তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৪৯

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৪৯
ফারহানা নিঝুম

“কি বলছিস তুই? মানে সায়মন…
বিস্ফোরিত কন্ঠে শুধোয় আরিয়ান। নিহাল তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে বলল।
“হ্যাঁ সেদিন যখন তাশফিন কে কৃষ্ণপুরে গুলি করা হয় ওটা আর কেউ নয় সৌহার্দ্য করেছে। আর সৌহার্দ্য কে এটা করতে বাধ্য করেছে সায়মন মানে যাকে আমরা সাইফুল হিসেবে চিনি।”
কথায় আছে না পাপ বাপকেও ছাড়ে না, সৌহার্দ্যের সাথে এটাই হয়েছে। অন্ধকার কারাগারের পিছনে আজকে তার জায়গা।
ভ্রুদ্বয় কুঞ্চিত করে নিল আরিয়ান।

“এখন কোথায় সায়মন?”
বাঁকা হাসলো নিহাল। রহস্যময় কন্ঠে বলে।
“ওর অবস্থা তাশফিন এমন করেছে সে বার বার ম’রবে! পদে পদে ম’রবে।”
আরিয়ানের নূপুরের কথা ভাবতেই বুকটা ধক করে উঠল।
“কিন্তু নিহাল, আমাদের নূপুরের কি হবে?”
নূপুরের কথা মাথায় আসতেই বুকের ভেতর মোচড় দিচ্ছে নিহালের। সে সত্যি জানে না এসব কিছু জানার পর তার ঠিক কি অবস্থা!
“আমি সত্যি জানি না আরিয়ান,কি করে বলবো সবটা!”
আরিয়ান আবারো তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল। উঁকি দিয়ে দেখলো স্নেহা বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। বার বার এদিক ওদিক করছে।
“নিহাল তুই আমাকে আপডেট দিতে ভুলিস না।আখিকার আমিও জানতে চাই শেষমেষ মাস্টার মাইন্ডের কি হয়!”
“ওকে।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

পৃথার আজকে ভীষণ জ্বর এসেছে ,অবশ্য এই জ্বরের কারণ নিহাল আর তার ছোট চাচী সুবর্ণা । এই যে রাতবিরেতে অবাক করে দিয়ে বলেছে পৃথার জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই একটা ভালো খুঁজে মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে। কথাটা জানার পর থেকে কেঁদে কেঁদে অবস্থা খারাপ মেয়েটার। যাকে ভালোবাসে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে আপন করার কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারে না মেয়েটা। বার কয়েক কল করেছে অথচ লোকটা ফোন ধরেনি। জ্বরের গা পুড়ে যাচ্ছে তার। জানালার কাছে বসে বসে গুন গুন পৃথা।

“চোখের জলে ভাসিয়ে দিলাম
মনের ঠিকানা।
খেয়াল স্রোতে চাইলে তুমি অন্য মোহনা
তোমার সুখ ব্যথার জোয়ার
এ বুকে ডাকবো
শুধু তোমারই থাকবো
আমি তোমারই থাকবো।
আমি তোমারই থাকবো
আমি তোমারই থাকবো ”

