উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২১
আফিয়া আফরোজ আহি
ঘড়িতে এর্লাম বেজে চলেছে অনবরত। আমার সেদিকে খেয়াল একটুও নেই। ঘুমে বিভোর হয়ে রয়েছি। কম্বল মুড়ি দিয়ে পরে পড়ে ঘুমাচ্ছি। এতো দিন পর শান্তির ঘুম দিচ্ছি বলে কথা। গতকাল শেষ পরিক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিয়ে এসে আর ঘুমাইনি। আড্ডায় মজে ছিলাম পুরোটা সময়। ফল স্বরূপ রাত দশটা নাগাদ ঘুমে ঢোলে পড়েছি। সাড়ে দশটার দিকে আদ্র ভাই ফোন দিয়েছে। ঘুম ঘুম চোখে কোনো রকম ফোন রিসিভ করে কানে দিয়ে ঘুমাচ্ছি আমি। অপর পাশের মানুষটা চুপ রইলো খানিক সময়। অতঃপর মিহি কণ্ঠে সুধালো,
“ঘুমাচ্ছিস?”
ঘুম ঘুম কণ্ঠে জবাব দিলাম,
“হ্যাঁ। ঘুম পাচ্ছে অনেক”
আদ্র ভাই আমার এমন কণ্ঠে হাসলেন খানিকটা। হাস্যরত কণ্ঠে বলল,
“ঘুম জড়ানো নেশালো কণ্ঠে আমি ছাড়া অন্য কারো কল রিসিভ করবি না কখনো। মনে থাকে যেন”
“কেন?”
“অন্য কেউ তোর ঘুম জড়ানো আধো আধো কণ্ঠ শুনে মুগ্ধ হবে, তোর প্রেমে পড়বে সেটা আমার সহ্য হবে না। আমার হিংসে হবে তখন”
আদ্র ভাই আরো কিছু বলল। ঘুমের ঘোরে থাকায় কি যে বলেছি নিজেও জানি না। উল্টো পাল্টা কিছু না বললেই হলো।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
দিন চলে যাচ্ছে আপন গতিতে। সময় কারো জন্য থেমে থাকে না। টেস্ট এর রেজাল্ট দিয়েছে আজ। ভয়ে ভয়ে আছি শুভ ভাই রেজাল্ট দেখলে নিশ্চই কেলানি দিবে। এতো খাটুনি দেওয়ার পরেও এই রেজাল্ট! ইভা আর আমি এক প্রকার লুকিয়ে আছি শুভ ভাইয়ের থেকে। দেখলে তো রেজাল্ট জিজ্ঞেস করবে। তখন কি বলবো?
শুভ ভাই বাড়ি এলে ঘরে ঘাপটি মেরে বসে থাকি। কিন্তু কথায় আছেনা যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়? আমাদের সাথে হলো ও তেমনটাই। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আড্ডা, গল্প বাদ দিয়ে পড়তে বসেছি। হাতে গোনা দুমাস পড়েই এইচ এস সি পরীক্ষা। যে করেই হোক আমায় ভালো রেজাল্ট করতে হবে। বাকি সব ভুলে পড়ায় মন দিয়েছি। এর মাঝে রুমে আগমন ঘটলো শুভ ভাইয়ের। পাশের চেয়ারে বসে বলল,
“বাহ্ আজকে এতো পড়ুয়া হলি কিভাবে? কাহিনী কি বল তো!”
“সামনে পরীক্ষা বেশি দিন বাকি নেই তাই পড়ছি”
“ভালো! ভালো। তা রেজাল্ট দিয়েছে? রেজাল্ট কবে দিবে?”
শুভ ভাইয়ের কথা শুনে জিভে কামড় দিলাম। আমার রেজাল্ট যেমন তেমন ইভার অবস্থা তো আরো খারাপ। শুভ ভাই যে বেচারিকে কি শাস্তি দিবে কে জানে!
