উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৩৮
আফিয়া আফরোজ আহি
পুরো রুম এলোমেলো, রুমের অবস্থা নাজেহাল। এদিক ওদিক বালিশ, কুশন সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আদ্র এক কোণে ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে উনার ভয়। ইভাদের থেকে বিদায় নিয়ে রুমে ঢুকেছে বেচারা। আমি রক্তিম চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি। সেই চাহনি দেখে শুকনো ঢোক গিললো উনি। বেচারা যে ভয় পেয়েছে সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কিন্তু আজকে কোনো ছাড় নয়। উনাকে বুঝতে হবে আমি তখন কতটা ভয় পেয়েছিলাম। উনাকে হারে হারে টের পেতে হবে। শাড়ির আঁচল তুলে কোমরে গুঁজে নিলাম। সেটা দেখে আদ্র ফাঁকা ঢোক গিলে বিরবির করে বলে উঠলো,
“আদ্র আজকে তোর কপালে শনি, রবি, সোম, মঙ্গল, সব আছে। বউ আজকে সেই খেপেছে। এতটা ক্ষেপানো ঠিক হয়নি”
এদিক সেদিক তাকিয়ে কিছু খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছি না। শেষে কিছু না পেয়ে বিছানা থেকে বালিশ তুলে নিলাম। একপা একপা করে আদ্রর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর উনি পিছিয়ে যাচ্ছে। একসময় বিছানার সাথে বেঝে বিছানায় পড়ে গেল। আমি কোলবালিশ দিয়ে উরাধুরা মারছি তাকে। আদ্র না পারছে আমাকে আটকাতে আর না পারছে উঠতে। নিজেকে বাঁচাতে বলে উঠলো,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আরে বউ মারছিস কেন? আমিতো ভালোর জন্যই বলেছিলাম। যে সুন্দর করে বউ সেজে রেডি হো আমি আসছি”
“তুমি বলেছো তাঁদের সামনে যেতে”
“তাঁদের সামনে যেতে বললেই তোকে যেতে দিবো নাকি?”
“সেটা আগে বলোনি কেন?”
“বলিনি বলে এভাবেই মারবি? আর একটা মা*ইর পড়লো কিন্তু জামাই নির্যাতনের মামলা করে দিবো”
“তোমার মালার গুল্লি মারি বজ্জাত লোক। জানো কতো টেনশনে ছিলাম আমি? আমার মনের মাঝে কিছু ঝড় বইছিলো? মনের মাঝে তোমাকে হারানোর ভয় কাজ করছিলো। কিন্তু তুমি সেটা বুঝলে তো?”
আদ্র কে বালিশ দিয়ে মারতে গিয়ে শাড়িতে পা স্লিপ করে ওনার ওপর পড়ে গেলাম। আদ্র নিজের কোমরে হাত দিয়ে ব্যাথাতুর স্বরে বলে উঠলো,
“এতক্ষন মে*রেও শান্তি হয়নি? এখন কোমর ভাঙতে চাইছিস?”
“কোমর ভাঙা তো সামান্য বিষয় আমি তো তোমায় খু*ন করবো”
আদ্র হাত বাড়িয়ে আমার মুখের ওপর পড়া চুলগুলো সরিয়ে দিলো। চোখে চোখ রেখে বলে উঠলো,
“পারবি আমায় খু*ন করতে? হাতে কাঁপবে না”
উনার এই কথা শুনে থমকে গেলাম। চোখ আটকে গেল ওনার ঝিল সম চোখে। এই মানুষটাকে খু*ন তো দূরে কথা তার সামান্য কিছু হলেই তো আমি পা*গল হয়ে যাবো। চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো। আদ্র উত্তরের আশায় তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আর এদিকে আমার উত্তরের কোঠা শুন্য। কোনো জবাব না দিয়ে মাথায় এলিয়ে দিলাম তার বুকে। এই মানুষটা ছাড়া আমার চলবে না। আমার আশেপাশে সব সময় তাকে চাই। আমায় আস্কারা দেওয়া জন্য, শাসন করার জন্য, আবদার পূরণ করার জন্য, আমার সকল কিছুতে উনাকে আমার চাই। আদ্র বুঝতে পারলো আমার নীরবতা। আমার মাথাটা নিজের বুকে আরো একটু চেপে ধরে মিহি স্বরে জিজ্ঞেস করলো,
“কি হলো রৌদ্রময়ী থেমে গেলি কেন? আমার কথায় কষ্ট পেয়েছিস? আরে বোকা মেয়ে আমি তো মজা করে কথাটা বলেছি সিরিয়াসলি নিচ্ছিস কেন?”
