এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৬
Chadny islam
রাত এগারো টা ঘড়ির কাটা টংটুাং আওয়াজ তুলে তারি জানান দিচ্ছে। বাইরে বাতাসে সাথে ঝিরিঝিরি বেশ কিছু টা টুপটুপ আওয়াজ তুলে বৃষ্টি পরছে! বাইরের উপ্ত ঠান্ডা শীতল আবহাওয়া বয়ে যাচ্ছে।শীত অতিনিকেটে। আদিব রুমের বড় জানালা খুলে দিয়ে বিছানায় সুয়ে এক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছে। সে বেশ অনেক টাই নার্ভাস!আদিব কলি কে সত্যি সত্যি এগারো হাজার টাকা ক্যাশ দিয়ে তারপর নাম্বার টা এনেছে রিমঝিম এর। এখন চিন্তার বিষয় কলি কি সত্যি সত্যি নাম্বার টা দিলো রিমঝিম এর নাকি আবারও নতুন কোনো মদন কাকার নাম্বার দিলো। তাই আদিব কলি কে পরীক্ষা করার জন্য করলো কলির দেয়া নাম্বারে।আদিব বেশ কয়েক কল করার পর ও রিমঝিম কল দরলো না।দেখে আদিব বেশ বিরক্তি নিয়ে আবারও কল করলো। আদিব ভাবলো হয়তো অচেনা নাম্বার তাই দেখে রিমঝিম কল তুলছে না! একবার দুইবার করে পুরো চার বার কল করার পর রিমঝিম কল রিসিভ করলো!নাম্বার টা অপরিচিত থাকায় সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলো!!!
____কে বলছেন??
আদিব মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো
____আপনার স্বামী বলছি!!
রিমঝিম অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো!!
___আমি তো বিয়ে করি নি! স্বামী হলেন কিভাবে??
আদিব বিছানার সাথে গা মিশিয়ে গিয়ে বললো!!
___বিয়ে ছাড়া ননদ থাকতে পারলে! স্বামী ও থাকতে পারে মিসেস রিমঝিম!!
রিমঝিম কপাল কুঁচকে বললো!!
____মানে কি! কি সব বলছেন আবুল তাবুল??
____আমি আবুল তাবুল বলছি না রিমঝিম।আমি আপনার ননদ এর ভাই বলছি!.
রিমঝিম মূহুর্তেই বুঝতে পারলো কল টা কে করছে!তাই রিমঝিম অবাক হয়ে ঠোঁটে ঠোট কামড়ে বললো!!
____ভা…ভাইয়া আপনি।
আদিব এক উচ্চ থমকে বলে উঠলো!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
____বান্ধবী কে ননদ বানাতে পেরেছেন! তাই বলে স্বামী কে ভাইয়া বানাতে পারেন না।
রিমঝিম আমতা আমতা করে বললো!!
___ন….না মানে! আসলে কি হয়েছে আমি আপনাকে বলছি!
“””কোনো কিছু বলতে বা বুঝাতে হবে না আমাকে। মিথ্যা কেনো বলেছো আমাকে /??
“””কি মিথ্যা বলেছি আপনাকে??
“”তুমি নাকি ফোন ইউস করো না। তাহলে এত রাতে তুমি কার ফোন ইউস করছো।
রিমঝিম বলল!!
____আমি তো আম্মুর ফোন চালাই। আপনাকে বললাম না আমার কোনো ফোন নেই। রাতের কিছু নোট ছিলো অনলাইনে আমি সেই গুলা পরছি!
আদিব বেশ কিছু টা সংকোচ নিয়ে বললো!!
___একজন কলেজ পড়ুয়া মেয়ের কাছে ফোন নেই।এই কথা কি বিশ্বাস যোগ্য!
কলি অল্প হেসে উওর করলে!!
____একজন শিক্ষক এর মেয়ের কাছে সব কিছুই সম্ভব!
___মানে??
“””মানে টা খুবি সহজ! আমার বাবা একজন শিক্ষক তিনি নিশ্চয় কখনো এত আগে তার মেয়ে ফোন কিনে দিবে না তাই না!
