এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৪
Chadny islam
ইবা ভাবলেশিন হয়ে বসে আছে বিছানায়।সে কিছু বলতে চাই আদিল কে। কিন্তু কিভাবে বলবে ইরা বুঝতে পারছে না! তাই না চাই তেও এক নিশ্বাসে আদিল কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো!!!
___সামনেই আমার ফাইনাল এক্সাম। আর কত দিন আমি কলেজে না গিয়ে এই ভাবে ঘরে বসে থাকবো৷
আদিল ইরার কথা কে তেমন সিরিয়াস ভাবে নিলো না।সে নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে বেশ ব্যাস্ত!কিছুখন পর আদিল আশরাফ সিকদার এর সাথে নির্বাচন এর কাজে যাবে। আদিব যাবে তার মায়ের সাথে অফিসে। আদিল জুতা পরতে পরতে বললো!!
___কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বাসায় পড়াশোনা করো শুধু এক্সাম হলে গিয়ে পরীক্ষা দিবা৷
ইরা কিছুটা জিদ করেই বললো!!
___আমি কলেজে যেতে চাই মানে যেতে চাই।
আদিল চোখ গরম করে তাকিয়ে বললো!!
____কারন টা কি শুধুই কলেজ নাকি নাগর এর সাথে এর দেখা করাটা!
ইরা উঠে দাড়ালো আদিল এর কথাটা শোনার জন্য মুটেও প্রস্তুত ছিলো না৷ ইরা রাগ চেপে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে আদিল ইরা কে টেনে দেয়ালের সাথে ঠেলে রিরি করে বললো!!
____এই রুপ এই তেজ এই জিদ সবকিছুই আমার! আর তুমি নামক মানুষ টাও আমার। তেমার এই চাহুনি তে বার বার আমি দিশেহারা হয়ে যায়। আমাদের পবিত্র মিলন টা করতে এত বাঁধা কিসের??
ইরা মূহুর্তেই কপাল কুঁচকে ফেললো!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
___ছারেন আমাকে ব্যাথা লাগছে আমার!
আদিল ইরার কথা উপেক্ষা করে ইরার কপালে আলতো করে একটা চুমু একে বললো!!
___আমি আমার পূর্ণতা বলতে শুধু তেমাকেই বুঝি বউ!!
ইরা অল্প কথায় উওর করলো!!
___এ কেমন পূর্ণতা সিকদার সাহেব?? যেখানে ভালোবাসার থেকে ঘৃণার পরিমান টা বেশি??
“””ঘৃনার পরিমান টা বাড়িয়ে নাও আমার তেজি বউ। সামনে আরও অনেক রাগ টালতে হবে৷
“””মানে??
আর মাএ কিছুদিন তারপর তুমি না চাইতেও আমাকে ভালোবেসে ফেলবে।শুধু নির্বাচন টা হতে দাও। বলেই আদিল বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।
আশরাফ সিকদার বসে আছেন সোফায় খবরের কাগজ পরছেন। আদিল এগিয়ে গেলো আশরাফ সিকদার এর কাছে! গিয়ে কপাল কুঁচকে ফেললো!!
___পুলিশ কে বাসায় এ্যালাউ করার কি মানে ড্যাড??
আশরাফ সিকদার খবরের কাগজ টা টেবিলের উপর রাখতে রাখতে বললেন!!
___আমার প্যারমিশন ছাড়াই আমার বাড়িতে আসার অনুমতি উপর মহল থেকে নিয়ে আসছে। এই খানে বাঁধা দেয়ার আমার কোনো রাইট ছিলো না।
আশরাফ সিকদার আদিল কে জিজ্ঞেস করলেন!!
____তুমি কি কোনো বিষয় নিয়ে নার্ভাস ফিল করছো??
“”মানে??
,”””আমাদের বাড়িতে পুলিশ কমিশনার এসেছিলো বলে!!
