এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৪২

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৪২
Chadny islam

মধ্যরাতের সূচনা ঘড়ির কাটা টুংটাং আওয়াজ তুলে তারি জানান দিচ্ছে। অতিরিক্ত ঠান্ডা হাওয়া ভেসে আসছে আদিল এর বিশাল কক্ষ রুমে।মাএাতিক ঠান্ডায় ফ্লোরে বসে বসে ঘামছে ইরা!না চাইতেও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মূহুর্তের সাক্ষী হয়ে থেকে গেলো এই ছোট্ট মেয়ে ইরা।না চাইয়াতেও আজ অনেক কিছু দেখে ফেললো!এখন গা গলিয়ে আসছে ঘৃণায়।

প্রায় রাত দুইটা পনেরো মিনিট…….!
আদিল ঠকঠক পায়ে রুমের দিকে এগিয়ে আসছে। আদিল পুরো পুরি ভাবেই সিউর তার বউ টা এখন ঠিক ঘুমিয়ে আছে।এত রাতে নিশ্চয় জেগে থাকবে না! আর থাকার জন্য তেমন কোনো কারণ ও নেই।আদিল আর ও বেশ কিছু খন আগে আসার চেষ্টা করে ছিলো কিন্তু সবার এত এত রিকুয়েষ্ট তাদের কে ছেড়ে আসতে পারে নি।কালকে থেকে কাজের প্রেসার ও থাকবে অনেক টাই হাই! আদিল রুমের সামনে ধাক্কা দিতেই দেখে দরজা বন্ধ।আদিল ভাবলো, ইরা তো দরজা বন্ধ করে ঘুমাই না, তাহলে কি হলো? আদিল জুড়ে জুড়ে কড়া নারতে থাকলো! মিনিট দুই পরে ইরা কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে রুমের দরজা খোলে দিলো। আদিল অবাক এর শীর্ষে চলে যায়,এত রাতে তার বউ কিনা জাগ্রত! সেটা ও কি সম্ভব! আবার নিজেই এসে রুমের দরজা খোলে দিচ্ছে। ইরা দরজা খোলে দিয়ে এগিয়ে গেলো সামনের দিকে। আদিল এক হাতে দরজা আটকে তো অন্য হাতে ইরার হাত টেনে কাছে আনলো!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ইরার কোমর পযর্ন্ত চুল গুলোকে হাত দিয়ে আরেক পাশে সরিয়ে রাখলো। পাতলা শাড়ীর বাঝে কোমর স্পষ্ট আদিল ইরার কোমর টেনে নিজের কাছে ঠেকালো। কি আশ্চর্য ইরা কোনো রকম ছটপট করছে না, নিষেধ পর্যন্ত করছে না তাকে! কি হয়েছে ইরার এত খনে কয়েক শো বার বারন করতো তাকে টাস না করার জন্য! আদিল ইরার কোমার ছেড়ে এগিয়ে রুমের লাইট ওন করতে,,,
ইরা শুকনো ডোক গিলে তাকিয়ে আছে আদিল এর দিকে। এই মূহুর্তে ইরা কে দেখে মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই বস্র করে দিবে আদিল সিকদার কে।।
আদিল রুমের লাইট ওন করে ইরার দিকে এগিয়ে আসলো। এই ঠান্ডার মাঝেও ইরা ঘামছে, তাই আদিল ইরার কপালে গালে হাত দিয়ে বুঝার চেষ্টা করলো জ্বর ঠান্ডা হলো না কি! আশ্চর্য তেমন কিছুই হয় নি! আদিল বিষয় টা বুঝতে ইরা কে পেছন থেকে শক্ত করে জড়িয়ে দরলো! গলায় শব্দ করে চুমু খেয়ে ফিসফিস করে বললো!!