“””হুম হতে পারে।
দুজন৷ বেশ কিছু সময় চুপ করে রইলো! তারপর রিমঝিম বলল!!
___আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছেন?
আদিব বেশ কিছু সময় দীর্ঘ শ্বাস টেনে বললো!!
_____মনের টান থাকলে! নাম্বার টা কোনো বিষয় না!
“””মানে??
আদিব অল্প হেসে খুব সিরিয়াস গলায় বললো!!
___কলির ভাবী হয়ে যাও!নয়তো মিসেস রিমঝিম হয়ে যাও প্লিজ প্লিজ!!!
রিমঝিম বলল!!
____কলি তো আমাকে ভাবী বলেই ডাকে।তাহলে আবার কেনো ভাবী হতে যাবো??
আদিব খুশিতে এক লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে বললো!!
°___তার মানে তুমি কি রাজি??
“””কি রাজি??
আমাকে ভালোবাতে??
রিমঝিম খুব সিরিয়াস হয়ে বললো!!!
___আমার বয়স কম আমি একদম ছোট মানুষ! তাছাড়া তো রিলেশন করা হারাম। আর আমি হারাম থেকে দূরে থাকতে চাই।প্লিজ হারাম সম্পর্কে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন না।
আদিব অল্প হেসে বলল!!
____তাহলে তুমি আমার জন্য হালাল হয়ে যাও??
“””””কিভাবে??
ঠিক সাত দিন পর তোমাকে দেখাবো কিভাবে হালাল করে নিতে হয়।ভাইয়ার নির্বাচন তিন দিন পর তারপর না হয়….
কি তারপর??
মন দিয়ে পড়াশোনা করো।আর হ্যা সামনে একটা স্পেশাল মোমেন্ট এর পিপারেশন নাও। গুড নাইট।
বলেই আদিব কল টা কেটে দিলো। রিমঝিম আদিব এর পাচ্যানো কথার মানে টা সঠিক বুঝলো না।
ভোর সাত টা…..
আশরাফ সিকদার এবং আদিস সিকদার বসে আছেন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন নিজেদের মাঝে। আশরাফ সিকদার জানালেন! তার বয়স হয়ে যাচ্ছে সে আর বেশি দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন টা নিয়ে বসে থাকবেন না।বাকি টা জীবন নিজের প্লাস বাড়ির সবার দেখা শোনা করে কাটিয়ে দিবেন।
আইরা সোফায় বসে আছে সোনালী তালুকদার এর সাথে পাশেই বসে আছেন অহনা সিকদার। আইরার শরীর এখন আগের থেকে অনেক টাই সুস্থ হয়েছে। গত দুই দিন এক টানা বাড়িতে থেকে সে ও বেশ বোরিং ফিল করছে। অনেক টাই মান অভিমান নিয়ে পরে ছিলো আদিল এর উপর। এখন আর ভালোবাসার মানুষ এর সাথে রেশারেশি করতে একদম ভালো লাগে না তার। ভালোবাসার মানুষ হিসাবে না হোক বন্ধু হিসাবে তো পাশে থাকা উঠিত। দুই দিন পর নির্বাচন যদি কোনো প্রয়োজন হয় তাকে! তাহলে অবশ্যই সে আদিল কে সাহায্য করবে।
স্যার!
রোশান অল্প দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকালো লোক টার দিকে ঠোঁট উল্টে বলল!!
_____হোয়াট??
লোকটা মাথা নত করে বললো!
___স্যার সঠিক ভাবে কোনো ইনফরমেশন পাচ্ছি না।
রোশান কিমচিত হেসে ফেললো!! এবং ইকবাল খান এর দিকে তীন্খ দৃষ্টি তাক করে বললো!!
____এত শেয়ানা হলে কি জীবন চলবে ড্যাড?
ইকবাল খান বসা থেকে উঠে দাড়াতে দাড়াতে বললেন!!
____চিন্তা করো না বেটা। তোমার হাতে আরও ৪৮ ঘন্টা সময় আছে।
রোশান চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললো!!
____এত কুকর্মের সাথে জড়িত থাকার পর ও কতটা কনফিডেন্স নিয়ে মানুষ নির্বাচনে দাড়ায়।
রোশান এর কথার মাঝে একজন বডিগার্ড বলে উঠলো!!