নো ড্যাড! এই রকম পুলিশ হাজার টা আমার পায়ের কাছে পরে থাকলেও আমি নার্ভাস হবো না।কিন্তু নতুন কমিশনার টা পাক্কা গোয়েন্দা। ওকে অন্য থানায় ট্যানাসফার করে দাও।
“””ওকে আমি দেখছি! তুমি টেনশন করো না! চলো এবার বের হয়!!
বলেই আশরাফ সিকদার দাড়িয়ে হাঁটা শুরু করলেন ইরা হঠাৎ করে পেছন থেকে ডেকে বললো!!
___আপনার ফোনটা নিয়ে যান। রুমে ফেলে এসে ছিলেন।
আশরাফ সিকদার দাড়ালেন না হেঁটে চলে গেলেন বাড়ির বাইরে। আদিল এগিয়ে গিয়ে ফোনটা নিয়ে আসলো! আর বললো!!
___এই না হলে ঘরের বউ! আজকে মনে হলো বিয়ে করাটা বুঝি স্বার্থক!
ইরা অল্প হেসে উওরে জানালো!!
____তাই! আপনার ভাই কে যেখানে রেখে আসছেন! সেখান থেকে যদি ফ্যানিস হয়ে যায়। তাহলে আপনার কেমন লাগবে সিকদার সাহেব??
আদিল চমকে উঠলো শুধু যে চমকে উঠলো এমন টা নয় রীতিমতো অভাক হলো! ইরার কথা বুঝতে পেরে ও না বুঝার অভিনয় করে বললো!!!
____মা…মানে? কি বলছো এসব??
ইরা বললো!!
____হয়তো মানে টা ঠিক বলছি নয়তো আপনার মতোন সুদাম দেহীর পুরুষ আমার মতোন ছোট মানুষ এর কথা শুনে কি আর আমতা আমতা করবে,??
আদিল রেগে গিয়ে বললো!!!
“””ফাজলামি করো আমার সাথে!!
____কেনো আপনি কি আমার বেয়াই লাগেন??
____তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি??
আপনার বউ বলে কথা এত টুকু সাহস থাকা টা তো জরুরি তাই না। তাছাড়া আপনিই তো বলে ছিলেন আপনি আমার সাহসিকতার প্রেমে পরেছিলেন। তাও আবার আমার থাপ্পড় খেয়ে। ভুলে যাবেন না সব কিছু! আমি আবার সব ভুলে যাওয়া মানুষ কে মারি না। মনে করিয়ে তারপর আস্তেধীরে মারি!
ইরা….
আহারে এত কষ্টের পর ও কিনা নিজের ভাই কে বাঁচাতে পারলেন না!
ইরার কথাটা যেনো আগুনে ঘি ডালার মতোন কাজ করলো! ইরা কথা শেষ করে উল্টো দিক গুরে রুমে যেতে যেতে গুনলো! 1. 2 . 3…..
সাথে সাথে কল আসলো আদিল এর নাম্বারে। অচেনা নাম্বার আদিল কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন রিসিভ করতে ভেসে আসলো!!
____স্যার আপনার ভাই এক্সিডেন্ট করছে। আমরা ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি। আপনারা তাড়াতাড়ি আসেন রোগীর অবস্থা কিটিক্যাল!
বলেই ফোনটা কেটে দিলো। ইরা দুইতলায় নিজের রুমের সামনে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আদিল এর দিকে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো!!
____আপনার দিন টা শুভ হোক সিকদার সাহেব !
অহনা সিকদার আদিব কে নিয়ে অফিসে যাবেন! আজকে কলির ফাস্ট সেমিস্টার এর এক্সাম। কলি রেডি হয়ে আসছে কলেজে যাবে বলে। তাই অহনা সিকদার আদিব কে বললেন!!
____তুমি কলি কে কলেজে নামিয়ে দিয়ে সোজা অফিসে চলে আসবা ঘন্টা খানেক এর মধ্যে।
আদিব মনে মনে ভাবলো!আহা মেঘনা চাইতেই জল। আদিব খুশিতে গদগদ হয়ে বললো!!
