উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২৭

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২৭
আফিয়া আফরোজ আহি

দিন কেটে যাচ্ছে ব্যাস্ততার বেড়াজালে। সময় যে কিভাবে কেটে যাচ্ছে তা নিজেও জানি না। ব্যাস্ততায় শান্তি মতো দু দন্ড বসার জো নেই। বইয়ের মাঝে ডুবে আছি সারাটা দিন। বই ছাড়া আশেপাশে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। ডানে তাকালে বই, বামে তাকালে বই, সামনে পিছনে বই আর বই। প্রতিটা শিক্ষার্থীর নিকট সবচেয়ে কঠিন সময় হলো এডমিশনের সময়টা। এই সময়টা যে যতো ভালো ভাবে কাজে লাগবে তার জীবন ততো সুন্দর হবে। এই সময়টার ওপর ডিপেন্ড করবে তার ভবিষ্যত। রাত বাজে একটা। এদিকে আমি বইয়ের মাঝে ডুবে রয়েছি। এইচ এস সি পরীক্ষায় ও আমি এতটা পড়িনি এখন যতোটা পড়ছি। মনে হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধে নেমেছি। এই যুদ্ধে আমাকে জিততেই হবে, যেকোনো ভাবেই হোক আমায় জিততে হবেই। আমি হেরে গেলে আমার সাথে হেরে যাবে আরো দুটো মানুষ। তাদের দেওয়া সকল পরিশ্রম বৃথা যাবে। আদ্র ভাই আর শুভ ভাই অনেক খাটছে আমার আর ইভার পিছনে। যতোটা করা যায় ততটাই করছেন। তাই তাদের পরিশ্রম বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। তাই নাকে মুখে পড়ছি। আমাকে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। আমায় ডাক্তার হতেই হবে। এটা যে আমার স্বপ্ন। আমার ছোটবেলা থেকে লালন করা ভালোবাসা। নিজের স্বপ্ন পুরণ করার এছাড়া অন্য কোনো উপায় আমার কাছে নেই। তাই আপাতত কয়েক মাসের জন্য সব বাদ দিয়ে পড়তে বসেছি।

পরীক্ষার সময় ভেবেছিলাম কোনো মতে পরীক্ষা গুলো শেষ করতে পারলেই আমার শান্তি। কয়েক দিন ঘুরে বেড়াবো এদিক সেদিক। মুক্ত পাখির ন্যায় উড়বো। কিন্তু সেটা আর হলো কই? আমি উড়ছি তবে সেটা বইয়ের এ পাতা থেকে সে পাতায়। ঘুরে বেড়াচ্ছি এ লাইন থেকে সে লাইনে। প্যারাময় জীবন যাকে বলে!
আদ্র ভাইদের বাড়িতে যাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় শুভ ভাইয়ের কল। হঠাৎ ভাইয়ার কল পেয়ে কপাল কুঁচকে এলো। ভাইয়া সাধারণ এই সময়ে কল দেয়না। হতো সকালে কিংবা রাতে দেয়। অতো শত ভাবনা বাদ দিয়ে রিসিভ করে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
“হঠাৎ কল দিলে ভাইয়া? কোনো দরকার?”
“হ্যাঁ। মেডিক্যাল কোচিংয়ে তোর আর ইভার ভর্তি কমপ্লিট। কাল সকাল ৭ টা থেকে ক্লাস। কালকের আগে যেন বাসায় দেখি”
হাসি মুখটা এক লহমায় কাঁদো কাঁদো হয়ে গেল। পরীক্ষা শেষ হয়েছে সপ্তাহ খানেকও যেতে পারেনি তার আগেই এডমিশন নামক নতুন অত্যাচার এসে হাজির। সেদিন বিকেলে আদ্র ভাই এসে দিয়ে গেছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বিগত এক দেড় মাস যাবত চলছে কোচিং নামক অত্যাচার। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় ক্লাস। দশটা বাজে শেষ। আসতে আসতে সাড়ে দশটা বেজে যায়। এসে নাস্তা খেয়ে এক টানা দুপুর একটা পর্যন্ত পড়া। অতঃপর উঠে গোসল করে, দুপুরের খাবার খেয়ে রেস্ট নিয়ে একেবরের জন্য পড়তে বসে যাই। মাঝে জরুরি কোনো কাজ ছাড়া টেবিল থেকে ওঠা হয়না। মেডিক্যালের এতো এতো পড়ার চাপে মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় আর পড়বো না। ডাক্তার টাক্তার হওয়ার চেয়ে সংসার করবো সেটাই ভালো। সংসার করা অন্তত এই পড়ালেখার থেকে অনেক সহজ কাজ। কিন্তু নিজের স্বপ্নের কথা মনে পড়লে সব ছেড়ে ছুড়ে পড়তে বসে যাই। এমনই একদিন কোচিংয়ে অনেক পড়া দিয়েছে। সারাদিন পড়েও কমপ্লিট হচ্ছে না। মাথা হ্যাং হয়ে গেছে। এর মাঝে আদ্র ভাইয়ের কল। বই খাতা ধরাম করে টেবিলের ওপর রেখে বললাম,