_____আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে মেডাম!!
ইরা বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে ফেললো, কিন্তু কোনো প্রতি উওর করলো না।আদিল ইরার অনুমুক্ত গাড়ে পরপর কত গুলো চুমু খেয়ে নিলো। এরপর ইরার কোমর টেনে নিজের দিকে গুরিয়ে নিলো! চোখে চোখ পরতেই ইরা চোখ সরিয়ে নিলো।আদিল এর এবার আর বুঝতে বাকি রইলো না, তার বউ তাকে ইগনোর করছে! আদিল ইরাকে বুকে টেনে নেয়ার জন্য অগ্রসর হলে ইরা এক হাসি টেনে বললো!!
____নাটক করতে হবে না ছাড়ুন আমাকে??
আদিল ইরার হঠাৎ করে এই কথা বলার তেমন কোনো কারন খুঁজে পেলো না। কিসের নাটক করেছে সে। তাই আদিল ইরার দিকে তাকিয়ে শক্ত গলাই বললো!!

____মানে কিসের নাটক???
ইরার এবার ভিষণ রাগ হলো! মানুষ কত নাটক করতে পারে তার ধারণা ছিলো না ইরার, তবে আজ অনেক টাই ধারণা পেয়ে গেলো।
“চেনা মানুষ এর অচেনা রুপ ”
“এ রুপ যেনো ধারালো অস্ত্রের ”
“চেয়েও বেশি ধারালো”!
ইরার যেনো আর সহ্য হলো না! রাগে হকচকিয়ে উঠলো, দাঁতে দাঁত খিচে শক্ত গলাই চেচিয়ে বলে উঠলো!!!
___দ্যা মোস্ট পপোলার কিং ওফ মাফিয়া মি.আদিল সিকদার!
ইরার চোখে মুখে বিস্ময়! আদিল মূহুর্তেই চোখ বড় বড় করে তাকালো ইরার দিকে। আদিল গা জারা দিয়ে বলে উঠলো !!

_____ডো ইও হ্যাব এ্যানি প্রোভ??
আদিল এর এত কনফিডেন্স লেভেল দেখে ইরা একটু বাঁকা হাসলো! সবাই ঠিকি বলে চোরের মায়ের বড় গলা! হাজার টা ভুল করার পর ও কিভাবে মাথা তুলে কথা বলছে! ইরা অল্প উওরে বললো!!
____হ্যা আছে!!
বলেই ইরা কম্পিউটার ওন করে আদিল কে ইঙ্গিত করে বললো!!
____ফোকাস!
আদিল এবার ইরার দিক দেখে নজর গুরিয়ে তাকালো কম্পিউটার এর স্কিনের দিকে।যা দেখে রীতি মতো আদিল আশ্চর্য হয়ে গিয়ে ইরার দিকে তাকালো বার বার।ইরা অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছে আদিল দিকে। আদিল কোনো রকম পরিস্থতি সামলানোর জন্য ইরার হাতে দরে বললো!!!

____প্লিজ টাস্ট মি! এই গুলা সব ফেক!!
ইরা ঝারা দিয়ে আদিল এর হাত টাকে সরিয়ে দিয়ে চিৎকার করে বললো!!
____কোন টা ফেক এমপি আদিল সিকদার এইটা নাকি!মাফিয়া আদিল সিকদার ওই টা???
আদিল চোখ গুরিয়ে দেখলো ফের আবারও স্কিনে। এই মূহুর্তে সেখানে দেখা যাচ্ছে আদিল এর সম্মাজ্য, সহ বিভিন্ন লোক এক সাথে বসে আছে! আশে পাশে বেশ অনেক ধরনের অস্ত্র! মারা_মারি কাটা_কাটির বিভিন্ন ছবি ভিডিও ! আদিল এবার শক্ত গলাই বলে উঠলো!!
____প্লিজ ইরা টাস্ট মি.আমি না এইটা!!
ইরা হাসলো খুব হাসলো করে! মানুষ কতটা সহজ ভাবে আরেক জন কে বোকা বানাতে পারে তা ভাবতেও বেশ অবাক লাগে ইরার! ইরা নিশ্চুপ তাই দেখে আদিল এগিয়ে গেলো ইরার দিকে হাতের ফোন টা কে ছুরে মারলো বিছানার উপর!!

