এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১১
Chadny islam
ইরা বেশ রেগে গিয়ে ঈশান কে ডাকলো!!
“”ঈশান ভাইয়া!!!
ইরা এত জোরে শব্দ করে ডাকছে দেখে ঈশান টপ করে জুথীর হাতটা ছেড়ে দিয়ে ইরার কাছে জানতে চাই কি হয়েছে!!
ইরা বেশ বিরক্তি নিয়ে বললো!!!
__এই ইস্টুপিট টা কে আমাদের বাড়িতে কেনো নিয়ে এসেছো।
এতখনে আদিল পায়ের উপর পা তুলে বসে পরেছে সোফায়৷ ঈশান এর প্রশ্নের উওর দেয়ার ঠিক আগে আদিল বললো!!
__ ইশান আমাকে নিয়ে আসি নি! বরং আমি তোমার ভাইয়া কে নিয়ে এসেছি গাড়ি ডাইভ করে।
ইরা ঈশান এর দিক থেকে মুখ গুরিয়ে আদিলের দিকে তাকিয়ে বললো!!
_-আমার এনগেজমেন্টে আসার কারন টা জানতে পারি??
আদিল সোফায় বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে দীড় গতিতে এগলো ইরার দিকে আর বাঁকা হেসে বললো!!
___খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে মায়াবী! ঠিক আমার স্বপ্নের রাণীর মতোন!
আমি আমার সৌন্দর্যের ব্যাখা দিতে বলিনি আপনাকে কেনো এসেছেন এখানে!!
“”তোমাকে তোলে নিয়ে যেতে এসেছি!!!
ইরা দাঁতে দাঁত পিসে বললো!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
__আমি আপনাকে কি একটি বার বলেছি! যে আমি আপনার সাথে যেতে চাই??
আদিল বাকা হেঁসে বললো!!
__সব কথা মুখে কেনো বলতে হবে কিছু কথা চোখ দেখে ও বুঝা যায়। তুমি মুখে বলো নি লজ্জায়। কিন্তু তোমার চোখের ভাষা আমি বুঝতে পেরে নিতে চলে এসেছি তোমাকে!!
ইরা বেশ বিরক্ত হলো আদিলের এই রকম উল্টা পাল্টা কথাই।ইরা আদিল কে সাসিয়ে বললো!!
__আপনি যানেন আমার কার সাথে এনগেজমেন্টের কথা চলছে???
আদিল গম্ভীর গলাই ইরা কে শান্ত করার জন্য বললো!!
__রিলাক্স মায়াবিনী!!আমি সব জেনে শুনেই তোমাকে নিতে এসেছি।
ঈশান আর জুথী দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব টাই দেখলো তাদের এখন মনে হচ্ছে কোনো নাটক বা সিনেমা দেখছে। তবে শুটিং টা মন্দ নয়। ঈশান একটু এগিয়ে জুথীর কানের কাছে গিয়ে ফিফিস করে বললো!!
__আপনার মনের মনিকোঠায় কি কাউকে বাড়া দিয়ে রেখেছেন???
জুথী ঈশানের কথাটা বুঝতে পারে না। ফের আবার জিজ্ঞেস করে কি বললেন!!!
__আপনার কাউকে ভালো লাগে!মানে ভালোবাসেন কাউকে??
জুথী শান্ত গলাই বলে!!
__কি বলছেন এসব! আমি এখনো ছোট!!
কেনো আপনি বাচ্চা কথা বুঝতে পারেন না! ঈশান এর কর্কট কথা শুনে জুথী বেশ কিছুটা দূরে চলে গেলো!!
আজাদ চৌধুরী সবার খাবার ব্যাবস্থা করছেন। ইকবাল খান বসে আছেন রোশান এর ঠিক পাশে। রোশানের ফোন এত বেশি কল আসছিলো! যে রোশান বিরক্ত হয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছে। রোশান ইকবাল খান কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__আমি আজকে শুধু এনগেজমেন্ট নয় বিয়ে করে ইরা কে সাথে করে নিয়ে যেতে চাই।
ইকবাল খান কিন্তু বলতেই! রোশান চোখ গরম করে ইকবাল খান এর দিকে তাকিয়ে রাগান্বিত গলাই বললো!!!
