এলিজা গল্পের লিংক || Dayna

এলিজা পর্ব ১
Dayna

১৯৯৭ সাল
ভরকান্ত সকাল। সূর্যের কড়া ঝিলিক।ব্যাস্ত শহর।কাকের আনাগোনা।
সকাল সকাল উঠেই জয়ার রান্না ঘরে আসতে হয়।বাড়িতে কাজের মহিলা থাকলেও তাদের হাতের রান্না জাহাঙ্গীর খেতে পারেন না। জাহাঙ্গীর চৌধুরী সে বরাবরই রাগি একজন মানুষ।খুব সহজে সবার সাথে মিশে না।হাজারো রাগ ,ক্রোধ একজনের কাছে হার মানে সে হচ্ছে তার একমাত্র ছেলে।
সকাল ৮ টা নাগাদ __
জয়া রান্না ঘর থেকে জাহাঙ্গীর কে উদ্দেশ্য করে বললো,
সকাল সকাল উঠেই কি পেপার নিয়ে তোমার বসতে হয়? বয়স হয়েছে, বাহিরে একটু সকালে হাঁটতে বের হতে পারো। বসে বসে থাকলে দেখবে ডায়াবেটিক্স টা বেড়ে যাবে।
জাহাঙ্গীর শান্ত স্বরে বলল,জয়া থামো তো, গুরুত্বপূর্ণ একটা নিউজ পড়ছিলাম, তুমি কি খবর পরো? জানো চারদিকে কি হচ্ছে?

দেশের খবর রাখতে হয়। ভালো মন্দ জানতে হয়।
জয়া বললো,কি এমন হচ্ছে শুনি?
জাহাঙ্গীর আহ”ত কন্ঠে বললো,২৭ বছরের যুব ছেলেরা নিখোঁজ হচ্ছে। নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন পরে, ওদের লা’শ নদীতে, খালে বিলে, ক্ষেতে পাওয়া যাচ্ছে।ব্যাপার টা সাধারণ নয়।
জয়া নাস্তা তৈরি করা ছেড়ে দৌড়ে জাহাঙ্গীর এর কাছে আসে।
জয়া আতং’ক স্বরে বলল,কি বলো এসব দেখাও দেখি!
জাহাঙ্গীর পেপার টা জয়াকে দিয়ে বললো,এই দেখো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

জয়ার চোখ গুলো ছানাবড়া হয়ে যায়। ভ্রু কুঁচকে দেয়। পেপারটা ভালো ভাবে পরোখ করে বললো ,সত্যি ই তো।আমার তো ভিষন ভয় লাগছে। আমাদের খোকা,বলেই মুখে হাত দেয়। চোখে মুখে জয়ার আতং’ক’র ছাপ ফুটে উঠে।
জাহাঙ্গীর বিষয়টা উপেক্ষা করে বললো, আহা তুমি আমাদের খোঁকাকে কেন টানছো, ও হচ্ছে বীর , সাহসী ছেলে। একজন এস আই , ওকে কে কি করবে? বরং ওর থেকে সবাই দূরে থাকে।
জয়া বললো, তুমি কি খবর টা সম্পুর্ন পড়েছো? এই দেখো!২৭ বছরের ছেলেরা নিখোঁজ হওয়ার পর শুধু ওদের খু’ন করা হয়না। ওদের শরীর থেকে হা’র্ট বের করে নেয়া হয়।এটা কোন হা’র্ট পাচারকা’রী নয় তো?
জাহাঙ্গীর বিষয়টাকে এড়িয়ে গিয়ে বললো, সে যাইহোক, খেতে দাও ।এসব নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। জাহাঙ্গীর টেবিলে খেতে বসে।

