এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৫
Chadny islam
ইরা পরিপাটি করে শাড়ি পরে উপরে নিজের রুমে চলে আসলো। এর মধ্যে আদিল নিজেও সাওয়ার নিয়ে নিয়েছে। ইরা আয়নার সামনে গিয়ে নিজের চুল গুলো কে বেঁধে নিলো।আদিল রাজনীতি নিয়ে ফোনে বেশ কিছু খন যাবত আলাপ আলোচনা কর ছিলো। আর মাএ কিছুদিন বাকি তারপর থেকে মন্ত্রীর আসন টা পেতে হলে বেশ দৌড়াদৌড়ি করতে হবে তাকে। যেখানে আশরাফ সিকদার নিজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! সেখানে অন্য দের মতোন খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না আদিল কে। আদিল রাজনীতির পাশাপাশি বিজনেস ও করবে। এক দিকে বাবা আর অন্য দিকে মা দুজনের সাথে সম্পর্ক ভালো রেখে সামনের দিকে এগোতে হবে। আদিল ফোনে কথা শেষ করে যেই রুমে প্রবেশ করবে! ঠিক তখনি চোখে পরে ইরা কে তার মায়াবী নারী কে আজ আরও বেশি সুন্দর লাগছে বেবিডল কে!! যত দিন যাচ্ছে তার সৌন্দর্য কি আরও বেশি বাড়ছে নাকি! আমিই আজকাল একটু বেশি ভালোবেসে ফেলছি এই মায়াবীনি কে। তাই আদিল ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো,!!
__আচ্ছা তুমি এত সুন্দর কেনো??
ইরা এত খন অন্য মুনষ্ক থাকলে ও আদিলের কথা টা বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারলো ইরা।তবে কোনো রকম উওর করলো না। চুপ করে নিজের কাজে মন দিলো। আদিল তাকিয়ে আছে ইরার দিকে। আর ভাবছে বাসর টা কবে করবো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ঈশান জুথী কে পেছনে রেখে আগে আগে প্রবেশ করছে বাড়ির ভেতরে। জুথী বেশ ভয়ে কাঁপা-কাঁপি করতে করতে ঈশান এর পিছু পিছু আসছে। ঈশান বেশ স্বাভাবিক ভাবে হাঁটছে হঠাৎ করে জুথী কে ভয় দেখানোর জন্য বললো!!
__জুথী ওই দেখো ওই টা কি??
জুথী এক লাফে ঈশান এর বেশ কাছে চলে আসে! জুথী ভয়ে ভয়ে ঈশান কে বলে!!
__ওই যে কি??
ঈশান হাসি চেপে বললো!!
__আরে টিকটিকি! ভয় কেনো পাচ্ছো! তুমি কি টিকটিকি ভয় পাও??
জুথী ঈশান এর কথা শুনে ঈশান এর থেকে বেশ দূরে চলে চাই আর বলে!!
__না আমি টিকটিকি দেখে ভয় পাই না!! আমি তেলাপোকা থেকে অনেক ভয় পাই!!
সিকদার মহলের চারপাশে মিডিয়া প্রেস গুরা গরি করছে। তাদের কাছে খবর আছে আদিলের বিয়ে করার।আশরাফ সিকদার কল করে ছিলেন থানায়। কিছু খনের ভেতরে পুলিশ প্রাশন কে পাঠিয়ে দেয়া হবে এই সিকদার মহলে।আশরাফ সিকদার যথেষ্ট সেনসেটিভ একজন মানুষ। আশরাফ সিকদার সোফায় বসে কফি খাচ্ছেন। ঠিক তখনি কল করে আশরাফ সিকদার এর ছোট ছেলে!!
__হ্যালো!! কেমন আছো ড্যাড
__ভালো আছি মাই বয়! তুমি কেমন আছো।
আশরাফ সিকদার এর ছোট ছেলের নাম #আরিয়ান_সিকদার_আদিব! সে বতমানে ইউএসে পড়াশোনা করছে। বড় ভাইয়ের বিয়ের সংবাদ শুনে কল করেছে আশরাফ সিকদার কে।
__ড্যাড তুমি তো বলে ছিলো আইরা আপুর সাথে বিয়ে ঠিক করে রেখছো!! সেই বিয়ে তো আরো দুই দিন বাকি!! তাহলে ভাইয়া বিয়ে করলে কাকে??
আশরাফ সিকদার মুখ টাকে গোমরা করে বললেন!!!
__আমি নিজেও জানি না তবে শুনেছি। চেয়ারম্যান বাড়ির মেয়ে।।
আদিব শান্ত গলাই বললো!!