__তোমাদের এক্সকিউজ শুনতে আমি আসি নি সব কিছুর ব্যাবস্থা করো!! ইকবাল খান সম্মতি জানিয়ে বলে ঠিক আছে।
আশরাফ সিকদার পাইচারী করছে এই বার এই দিকে তো আরেক বার আরেক দিকে হাটছে। মুখ বেয়ে ঝড়ড়ে ঘামের সহস্র ফোঁটা। অহনা সিকদার বার বার লক্ষ্য করলেন এই বিষয় টা। বেশ বিরক্ত হয়ে বললেন!!
__সমস্যা কি তোমার এমন করছো কেনো??
আশরাফ সিকদার চমকে উঠে বললেন!!
__ আমার এখন পযর্ন্ত কিছু হয় নি! তবে শেষ পযর্ন্ত কি হবে আমার জানা নেই।
অহনা সিকদার মানে টা বুঝলেন না আর জিজ্ঞেস ও করলো না। বরং রেডি হয়ে নিচে চলে গেলো!আইরা আর সোনালি তালুকদার রেডি হয়ে বসে আছে সবাই এক সাথে শপিং এ যাবে বলে।
ইকবাল খান বেশ কিছুটা গম্ভীর গলাই বললেন!!
__চেয়ারম্যান সাহেব আপনার কাছে আরেক টা অনুরোধ করতে আসলাম।
আজাদ চৌধুরী মুখে হাসি নিয়ে নিজ সংকোচ ভাবে বলার জন্য অনুরুধ করলে।ইকবাল খান জানাই যে আজকে শুধু এনগেজমেন্ট নয়! আমার ছেলে চাইছে একদম বিয়ে করে বাসাই নিয়ে যেতে আপনার মেয়ে কে। আজাদ চৌধুরী মুখটাকে গোমরা করে ফেললেন। এই মুহুর্তে না করলেও তারা শুনবে না বরং জিদ দেখাবে তার কি প্রয়োজন এনগেজমেন্ট যেহেতু হচ্ছে। বিয়ে টাই হবে মেনে নেয়া টাই উওম। আজাদ চৌধুরী সম্মতি জানিয়ে বলে ঠিক আছে আপনারা যেটা চাইছেন সেটাই হবে। আপনারা আগে খাওয়া দাওয়া শেষ করুন।
আদিল দুষ্ট হেসে ইরা কে জিজ্ঞেস করলো!!
__ এই মায়াবীনি তোমার পছন্দের ফুল কোনটা??
ইরা বেশ অভাক হয়ে বললো!!!
__কেনো???
আদিল ইরার খুব কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো!! __বাসর ঘর টা সাজাতে হবে না! এত টাইম ওয়েষ্ট করলে হবে??তার দেরি সহ্য হচ্ছে না কিন্তু???
ইরা আদিল এর থেকে বেশ দূরে গিয়ে বললো!!
__ঈশান ভাইয়া তোমার ইস্টুপিট বন্ধু কে চলে যেতে বলো! যদি আমার হবু জামাই জানে আমার সাথে ফাজলামি করছে। এই ইস্টুপিট টাকে জানে মেরে দিবে।
ঈশান ৩২ পাটি দাত চেপে হাসতে হাসতে বললো!!
__তোর সমন্ধি আর আমার হওয়া হলো না রে আদিল! তোর জন্য এক বালটি সমবেদনা! তুই বরং বিদেশি দলা বিড়াল কেই বিয়ে করিস। সিইজ বেরি হটস।
জাস্ট সেট আপ! কুত্তার নজর পরবে আমার বউয়ের উপর আমি থেকেই আগেই জানতাম।তাই ডিসিশন ফাইনাল বিয়ে করলে তোর বোন কেই করবো! নজর দেয়া তো দূরেই থাক আমার বউ কে দেখলে আপু আপু করতে করতে মরে যাবি।
ইরা দুই জন কেই অবাক হয়ে দেখলো সে কাকে কি বলছে। এখন কি করবে বুঝতে পারছে না। তার অচেনা পুরুষ টিকে দেখতে ও পাচ্ছে না।
আদিল এর ফোন কয়েক বার রিং হওয়াই আদিল বেশ বিরক্ত নিয়ে ফোন রিসিভ করলো!!!