___কেনো মম আমার ঠেকা পরছে ওরে প্রতিদিন কলেজে নামিয়ে দিয়ে আসবো। ওরে বলো ডাইভার এর সাথে করে কলেজ যেতে।
সাথে সাথে কলি বলে উঠলো!!
____বড় আম্মু আমি তোমার ছেলের সাথে একদম কলেজে যাবো না। আমি ডাইভার আঙ্কেল এর সাথেই যাবো৷
অহনা সিকদার চোখ গরম করে তাকালেন আদিব এর দিকে। বাইরের জীবন টা কারোর জন্য সেভ নয়। সামনেই নির্বাচন শএুর অভাব নেই। কোনো রকম রিক্স এর দরকার নাই। অহনা সিকদার চোখ গরম করে তাকালে আদিব বলে উঠলো!!
____শুধু আজকেই জন্য মম! আমি তোমার মেয়ে কে নামিয়ে দিয়ে আসবো! আর নেক্সট টাইম কখনোই না তুমি বললা তাই নিয়ে যাচ্ছি।
____মম তোমার মেয়ে কে বলো!!
_____কি বলবো /?
____গাড়িতে বসে যেনো গ্যাঙ্ন গ্যাঙ্গ করে আমার মাথাটা যেনো না খাই।
কলি মুখ বাঁকিয়ে বলল!!
___আমার বয়েই গেছে তোমার মাথা খেতে। আব্বু বাজার থেকে বড় রুই মাছ আনছে আজকে আমি ওইটার মাথাই খাবো।
___খাওয়া ছাড়া আর কি পারিস?? এইবার যদি A+ না পেয়েছিস সোজা বিয়ে দিয়ে দিবো!
কলি কপাল কুঁচকে বললো!!
____আমি প্রথম সেমিস্টার এর এক্সাম দিতে যাচ্ছি। ফাইনাল এক্সাম না। তোমাকে ডক্টর কে বলবে! সবাই তোমাকে গাদা বলে ডাকবে আর আমিও৷
আদিব কান টেনে বললো!!
____পাকা বুড়ি। তোরে আমি ৮০ বছরের বুড়া বেডার কাছে বিয়ে দিয়ে দিবো৷
অহনা সিকদার চোখ পাকিয়ে তাকালেন!!
___কি হচ্ছে আদিব। কলি ছোট মানুষ ওকে নিয়ে যাও আর তাড়াতাড়ি চলে আসবা অফিসে।
জুথী সকাল সকাল শাশুড়ীর সাথে বাড়ির সমস্ত কাজ করেছে।সকালের খাবার টা ও খেয়ে নিয়েছে একসাথে। ঈশান রুমে বসে বসে কম্পিউটার কি জেনো কি করছে। জুথী মাথায় চিরুনি চালাতে চালাতে ইশান কে বললো!!
____আমি কলেজ যেতে যাই।আর আমি পড়াশোনা ও করতে চাই!!
ইশান কথা শুনেও না শোনার নাটক করে নিজের কাজ চালাতে থাকলো। জুথীর বেশ বিরক্তি লাগলো তাকে কি কেনো ভাবে ইগনোর করলো ঈশান । জুথী চিরনি টাকে ছুরে ফেলে দিয়ে বিছানায় ঈশান এর পাশে গিয়ে বসলো আর কম্পিউটার টা সাথে সাথে বন্ধ করে দিলো। আর রাগে ফুসফুস করতে বললো!!
___ফোকাস মি. রাইট নাও.?
ঈশান যেনো একটু সিরিয়াস হলো ভাবলেশীল গলায় বললো!!
____ইয়েস ম্যাডাম বলুন!
__আমি কলেজে যেতে চাই!আর পড়াশোনা করতে চাই!!
___তো আমি কি করতে পারি??
আপনি চাইলে অনেক কিছু করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে ও আমার পড়াশোনা আটকাতে ও পারবেন ?
__কেনো পারবো না তোমার পড়াশোনা আটকাতে??
___কারন আমি পড়াশোনা করতে চাই তাই!
___পড়াশোনা করে কি হবে??
____পড়াশোনা না করে কি হবে??
ইশান চেতে গিয়ে বললো!!!
