খানিকটা অবাক হয়ে তোয়ালেটা বেলকনিতে রেখে হায়াতের পাশে বসল। কিন্তু হায়াত মুখ শক্ত রেখেই টিভির দিকে তাকিয়ে রইল।
মৃদু কণ্ঠে আদিব বলল,
– খোদা লেগেছে তোমার… ব্যথা কমেছে তো একটু, বউ ?
কিন্তু হায়াত কোনো উত্তর দিল না। বরং উঠে বিছানায় শুয়ে পড়ল। আদিব হা করে তাকিয়ে রইল। ছোট্ট নিশ্বাস ফুঁকে হায়াতকে গিয়ে জড়িয়ে ধরল, আর হায়াত রাগে ফুসতে থাকল,
– ছাড়ুন আমাকে… সরুন বলছি। যেখানে গিয়েছিলেন, সেখানে চলে যান।
– হায়াত স্টপ, বোকার মতো কথায় বন্ধ করো,নাহলে আবারও মাথায় যন্ত্রণা শুরু হবে।
আদিব একটু থেমে আবার বলতে শুরু করলো,
– আমার রাগ হয়েছিলো,তুমি আমার পছন্দ করা শাড়িটা খুলে ফেলেছিলে বলে। আমি অনেক স্যরি জান, আর তোমার ওপর রাগ দেখাবো না।এবার আমাকে বলো কি হয়েছিল।
হায়াত একটু রাগ করে আদিবের তাকালো,কিন্তু মুহূর্তেই কান্না করে দিলো। আদিব হায়াতকে জড়িয়ে ধরে বেশ কিছুক্ষণ ওভাবেই রাখলো। হায়াত হেচঁকি তুলে কান্না করতে করতে বললো,
আব্বুর কথা খুব মনে পড়ছিলো, তাই রুমে এসে শাড়ি খুলে ফেলেছিলাম।
আদিব হায়াতের মাথায় হাত বুলাতে থাকলো। হায়াত মনে মনে ভাবলো, কিছুই বলা যাবে না ওনাকে, আম্মু যেহেতু না করেছে, তো বলা ঠিক হবে না।
আদিব সযত্নে লাজুকপাখির চোখের পানি মুছে দিলো।এরপর পেছনে রাখা ফেরোরো রোচার চকলেটের বক্সটা হায়াতের সামনে ধরলো। হায়াত খুশি হয়ে চকলেট বক্সটা হাতে নিলো, আরেকটু অবাক করে দেওয়ার জন্য তিনটা বক্স বের করলো।হায়াত বেশ কৌতুহল নিয়ে খুলতে লাগলো, প্রথমটাতে সুন্দর একটা ডায়মন্ডের নোস পিন, দ্বিতীয়টা খুলতেই এক জুড়া স্বর্নের পায়েল, তৃতীয়টাতে একটা সুন্দর ডায়মন্ডের রিং, হায়াত খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরলো আদিবকে। আদিব বেশ মনোযোগ দিয়ে হায়াতকে নোস পিন টা পরিয়ে দিলো।
হায়াত ওঠে ওয়ারড্রব থেকে একটা বক্স বের করে আনলে।আদিব বিস্ময় চোখে হায়াতের দিকে তাকিয়ে বললো,
– আমার জন্য গিফট কিনেছো,সত্যি বউ। কখন কিনলে।
হায়াত একটু হেসে বললো,
– আগে খুলে দেখুন,আজ দুপুরে অনলাইন থেকে অর্ডার করেছি দেখুন তো কেমন হয়েছে।
আদিব পেপার খুলে দেখলো একটা সুন্দর এক্সপেন্সিভ হ্যান্ড ওয়াচ।
আদিব প্রাণফুল্ল হাসি দিয়ে হাতটা হায়াতের দিকে বাড়ওয়ে দিলো। হায়াত মুচকি হেসে ঘড়িটা পড়িয়ে দিলো। আদিব আবেশে চুমু খেলো হায়াতকে।হায়াত নরম স্বরে বললো,
– আপনার পছন্দ হয়েছে ?
– খুব পছন্দ হয়েছে বউ,আমার জীবনের বেস্ট গিফট এটা, তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না আমার কতোটা পছন্দ হয়েছে।
আদিব হায়াতের ওষ্ঠে নিজের ওষ্ঠ ছুঁইয়ে নিল। অনেকক্ষণ পর ধীরে আলগা হয়ে হাসল,
– একটু বসো, আমি গেটটা লাগিয়ে আসি। দারোয়ান কাকা আজ আসেনি, গাড়িটাও পার্ক করতে হবে। ও হ্যাঁ, খাবারও নিয়ে আসি,দু’জনে একসাথে খেয়ে তারপর রোমাঞ্চ করবো।
হায়াত লাজুক হেসে মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো। আদিব দরজা খুলে বের হয়ে গেল।
ওদিকে হায়াত আলমারি খুলে কালো রঙের জামদানি শাড়িটা বের করল। পরিপাটি করে পরে আয়নার সামনে সামান্য সাজগোজ সেরে নিল। এরপর ফোন দিল আরাবিকে,
– দোস্ত, আধাঘণ্টার মধ্যে একটা কেক বানিয়ে দিতে পারবি ?
