কাজলরেখা পর্ব ৩৩
তানজিনা ইসলাম
আঁধার পুরোদিন খুব নিশ্চিন্তে ছিলো। চাদনী যখন একবার বলে দিয়েছে যাবে না, তার মানে ও যাবে না। চাঁদ কখনো মিথ্যে বলে না। ওর ধারণা ছিলো চাদনী বোধহয় এবারে একটু বেশিই ত্যাড়ামি করবে, কিন্তু মেয়েটা এতো সহজে মেনে যাবে ভাবেনি ও। আকিব শিকদার রেডি হয়ে বসে আছে সোফার উপর। আঁধার তার বিপরীত পাশের সোফায়।ও মনে মনে হাসছে। শুধু শুধু ওর চাচা অপেক্ষা করছে। কিন্তু তার মেয়ে তো যাবে না। আচ্ছা এটা কী আঁধার বলে দেবে ! না, থাক। চাদনীই বলুক। ও কেন বলতে যাবে? আকিব শিকদার হাতঘড়ি দেখে আঁধারের দিকে তাকিয়ে বললো
-“চাঁদ তো এখনো নামলো না আঁধার!”
-“মনে হয় ও যাবে না, চাচ্চু।”
আকিব শিকদার সোজা হয়ে বসলেন। ভ্রু কুঁচকে বললেন
-“অবশ্যই যাবে ও। ঢাকা আসার পর থেকে আমাকে ফোন দিয়ে কান্না কাটি করছিলো গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য। আর এখন নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি যখন যাবে না?”
আঁধার বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টালো। দু-হাত উচিয়ে বোঝালো, ওর আইডিয়া নেই।
একটু সময় পর, চাদনী কে রেডি হয়ে নিচে নামতে দেখা গেলো।আঁধার হাসি বন্ধ হলো নিমিষেই, কপালে ভাজ ফেলে তাকালো ওর দিকে। অথচ চাদনী নিচে নেমেই আকিব শিকদারকে বললো
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
-“আমি রেডি। চলো।”
আঁধার হা করে তাকালো চাদনীর দিকে। কিছুটা চিল্লিয়ে বললো
-“এই বেয়াদব! তুই না বলেছিস যাবি না!”
-“কখন বললাম! আমি তো কাল থেকেই বলে আসছি যাবো।”
স্বাভাবিক কন্ঠে বললো চাদনী। যেনো ও আঁধার কে কোনোরকম প্রমিজ করেনি। আঁধার এসব কোত্থেকে বলছে! আঁধার আগুন দৃষ্টিতে তাকালো ওর দিকে। চাদনী গাছাড়াভাবে তাকালো , পরপর মুখ বাকালো।আঁধারের মন চায়লো চাদনীর গলা টিপে দিতে। আকিব শিকদার না থাকলে, এক্ষুনি বোধহয় গলা চিপ দিয়ে ধরতো।
আকিব শিকদার তাড়া দিলেন
-“চলো, বের হওয়া যাক। আবার ট্রেন মিস হয়ে যাবে।”
চাদনী ঘাড় বাকালো। আকিব শিকদার দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলেন। চাদনী বেরোনোর আগে চ্যাম্প দৌড়ে আসলো ওর কাছে। পায়ের সাথে নিজের লোমশ গা বুলাতে থাকলো। করুন স্বরে ডাকলো বারকয়েক। চাদনী হাঁটু মুড়ে বসে, জড়িয়ে ধরলো ওঁকে। মলিন হেঁসে বললো
-“থ্যাঙ্কিউ ফর দা কম্পানি! ভাগ্যেস তুমি ছিলে, নয়তো এই একা বাসায় আমি একাকিত্বে শেষ হয়ে যেতাম। বিশ্বাস করো, এই বাড়ির সদস্যদের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি মিস করবো তোমাকে! খুব মনে পরবে আমার, তোমার কথা। চ্যাম্প, আমি চলে যাচ্ছি বাচ্চা। তোমার সাথে আমার বোধহয় আর দেখা হবে না!”
-“কেন??মরে যাবি তুই?”
খেঁকিয়ে বললো আঁধার।
চাদনী উঠে দাঁড়ালো। চোখমুখ কুঁচকে বললো
-“মরবো কেন হ্যাঁ? মরবো কেন? আর আসবো না, বুঝছো। সারাজীবনের জন্য গেলাম!”
-“উহু রে! শখের দেখি কমতি নাই। যেভাবে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছিস না, সব মনে রাখলাম। সুদে-আসলে ফেরত দেবো তোকে, শয়তান! এক্সাম টা শেষ হতে দে খালি!”