অন্ধকারে ঢাকা বাড়িটির ভেতরে দাঁড়িয়ে ফারাহর বুকের গভীরে এক অজানা শীতলতা নেমে এলো। যেনো হঠাৎ করেই পরিচিত পৃথিবীটা বদলে গেছে। শহরের ব্যস্ততা পেরিয়ে যখন সে ঢাকায় পৌঁছায়, তখন মনে হয়েছিল নিঃসঙ্গতা আর হবে না। কিন্তু বাস্তবতা তার ঠিক উল্টো।নিহাল কথা দিয়েছিল, বিকেলের মধ্যেই তাশফিন থাকবে, সবার আগে। অথচ সিঁড়ির ধাপে ধুলো জমে আছে, দরজার সামনে পড়ে থাকা শুকনো পাতাগুলো স্পষ্ট করে দেয় অনেকক্ষণ কেউ ঢোকেনি এখানে। চারপাশে ঘন নীরবতা, বাতাসটাও যেন স্তব্ধ। দেয়ালের গায়ে সায়া ফেলে রেখেছে নিঃসঙ্গতা। সবকিছু কেমন ঘুটঘুটে অন্ধকারের ছায়ায় আচ্ছন্ন। জানালার কাঁচে পড়া ম্লান চাঁদের আলোয় ঘরগুলো হয়ে উঠেছে একেকটা নিঃশব্দ আতঙ্কের কোষ।ড্রয়ারে হাতড়াতে হাতড়াতে ফারাহ অবশেষে মোমবাতিটা খুঁজে পেল। নিঃশব্দ ঘরের বুকে সে যেনো একমাত্র জীবন্ত সত্তা। চুপচাপ আ’গুন ধরিয়ে মোমবাতিতে আলো জ্বা’লাল সে।মোমবাতির আলোয় ঘরের প্রতিটা জিনিস নতুন রূপে ধরা দিল চেনা সোফাগুলো, জানালার পর্দা, দেয়ালের ঘড়িটা দেখলো।রাত সাড়ে বারোটা ছুঁই ছুঁই।

বাড়ির সদস্যরা নেই, কেনো নেই তাও জানে না ফারাহ। নূপুর, ঝুমুর কে সঙ্গে আনে নি নিহাল। ওরা নাকি কাল আসবে।সিঁড়ির প্রতিটি ধাপে পা ফেলার সময় ফারাহর মনে হচ্ছে কিছু হবে। অন্ধকারে মোমবাতির কাঁপা আলো হালকা। দরজা খুলে রুমে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎই বুকের ভেতর কেমন এক মোচড় দিয়ে উঠলো মনে হলো, যেনো কেউ ঠিক তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।পিছন ফিরবার আগেই কোমরের চারপাশে জড়িয়ে এলো দুই বাহু। ফারাহ থমকে গেল। সেই স্পর্শ, সেই উষ্ণতা ভুল হবার উপায় নেই। ভেজা শরীরের গন্ধ মিশে যেতে লাগল বাতাসে। তার শরীরের তাপ, পোশাক ভেদ করে পৌঁছে গেল ফারাহর গভীরে। কাঁপতে কাঁপতে ফিসফিস করে সে বলল,
“লেফটেন্যান্ট সাহেব।”

তাশফিনের নিঃশ্বাস ঘাড়ে পড়ছে জ্বলন্ত এক ধরণের উষ্ণতা। শব্দহীন অথচ প্রবল উপস্থিতি দিয়ে সে মিশে যাচ্ছে ফারাহর অস্তিত্বে। ফারাহর দুটি হাত অনিচ্ছায় নড়েচড়ে উঠলেও তাশফিন যেনো শোনে না কিছুই।
ঘাড়ে এক নরম চুমু রেখে সে বলে ওঠে কাঁপা কণ্ঠে,
“কাঁদাতে এসেছি আজ নিজের মতো করে।”
ফারাহর চোখ বুজে আসে, শরীর থরথর করে কেঁপে ওঠে। ভিতরে।
“ছেড়ে দিন!”
“আ’ম সরি সুখ। আমার ছোট্ট একটা ভুল হয়েছে জান। তোমার কথাটা বিশ্বাস করা উচিত ছিল সেদিন রাতে।”
ফারাহ বুঝলো না তাশফিনের কথার অর্থ।