__যাক ড্যাড তাও ভালো হয়েছে!অন্তত ভালো পরিবারের মেয়ে কে বিয়ে করছে তোমার সম্মান টা নষ্ট করে নি। দেখতে হবে না কোন বাড়ীর ছেলে। না মানে কার বড় ভাই।
আশরাফ সিকদার গলা গম্ভীর কে বললেন!!
__তুমি আমার সম্মান নিয়ে কথা বলো না আদিব। আমার স্টোক হবে।
আদিব নিজের হাসি চেপে বললো!!
__তুমি সেই আগের মতোই ভিতু আছো ড্যাড।
আশরাফ সিকদার গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন!!
__আমি ভিতু হতেই পারি না প্রশ্নই আসে না! আমি এক জন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমার ভয় পেলে চলবে। যাই হোক কইটাই ফ্লাইট তোমাদের কখন আসবে!!
বিকেলে ফ্লাইট ড্যাড আসতে বেশ রাত হবে। তুমি টেনশন করো না আমার সাথে ভাইয়া ও আসবে।
আশরাফ সিকদার সম্মতি জানিয়ে বললেন! ঠিক আছে সাবধানে আসো। সব কিছু ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।
জুথীকে আরেকটু ভয় দেখানোর জন্য ঈশান জুথীকে বেশ জুরে চেচিয়ে বললো!!!
__ওই দেখো জুথী তোমার মতোন বড় সাইজের তেলাপোকা!!!
জুথী ভয়ে টুকরে উঠে ঈশান কে ঝাপটে দরে কেঁদে দিয়ে বললো!!
__প্লিজ ওইটা কে তাড়িয়ে দিন!!
“”ঠিক আছে তাহলে তুমি আমাকে বরং আরেক টু শক্ত করে দরো।
জুথী সত্যি দুহাতে ঝাপটে দরলো ঈশান কে। আর বললো!!
__প্লিজ এটা কে তাড়িয়ে দিয়ে আমাকে ইরার কাছে নিয়ে চলুন।
ঈশান সম্মতি জানিয়ে বললো ঠিক আছে। ঈশান জুথীর হাত দরে নিয়ে উপরে উঠে আসতেই চোখাচোখি হয় রিফাত এর সাথে। ঈশান আর জুথী কে দেখে কপাল কুঁচকে রিফাত বলে!!
__ভাই আমি তো ভাব ছিলাম। আপনি হয়তো বুড়ি নয়তো অন্যের বউরে নিয়ে আসবেন! এত তো দেখি এক অল্প বয়সের কিশোরী কেমন পটাইলেন ভাই।যদি টিপস্ টা দিতেন!!
ইশান দুষ্ট হাসি হেসে বললো!!
__তোরে বলে কি লাভ তোর যে চেহারার হাল মেয়ে কেনো মেয়ের নানী ও বিয়ে করবে তোকে।
ভাই আপনে কিন্তু আমারে ইনসাল্ড করলেন!!
জুথী ঈশান আর রিফাত এর কথার মানে বুঝতে পারলো না। বেশ অভাক হলো ঈশান এর হাতে থাকা নিজের হাত টা ছাড়িয়ে বললো!!
__কি বলছেন এসব??
রিফাত জুথী কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
___ভাবী আপনার কোনো আপনার মতোন সুন্দর বান্ধবী বা বোন নাই।থাকলে আমি ও….
কথা শেষ হওয়ার আগেই জুথী রেগে গিয়ে বললো!!
__কিসের ভাবী কে ভাবী। কি বলছেন এসব???
ইশান দৌড়ে গিয়ে রিফাত এর মুখটা চেপে দরে বললো!!
__সালা মীর জাফরের বংশ বিয়ে করার আগেই কিনা ডির্বোস করার ব্যাবস্থা করছিস।
রিফাত টেনে ঈশান এর হাত টা ছেড়ে দিয়ে কর্কট গলাই বললো!!
__সালা চাপাবাজ!!
পারুল সকালের খাবারটা ঘরেই দিয়ে ছিলো! আদিল আর ইরা নিজের খাবার টা শেষ করে! ইরার বেলকনির এক পাশে দাড়িয়ে আছে। আদিল ইরার কাছে গিয়ে ইরার দিকে বেশ অনেক খন তাকিয়ে দেখলো ইরা কে ইরা ও তাকিয়ে দেখছে আর মনে মনে কয়েক শত বকা দিয়ে নিচ্ছে। আদিল মনের খবর টা বুঝতে পারলো না তবে আদিল এর দিকে ইরাকে তাকাতে দেখে ঠোঁটে ঠোট কামড়ে আলতো করে বললো!!
