টেরিবেল পর্ব ২
অনুপ্রভা মেহেরিন
নগ্ন দেহে আয়েশী ভঙ্গিমায় বসে আছে এডউইন।বাগানের মাঝে বাড়ি হওয়ায় ঘোর অন্ধকারে তলিয়ে গেছে চারিপাশ।যে কেউ এই ভুতুড়ে পরিস্থিতিতে বসে থাকলে ভয়ে শিউরে উঠবে কিন্তু এডউইনের ভয় নেই সে এসবে অভ্যস্ত।
ছাদে থাকা সুইমিং পুলে গোসল সেরে বাথরোব জড়িয়ে উঠে দাড়াল।হাতে ওয়াইনের বোতল ঠোঁট চেপে আছে সিগারেট।এডউইন তখন নিজেকেই আপন মনে প্রশ্ন ছুড়ল,
” এডউইন তোমার কি দোষ?তুমিও তো পুরুষ।পুরুষদের তাড়না থাকলে তোমার থাকবে না কেন?”
নিজের প্রশ্নে নিজেই বোকা হয়ে গেল এডউইন।
” শাট আপ এডউইন।সবার সাথে তুমি নিজেকে গুলিয়ে ফেলো না।”
এডউইন হাসল তার গলায় ঝুলছে খ্রিস্টানদের ক্রস লকেট।হঠাৎ কানে এলো আন্দ্রিয়ার চিৎকার ছেলেটা প্রচন্ড ভয় পেল এদিক সেদিক তাকিয়ে এক ছুটে নিচে গেল।আন্দ্রিয়া ভয়ে এক কোণায় গুটিয়ে।
” এই মেয়ে কি হয়েছে?”
” আ..আপ..আপনার বাড়িতে ইঁদুর আমার গায়ের উপর…”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আন্দ্রিয়া কথা শেষ করার আগেই এডউইন তাকে থামিয়ে দিল।এটা ইঁদুর নয় হ্যামস্টার।এডউইন ভীষণ যত্ন করে তাদের কিন্তু আন্দ্রিয়া হ্যামস্টার টাকে ফ্লাওয়ার ভাস দিয়ে আঘাত করে আহত করেছে মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে কে জানে হয়তো হ্যামস্টার’টা মারাও যেতে পারে।এডউইন ভীষণ রেগে গেল এই রাগ সে কি করে নিয়ন্ত্রণে আনবে?কেউ যদি আপনার পালিত শখের পশু পাখিকে এতটা আঘাত করে আপনি সহ্য করবেন?এডউইনও সহ্য করতে পারেনি চেপে ধরল আন্দ্রিয়ার টুঁটি।মেয়েটা ছটফট করতে করতে কেঁদেই ফেলল।
” হাউ ডেয়ার ইউ?আমার প্যালেসে আসতে না আসতেই একেরপর এক অপরাধ করছো।আমার এক ইশারায় এরা নিজেদের স্থান পরিবর্তণ করে তারা আমার এতটাই মান্য আর তুমি মেয়ে তাদের আঘাত দিচ্ছো!”
আন্দ্রিয়া বুঝে উঠতে পারছে না কি বলবে।এডউইনের বলিষ্ঠ হাত এবং দেহের সাথে সে কুলিয়ে উঠতে পারছে না।
” আমার কান,আমার কান দেখুন কামড়ে দিয়েছে।”
অনেক কষ্টে আন্দ্রিয়া কথাটি বলল।এডউইন নিজের ভুল বুঝতে পারে আন্দ্রিয়ার কান চেক করতে দেখতে পেল হ্যামস্টার তার কুটকুটে দাঁত দিয়ে মেয়েটার কানে কামড়ে দিয়েছে।ভাগ্যিস খুব বেশি আঘাত লাগেনি।
আচমকা এডউইন আন্দ্রিয়াকে ছেড়ে দিল মেয়েটা যখন নিঃশ্বাস নিতে হিমশিমে পড়ছে ঠিক তখনি এডউইন তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে।
” কেন তুমি আমাকে রুষ্ট করছো?কেন আঘাত দিচ্ছো ওদের?বি কুআইট আন্দ্রিয়া মেরি,বি কুআইট।”
আন্দ্রিয়া ঘোরে পড়ে যায় এডউইনের কথায় এতটা জাদু মেশানো যে তার সকল ভয় নিমিষেই ঘায়েব হয়ে গেছে।এডউইন আন্দ্রিয়াকে বিছানায় বসালো এবং এখনো বুকে জড়িয়েই রেখেছে।তার নগ্ন বুকে একটা মেয়ের শরীর চিপকে আছে নিজেকে কি করে নিয়ন্ত্রণ করবে এডউইন?