___স্যার সিকদার বাড়ির ছোট ছেলে মানে প্রিয়াশ সিকদার কে তার পরিবারে থেকে সকালে বাড়িতে নিয়ে চলে গেছে !
রোশান কিনচিত হেসে বললো!!
___হুম শুনেছি! হসপিটাল থেকে ডক্টর কল করে ছিলো।
আদিল ঘুম থেকে ওঠে ভালো করে সাওয়ার নিয়ে প্রোপারভাবে রেডি হচ্ছে। কাল বাদে পরশু নির্বাচন।আদিল সহ পরিবারের সব ছেলোরা মিলে যাবে সমাবেশে আজকেই তাদের শেষ সমাবেশ।নির্বাচন এর আগে আপাতত আর কোনো জনসমাবেশের আয়োজন করা হবে না আজকেই শেষ! আজকে ১১টার দিকে সবাই কে উপস্থিত থাকতে হবে হৃদয়পুরের জনসমাবেশ।সুষ্ঠু নির্বাচন সেট আাপ করতে পুলিশ প্রশাসনের লোক থাকবে বেশ অনেক! জায়গায় জায়গায় পুলিশ এর সাথে থাকবে সিকদার বাড়ির বিশ্বস্ত বডিগার্ডরা। নির্বাচনে প্রচুর পরিমানে ঝামেলা হয়ে থাকে। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও কোন রিক্স নিতক চাই না বলে তিনি বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ আনার ব্যাবস্থা করেছেন। আদিল কোনো ভাবে এমপি হয়ে গেলে। তখন আদিল নিজেই সব টা সামলাতে পারবে। তার রাজনৈতিক জীবনে প্রথম প্রদপর্ন শুরু হবে এমপি থেকে। আদিল এত খন যাবত ফোনে কথা বলতে বলতে রেডি হয়ে গেলো।ইরা দরজার সামনে হাতে চায়ের কফি নিয়ে বিষয় টা লখ্য করলো। ইরা টিপটিপ পায়ে রুমে প্রবেশ করলে আদিল ইরা কে দেখে সঙ্গে সঙ্গে কল টা কেটে দিয়ে তাকালো ইরার দিকে। সুতির নরম থ্রি পিস শরীরে জড়িয়ে মাথায় অল্প কাপড় টেনে আদিল এর হাতে কফির কাপ টা এগিয়ে দিতে দিতে বললো!!!
____কখন বাড়িতে ফিরবেন???
আদিল কফিতে চুমুক দিতে দিতে বললো!!!
___মনে হয় রাত হবে! কেন?
“””এমনি?
শুধুই কি এমনি! নাকি কিছু বলতে চাও? বলেই আদিল ইরার কোমর টেনে নিজের কাছে নিয়ে বলল!!
____স্বামী কে মিস করবা বউ!
ইরা আদিল থেকে নিজের কে ছাড়ানোর জন্য ছটপট করতে লাগলো তাই দেখে!!
____কি হয়েছে এমন করছো কেনো??
“”””ছাড়ুন আমাকে??
“””যদি না ছাড়ি?
“””আব্বু ডাকছে আপনাকে!
“””ডাকুক! আসো একটু ৯/৬ করি!!
“””ছি কি বাজে আপনে!
“”””হুম বাজে স্বামীই আপনার প্রাপ্প ম্যাডাম!
“””কেনো?? আমি কি খুবি বাজে??
আদিল সিকদার এর বউ খারাপ হলে সমাজ কি এইটা মেনে নিবে। আদিল সিকদার খারাপ কিন্তু তার বউ একদম ফুলের মতোন প্রবিএ!
“””ফুলের গায়ে কলঙ্ক লেগে থাকতে পারে! কিন্তু আমার বউ এর গায়ে কোনো কলঙ্ক এর ছিটে ফোটার রেশ নেই মাএ। ভালোবাসি বউ ভিষণ ভালোবাসি তোমাকে।
ইরা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো! আদিল এর এরুম লাগামহীন কথা শুনে। ইরা নিজের কোমর থেকে আদিল এর হাত সরানোর ব্যার্থ চেষ্টা করতে লাগলো! ইরার এমন ছটপটানি দেখে আদিল ফের আবারও বলল!!