___পড়াশোনা করলে সারাদিন ব্যস্ত থাকবা। স্বামী কে সময় দিবা না। নয়তো অন্য বেডার সাথে পালিয়ে যাবা।আমি কষ্ট করে আমার টাকা খরচ করে তোমাকে পড়াশোনা করাবো! আর তুমি কিনা ড্যাং ড্যাং করে নাচতে নাচতে অন্যবেডার হাত দরে চলে যাবা।নো চ্যান্স। পড়াশোনার দরকার নাই বাড়ি ঘর সামলাও আর বাচ্চা সামলাও।
জুথী কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললো!!
___সব ঠিক আছে কিন্তু আমার বাচ্চা কোথাই??
ঈশান দুষ্ট হেসে বললো!!
____দেখাছি!!
বলেই ইশান এক হেঁচকি টানে নিজের কাছে টেনে আনলো জুথী কে। জুথীর টানের গতি সামলাতে না পেরে ঈশান এর বুকের উপর গিয়ে ধপাস করে পরলো! ঈশান জুথী কে বিছানায় সুয়ে দিয়ে উপরে উঠে নিজের ঠোঁট জোরা দিয়ে জুথীর ঠোঁট দু’টোকে আবদ্ধ করে নিলো।জুথীর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে উঠছে শরীর কাঁপছে ঈশান প্রায় আরও পাঁচ মিনিট দরে জুথীর ঠোঁট দু’টো কে নিজের ঠোঁট এর জড়িয়ে রাখে।ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে মুখ ডোবাই জুথীর গাড়ে। জুথী শক্ত করে ইশান এর গেনজি আঁকড়ে দরে রেখেছে কয়েক জায়গার বড় বড় নখ এর দাগ বসে গেছে এতোখনে।ইশান জুথীর গলায় পেছনাো ওড়না টাকে একটানে বুকের উপর থেকে সরিয়ে ফেললো আবারও মুখ ডুবিয়ে দিলো জুথীর দবদবে ফর্সা গাড়ে। আপাতত জুথীর ভারী নিঃশ্বাস ছাড়া অন্য কোনো কিছু শোনা যাচ্ছে না! নিঃশ্বাস উঠা নামা করছে প্রতিনিয়ত। ইশান জুথীর জামা টাকে উপরে দিকে তুলতে যাবে!
[ রিল্যাক্স এই হাইপার কিসের রোমান্টিক পর্ব পরে দিবো 😬😁 আমি লেখিকা বলছি 🫣 ]
তখনি কল আসে ঈশান এর ফোনে। বেশ কয়েক বার রিং হয় ঈশান বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে। চোখ পরতেই দেখে আদিল এর নাম্বারে বিরক্তি নিয়ে কল রিসিভ করে!!
____সালা জীবন টা শেষ করে দিলি অসময়ে ফোন দেয়ার দরকার টা কি।
আদিল রাগে কটমট করে বললো!!
___হসপিটালে আয় অতি দ্রুত! লোকেশন পাঠিয়ে দিচ্ছি।
বলেই আদিল কলটা কেটে দিলো। হয়তো ইমারজেন্সি কিছু হবে। ঈশান নেমে গেলো জুথীর উপর থেকে। জুথীর এলোমেলো চুল নিশ্বাস এলোমেলো ঈশান বুঝে ও না বুঝার অভিনয় করে বললো!!
___রাতের জন্য রেডি হও। রাতের ছার টা কিন্তু তুমি পাবে না।
বলেই ঈশান ওয়াশরুমে চলে গেলো। আর জুথী নিজপর গায়ের উপর কম্ফোর্ট জড়িয়ে সুয়ে পরলো । মনে মনে বেশ কিছুটা লজ্জা ও পেলো। এই প্রথম ঈশান তার এত কাছে এসে ছিলো ভাবতে গেলেও জেনো শরীরের প্রতিটি লোম দাড়িয়ে যাচ্ছে।
____ঢাকা মেডিকেল হসপিটাল ___
“”””আসসালামু আলাইকুম সিকদার সাহেব যে কেমন আছেন??