“কি হলো কিছু বলছিস না কেন?”
আমি তবুও চুপ। কিছুই বলছি না। শুভ ভাই ফের বলল,
“যা ইভা কে ডেকে নিয়ে আয়”
কোনো কথা না বলে সোজা উঠে চলে গেলাম ইভাকে ডাকতে। আজকে যে ইভা রানীর কপালে শনি নাচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। ভয়ে ভয়ে রুমে ঢুকছি। শুভ ভাই খাতা উল্টে পাল্টে দেখেছে। এতক্ষন বসে বসে খাতায় কি যে আঁকিবুকি করেছি সব দেখে নিলো। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলাম। শুভ ভাই ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।
“রেজাল্ট শিট কোথায়? যার যার রেজাল্ট শিট দেখা তাড়াতাড়ি”
ইভা সাথে করে নিজের রেজাল্ট শিট নিয়ে এসেছে। আমি আমার টা ব্যাগ থেকে বের করে হাতে দিলাম। শুভ ভাই এক মনে দুজনের রেজাল্ট দেখছে। আচমকা চোখ তুলে তাকালো। ভাইয়ার চাহানি দেখে আমি আর ইভা একে ওপরের দিকে চাওয়া চাওই করছি। দুজনের মুখ শুকিয়ে গেছে।
“রেজাল্ট মোটামুটি ভালোই হয়েছে। একেবারে ভালোও না আবার একেবারে খারাপ ও না। তবে এভাবে পড়শোনা করলে এইচ এস সি তে প্লাস তো দূর ডাব্বা মিলবে। এখন থেকে আরো ভালো করে পড়তে হবে। মনে থাকে যেন”
শুভ ভাইয়ের কথা শুনে দুজনেই অবাক নেত্রে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছি। এটা আমাদের ভাই শুভ ভাই তো! নাকি পাল্টে টাল্টে গেছে? কেমন অচেনা লাগছে। জ্বর টর এলো না তো! নাহলে সুস্থ স্বাভাবিক থাকলে এই রেজাল্ট দেখে আর যাই হোক এতো মিষ্টি স্বরে বলার মানুষ শুভ ভাই না। মুখ ভস্কে বেরিয়ে গেল,
“আচ্ছা শুভ ভাই তোমাকে কি জিন ভুতে ধরেছে? নাকি তোমার জ্বর এসেছে?”
ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করিলো,
“তোর হঠাৎ আমাকে জিনে ধরেছে মনে হলো কেন?”
“হঠাৎ অন্য টোনে কথা বলছো যে তাই। আমরা তো ভেবেছি তুমি আরো আমাদের এক গাদা বকা ঝকা করবে। সেখানে ঘটনা পুরো উল্টো ঘটলো তাই আরকি”
“শোন আমি তোদের সব সময় বকাবকি করি যেন তোরা পড়াশোনা কে হেলাফেলা না করিস তাই। সব সময় বকাবকি করলে তোদের মন খারাপ হবে। পড়ায় মনোযোগ আসবে না। এখন তোদের বকাবকি না উৎসাহ দেওয়ার সময়। এই সময়টা মেন্টাল প্রেসার না নিয়ে রিলেক্সে পড় দেখবি ভালো কিছুই হবে। পড়া কে বোঝা না মনে করে এনজয় কর দেখবি পড়াশোনা ভালো লাগবে”
একটু থেমে ফের বলল,
“যাই করিস না কেন এইচ এস সি তে কিন্তু প্লাস চাই”
ইভা আমি একে অপরের দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিললাম।
দিন গুলো কেটে যাচ্ছে চোখের পলকে। দিন যতো এগোচ্ছে আমার মনে ভয় ততটাই জেঁকে বসছে। আমি পারবো তো ভালো একটা ফলাফল আনতে? নাকি ডাব্বা মারবো। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সব কিছু ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাই। এই পড়াশোনা আর ভালো লাগছে না। পড়াশোনা বাদ দিয়ে সংসার করা আরো সহজ। কিন্তু কপালে যে জুটেছে আমি পাrড়তে না চাইলেও ঘাড়ে ধরে পড়াবে এটে কোনো সন্দেহ নেই। পোড়া কপাল আমার!