” আন্দ্রিয়া শরীর ঠিক আছে?”
” নাহ।”
” দেখি আমাকে দেখতে দেখতে দাও।”
আন্দ্রিয়ার লম্বা চুল গুলো গলা থেকে সরিয়ে দিল রাতে এডউইন ক্ষত স্থানে যত্ন সহকারে ব্যান্ডেজ করেছে।পায়ের তালুতে যে অংশে ছিলে গেছে সেই অংশ দেখার উদ্দেশ্যে আন্দ্রিয়ার পা কোলে তুলে নেয়।
” বিশ্রাম নাও ঠিক হয়ে যাবে।”
আন্দ্রিয়া এই প্রথম এডউইনকে জহুরি চোখে পরখ করল।
এডউইনের চকচকে বাদামী বর্নের মণির অধিকারী দুচোখে যেন রহস্য খেলে যায়।বাদামী রঙের চুল আর খোচা খোচা দাড়ি তাছাড়া এডউইনকে এক দেখায় বোঝাই যায় এই ছেলে বাঙালি নয়।ছেলেটার গলায় ঝুলানো খ্রিস্টানদের ক্রস লকেট এতে প্রমাণ করে যে এডউইন খ্রিস্টান ধর্মের ছেলে।
আন্দ্রিয়া সাথে সাথে নিজের বুকের দিকে তাকাল তার গলায় থাকা ক্রস লকেটটি হারিয়ে গেছে। ওই জানোয়ারেরা যখন তাকে তাড়া করছিল হয়তো তখনি হাত লেগে ছিড়ে পড়ে গেছে।
” আপনার ব্যাপারে জানার ইচ্ছা জাগছে।”
আন্দ্রিয়া নরম সুরে শুধায়।এডউইন তাকে আরো কাছে টেনে আনল পায়ের ক্ষত স্থানে যত্ন সহকারে মলম লাগিয়ে বলে,
” আমি এডউইন উইলসন।আমার জন্ম আমেরিকায়।আমার পরিবার বলতে কেউ নেই অন্তত আমি এটাই বিশ্বাস করি।তবে আমার একটা পরিবার আছে যা তোমার কাছে পরিবার হিসেবে হয়ত গ্রহণ হবে না।আমার প্যালেসে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি আছে তারাই আমার পরিবার।”
” আপনি এই বাগানে কেন থাকেন?”
” সব কথা আমি তোমাকে বলতে আগ্রহী নই।”
” আমেরিকান হলে বাংলাদেশে থাকেন কেন?”
” মাই লাইফ মাই রুলস”
আন্দ্রিয়া ঠোঁট বাঁকাল।এই মুহূর্তে তার গোসল করার ইচ্ছা জাগছে।
” আমার ব্যাগ কোথায়?”
” ওই তো সোফায় রাখা।”
পা খুড়িয়ে হেটে আন্দ্রিয়া ব্যাগ থেকে জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে রওনা হলো তবে তার আগে গ্লাসের দেয়ালে ঝুলে থাকা পর্দাটা সরাতে কিঞ্চিৎ অবাক হলো।এখনো অন্ধকার কেন?সে তো ভেবেছিল সকাল হয়ে গেছে।
” এডউইন এখনো অন্ধকার!কটা বাজে?”