__হোয়াটস ইউর প্রবলেম ড্যাড! তুমি কি চাইছো আমি বিয়ে টা যেনো না করি। আমার বয়স কত হয়েছে ড্যাড তুমি জানো।
অপর প্রান্তের কলে থাকা আশরাফ সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!
__অসভ্য ছেলে! তোমাকে জন্ম আমি দিয়েছি তোমার বয়স জানবো না মানে!! তাছাড়া আমি ড্যাড হয় সম্মান দিয়ে কথা বলো!!
আদিল হাসি হাসি মুখ করে বললো!!
__আমার দাদাভাই এর সম্মানিত ছেলে!! বলো কি বলার জন্য কল করেছো!
__অসভ্য ছেলো কোথাই আছো তুমি??
__কেনো ড্যাড আসার সময় তোমাকে বলে আসলাম না! বিয়ে করতে যাচ্ছি! তোমার প্রোপোলারেটি বাড়াতে যাচ্ছি!
আশরাফ সিকদার বুকের বাম পাশে হাত দিয়ে গম্ভীর গলাই বললেন!!
__আমি এখনি স্টোক করছি! তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসো!!
ড্যাড ড্রামা বন্ধ করো বরং ছেলের বউ ঘরে তোলার ব্যবাস্থা করো!!
__কোথাই তুমি বলো আমি এখনি আসছি!!
__আমি আমার শশুর বাড়ীতে ড্যাড! তুমি বরং কষ্ট করে খুঁজে চলে আসো !!
ইরা নিজের কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে বললো!!
__ইরা আল্লাহ এ কেমন পুরুষ বানাইছো! লজ্জা সরম কোনো কিছুই যাই! যার কপালে এই ইডিয়েট টা আছে তার জীবন টা জাহান্নাম হয়ে যাবে।আল্লাহ ওই নারী কে তুমি দৈয্য দাও।
__আল্লাহ তুমি আমার হবু বউয়ের দোয়া টা কবুল করো। আমিন!
ঈশান জুথীর কাছে গিয়ে কে বললো!!
__চলো আমরা ও বিয়ে টা করে ফেলি!! সব রিক্স আদিলের!!
জুথী বলে!!
গুনে গুনে দশ হাত দূরে যান আপনি!আমি এখনি বিয়ে করবো না! আর পরবর্তীতে বিয়ে করলে ও আপনার মতোন লাফাঙ্গা কে করবো না।
ঈশান চেতে গিয়ে বললো!!
__আমি লাফাঙ্গা??
জুথী শান্ত গলাই বললো!!
__যার বন্ধু এত বেশি লাফাঙ্গা! অন্যের এনগেজমেন্টে অন্যের বউকে বিয়ে করতে আসে সে নিশ্চয় ভালো মানুষ নয় তাই না! সেখানে আপনি কি করে ভালো মানুষ হন!! বলবেন প্লিজ!!
আমার উঠিত ছিলো আদিলের হাতে আমার বোন কে তুলে দেয়ার সেটা করলে হয়তো বড় ভাইয়ের মতোন কাজ হতো। কিন্তু আমি তো সেটা ও করছি না আমি ভালো মানুষ টাস্ট মি জুথী।চোখ বন্ধ করে আমাকে বিয়ে করে পারবে! এক বার ট্রাই করে দেখতে পারো।