__এত চোখাচোখি করছো কেনো বউ!ভালো লাগে নাকি আমাকে?? আমরা না হয় এই চোখা চোখি করার খেলা টা না রাতে আমাদের বেডরুমে গিয়ে খেলবো!!
ইরা কপাল কুঁচকে ফেললো। আর ভাবলো এই মানুষ টা কে নিয়ে কিনা তার সারাজীবন কাটাতে হবে। সে তো এই দুই দিনের অনেক বেশি ক্লান্ত।ইরার ভাবনার মাঝে জুথী দরজাই করা নারাতেই ইরা দরজা খোলে দিয়ে দেখে জুথী। জুথী ইরা কে ঝাপটে দরে সে কি কান্না!ইরা জুথী কে সামলানোর জন্য আদুরে গলাই বললো!!
__তুই কেনো কান্না করছিস পাগলি! আমার তো কিছু হয় নি আমি এক দম ঠিক আছি! এক দিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
জুথী কান্নারত অবস্থায় ইরা কে বললো!!
__কালকে রাতে আন্টি কল করে ছিলো। আমি তোর বিষয়ে কিছু জানি কিনা জানতে। বল আমি তো সব কিছুই জানতাম। কিন্তু পরিস্থিতি টা সামলাতে পারলাম না অনেক ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলাম আমি। সারা এলাকা সমাজ তোদের কে নিয়ে বাজে আলোচনা করছে আমার এক দম ভালো লাগছে না এই গুলা শুনতে। আংঙ্কেল এর শরীররা বেশি ভালো না।
ইরা জুথী কে ছেড়ে দিয়ে বরং জিজ্ঞেস করলো জুথীর কাছে কোনো ফোন আছে কিনা। কিন্তু জুথী তো ফোন সাথে করে নিয়ে আসে নি কলেজে তো ফোন আনা নিষিদ্ধ। ফোন না পাওয়া তেই ইরার মুখটা ফেকাসে হয়ে গেলো। তাই ইরা কে শান্ত করার জন্য জুথী বললো আমি ঈশান ভাইয়ার কাছে থেকে ফোন এনে দিবো!! ইরা তার প্রতি উওরে বলে!!
__আব্বু আম্মু ঈশান ভাইয়ার নাম্বার টা চিনে। আমি যদি ভাইয়ার ফোন থেকে আব্বু কে কল করি তাহলে আব্বু ঈশান ভাইয়া কে সারাজীবন এর জন্য ভুল বুঝবে। আমার জীবন টা তো নষ্ট হয়েই গিয়েছে। আমি চাই না আমার জন্য আব্বু আর ভাইয়ার সম্পর্ক নষ্ট হোক।
জুথীর বেশ কিছুখন পর রুমে প্রবেশ করলো ঈশান আর রিফাত আদিল এত খন যাবত বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ছিলো ঈশান আর রিফাত এর বকবকানি শব্দ শুনে রুমে আসতেই দেখে সব সালা রা তার বিছানা দখল করে নিয়েছে। আদিল শক্ত পোক্ত গলাই বললো!!
__সালা এই বিছানায় তোরা কোন সাহসে উঠেছিস। আমার কত স্বপ্ন ছিলোএই বিছানায় আমার প্রথম বাসর টা করবো। কিন্তু আমার কুওা কপাল বাসর রাতে আমার বউ আমারে রুমের বাইয়ে রাখছিলো। তাই বলে তোরা আমার বিছানাই সুয়ে পরবি শক্ত লাথী খাওয়ার আগে বিছানা থেকে ওঠ।
ঈশান দুষ্ট হাসি হেসে বললো!!
__আর যদি বিছানা থেকে না উঠি তখন কি করবি।
আদিল শক্ত পোক্ত গলাই বললো!!
__তা না উঠলে আমি কিন্তু পটি করে দিবো তোদের উপর। উঠবি সালা!!
রিফাত ঈশান কে বললো!!
__ইশান ভাই আপনি উঠবেন না প্লিজ!! এই সুযোগে যদি ভাইয়ের….
আদিল রাগান্বিত হয়ে দাঁতে দাঁত পিসে বললো!!!
__চুপ কর সালা! আমার সম্মান টা খেয়ে ফেলবি।।
এদের এতখনের ফাজলামোর সাক্ষী ইরা আর জুথী। তারা আগে ও শুনছে ছেলে দের বন্ধুত্ব নাকি অনেক স্ট্রং হয়! আজ কাল এদের বন্ধত্ব দেখলেও সেটাই মনে হয়।আদিল বিছানায় দুইজনের মাঝে গিয়ে সুয়ে পরলো! আদিল এতখন জুথী কে খেয়াল করে নি পরে খেয়াল করলে জুথীকে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__আরে সালি তুমি কখন এলে।
জুথী শান্ত গলাই মাথা নইয়ে করে বললো!!!