আলো ও অন্ধকারের মাঝে তৈরি এক অন্য রকম আবহে, তাশফিন হঠাৎই ছোট্ট একটি মসৃণ কাপড় তুলে নিজের চোখ বেঁধে নিল। যেনো অনুভূতিকে বাড়িয়ে দিতে চায়, চক্ষুর সীমা পেরিয়ে ছুঁতে চায় শুধু অনুভব দিয়ে।ফারাহ তখনো নিঃশব্দ, এক অদ্ভুত অবশতার মধ্যে। তার হালকা শরীরকে আলতো করে কোলে তুলে নিয়ে বসিয়ে দিল কাঠের কেবিনের উপর যেখানে রাতের নিস্তব্ধতা প্রতিধ্বনি তোলে প্রতিটি নিঃশ্বাসে।তারপর, মোমবাতির আলোয় দুলতে থাকা ফিতের গিঁট খুলে দিল তাশফিন ধীরে, স্থির হাতে। যেনো কোনো প্রাচীন কিছুর খোলস খুলছে সে। বুকের ভেতর ধুকপুক করছে রমণীর ।সফেদ রঙা শার্ট খুলে পরিয়ে দেয় ফারাহর বদনে যেনো তার সমস্ত অস্থিরতা ঢেকে দিচ্ছে তারই পরিধানে।প্রণয়ের এক আদান প্রদান। যেখানে গন্ধ, স্পর্শে বুনে যায় এক অপার্থিব বন্ধন।তবু অবাধ্য ছোঁয়ায় ফারাহর ভেতরে কেঁপে ওঠে সমস্ত অনুভব। কন্ঠনালির কাছে এসে জড়িয়ে যায় শব্দ ভাষাহীন হয়ে পড়ে সে। ঠোঁটের কোণে জমে থাকা নিঃশ্বাসটুকু আটকে আছে।চোখ থেকে ধীরে সেই মসৃণ কাপড় সরিয়ে তাশফিন এবার ফারাহর দুটি নরম হাত জড়িয়ে বাঁধলো হালকা, কিন্তু দৃঢ়। চমকে উঠলো ফারাহ; চোখে বিস্ময়, ঠোঁটে কম্পিত প্রার্থনা।

“না প্লিজ।”
তাশফিন কানে কানে ফিসফিস করে, কণ্ঠে মাদকতা মেশানো কন্ঠে বলে।
“শুধু একটু কাঁদবে আজ। আর কিছুই না।”
তার বুকের বাঁ পাশে হৃদস্পন্দন যেনো যুদ্ধ ঘোড়ার ক্ষুরের মতো ছুটে চলেছে অস্তিত্বের সবটুকু নিয়ে। শীর্ণ বদন খানি কোলে তুলে নিল সে। ভেজা শরীরের উষ্ণতায় একাকার করে দিল ফারাহকে। সেই উষ্ণতা স্পর্শ করল তার হাড়গোড় পেরিয়ে আত্মার গহীনেও। এগিয়ে গেলো বিছানার দিকে যেনো নিঃশব্দ কোনো শরণস্থল।

ফারাহকে শুইয়ে দিলো মখমলি চাদরের ওপরে। শক্তপোক্ত, প্রশস্ত দেহের ভারে চাপা পড়ে গেল ফারাহর শীর্ণ, কোমল শরীর দুইটি বিপরীত সত্তা, কিন্তু একটি স্পন্দনে বাঁধা।তার চোখ ধীরে ধীরে বুজে আসে, অবচেতনভাবে মিশে যায় সেই ছোঁয়ায়, যেটি ছিল ঘূর্ণিঝড়ের মতো বেপরোয়া, আবার সমুদ্রের মতো প্রশান্ত। ফারাহ বুঝে যায় কিছু অনুভবের ব্যাখ্যা নেই, কিছু মুহূর্ত ভাষার বাইরে। তাশফিন তখন ফিসফিস করে বলে ।
“লেট মে ব্রেক ইউ অনলি টু হোল্ড ইউ ক্লোজার।
ইউ আর মাইন, ইন লাইট, ইন ডার্কনেস, ইন এভরি ব্রেথ।”
এতক্ষণে ফারাহ লক্ষ্য করেছে তাশফিনের হাতে লালচে তরল পদার্থ।
“র.. র’ক্ত
“জান প্লিজ ওয়ান্স মোর! আর এটা আমার রক্ত, র’ক্তে রঞ্জিত করব তোমায় মিসেস শেখ।
অস্থির হয়ে উঠে ফারাহ, অস্থির ফারাহ কে আরো অস্থির করে তুলে তাশফিন। নিজের অতি নিকটে, সব সীমা পার করে ভাসিয়ে দেয় সুখের সাগরে।