আবদুল মামুন এর তীন্খ৷ কথাই আদিল রাগে রিরি করে উঠলো। আশেপাশে প্রেস মিডিয়া দেখে শান্ত গলাই আস্তে ধীরে বললো!!
____তোমাকে আমি দেখো নিবো ইডিয়েট। তুমি আদিল সিকদার এর পেছনে পরে নিজের অনেক বড় ক্ষতি করলা অনেক প্রস্তাতে হবে তোমাকে।
আবদুল মামুন কিছুটা অভাক হওয়ার নাটক করে বললেন!!
____এ কি বলছেন আদিল সিকদার ! আমরা তো আইনের লোক আমরা তো কোনো কারন ছাড়া তো শুধু শুধু আপনার পেছনে পরে থাকবো না! তাই না বলেন!
আদিল এর তীর্ন্খ উওর!!
___আমার ভাইয়ের যদি কিছু হয়। আমি একেক টা কে গুলি করে মারবো?
আবদুল কিছুটা সিরিয়াস হয়ে বললো!!
____আপনার ভাই এর যা হওয়ার৷ তা অলরেডি হয়ে গেছে। টেনশন করবেন না।এখন শুধু টপ করে সোজা উপরে চলে যাবে। দুঃখ হচ্ছে আপনার জন্য! এত কষ্টের পরও নিজের ভাই কে বাঁচাতে পারলেন না।
আদিল এর বাকি রইলো না এক এক করে দুই মিলাতে! তার মানে এই গুলা ইরার কাজ। ইরার তো ফোন টা নাই। কি ভাবে কি করলো সব জেনো মাথার উপর দিয়ে গেলো৷ কি ভাবে কি হলো ভাবতে থাকে আদিল! তার মাঝেই আবদুল মামুন বলে উঠে!!
____আমার মনে হয় কেউ ইচ্ছা করে আপনার ভাইয়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিলো। সমস্যা নাই আপনি মাইন্ড করবেন না। হয়তো তার গাড়ির ব্রেক ফেল ছিলো নয়তো সে নতুন! গাড়ি চালাতে পারতো না আরকি! চিন্তা করবেন না আইনের লোক আছে তো আপনাদের পাশে সাহায্য করার জন্য ।
আদিল এর এই মূহুর্তে ইচ্ছে করলো মামুন এরব বুকে গুলি চালিয়ে দিতে। আদিল অল্প হেসে বললো!!
____আসসিস তাই না আগুনে ঘি ডালতে।
আবদুল মামুন যেনো পরের কথাটা শুনলো না। আদিল এর থেকে বেশ দূরে চলে গিয়ে বসলো পায়ের উপর পা তুলে। আদিল লখ্য করলো সব কিছু! কিন্তু কিছু বললো না!এই মূহুর্তে ঝামেলা করার ইচ্ছা নেই তার! নয়তো তাকে এই মূহুর্তে শশুর বাড়ি গুরিয়ে নিয়ে আসতো। আইসিও এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে আদিল আর আশরাফ সিকদার। আইসিও এর ভেতরে থেকে কয়েকজন ডক্টর বেরিয়ে আসলেন। আদিল এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো!!
____কি অবস্থা এখন রোগির!
ডক্টর ফাইল চেক করতে করতে বললো!!
___প্লিজ আপনারা আমার চেম্বারে আসেন! বসে কথা বলি।
ডক্টর ফাইল চেক করে খুব স্বাভাবিক ন্যায়ে বললেন!!!.
____রোগীর যে কিলিক্যাল অবস্থা! বেঁচে থাকবে হয়তো আশা করা যায়। তবে প্যারালাইচেস হয়ে বেচে থাকবে!আমার মনে হয় এই রকম ভাবে বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়া একি কথা।
আদিল শান্ত গলাই বললো!!
____আচ্ছা আমরা যদি দেশের বাইরে নিয়ে যায়! তাহলে কেমন হয়।
ডক্টর এর সহজ সরল উক্তি!!