তৎক্ষণাৎ বাড়িতে উপস্থিত হয় সূর্য। অপূর্বর খোঁজে।
“আসসালামুয়ালাইকুম আংকেল কেমন আছেন? আন্টি কেমন আছেন? সূর্য সোফাতে বসল।
জয়া মৃদু হেসে বললো, সূর্য যে হঠাৎ তুমি।এসো এসো।
“না আজ আমার সময় নেই।এসেছিলাম অপূর্বর সাথে দেখা করতে।”বলল সূর্য।
” কিন্তু অপূর্বর তো বাড়িতে নেই!”জয়া তাকালেন সূর্যের দিকে।
” তাহলে কোথায়!?
“অপূর্ব ১৫ দিনের জন্য পুলিশ টুরে গেছে।
“সেটা কোথায়?
” বিক্রমপুরের রুশরাজ্যে।
সূর্য দৃষ্টি মেঝেতে স্থাপন করল। কিছু ভাবল এরপর বললো_তাহলে আজ আসি,ও ফিরলে আমার কথা বলবেন।
” তা অবশ্যই।
সূর্য তড়িঘড়ি করে চলে যায়।

জয়া ও জাহাঙ্গীর তাদের প্রোপার্টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করে। তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হয় তাদের পারিবারিক উকিল।
জাহাঙ্গীর উকিল কে দেখে খাবার রেখে উঠে আসে। কিছু কাগজপত্র নিয়ে দ্রুত পায়ে উকিল ও জাহাঙ্গীর স্থান ত্যাগ করে।
বিক্রমপুরের রাশরাজ্য ——-
রুশ রাজ্য–
ডিসি সাহেব সারাদিন তাদের টিমের সবাইকে বিভিন্ন জায়গা দর্শন করে দেখিয়েছে।ডিসি সাহেব সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো,
এখানের প্রতিটা জায়গা,অজানা অচেনা। তোমাদের হয়তো প্রশ্ন থাকতে পারে এখানে তোমাদের কেন এনেছি?এখানে কি হয়েছিল!কেন হয়েছিলো।কাদের বসবাস ছিল!তা আমরা কেউ ই সঠিক ভাবে জানি না । তবে , অপা,রেশন এর জন্য কখনো এই রুশরাজ্যে জায়গাটা দরকার হলে যেন কারো কোন বিভ্রান্ত না থাকে, তাই এইখানে তোমাদের ক্যাম্পিং করানো।

এভাবে ডিসি সাহেব রুশরাজ্যের আনাচে কানাচে সবকিছু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাল সবাইকে।
বিভিন্ন জায়গা পর্যবেক্ষন করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
টিমের সবাই ফিরে আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায় ক্যাম্পে।সবাই ক্লান্ত।
সবাই যে যার রুমে চলে আসলো। টিমে টোটাল ছিল ১৬ জন। একটা রুমে আটজন করে।সবাই বিশ্রাম এ বিলন হয়ে আছে। সারাদিন হেঁটে হেঁটে বিভিন্ন যায়গা পরিদর্শন করেছে।
সবার মাঝ থেকে হঠাৎ অপূর্বর ইচ্ছা হয় তারা সবাই মিলে দিগন্ত নদীর তীরে যাবে। এই জায়গাটা তে নাকি কেউ আসে না। কিন্তু তার ইচ্ছে সবটা ঘুরে ঘুরে দেখবে তাও আবার রাতে। অপূর্ব সবসময় সাহসী ছেলে। কারো কথা শোনার মত নয় সে‌। একজন সৎ সাহসী পুলিশ অফিসার।
অপূর্ব বললো,আমরা সবাই কিছুক্ষণ পর দীগন্ত নদীর তীরে যাচ্ছি।রাতে একবার যায়গাটা পরিদর্শন করবো।
সাদিক কাপা কন্ঠে বললো,তোরা যা আমি না‌। কি ভয়া’নক জায়গা টা।
সাদিকের কথা শুনে অপূর্ব সহ, রায়হান,হিমেল,মিদুল,পলাশ খিল খিল করে হেঁসে উঠে।
অপূর্ব মৃদু হেসে বললো,একজন পুলিশ হয়ে ভয় পাচ্ছিস। আমি কারো কোন কথা শুনবো না। আমরা ঠিক ৬:৩০ বের হবো।