____সমস্যা কি তোমার! এমন ছটপট করছো কেনো!
“”””ছাড়ুন আমাকে প্লিজ!
আদিল ইরাকে আরও কাছে টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে দিয়ে বলল!!
___তোমাকে ঠিক আমার এত কাছে চাই। যতটা কাছে আসলে এক চিলটে পরিমানও বাতাস বেরিয়ে যাওয়ার মতোন জায়গা খুঁজে পাবে না।
আদিল যেনো খুব কষ্ট নিয়ে কথাটা বললো ইরা কে। ইরা নিজের কে বেশ কিছু টা অপরাধী মনে করলো!তাই ইরা আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
____আমি একটু ঠিক হয়ে নেই তারপর না হয়…
ইরা বেশ লজ্জা নিয়ে কথা বলতে দেখে আদিল ইরা কে আরেকটু লজ্জায় আরষ্ঠো করতে অল্প হেসে বললো!!!
____তারপর না হয় কি বউ??
“””ওই যে আপনি বললেন??
“”””কি বললাম বউ??
“”””কিছু না! ছাড়ুন আমাকে!
আদিল অল্প হেসে বললো!!
____বিয়ে হয়েছে মাস খানেক এর উপরে! এখনো সেই প্রথম দিনের মতোন এত লজ্জা পেলে চলবে!
ইরা চুপ করে তাকিয়ে দেখছে আদিল কে। ফর্সা চকচকে শরীরের চামড়া।প্রোপার ড্রেস আপে বেশ মানান সই সুদর্শন পুরুষ লাগছে আদিল কে।ইরা কে একপলক দৃষ্টিতে তাকাতে দেখে আদিল অল্প হেসে সিরিয়াস গলায় বললো!!!
____স্বামী কে আঁচলে বেঁধে রাখার ব্যাবস্থা করেন মেডাম!নয়তো আপনার স্বামী এমপি হয়ে গেলে তখন আবার দেখবেন অন্য কেউ এসে আপনার স্বামী কে আঁচলে বেঁধে নিয়ে যাওয়া চিন্তা ভাবনা করবে।
ইরা কপাল কুঁচকে ফেললো!!
____আমার কনফিডেন্স আছে আমার স্বামী প্রতি ! আমার স্বামী কখনো অন্য কারোর শাড়ীর আঁচল দরে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না।
“””তাই নাকি! এত কনফিডেন্স কোথায় পান মেডাম??
ইরা আদিল এর চোখের তাকিয়ে থেকে বলল!!
____আই ট্রাস্ট ইউ! ইউ আর মাই এভরিথিং!
“””রিয়েলয়ি!
‘””হুম। এবার ছাড়ুন!
“””আমাকে ভালোবাসো??
“””না?
“”তাহলে বলবা আমি তোমার সব!
“””কখন বললাম!
“””কিছু মিনিট আগে
“””মনে নাই! ভুলে গেছি!
আদিল দীর্ঘ শ্বাস টেনে বললো!!
____কথায় কথায় পাল্টি খাওয়ার জন্য আমার বউয়ি সেরা রেরেরেরে।
আদিল যেনো এবার কপাল কুঁচকে বললো!!
____এই ভাবে দরে রাখলে জনসভায় যাবো কিভাবে। ছাড়ো আমাকে!! এত প্রেম প্রেম পায় রাতে বললেই পারো!
ইরা বিশাল অবাক হলো! কে কাকে দরে রেখেছে!সেই কখন থেকে বলছে তাকে ছাড়ার জন্য।তাকে তো ছেড়ে দিলোই না বরং একটা অপবাদ দিয়ে দিলো এইটা কেমন কথা!ইরা মুখ বাঁকিয়ে বলল!!
___শুধু শুধু আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিবো না! আমি আপনাকে দরি নি আপনি দরে রেখেছেন আমাকে!প্রেম প্রেম আপনার পেরেছে আমার নয়।
আদিল ইরা কে উল্টো ঘুরিয়ে পেটের উপর দিয়ে হাত দিয়ে ঘাড়ে মুখ গুজে দিয়ে বলল!!!