ইদানিং গল্প, আড্ডা সব ছেড়ে ছুড়ে পড়াশোনায় মন দিয়েছি। সন্ধ্যায় রোশনি ডাকতে এলে ওকে মানা করে দিয়েছি। আর মাত্র হাতে গোনা এক মাস আছে। এখন গল্প আড্ডা দেওয়ার সময় না। পুরো দিন কেটে যাচ্ছে বই, খাতা, কলম, পেন্সিলের সাথে। কয়েক দিন যাবত আদ্র ভাইয়ের সাথেও তেমন কথা বার্তা হচ্ছে না। উনি যখনই ফোন দেন তখন হয় আমি পড়ছি নাহয় ঘুমাচ্ছি। পড়ার সময় কল রিসিভ করে সামনে রেখে আমি আমার মতো পড়তে থাকি আর উনি ওনার মতো কাজ করতে থাকেন। তাও তার আমাকে সামনে চাইই। একদিন কথায় কথায় বলে উঠলাম,
“আচ্ছা এইযে আমি তোমাকে কলে রেখে বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি তোমার সাথে কথা বলিনা তোমার বিরক্তি আসে না? রাগ হয়না আমার ওপর?”
“তোর হঠাৎ এমন মনে হলো কেন?”
“এমনি। আমি হলে তো বিরক্ত হয়ে যেতাম। আমি নিয়ম করে একটা মানুষকে কল দিচ্ছি আর সে আমার সাথে কথা বলে না, আমায় পাত্তা দিচ্ছে না এরকম করলে তো আমি সেই কবেই তাকে কল দেওয়া বন্ধ করে দিতাম”
“আমি তোর সাথে কথা বলার চেয়ে বেশি তোকে দেখার জন্য কল দেই। তোকে একটা দিন না দেখলে আমার মনে হয় কি যেন নেই। কোথাও একটা অভাব রয়ে গেছে। তুই আমার নিত্য দিনের নেশা যাকে একদিন না দেখলে নিজেকে উন্মাদ উন্মাদ মনে হয়। তুই ছাড়া আমার কিছুই চলে না। তোকে দেখার তৃষ্ণা আমার কেন যেন মিটে না। যতো দেখি ততই দেখতে ইচ্ছে করে। এ দেখার শেষ নেই। তোকে দেখার জন্য আমি চাতক পাখির ন্যায় অপেক্ষা করি। এ অপেক্ষা, তৃষ্ণা অনন্ত কালের”
আদ্র ভাই থামলো। একটু থেমে বলল,
“আর আমি তো জানি তোর সামনে পরিক্ষা। এই সময়টা তোর আমাকে দেওয়ার চেয়েও পড়াশোনায় দেওয়া বেশি প্রয়োজন। কখনো শুনেছিস কারো প্ৰিয় নেশার প্রতি বিরক্তি আসতে? তুই আমার সেই নেশা যাহাতে বিরক্তি নহে আমি আসক্ত হই ক্ষনে ক্ষনে”
আমি পড়া বাদ দিয়ে বাক্কেলের মতো চেয়ে আছি আদ্র ভাইয়ের দিকে। এই মানুষটা একটা কথাকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে গেছে! লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে আছি। গাল লাল হয়ে আসছে। মন চাচ্ছে এক বালতি পানিতে ডুব দেই। এই লজ্জা আমি কোথায় রাখি! কথা ঘুরাতে বললাম,
“আচ্ছা আদ্র ভাই এই টপিক টা একটু বুঝিয়ে দেও তো”
উনি ব্যাস্ত হয়ে গেলেন আমায় পড়া বোঝাতে। আমিও মন দিলাম পড়ায়। টপিক টা বোঝানো শেষে আদ্র ভাই হুট্ করে ডাকলো।
“কাছে আয় তো!”