সবাই অপূর্বের কথা শুনতে বাধ্য।কারন তাদের প্রান প্রিয় বন্ধু। ‘
৬:৩০ মিনিট ——-
অপূর্বের পরিকল্পনা মত সবাই বেড়িয়ে পরলো।
চাঁদনী রাত- জোসনায় আলোতে চারদিক দিনের মত আলোকিত হয়ে গেছে। চারদিক নিস্তব্ধ সুনসান।ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক,বাদুরের আলাপ আলোচনায় ভয়ানক রুপ ধারন করেছে।
নদীতে কিছু কিছু মাঝি জ্বাল ফেলছে।
সবাই হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর অবধি চলে যায়। সেখানে অবস্থিত , অনেক বড় বড় জঙ্গল। চারপাশে ঝোপঝাড়।দেখে মনে হয় এ্যামাজন জঙ্গল।

সাদিক ভয়ার্ত কন্ঠে বলল, হেই অপূর্ব চল ফিরে যাই। আমার কেমন জানি ভয় ভয় করছে।
অপূর্ব তৎক্ষণাৎ হুসসসস বলে চুপ নির্দেশক আঙুল দেখিয়ে সবাইকে চুপ করতে বলে।
“কি হয়েছে? জিজ্ঞেস করল রায়হান।অবাক সে!চোখ দুটো ছলছলানি দিয়ে উঠল।
‘”কেউ আছে এখানে।আমরা ছাড়াও।”বলল অপূর্ব।
সাদিক বলল_এই ভয় দেখাস না।এখানে কেউ ভুলেও আসে না।
অপূর্ব ফিস ফিস করে বলল,আমি বলছি তো ওদিক টায় কেউ আছে। পায়ের চপর চপর আওয়াজ আসছে।
সাদিক পুনরায় থমকে গিয়ে বলল_চল ফিরে যাই।
” তোরা এখানেই থাক আমি দেখছি। অপূর্ব সামনে এগিয়ে গেল।
সাদিক , পলাশ,রায়হন , সহ সবাই অপূর্ব কে বারন করলেও শুনলো না‌।
সাদিক বেশ বিরক্ত নিয়ে বলল_এই ছেলেটা আজ মরবে।
অপূর্ব জঙ্গলের ভেতরে চলে যায়।

চারদিক নিশ্চুপ। গাঁ ঝিমঝিম।
হঠাৎ কানে ভেসে আসলো নূপুরের আওয়াজ।
অপূর্ব থমকে দাঁড়ায়। পূরো শরীর থেকে অঝরে ঘাম ঝরতে থাকে।
ভয়ার্ত কন্ঠে প্রশ্ন করলো,
“কে ওখানে কে ওখানে?
কারো কোন সাড়া শব্দ নেই।
অপূর্বর ডান হাতে পিস্তল বাম হাতে টর্চ।
অপূর্ব কাপা কন্ঠে পুনরায় প্রশ্ন করে,
আমি জানি এখানে কেউ আছে বেরিয়ে এসো । হঠাৎ অপূর্বর পেছন দিক থেকে কেউ দৌড়ে সামনের দিকে চলে যায়।

