ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৪৬

ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৪৬
Arishan Nur

নতুন প্রতিটি দিন যেনো কোনো নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। পূর্বাকাশে তখনো কেবল সূর্যের মিষ্টি আভা এসে ঝিলিক মারছিলো। সমুদ্ররা গন্তব্যে পৌঁছল সে’সময়। বেশিরভাগ মানুষ-জন, বিশেষ করে তাদের ট্যুর গ্রুপের মেয়েদের মধ্যে ঘুমু-ঘুমু ভাব। পিউ তো খুব বিরক্ত হয়ে জানিয়েই দিলো তার আর ভালো লাগছে না। ঘুমাবে সে। তাকে এই মুহূর্তে বিছানা এনে দিলে এক সেকেন্ডের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বে সে। শ্রাবণ ওর মুখে পানির বোতল থেকে পানি বেশ ভালোমতো ওর মুখে ছুড়ে মারে। সঙ্গে সঙ্গে পিউয়ের মুখে পানির ঝাপ্টা লাগে আর ও ভীষণ রেগে শ্রাবণকে তাড়া করে।

পিউ-শ্রাবণের সম্পর্ক একদম ভাই-বোনের মতোই। শ্রাবণ কখনো ওকে কাজিন ভাবে না। নিজের কোনো ভাই-বোন নেই জন্য পিউকে খুব আদর করে। পিউ ওকে ধাওয়া করলে, শ্রাবণ পালটা ধাওয়া করে।
সমুদ্র ওদের দু’জনকে ঝারি মেরে থামিয়ে দিলো। সকালের নাস্তা করতে সিলেটের একটা পরিচয় বাংলা হোটেলে নামে তারা। তাদের সঙ্গে মিনি মাইক্রোবাস আছে। সিলেট ভ্রমণে এই মাইক্রো তাদেরকে টুরিস্ট প্লেস গুলায় পৌঁছে দিবে। পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টে থামলো মাইক্রো ।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সকালেও অনেক ভীড় ছিলো হোটেলে। তারা পরোটা সবজি অর্ডার দেয়। ফরেনার দুজন বাঙ্গালী খাওয়া বেশ উপভোগ করে। খাওয়া শেষ করে শেষে দুধ চায়ের অর্ডার দেওয়া হলো। আলিয়া আর শ্রাবণ সবার সামনে এমন আচার-আচরণ করে যেনো ওরা কতোটা অপরিচিত। কিন্তু একমাত্র ম্যাসেঞ্জার নামক এ্যাপটাই জানে তাদের মধ্যে কতো কিছু চলছে তলে তলে। আলিয়া খেতে খেতে শ্রাবণের দিকে তাকালো। আরোও বেশ কয়েকদিন আগেই সে শ্রাবণের প্রোপোজাল একসেপ্ট করেছে। একই ভার্সিটির সিনিয়র-জুনিয়র তারা! চুটিয়ে প্রেম করছে।

পরিকল্পনা অনুসারে আজকে রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট যাওয়ার কথা। তারা হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়েই নাস্তা করতে বের হয়েছে। নাস্তা করেই মাইক্রোবাস নিয়ে রওনা হবে। হয়তো তিন-চার ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবে গন্তব্যস্থলে। আয়না আজকে হলুদ রঙের স্কার্ট পরেছে৷ ওকে স্কার্ট পরায় ষোল বছরের বাচ্চা মানুষ লাগছে। সমুদ্রর যেন নিজের বউ থেকে চোখই সরছে না। সিলেট ঘুরতে এসে সবারই মন-মেজাজ বেশ ভালো। সবার চেহারায় হাসি-হাসি। এমনকি, আয়না যে মুখ গোমড়া করে ছিল, আজ সেও হাসিমুখে সবার সঙ্গে গল্প করছে। ফরেনার মহিলার সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলছে।

সমুদ্র তো এই আয়নাকে দেখতে চায়। সে গম্ভীর হয়ে যায়৷ মাঝে মাঝে নিজের খুব অনুতাপবোধ হয়। কেনো যে কাজ নিয়ে এতো ডুবে থাকত, কী হত আয়ুকে আরেকটু বেশি সময় দিলে? হাসপাতালের দিনগুলোর কথা ভাবলেই তার গা শিউরে ওঠে। কি দুর্বিষহ ছিলো! সে চুপচাপ চায়ে চুমুক দেয়। সবাই হৈচৈ করে বাসে। আয়না জানালার সীটে বসে সিলেটের সবুজ সমাহার দেখায় ব্যস্ত। তার পাশে রুশা বসেছে। ওদিকে ছেলেরা গান ধরিয়েছে,
“দুঃখটাকে দিলাম ছুটি আসবে না ফিরে
এক পৃথিবী ভালোবাসা রয়েছে ঘিরে
মনটা যেন আজ পাখির ডানা
হারিয়ে যেতে তাই নেই তো মানা
চুপি চুপি চুপি স্বপ্ন ডাকে হাত বাড়িয়ে।”