__কোনো প্রয়োজন নেই!!
ইরা এদের কান্ড কারখানা দেখে বেশ বিরক্ত হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে বাইরে চলে গেলো। ঘরের ভেতরে তেমন কাউকে দেখতে না পেয়ে খাওয়ার স্টেজে গেলো। বাইরে সবার অবস্থা দেখে রীতিমতো অভাক হয়ে গেলো ইরা! বাইরে রাখা বড় বড় সোফার পাশে পরে আছেন আজাদ চৌধুরী। তার বেশ কিছু টা দূরে সুয়ে আছেন ইকবাল খান এবং তার ছেলে রোশান। ইরা অল্প তাকাতেই দেখলো রোশান কে। সে চেনে তো রোশান কে সেদিন ঘাড়ি করে বাসাই পৌঁছে দিয়ে গিয়ে ছিলো। তাহলে কি ফোনের অপর প্রান্তের পুরুষালী কন্ঠের মানুষটি রোশান। ইরা আর বেশি কিছু না ভেবে আজাদ চৌধুরী কে ডেকে তুলার চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু আজাদ চৌধুরী ওঠার নাম নেই পযর্ন্ত! ইরা তারাতাড়ি করে পার্লস চেক করলো। কিন্তু পার্লস তো ঠিকি আছে। সবাই এক সাথে এই ভাবে পরে থাকতে দেখে ইরা বেশ ঘাবড়ে গেলো। ইরার পেছনে জুথী ও আসলো ইরা কে উপরে তুলে একটা চেয়ারে বসালো। আদিল এতখনের কান্ডে বেশ মজা পেলো। তার সব কিছু মিলিয়ে ভালোই লাগছে। তবে এই মূহুর্তে তার পরীর মতোন বউয়ের চোখের পানি টা বেশ বেমানান লাগছে।
ঈশান আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__এগুলা যে তুই করে ছিস আমি বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারছি। তবে এরা কি বেঁচে আছে নাকি পরপারে চলে গেছে।
আদিল বাঁকা হেসে বললো!!
__এই বয়সে জেলের মোটা ভাত কি নামবে আমার গলা দিয়ে। আমি জেলে গেলে আমরা বউ টা তো এতিম হয়ে যাবে । তাই হবু বউ এর কথা চিন্তা করে সবাই কে ছোট খাটো একটু রেস্ট এর ব্যবস্থা করে দিলাম।
আদিল এর এমন হাসি মুখ দেখে ইরা বেশ চটে গেলো। তার এই মূহুর্তে বেশ বিরক্ত লাগছে আদিল কে। তবে কিছু বললো না বরং ঈশান কে বললো!!
__ভাইয়া তুমি প্লিজ এ্যামবোলেস্ছ কে কল করো!! তাড়াতাড়ি সবাই কে হসপিটালের নিয়ে যেতে হবে।
আদিল ঠোঁট ঠোঁট কামড়ে বললো!!
__তুমি এদের চিন্তা করা বন্ধ করো!বরং নিজের চিন্তা করো আর মাএ কয়েক সেকেন্ড!!
“”হোয়াট!
আদিলের হাতে থাকা ফুলটা ইরা দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো!! দেখো তো ফুলের ফিলেব্যার টা কেমন।আজকে সারা রাত এই ফিলেব্যারটা নিয়েই কাটিয়ে দিতে হবে মাই ডিয়ার হবু বউ ।
ইরা বেশ উওেজিত হয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আদিল ফুল টাকে ইরার মুখের সামনে দরলো। ব্যাস কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ইরা ডলে পরলো। ডলে পরতেই আদিল টপ করে দুই হাত দিয়ে আঁকতে দরে ইরা কে। আর মনে মনে আওড়াতে থাকে।
__ এই টা মেয়ে নাকি তুলার বস্তা!! ওপপপপপ এত স্ফট কেনো!!
ঈশান বেশ কৌতুহল নিয়ে বললো!!
__কি করছিস এটা???
পালিয়ে যাচ্ছি তোর বোন কে নিয়ে পারলে আটকা!!
ঈশান এক দৌড়ে জুথীর কাছে গিয়ে বললো!!