চাদনী তাকালো আঁধারের দিকে। বিমর্ষ চিত্তে বললো
-“আঁধার ভাই, আমার পাখি দুটো কে দেখো। ওঁদের একটু পরপর দানা আর পানি দিতে হয়।”
-“পারবো না।”
-“তাহলে আমি নিয়ে যাই ওঁদের?”
-“ধরে দেখ, ওই খাঁচা সহ তোকে ঘরবন্দী করবো। বেইমানের ঘরের বেইমান। এতবড় বেইমানি করতে পারলি আমার সাথে! আট মাস একটা বেইমানকে পাললাম আমি! ছিহ! মিথ্যুক। এতোবড় প্রতারনা কার থেকে শিখলি? তুই তো এসব ছলাকলা জানতি না!”
-“তোমার থেকেই শেখা। মিথ্যে না বললে সারাক্ষণ যাবি যাবি না করে, প্যান প্যান করতে। আমি আমার মাইন্ড ফ্রেশ রাখতে চেয়েছিলাম!”
আঁধার এগিয়ে গিয়ে ধুম করে চাপড় বসালো ওর পিঠে। চাদনী ব্যাথায় চোখমুখ কুঁচকে ফেললো। চেঁচিয়ে বললো
-“যাওয়ার আগেও তুমি আমার সাথে এমন করবে!”
-“ইউ ডিজার্ভ ইট। তোরে তো আমার মেরে ফেলতে মন চাচ্ছে!”
আঁধার গটগটি বেরিয়ে গেলো। চাদনী ওর পিছু পিছু হাঁটা ধরলো।
গাড়ি চলছে তার নিজ গতিতে। নভেম্বর মাস। কয়েকদিন ধরে কিছুটা শীত পরছে। দিনে গা ঝলসানো রোধ থাকলে রাতে ঠান্ডা বাতাস বহমান থাকে, কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে যায় প্রকৃতি। আকিব শিকদার পেছনের সিটে বসেছেন। আঁধার ড্রাইভ করছে, তার পাশের সিটে বসে আছে চাদনী। চাদনী পিছনে বসতে চেয়েছিলো ওর বাবার সাথে। আঁধার জোর করে বসিয়েছে ওর পাশে। ছেলেটার লজ্জা নেই, ভয়-ডর কিচ্ছু নেই। ওর কথা না শুনলে দেখা যেতো, আকিব শিকদারের সামনেই বেফাঁস কিছু বলে দিতো। জানালা খোলা, হুড়মুড়িয়ে বাতাস ঢুকছে। চাদনীর ঠান্ডা লাগছে। গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে শীতে। একটা সালোয়ার পরে চলে এসেছে ও। সোয়েটারও পরেনি।নিজের গায়ের ওড়নাটা চাদরের মতো করে গায়ে জড়িয়ে নিলো চাদনী।কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না, সিল্কের ওড়না। গায়ে থাকা আর না থাকা একই ব্যাপার। দু’হাতের তালু মৃদু ঘষে নিজেকে উষ্ণ করার চেষ্টা চালালো ও। আঁধার বাকা চোখে দেখলো ওকে। গম্ভীর স্বরে বললো
-“সোয়েটার পরে আসলি না কেন? এটুকুও আক্কেল নেই?”
-“আমি কী জানতাম বাইরে এতো শীত পরছে! ফ্ল্যাটে থাকলে তো বোঝা যায় না।”
-“জানালা বন্ধ করে দিব?”
-“বমি আসবে!তুমি জানো না আমি বদ্ধ গাড়িতে শ্বাস নিতে পারি না!”
আঁধার সামনে থেকে খুঁজে একটা জ্যাকেট দিলো চাদনীর হাতে। বললো
-“ধর, এটা আমার। যেতে যেতে ম্যানেজ কর, কোনোমতে।”
-“তোমার জ্যাকেট পরবো? ছাপড়ির মতো লাগবে!”
আঁধার জ্যাকেটটা ওর হাতে গুঁজে দিয়ে বললো
-“থাপ্পড় খাবি একদম৷। এমনিতেই একটা কথা অমান্য করেছিস। লাগলে লাগুক। অন্তত ঠান্ডা থেকে তো বাঁচতে পারবি! জ্বর কমেছে কখন তোর? আবার অসুস্হ হওয়ার জন্য।চাচ্চু কে বলবো!”