অপূর্ব কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।সে অনুসরন করে দৌড়াতে থাকে পেছন পেছন সামনে থাকা ছায়া মূর্তি র। পরক্ষনেই সে বেখেয়ালির জন্য হোঁচট খেয়ে পরে যেতেই হাত থেকে টর্চ টা পরে যায়।
তবুও থেমে না থেকে উঠি দাড়িয়ে , অচেনা লোকটিকে পরোক্ষ করতে থাকে।
জোসনায় আলোতে চারদিকে আলোকিত হওয়ায় সামনের পরিচ্ছেদ টা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।অপূর্ব ঠিক ভাবে খেয়াল করলে দেখতে পায় অচেনা লোকটি কোন ছেলে নয়।একটা মেয়ে।
অপূর্ব অবাক হয়ে যায়। এই জঙ্গলে মেয়ে আসবে কোথায় থেকে। বুকের ভেতর ধুকবুকানি টা বেড়ে যায় তার ।
অপূর্ব ভয় না পেয়ে মেয়েটার পেছন ছুটতেই , ধমকের সুরে বললো,দাড়াও বলছি নয় গুলি করে দেবো।
মেয়েটি থমকে দাড়ায়। মেয়েটি হাঁপাচ্ছে।কম করে ৫-৬ হাত দূরে মেয়েটা ।চুল গুলো বেনুনি করা‌। পায়ে জুতো নেই।মুখটা সম্পুর্ন ঢাঁকা।
অপূর্ব পেছন থেকেই প্রশ্ন করে,কে তুমি আর এই জঙ্গলেই বা করছো কি,?
মেয়েটি কিছু না বলে সামনে হাঁটতে শুরু করে।
অপূর্ব মেজাজ দেখিয়ে বললো,
এই দাড়াও কে তুমি বলো নয়….
বলতেই মেয়েটি , এক অদ্ভুত কন্ঠে উত্তেজক ভঙিতে বললো,

“আমি এলিজা।
এলিজা! এখানে কি? এত রাতে কি করছো? চুরি না অন্য কিছু?বেশ বিচলিত হল অপূর্ব।
মেয়েটির উত্তরের আশায় থাকতেই , পেছন থেকে রায়হান,মিদুল, সাদিক_’অপূর্ব’ অপূর্ব বলে ডাকা শুরু করলে অপূর্ব পেছনে তাকাতেই মেয়েটি গায়েব।
সামনে তাকাতেই দেখে মেয়েটি নেই। এত কম সময় কোথায় গেলো।
সাদিক অপূর্বর ঘনিষ্ঠ হয়ে বলল_তুই ঠিক আছিস?
অপূর্ব স্বাভাবিক হয়ে বলল_ঠিক আছি ‌।তোদের বলেছিলাম না কেউ আছে।সেটা সত্যি।আর কোন ছেলে নয় বরং একটা মেয়ে‌।তবে অদ্ভুত ছিলো মেয়েটি। হয়তো লুকোচুরি খেলছে।
সাদিক হেঁয়ালিপূর্ণ ছাপে বলল_ধুর এই জঙ্গলে মেয়ে আসবে কোথা থেকে। তুই যে সুন্দর হয়তো’বা জ্বীন দেখা দিয়েছিল। , বলেই সবাই অট্টহাসি দিয়ে উঠলো।
“চুপ কর। ও কোন জ্বীন নয়। অদ্ভুত ছিলো মেয়েটা ।নাম ও বলেছিলো।
“কি নাম জ্বীনের শুনি?

“এলিজা।
রায়হান তখন বলল_জঙ্গল টা সুবিধের নয় চল এখান থেকে।
সাদিক তৎক্ষণাৎ কিছু ভেবে বললো – মেয়েটার বয়স কেমন হবে?
অপূর্ব আন্দাজ করে বললো- আনুমানিক
২৩-২৪ হবে।মেয়েটির বচন ভঙ্গি তে এমনটাই বুঝলাম।
সাদিক কিছু বললো না।বেশ কিছুক্ষণ সকলে নিরব রইলো।
অপূর্ব আগ্রহ নিয়ে চারপাশ টায় চোখ বুলিয়ে নিলো। ভালো করে পরোক্ষ করলো।কেউ নেই। তবে সত্যি ই কি মনের ভুল?
এসব অপূর্ব ভাবতে ভাবতে সামনে যেতেই চোখ পড়ল মাটিতে । কিছু একটা চিকচিক করছে। চাঁদের আলো ভালো দেখা না গেলেও বোঝা যাচ্ছিল কিছু একটা পরে আছে। অপূর্ব মাটি থেকে চিকচিক করা জিনিসটা তুলে দেখলো একটা নূপুর। হাতে উঠিয়ে নিলে মনে মনে ভাবতে লাগলো, এটা কোন জ্বীন নয়। বাস্তবিক একটা মেয়ে ছিলো‌।আর ঐ মেয়েটির ই নুপুরটি।
কিন্তু কে এই জঙ্গলে ই বা কি করছিলো??
পরদিন সকাল বেলা—-