__কেবল এসেছি ভাইয়া।
আদিল বেশ কিছুটা চেতে গিয়ে বললো!!
__কিসের ভাই দুলাভাই বলো! দশ-টা না পাঁচ টা না একটা মাএ সালী।
__আচ্ছা দুলাভাই।
আদিল জুথী কে ভালোবাসা শহীদ কাছে ডেকে বললো!!!আসো এখানে বসো।
জুথী এগিয়ে গিয়ে বিছানার এক পাশে বসলো। আদিল সহ সবাই উঠে বসলো। আদিল জুথী কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__তুমি জানো সালী হয় আধা ঘরওয়ালি।তাই নির দ্বিধায় আমার উপর সব দরনের অধিকার দেখাতে পারো।
জুথী ও কম যায় না তাই আদিল কে পাল্টা ঠেসে বললো!!
__ওপপপপসসস! তাই নাকি দুলাভাই! এত সুন্দর একটা সালী পেয়েছেন খুশিতে একটা লুঙ্গি ডান্স দেন দেখি।
আদিল ঈশান কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__আরে সালা গান বাজা!!
ঈশান সাথে সাথে গান বাজাতে শুরু করলো।ঈশান গান বাজানোর পর মূহুর্তেই আদিল এর মনে পরলো সে তো লুঙ্গি পরে নি। প্যান্ট পরে কি লুঙ্গি ড্যান্স দিলে হবে।এখন লুঙ্গি কেথাই পাই।তাই আদিল ঈশান কে উদ্দেশ্য করে বললো!!!
__লুঙ্গি ছাড়া লুঙ্গি ড্যান্স কিভাবে দিবো!! লুঙ্গির ব্যবস্থা কর! শালী লুঙ্গি ড্যান্স দেখবে বলেছে না দেখালে আমার সম্মান টা কি থাকবে বল।
ঈশান কিছু বলার আগেই রিফাত বললো!!
__ভাই সোজা কবরে চলে যান।
আদিল বেশ কৌতুহল নিয়ে বললো!!!__কেনো???
লুঙ্গি ঈশান নিয়ে আসলেও তো আপনি পরতে পারবেন না। আপনি বরং জয় আমির এর থেকে লুঙ্গি পরার স্টাইল টা শিখে আসেন।
আমি জয়ের কাছে গেলে তো গালি ও শিখে আসবো সালারা হজম করতে পারবি আবার??? সালা তোরা শেষ মেষ কিনা জীবন্ত মানুষ টাকে ও মারার ছক করসিস। ছিছি এই তোরা আমার বন্ধু! আজ সমাজ কোথায়। আজ আমি ও অবহেলিত।
ঈশান রাগে কটমট করে বললো!!
___এক নাম্বারের নাটক বাজ সালা তুই!!
পারুল সবার জন্য খাবার রেডি করছে! আদিল আর ইরা সকালের খাবার খেয়ে ছিলো। এখন সবাই এক সাথে দুপুরের খাবার খাবে। আদিল ঈশান রিফাত সবাই ড্রয়িং রুমে খাবার টেবিলে গিয়ে বসলো জুথী হালকা ফ্রেশ হয়ে এলো তারপর দুইজন নিচে খাওয়ার টেবিলে এসে বসলো। পারুল সবাই কে খাবার পরিবেশ করে দিচ্ছে।ইরার পিলেটে তুলে দিয়েছে একটি বড় সাইজের মাছের পিস ইরা ভাতের সাথে মাছ টাকে নারছে কিন্তু কাটা বেছে খেতে পারছে না। আদিল কয়েক বার খেয়াল করে দেখলো বিষয় টা। আদিল নিজের চেয়ার টা ছেড়ে ইরার পাশের চেয়ার টাই গিয়ে বসলো। ইরার পিলেট থেকে মাছটা নিজের পিলটে নিয়ে কাটা বাঁচতে শুরু করলো। ইশান আর রিফাত হেসে হেসে আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__ভাই টুরু লাভ!!
__চুপ সালা!!
ইরা বেশ লজ্জা পেয়ে আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__প্লিজ আপনি নিজের খাবার টা শেষ করুন! আমি বেছে খেতে পারবো!!