চাদনী আর না পেরে জ্যাকেটটা পরলো। ঠান্ডায় দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে, তারপরও ওর আঁধারের সাথে ত্যাড়ামি করতেই হবে। জ্যাকেট গায়ে দিতেই ওর ক্ষুদ্র শরীর জ্যাকেটের আড়ালে ডুবে গেলো। আঁধারের জ্যাকেটটা এমনিতেই বড়, ও সবসময় একটু বড় সাইজের হুডি জ্যাকেট পরে। এগুলো না-কি স্টাইল। কিন্তু এ স্টাইলে আঁধারকেই ঠিকঠাক লাগে। চাদনীর মনে হচ্ছে ওঁকে একটুও ঠিক লাগছে। আগে কেমন লাগছে না লাগছে এসব নিয়ে একটুও কনসার্ন ছিলো না চাদনী। কিন্তু ঢাকা আসার পর আঁধারের বাঁশ খেয়ে নিজের প্রতি এতোটা অভার কনসার্নড হয়েছে ও, যে এখন লুক নিয়ে ভাবতে ভাবতেই সময় যায় ওর।
-“চাঁদ!”
-“হু!” চাদনী পাশ ফিরে তাকিয়ে বললো। আঁধার সামনে দৃষ্টি রেখে নরম স্বরে বললো
-“আমাকে ছেড়ে না গেলে হয় না? আমি আবার একা হয়ে যাবো! এই পুরো শহরে একদম একা! আমার নিজের বলে কেও থাকবে না।”
-“আমি তোমার নিজের কেও ছিলাম?”
-“হ্যাঁ, ছিলি তো। তোকে নিয়েই তো আমি আমার দিনগুলো দুঃখ ছাড়া কাটাতাম!”
-“হাহ! সেটা আমাকে দুঃখ দিয়ে!”
-“মাফ করা যায় না। থেকে যা।”
-“কী হবে থেকে?”
-“একটা ছোট সংসার হবে।”
-“কালো মেয়ের সাথে? লজ্জা লাগবে না তোমার? ওই সেনসিটিভিটি নিয়েই তো এসেছিলাম।হৃদয়ে আর কিচ্ছু অবশিষ্ট নেই।”
-“তোর হৃদয়ে সবকিছু নিঃশ্বেষ হয়ে যাওয়ার পর, আমার হৃদয়ে কিছু জন্মানো কী খুব দরকার ছিলো?”
-“কী জন্ম নিয়েছে?”
-“ভালোবাসা!”
চাদনী জানালার দিকে মুখ করলো। ওর এবার কান্না আসছে। ও কেঁদে দেবে! নিজের হাতে সবকিছু শেষ করে দিয়ে আঁধার এভাবেই ইমোশনাল কথা বলতে আসে। চাদনীর হৃদয় গলে যায়, সত্যিই গলে যায়। ওর ভালোবাসা টা তো মিথ্যে ছিলো না। এ ছেলেটাকে ওর ছোট্ট হৃদয় টা পাগলের মতো ভালোবেসেছে৷ কিন্তু ভালোবাসা কী আত্মসম্মান থেকে বড়? উহু! না, কখনোই না৷ একটা মেয়ের বেঁচে থাকার তাগিদই হচ্ছে তার ইজ্জত, তার সম্মান। আঁধার কেন একটু ওর কদর করলো না? ওর অসীম ভালোবাসার বিনিময়ে কেন সবসময় কটু কথায় পেয়ে গেলো ও? চাদনী পুরো রাস্তা আর কোনো কথা বললো না। কিন্তু আঁধার ফিসফিস করে বলতে থাকলো, চাদনী যাতে না যায়। ওর এই প্যানপ্যানানি চাদনী ট্রেনে ওঠার আগ পর্যন্ত চলতে থাকবে।
রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভীড়। সন্ধ্যা হওয়ায় ভীড়টা একটু বেশিই।ট্রেন আসছে, যাত্রীরা নামছে। আবার যাত্রীতে পূর্ণ হলে ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে। ব্যস্ত সময়। চাদনী যখন প্রথম ঢাকায় এসেছিলো, তখনও একই পরিবেশ ছিলো। একই সময়।ইশ! কতো স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলো ও। যে ছোট্ট সংসারের কথা আঁধার আজ বলে, ওঁকে থেকে যেতে বলছে। সেদিন কেন সে সংসারের আশ্বাস আঁধার দেয়নি ওঁকে? কেন ওর স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। চাদনী চোখের জল আটকে রাখার চেষ্টা করে। আঁধার দেখলে খুব বাঁশ মারবে! ছেলেটার কোনো ইমোশন নেই। বেয়াদব একটা! চাদনী ঢোক গিললো। কাঙ্ক্ষিত ট্রেন এসে থামলো ওঁদের সামনে। চাদনী দু’টো বড় বড় ট্রেলি নিয়ে এসেছে। আঁধার ওর পাশ ঘেঁষে দাঁড়ালো। গভীর স্বরে বললো
-“ভাই, তুই শুধু একমাসের জন্য যাচ্ছিস! এতো বড় বড় ব্যাগ নিয়েছিস কেন?”
-“আর আসবো না!”
-“ধাক্কা মেরে ট্রেনের নিচে ফেলে দিবো এখন বিশ্বাস কর। তোর বাপও তোরে বাঁচাতে পারবে না!”