তপ্ত দুপুর নেমে এসেছে শহরের ছাদে ছাদে। রোদ যেন আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে বাতাসে, দিগন্তের ওপার থেকে সূর্য গলিত সোনার মতো ঝরে পড়ছে প্রতিটি ইট-পাথরের গায়ে। গাছের পাতাগুলো ক্লান্ত, নিস্তেজ বাতাসের স্পর্শে পর্যন্ত কুঁকড়ে যাচ্ছে যেন। হাওয়া নেই, নেই কোনো শব্দ । দূর থেকে ভেসে আসছে একটা কাকের কর্কশ ডাক একঘেয়ে আর বিরক্তিকর।
ছাতা হাতে বেরিয়েছে ঝুমুর আর নবীন দুজনে।

পথে পথিক কম, পিচঢালা রাস্তাগুলো কাঁপছে গ্রীষ্মের মরীচিকায়। মানুষগুলো যেন রোদ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, আর ছায়া খুঁজে পাওয়া যেন আজ কোনও বিলাসিতা। এই দুপুরে সময়ও যেন ঘুমিয়ে পড়েছে ঘড়ির কাঁটা চলছে।
“শুনো নবীন আমার সামনের মাসে লাস্ট ইয়ারের এক্সাম আছে। তুমি আজকেই আমাকে বাড়ি পৌঁছে দাও।”
নবীন মন দিয়ে ঝুমুরের কথা গুলো শুনলো।কিয়ৎ সময় ভেবে বললো।
“ঠিক আছে, আমি মায়ের সাথে কথা বলে বিকেলে বলছি।”
“ভাবলে কিন্তু চলেছে না, আম্মু আজকে দুপুরে ফিরবেন। আমাকে যেতেই হবে।”
বিষয়টি বুঝতে পারছে নবীন।এই তো শেখ পরিবারের বাকি সদস্যরা একটু বাইরে গেছেন দুদিনের জন্য। আজকেই ফিরে আসবে, ঝুমুর কে যেতেই হবে।
নবীন অমত করলো না।বই পড়ুয়া মেয়েটা যে তাকে ভালোবাসে এটাই তার জন্য যথেষ্ট।আর কি লাগে?এখন তাকে পড়াশোনায় সুবিধা করে দেওয়া উচিত।

দুপুর হয়ে এসেছে সেই কখন।এখনো ঘুম থেকে উঠতে পারেনি ফারাহ।মূলত ফারাহ কে উঠতে দেওয়া হয়নি। দু’হাতে জাপটে ধরে শুয়ে আছে তাশফিন।চোখ পিটপিট করে তাকালো ফারাহ। লোকটা কে যতবার দেখছে ততই রাতের কথা গুলো মনে পড়ে যাচ্ছে!এর আগে তো কখনো এমন ছিলো না!তার উন্মাদনা সব কিছু অন্তর আ’ত্মা কাঁপিয়ে তুলে ফারাহর। দৃষ্টি সরিয়ে জানালার দিক ফেললো সে। সূর্য এখন মাথার উপর, অথচ তারা এখনো ঘুমোচ্ছে।সে না হয় ঘুমোচ্ছে কিন্তু ফারাহ? তাকে কেন উঠতে দেওয়া হচ্ছে না!
“শুনুন না, লেফটেন্যান্ট সাহেব উঠুন।সরুন আমি ব্যথা পাচ্ছি।”
কেউ শুনলো না ফারাহর কথা। উল্টো হাতের বাঁধন দৃঢ় হলো তার, খুব শক্ত ভাবেই জড়িয়ে ধরেছে তাকে।
ব্যথায় অস্ফুট স্বরে গোঙাতে লাগলো ফারাহ। প্রাণ পাখি টা যায় অবস্থা!