“আমি আর পড়াশোনা করবো না। বিয়ে করেও যদি পড়াশোনা করতে হবে তাহলে বিয়ে করেছি কি করতে? বিয়ে করেছি এখন সংসার করবো। এই পড়াশোনা আমার দ্বারা হবে না। সংসার করা অন্তত পড়াশোনা থেকে ঢের সহজ”
আদ্র ভাই আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কোনো কথা বলছেন না। ঠোঁট কামড়ে ধরে ওনার রিয়েকশন দেখার অপেক্ষায় আছি। খানিক ক্ষণ পর মুখ খুললেন।
“কাপড় কাঁচতে পারিস?”
মাথা দুদিকে নেড়ে নাকোচ করলাম। মানে পারিনা।
“রান্না করতে পারিস?”
“মোটামুটি”
“কাপড় কাঁচা, বাসন মাজা, রান্না বান্না, ঘরের সব কাজ করতে হবে। পারবি?”
গভীর চিন্তায় পরে গেলাম। সত্যি তো আমি তো এগুলো একটাও পারিনা। ঘরের কাজ একটা করতে গেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখি দশটা। এই সংসার টংসার আমার দ্বারা হবে না। পাশ থেকে বই তুলে পৃষ্ঠা খুলে বইয়ে চোখ রেখে বললাম,

“আমার জন্য পড়াশোনাই ঠিক আছে। আমি পড়ছি। তুমি ডিস্টার্ব করো নাতো”
সেকেন্ডের ব্যাবধানে আদ্র ভাই উচ্চ শব্দে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে বল,
“এবার তুমি লাইনে এসেছো বউ”
কথাটা বলে হাসতে লাগলেন। আমি ওনার দিকে তাকিয়ে আছি। মানুষটা কি বলল খেয়াল আছে তার? ওনার প্রানোচ্ছল হাসিতে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল। আদ্র ভাই হাসি থামিয়ে বলল,
“যেই মেয়েকে এখনো গালে তুলে খাইয়ে দিতে হয়। তার নিজের জিনিস অন্য কারো গুছিয়ে দিতে হয়। সে আবার সংসার করবে! উল্টোপাল্টা চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে পড়ায় মন দে”
এই হলো আমার পড়ালেখার অবস্থা! মুখ ভেংচি কেটে পড়তে বসে গেলাম।

অপর দিকে আদ্র ভাইয়া বেঁচেরা পড়েছে মহা ফাঁসাদে। আগের বার আমায় সময় দিতে পারলেও ইদানিং উনি বড্ড ব্যাস্ত। কাজের চাপ অনেক বেশি। রাত দিন এক করে অফিস সামলাচ্ছেন। ১ টা দেড়টা বেজে যায় অফিস থেকে বাড়ি আসতে আসতে। তার ওপর আমাদের বাড়ি অফিস থেকে অনেকটাই দূরে। ওনাদের বাড়ি কাছে। আদ্র ভাই প্রথম দুদিন এসেছিলেন। দেখলাম মানুষটার অনেক কষ্ট হচ্ছে। ঘুম হচ্ছে না ঠিক মতো। সারাদিন অফিস সামলে আমার সাথে রাত জেগে ওনার ঘুম হচ্ছে না। এভাবে চললে ওনার অসুস্থ হতে সময় লাগবে না। এরপর থেকে আসতে মানা করে দিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে উনি অসুস্থ হয়ে যাবেন। উনি যদিও জোরাজুরি করেছিলেন কিন্তু আমি মানি নি। ওনার সেই একই কথা,

“আরে আমার কিছু হবে না”
এই মানুষটা এমনই। নিজের খেয়াল রাখার নাম নেই উনি চলেছে অন্যের খেয়াল রাখতে। ধমক
দিয়ে বলেছিলাম,
“তোমাকে আসতে মানা করেছি কানে যায় না? আরে নিজের ভালো তো পা*গলেও বোঝে, তুমি কেন বোঝো না আদ্র ভাই? সব সময় অন্যের ভালো খারাপ নিয়ে ভাবতে হবে না”
উনি অন্য রকম কণ্ঠে বললেন,
“অন্য কেউ কোথায়? তুমি তো আমারই”
এই কথার পৃষ্ঠে বলার মতো কিছু খুঁজে পাইনি। উনি এমন করে কথা বলেন আমি বিপরীতে বলার মতো কিছুই খুঁজে পাই না। তবে ধমক টা কাজে লেগেছিলো। সেদিন ধমক দেওয়ার পর থেকে আর আসেন নি। দুজনের তেমন দেখাও হচ্ছে না। উনি বাড়ি আসেন রাত করে আবার চলে যান সকাল সকাল। যা একটু কথা হয় সেটা কলে। ভিডিও কলে দুজন দুপাশে বসে নিজেদের কাজ করি। আমি বসে বসে পড়ি, আর উনি অফিসের কাজ করেন। মাঝে তো এমনও হয়েছে দুজন কলে থেকেই ঘুমিয়ে গেছি। এরকম বেশির ভাগ সময় আমার ক্ষেত্রে হয়। পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যাই। তখন আদ্র ভাই মৃদু কণ্ঠে ডেকে ওঠে,

