কালকুঠুরি পর্ব ৪৭

কালকুঠুরি পর্ব ৪৭
sumona khatun mollika

বাড়িতে ঢুকতেই সাফিনের সামনে পরে সামির। হাতের ব্রিফকেসটা সাফিনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,,
– শালায় ধুলন্ধর আছে! কিভাবে মারলাম একটু ভয়ও পেলোনা।
– সেজন্যই তোরে পাঠাইলাম । গুইন্যা আনছিস?
– নাহ। টাইম পাইনি। ইচ্ছেও হয়নি। তাছাড়া পুলিশের সাইরেন বেজে উঠেছিল ।
– যা।
– একটা কথা খুব রিসার্চ কইরা দেখলাম,, মানুষ আজকাল আমার রূপ গুণ যাচাই করতে আসে।
– লোকটা দেখতে কেমন ছিল??
– বয়স ভালোই। বোঝা যায় না যদিও। শান্ত মস্তিষ্কের ।

সাফিন মাথা নেড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। সামির ঘরে গিয়ে নিজের ছুড়িটা ওয়াশ করে জামা কাপড় বদলে নেয় । মাথা মুছতে মুছতে আয়নায় দেখতে পায় গালের পাশের চকচকে তিলটা। সেটা দেখে তার সেই বোরখাওয়ালী বেবি টার কথা মনে পরে। ঝট করে টেবিলে বসে বেশ সময় নিয়ে সামহার ছবি আঁকায়। সর্বশেষে পেন্সিলের বিন্দু বসিয়ে গালে একটা তিল একে দেয় । তার নিজেরো ঠিক একি জায়গায় তিল আছে। ছবিটার দিকে তাকাতেই তার গালদুটো হেসে ওঠে। নিজে নিজেই আওরায়,,,
” ইশশ বাঙ্গির ছা ডা কি কিউট! ”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

– আমিও তিউট!
– হ তুই তিউট আর এডা কিউট।
– কাকা,
– উমম?
-…………….
– কিরে?
সামির তাকিয়ে দেখল সিয়েরা একটা ছবি উচিয়ে ধরে জিজ্ঞেস করল,,
– এটা কে?

সামির তাকে দুই হাতে কোলে তুলে টেবিলের ওপরে নিজের মুখ বরাবর বসালো। সিয়েরা পা গুটিয়ে বসে ছবিটা ঘুরিয়ে দেখালে সামির জিজ্ঞেস করে,,
– এ মুটি তুই এডি কই পাইছিস?
– আমাদের ঘলে। মায়ের কাছে।
– মায়ের কাছে??
– হুউ। বলনা কাকা এটা কে?
– এটা একটা কালনাগিনী । নাম জানিস? ইনায়া। ইনায়া সিকান্দার !

সিয়েরা চোখ ড্যাব ড্যাব করে ছবিটা দেখলো। কাকার মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝালো সে তার কথা বোঝেনি। সামির হাফ ছেড়ে বলে,,
– কালনাগিনী মানে খুব খারাপ ” এই মহিলা অনেক খারাপ।
– এ? এতো সুন্দর কাকা,,,,,,,,,, ,,,,,,,,,,,।

সামির তার দুই গাল আকড়ে ধরে চোখ ট্যারা করে, জীভ বের করে হাস্যকর চেহারা করে বলল,,,
– এমন তারপর এমন তারপর এমন হলেই মানুষ সুন্দর হয়না। এ,, খুবই খারাপ। খুব খুবই খারাপ।
মনে থাকবে? এটা কে?
– কালনাগিনী।
– সাবাশ!!
সিয়েরা বাবার আসার আওয়াজ শুনে ছুটতে ছুটতে চলে যায়৷ সামির তাকিয়ে দেখে,, সিয়াম হাতের ব্যাগটা নুসরাতের হাতে দিয়ে সিয়েরাকে কোলে তুলে হালচাল জিজ্ঞেস করছে। সামির নিচে নেমে ডাইনিং টেবিলে বসে। সাফিন সোফায় বসে কাগজপত্র দেখছে। রাহা তার পাশেই বসে আছে। তাকে সাহায্য করছে।

তখনি রাহার ফোনে কল আসে আননোউন নাম্বার থেকে,,
– কে?
– আপনি সিভান নামের ছেলেটার কে হন?
– কেন?
– বাচ্চাটা এক্সিডেন্ট করেছে। সিএন্ডবি রোডে।
ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে৷
– এক্সিডেন্ট?
রাহা বসা থেকে উঠে দাড়ায় । সাফিন তার দিকে একবার তাকিয়ে আবারো নিজের কাজে মন দেয় । সামির এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল কে টপকালো?
রাহা আতঙ্কিত কন্ঠে জবাব দেয় ,,
– সিভান এক্সিডেন্ট করেছে৷