-“ভয় পাই না!”
আঁধার নাক ফুলিয়ে তাকালো। চাদনী গা থেকে খুলে জ্যাকেট টা দিয়ে দিলো ওর হাতে।আঁধার বললো
-“এক্সাম শেষ হলেই নিতে যাবো।মাইন্ডে সেট করে রাখবি সেটা। নিতে গেলে যাতে তোর নখরা দেখতে না হয় আমাকে।”
চাদনী মলিন হেঁসে বললো
-“শাবিহা আপু কে বিয়ে করে নিয়ো! আমি গ্রামে গিয়ে বাবা আর বড় বাবাকে বোঝাবো। ডিভোর্স..
-“আর একটা শব্দ মুখ থেকে উচ্চারণ করলে জিভ কেটে ফেলবো!”
চাদনী চোখ সরিয়ে আকিব শিকদারের দিকে তাকালো। আকিব শিকদার বললেন
-“চলো। সময় হয়েছে!”
চাদনী পা বাড়ানোর আগে আঁধার ওর হাত চেপে ধরলো।করুণ স্বরে জিজ্ঞেস করলো
-“চলে যাচ্ছিস!”
-“যাচ্ছি!”
-“আমার কথা মনে পরবে না তোর?”
-“না।”
-“চ্যাম্পের কথা পর্যন্ত মনে পরবে তোর! আমি এতটাই বানের জলে ভেসে এসেছি!”
-“চ্যাম্প আমাকে যতটুকু ভালোবাসা দিয়েছে এই আটমাসে, ততটুকু তোমার সাথে আমার দেখাও হয়নি। দেখা হলেও তোমার কটু কথায় জর্জরিত হয়েছি। এর বেশি আর কিছুই নেই। মনে করার সুযোগ কই?”
-“কিন্তু আমার খুব মনে পরবে রে তোর কথা।”
চাদনী টলমলে দৃষ্টিতে তাকালো। আঁধারের চোখে চোখ রেখে অসহায় গলায় আওড়ালো
-“তুমি নিজেও জানো না, তোমার এক একটা কথার ওজন কতোটা ভারী ছিলো। সে ভার বহন করার সাধ্য আমার ছিলো না।তুমি জানতেও পারবে না, তোমার একটা কথার আঘাত কতটা বিশ্রী ভাবে আমার হৃদয় ছিন্নভিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।মানুষের কথার আঘাত রুহ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।মানুষ ব্যথায় মরে, কথায় মরে। কথার যে কতো ব্যাথা সেটা শুধু আঘাতপ্রাপ্ত মানুষটায় জানে। আমি চলে যাচ্ছি। সারাজীবনের জন্য চলে যাচ্ছি। আর ফিরবো না, কক্ষনো না। অভিশাপ দিলাম না তোমাকে। তবে নিজের দীর্ঘশ্বাস রেখে গেলাম। আমার দীর্ঘশ্বাস তোমাকে শান্তিতে থাকতে দিবে না।”
আঁধার হাত ছেড়ে দিলো চাদনীর। আকিব শিকদার ওর হাত ধরে ট্রেনের ভেতর নিয়ে গেলেন।
ট্রেন চলতে শুরু করলো। আঁধার তাকিয়ে থাকলো সেদিকে। ওর গলার কাছে কিছু একটা আঁটকে আছে। জ্বলছে খুব করে। ও কিছু বলতে চেয়েছিলো চাদনীকে। পারলো না।মেয়েটা শুনলো না। আঘাতের প্রতিদানে, আঁধার এতো বিশ্রী ভাবে আঘাত পেলো! আঁধার বুকের উপর বা’হাত রাখলো। আশ্চর্য! হৃৎপিণ্ড টা এতো জোরে লাফাচ্ছে কেন? এতোটা অসহায় কখন হয়ে পরলো ও চাদনী কে ছাড়া?শুধু ঢাকায় চাঁদনী ছাড়া আর কেও ছিলো না তাই? না পুরোটা জুড়ে শুধু চাদনীই ছিলো? আঁধার বুঝতে দেরি করে ফেললো, কোনটা? আঁধারের চোখ বেয়ে একফোঁটা জল গড়িয়ে পরলো। ভাঙা গলায় আওড়ালো ও
কাজলরেখা পর্ব ৩২
-“বাট আই উইল মিস ইউ সো মাচ!”
এজন্যই বোধহয় বঙ্কিমচন্দ্র বলেছিলেন,
-“রাগ করিয়া ভ্রমরকে ভুলিবার চেষ্টা করিলেন।ভুলিবার সাধ কি?
সুখ যায়, স্মৃতি যায় না।ক্ষত ভালো হয়, দাগ ভালো হয় না।মানুষ যায়, নাম থাকে।”