আয়না খুব জানতে ইচ্ছা হলো, আসলেই কী দুঃখকে ছুটি দেওয়া যায়? উত্তর আসলো, যায় তো। এই যে তার মনে কতো আঘাত ছিল, কিন্তু ভ্রমণে এসে আপাতত মনের কোথাও দুঃখ নেই!
দুঃখকে ছুটি দিতে চাইলে ভ্রমণে আসা দরকার।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে যেতে হলে নৌকা ভাড়া করতে হয়। রাতারগুল হলো মিঠাপানির জলভূমি। বিশ্বের কয়েকটা মিঠাপানির জলভূমির মধ্যে এটা অন্যতম। তবে শীতকালের আবির্ভাব হওয়ায় পানি অনেকাংশেই শুকিয়ে গেছে। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট গোয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত। অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ জন্ম নেয়ায় এটাকে সিলেটের সুন্দরবন বলা হয়। ডালবের্গিয়া, রেনিফর্মিস, সহ বিভিন্ন জল উদ্ভিদ দিয়ে ঘেরা সোয়াম্প ফরেস্ট। সাপ, কেচো ছাড়াও, বুলবুল, ঘুঘু, টিয়া, তোতা পাখির বসবাস রয়েছে৷ মাছরাঙা কাঠঠোকরা পাখি উল্লেখযোগ্য।
জুলাই থেকে অক্টোবর রাতারগুল ঘোরার বেস্ট সিজন, তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি হওয়ায় তাদের ঘুরতে সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। তাও পানি কিছুটা হলেও শুকিয়ে আসতে শুরু করেছে।

নৌকায় করে খাল পেরিয়ে সোয়াম্প ফরেস্ট এর দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় মাঝি। নৌকা ভ্রমণ বেশ উপভোগ করছিল সবাই। শীত-শীত থাকায় আরোও আকর্ষণীয় লাগছিল সবকিছুই। অদ্ভুত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জলভূমির দিকে নৌকা বেয়ে মাঝি নিয়ে যাচ্ছিলো। সোয়াম্প ফরেস্ট যেতে আরেকবার নৌকা পরিবর্তন করলো তারা। প্রতিটি নৌকায় চারজন থাকলেও, সমুদ্র আর আয়নাকে আলাদা একটা নৌকায় উঠে, কেবল দুইজনই ভাড়া নিয়ে উঠে। ওদের গ্রুপের সবাই কাছাকাছি থেকেই সোয়াম্প ফরেস্টের ভেতর নৌকা যাত্রা শুরু করে। যতো সামনে আগাচ্ছিল মাঝি, আয়না যেন ততোই পুলকিত হচ্ছিলো। মাঝি আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে। এক ঘন্টা ঘুরবে তারা। ওয়াচ টাওয়ারের দিকে যাওয়া হচ্ছে। চারপাশে থেকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ ভেসে আসছে।কিন্তু আশেপাশে তাকালে পাখি দেখা যাচ্ছে না। হুট করে সমুদ্রর চোখ যায় একটা টিয়া পাখির দিকে।

সে দ্রুত আয়নাকে ডেকে উঠে বলে, ” আয়ু, দেখো একটা কী সুন্দর টিয়া পাখি। কী সুন্দর ওর লাল টুকরো ঠোঁট, একদম তোমার মতো সুন্দর , তাই না!”
আয়না টিয়া পাখি দেখার করে আশেপাশে তাকালো কিন্তু দেখতে পায় না। সমুদ্র ওর কাছে এসে, ওর সাথে মিশে গিয়ে আয়নাকে বাম দিকে তাকিয়ে থাকতে বলে। ও বামে ঘুরে দেখে একটা টিয়া পাখি গাছের ডালে বসে পাখা ঝাপ্টাচ্ছে। সমুদ্র সুযোগ বুঝে ওর গালে ঠোঁট ছু’য়ে বলে, ” মেয়ে, তুমি ওই টিয়েপাখি হও, ওর মতো চঞ্চল হয়ে আনন্দে উড়ো, আমি নাহয় ওই গাছের ডাল হলাম, স্থির! যার কাঁধে মাথা রেখে সমস্ত ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলবে।”
আয়না ওর চোখের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে বলে, ” আপনি কী ফ্লাট করছেন নাকি!”

–” তোমার কী মনে হয়? ”
–” আমার যা মনে হচ্ছে তাই বললাম।”
সমুদ্র নির্বিকার চিত্তে হেসে বলে, ” আজকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করো, আমার এই চেহারা প্রতিদিন ই দেখবে।”
আয়না ওর দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে অন্যদিকে তাকায়। সত্যি এই অপরুপ প্রকৃতির মাঝে তার মধ্যে বিন্দুমাত্র বিরক্ত ভাব নেই। সোয়াম্প ফরেস্ট খুব অদ্ভুত রকম সুন্দর। চোখে না দেখলে আসলে বিশ্লেষণ করে এর প্রাকৃতিক রুপ বলে বোঝানো যাবে না। পানির মধ্যে থেকে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য গাছ-গাছালি। গাছের অনেকাংশেই পানির নিচে ডুবে আছে। পানি আর গাছের সংমিশ্রিত সমাহারের মাঝ দিয়ে নৌকা চলে।আমাজন জঙ্গলের একটা অংশ ভেবে ভ্রম হলেও হতে পারে।
সমুদ্র ওর কয়েকটা ছবি তুলে বলে, ” খুব সুন্দর এসেছে তোমার ছবি।”

এরপর আয়নার সামনেই সদ্য তোলা ছবিতে সমুদ্র চু মু দিলো। ওর এসব বাচ্চামো কান্ডে আয়নার হাসি পায় বেজায় কিন্তু তা অপ্রকাশিত রেখে মুখে রাগী ভাব এনে বলে, ” এটা কী করলেন আপনি?”
–” কী করলাম?”
এমন ভাবে প্রশ্ন ছুঁড়ে যেনো কিছু জানেই না এই ভণ্ড ছেলেটা। ওইসময় ওর চেহারা খানা নিষ্পাপ শিশুর মতো লাগছিলো।
আয়না স্পষ্ট কাঠ গলায় বলে, ” আমার ছবিতে কি–স করলেন কেনো?”
–” মোবাইলের স্ক্রিন তো আমার। তাও আপত্তি আছে?”
–” আজব আপনি! ”

সমুদ্র পুনরায় হেসে নীলচে চোখের মণি দিয়ে তাকিয়ে থাকে প্রেয়সীর পানে। হুম প্রেয়সীই তো। যে মেয়েটি তার প্রিয় ভালোবাসার নারী তাকে তো প্রেয়সী বলাই যায়। আজ এই মুহূর্তে সে উপলব্ধি করছে সে আয়নাকে ভালোবাসে। ওর হাজারো অসুস্থতাকে নিজের অসুস্থতা হিসেবে মেনে নিতেও রাজী সমুদ্র। নিজের সমস্ত শান্তির বিনিময়েও সমুদ্র চায় আয়নার হাসিমাখা মুখ। আচ্ছা এটাকেই কী ভালোবাসা বলে? ইউশার ক্ষেত্রে তো এমন হতো না। ইউশার বেলায় সে নিজে সুখে থাকতে চাইতো, কিন্তু এই মুহূর্তে মন চায়, আয়ু-ই সুখী থাকুক। এমনকি সে না থাকলেও যেন আয়ু খুশি থাকে। অদ্ভুত যতোসব মনন ত্রিঘাত সমীকরণ!
ওয়াচ টাওয়ারের সামনের দিকে নৌকা ভীড় জমালে আয়না লক্ষ্য করে শ্রাবণ আলিয়া একসঙ্গে গল্প করছে। আবার রঙ্গন পিউকে নিয়ে নৌকার অপরপ্রান্তে ছবি তুলে দিচ্ছে। ওদের এতো দ্রুত ভাব কীভাবে হয়ে গেলো বুঝতে পারে না ও।

ওদের নৌকার কমবয়সী মাঝি খালি গলায় গান ধরায়৷ ওয়াচ টাওয়ার বন্ধ থাকায় ওইদিকেই নৌকা থামিয়ে পর্যটকদের ছবি তুলার জন্য সময় দেওয়া হলো। কিছুক্ষণ পর নৌকা ফিরতি পথে ঘুরে যাবে। আয়না – সমুদ্র ছবি তুলায় আগ্রহ দেখায় না। ওরা প্রকৃতি দেখায় ব্যস্ত। দূর থেকে পানি ঝাপ মারার শব্দ কানে আসে৷ মাঝি বলে জলজ সাপ হতে পারে। আয়না সাপের নাম শুনে গা শিউরর উঠে৷ সমুদ্র বলে উঠে, ” আয়ু দেখো, সাপ।
সাথে সাথে আয়না ভয়ে সমুদ্রের বুকে ঝাপিয়ে পড়লে ও হোহো করে হেসে বলে, ” প্রাংক করলাম।”
আয়না রেগেমেগে যেন বোম বনে যায়। সমুদ্র তা তোয়াক্কা না করে, আচমকা ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে বলে, ” আহ কী আরাম! ”