” একটু পরেই ভোর হবে।”
” কি!তাহলে আপনি এই সময়ে গোসল করলেন কেন?”
” আমার বউ আছে আর কিছু বলতে হবে?”
আন্দ্রিয়া থতমত খেল।লজ্জায় পড়ে দ্রুত ওয়াশরুমে প্রবেশ করল।
মেয়েটা যখন ওয়াশরুমে গোসলে ব্যস্ত তখনি এডউইন তার ব্যাগ থেকে পাসপোর্ট হাতিয়ে নিল।আন্দ্রিয়ার পাসপোর্ট পেয়ে এডউইন নিজেকে বাহবা দিয়ে বলে,
” গুড জব।ওয়েল ডান এডউইন।”
ছোট্ট হ্যামস্টার খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটার চেষ্টা চালল ঠিক তখনি তাকে খপ করে ধরে ফেলল এডউইন।
” ছোট্ট বাচ্চা বড্ড বেশি ভুল করে ফেলেছো।ইউর টাইম ইজ ওভার।”
এডউইন কিচেনে গেল কেভিনেট থেকে তার সবচেয়ে পছন্দের ছুটিটা বের করল।এরাবিয়ানদের দ্বারা তৈরি স্পেশাল ছুরিটি হাতে লাগলেই যেন চামড়া ভেদ করে মাংস কেটে ফেলবে।এডউইন এই পর্যায়ে তার সবচেয়ে বিকৃত মস্তিষ্কের কাজটা করল : হ্যামস্টার’টাকে চপিং বোডে রেখে কয়েক সেকেন্ডে ফালাফালা করে দিল।
সে যখন হ্যামস্টারটাকে প্রতিটা পোচে জখম করছিল তখন তার মাঝে প্রকাশ পেল হিংস্রতা।চকচকে বাদামী চোখ জোড়ায় টগবগিয়ে ফুটে বেরিয়ে আসছে হিংস্রতা।হ্যামস্টারটাকে কিমা বানিয়ে ক্ষান্ত হলো সে। রক্তাক্ত দুই হাত বেশ যত্ন নিয়ে ধুয়ে ফেলল গায়েও অবশ্য বেশ রক্তের ছিটা এসেছে।সব পরিষ্কার শেষে হ্যামস্টারের মাংস একটা বাটিতে নিয়ে তার পালিত সবচেয়ে পছন্দের শেফার্ড জাতের কুকুর রককে দিল।
ধরণিতে আলো ফুটে উঠেছে বাগানে অসংখ্য নাম না জানা পাখিদের কলরবে মুখোরিত পরিবেশ।এডউইন রকের সম্মুখে হাটু মুড়িয়ে বসল এবং মাথায় হাত বুলিয়ে নরম কণ্ঠে বলে,
” রক মজা করে খাও।”
রক তার প্রভুর নির্দেশ মোতাবেক বেশ মজা করে খেতে শুরু করল।
ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে পাপেট চুপচাপ তাকিয়ে আছে জানলার বাইরে।অলস শরীরটায় সারারাত একটুও ঘুম ধরা দিল না।দেহের ক্ষুধা জাগলেও পাপেট কখনোই লাগাতার খু*ন করে না।
স্বাভাবিক ভাবেই একটা মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর শহর জুড়ে হইচই পড়ে যায় পুলিশেরা তাদের কাজে পুরাদস্তুর ব্যস্ত হয়ে যায়।এভাবে তিন চারদিন যাওয়ার পর যে যার মতো সব ভুলে যায় ঠিক তখনি সময় আসে পাপেটের জন্য আর সেই সময়টাকে কাজে লাগায় পাপেট।নিজের ঘর ছেড়ে সে চলে যায় তার পাতালপুরীতে।সারাঘরে পাইচারি করে এসিডের কক্ষে প্রবেশ করে গতকাল যে মেয়েটাকে মারা হয়েছিল সেই মেয়েটাকে এসিডের ড্রামে চুবিয়ে রাখা হয়েছে।সালফিউরিক এসিডে মেয়েটার শরীর চুবে আছে ধীরে ধীরে মেয়েটার শরীর হয়ে যাবে গায়েব।