হুম সেটা তো আমি কয়েক মিনিটেই দেখলাম! কোনো সমস্যা হবে আমি বেছে দিচ্ছি তুমি খাও।
__লাগবে না বলছি তো।
__কেনো লাগবে না!
__এমনি!!
__সারাজীবন তোমার দায়িত্ব টা নিতে পারলেও ! এই মাছ থেকে কাটা ছাড়ানোর দায়িত্ব টাও নিতে পারবো। টাস্ট মি. চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারো আমাকে।
রিফাত হেসে বললো ইরা কে!!
__ভাবী ভাই কিন্তু আপনাকে কানা হতে বলছে।
সালা তোরা পরের জনমে কুকুর হয়ে জন্ম নিবি। আমার প্রেমে কিনা সব সময় ব্যাঘাদ গটাস! এর জন্য মানুষ বলে ঘরে শএু বিবিশন।
খাওয়া শেষ করে ছেলেরা উপরে চলে যেতেই ইরা পারুল কে বার বার খাওয়ার জন্য অনুরুধ করলো। ইরার বেশ মায়া হয় পারুল এর জন্য। পারুল এর একটা জিনিসের কথা মনে পরতেই পারুল এক ছুটে রুমে দিকে যেতে চাইলে ইরা পেছন থেকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো!!
__কোথাও যাও পারুল।
ম্যাডাম আপনি একটু বহেন আমি আইতাছি! পারুল প্রায় দুই তিন মিনিট পর হাতে করে একটা ব্যাগ নিয়ে আসে এনে ইরার হাতে দিয়ে বলে!!!
__ম্যাডাম এটা আপনার!! আর স্যারের দুই চোখের কাটা।
ইরা আর জুথী মানে টা বুঝতে পারলো না। তাই পারুল কে বললো!!
__তোমার স্যারের চোখের কাটা! মানে??
পারুল উপরে দিকে তাকিয়ে দেখলো আদিল নিচে আসছে কিনা। আসছে না দেখে বললো!!
__এই জামাটা স্যার সহ্য করতে পারে না!কালকেই পুড়িয়ে দিবো কইছিলো জামাটা অনেক সুন্দর তাই আমি খুব কষ্ট কইরা বাচাইছি।
জামার কথা শুনে প্যাকেট টা খুলতেই দেখলো ইরার সেই এনগেজমেন্ট এর লেহেঙ্গা। ইরা আর জুথী খুব সহজেই চিনে ফেলে। তাই ইরা নিজের কৌতূহল দূর করার জন্য পারুল কে প্রশ্ন করলো!!
_±আচ্ছা পারুল সেদিন আমার জামাটা কি তুমি চেন্স করে ছিলে।
পারুন শান্ত গলাই বলে!.
__ আমিই করছি ম্যাডাম!নয়তো আর কেরা করবো এই বাড়িতে তো আমি ছাড়া তো আর বেডি মানুষ নাই।ইরা পারুলের প্রশ্নের উওরে বেশ স্বত্বী পেলো! মনে মনে কয়েক শো ধন্যবাদ জানিয়ে দিলে পারুল কে।
সবার খাওয়া শেষ হলে সবাই মিলে আদিল এর রুমে গিয়ে বসে! ইরা আর জুথী বেশ কিছুখন পর রুমে প্রবেশ করলো তারা দুইজন এক পাশে বসে আছে। ইরা জুথীর কাছে সাজিদ এর কথা জিজ্ঞেস করলে জুথী জানাই সে কিছু জানে না সাজিদ এর বিষয়ে। সাজিদ কলেজে আসে না। কল দরে না। কি হয়েছে জানে না। আদিল ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!!
__আমার বেবিডল! এবার গিয়ে রেডি হন আপনার শশুর বাড়ীতে যেতে হবে না৷ আপনার শশুর শাশুড়ী আপনাকে বড্ড মিস করছে।
আদিল ঈশান কে উদ্দেশ্য করে বললো!! তুই জুথী কে বাসাই পৌঁছে দিয়ে আসবি। আজকে বাড়িতে অনেক সমস্যা হবে মম রেগে আছে আজকে জুথী কে নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।
জুথী কে রাগানোর জন্য ঈশান বললো!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৪
__বাড়িতে গিয়ে কি হবে জুথী বরং আমার সাথে আমাদের বাড়িতে যাক। এমন পুতুল এর মতোন মেয়ে দেখলে আম্মা খুশিতে লাল হয়ে যাবে।
জুথী বেশ বিরক্তি নিয়ে বললো!!
__অসম্ভব আমি যাবো না আপনার সাথে।।

Nice
Chrome asena nam dekho kivabe
Youtube o ase
Chrome dairekt asen na
Plz plz chrome page o carven