আমি কোনো উত্তর দিলাম না। চুপচাপ মিশে রইলাম তার প্রশস্ত বুকে। উনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
“আমি তো জানি আমার রৌদ্রময়ী আমায় কতটা ভালোবাসে। সে আমায় আঘাত করতেই পারে না। আমি তো এমনি কথার কথা জিজ্ঞেস করলাম। যা সরি, এই দেখ কান ধরছি”
আমি তাও কোনো রিয়েকশন দিলাম না। আদ্র বুঝতে পারলো আমার মন খারাপ হয়ে গেছে। একটু সময় নিয়ে কি যেন ভাবলো। অতঃপর উনি আমায় ঘুরিয়ে নিচে ফেলে নিজের আমার ওপর ভর দিয়ে বলে উঠলো,
“এতোক্ষণ তো আমায় মা*রা হচ্ছিলো, এখন আমি মা*রি? দেখি কেমন লাগে?”
পাশ থেকে বালিশ দিয়ে মারতেই নিবে তার আগে আমি ওনাকে আমার ওপর থেকে সরিয়ে দিয়ে উঠে বসলাম। দুজন মুখোমুখি এখন। আমিও পাশ থেকেই বালিশ নিয়ে নিলাম। উনার দিকে রক্তিম চোখে তাকিয়ে বলে উঠলাম,
“আমায় অন্য ছেলের সামনে শাড়ি পড়ে বউ সেজে বসতে বলা হচ্ছিলো তাই না? সে বেলায়”
“তাই বলে তুই আমার মারবি?”
“একশোবার মারবো”
“ঠিক আছে দাড়া”
আদ্র বালিশ দিয়ে আমার বাহুতে মারলো। আমিও পাল্টা দিলাম। শুরু হয়ে গেল আমাদের মারামারি। বালিশ দিয়ে যে যাকে ইচ্ছে মারছি। মারামারি করতে করতে দুজন পুরো রুমে ছুটোছুটি করছি।পুরো রুম এলোমেলো করে ফেলেছি, রুমের অবস্থা নাজেহাল। এক সময় হাপিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। আদ্রও ক্লান্ত হয়ে পাশে শুয়ে পড়লো। দুজন পাশাপাশি শুয়ে আছি। হটাৎ দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলাম। এমন সময় বাহির থেকে ইভার কণ্ঠ ভেসে এলো,
“আদ্র ভাই ঠিক আছো? নাকি দুয়া মে ইয়াদ কারু?”
“এবারের মতো বেঁচে গেছিরে বনু”
“বেঁচে গেলে নিচে এসো সবাই ডাকছে তোমাদের”
“ঠিক আছে তুই যা আমরা আসছি”
আদ্র বিছানা থেকে উঠে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।
“আমি যাবো না তুমি যাও”
“কেন যাবি না?”
“সবার সামনে যেতে লজ্জা লাগবে”
“লজ্জা সাইডে ফেলে উঠ দেখি”
হাত ধরে এক টান দিয়ে উঠিয়ে দাঁড় করালো। আমায় দাঁড় করিয়ে নিজে নিচে বসে গেল। সুন্দর করে একটা একটা করে আমার এলোমেলো হয়ে যাওয়া কুচি গুলো ঠিক করে দিলো। আমি এই মানুষটাকে যতবার দেখি ততবার অবাক হই। তার সব দিকে নজর। শাড়ি ঠিক করে দিয়ে আমার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল,
“এবার চল”
আদ্র আমার হাত ধরা অবস্থায় নিচে নামলো। সবার সামনে এভাবে হাত ধরায় কিছুটা অস্বস্তি হচ্ছে। তাই হাত ছাড়িয়ে নিতে চাইলাম কিন্ত উনি ছাড়লে তো। চোখ রাঙিয়ে বলল,
“হাত ওরকম সাপের মতো মুচড়াচ্ছিস কেন?”
“হাত ছাড়ো। সবার সামনে হাত ধরে রাখা বিষয়টাতে লজ্জা লাগছে আমার”
আমরা ফিসফিস করে কথা বলছি এমন সময় ফুফা আমাদের দিকে তাকিয়ে বড় আব্বুকে বলল,
“আমার মনে হয় ওরা দুজনেই রাজি। তাহলে আজকে দুজনের এনগেজমেন্টটা হয়ে যাক। কি বলেন ভাইজান?”