“শুনুন না প্লিজ!এবার তো উঠুন!”
“উঁহু আর কিছু সময়।”
জড়ানো কন্ঠে বলা বাক্যটি তীব্র ভাবে কর্ণ স্পর্শ করলো ফারাহর।নেশাক্ত কন্ঠে হুঁশ হারাচ্ছে সে!রাত থেকে একই ভাবে জড়িয়ে আছে তাকে। একটুও ছাড় দেয়নি। রাতে ঘুমোতে পর্যন্ত দেয়নি ফাজিল কমান্ডার তাকে।যখন একটু ঘুমোতে চেয়েছিল ঠিক তখনই বুকে নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
“না না সরুন আমি উঠবো,ওয়াশ রুমে যাবো।”
“না আরেকটু ঘুমাই।”
“না ওয়াশ রুমে যাবো তো।”

এইবারে মুখ তুলে তাকাল তাশফিন। চোখের কার্নিশ লাল হয়ে আছে তার, ফারাহ পিটপিট করে দেখলো প্রণয় পুরুষ কে। পরপর নাক ডুবিয়ে দিল গলায়। লম্বা নিঃশ্বাস টেনে কিয়ৎক্ষণ একই ভাবে শুয়ে রইলো। হাঁসফাঁস করছে ফারাহ। চট করে পাশের টাওয়েল তুলে কোমড়ে জড়িয়ে নিল তাশফিন।উঠে দু’হাতে পাঁজা কোলে তুলে নেয় তার তুলতুলে, ফুটফুটে বউ টাকে।পরণের সফেদ রঙা শার্ট এখন শুকিয়ে গেছে যা বাকি রাতটুকু ফারাহর নাজুক বদনে লেপ্টে ছিলো।

“আমি পারব যেতে।”
“পারবে না সুখ।”
ওয়াশ রুমের দরজার সামনে আস্তে করে ফারাহ কে নামিয়ে দিলো তাশফিন।তাশফিনের দিকে তাকাতে পারছে না ফারাহ। একটুকরো সাদা বস্ত্রে নিজেকে ঢেকে রেখেছে সুদর্শন পুরুষ। তাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে দেখেছে ফারাহ।খুব কাছ থেকে, আদুরে আদুরে ভাব। উন্মাদতা তার অস্থির হয়ে বলা প্রতিটি বাক্য শুনেছে ফারাহ
দাঁড়িয়ে থাকা বড্ড মুশকিল।চট করে ভেতরে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিলো ফারাহ। এলোমেলো চুল গুলো আরো একটু এলোমেলো করে দরজার দিকে তাকালো তাশফিন। ওষ্ঠোপুটে খেলে চলেছে দুষ্টু হাসি।যে হাসি টুকু শুধু।
ঘড়ির কাঁটা টিকটিক শব্দ করে এগিয়ে চলেছে! বিকেল হয়ে এসেছে প্রায়। ফারাহ উঠে রান্না ঘরে গিয়ে চমকালো। ইতিমধ্যেই অল্প কিছু খাবার বানিয়ে ফেলেছে তাশফিন। সেগুলো টেবিলে রাখা আছে। চমকের পর চমক পাচ্ছে ফারাহ। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাশফিন শেখ তো বড্ড রোমান্টিক আর বেপোরোয়া তা বুঝতে আর বাকি নেই ফারাহর। ঠোঁটের কোণে দেখা মিললো অমায়িক হাসিটা।

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৪৮

“চলে আসুন মিসেস শেখ।”
“হুঁ।”
নাজুক মেয়েটা ছোট ছোট কদম ফেলে এগিয়ে এলো। কাছাকাছি আসতেই আরো একটি অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়ে বসলো তাশফিন। চেয়ারের বদলে নিজের কোলেই টেনে নিল লজ্জায় আড়ষ্ট হওয়া প্রণয় কন্যা কে। থমকালো চমকালোও বটে ফারাহ।

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫০