এক চিলতে রদ্দুর পর্ব ১৪

এক চিলতে রদ্দুর পর্ব ১৪
Yasira Abisha

রাতটা আজ অন্যরকম। যেন নিঃশব্দে কিছু একটা বদলে যাচ্ছে, কেমন একটা ভারী শূন্যতা ছড়িয়ে আছে বাতাসে। ইরাদ ড্রয়িংরুমে বসে আছে। জানালার পাশে, অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে।
রুহি কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। ইরাদের মুখটা আজ অন্যরকম লাগছে—একটা চাপা বিষণ্ণতা মিশে আছে সেখানে।
“আপনি ঘুমাবেন না?” রুহির কণ্ঠটা নরম, কিন্তু ইরাদ সেদিকে তাকাল না।
“আপনি জানতে চেয়েছিলেন, অহনার কথা।”
রুহি থমকে গেল।
ইরাদ কখনো নিজের কষ্টের কথা বলেনি। আজ হঠাৎ—
রুহি আস্তে করে এগিয়ে গিয়ে ইরাদের উল্টো দিকের সোফায় বসল।
“বলতে হবে না, যদি…”
“না, আজ বলব।” ইরাদের কণ্ঠ দৃঢ়, কিন্তু চোখে এক অদ্ভুত শূন্যতা।
একটা দীর্ঘ নীরবতা, তারপর ইরাদ শুরু করল—

“আমরা ছিলাম দুই ভাই মাহিদ আর আমি।”
” মাহিদ শুধু আমার ভাই ছিল না, আমার কাছে ও বাবা-মায়ের পর সবচেয়ে আপন ছিল। ওর ছায়াতেই আমি বড় হয়েছি। ও ছিল আমার অভিভাবক, আমার পথপ্রদর্শক, আমার নিরাপত্তার দেয়াল।”
রুহি চুপচাপ শুনছে।
“আর ভাইয়ের স্ত্রী, সুবহা ভাবি, ছিলেন মা-বোনের মাঝামাঝি কিছু। আমি তাঁকে মা’র মতো সম্মান করতাম। এতটা স্নেহ, যত্ন, ভালোবাসা… উনি আমাদের পুরো সংসারের প্রাণ ছিলেন।”
ইরাদ এক মুহূর্ত চুপ করে রইল, যেন মনে মনে কিছু অনুভব করছে।
“তাদের হারানোর পর আমাদের পরিবার যেন অসম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।”
রুহির বুক কেমন ভারী লাগল।
কিছুক্ষণ থেমে ইরাদ আবারো বললো,
“অহনা আমার প্রথম প্রেম।” ইরাদের কণ্ঠটা গভীর হয়ে উঠল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“ওকে প্রথম দেখি কলেজে। আমাদের প্রথম থেকেই একটা আলাদা বোঝাপড়া ছিল। ও খুব উজ্জ্বল ছিল, আত্মবিশ্বাসী। আমরা দুজন খুব ব্যস্ত থাকতাম, কিন্তু একে অপরের জন্য সময় বের করে নিতাম। আমাদের ব্যাস্ততা ও একসঙ্গে ছিলো, সবসময় একসাথে হাসতাম, স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু একটা ভয় সবসময় থেকেই যেত—যদি আমাদের আলাদা হতে হয়?”
রুহি শুনছে, ইরাদের চোখের ভাষা পড়তে পারছে।
“তাই আমরা একটা পরিকল্পনা করি।”
“পরিকল্পনা?”
“আমরা ভেবেছিলাম, যদি আমাদের পরিবার এক হয়ে যায়, তাহলে আমাদের আলাদা হওয়ার ভয় থাকবে না।”
রুহি অবাক হয়ে তাকাল।
“মানে?”
“আমার ভাবী সুবহা ছিলো অহনার আপন বড় বোন। তাই ভাইয়াবআর অহনার বোন সুবহার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করা ও তাদের যদি মত মিলে তবে আমরা চাইতাম তারা বিয়ে করবে। তাঁরা যদি একে অপরকে ভালোবাসেন, তাহলে আমাদের পথ সহজ হয়ে যাবে। এবং তাই হলো তারা দেখা করার পর কিছুদিনের ভেতরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
রুহির বিস্মিত দৃষ্টি।

“আর সেটা তো হতোই আমাদের পরিবার ও একে অপরকে অনেক পছন্দ করে ফেলে প্রথম দেখাতেই, সব যেন স্বপ্ন মনে হচ্ছিলো। রাশাদ ভাই আর রিহানা ভাবির বিয়ে হলো। আমরা সবাই খুব খুশি ছিলাম।”
কিন্তু ইরাদের কণ্ঠ কিছুটা থমকে গেল।
“আমাদেরও বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অহনা চেয়েছিল ক্যারিয়ার গড়তে, নিজের স্বপ্নকে আগে রাখতে। আমি চেয়েছিলাম, আমরা একসাথে থাকি। কিন্তু ওর স্বপ্নের পথে বাধা হতে চাইনি।”
রুহির নিঃশ্বাস আটকে এল।
“তাই অহনা চলে গেল। আমাকে না জানিয়েই।”
“আপনি খোঁজ নেননি?”
“চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ওর সাড়া পাইনি। আমি জানতাম, ও বেঁচে আছে, ভালো আছে, এতটুকুই যথেষ্ট ছিল।”
“তারপর?”
“তারপর, চার বছর পর, হঠাৎ অহনাকে কল দিলাম।”
রুহি চমকে গেল।
“কেন?”
“ওকে জানাতে, আনাই এসেছে এই পৃথিবীতে।”

“আনাই?”
“হ্যাঁ, আমার মেয়ে। আমার ভাই আর ভাবি মারা যাওয়ার পর আমাদের ছোট্ট আনাই আমাদের জীবনে এল। অহনা খবর পেয়েই ফিরে এল। বলল, ও আনাইয়ের জন্য থাকবে।”
রুহি কিছু বলল না।
“ও প্রায় তিন বছর আনাইয়ের সঙ্গে ছিল। কিন্তু আমাদের মধ্যে আর কিছুই ছিল না।”
“কেন?”
“ওর জীবনে তখন অন্য কেউ ছিল।”
রুহির বুক কেমন চেপে ধরল।
“আপনি কিছু বলেননি?”
“না। কারণ আমি ওকে ভালোবাসতাম। ভালোবাসা মানে শুধু ধরে রাখা নয়, ছাড়তে পারাও ভালোবাসা।”
রুহির চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠল।

“তারপর?”
“আমি চেয়েছিলাম, আনাই অন্তত দেশে থাকুক, এখানে বড় হোক। অহনা রাজি হয়নি। বলল, আনাইকে নিয়ে ও চলে যাবে।”
“আপনি মেনে নিলেন?”
“না। আমি চুপ থাকতে পারিনি। প্রচণ্ড ঝগড়া হলো।”
“তারপর?”
“অহনা রাগ করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল।… ফেরেনি আর।”
রুহির পুরো শরীর কেমন কেঁপে উঠল।
“অ্যাক্সিডেন্ট?”
“হ্যাঁ। ও অন দ্য স্পট মারা যায়।”
একটা দীর্ঘ নীরবতা।
রুহির বুকের ভেতর চাপা কান্না জমে উঠছিল।
সে ধীরে ইরাদের হাতটা ধরল।
ইরাদ তাকিয়ে দেখল, রুহির চোখেও অশ্রু।
তারপর রুহি নিচু গলায় বলল—

“আপনার কষ্ট হয়, তাই না?”
ইরাদ চোখ বন্ধ করল।
কষ্ট?
কষ্ট তো একটা শব্দ মাত্র। শব্দ দিয়ে কি বোঝানো যায়, যখন বুকের ভেতর একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়? যখন মনে হয়, শ্বাস নেওয়াটাও দায়? যখন রাতের নিঃশব্দ অন্ধকার গিলে খেতে চায় সমস্ত স্মৃতি?
ইরাদ গভীর শ্বাস নিলো, খুব ধীর গতিতে।
“কষ্ট হয়, রুহি। খুব কষ্ট হয়।”
তার কণ্ঠ ভেঙে আসছিল, কিন্তু সে সামলে নিলো।
“জানো, ভালোবাসা সবসময় থাকে, রয়ে যায়। কিন্তু যাকে নিয়ে স্বপ্নগুলো বুনেছিলে, যার সঙ্গে জীবনটা কল্পনা করেছিলে—যখন সে আর থাকে না, তখন সেই ভালোবাসা একটা শূন্যতার মতো বুকের ভেতর রয়ে যায়।”
“আমি অহনাকে ভুলিনি। কিন্তু আমি ওকে আটকে রাখতেও চাইনি। আমি ওর জন্য অপেক্ষা করিনি, কিন্তু ওর চলে যাওয়ার পরও আমি কোথাও যেতে পারিনি।”
রুহির চোখ জলে ভরে উঠছে।
“আমি জানতাম ওর জীবন অন্যদিকে এগিয়ে গেছে, ও আমাকে ভুলে গেছে। আমি জানতাম ও আর আমাকে ভালোবাসে না। তবুও, যখন শুনলাম ও ফিরছে, আমি মনে মনে ভয় পেয়েছিলাম। ভয় পেয়েছিলাম, যদি পুরনো স্মৃতিগুলো আবার ফিরতে শুরু করে? যদি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আমি আবার হারিয়ে যাই?”
ইরাদ একটুখানি হাসল, তেতো একটা হাসি।

“কিন্তু ফিরে আসার পর ও আমায় ভালোবাসার বদলে একটা সিদ্ধান্ত শোনালো—ও আনাইকে নিয়ে চলে যাবে। তবুও ৩ বছর ছিলো আমার রিকুয়েস্ট এর জন্য। ”
রুহি শ্বাসও নিতে ভুলে গেল।
“আমি বলেছিলাম, আনাই আমার মেয়ে, ও আমার কাছে থাকবে। অহনা বলেছিল, আনাই ওর মেয়েও, ওকে নিয়ে যাওয়ার অধিকার ওরও আছে। আমি তর্ক করিনি। আমি চেয়েছিলাম ও বুঝুক, আনাই শুধু আমাদের মেয়ে নয়, ও একটা পরিবারের অংশ। একটা ভাঙা, তবুও বেঁচে থাকা পরিবার যে এই বাড়ির হাসি,সুখ, শান্তি।”
ইরাদের গলা ধরা গলায় আটকে গেল।
“কিন্তু আমরা মানুষ, রুহি। আমরা সবসময় আমাদের ইচ্ছেমতো জিনিসগুলো গড়ে তুলতে পারি না।”
একটা দীর্ঘ নীরবতা।
রুহি ধীরে ধীরে ইরাদের হাতটা আরো শক্ত করে ধরে ফেলল। ইরাদ তাকাল ওর দিকে।
“যে মানুষটা একদিন আমার সমস্ত পৃথিবী ছিল, সে-ই একদিন আমার সবচেয়ে অপরিচিত মানুষ হয়ে গেল। আমি ওর চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখতে পাইনি। আমি শুধু দেখেছি একটা সিদ্ধান্ত। এবং সেই সিদ্ধান্তটা আমাকে চুরমার করে দিয়েছিল।”

রুহি কিছু বলল না। শুধু হাতের মুঠিটা শক্ত করে ধরল।
“আমি চাইনি ও আমাকে ভালোবাসুক। চাইনি ও আমার কাছে ফিরে আসুক। আমি শুধু চাইনি, ও এভাবে আমাকে শেষ করে দিক।”
রুহির চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ল।
“আমি ওর উপর রাগ করেছিলাম, প্রচণ্ড রাগ। আর সেই রাগেই আমরা শেষবারের মতো ঝগড়া করেছিলাম। আমি হয়তো খুব বেশি কিছু বলেছিলাম। হয়তো কিছু কথা এমন ছিল, যা ওর সহ্য হয়নি।”
ইরাদের চোখ এবার সত্যিই ভিজে উঠল।
“আর তারপর, আমি জানলাম ও মরে গেছে।”
একটা দীর্ঘ নিস্তব্ধতা, যেন পৃথিবীটা এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেছে।
রুহি চোখ বন্ধ করল।
কারো চলে যাওয়া এতোটা নির্মম হতে পারে?
ইরাদের হাতের আঙুলগুলো কেঁপে উঠছে।

“আমি একটাও ক্ষমাপ্রার্থনার সুযোগ পাইনি। আমি জানি না, আমার বলা শেষ কথাটা ওর কেমন লেগেছিল। আমি শুধু জানি, ও চলে যাওয়ার আগে আমার কণ্ঠটাই ওর কানে বাজছিল।”
একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ইরাদ ফিসফিস করল—
“কোনো মানুষ এভাবে হারিয়ে যেতে পারে না, রুহি। কিন্তু ও চলে গেছে। আমি চাইলেও ওকে আর ফেরাতে পারব না। আমি শুধু এই শূন্যতা নিয়ে বেঁচে থাকব। আর আনাই—”
ইরাদ থেমে গেল।
রুহি এবার নিজেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল।
সে জানে না, ইরাদকে কিভাবে সান্ত্বনা দেবে। কিছু কষ্টের কোনো ভাষা হয় না। কিছু শূন্যতা শুধু থেকে যায়, এক অদৃশ্য ক্ষতের মতো, যা কেউ দেখতে পায় না, কিন্তু সবসময় অনুভব করা যায়।
কিছুক্ষণ পর ইরাদ ফিসফিস করে বলল,