সাফিন এবারে একটু অপ্রস্তুত হয়ে জিজ্ঞেস করে,,
– এক্সিডেন্ট? কোথায় ও? কিভাবে কি?
– ইবনে সিনা হাসপাতালে ।
সাফিন একপর্যায়ে ছোটার মতো বেরিয়ে যায় । রাহাও পেছনে দৌড়ে যায় । সিয়াম, নুসরাত সবাই ছুটে যায় । কিন্তু সামির সিকান্দার দাড়িয়ে রইল। ইতি ডাইনিং টেবিলে বসে আছে। সামির আবারো ডাইনিং টেবিলে বসে ইতির প্লেটে থেকে একটা মাছ তুলে কাটা বেছে দিতে দিতে বলল,,
– দেখেছিস ইতি যার যার তার তার। ইতি?
– বলো মামাই,,
-বাবার কথা মনে পরে?
– না।
– কেন না?
– ওটাকে বাবা বলেনা মামাই । মামাই?
– উমম?
– তুমিইতো আমার বাবা। মায়ের বরকেই শুধু বাবা বলে??
-তাহলে কাকে বলে? আমি কারো বাপ হওয়ার যোগ্য নই।
– যে জানে বাপ হতে কি লাগে সে অবশ্যই বাবা হবার যোগ্য।
– বেশি বড়ো হয়ে গেছিস! নে ধর তাড়াতাড়ি গেল।

ইতি এক লোকমা ভাত তুলে সামিরের মুখের সামনে ধরল। সামির গাল টেনে হেসে চুপচাপ খেয়ে নেয় । ইতি জিজ্ঞেস করে,,
– সিভান ভাই এক্সিডেন্ট করেছে? তোমার খারাপ লাগছেনা?
– আমি বরাবরি বলি, আমি খারাপ আর খারাপের কখনো খারাপ লাগেনা।
– তাই নাকি?
– তুইও তো হয়রান হচ্ছিস না? ।
– আমার আর মারপিট দেখে খারাপ লাগেনা। সিভান ভাইয়ের জন্য চিন্তাতো হচ্ছেই। চলো আমরাও যাই।
– চল।

আপন পরের খেলায় ইতি বাচ্চাটা মাঝখানে ফাসা এক ভুক্তভোগী। সাফিন, সিয়াম কেও পাত্তা দেয়না। নুসরাত বেশি সময়ই নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত। সাথি সারাদিন সিকান্দার গার্মেন্টস এ কাজ করে। জরিনা নিজের কাজটুকু শেষে টিভি দেখতে বসে যায় । সিভান সারাদিন স্কুল থেকে ফিরে রাতে একটু খেলাধুলা করে। সিয়েরার সাথেই তার সারাদিন।
সামির আর ইতিও হাসপাতালে চলে আসে। সিভানকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে । সাফিন বাইরে কপালে হাত চেপে বসে রয়েছে । রাহাকে কাঁদতে দেখে নুসরাত হা করে তাকিয়ে আছে। রাহা কাঁদছে তাও সিভানের জন্য ! বিশ্বাস যোগ্য নয়। সিয়েরা সিয়ামের কোলেই ঘুমিয়ে গেছে । । কাশেম সাফিনের পাশে দাড়িয়ে আছে । ইতি গিয়ে সাফিনের ঘাড়ে হাত রেখে বলে,,

– মামাই?
– বল কি সমস্যা ।
– তোমার কষ্ট হচ্ছে?
– কষ্টের কি আছে জীবনে চলতে গেলে এসব ছোটখাটো দুর্ঘটনা হয়।
সাফিনের জবাব সম্ভবত ইতিকে হতাশ করল৷ সে অতটুকু বাচ্চা বয়স ৭ কি খুব বেশি হলে ৮। তারো ভেতরে খুব খারাপ লাগল। সাফিনও কি তবে তার বাবার মতোন? সালার সিকান্দার যত খারাপই হোক না কেন অন্তত সাফিন আর সিয়ামকেতো ভালোবাসত। সিভান একটামাত্র ছেলে সন্তান হবার পরেও সাফিন তাকে ভালোবাসেনা। আজীবন এটারি আফসোস করে এসেছে সিভান। ডাক্তার জানালো এখানে ভীর করা যাবেনা। আপনারা আগামী ১৮ ঘন্টা পেশেন্টের সাথে দেখা করতে পারবেন না। ডাক্তার চলে যাওয়ার পরে সাফিন সামিরকে সেখানে থাকতে বলে কাজের বাহানায় চলে যায় । সিয়াম আর সাফিন বাদে বাকিরা সবাই থেকে যায় । সাথিও কাজ থেকে সোজা হাসপাতালে পৌঁছে গেছে ।
নুসরাত রাহার কান্নায় একপা বিরক্ত হয়ে গেল। তার পাশে বসে আওয়াজ নিচু রেখেই জিজ্ঞেস করল,,
– যদি কিছু মনে না করো তো একটা কথা বলি? তমার আসলেই খারাপ লাগছে নাকি অভিনয় করছো? হুমম???
– আমার কষ্ট তোমার কাছে নাটক মনে হয়? হতেই পারে।
– সেভাবে বলতে চাইনি। ভুল বুঝেছ। মানে, সিভানতো তোমার বড্ড অপছন্দের। মনে নেই ৩ বছর আগে ওর সাথে মারপিট করেইতো বাড়িতে আগমন করেছিলে। সেজন্য একটু কনফিউশান।