____নাটক করো আমার হতে হবে বলে! যাও কোনো প্রয়োজন নেই তোমাকে আমার!!
ইরা যেনো এবার বেশ বিরক্ত হলো!তাই কিছু টা রাগী গলাই চিৎকার করে বলে উঠলো!!
____আপনার হতে আমার কোনো সমস্যা ছিলো না! আমি তো মেনেই নিয়ে ছিলাম আপনাকে! এমপি আদিল সিকদার হিসাবে কিন্তুু মাফিয়া কিং আদিল সিকদার কে নয়। আপনার পরিচয় আমার থেকে লুকিয়েছেন! আপনার মতোন মাফিয়া কে আমি আমার স্বামী হিসাবে কখনো মেনে নিবো আপনি ভাবলেন কিভাবে।
___মিলন আর কখনো হবে না””শুধু মনে থাকবে আমাদের ও একটা সংসার সাজানোর কথা ছিলো! যা অপূর্ণ রয়ে যাবে সারাজীবন…!
আদিল নিজের চোয়াল শক্ত করে বললো!!
____তুমি মানো বা না মানো আমি তোমার স্বামী! এই চরম সত্যি টা মিথ্যা হয়ে যাবে না।গোটা পৃথিবী জানবে তোমাকে আমার পরিচয়ে।
ইরা হাসলো শব্দ করে! এ যেনো এক ভয়ংকর হাসি! দাঁতে দাঁত পিসে কটমটিয়ে বলে উঠলো!!

____আর আপনি মরে গেলে গোটা পৃথিবী আমাকে কার পরিচয়ে চিনবে??
আদিল এগিয়ে গেলো ইরার দিকে দেয়ালের সাথে শক্ত করে চেপে দরে রাগে রিরি করে বলে উঠলো!!
____স্বামী কে মারার পায়তারা করা বন্ধ করো! বড্ড ভালোবাসি তোমাকে!!
ইরা কিমচিত শব্দ করে হাসলো আদিল এর দিকে ভয়ংকর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে!!
____আপনি রেগে গিয়ে আমার শরীরে আঘাত করছেন! এই টাই কি আপনার ভালোবাসা!!
আদিল হাতের বাঁধন দৃঢ় করলো! ইরা বিষয় টা বুঝতেই নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো আদিল এর দিকে!ইরা কি বলবে জানে না তবে একটি কথাই মনের অজান্তে বার বার উঁকি মেরে বেরিয়ে আসতে চাইছে!
____আমাকে তালাক দিয়ে দেন!!
শূন্য ঘরে ইরার বলা ছোট্ট ছোট্ট কয়েক টি শব্দ মিলে পুরো ঘর এক পাশ থেকে তো আরেক পাশে গিয়ে বারি খেয়ে বার বার প্রতিধ্বনি হয়ে পরছে আদিল এর শান্ত মস্তিষ্ক জুড়ে। কিছু মিনিট এর জন্য রাগ কে কন্ট্রোল করতে পারলেও, এবার যেনো ধেয্যের বাধ ভেঙে গেলো! আদিল ইরার চুলের মুঠি দরে নিজের কাছে টেনে হুংকার চেচিয়ে বলে উঠলো!!

_____কুওার বাচ্চা তালাক চাইছিস! এত বড় সাহস কোথায় পেলি তুই, তোর কি জানের মায়া নাই! এই জীবন কেনো, কোনো জীবনেও তালাক পাবি না তুই!
ইরা যেনো এবার ভেতরের কষ্ট কে আর লুকিয়ে রাখতে পারলো না। বরং ঝরঝর করে কেঁদে উঠলো!
আজকে তো সে পুরো পুরি এই মানুষ টার হতে চেয়ে ছিলো৷ কিন্তু তা আর হওয়া হলো না, হয়তো বা আর কখনো হবেও না। এখন তো শুধু মুক্তি চাই। ইরা শক্ত গলাই চিৎকার করে বললো!!
____মুক্তি চাই আমার আপনার থেকে!
আদিল বললো!!
__অসম্ভব! কোনো জনমেই তুই মুক্তির স্বাদ পাবি না!আমি পেতে দিবো না! আমার হয়ে সারাজীবন থাকতে হবে তোকে!
ইরা অসহায় দৃষ্টিতে বললো!!!