“ও মাকে খুব খুঁজতো, রুহি। অহনা চলে যাওয়ার পর মেয়েটা বদলে গেল। আগেও ওর মা কাছে থাকত, অনেকদিন হলো তবুও একটা বিশ্বাস ছিল যে মা ফিরে আসবে। কিন্তু ও জানতো না, মা আর কখনো ফিরবে না।”
রুহির গলা শুকিয়ে এল।
“ও বুঝতে পারত, সবাই কিছু লুকিয়ে রাখছে ওর কাছ থেকে। আনাই তখন খুব ছোট ছিল, কিন্তু বাচ্চারা সব অনুভব করতে পারে। ও রাতের পর রাত কাঁদত। আমাকে আঁকড়ে ধরে থাকত, যেন ছেড়ে দিলে আমিও হারিয়ে যাব।”
ইরাদ কপালে হাত রাখল, যেন মাথার ভেতর জমে থাকা কষ্টের ভার সহ্য করতে পারছে না।
“আমি আমার মেয়ের জন্য একটা মা চেয়েছিলাম, রুহি। কিন্তু মা কি কারও জায়গা অন্য কেউ নিতে পারে?”
রুহির গলায় একটা দলা বেঁধে গেল।

“আমি জানি না, আমার ভেতর কোথা থেকে এতটা ভয় এসেছিল। হয়তো কারণ আমি জানতাম, এই দুনিয়ায় খুব কম মানুষই এতটা উদার, যে অন্য কারও সন্তানের মা হয়ে যাবে নিঃস্বার্থভাবে। আমার মেয়েটার জন্য আমি এমন কাউকে খুঁজে পাব—এই বিশ্বাস করাই আমার জন্য কঠিন ছিল।”
রুহি অবাক হয়ে ইরাদের দিকে তাকিয়ে থাকল। ইরাদ কি এতদিন সত্যিই নিজেকে এইভাবে গুটিয়ে রেখেছিল?
“আর তারপর, আপনি এলেন।”
রুহির হৃদস্পন্দন যেন থমকে গেল।
“আপনাকে প্রথম দেখার পর থেকেই আনাই কিছু একটা অনুভব করেছিল। আমি দেখেছি ওর চোখের দৃষ্টি বদলে গিয়েছিল, যেন কিছু হারিয়ে ফেলা জিনিস হঠাৎ ফিরে পেয়েছে। আমি প্রথমে বুঝিনি, কিন্তু আস্তে আস্তে উপলব্ধি করলাম—আপনার চেহারায় সেই পরিচিত ছায়াগুলো আছে।”
ইরাদ রুহির দিকে তাকাল।
“আপনার মুখাবয়ব অনেকটা অহনার মতো। অনেকটা আমার ভাবি রিহানার মতো।”
রুহি বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল।

“আমার ভাবিকে আমি মায়ের মতো সম্মান করতাম। আর অহনা তো একসময় আমার সমস্ত পৃথিবী ছিল। আপনার চেহেরায় তাদের নিখুঁত প্রতিচ্ছবি দেখে আমার নিজেরই বিভ্রম হতো। কিন্তু আমি জানতাম, এটা শুধুই বাহ্যিক মিল।”
ইরাদ একটু থামল, তারপর বলল,
“কিন্তু আনাই? ওর জন্য এটাই সত্যি হয়ে উঠল। ও আপনাকে দেখে বিশ্বাস করতে শুরু করল—এই তো, মা ফিরে এসেছে।”
রুহির চোখ ভিজে উঠল।
“আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি, কিন্তু ধীরে ধীরে দেখলাম ও কীভাবে আপনাকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে, আপনাকে ‘মা’ বলতে চাইছে। আমি চাইনি ও এভাবে বিভ্রান্ত হোক, কিন্তু ওর মনকে বুঝিয়ে বলার সাহস আমার হয়নি। আমি ওকে আরেকবার ভেঙে ফেলতে পারতাম না।”
রুহি বোঝার চেষ্টা করছিল, কতটা একাকীত্ব আর ভালোবাসার ক্ষুধা নিয়ে আনাই এই ভুল বোঝার জগতে বাঁচছে।
ইরাদ ধীরে ধীরে বলে চলল,

এক চিলতে রদ্দুর পর্ব ১৩

“আমি জানি না, এটা ঠিক কি ভুল। জানি না, এটা আমার অপরাধবোধ থেকে আসা দুর্বলতা, নাকি আমার মেয়ের জন্য একটা আশ্রয় খোঁজা। কিন্তু আমি শুধু জানি, আনাই আপনাকে মায়ের মতো দেখে।”
রুহির চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল।
এই শিশুটার হৃদয়ে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, সেটার জন্য কি সে কোনোভাবে আশ্রয় হতে পারবে?
এদিকে আফান রুহির বাবা মায়ের সাথে দেখা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। কারণ আফানের জীবনে এখন রুহির আগমনই পারে এক চিলতে রোদ্দুর নিয়ে আসতে……

এক চিলতে রদ্দুর পর্ব ১৫