বড় আব্বু একবার আব্বুর দিকে তাকালো। আব্বু সায় জানাতেই বড় আব্বুও রাজি হয়ে গেল। আমাদের দুজনকে পাশাপাশি দাঁড় করানো হলো। ফুপ্পি একটা রিংয়ের বক্স আদ্রর দিকে এগিয়ে দিলো। আদ্র রিংটা হাতে নিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলো আমার দিকে। আমি আব্বু আম্মুর মুখের দিকে তাকালাম।
দুজনের থেকে সম্মতি নিয়ে হাত এগিয়ে দিলাম। আদ্র খুব যত্নে হাতের অনামিকায় আংটি পরিয়ে দিলো। বড় আব্বু আমার হাতে একটা রিং তুলে দিয়ে ইশারা করলো আদ্র কে পড়িয়ে দিতে। আমি হাত বাড়ানোর আগেই উনি নিজের হাত বাড়িয়ে দিলেন। সবার দিকে একবার তাকিয়ে ওনার হাতে রিং পড়িয়ে দিলাম। আজকের দিনটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে। বাড়ির সবাই এতো সহজে মেনে নিলো ভাবতে পারছি না। এর পিছনে নিশ্চই আদ্রর কোনো হাত আছে। সবাই হাততালি দিয়ে উঠলো। আরু তো এসে আমায় জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো,
“ফাইনালি তুমি আমার ভাবি হতে চলেছো আপি। তোমার ভাবি বানানোর আমার অনেক ইচ্ছে ছিলো”
সবার সামনে এভাবে বলায় কিছুটা লজ্জা পেলাম। ফুপ্পি এক প্রকার ধমক দিয়ে বলল,
“এভাবে বলতে নেই আরু দেখছো না ভাবি কেমন লজ্জায় পাচ্ছে, বেচারি লজ্জা লাল নীল হয়ে যাচ্ছে”
আমার ফুপ্পিও যে আমায় লজ্জা দিচ্ছে সেটা বুঝতে দেরি হলো না। আজকে কি আমার লজ্জা আর সারপ্রাইজ পাওয়ার দিন নাকি? কে জানে। ফুপ্পি আমায় নিজের কাছে টেনে নিলো। কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে বলে উঠলো,
“তুই আমার মেয়ে ছিলিস আর আজীবন মেয়েই থাকবি। শুধু আমার ছেলেটাকে একটু আগলে রাখিস। বেচারা তোকে অনেক ভালোবাসে”
শেষে কিনা শাশুড়ির মুখে আমায় তার ছেলের ভালোবাসার কথা শুনতে হচ্ছে? আদ্র ফুপ্পির সাথে ফ্রি প্রায় সব কথাই শেয়ার করে। আমি মাথা নাড়িয়ে সায় জানালাম। ফুপ্পি আমায় জড়িয়ে নিলো তার সাথে। এর মাঝেই ডাক পড়লো খাবার খাওয়ার। সবাই একে একে যেয়ে বসে পড়লো। আমার কেমন লজ্জা লজ্জা লাগছে। হুট্ করে সব লজ্জা মনে হয় আমার ওপরই ভর করেছে। লজ্জা বাদ দিয়ে খেতে বসে পড়লাম।
ড্রয়িং রুমে আড্ডার আসর বসেছে। ফুপ্পিরা খেয়ে চলে যেতে চাইলেও যেতে দেওয়া হয়নি। বিকেলে আমার আর আদ্র বিয়ের ডেট ফিক্স করা হবে। তাই ওদের রেখে দেওয়া হয়েছে। সবাই এটা ওটা বলে আমায় খোঁচাচ্ছে। এদের খোঁচা শুনে আমার অবস্থা ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ টাইপ। ঈশিতা আপু, ভাবি, ইভা, অভ্র ভাই সবাই মিলে আমার পিছু লেগেছে। লজ্জা দিচ্ছে আমায়। আদ্রকে বললেও সেগুলো ওনার গাঁয়ে লাগছে না। লাগবে কিভাবে লজ্জা সরম বলতে তো তার মাঝে কিছুই নেই। আর এইদিকে লজ্জায় মুড়িয়ে যাচ্ছি আমি। আমার লজ্জা আরো একধাপ বাড়িয়ে দিতে মুখ খুলল আরু। উৎসাহ নিয়ে বলা শুরু করলো,
“জানো আজকে ভাইয়া কি করেছে?”
সবাই একসাথে জিজ্ঞেস করলো,
“কি?”
উৎসুক হয়ে সবাই বসে আছে আরুর কথা শোনার জন্য। আরু বলা শুরু করলো,
“আমি সোফায় বসে কার্টুন দেখছি হটাৎ ভাইয়া হন্তদন্ত হয়ে বাড়িতে ঢুকেই আম্মু কে ডাকা শুরু করেছে। আম্মু রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“কি হয়েছে চেঁচাচ্ছিস কেন?”
“তোমার ভাই আমার বউকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। তুমি কিছু করো নাহয় আমি কিন্তু তোমার ভাইয়ের মেয়েকে তুলে নিয়ে আসবোবলে দিলাম”
“পাগলের মতো কি উল্টাপাল্টা বলছিস? আগে খুলে বলবি তো কি হয়েছে?”