ভ্রু কুচকে এলো। ফোনের ভিতর দিয়ে কাছে যাবো কিভাবে?
“কি হলো আসছিস না কেন?”
“আজব কথা বলছো? ফোনের ভিতর দিয়ে কাছে আসবো কিভাবে?”
“ফোনের আরেকটু কাছে আয়”
আদ্র ভাইয়ের কথা অনুযায়ী কাছে এগিয়ে গেলাম। উনিও কিছুটা সামনে এলো। মুখ খানা কাছে এনে ফিসফিস করে বলল,
“তুমি যে ইচ্ছে করে কথা ঘুরিয়েছিস এটা কিন্তু আমি জানি। এবার ছাড় পেলেও পরের বার কিন্তু ছাড় পাবি না”
আদ্র ভাইয়ের এমন কথায় থতমত খেয়ে গেলাম। কি বোঝাতে চাইলেন বুঝতে না পেরে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছি। বোঝার চেষ্টা করছি উনার কথার মানে। কথার মানে বুঝতে পেরে লজ্জায় মুড়ে গেলাম।
“আমার পড়া আছে। কল রাখছি”
কথাটা বলে ফট করে কল কেটে দিলাম। এখন কল না কাটলে লজ্জায় পড়তে হবে।
সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেছে। উঠে ব্যালকনি তে গিয়ে দাঁড়ালাম। ফুরফুরে হাওয়া বইছে। চুল গুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে হাওয়ার ঝাপ্টা। তবুও আমি দিব্বি দাঁড়িয়ে আছি। চেয়ে দেখছি বাগানের ফুল গাছ গুলো। ইচ্ছে করলো এক ছুটে যেয়ে ফুল গুলো ছুঁয়ে দেই। যেই ভাবা সেই কাজ। দৌড় লাগলাম। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই ধাক্কা খেলাম কারো সাথে। অপর পাশের মানুষটা ধপাস করে ফ্লোরে পড়ে গেছে সাথে আমিও। আমি তেমন একটা ব্যাথা না পেলেও ঈশিতা আপু যে বেশ ব্যথা পেয়েছে এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এগিয়ে গেলাম আপুর দিকে। হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনর্গল বলে চললাম,
“সরি, সরি আপু আমি খেয়াল করিনি। আই এম এক্সট্রিমলি সরি”
ঈশিতা আপু আমার হাতে ধরে উঠে দাঁড়ালো। বেচারি কোমরে বেশ ব্যথা পেয়েছে। কোমর ধরে বলল,
“এখনো জামাইয়ের মুখ দেখতে পারলাম না এর আগেই তুই আমার কোমর ভেঙ্গে দিলি? এবার আমার কি হবে? আমার তো আর বিয়ে হবে না? কোমর ভাঙা মেয়েকে কেউ বিয়ে করবে না”
আমি ফট করে বলে ফেললাম,
“আরে করবে করবে শিহাব ভাইয়া আছে না। ভাইয়া বিয়ে করবে”
আপু ব্যথা ভুলে চমকিত কণ্ঠে সুধালো,
“শিহাব ভাইয়ার কথা তুমি জানলি কি করে?”
জিভে কামড় দিলাম। মুখ ফস্কে যে ভুল জায়গায় ভুল জিনিস বলে ফেলেছি সেটা এখন বুঝতে পারছি।
“কি হলো বল!”
“আরে তুমি কথা বাদ দেও। বেশি ব্যথা পেয়েছো? পানি গরম করে এনে দিবো? সেক দিবে? তাহলে ব্যাথা কম লাগবে”
“আরে না সমস্যা নেই। তুই এমন পা*গলের মতো কোথায় ছুটছিলি?”