আরাবি মজার স্বরে জবাব দিলো,
– ভাইয়া বাড়ি এসেছে নাকি, ঝামেলা মিটে গিয়েছে জানু ??
হায়াত মিষ্টি হেসে বললো,
– হ্যাঁ, ঘন্টাখানেক হলো এসেছে। দোস্ত, প্লিজ করে দে।
– আচ্ছা বানাচ্ছি। চকলেট ফ্লেভারই তো ?
– হু জানু।
ফোন রেখে হায়াত মিনহাজাকে ডাকল ছাদ থেকে কিছু গোলাপ আনতে। মিনিট দুই পর মিনহাজা দরজায় কড়া নাড়তেই হায়াত দরজা খুললো। তাকাতেই মিনহাজা চমকে উঠে বললো,
– মাশাআল্লাহ ! ভাবি তোমাকে কী যে সুন্দর লাগছে আজ।
লাজুক হাসিতে হায়াত শুধু ধন্যবাদ জানালো। তারপর দু’জনে মিলে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে সুন্দর করে খাট সাজালো, কয়েকটি মোমবাতিও জ্বালালো।
মিনহাজা চলে গেলে হায়াত আদিবের জন্য আলমারি থেকে একটি কালো পাঞ্জাবি বের করে রাখল। প্রায় বিশ মিনিট পর আদিব খাবারের ট্রে হাতে রুমে ঢুকলো। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তার চোখ আটকে গেল—কালো জামদানিতে হায়াত যেন এক টুকরো স্নিগ্ধ পরী। চোখ ফেরানো দায় হয়ে গেল তার।
হায়াত ট্রে নিয়ে রেখে আদিবের হাতে পাঞ্জাবিটা ধরিয়ে দিল। আদিব মুচকি হেসে বললো,
– এতো সুন্দর করে সেজেছেন, ফুল দিয়ে খাট সাজিয়েছেন… আর পাঞ্জাবিই বা কখন কিনলেন,মেডাম ?
হায়াত তার কাঁধে হাত রেখে সামান্য উঁচু হয়ে ফিসফিস করে বললো,
– কিছুদিন আগেই এনেছিলাম, অনলাইন থেকে আমাদের জন্যই।
আদিব হাসিমুখে পাঞ্জাবি পরে নিলো। দু’জনে কিছু ছবি তুলে রাখলো স্মৃতির জন্য। ঠিক তখনই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হলো।
আদিব দরজা খুলতেই দেখলো আরাবি কেক হাতে দাঁড়িয়ে আছে। মুচকি হেসে সে বললো,
– হ্যাপি অ্যানিভার্সারি ভাইয়া। এই নিন কেক কাটুন, আর সুন্দর মুহূর্তটা উপভোগ করুন। তবে কাল ট্রিট কিন্তু চাই।
হাসতে হাসতে আদিব উত্তর দিলো,
– জি শালি সাহেবা, কাল অবশ্যই ট্রিট পাবেন।
দরজা বন্ধ করে আদিব নিঃশব্দে হায়াতের পাশে বসল।রুমের হালকা আলোতে চারপাশ যেন আরও শান্ত হয়ে উঠলো। সে সাউন্ড বক্সটা অন করতেই কোমল সুর ভেসে উঠল। ধীরে ধীরে গান বাজতে লাগলো, মোমবাতির আলো আর সুরের মেলবন্ধনে রুমটা ভরে গেল এক অদ্ভুত আবেশে।
Tumse mohabbat hai haan…..
হায়াত আদিব ওঠে দাড়ালো, এরপর কাপল ড্যান্স শুরু করলো দুজন।বেশ কিছুক্ষণ পর আদিব হায়াতের গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো। আস্তে আস্তে পুরো শরীর জুড়ে ওষ্ঠ ছুয়েঁ দিতে লাগলো। শাড়ির আচলটা বুকে থেকে ফেলে দিয়ে গভীর হাতে স্পর্শ করতে লাগলো। আদিবের শার্ট খামচে ধরলো হায়াত। এরপর একটা একটা করে শার্টের বোতায় খুলতে শুরু করলো। হায়াত আর আদিব দুটো চকলেট খেয়ে নিলো, পাগলের মতো ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিতে দিতে লাগলো পুরো শরীর জুড়ে। আদিব আলতো হাতে শাড়ীর একেকটা কুঁচি খুলতে শুরু করলো।
হায়াত একর্টু ঝুকে আরেকটা চকলেট মুখে পুড়ে নিল। আদিবও সহসায় আরেকটা চকলেট এনে হায়াতের গালের মধ্যে রেখে রসনা দিয়ে লেহন করতে লাগলো। একটু হা করে মুখে থাকা চকলেট আদিবকে খেতে দিল। গলায় কিছু চকলেট মেখে সেগুলো খেয়ে নিলো।
রাত তিনটা। চারদিক নিস্তব্ধতায় ডুবে আছে। কেবল আদিবের রুমে গান ভেসে আসছে। দু’জনে মিলে কেক কেটে নিলো, একে অপরকে খাইয়ে দিলো।
কেক কাটার পর আদিব আলতো করে একটি ছোট বাক্স বের করলো। ভেতর থেকে সোনার আংটিটি তুলে নিয়ে হায়াতের হাতে পরিয়ে দিলো।
হায়াত কপাল কুঁচকে তাকালো আদিবের দিকে,
– আর কত আংটি পরাবেন আমাকে ?