– কিন্তু এখন আমি সিভানকে ভালোবাসি। আমার নিজের ছেলে মনে করি। কেন জানো? কারণ, সাফিন সিকান্দার তার সাথে যে আচরণ করে তাতে তার কি পরিমাণ কষ্ট লাগে আমি জানি। আমি কোনোদিনও মা হতে পারবোনা সিভানই আমার একমাত্র সন্তান। হয়ত নাড়ির টান কি আমি বুঝবোনা৷ সিভান মা বলে ডাকবে কিনা তাও জানিনা কিন্তু সিভানই আমার এই জনমের শেষ সন্তান।
নুসরাত এবার একটু চোখ কুচিয়ে জিজ্ঞেস করে,,
– তুমি মা হতে পারবেনা কেন??

– সাফিন দেবে না। বলা হয়ে ওঠেনি,, আমি প্রেগনেন্ট ছিলাম। ভিষণ খুশি ছিলাম হাসপাতাল থেকে জানতে পেরে ওখানে দাড়িয়েই সাফিনকে খবর দেই। ও বলল, ওখানেই থাক। কিছুসময় পর এসে ওই হাসপাতালেই আমার এবরশান
করিয়েছে। মনে আছে সিয়েরার যখন অনেক জ্বর, তখন আমি কিছুদিন বাড়ি ছিলামনা? তখন হাসপাতালে ছিলাম। কনফিডেনসিয়াল ভাবে আমার থেকে চিরতরে মাতৃসুখ ছিনিয়ে নিল আমার স্বামী ।
– তুমি মানা করোনি কেন?
– কারণ আমি যেমন সাফিন সিকান্দার কে বিয়ে করতে বাধ্য ছিলাম, তেমনি তার সব সিদ্ধান্তে আমি বাধ্য ।
– ওয়েইট! মানে তুমি বড়ভাইকে বিয়ে নিজ ইচ্ছে তে করোনি?
– না।
– তবে??

– আমার বাবা আমাকে বেঁচে দিয়েছে সাফিন সিকান্দার এর কাছে। সিভান যে তার ছেলে এটাও আমার অজানা ছিল৷ আমাকে কালকুঠুরি তে আটকে রাখার দুদিন পর লালকুঠি তে পাঠানোর আয়োজন করা হয়েছিল । সেদিন সাফিন সিকান্দার আমাকে শর্ত দিয়েছিল,, তার একজন সার্বক্ষণিক এসিসট্যান্টের দরকার। আমি যদি তার সকল কথা বাধ্য মতো মানি তবে আমাকে সেই নরকে পাঠানো হবেনা । আমি রাজি হয়ে যাই। সেদিনি কয়েকজন ছেলেপুলেদের সাক্ষী তে আমাদের বিয়ে হয়। আসার পথে জানতে পারি আমাকে ঠিক কতটা খারাপ হতে হবে! সিভানের ওপর মায়া হয়। তবে প্রকাশ করতে পারিনা। সাফিনের জন্য ।

কিছু মুহুর্ত নিস্তব্ধতা। নুসরাত বুঝতে পারে এই পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন বিষয় হলো মানুষ কে ভেতর থেকে চেনা। ইনায়া কে ঠিক যতটা ভালো মনে করত ইনায়া তার দুই গুণ বেশি খারাপ। আর রাহার ব্যাপারে নুসরাতের ধারণ ছিল ভিষণ খারাপ। অথচ রাহা খারাপের পর্দার আড়ালে থাকা এক অদ্ভুত রহস্যময়ী নারী । নুসরাত কি বলবে বুঝে পায়না। সিয়ামের আচরণও তার কাছে মনে হয় দায়সারা। সিয়াম আপাতদৃষ্টিতে তার ভাইয়ের চাকর! নুসরাত এটাও বিশ্বাস করে যদি সাফিন অর্ডার করে সিয়াম তাকে আর সিয়েরাকে বলি দিতে সম্ভবত দুইবার ভাববেনা । বড় করে হাফ ছেড়ে কোলে ঘুমানো সিয়েরাকে রাহার কোলে দিয়ে নুসরাত আড়মোড়া ভাঙতে শুরু করে ।
রাহা এখনোসিভানের কেবিনের দিকে তাকিয়ে আছে। সামির ওখানেই বসে ফোন ঘাটাঘাটি করছে৷