পাপেট একটি টেবিলে বসলো এক গামলা দাঁত তার কাছে সংরক্ষিত আছে।কি ভাবছেন কিসের দাঁত?এগুলো সব মানুষের দাঁত।পাপেট দাঁত সংগ্রহ করে বিভিন্ন ওয়ালমেট তৈরি করে এবং সেগুলো তার পাতালপুরীর দেয়ালে সাজিয়ে রাখে।পাপেটের মনে আজ আবার খু*নের নেশা জেগেছে সে সিদ্ধান্ত নিল তার পালিত কুকুরের মধ্যে যে সবচেয়ে বৃদ্ধ তাকেই আজ হ*ত্যা করবে।নেশা বড্ড খারাপ জিনিস হোক সেটা টাকার,মদের,জুয়ার কিংবা খু-নের।
বৃদ্ধ কুকুরটা পাপেটকে ভীষণ ভক্তি করে।বেশ কয়েক বছর যাবৎ সে পাপেটের সঙ্গেই আছে।পাপেটে ভীষণ আফসোস সুরে বলে,
” একদিন তো মরেই যাবি।শেষ বারের মতো তুই আমার নেশা কমিয়ে দে।”
কুকুরটা কি বুঝলো পাপেটের কথা?কে জানে।সে গোল গোল চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে সরল দৃষ্টিতে।পাপেট প্রতিবার যেমন আদর করে বুকে জড়িয়ে ধরে ঠিক এবারেও একই কাজটা করল।কুকুরটা হয়ত ভেবেছে তার প্রভু তাকে আদরে জড়িয়ে নিয়েছে কিন্তু না তার প্রভু তাকে তার সর্বোচ্চ নিকৃষ্ঠতম চেহারাটা দেখিয়ে দিল।ধারাল ছুরির সাহায্যে পাপেয় কুকুরটার গলা কেটে ফেলল।এক কথায় কুকুরটাকে জ°বাই করল।পাপেট যখন ছুরি চালাচ্ছিল তখন তার সারা শরীর এবং মুখে র°ক্তের ছিটকায় ভিজে গেল।
কুকুরটা এখন মৃত এতেও পাপেটের স্বাদ মেটেনি।সে কুকুরটাকে শুইয়ে পেটের মাঝে বারবার এলোপাতাড়ি কোপ বসাল হাতের সাহায্যে চামড়া ছিড়ে ফেলল এবং সবশেষে কুকুরটির পা*য়ুপথে ধারালো চাকু বসিয়ে দিল।এতেও কি পাপেট শান্ত হলো?মোটেও না নিজের হাতের সাহায্যে যতটা পারা যায় ছিড়ে ফেলল কুকুরটার দেহ।
পাপেট যখন বিশ্রি হাসিতে হাসছে তখন তার চোখেই পড়ল না কুকুরটির চোখে অশ্রু।হয়তো প্রাণ পাখি উড়ে যাওয়ার আগে তার প্রভুর নিকৃষ্ঠতম আচরণে সে কেঁদে ফেলেছে।অকৃতজ্ঞ জা+নো+য়ার পাপেট জানতেও পারল না কুকুরটি ছিল অন্তঃসত্ত্বা।
আন্দ্রিয়া গোসল শেষ করে নিজ কক্ষে ফিরল।এডউইন তখন ডাইনিং টেবিলে তার অতিথির অপেক্ষায়।এডউইনের ডাক পেয়ে আন্দ্রিয়া নিচে যাওয়ার সাহস করল তার লোভ জেগেছে পুরো প্যালেসটা ঘুরে দেখার কিন্তু এডউইনের অনুমতি ছাড়া বাড়তি এক পা ফেলাও সম্ভব না কেননা কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
” এত সকাল সকাল কে ব্রেকফাস্ট বানাল?আপনার কি সাহায্যকারী আছে?”