আদিব মুচকি হেসে হায়াতের কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো। স্নিগ্ধ কণ্ঠে বললো,
– যতদিন বেঁচে আছি, ততদিনই দুটো করে আংটি কিনে দেব। এগুলো আমাদের ভালোবাসার স্মৃতি।
– হ্যা এতো স্মৃতি স্মৃতি করছেন কেনো, আমি হারিয়ে যাবো নাকি।
– হুসস, এমন কথা কখনো বলবে না আর। আদিব বেঁচে থাকতে তার লাজুকপাখিকে কখনে হারাতে দেবে না। তুমি তো আমার পাজঁরের ভেতর বসবাস করো, তুমি হারাবে কি করে। আর কারো সাধ্যি নেই আমার বউকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে।
আদিব ঠোঁটে ঠোঁট রাখে হায়াতের,হায়াত প্রশ্রয় দেয় তার শখের পুরুষকে।আস্তে আস্তে সময় গড়াতে থাকে, দুটি হৃদয় সম্পুর্ন পরিপূরক হয়ে ওঠতে ব্যস্ত।আদিবের গায়ের টি-শার্ট খুলে ফেললো হায়াত। আদিবও তার লাজুকপাখির পড়নের কাপড় আস্তে করে খুলে ফেললো,আলো আধারির খেলায় তার শরীর যেন ভাসছে নগ্ন জোয়ারে। আদিবের চোখ তৃষ্ণার্ত,
আদিবের ওষ্ঠ একে একে ছুঁতে লাগলো হায়াতের সর্বাঙ্গ।প্রতিটি ছোঁয়া যেনো ভালোবাসার সত্য, আহাজারি, ছন্দ। প্রতিটি স্পর্শ যেনো হায়াতের শরীর জুড়ে খেলা করছে,একটু পর পর কেঁপে ওঠে হায়াত।
আদিবের এক হাতের আঙ্গুল হায়াতের কোমড় থেকে আস্তে আস্তে একটানে নিচে চলে যায়। অন্য হাত বক্ষস্থল জুড়ে বিচরণ করছে। মুখ ডুবিয়ে দিলো সর্বাঙ্গে………… হায়াতও আস্তে আস্তে আদিবের শিশ্নে মুখ ডুবিয়ে দিলো । পরম আবেশে হায়াতের চুল গুলো চাপ দিলো সে। হায়াত চুপচাপ খেতে লাগলো। একটু পর আদিব কেঁপে ওঠে বসে পড়লো।লাজুকপাখিকে পরম আবেশে বুকের মাঝে ওঠিয়ে নিলো।
হায়াতের প্রতিটি নিশ্বাস আছড়ে পড়ছে আদিবের বুকে। আদিব আস্তে আস্তে মত্ত হয় এক প্রেম লিলাময় খেলায়। আদিব ক্রমশ বাড়িয়ে দিলো ছন্দের জোয়ার।
হায়াতের চোখের কোনায় পানি জমে যাচ্ছে, মুখে হালকা ব্যাথাময় আওয়াজ। দুজনেই যেনো অমৃত সাগরের ঢেউয়ে মেতে ওঠলো।
আমার হায়াতি পর্ব ২৯
বিছানার চাদরটা খানিক কুঁচকে গেলো,হায়াতের আঙ্গুল গেঁথে গেলো আদিবের পিঠে।হালকা কামড়ে ধরে তার কাধ।
আদিব হাস্কি স্বরে বললো,
– জান আরেকটু সহ্য করো প্লিজ।
– আব্ আমি….. আর সহ্য করতে পারছি না প্লিজ।
– আর একটু………!!
আদিবের প্রতিটি স্পর্শে হায়াত কেঁপে উঠছিলো,
স্নিগ্ধ অথচ গভীর এক আবেগে সে আদিবের কাছে আরও ঝুঁকে পড়লো,যেনো সে ভালোবাসার গভীরতম স্রোতে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাসিয়ে দিলো।