____আপনারা চাইলে নিয়ে যেতে পারেন। আমি নিষেধ করবো না। তবে আমার প্যারসোনালি মনে হয় কোনো লাভ হবে না। আর ও রিক্স বেড়ে যাবে৷ আপাতত মাস খানেক তো হসপিটালে থাকতেই হবে। এখন আপনারা যা ভালো মনে করেন।
আদিল আর কথা বাড়ালো না! উঠে দাড়ালো আশরাফ সিকদার কে নিয়ে সোজা পায়ে বেরিয়ে আসলো হসপিটাল থেকে আবদুল মামুন পুরো বিষয় টা খেয়াল করলো। হসপিটাল থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে প্রেস মিডিয়া গিড়ে দরলো!!
____স্যার। স্যার!!
সবার এমন চিল্লাচিল্লি দেখে আদিল বেশ বিরক্ত হলো। পুলিশ যেনো তাদের কে আটকাতেও পারছে না। তাই আদিল বেশ চেচিয়ে বললো!!
___সমস্যা কি আপনাদের প্রশ্ন থাকলে শান্ত ভাবে করেন। এমন অসভ্যের মতোন চিল্লাচিল্লি করছেন কেনো।
আদিল এর কথাই সবাই বেশ অপমানিত বোধ করলো! আর এক এক করে সবাই প্রশ্ন করতে লাগলো!!
____স্যার আপনার ভাই কে কে বা কারা মেরেছে কিছু জানতে পারলেন?? আপনাদের কি ব্যাক্তি গত কোনো শএু আছে!
আদিল কিছুটা অল্প হেসে উওর করলো!!
____না এখন পর্যন্ত কারা মেরে আমার ভাই কে তার সন্ধান এখনো পাই নি। আর হ্যা আমাদের ব্যাক্তি গত শএু থাকবে এইটাই স্বাভাবিক তাই না৷
আদিল ব্যাস এতটুকুই বলে চলে আসলো গাড়িতে আশরাফ সিকদার কে নিয়ে। আশরাফ সিকদার কিছুটা চিন্তিত গলাই বললেন!!
____কে করতে পারে এমন? আমার তো এমন শএু ছিলো না।তোমার কি কাউকে সন্দেহ হয় মাই সান।
কলেজের এক সাইড করে গাড়ি রেখে দাড়িয়ে আছে কলি আর আদিব!কলি কলেজের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে। আদিব নিষেধ করে আর বলে!!
___রিমঝিম কে নিয়ে তারপর কলেজের ভেতরে যা৷ যদি রিঝঝিম আবার হারিয়ে যায়। তখন আবার আমার কি হবে!
কলি ফিক করে হেসে দিয়ে বলে!!
____ও যদি বাসা থেকে কলেজ পর্যন্ত আসতে পারে। তাহলে কেনো কলেজ গেটের ভেতরে দিয়ে কলেজে ডুকতে পারবে না! হারিয়ে যাবে তোমার এমন টা কেনো মনে হয় ভাইয়া??
আদিব কপাল কুঁচকে ফেললো!!
___তুই কি সাইন্স এর স্টুডেন্ট??
কলি একটু ভাবে নিয়ে বললো!!
___হ্যা তুমি এইটাও জানো না??
___এর জন্যই তোর মাথায় এতো গোবর!!
কলি রাগে কটমট করতে লাগলো আর বললো!!
____তুমি যে ডক্টর হয়েছো তুমার কোনো সাবজেক্ট! এখন নিশ্চয় বলবা না তুমি আর্স এর স্টুডেন্ট!
আদিব যেনো টুস করে দরা খেয়ে খেলো! সে নিজেই তো একজন ডক্টর। তাহলে আদিব কলি কে কি উওর দিবে ভাবতে লাগলো তখনি হুট করে কোথা থেকে যেনো রিমঝিম এসে হাজির। রিমঝিম কলির কাছে এগিয়ে বললো!!