টেবিলে বসে পড়ার সময় ভুমি গিয়ে তার পায়ে দুটো গুতো মেরে বলছে,,
-এ্যাই আম্মু ,, আম্মু?
-বলো
– এই থেতুটাকে ধলে মালো ।
-কেন সেতু কি করেছে?
– আমাকে পুইপুই দিতথে না।
– এখন পুইপুই দিয়ে খেলার টাইম না বাবা। তিতিনের সাথে খেল।

ভুমি কিছুক্ষণ আম্মুর পানে চেয়ে রইল । কি একটা চিন্তা করে বেরিয়ে গেল । কিছুক্ষণ পর সেতুর চেচামেচি ভেসে আসলো,, ভুমির বাচ্চাআআ!! মাহা হুড়োহুড়ি করে গিয়ে দেখল ভুমি ঘুমিয়ে থাকা সেতুর পেটের ওপর বসে এক জগ পানি ঢেলে দিয়েছে তার মুখে। তিতিনকেও পানি দিয়ে গোসল করিযেছে নিজেও পুরো ভিজে জবজবা হয়ে গেছে।
সেতু আবারো চেচিয়ে উঠলো,,
-নামো পেটের ওপর থেকে
– চুপ কলো মুটকি। আমাল পুইপুই দাও।
মাহা এগিয়ে গিয়ে দুম করে পিঠের ওপর একটা বসিয়ে দিয়ে শাসনের কণ্ঠে বললো,,
– একদম বাবার মতো ডানপিটে । বদের হাড্ডি কোথাকার। আর কখনো এমন করবি?

ভুমি ফোলা ফোলা গাল দুটো ফুলিয়ে ঠোঁট উল্টে ফ্যাৎ করে কেঁদে ওঠে। মাহা হাত উচিয়ে বলে,, আবার কাঁদছে , দেব আরেকটা দেব?
সেতুই আবার তাকে জড়িয়ে ধরে বলে
– আহ, আপাজান মাইরেন না। বাচ্চা মানুষ মাইরেন না।
ভুমির সে কি রাগ! সেতুকে ধাক্কা মেরে বলছে,, সলো তুমি তোমাল জন্য মেলেথে। আমার পুইপুই দাও তুমি। মাহা আবারো ক্ষেপে বলে,,
আবারো পুইপুই চাচ্ছে! এখন এই রাতের বেলা কেও গিটার বাজায়! দেব একদম কানের গোড়ায়!
ভুমি এবার গড়াগড়ি করে কাঁদতে শুেু করে, আব্বু! এ্যাআ এ্যআ! আমাল পুইপুই দাও পুইপুই দাও আমাল পুইপুই দাও !
মাহার রাগের মাত্রা একধাপ বাড়ার আগেই সেতু বালিশের নিচে থেকে ওর খেলনা সবুজ গীটার টা বের করে বলে, নে ভিলেনের বাচ্চা নে, ধর তোর পুইপুই আল্লাহর লানত পরুক একে পয়দা করা পাব্লিকের ওপর!

– সেতু তুমি কি বললে?
– ইযে মানে সরি ভুলে বেরিয়ে গেল!
ভুমি গিটারটা গলায় ঝুলিয়ে বলে,
– ভিলেন না ভিলান! আব্বুর নাম ভিলান।

কালকুঠুরি পর্ব ৪৬

কথাটা বলেই ভুমি তার তথাকথিত পুইপুই নিয়ে চলে যায় । সেতু জোরে গলায় বলে জামাটা বদলে যা রে ভিলানের বেবি। মাহা আওয়াজ করে হেসে ওঠে। চুপচাপ ঘরের এক কর্নারে বসে সে তার পুইপুই বাজাচ্ছে । বাজারে গিয়ে খেলনার দোকানে একঝাক খেলনার ভেতরে তার এই গিটারটা পছন্দ হয় । মাহা নিয়ে দিতে রাজি থাকলেও সেতু বলেছিল লাল রঙের টা সুন্দর । জোরজবরদস্তির করে ভুমি সবুজ গীটার টা কিনে নিয়েছে। মাহা বেশ লক্ষ্য করে ভুমির পছন্দ একদম তার বাবার মতো। পছন্দের রঙ সবুজ পছন্দের জামা লাল, অপছন্দের খাবার খাসির মাংস । একদম গন্ধ টাই সহ্য করতে পারে না।

কালকুঠুরি পর্ব ৪৮

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here