____তোমার প্রেম প্রেম পাওয়া আর আমার প্রেম প্রেম পাওয়া বিষয় টা একি হলো না। আমরা দুইজনি তো এক।স্বীকার করে নাও। তোমার ও প্রেম প্রেম পাই! আই ডোন্ট মাইন্ড! প্লিজ টেল মি নাও।
ইরা আদিল কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলল!!
___আমি অসুস্থ ইডিয়েট! আপনি আসলেই বাজে।
বলেই ইরা দৌড় লাগালো আদিল বাঁকা হেসে বললো!!____পৃথিবীতে সব স্বামী রাই ইডিয়েট হয় বউ। তুমি সুস্থ হয়ে যাও তারপর তোমাকে আমি ও দেখাবো স্বামী রা ঠিক কতটা বাজে আর ইডিয়েট হয়।
আদিল পকেট থেকে ফোন বের করে কল করলো ইশান এর নাম্বারে। আজকাল ভিষণ ভাবে প্রয়োজন পরবে ইশান কে। সাথে আদিব রিফাত আশরাফ সিকদার আদিস সিকদার আরও বেশ অনেক লোক থাকবে। বিশেষ করে বডিগার্ড এর সংখ্যা থাকবে অগণিত।ঈশান কে কল করার বেশ কয়েক মিনিট পর ঈশান ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে উঠলো!!
_____সকাল সকাল ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করার জন্য আমার বন্ধু আদিল সিকদার রি বিশ্ব সেরা রেররররর.!
আদিল কপাল কুঁচকে ফেললো !!
____হুপ সালা সময় দেখ কইটা বাজে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে চললো!এখন ও তোর ঘুম শেষ হয় না।রাতে ঘুমাস না?
ইশান বিরক্তি নিয়ে নিয়ে বললো!!
____হুম প্রতিদিন তো ঘুমায়! কিন্তু আজকে ঘুমাইতে পারি না।
“””কেনো ডাকাতি করতে গিয়েছি।
“””ঘরে বউ রাখার থেকে ডাকাতি করার ভালো!
“””মানে!
কালকে তো তোর বাংলার ভাষার মাইরে ৯/৬ করে দিছি!!
“””মানে!
“””আরে মূখ্য বাসর করছি!
আদিল কপাল চাপড়াতে চাওড়াতে বলল!!
____কি করে সম্ভব! তুই তো আমার পরে বিয়ে করলি! তাহলে আমাকে রেখে বাসর করলি কিভাবে??তুই সালা বন্ধু নামের কলঙ্ক!!
“””কেনো বন্ধু তোমাকে নিয়ে বাসর করার কথা ছিলো??
আদিল কপাল কুঁচকে ফেললো!!!
____সালার কুওা কপাল! বলি একটা শুনিস আরেক টা! জীবনটা পুরো পান্তা ভাত করে দিলি।
“””সেই স্বাদ!
“””কি?
“”পহেলা বৈশাখ এর পান্তা দিয়ে ইলিশ!
“”পাএী দেখ বিয়ে করবো! যদি কোনো ভাবে অনন্ত তাড়াতাড়ি বাসর টা করতে পারি৷
“””বিয়ে মানেই প্যারা আর বিয়ে করিস না বন্ধু!
“”এক রাতেই এ কি অবস্থা বন্ধু! হারবাল খা রিলাক্সে
ইশান এবার ধপাস করে রেগে গিয়ে বিছানা থেকে ওঠে বসলো!
____তোর কি আমাকে দূর্বল মনে হয়??
হুম হতে পারে! তবে তুই চাইলে আমি বিদেশ থেকে তোর জন্য ভালো পোডাক্ট অডার দিয়ে আনিয়ে দিবো নি। ব্যাই দ্যা ওয়ে কিছু খন পর বাসায় চলে আয়!
ইশান রাগে কটমট করতে লাগলো!!