__কেনো এমন করলেন আমার সাথে! বেইমানি করলেন কেন আমার সাথে!এত দিন কি তবে সব নাটক ছিলো! সাথে আপনার ভালোবাসা ও!
আদিল খিপ্ত মেজাজ হারিয়ে বললো!!
“””আসমান জমিন চাঁদ সূর্য ঠিক যতটা সত্যি ঠিক তত টাই আমার ভালেবাসা ও সত্যি! আমার ভালোবাসায় কোনো ছলনা ছিলো না।
___আপনি মানুষ টাই বহুরূপী! তাহলে ভালোবাসা টা সত্যি হয় কিভাবে! আমার জীবন টা নষ্ট করবেন না তালাক দিয়ে দেন আমাকে।
আদিল এর ধেয্যের বাধ এতখনে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে গেছে! ইরার বার বার মুখে বলা তালাক শব্দ টা নিমিষেই পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে ছোট হৃদয় টা! আদিল শক্ত হাতে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেই ইরার গালে! দাঁতে দাঁত পিসে হুংকার দিয়ে বলে উঠে!

____আর একবার তালাক শব্দ রা উচ্চারণ করলে কসম আমি তোকে খুন করে ফেলবো!
আদি দীর্ঘ শ্বাস টেনে বললো!!!
___টাস্ট মি.তোকে আমি সারা জীবন ভালো রাখবো! শুধু তুই দুঃস্বপ্ন ভেবে আজকের রাত টা ভুলে যা ।তুই সব থেকে বেশি খুশি থাকবি! আমি সুখে রাখবো তোকে!
ইরা গালে হাত চেপে নিজের কান্না সংবরণ করে বললো!!
____যেখানে আমি কখনো আপনার সাথেই থাকবো না” সেখানে সুখী হওয়াটা বিলাসীতা মাএ!
“””মানে!!
“”চলে যাচ্ছি আমি!আপনার থেকে অনেক দূরে!
“”পালিয়ে যেতে চাইচ্ছো??
আপনার যদি মনে হয় আমি পালাতে চাচ্ছি! তাহলে তাই!!
আদিল এবার সমস্ত নিরবতা ভেঙে এগিয়ে গেলো ইরার দিকে! ইরা সম্পর্কে আদিল এর বেশ ধারণা আছে। ইরার রাগ অভিমান জেদ সাহস! তাই আদিল ইরা কে মানানোর জন্য বলে উঠলো!!!

____ভালোবাসি তোমাকে বিশ্বাস করো আর থেকে যাও!! প্লিজ! আমার ভালোবাসা কিন্তু মিথ্যা ছিলো না বউ।
ইরা বেশ কিছু টা দূরত্ব নিয়ে আদিল এর থেকে সরে গিয়ে বললো!!
____আমেরিকার নিউ ইয়র্ক এর মতোন জনবহুল শহরে অবৈধ কাজ অস্ত্র পাচার নারী পাচার আর ও বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কাজ করতেন কিভাবে??এমপি হওয়ার কারন টা কি শুধুই জনগনের সেবা নাকি, নারী পাচার করার আরেক টি মাধ্যম!
আদিল শুকনো ডোক গিললো!ইরার কিছু মিনিটে বেশ অনেক টাই আইডিয়া হয়েছে তা দেখে আদিল বেশ অনেক টাই অবাক হলো! আদিল এর ঘুরানো পেচানো কথা শুনতে ইরা মুটেও ইন্টারেস্টেট নয়। তাই ইরা বললো!

____যদি পারেন সত্যি টা বলবেন মিথ্যা কোনো কিছু শুনতে চাই না!
আদিল চোয়াল শক্ত করে বললো!!
___আমি কোনো রকম ইন্টারেস্ট নয়! তোমাকে এত কিছু বলার জন্য!জীবন টা আমার সো আমার জীবনে নিয়ে ডিসিশন আমি নিবো তুমি নয়! এখন যদি বলো, তোমার জীবন নিয়ে আমি কোনো ডিসিশন নিবো না, তাহলে তুমি একদম ভুল ভাবছো। যাও ড্রেস চেন্স করে সুয়ে পরো! মুড নেই আমার তোমাকে টাস করার !
___আর কোন শুওরের বাচ্চা এই গুলা পাঠাইছে! তাকে তো আমি বেশ ভালো করে দেখে নিবো। আমার পেছনে লাগার পরিনাম ঠিক কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা ও আমি দেখিয়ে দিবো।
ইরা শক্ত গলায় বলে উঠলো!!