” না।”
“তাহলে?”
এডউইন উত্তর দিল না।মেয়েটা চুপচাপ চেয়ারে বসল বিশাল রাজকীয় টেবিল এবং সিংহাসনের মতো চেয়ার।কম করে হলেও এখানে বারোজনের চেয়ার রাখা অথচ তারা মানুষ মাত্র দুজন।
” ব্রেডে কি দিব নসিলা নাকি জ্যাম?”
” নসিলা।”
এডউইনের মনোযোগ সরে যাচ্ছে আড় চোখে বারবার তাকাচ্ছে আন্দ্রিয়ার পানে।মেয়েটা মাত্রই গোসল সেরে এলো তাকে লাগছে স্নিগ্ধের পরী।এডউইন নসিলা মাখিয়ে ব্রেড এগিয়ে দিতে আন্দ্রিয়া বাচ্চাদের মতো মজা করে খাচ্ছিল।
হঠাৎ সে অনুভব করে তার কানে কেউ যেন খোঁচাখুচি করছে কিন্তু কে এমন করছে ঘাড় ঘুরাতে দেখতে পেল তার চেয়ারে ঝুলে আছে রেড কোরাল কুকরি নামের একটি সাপ এবং সাপটি তার লেজের সাহায্যে আন্দ্রিয়ার কানে খোঁচাখুচি করছে।লাল রঙের সাপ আন্দ্রিয়া এই প্রথম দেখল নজর কাড়া সৌন্দর্য হওয়া সত্ত্বেও আন্দ্রিয়া চেচিয়ে উঠল মেয়েটা এক লাফে চেয়ার ছাড়তে সাপটি তার চুলে পেচিয়ে গেল।
এই পরিস্থিতিতে আন্দ্রিয়া নিজেকে আর টিকিয়ে রাখতে পারল না প্রচন্ড ভয় পেয়ে মুহূর্তে মেয়েটা জ্ঞান হারাল।আন্দ্রিয়া ছিটকে পরার আগেই এডউইন দ্রুত এসে আন্দ্রিয়াকে জড়িয়ে ধরল।রেড কোরাল কুকরিকে সরিয়ে এডউইন আন্দ্রিয়াকে কোলে তুলে নিল।সাপটা গলা তুলে তাকিয়ে রইল মেয়েটার পানে সে নিশ্চিয়ই বুঝে উঠতে পারল না এই মুহূর্তে ঠিক কি হলো?
টেরিবেল পর্ব ১
এডউইন চোখ রাঙালো সাপটিকে।
” কুকরি ইউ হেভ বিকম ভেরি নটি।লিভ নাও।”
সাপটি কি এডউইনের কথা বুঝে?তবে এডউইন যখনি তুড়ি বাজাল সাপটি সঙ্গে সঙ্গে প্রস্থান করল।অপরদিকে আন্দ্রিয়ার ঠোঁটের কোনে লেগে থাকা নসিলা দেখে এডউইন নিজেকে সামলাতে পারল না।অজ্ঞান অবস্থায় আন্দ্রিয়ার ঠোঁট জোড়া নিয়ে নিল তার দখলে।পরম যত্নে আন্দ্রিয়ার ঠোঁট জোড়ায় নিজের খায়েশ মেটাল।তবে শেষ বেলায় এডউইন মেয়েটার ঠোঁটে বেশ জোরেই কাঁমড় বসালো।
” আন্দ্রিয়া মেরি এভাবে প্রতি বেলায় সেন্স লেস হলে মন্দ হয় না।প্রতি ব্রেকফাস্টে আমার কিন্তু এই মিষ্টি ঠোঁট জোড়া চাই।”