___আদিল এর বাচ্চা…!
আশরাফ সিকদার রেডি হয়ে ড্রয়িংরুমে বসে আছেন! অপেক্ষা করছেন আদিল এবং আদিব এর জন্য।অহনা সিকদার বেশ কিছু খন আগে রেডি হয়ে অফিসে চলে গেছেন।আদিস সিকদার রিফাত কে নিয়ে জনসমাবেশের উদ্দেশ্য বেরিয়ে গেছেন ঘন্টা খানেক আগে।আদিব রেডি হয়ে বসে আছে আশরাফ সিকদার এর সাথে৷
আশরাফ সিকদার আদিব কে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলেন!!!
_____আদিল কোথায়??
আদিব হাত ঘড়ি থেকে সময়টা দেখে নিয়ে বলল!!
____রুমেই আছে! চলে আসবে কিছু খন এর ভেতরে৷
আদিব এর কথা শেষ করার আগেই আশরাফ সিকদার উপরের দিকে তাকাতেই দেখেন আদিল কে তাই আদিল কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন!!!
_____এত লেট করলে চলবে না মাই সান! আজকেই শেষ সমাবেশ।
আদিল সিঁড়ি থেকে নিচে নামতে নামতে আশরাফ সিকদার কে উদ্দেশ্য করে বললো!!!
_____তোমরা এখনো যাও নি ড্যাড??
আশরাফ সিকদার মুখ টাকে গোমরা করে ফেললো!!
____তোমার কমন কমনসেন্স দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি মাইসান।
আদিল হাতের ঘড়িতে সময় টা পরখ করে দেখে নিয়ে বললো!!
____৩০ মিনিট আছে এখনো! এই সময়ি কি যথেষ্ট নয় ড্যাড??
অনেক কেই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য!এত লেট করানো তাদেক কে মুটেও ঠিক হবে না।তাছাড়া তুমি ভুলে যেও না আমি একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তোমার আগে সবাই আমাকে খুজবে। কুইক চলো!
আদিল গলা খাঁকারি দিয়ে বললো!!
____তুমি কি কোনো ভাবে আমাকে ইনসাল্ড করলা ড্যাড৷ তুমি ও ভুলে যেও না আমি ও এমপি পদে আছি।যদি পাশ টা হয়ে যায় ড্যাড।
“””আগে পাশ হয়ে নাও!! পরের টা পরে দেখা যাবে।
“””আমাকে কে চ্যালেন্স করো না ড্যাড! ঠিক জিতে গিয়ে তোমাকে দেখিয়ে দিবো।
এর মাঝে ঈশান চলে এসেছে সিকদার মহলে! ইশান কে দেখা মাএই আশরাফ সিকদার এর মুখে হাসি ফুটে উঠলো এক উজ্জ্বল হাসি! ঈশান এগিয়ে গিয়ে বসলো আশরাফ সিকদার এর পাশে! আশরাফ সিকদার ইশান কে জিজ্ঞেস করলেন!!!
_____কেমন আছো ইয়াং ম্যান??
ঈশান খুব স্বাভাবিক গলায় বললো!!
_____ভালো আছি আংকেল! আপনি কেমন আছেন!
আশরাফ সিকদার বলেন!!!
_____আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি! দিন কাল কেমন যাচ্ছে ইয়াং ম্যান??
ইশান বলল!!
____একদম সেই! গাড়ির মতোন গড়গড় করে যাচ্ছে!
আদিল সবাই কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
____চলে এবার বের হই গাড়িতে বসে কথা বলো নিজেদের মতোন!
আশরাফ সিকদার এবং আদিব উঠে আগে আগে চলে গেলেন গাড়িতে! আদিল ঈশান কে ডেকে বললো!!
____সালা তুমি বন্ধু নামের কলঙ্ক একা একা বাসর টাও করে ফেলছে।আর তোমার বোন কিনা ৯/৬ এর মানেই বুঝে না!
ঈশান কিছুটা মজা নিয়ে বলল!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৫
___আহারে!!!
আদিল চেতে গিয়ে দাঁতে দাঁত কিরমির করে বললো!!
___সালার কুওা কপাল! ভাই আর বোন দুই ডাই এক। আমার জীবন ডা কিনা পান্তা ভাত থেকেও খারাপ করে দিলো রেরেরেরে…!