ভাইয়া পুরো ঘটনা খুলে বলতেই আম্মু হাসা শুরু করলো। সাথে হাসছি আমিও। সেটা দেখে তার কি রাগ। রাগে গজগজ করতে করতে বলে উঠলো,
“আমার বউ অন্যের হয়ে যাচ্ছে আর তুমি হাসছো?”
“মাথা ঠান্ডা কর বাপ্ আমার । আর দেখতে আসলেই বিয়ে হয়ে যায় নাকি? তোর রৌদ্রময়ী তোরই থাকবে”
এতে ভাইয়া কিছুটা শান্ত হলো। নাহয় যেই মুডে এসেছিলো মনে হচ্ছিলো রোদ আপুকে না পেলে সে সব ধ্বংস করে দিবে। অতঃপর আব্বুকে ফোন দিয়ে বাসায় আনা হলো। তারপর সবাই মিলে তোমাদের বাসায়। এই হলো ঘটনা। ভাবা যায় আমার ভাই রোদ আপুর জন্য লাজ লজ্জা ভুলে আম্মু আব্বুর সামনে এতো পা*গলামি করলো?”
আরু থামলো আমি অবাক হয়ে আদ্রর দিকে তাকিয়ে আছি। এই লোক এতো কিছু ঘটিয়ে ফেলেছে আমার জন্য? এদিকে লজ্জায় আমার মাথা কাঁটা যাচ্ছে। আদ্র বলল,
“এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়ার। যা করছি সব আমার ভালোবাসাকে পাওয়ার জন্য করছি এতে লজ্জার কি আছে?”
এই লোকের বেলাজ মার্কা কথা আর শোনা যাচ্ছে না। সবার দিকে তাকিয়ে দেখলাম এরা মুখিয়ে আছে আমায় আরেক দফা লজ্জা দেওয়ার জন্য । তাই ওখানে না থেকে উঠে নিজের রুমের দিকে হাঁটা দিলাম। পিছন থেকে আদ্রর কণ্ঠে শুনতে পেলাম,
“দেখলি তোদের দেওয়া লজ্জায় টিকতে না পেয়ে বউ আমার চলে গেল”
ভাবি বলল,
“আদ্র ভাইয়া বউ না হতেই এখনই বউয়ের আঁচল ধরে ঘোরা শুরু করলেন? বলতে হবে ননদিনী আমার খুবই ভাগ্যবতী আপনার মতো মানুষকে পেয়ে”
রুমে এসে ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। মনটা এখন শান্ত। সকালে টেনশনের বুদ হয়ে থাকলেও এখন মন একেবারে ফুরফুরে।
ছাদে রাখা দোলনায় বসে আছি। দোলনা জিনিসটা আমার অনেক প্রিয়। তাই ছাদে আর আমার ব্যালকনিতে দোলনা রাখা। দোল খাচ্ছি আর আকাশ দেখছি। আকাশ জুড়ে থালার ন্যায় চাঁদ জ্বল জ্বল করছে। তার আলো দিয়ে আশপাশ আলোকিত হয়ে আছে। সাথে মাঝে মাঝে মৃদু দমকা হাওয়া এসে শরীর ঠান্ডা করে দিয়ে যাচ্ছে। দমকা হওয়ায় মনটাও ফুরফুরা হয়ে গেছে। আদ্ররা রাতে যেতে চাইলেও যেতে দেয়া হয়নি। ফুপ্পিরা এলে আমাদের বাড়িতে অনন্দের সমাহার বসে। সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া, বিকেলের নাস্তা কাড়াকাড়ি করে খাওয়া। এর ওর পিছু লাগা, লেগপুল করা এগুলো লেগেই থাকে। তাই ফুপ্পিরা এলে তাঁদের সেদিন যাওয়া হয়ে ওঠে না। আমরা বায়না করে রেখে দেই তাঁদের। এক মনে আকাশ দেখছি আচমকা কেউ এসে পাশে বসলো। তাকিয়ে দেখি আদ্র মহাশয়। উনাকে দেখেও কথা বললাম না। মুখ ঘুরিয়ে নিলাম।
“কিরে মুখ ফুলিয়ে রেখেছিস কেন?”
“তোমার সাথে কথা নেই?”
“কেন? আমি কি করেছি?”
“তোমার জন্য আমায় আজ সবার সামনে লজ্জা পেতে হয়েছে”
“তো এখানে আমার কি দোষ?”
“সব দোষ তোমার”
উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৩৭
হটাৎ মাথায় একটা প্রশ্ন আসতেই ফট করে জিজ্ঞেস করে বসলাম,
“সত্যি করে বলো তো ওই হাঁদারাম গাধার জায়গায় তুমি এলে কি করে? ওখানে তো ওদের থাকার কথা ছিলো। আর ওগুলো কে ভাগালেই বা কিভাবে?”
আদ্র চুটকি বাজিয়ে বলল,
“ইটস ম্যাজিক”