____আপনি প্লিজ সব ছেড়ে ঠিক হয়ে যান! ওই গুলা খারাপ কাজ!
আদিল দাঁতে দাঁত পিসে হুংকার ছেড়ে বলে উঠলো!!
____অসম্ভব! আমার গড়ে তোলা সম্রাজ্য আমি কখনোই শেষ হতে দিবো না।
আমি আপনাকে আগেও বলেছি! আজকে আবার নতুন করে বলছি মাথায় রাখবেন!!
“””একটা কথা মনে রাখবেন! আপনার বুকে ছুরি চালাতে আমার কিন্তু বিন্দু পরিমানও হাত কাঁপবে না!
__থ্রেট দিচ্ছো!
ইরা বলল!!
__না আপনাকে জানিয়ে রাখছি! এর ধ্বংসের খেলায় নিশ্চয় আপনি জয়ী হবে না আপনার পরাজয় নিশ্চিত!
আদিল বলল!!
___পরাজয় যদি হয় তোমার হাতে তাহলে আমি হাসি মুখে সব পরাজয় মেনে নিবো।
ইরা বাঁকা হাসলো এবং আদিল দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো!!
___নেশায় ডুবে আছেন! তাই ভুল ভাল বলছেন! শুধু এইটা পরাজয় হবে না আপনার জীবন মৃত্যুর খেলা হবে!
আদিল বলল!!

__তোমার কাছে আসলে আমার কোনো নেশার প্রয়োজন পরে না।তুমি তো এক নেশা এলকোহল এর থেকে ও হাজার গুন বেশি নেশা দরে তোমায় দেখলে।
ইরা আর দাড়ালো না! হাঁটতে শুরু করলো রুমের দরজা খোলে বেরিয়ে যাবে, তার আগেই আদিল ইরার হাত টেনে বললো!!
____কোথায় যাচ্ছো!
ইরা ঝরঝর করে কেঁদে উঠে বললো!!
___আপনার থেকে অনেক দূরে! ঠিক তত দূরে চলে যাবো জীবনে যেনো আর কখনো দ্বিতীয় বার দেখা না হয়!
আদিল খুব সিরিয়াস গলায় বলে উঠলো!!
___আদিল সিকদার এর পরাজয় না করেই চলে যাচ্ছো!
ইরা গলা নিচু করে বললো!!
___ভালোবেসে ছিলাম আপনাকে! শেষ বারের মতোন সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে ঠিক হয়ে যান।ভয়ংকর এই যুদ্ধে ধ্বংস ছাড়া আর আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।
আদিল মুখে এক চিলটে হাসি নিয়ে বললো!!

___যুদ্ধে ময়দানে তো ধ্বংস হয়! ভালোবাসার কি আর পূর্ণবৃওি হয়।
ইরা বললো!!
___ছাড়েন আমার হাত! আমাকে যেতে দেন!
খুব সিরিয়াস গলায় বললো আদিল!!!
___যদি না ছাড়ি!
আমাকে আটকানোর চেষ্টা করবেন না!
যদি শেষ চেষ্টা টা করি!
তবে শেষ করে দিবো নিজে কে ! আমাকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করবেন না!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৪১

আদিল হাত টা ছেড়ে দিলো ইরার! সে জানে তার বউ এর রাগ কতটা ভয়ংকর! আদিল হাত টা ছাড়লে ইরা রুমের দরজা খোলে বেরিয়ে গেলো রুমে থেকে। ইরার গায়ে জড়ানো পাতলা শাড়ি টা এখনো ঝলঝল করছে। আজকের রাত টা একটু সুন্দর হলেও পারতো।এক রাশ অভিমান নিয়ে বেরিয়ে গেলো ইরা রুম থেকে।
আদিল রাগে কটমটিয়ে উঠলো!ভিষণ রাগে তোপে আঘাত করতে থাকলো নিজেকে দেয়ালে পরপর কয়েক টা ঘুসি সহ টেবিল লাথী মেরে ভেঙে গড়িয়ে দিলো। দেয়ালে পরপর ঘুসি পারাই হাত ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত পরছে। ফোন টাকে কোনো রকম বিছানায় ছুরে ফেলে এগিয়ে গেলো ইরা কে খুজতে। বাইরে ঠিক যতটা অন্ধকার ঠিক ততটাই ঠান্ডা!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৪৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here