সবাই খাবার খেয়ে যে যার মত বসে বসে গল্প করছে। এতদিন কি কি শিখলো।এসব নিয়ে বিভিন্ন কথায় সবাই মশগুল।
অপূর্ব এক পাশে বসে নুপুর টি দেখছে । আর ভাবছে। যদি কোন মেয়েলোক নাই হবে তবে নুপুরটি , এখানে কিভাবে আসলো?আর যদি কোন মেয়েই হবে, তাহলে এলিজা কে আর এই জঙ্গলেই বা কি করছে! উদ্দেশ্য কি ছিল?
হঠাৎ ডিসি সাহেব রুমে প্রবেশ করলো।
সবাই তাকে দেখে সম্মানের সাথে দাঁড়িয়ে যায়।ডিসি সাহেব সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো,
আজ আমাদের টুরের ১৫ দিন।
হয়তো সবার মনে একটাই প্রশ্ন।এমন একটা জায়গায় কেন নিয়ে এসেছি। গতকাল জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দিতে পারিনি।

সবার ধারনা ‌।আজ থেকে প্রাই চাঁরশো,পাঁচশো বছর আগে এখানে রাজা রা বসবাস করতো। তাদের ই রাজ্য ছিল‌। কিন্তু তাদের কেউ অমানবিক ভাবে মেরে ফেলেছে। তার পর থেকে এই রুশরাজ্যে কেউ থাকে না। তবে, এখানে সবাই ঘুরতে আসে।তোমাদের এখানে টুর শুধু এইজন্য যাতে ‌,‌কখনো অপারেশন এর জন্য এই জায়গা টা দরকার হলে কারো মনে কোন বিভ্রান্ত না থাকে। আমরা শিঘ্রই চলে যাবো।
ডিসি সাহেব রুম থেকে চলে যাবে, ঠিক তখনি থমকে দাড়িয়ে পেছন ঘুরে বললো,সবাই তো খবর পেয়েছো।
অনেক দিন থেকে ২৭ বছরের ছেলেরা কিড,ন্যাপ হচ্ছে ।তারপর তাদের কেউ নৃশং,স ভাবে মেরে লা,শ গুলো এখানে ওখানে ফেলে যাচ্ছে।সব থেকে কৌতুহলের বিষয় হলো, এই পর্যন্ত যাদের ই লা,শ পেয়েছে। তাদের কারো শরীরে হার্ট নেই।
অপূর্ব বললো,স্যার এটা নিশ্চয় মারাত্মক কোনো সাইকো কি”লার -সাধারণ কেউ নয়।
রায়হান বলল_ আমরা সম্পুর্ণ’ভাবে চেষ্টা করবো এই কিলা,র কে ধরার জন্য।
ডিসি সাহেব বললেন_ very good .আমরা আগামীকাল এখান থেকে চলে যাব সবার মনে থাকে যেন‌।Be safe always

বলে চলে যান তিনি।
সবাই সাইকো কি,,লার কে নিয়ে কথা বলছে।
অপূর্ব বাদে , অপূর্ব নুপুরটি নিয়ে মনস্থীর করেছে। আজকে এখান থেকে দূরে যে গ্রাম গুলো আছে , সেখানে যাবে এবং এলিজা কে খুজবে। কে এই নারী, জঙ্গল ই বা এত রাতে কি করছিলো?
এই মেয়েকে খুঁজতে হবে।

সাদিক পাশ থেকে আতংক কন্ঠে বলল, ভাই আমার তো ভিষন ভয় করছে। ২৭ বছরের ছেলেদের অপ,হরণ
করে ওদের খু,ন করে। তারপর শরীর থেকে হার্ট বের করে নেয়া হয়। কি সাংঘা,তিক
বল ।
অপূর্ব বেশ হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বলল_হুম ,ঠিক বলেছিস বিষয়টা খুবই অদ্ভুত।

এলিজা পর্ব ২+৩