গোধুলির শেষ বিকেলে তুমি আমি পর্ব ৪০

গোধুলির শেষ বিকেলে তুমি আমি পর্ব ৪০
Raiha Zubair Ripti

গায়ে হলুদের শাড়ি পড়ে স্টেজে বসে আছে রজনী। একটু আগেই শাফায়াত, রুয়াত এসেছে। সাদমান এর গায়ে হলুদ শেষ হয়েছে। রুয়াতের শরীরে এখনও হাল্কা জ্বর আছে। শাফায়াত রুয়াত কে ধরে নিয়ে স্টেজে আসলো। রজনী তাকালো বোনের দিকে। রুয়াত হাসলো। বাটি থেকে একটএ হলুদ নিয়ে রজনীর গালে ছুঁইয়ে দিলো। তারপর জড়িয়ে ধরে বলল-

-“ সকল সুখ তোমার হোক আপা। আর দুঃখ রা না ভিড়ুক তোমার তীরে।
শাফায়াত ও হলুদ ছুঁইয়ে দিলো। হাল্কা একটু নাচগান শেষ হলে শাফায়াত রুয়াত কে নিয়ে চলে আসে। রজনী রুমে এসে শাড়ি পাল্টানোর জন্য উদ্যোত হলে বিছানায় থাকা ফোন টা বেজে উঠে। রজনী তাকিয়ে দেখে সাদমান কল করেছে। তাও আবার ভিডিও কল। রজনী রিসিভ করলো ফোন টা। মুহূর্তে ফোনের স্কিনে ভেসে উঠলো সাদমানের মুখশ্রী। রজনী গম্ভীর মুখে বলল-
-“ মনে পড়লো আমাকে কল দেবার কথা?
সাদমান হাসলো। গায়ে হলুদের শাড়ি সাথে কাঁচা ফুলের গহনায় অপরূপ সুন্দর লাগছে। সাদমান কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে শুধালো-

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-“ অনেক আগেই দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ফোন ছিলো না কাছে। ব্রো নিয়ে গিয়েছিল।
-“ কেনো?
-“ কেনো আবার। আমাকে শায়েস্তা করার জন্য। আমাকে ফোন দিতে দিবে না। কথা বলতে দিবে না।
-“ আর কারো ফোন ছিলো না কল দেওয়ার জন্য?
-“ হু ছিল কিন্তু লজ্জার ও তো একটা ব্যপার আছে।
-“ ঠোঁট কাটা দের আবার লজ্জা থাকে নাকি?
-“ হোয়াট ডু ইউ মিন আমি বেশরম?
-“ বাদ দিন। তা ফোন টা কখন পেলেন হাতে?
-“ এই তো একটু আগেই। তবে আমি কিন্তু আপনাকে দেখেছি।
-“ কিভাবে?
-“ মনে মনে স্বপ্নে।
রজনী হেঁসে ফেললো।

-“ একদম হাসবেন না রজনী।
-“ কেনো?
-“ বুকে এসে বিঁধে। ইচ্ছে করে টুক করে আপনার গাল টেনে ধরি।
-“ তাই বুঝি?
-“ হু।
-“ আচ্ছা আমাকে কেমন লাগছে?
সাদমান রজনী কে রাগানোর জন্য বলল-
-” মোটামুটি।
রজনী ভ্রু কুঁচকালো। তাকে কি সুন্দর লাগছে না গায়ে হলুদের সাজে? মোটামুটি মানে কি হ্যাঁ? এভাবে মুখের উপর কোনো ছেলে বলে তার হবু বউ কে?

-“আপনি কি জানেন আপনাকে মেক-আপ ছাড়াই বেশি সুন্দর লাগে?
-“ আমাকে কি সুন্দর লাগছে না সাদমান? হাল্কা মেক-আপ করেছি।
সাদমান কিছুক্ষণ ভেবে বলল-
-“ হু সুন্দর লাগছে বাট এতো ভারী মেক-আপ করবেন না খবরদার বিয়ে তে। দেখা যাবে প্রথম রাত টার অর্ধেকই কেটে যাবে মেক-আপ তুলতে তুলতে।
রজনী মুখ বাঁকিয়ে বলল-

-“ অসভ্য। একটু তো প্রশংসা করতেন আমার। আর এটা ভারী মেক-আপ না। আমি খুবই সিম্পল সাজ দিছি।
-“ মিথ্যা প্রশংসা আমার দ্বারা হয় না।
-“ আচ্ছা রাখি।
-“ আরেহ্ রাগ করছেন কেনো। শুনুন।
-“ কি? বলেন।
-“ কাল তো বিয়ে।
-“ জানি তো।
-“ ফিলিংস টা কেমন?
-“ ভালোই।
-“ শুধুই ভালো?
-“ হু।

-“ রেগে বলছেন জানি তো। আমার তো রাতই কাটছে না। কখন সকাল হবে আর আমি আপনাকে নিজের করে নিতে আসবো। উফ সময় গুলোর কাটা মনে হচ্ছে চলতেই চাচ্ছে না। এই প্রেমিক পুরুষের অপেক্ষা দেখে মজা নিচ্ছে।
-“ তাড়াতাড়ি আসবেন।
-“ ভোর হলেই চলে আসি কি বলেন?
রজনী হেঁসে বলল-

-“ হু চলে আসুন।
-“ রাখছি ঘুমান। কাল দেখা হচ্ছে আমাদের।
রজনী ফোন টা কে’টে দিলো। তারপর মেক-আপ শাড়ি বদলে থ্রিপিস পড়ে নিলো।
রুয়াত বাসায় ফিরেই ঘুম দিয়েছে। শরীর টা আর ভালো লাগছে না। এই শরীর খারাপ নিয়েও সারাদিন কাজ করেছে। রুয়াত মোটেও চায় না শরীর খারাপ দেখে হাত পা গুটিয়ে সব কাজ কর্ম শ্বাশুড়ি ননদের উপর ছেড়ে দিতে। শারমিন বেগম অনেক মানা করেছিল কাজকর্ম না করতে। কিন্তু রুয়াত শুনেনি। হলুদ বাটা থেকে শুরু করে গায়ে হলুদের সব কাজ রুয়াত করেছে। শাফায়াত কাজে ব্যস্ত থাকায় জানতে পারে নি। এখন মায়ের কাছে শুনে রাগে কিড়মিড় করছে। শাফায়াত রুমে এসে দেখে রুয়াত শাড়ি পাল্টে ঘুমিয়ে পড়েছে। শাফায়াত ডাকলো না। শরীর ভরা রাগ নিয়েই শুয়ে পড়লো।

সকাল হতেই রুয়াত ঘুম থেকে উঠে কাজে লেগে পড়তে নিলে শাফায়াত বাড়ি ভর্তি সবার সামনে ধমক দিয়ে ঘরে নিয়ে আসে। এই তো রুয়াত ড্রয়িং রুমে বসে শ্বাশুড়ির হাতে হাতে কাজ করছিল। শাফায়াত ঘুম থেকে উঠে রুয়াত কে দেখতে না পেয়ে বাহিরে এসে দেখে রুয়াত কাজ করছে। আশ্চর্য কাজ করার জন্য তো লোক রাখা হয়েছে। তারপরেও এরা কেনো কাজ করবে? তার উপর রুয়াতের শরীর ও ভালো না। তাই লোকজন ভুলে ধমকে নিয়ে আসে।
রুয়াত মুখ ফুলিয়ে বসে আছে রুমে। শাফায়াত আড়চোখে রুয়াত কে দেখলো। রুয়াত রেগে বলল-

-“ আশ্চর্য আপনি এভাবে ধমকে নিয়ে আসলেন কেনো আমায়?
-“ তো কিভাবে নিয়ে আসবো?
-“ লোকজন কি ভাবলো।
-“ তাতে আমাদের কি?
-“ সবাই বলবে বাড়ির বউ হাত পা গুটিয়ে বসে আছে।
-“ থাকবে দুদিন তারা। তারপর চলে যাবে। তাদের বলা না বলায় কি আসে যায়।
-“ আমার ভালো লাগছে না এভাবে বসে থাকতে। আপনি না বাড়ির ছেলে। আপনি এভাবে বসে আছেন কেনো? যান সাদমান ভাইকে সাহায্য করুন।
-“ তারজন্য নাইমুর আছে। আমার যেতে হবে না। তুমি চুপচাপ রেডি হও। আর তুমি কোন আক্কেলে এ শরীর নিয়ে কাজ করতে যাও। কাজে হাত দিতে মানা করেছিলাম না?

-“ অসহ্যকর আপনি সেটা জানেন?
-“ এখন জানলাম। কিন্তু করার কিছু নেই। এই অসহ্যকর কেই টলারেট করতে হবে সারাজীবন।
সাদমান সকাল সকাল গোসল করে শেরওয়ানি পড়ে রুমে বসে আছে। নাইমুর হাত ঘড়ির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। সবে বাজে দশটা। আর এই ছেলে এখনই রেডি হয়ে বসে আছে! সাদমান নাইমুর কে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলল-
-“ এই ব্রো এর বন্ধু ব্রো বোনের স্বামী দুলাভাই কখন যাব আমি বিয়ে করতে?
নাইমুর হতাশ হয়ে জবাব দিলো-

-“ এখনও সময় হয় নি সাদমান। আরো অনেকটা সময় আছে। এতো সকাল সকাল কেউ বিয়ে করতে যায় না।
-“ আশ্চর্য দশ টা বাজে। এটা এখনও সকাল মনে হয় তোমার কাছে! কত বেলা হয়ে গেছে। আর এখন গেলে সমস্যা টা কোথায়? আমার বিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি, আমার বউ। সেখানে যেতে হলে আমার সময়ের অপেক্ষা করতে হবে!
-“ হ্যাঁ ভাই করতে হবে। আর জ্বালাস না। সময় হলে তোকে নিয়ে যাব। এবার চুপ থাক।
-“ এটা কিন্তু অন্যায়। শালার সময়ও আমার সাথে বাটপারি করা শুরু করে দিছে। এই দিন, দিন না। আমারও দিন আসবে। দেখে নিব।

-“ আমেরিকায় বসে দেখে নিস। আমি আসছি রেডি হয়ে। রুম থেকে বের হবি না। মেয়েদের ও এতো বলতে হয় না। যতবার তোকে বলতে হচ্ছে আমার।
নাইমুর চলে গেলো। সাদমান রুমে পায়চারি করতে লাগলো হাতে ঘড়ি নিয়ে।
রজনী অফ হোয়াইট কালারের বেনারসি টা পড়ে বসে আছে রুমে। মুখে তেমন মেক-আপ করেনি গতকাল রাতে সাদমানের বলা কথা স্মরণ করে। হঠাৎ ফোন বেজে উঠায় তাকিয়ে দেখলো রুয়াত ফোন করেছে। রজনী রিসভ করতেই রুয়াত কে দেখতে পেলো। রুয়াত মুগ্ধ হয়ে দেখছে তার বোন কে। কি স্নিগ্ধ লাগছে তার বোন কে। রজনী গম্ভীর মুখে বলল-

-“ কতদূর তুই৷ কখন আসবি?
-“ আমরা গাড়িতে আপা। বাসার কাছাকাছি। সাদমান ভাইয়া তোমাকে আজ এ রূপে দেখলে ট্রাস্ট মি হার্ট অ্যাটাক করে বসবে।
রজনী লজ্জা পেলো।
-“ রাখছি। অপেক্ষার প্রহর গুনো সাদমান ভাইয়ের আসার।
শাফায়াত দীর্ঘ শ্বাস ফেললো। এতো এনার্জি কোথায় পায় এই মেয়ে মাথায় আসে না তার। এমন একটা ভাব ধরে আছে মনে হচ্ছে সে একদম পুরোপুরি সুস্থ। রুয়াত ব্লাক কালারের শাড়ি পড়েছে। শাফায়াত ব্লাক স্যুট পড়েছে।
সামনের গাড়িতে সাদমান আছে। দেখতে দেখতে তারা রজনী দের বাসার সামনে চলে আসলো। রুয়াত বাড়িতে পা রাখতেই কনেপক্ষ হয়ে গেট আঁটকে দাঁড়ালো। ত্রিশ হাজার টাকা না দিলে ঢুকতে দিবে না। সাদমান সরু চোখে তাকালো রুয়াতের দিকে। সে তো একটা টাকাও নিয়ে আসে নি। এখন কি বিয়ে করতে এসে ভাইদের কাছে হাত পাততে হবে! সাদমান শাফায়াত এর দিকে তাকিয়ে বলল-

-“ ব্রো আমি তো টাকা নিয়ে আসে নি৷ প্লিজ তুমি দিয়ে দাও। আমি বাসায় ফিরেই দিয়ে দিব।
শাফায়াত জবাবে বলল-
-“ আমি কি এতো টাকা নিয়ে আসছি নাকি? এই রুয়াত এটা কিন্তু ঠিক না। টাকা আনি নি আমরা।
-“ তাহলে ঢুকতেও হবে না। দাঁড়িয়ে থাকুন বাহিরে।
নাইমুর ভাগ্যিস পনেরো হাজারের মতো টাকা এনেছিল। সেটা শাফায়াত এর হাতে দিয়ে বলল-
-“ আমার কাছে এটা আছে। সাদমান বোকা টাকা না এনে বিয়ে করতে চলে আসছে। তোর কাছে থাকলে এগুলো দিয়ে ম্যানেজ কর।
শাফায়াত তর্ক বিতর্ক খুব কম করে। তার এসব ভালো লাগে না। নিজের কাছে দশ হাজারের মতো ছিলো সেগুলো রুয়াতের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল-

-“ আর নেই। ২৫ হাজারের মতোই আছে।
রুয়াত টাকাটা নিয়ে ঢুকতে দিলো সবাই কে। সাদমান কে বসানো হয়েছে ড্রয়িংরুমে। তার সামনেই রজনী বসে আছে ঘোমটা টেনে। মাঝখানে সাদা পাতলা পর্দা দেওয়া। রজনীর মুখ টা এখনও দেখার সৌভাগ্য তার হয় নি। কাজি এসে বিয়ে পড়ানো শুরু করলে। রজনী কে কবুল বলতে বললো। রজনীর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসলো। শাড়ির আঁচল খামচে ধরে সময় নিয়ে কবুল বললো। সাদমান কে বলতে বললে সাদমান সাথে সাথে বলে ফেলে। সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে। কবুল বলার শেষে সাদমান কে রজনীর মুখ দেখতে বলা হয়। সাদমান কাঁপা কাঁপা হাতে রজনীর ঘোমটা টা সরায়। সাথে সাথে দেহের হৃৎস্পন্দন থেমে যায়। পূর্ণতা পাবার আনন্দ বুঝি এটাই? এতে খুশি প্রশান্তি লাগছে যে বলে বোঝানো দায়। সাদমান মুখে কিছু বিরবির করে রজনীর মাথায় ফু দিলো। তারপর লোকজনের তোয়াক্কা করলো না। রজনীর কপালে ওষ্ঠ ছুঁইয়ে দেয়। পুরো শরীর বরফের মতো জমে যায় রজনীর। তারা এখন আমরা তে পরিনত হয়েছে। পবিত্র এক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়েছে।

সন্ধ্যা হলে রজনী কে নিয়ে আসা হয় শাফায়াত দের বাসায়। রজনী খুব একটা কান্না করে নি। শাফায়াত দের বাসায় এসে রজনী কে সাদমান এর রুমে দিয়ে আসা হয়। সাদমান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রুমে চলে আসে। রজনীর কাছে এসে রজনী কে শাড়ি বদলে আসতে বলে। রজনী শাড়ি বদলে সুতি কাপড়ের শাড়ি পড়ে নেয়। সাদমান নিজেও রুমেও ভেতর শেরওয়ানি বদলে টিশার্ট পড়ে নেয়। তারপর রজনী কে নিয়ে বেলকনিতে চলে আসে। আকাশ টা কালো মেঘে ঢাকা। চাঁদের দেখা কখনও মিলছে তো আবার কখনও কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। সাদমান প্যান্টের পকেট থেকে একটা বক্স বের করলো। রজনী তখন আকাশ দেখতে ব্যস্ত। সাদমান হাঁটু গেঁড়ে বসে বলল-

-“ মিসেস সাদমান ধন্যবাদ আমার জীবনে আসার জন্য। ধন্যবাদ আমার জীবন কে এতো সুন্দর করে দেবার জন্য। ধন্যবাদ আমাকে ভালোবাসতে দেবার জন্য। ধন্যবাদ….
সাদমান শেষ করতে পারলো না। তার আগেই রজনী সাদমানের গালে হাত রেখে বলল-
-“ ধন্যবাদ আপনাকে সাদমান আমাকে দ্বিতীয় বার স্বপ্ন দেখার সাহস দেওয়ার জন্য।
সাদমান গাল থেকে রজনীর হাত সরিয়ে অনামিকা আঙুলে আংটি টা পড়িয়ে দিয়ে চুমু খেয়ে দাঁড়িয়ে বলল-
-“ ভালোবাসি আপনাকে ভীষণ রজনী।
রজনী সাদমান কে জড়িয়ে ধরে বলল-

-“ আমিও আপনাকে ভালোবাসি সাদমান। আমার হাত কখনও ছেড়ে দিয়েন না। একবার নিজেকে সামলে নিতে পেরেছি কিন্তু দ্বিতীয় বার আর পারবো না।
সাদমান শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল-
-“ কক্ষনও ছাড়বো না আপনার হাত। আপনি ভরসা করতে পারেন আমায়। ভরসার অমর্যাদা আমি কখনই করবো না।

বেলকনিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে নীতি। হাতে জ্বলজ্বল করছে রোহান সুমার ছবি সাথে নেহাল আর ওর ফ্রেন্ড রাও আছে। কি হাসিখুশি লাগছে রোহান কে। অথচ নীতির জীবনে হাসিখুশি নেই আজ। লোকটা এতো পাষাণ কেনো? একটু বেশি ভালোবাসে বলে লোকটা এমন করছে? ভালোবাসলে এতো কষ্ট কেনো হয় হৃদয়ে? আচ্ছা আজ থেকে যদি নীতি রোহান কে না ভালোবাসে তাহলে কি এই কষ্ট থেকে নীতি মুক্তি পাবে? হ্যাঁ পাবে মুক্তি। ভালোবাসাও থাকবে না হৃদয়ে তাহলে যন্ত্রণা ও হবে না। নীতি ফেসবুক থেকে বেরিয়ে আসলো। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল-

গোধুলির শেষ বিকেলে তুমি আমি পর্ব ৩৯

-“ কাউকে নিজের সবটা দিয়ে ভালোবাসতে নেই। নিজের জন্য ও কিছু রেখে দিতে হয়। নাহলে পরে পস্তাতে হয়। আর যাকে ভালোবাসবে তার থেকেই অবজ্ঞা সহ্য করতে হয়। আপনাকে নিজের সবটা দিয়ে ভালোবাসার ফল এখন পাচ্ছি। তাই তো আপনাকে পাবার তীব্র ইচ্ছে নিয়ে আজ থেকে আমি আপনার থেকে দূরে সরে আসলাম। কি বলুন তো? আমি খুব করে দেখলাম,ভাবলামও। যে মানুষটা আমাকে ছাড়া ভালো থাকে,আমার থাকা না থাকায় কিছু যায় আসে না। তাকে আর যাই হোক ভালোবাসা যায় না। আপনি ভালো থাকুন। আর আমিও না হয় আজ থেকে নতুন ভাবে ভালো থাকার চেষ্টা করবো আপনি বিহীন। খুব কষ্ট হবে জানি। তবুও চেষ্টা করবো খুব।

গোধুলির শেষ বিকেলে তুমি আমি পর্ব ৪১