____এখনো এই খানে দাঁড়িয়ে আসিস কেনো! আর মাএ পনেরো মিনিট আছে চল ভেতরে তাড়াতাড়ি ।
আদিব কপাল কুঁচকে ফেললো! কার জন্য সে এতখন দাড়িয়ে ছিলো তাকে ইনগোর করে ভেতরে যাওয়া হচ্ছে! আদিব কর্কট গলাই বললো!!
____এই মেয়ে তোমার নাম্বার টা আমাকে দাও??
“”””জি ভাইয়া?
“”””নাম্বার টা দাও আমাকে??
রিমঝিম ছোট কথায় উওর করলো!!
___আমি তো ফোন চালাই না!
আদিব এর ছোট মন টা যেনো আবার ভেঙে গেলো! আদিব আর পেছালো না বরং বললো!!
_____তেমার আম্মুর নাম্বার দাও।
রিমঝিম মাথা নত করে বললো!!
____আমার তো নাম্বার মুখস্থ নেই!
আদিব কপাল চাপড়ে বললো!!সালার কপাল! সব সময় আমার সাথেই কেনো এমন হয়! আর কত গুলা দিন আমি সিঙ্গেল থাকবো!
___তুমি যাও। আমি ঠিক ম্যানেজ করে নিবো!
______রাত আট টার পর ______
ইরা টেবিলে বসে পড়াশোনা করছে। সামনেই ফাইনাল এক্সাম কিছুদিন কলেজে না যাওয়ার ফলে পড়াশোনায় অনেক টাই পিছিয়ে গিয়েছে।অহনা সিকদার একবার এসেচিলেন ইরার সাথে কথা বলতে! ইরা পরতে বসেছে দেখে কথা না বলে বরং তিনি এক কাপ কফি দিয়ে চলে গেছেন নিজের রুমে ।
সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মাথা ঝিমঝিম করছে।আদিল এর পরিহিত ব্ল্যাক কোট হাতে নিয়ে রুমে প্রবেশ করতেই ইরা অল্প তাকিয়ে আবার নজর দিলো পড়ার টেবিলে। আদিল এর মুখে অতিরিক্ত চিন্তার ছাপ! আদিল কে দেখে ইরা কিছু টা মিটমিট করে হাসলো।
আদিল সোজা হেটে গেলো ইরার দিকে। টেবিল এর উপর রাখা কফিতে চুমুক দিতে দিতে বললো!!
___তেমার ফোন বের করো রাইট নাও।
ইরা কিছুটা চমকে উঠলো! বেশ দ্বিধা বোধ করে করলো!!
____কিসের ফোন??
আদিল চায়ের কাপ টাকে ছুরে ফেললো ফ্লোরে! রাগে রিরিরি করে বললো!!
____তুই আমার পেছনে লাগলি কেনো! আমি তোর স্বামী হই।ঘরের মানুষ হয়েই আমাকে শএু বানিয়ে দিলি!
ইরা চুপ করে আছে কথা বলছে না।তা দেখে আদিল আরও খিপ্ত মেজাজ হারিয়ে ফেললো!!
____কুওার বাচ্চা! তোর সাহস হলো কিভাবে আমার পেছনে কল কাঠি নারছিস। এখন মনে হচ্ছে তোকে জানে মেরে দেয়।
ইরা যেনো আর চুপ থাকতে পারলো না। উঠে দাড়ালো এগিয়ে গেলো আদিল এর দিকে শার্ট এর কলার দরে টেনে নিজের কাছে নিয়ে বললো!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৩
____আপনার হাতে আমার মৃত্যু মঞ্জুর হোক!
আদিল এর রুহু যেনো কেঁপে উঠলো ইরা শেষ প্রতিটি ব্যাকে!সে তো তাকে মারতে চাই না ভালোবাসতে চাই নিজের কাছে রাখতে চাই সুন্দর একটা সংসার সাজাতে চাই। আদিল আর ও চেতে উঠে বললো!!
____অসম্ভব ভালোবাসি তোমাকে! মৃত্যু তো দূর থাক। আমি কোনো রকম আচ ও আসতে দিবো না। আমি আমার পূর্ণতা বলতে শুধু তোমাকেই বুঝি বউ..!
