চেকমেট পর্ব ৪৭

চেকমেট পর্ব ৪৭
সারিকা হোসাইন

সিয়েরা ফরেস্টের চূড়া থেকে রাতের আঁধার এখনো পুরোপুরি সরে যায়নি। ভেজা পাতার গায়ে শিশিরবিন্দু ঝুলে আছে মুক্ত দানার ন্যয়। কুয়াশার ধুম্রজালের বিস্তার ধীরে ধীরে বিলীন হচ্ছে সেই সাথে গাছের ফাঁক গলিয়ে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের নরম কোমল আলো। দূরের পাহাড়ের চূড়ায় ইতোমধ্যে সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়ছে।এ যেন নতুন দিনের আগমনী বার্তা। বাতাসে ভেজা মাটির তাজা গন্ধ আর পাখিদের কুহু তানে ভোরের নীরবতা ভেঙে যাচ্ছে একটু একটু করে।সারা অরণ্য জেগে উঠছে এক অনাবিল শান্তির আবরণে।

রূপকথা সারা রাত এক বিন্দু ঘুমায় নি।সে মায়া চৌধুরীর জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় সারাটা রাত তার শিয়রে বসেই কাটিয়ে দিয়েছে।সারফরাজ ও পুরোটা রাত ছটফট করে কাটিয়েছে।কখন তার মা জাগবে আর তাকে নাম ধরে ডাকবে সেই প্রত্যাশায়।কিন্তু মায়া চৌধুরী যেনো দীর্ঘ যুগ বাদে শান্তির নিদ্রায় গিয়েছেন।কতকাল ধরে তিনি নির্ঘুম কে জানে?এজন্যই তো আজ এতগুলো বছর পর সারফরাজ মা মা করে ডাকবার পরেও তিনি চোখ খুলতে পারছেন না।তার শরীর মন বুঝে গিয়েছে সে নিরাপদে,সুরক্ষিত,সুস্থানে আছেন।নইলে অমন আরামের ঘুম কখনো হয় নাকি?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ধীরে ধীরে সূর্যের তাপ প্রখর হলো সেই সাথে তেজী হলো মৃদু কিরণ।কক্ষের থাই গ্লাস আর ভারী পর্দা ভেদ করে বৃহৎ মেঝেতে খেলা করতে লাগলো উষ্ণ আলোক রশ্নি।সেই রশ্নির তিক্ষ্ণতায় মায়ার ক্লান্ত চোখ জোড়া নড়ে উঠলো।কেঁপে উঠলো চোখের পাতা।ধীরে ধীরে পিটপিট করে চোখ মেলে চাইলেন তিনি।চারপাশে অবোধ দৃষ্টি বুলিয়ে আবার চোখ বুঝলেন।এরপর শোয়া থেকে ধীরে ধীরে উঠে বসলেন।সময়ের ব্যবধানে তার মুখের রঙ পাল্টাতে শুরু করলো হঠাৎ।ক্লান্ত চোখ মুখে ফুটে উঠলো স্পষ্ট চূড়ান্ত ভয়ের ছাপ।সাহায্য প্রার্থনার আশায় চারপাশে চোখ বুলালো মায়া।এমন সময় গরম স্যুপ এর বাটি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করলো রূপকথা।মায়া চৌধুরী কে ছটফট করতে দেখে রূপকথা উঁচু গলায় ডাকলো

“সারফরাজ!
রূপকথার গলা পেতেই পড়ি মরি করে দৌড়ে এলো সারফরাজ।এদিকে রূপকথাকে দেখে অল্প শান্ত হয়ে বসলো মায়া।এরপর ছোট শিশুর ন্যয় শুধালো
“ওই শয়তান টার হাত থেকে আমায় তুমি রক্ষা করতে পেরেছো মা?
মায়ার করুন চাহনি আর কাতর গলায় রূপকথার চোখ ছলছলে হলো।সে অল্প মাথা দোলালো।কিন্তু হুহু করে কেঁদে উঠলো সারফরাজ।তার কেমন ভয় হতে আরম্ভ করলো।যদি তার মা তাকে না চিনে?যদি তার চোখ জোড়া রুদ্রের চোখ মনে করে হাইপার হয়ে উঠে তখন?এমন পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিবে সারফরাজ?তবুও চোখের জল লুকিয়ে গুটি গুটি পা ফেলে রূপকথার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো সারফরাজ।এরপর অজানা ভয়ে মাথা নিচু করে ফেললো।সারফরাজ এর মনের অবস্থা আঁচ করতে পারলো রূপকথা।তাই হাতের স্যুপ এর বাটি ঝটপট কর্নার টেবিলে রেখে মায়ার কাছে এসে বসলো।এরপর মায়ার হাত চেপে ধরে নরম গলায় বলল

“সারফরাজ এসেছে আন্টি।
সারফরাজ এর নাম শুনে মাথা নিচু করে কেঁদে ফেললো মায়া।সারফরাজ ধীর পায়ে এগিয়ে এসে মায়ার পায়ের কাছে হাটু মুড়ে বসে দুই পা চেপে ধরে কোলে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো।মায়া কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো না।সে আনমনে সারফরাজ এর চুলে বিলি কেটে ডেকে উঠলো
“রাজ বাবা আমার!কোথায় তুই?ও সারফরাজ!মায়ের কাছে আসবি না?
মায়ার আকুল ডাকে সারফরাজ মায়ার কোল থেকে মাথা তুলে মায়ার মুখ পানে অসহায় নজর নিবদ্ধ করলো।সারফরাজ এর আকাশি চোখ জোড়ায় দৃষ্টি মিলিয়ে চোখের জল ছেড়ে দিলো মায়া।নীরবে সেই জল কপোল গড়িয়ে গ্রীবা দেশে বিলীন হলো।কুঁচকে যাওয়া কম্পিত হাত জোড়া দিয়ে সারফরাজ এর মুখ আজলায় ভরে গভীর নজরে দেখলো মায়া।এরপর ফিসফিস করে বলে উঠলো

“এই তো আমার মানিক আমার রাজ।আমার বাবা।এটাই তো আমার বাবার চোখ।এই চোখে কোনো হিংস্রতা নেই।এই চোখ যে আমার বড্ড চেনা।এটা আমার সারফরাজ এর চোখ!
কথা গুলো বলেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন মায়া।সেদিনের সেই ছোট সারফরাজ এতবড় কি করে হলো তা তার ছোট মস্তিষ্কে ধরলো না।সারফরাজ মায়ার হাত জোড়া নিজের করপুটে বন্দি করে ছোট বাচ্চার ন্যয় শব্দ করে কেঁদে বলে উঠলো

“আমি তোমার সেই ছোট্ট সারফরাজ মা।কতো গুলো বছর ধরে তোমায় খোঁজে চলেছি।তুমি জানো তোমাকে ছাড়া কিভাবে কেটেছে আমার রাত দিন?তুমি কেনো আমায় একা ফেলে সেদিন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেছিলে মা?আমাকে এতিমের মতো ফেলে কেনো গেলে তুমি?তোমাকে হারিয়ে আমি যে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছি ।আমার জীবন যে কলুষিত হয়ে গেছে মা।
মায়া কোনো প্রত্যুত্তর করলো না সারফরাজ এর কান্নায়।সে যেনো তার নিজের ভাবনাতেই মশগুল।মায়া গভীর চোখে শুধু সারফরাজ কে পর্যবেক্ষণ করে চললো।এরপর হুট করে আনমনে বলে উঠলো
“তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে নাও সারফরাজ।স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে।

মায়ার কথায় সারফরাজ মন থেকে ভেঙে গেলো।তার মা এখনো সেই একুশ বছর আগের স্মৃতিতেই আটকে রয়েছে।তার মা মোটেও সুস্থ নন।সারফরাজ এর চোখ দুটো চিনলেও আদতে তিনি মোটেও সারফরাজ কে চিনেন নি।সন্তান হিসেবে এটা মেনে নিতে বড্ড কষ্ট হলো সারফরাজ এর।তার বুক ভেঙে শ্বাস ভারী হয়ে উঠলো।সারফরাজ এর বিক্ষিপ্ত মস্তিষ্ক হন্যে হয়ে ভাবতে লাগলো কোথায় চিকিৎসা করালে তাকে দ্রুত সুস্থ করতে পারবে?
রূপকথা সারফরাজ এর চোখের ভাষা বুঝলো নিমিষেই।সে ঝটপট মায়ার সামনে এসে বলে উঠলো
“আন্টি এই আপনি আগে এই স্যুপ টা খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিন।তারপর না হয় ….
রূপকথাকে কথা শেষ করতে না দিয়েই তাড়া দেখালেন মায়া।তিনি ব্যস্ত গলায় মেঝেতে হাঁটাহাঁটি করতে করতে বললেন

“ওসব স্কুলের অনেক কঠিন নিয়ম মা।খেতে বসলেই দেরি হবে।আমি সারফরাজ কে স্কুলে দিয়ে এসেই খাবো।কেমন?
বলেই শূন্যের মাঝে কল্পনায় সেই ছোট সারফরাজ কেই হাতড়ালেন মায়া।এমন সময় ডক্টর হ্যানরি একজন নিউরো স্পেশালিস্ট কে নিয়ে সারফরাজ এর ড্রয়িং রুমে এসে উপস্থিত হলেন।ডক্টর কে বসতে দিয়ে ইয়ং দৌড়ে এলো দুতলায়।এরপর সারফরাজ কে ইনফর্ম করলো
“আপনার মা কে নিয়ে একবার নীচে চলুন।ডক্টর হ্যানরি এসেছেন।
সারফরাজ মাথা ঝাকাতেই মাথা নত করে বেরিয়ে গেলো ইয়ং।ইয়ং কে অনুসরণ করে চোখের জল মুছে রূপকথাকে ইশারা করে বেরিয়ে গেলো সারফরাজ ।
সারফরাজ চলে যেতেই মায়া শুধালো
“উনি কে হয় তোমার?

মায়ার প্রশ্নে রূপকথার বুক ধক করে উঠলো।ভাগ্গিস সারফরাজ শুনতে পায়নি এই কথা।নইলে তার হৃদয় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যেতো।যেই মাকে একটু দেখার আশায়, একটু ভালোবাসা পাবার আশায় দিনের পর দিন ধুকে মরেছে ছেলেটা সেই মা যদি তাকে চিন্তেই না পারে সেই ব্যথা কি করে সইবে সে?
সারফরাজ হনহন করে নীচে নেমে ডক্টর হ্যানরি কে হ্যালো জানিয়ে সামনের কাউচে বসলো।এরপর নিজের ট্যাব থেকে একটা ফাইল বের করে ডক্টর হ্যানরির হাতে সোপর্দ করলো।ফাইলটা মায়ার মেন্টাল হেলথ কন্ডিশন এর।এটা ডক্টর সোহানা তাকে পাঠিয়েছে।
ডক্টর হ্যানরি ডক্টর ভিক্টর এর কাছে সেই ফাইল পেশ করে বলে উঠলো
“চেক ইট।

অভিজ্ঞ মাঝ বয়সী ডক্টর ভিক্টর গভীর চোখে ফাইল গুলো চেক করে কপাল কুঁচকে ফেললেন।এরপর হতাশা মিশ্রিত শ্বাস ফেলে বলে উঠলেন
“সে তো পাগল নয় মিস্টার রাজ।দীর্ঘদিন ধরে তাকে একই হাই ডোজের মেডিসিন সেবন করিয়ে একটা হ্যালোসিনেশন এর জগতে আটকে রাখা হয়েছে।সেই ওষুধের প্রভাবে তার মস্তিষ্ক বিক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে।কিন্তু এটা রিকভার করা সম্ভব।ওই ওষধ বন্ধ করে নরমাল ট্রিটমেন্ট করলেই উনাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।শুধু উনাকে বেশি করে সময় দিতে হবে।আর কিচ্ছু না।
বলেই হাতের ট্যাব সারফরাজ এর পানে এগিয়ে দিলেন ভিক্টর।
সারফরাজ অবাক হয়ে শুনতে লাগলো ডক্টর এর কথা গুলো।এরপর আশার আলো দেখার মতো শুধালো
“খুব দ্রুত কি মা আমায় চিনবে ডক্টর?

সন্তানকে মা চিনে না এর চাইতে কঠিন বেদনার্ত হয়তো পৃথিবীতে আর কিছুই হতে পারে না।সারফরাজ এর চোখের আকুতি বুঝলেন ডক্টর ভিক্টর।সে নিজের ব্যাগ থেকে প্যাড বের করে কিছু মেডিসিন প্রেসক্রাইব করলেন।এরপর সারফরাজ এর পানে এগিয়ে বলে উঠলেন
“উনাকে কখনো হাইপার করবেন না।উনাকে সময় নিয়ে বোঝাবেন।উনার সাথে বেশি টাইম স্পেন্ড করবেন আর এই ওষুধ গুলো নিয়ম করে খাওয়াবেন।আই হোপ শী উইল রিকভার সুন।
এরপর তিনি বলে উঠলেন

“আই ওয়ান্ট টু সী দ্যা পেশেন্ট ফর আ্য মোমেন্ট
সারফরাজ মাথা ঝাকিয়ে রূপকথাকে গলা বাড়িয়ে ডাকলো।সারফরাজ এর ডাকে মায়া কে নিয়ে ধীরে ধীরে নীচে নেমে এলো রূপকথা।ডক্টর ভিক্টর গভীর চোখে মায়ার চাল চলন ,চোখের গতিবিধি আর মুখের এক্সপ্রেশন পর্যবেক্ষণ করলেন।যদিও মায়ার মুখের ভাষা তার বোধগম্য হলো না। দীর্ঘ বছর ধরে মানসিক ভাবে অসুস্থ মানুষ গুলো সাথে কাজ করছেন তিনি।ব্রেন শর্ট হয়ে সত্যি পাগল হয়ে যাওয়া আর জোর করে পাগল বানিয়ে রাখার তফাৎ টা ঢের বুঝলেন।
ডক্টর ভিক্টর মায়াকে অবজার্ভ করে বলে উঠলেন

“আমাদের হসপিটালে একজন দেশি ডক্টর রয়েছে।ডক্টর হাসান।রোগীদের জন্য বেশ হেল্পফুল আর পোলাইট।আমি তাকে পার্সোনালি রিকোয়েস্ট করবো যাতে প্রতিদিন একবার করে এসে আপনার মায়ের হেলথ চেকআপ করে যায় আর নিজ হাতে ট্রিটমেন্ট করায়।আশা করি উনি রাজি হবেন।
সারফরাজ ডক্টরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো।ডক্টর ভিক্টর সারফরাজ কে আশ্বস্ত করে হ্যানরি কে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন।ডক্টর চলে যেতেই লুইসের হাতে প্রেসক্রিপশন তুলে দিয়ে সারফরাজ আদেশ করলো
“এখনই মেডিসিন গুলো নিয়ে এসো।

লুইস এক মুহূর্ত দাঁড়ালো না।মাথা নিচু করে চলে গেলো।
সারফরাজ এর ড্রয়িংরুমের চারপাশে মুগ্ধ নজর বুলালো মায়া।কাঁচের দেয়ালের বাইরের সবুজ প্রকৃতি ঘরের ভেতরের আভিজাত্য ভরা সৌন্দর্য সব মোহিত করলো তাকে।প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে মায়া বলে উঠলো
“দীর্ঘদিন এই দু চোখ কঠিন চটচটে বদ্ধ দেয়াল ছাড়া আর কিছুই দেখেনি।
মায়ার কথায় ব্যথিত হয়ে মায়ার সামনে এসে দাড়ালো সারফরাজ।এরপর মায়ার হাত চেপে ধরে টেনে নিয়ে গেলো বাইরে।যেনো বাবা তার ছোট রাজকন্যা কে পৃথিবীর সৌন্দর্য দর্শনে ঘরের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।সারফরাজ এর পায়ের গতি অনুসরণ করে পা মেলালো মায়া।শূন্য পা জোড়া মাড়িয়ে গেলো শিশির ভেজা ঘাস।মায়া অবাক নয়নে চারিধারের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখলো।হঠাৎ মায়া দেখতে পেলো পাইন গাছের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে দল বাঁধা হরিণের পাল।হরিণের পাল দেখে মায়া ছোট বাচ্চার ন্যয় অবাক হয়ে গেলো।অদুরের ঝর্ণা,পশু পাখি আর সবুজ প্রকৃতি সব কিছু দেখে মায়া শুধালো

“আমি কি আজীবন এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবো?
সারফরাজ পেছন থেকে মায়াকে জড়িয়ে মায়ার কাঁধে মুখ গুজে বলে উঠলো
“ক্ষমতা থাকলে তোমায় হাজার বছর বাঁচিয়ে রেখে এই সৌন্দর্য দেখাতাম মাম্মা।
সারফরাজ এর মাম্মা সম্বোধন মায়ার কাছে ঠেকলো যেনো ছোট সারফরাজ তাকে ডাকলো।মায়া চট করে সারফরাজ এর পানে ঘুরে অবাক চোখে বললো

“আবার বল।
সারফরাজ চোখের জল ছেড়ে দিয়ে ভাঙা অস্ফুট গলায় ডাকলো
“মাম্মা।
মায়ার চোখ থেকে টপ টপ করে জল গড়াচ্ছে।সেগুলো না মুছে মায়া বলে উঠলো
“আবার বল।
সারাফরাজ মায়ার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ে ডেকে উঠলো
“আমি তোমার সারফরাজ মাম্মা।আমাকে একবার বুকে জড়িয়ে ধরো।বুকটা খুব জ্বলছে মা।খুব ব্যথা করছে।আমি আর সইতে পারছি না।

চেকমেট পর্ব ৪৬

সারফরাজ এর আকুতি ভরা কান্না মায়ার বুক ভেঙে দিলো।সেও মাটিতে বসে সারফরাজ কে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠলো
“কাদিস না, সব ঠিক হয়ে যাবে ।সব।

চেকমেট পর্ব ৪৭ (২)