আকস্মিক ওনার এমন কান্ডে আয়না কিছু বলার সুযোগ পায় না। তার আগেই ও চটজলদি উঠে বলে, ” আয়ু, তুমি ও শুয়ে দেখো, কি যে অদ্ভুত লাগে। উপরে আকাশ! নিচে সবুজ।”
আয়নাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ও নিজে তো নৌকায় গা ঠেকিয়ে শুয়ে পরে, সঙ্গে আয়নাকে আধশোয়া করে নিজের পাশে শুয়ালো।

আয়না নৌকায় হেলান দিয়ে শুতেই একটা সাদা বক তাদের মাথার উপর থেকে খুব কাছাকাছি উড়ে যায়। একটু করে নৌকা দুলছে। সমুদ্রর কড়া পারফিউমের সুঘ্রাণ আয়নাকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়।
সমুদ্র ফিসফিস করে ওর কানে কানে বলে, “Ocean loves his mirror.”
সমুদ্রর কথার অর্থ বুঝতে না পেরে আয়না প্রশ্ন ছুড়ে, ” কী বললেন বুঝি নি।”
সমুদ্র হেসে ফেলে এবং উঠে বসে তারপর নৌকা চলতে শুরু করে। আয়নাও উঠে বসে এক প্রকার চিন্তা করে। দু-তিন মিনিটের মধ্যেই উত্তর পেয়ে যায় তবে সমুদ্রকে বুঝতে দিলো না৷ মনে মনে সে ভীষণ অবাক হয়। এরপর একটু থেমে সমুদ্রকে উদ্দেশ্য করে বলে, ” দর্পন প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে। সমুদ্র ভালোবাসা দিলে, সেটারও প্রতিবিম্ব তৈরি হবে আয়নার ভেতর। অবহেলা দিলে প্রতিবিম্বে অবহেলাই ফুটে উঠে।”

সমুদ্র ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকালো, আয়না ভুলেও ওর পানে তাকায় না।
দুজনের মধ্যে নিরবে-নিভৃতে ভালোবাসাময় দ্বন্দ চলে। একে অপরকে বুঝতে চায়, শিখতে চায় দুজনের মনের ভাষা। আয়না বুঝে পায় না, সমুদ্রকে ক্ষমা করে আবার সুযোগ দিবে কীনা, অপরদিকে সমুদ্র চায় আয়নার পরশ, ছাড়তে নারাজ স্ত্রীর ছোঁয়া। অবশেষে কে জয়ী হবে তা কেউ জানে না।

শায়লা চৌধুরী নিজের নারায়ণগঞ্জের বাসায় এসেছেন। বেশ কয়েক মাস বাসা বন্ধ থাকায়, কেমন সৌন্দর্যের মাত্রা কমে এসেছে। সুন্দর করে সাজানো শোপিস গুলা বেশিরভাগই সাদা কাপড় দিয়ে মুড়ানো। সে বিছানায় শু’য়ে আছেন। শরীর ভালো যাচ্ছে না তার। কেমন অসুস্থতা গ্রাস করে নিলো তার শরীরটাতে। অসুখের ব্যথায় কাতরাচ্ছেন তিনি। হাসপাতালে গিয়েছিলো। কিছু টেস্ট করে এসেছেন। একা একা অসুস্থ অবস্থায় বড় অসহায় অনুভব করছেন তিনি। একা নেই অবশ্য, একটা কমবয়সী তরুণী মেয়ে আছে তার সাহায্যকর্মী হিসেবে। গতকালকেই তার অসুস্থতার কথা ফাহাদকে জানানো হয়েছে কিন্তু এখনো নারায়ণগঞ্জ এলো না। এমনকি কল দিয়ে খোঁজও নেয় নি। সব মিলিয়ে শায়লার শরীর ও মন কোনোটাই ভালো যাচ্ছে না। শায়লা চৌধুরী ভাবছেন আয়নাকে দিয়ে কনভিন্স করাবেন ফাহাদকে। আয়না মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়ার পর তার সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েছে৷ কোনোভাবে আয়নাকে ইনফ্লুয়েন্স করলে হয়তো ফাহাদও শান্ত হবে। আয়না সিলেট থেকে ফিরে আসলে একবার ওকে এবাসায় দাওয়াত করবে বলে সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৪৫

শায়লা চৌধুরী বাথরুমে যাবে বলে ভাবলেন,বেড ছেড়ে উঠে সামনে পা ফেললেন, কিন্তু একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায়। উনি পা পিছলে ফ্লোরে পরে যান৷

ইলেকট্রিক্যাল মন পর্ব ৪৭