__জুথী তুমি কি ইচ্ছাই আমার সাথে যাবে নাকি আদিল এর থেকে ফুল টা নিয়ে আসবে।তোমাকে অঙ্গান করার জন্য! ঈশান এর এমন কথাই জুথী এক দৌড়ে চলে যায় এক দম গেটের বাইরে।
আদিল ইরা কে কোলে তুলে নিয়ে সোজা চলে যায় গেটের বাইরে নিজে দের গাড়িতে! গাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসাই ইরা কে। ইরা পুরো পুরি ভাবে অঙ্গান হয়ে গেছে। ইশান কোথাই গেলো খুজে না পেয়ে আদিল কল করলো আর বললো কিছু খন পর লোকেশন পাঠিয়ে দিবো কাজী নিয়ে চলে আসিস। আদিল গাড়ি স্টার করে অতি দ্রুত চলে যায় ইরাদের বাড়ীর আশে পাশে থেকে। বাইরের সব বডিগার্ড গুলো ও নিসতেজ হয়ে পরে আছে।
প্রায় বিশ মিনিট পর সবার জ্ঞান ফিরলো। কিন্তু তারা ঠিক ভাবে হাটতে পারছে না। মাথা ঘুরছে। রোশান এক মিনিট ও দাড়ালো না সোজা এই দৌড়ে প্রবেশ করলো বাড়ির ভেতরে। পুরো ঘর প্রত্যক টা রুম খুব ভালো করে দেখলো । কিন্তু ভেতরে কাউকে না পেয়ে দৌড়ে আসলো গেটের বাইরে। বাইরে গিয়ে দেখলো সব আধ মরা হয়ে পরে আছে রাস্তায়। রোশান অতিরিক্ত রাগে দাতে দাঁত পিসে বললো!!
__কোন সুওরের বাচ্চার এত সাহস হলো!যে আমার কলিজায় হাত লাগালো! তার কি জানের মায়া নেই।
আদিল গাড়ি থামালো এক নিলি বিলি শুনশান একটি বাড়ির সামনে। বিশাল বড় এই বাড়ি দেখতে চমৎকার । আশেপাশে লোক জনের তেমন কোনো সারা শব্দ নেই। গাড়ির শব্দ পেয়ে গেট খুলে দিলো বাড়ির দারোয়ান। আদিল গাড়ি থেকে নেমে ইরা কে কোলে তুলে নিয়ে সোজা উপরে চলে গেলো।আদিল ইরা কে কোলে থেকে নামিয়ে বিছানায় সুয়ে দিলো। আর সাথে সাথে কল করলো ঈশান কে!!
__হ্যালো!!
__হ্যা বল!!
লোকেশন পাঠিয়ে দিয়েছি! অতি দ্রুত কাজী নিয়ে চলে আয়। সহ্য হচ্ছে না আমার! তোর বোনের রুপের আগুনে আমি ঝলসে যাচ্ছি।
__চুপ সালা বেহায়া ফোন রাখ!!! আমি সম্মন্ধি হয় তোর!
ঈশান কল করে আশরাফ সিকদার কে বললো!! __আংঙ্গেল সম্মান বাঁচাতে চাইলে এই লোকেশনে চলে আসুন। আপনার ছেলে তো একটা আকাম করে ফেলছে।
আশরাফ সিকদার এর বুক দরফর করছে। সে জানে আদিলের দ্বারা এগুলা ছাড়া আর বেশি কিছু না হবে। আশরাফ সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১০
__তুমি যাও আমি কিছু খন পর আসছি।
আশরাফ সিকদার যাওয়া তো দূরের কথা বরং বুকে হাত দিয়ে স্টোক এর নাটক করে বিছানায় সুয়ে পরলো।যদি আমার রাগিণী বউ টা জানে আমি কোনো নয় ছয় করেছি। তাহলে আমাকে সোজা উপরে পাঠিয়ে দিবে। আমি একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরা ভুলে যায় কি করে। কেউ আমাকে সম্মানি করে না। কোথাই গিয়ে বিচার দিলে নায্য সম্মান টা পাওয়া যাবে।