“রৌদ্রময়ী, ওঠ। বিছানায় যেয়ে ঘুমা। এভাবে বসে ঘুমালে পিঠ, ঘাড় ব্যথা করবে”
এরপর উঠে সুন্দর মতো ঘুমিয়ে যাই। কয়েক দিন যাবত আদ্র ভাইকে অনেক বেশি মনে পড়ছে। কতো গুলো দিন হয়ে গেল মানুষটাকে সামনে থেকে দেখি না। তার মুগ্ধ চোখের চাহনি, মন ভুলানো হাসি, মন ভোলানো কণ্ঠস্বর আমায় ইদানিং বড্ড জ্বালাচ্ছে। আদ্র নামক মানুষ টাকে ইদানিং একটু বেশিই চোখে হারাচ্ছি। উনাকে ছাড়া আশপাশটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। মনে হচ্ছে কি যেন নেই। মন আকাশে একটু একটু করে কালো মেঘ ছেয়ে গেছে। আদ্র ভাইয়ের বিরহে জ্বলে পুড়ে ছাড় খার হয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। উনি ব্যাস্ত, ওনাকে যে আসতে বলবো সেটা মনে সায় জানাচ্ছে না। আমি জানি আমি একবার বললে আদ্র ভাই সব কিছু ফেলে চলে আসবে। কিন্তু মানুষটার কষ্ট হবে ভেবে বলছি না। আমি ও যে যাবো তারও কোনো উপায় নেই। কোচিং এ প্রতিদিন একের পর এক পরীক্ষা যাচ্ছে। চাপের মাঝে আছি।

পড়ার টেবিলে বসে এক মনে এসব ভেবে চলেছি। সামনে বই খুলে রাখা। হুট্ করে একটা ঘটনা মনে পরে গেল। হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হওয়ার উপক্রম। তখন আমি আদ্র ভাইদের বাড়িতে। প্রতিদিন রাতকরে এলেও সেদিন আদ্র ভাই তাড়াতাড়ি চলে এলো। ফুপ্পি বলল,
“তোরা দুজন কোথাও থেকে ঘুরে আয়। মেয়েটা এসেছে, ও একা একা বোর হবে”
প্রথমে নাকোচ করছিলাম। কিন্তু ফুপ্পির জোরাজুরিতে শেষে যেতে হলো।দুজন কতক্ষন ঘোরাঘুরি করে একটা ক্যাফেতে এসে বসলাম। খাবার অর্ডার দিয়ে আদ্র ভাই মোবাইলে কি যেন করছেন। আমি ওনার কাঁধে মাথা রেখে চোখ বুজে বসে আছি। আদ্র ভাই গালে হাত দিয়ে আদুরে কণ্ঠে সুধালেন,

“খারাপ লাগছে?”
মাথা দুদিকে নেড়ে নাকোচ করলাম। মুখে বললাম,
“ঘুম পাচ্ছে”
“হুট্ হাট ঘুম পাচ্ছে? এমনি সময় তো এতো তাড়াতাড়ি ঘুমাস না”
“জানি না কেন ঘুম পাচ্ছে”
“একটু ওয়েট কর খাবারটা আসলে খেয়ে গাড়িতে ঘুমিয়ে যাস”
বলতে বলতে খাবার চলে এলো। আমাদের টেবিলটা কর্ণারে ছিল। আদ্র ভাই আমায় নিজ হাতে খেতে দিলো না। নিজেই খাইয়ে দিলো। খাওয়া শেষে দুজন বেরিয়ে এলাম। বাহিরে আসতেই রাস্তার ওপারে হাওয়াই মিঠাই। একটু জোরেই বলে উঠলাম,