“আর বোলো না বাগানের ফুল গুলো দেখে লোভ লাগছিলো তাই যাচ্ছি। অনেক দিন হলো গাছ গুলোর পরিচর্যা করা হয় না। তাই ভাবলাম গাছ গুলোর আশপাশটা পরিষ্কার করে পানি দেই। নাহলে আমার এতো সাধের গাছে গুলো ম*রে যাবে। কিন্তু তুমি এতো সকালে কি করছো?”
আমার কথা শুনে ঘাবড়ে গেল ঈশিতা আপু। আমতা আমতা করে বলল,
“এমনি ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল তাই উঠে পড়েছি”
“সত্যি করে বলতো ঘটনা কি?”
ঈশিতা আপু মেকি ধমক দিয়ে বলল,
“ঘটনা আর কি হবে? এই তুই পাকনামি বাদ দিয়ে যা তো সেই কাজে যাচ্ছিলি”
মুখ ভেংচি কেটে চলে এলাম। ঈশিতা আপু নিঃঘাত কিছু লুকাচ্ছে। ভাবতে ভাবতে বাগানে চলে এলাম। কতো গুলো দিন হয়ে গেল গাছ গুলের যত্ন নেওয়া হয় না। যত্নের অভাবে একেকটা কেমন নেতিয়ে পড়েছে। লেগে পড়লাম কাজে। ছোট বেলা থেকে গাছের প্রতি আমার আলাদা এক ভালো লাগা কাজ করে। চারা থেকে ধীরে ধীরে গাছে রূপান্তর হওয়া তারপর ছোট ছোট গাছে ফুল ফোঁটা বিষয় গুলো আমার কাছে ইন্টারেস্টিং মনে হয়। গাছ গুলো পরিষ্কার করতে করতে বেলায় গড়িয়ে গেল। এতক্ষনে বাড়ির সবাই উঠে গেছে নিশ্চই। কলের সাথে পাইপ লাগিয়ে গাছে পানি দিচ্ছি। কারণ এতো গুলো গাছে ভূতল দিয়ে পানি দিয়ে কুলানো যাবে না। গাছে পানি দিচ্ছি এমন সময় পাশ থেকে কেউ ডেকে উঠলো,
“রোদ”
ডাক শুনে পাশে তাকিয়ে দেখি গেট দিয়ে ভিতরে আসছে আদ্র ভাই। পরনে তার কালো রঙের পাঞ্জাবী। পাঞ্জাবীর হাতা কনুই পর্যন্ত গোটানো। চুল গুলো গুছিয়ে রাখা। একদম মাঞ্জা মে*রে এসেছেন। মাথায় দুস্টু বুদ্ধি নাড়া দিয়ে উঠলো। হাতের পাইপ ঘুরিয়ে দিলাম আদ্র ভাইয়ের দিকে। মিনিটের ব্যাবধানে উনি ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে। আদ্র ভাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। কি হচ্ছে কিছুই বেচারার মাথায় ঢুকছে না। এমন সময় পাশ থেকে ইভা ডেকে বলল,
উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২০
“রোদ কি করছিস? পাইপ সরা,আদ্র ভাই ভিজে যাচ্ছে তো। সরা”
ইভার কথা শুনতে ওর দিকে তাকালাম। এবার ইভার দিকে পানি যাচ্ছে। বেচারি হাতে দিয়ে যথেষ্ট চেষ্টা করছে পানি আটকানোর। কলের মুখ ফুল স্পিডে ছাড়া থাকায় ইভাও মিনিটের মাঝেই ভিজে গেল। মনে মনে হাসছি। বেচারি এসেছিলো আদ্র ভাইকে বাঁচাতে এখনো নিজেও ভিজে চুপ চুপে হয়ে গেছে। ইভা দাঁতে দাঁত চেপে চিল্লিয়ে উঠে বলল,
“রোদের বাচ্চা”