“আদ্র ভাই হাওয়াই মিঠাই খাবো”
“তুই এখানে দাঁড়া আমি নিয়ে আসছি। কোথাও যাবি না কিন্তু”
কথা গুলো বলে উনি চলে গেলেন। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওনার যাওয়া দেখছি। এমন সময় পাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠলো,
“তোমার নাম কি মামনি?”
একজন মধ্যবয়সী মহিলা। প্রথমে অবাক হলাম। চিনি না জানিনা হুট্ করে এসে নাম জিজ্ঞেস করেছেন কেন? অনেক ক্ষণ যাবত খেয়াল করছিলাম আন্টিটা আমাদের সামনের টেবিলে বসে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। উত্তর দিবো না দিবোনা করেও নিজেকে সামলে জবাব দিলাম।

“রোদ”
“বাহ্ বেশ মিষ্টি নাম তো। যেমন নাম তেমন দেখতে মাশাআল্লাহ”
আমি কিছুটা বিরক্ত হলাম। সাধারণত অপরিচিত কারো সাথে আমি বেশি কথা বলিনা। আমার অস্বস্তি হয়। আন্টিটা একে একে আমার পুরো চৌদ্দ গুষ্টির নাম জিজ্ঞেস করলেন। কোথায় পড়াশোনা করছি, কতো দূর পড়েছি, বাবা কি করেন, কয় ভাই বোন, ইত্যাদি ইত্যাদি। অতঃপর বাবার নাম্বার চাইলেন। কিছু বলবো এমন সময় আদ্র ভাই এসে হাজির হলো। ওনাকে দেখে আমি ওনার কাছে চলে গেলাম। আদ্র ভাই জিজ্ঞেস করলেন,

“কি হয়েছে ভয় পেয়েছিস?”
আন্টিটা সামনে দাঁড়ানো তাই কিছু বলতেও পারছি না। এর মাঝেই তিনি নিজেই আদ্র ভাইকে বললেন,
“তোমার বাবার নাম্বারটা দেও তো বাবা”
আদ্র ভাই ভ্রু কুঁচকে নিলেন। উত্তর করলেন,
“আমার বাবার নাম্বার দিয়ে আপনি কি করবেন আন্টি?”
“তোমার বোনকে আমার বেশ ভালো লেগেছে। আমার বোনের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। বোনকে তো বিয়ে দিবে নাকি? তাই তোমার বাবার সাথে কথা বলবো”
মহিলার কথা শুনে বাক্কেল বনে গেলাম। এই জন্যই এই মহিলা এতক্ষন যাবত আমায় জ্বালাচ্ছিলেন। পেট ফেটে হাসি আসছে। এখন আদ্র ভাইয়ের রিয়েকশন দেখার অপেক্ষায় আছি। হাসি চেপে কিছু না বলে আদ্র ভাইয়ের মুখের দিকে তাকালাম। আদ্র ভাই দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,

“আপনাকে কে বলল ও আমার বোন?”
“বলতে হবে কেন? মেয়েটা কি সুন্দর করে ভাই ডাকছিলো। দেখে মনে হচ্ছে ভাই বোন। তার ওপর দুজনের মুখের ও অনেক মিল”
আদ্র ভাই চোখ গরম করে আমার দিকে তাকালেন। আমি ঠোঁট চওড়া করে হাসি দিলাম। আদ্র ভাই ক্ষেপে গেলেন। মনে হয় আগুনে ঘি পড়লো। আদ্র ভাই আমার দিকে কট মট দৃষ্টি নিঃক্ষেপ করে বললেন,
“ও আমার বোন না, বউ হয়। বুঝতে পেরেছেন? আমার একমাত্র বিয়ে করা বউ”
আন্টিটা মুহূর্তে পাল্টি খেলেন। বললেন,
“এইটুকু একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করতে লজ্জা লাগলো না?”

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২৬

“না লাগেনি। যেমন আপনার এইটুকু বাচ্চা মেয়েকে নিজের বোনের ছেলের বউ বানাবেন ভাবতে লজ্জা লাগেনি তেমনই আমার ও ওকে বিয়ে করতে লজ্জা লাগেনি। আর বিয়ে হলো ফরজ কাজ এখানে লজ্জার কি আছে? আজব!”
কথা গুলো বলেই খপ করে আমার হাত ধরে নিয়ে আসতে নিলেন। পিছন থেকে আন্টিটা বলে উঠলেন,
“ইদানিং কার ছেলে পেলে গুলো বাচ্চা বাচ্চা মেয়ে গুলোকে ধরে ধরে বিয়ে করছে। এতো ছোটো মেয়ে গুলো সংসারের কি বোঝে? দেশটা রসাতলে গেল”
এদিকে আমি হাসতে হাসতে কাহিল। শেষ মেষ মহিলাটা আদ্র ভাইকে তার বউয়ের ভাই বানিয়ে দিলো। হাসতে হাসতে আদ্র ভাইয়ের গাঁয়ে ঢোলে পড়ছি। উনি চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন সিজন ২ পর্ব ২৮