তাজমহল পর্ব ৪২
প্রিমা ফারনাজ চৌধুরী
শাইনার পাসপোর্ট চলে এসেছে তাজদারের হাতে। আইইএলটিএস রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লিট করেছে। শাইনা কত দুই আড়াই মাস ধরে ভালোমতো প্রিপারেশন নিচ্ছে। কিন্তু কনফিডেন্স পাচ্ছে না। স্পিকিংয়ে সে দূর্বল। বুঝতে পারলেও বলাটা তার জন্য সহজ হচ্ছে না। তৌসিফ তাকে বলেছে অতিরিক্ত চিন্তা না করতে। তবুও চিন্তা হচ্ছে না। তাজদার সিদ্দিকীও তাকে বলছে মনে সাহস রাখতে।
আর দুমাস সময় আছে তাজদারের হাতে। এরিমধ্যে লন্ডন ব্যাক করতে হবে।
ঝিমলিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাড়ির সবাই ওখানে চলে গেছে। বাড়িতে শাইনা একা। তাসনুভা রাতে আসবে। শাইনার সাথে টুকটাক কথা বলে তাও প্রয়োজনে। তাজদার বাড়ি আসছে বলেছে ফোনে। কিন্তু এখনো আসার নামগন্ধ নেই তার।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
শাইনা রান্নাঘরের কাজ শেষ করে আরেকটু বই খুললো। ইংরেজি নিয়ে তার অনেক ভয় ছিল। এই পরীক্ষা দেওয়ার সাহসটা তাকে তাজদার সিদ্দিকীই যুগিয়েছে। নইলে মনে হয় না সে কোনোদিন এত সাহস দেখিয়ে আইইএলটিএস দেওয়ার নাম নিতে পারতো। এই সাবজেক্টটাকে সে আগে কত ভয় পেত। এখন বেশ মজাই লাগছে। এজন্যই স্যারেরা বলতেন ইংলিশের মজা যে বুঝতে পেরেছে ওটাই তার প্রিয় সাবজেক্ট হয়ে গেছে।
শাইনাকে বলা হয়েছিল আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্পিকিং প্র্যাক্টিস করতে। সে তাই তাই করছিল। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছিল আবার নিজেই উত্তর দিচ্ছিল। টানা দুই মিনিট কথা বলতে পেরে সে খুশিতে লাফিয়ে উঠলো। গলায় ওড়না ঝুলিয়ে ঘুরতে ঘুরতে বলল,
“ইয়ে ইয়ে পেরেছি পেরেছি।”
তারপর তাজদারের মতো গম্ভীর গলায় বলল,
“শাইনা মমতাজ নো হাংকি পাংকি। প্র্যাক্টিস এগেইন।”
বলেই চোখেমুখে তাজদারের একটা ভাইব এনে মোটা গলায় বলল,”You know Shaina Mumtaz, English is just a way to communicate, so don’t worry too much about it.”
বলাশেষে শাইনা আয়নায় তাকিয়ে মুখ মোচড় দিয়ে বলল,”ভ্যাঁ ভ্যাঁ।”
তাজদার দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়ে তার কান্ডকারখানা দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে! শাইনা মমতাজ কোনোদিন এইরূপে তার সামনে আসেনি। তার সামনে যেন একটা আলাদা খোলস পড়ে থাকে।
সে অনেকক্ষণ আড়ালে দাঁড়িয়ে চুপচাপ শাইনাকে দেখলো। শাইনা ভোকাবুলারি মুখস্থ করতে করতে ঠোঁটে লিপস্টিক দিল। কপালে কয়েকটা চুল নামিয়ে তা আঙুলে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে কোঁকড়া করে দিল। তারপর নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো। ওড়না কাঁধে ঝুলিয়ে দেখলো। গলায় ঝুলিয়ে দেখলো। মাথায় ঘোমটা দিয়ে দেখলো। লাজুক লাজুক হাসলো। আবারও মুখ মোচড়ে দিল। জিহ্বা বের করে দেখালো। কিছুক্ষণ পর আবার চোখে কাজল দিল। হাতে চুড়ি পরলো। চুড়িগুলোর নাড়াচাড়া করলো হাতে পরার পর। সামনে চুল ফিরালো। কানের পাশে কয়েকটা ফুল গুঁজলো। তাজদারের কাছে সবটা অবিশ্বাস্য লাগছে। শাইনা মমতাজ তাকে নিজের সরূপটা দেখায় না। কেন?
সে হুট করে এসে পড়েছে এমনভাবে ঘরে ঢুকে এল দরজা ঠেলে। শাইনা সাথে সাথে ফুল সরিয়ে ফেললো। ওড়না দিয়ে ঠোঁট মুছে ফেললো হালকা করে। চুড়ি খুলতে খুলতে বলল,
“ভাবির অবস্থা এখন কেমন?”
তাজদার তাকে পিঠ করে দাঁড়িয়ে ঘড়ি খুলতে খুলতে বলল,”তেমন ভালো না।”
শাইনা একটু চিন্তিত হলো। বলল,
“কফি আনবো?”
“আমি করে নেব।”
“কেন? আমি করে আনছি। দুধের বোতল বের করে রেখেছি কিনা মনেও পড়ছেনা।”
সে বেরিয়ে গেল। কফিটা নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে হাজির হলো। তখন তাজদার ওয়াশরুমের ভেতর। মুখে ঘনঘন পানির ঝাপটা দিয়ে সে আয়নার দিকে তাকালো। অপরাধীর মতো দেখাচ্ছে তাকে? এটুকু অপরাধ তাকে করতেই হতো।
শাইনা কফিটা রেখে বিছানার উপর থাকা রিপোর্টটা হাতে নিল। তার রিপোর্ট। ওইদিন চেকআপ করিয়ে এসেছিল। রিপোর্ট আজ নিয়ে এসেছে তাজদার।
শাইনা রিপোর্টটা বের করে দেখলো।
হরমোনাল ইমব্যালেন্স, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। পেট ব্যথা, মাসিক অনিয়মই এইসবের লক্ষ্মণ।
ছোট থেকে অপুষ্টিতে ভুগেছিল সে। বয়ঃসন্ধি তার জীবনে অনেকটা দেরীতেই এসেছিল। তার পিরিয়ড হয়েছে অনেক দেরীতেই। অনেকে তো বলেছিল কোনোদিন হবেই না। ব্যাটাছেলেদের মতো হবে সে। যদিও পরে হয়েছে কিন্তু তখন থেকেই তার পিরিয়ড অনিয়মিত। মা তো সারাক্ষণ ভয়ে থাকতো বাচ্চা কাচ্চা হবে না এই নিয়ে। এখনো সেই ভয়টাই পান উনি। শাইনা কখনো এইসব নিয়ে এতটা ভাবতো না। কিন্তু আজ চোখটা কেমন ঝাপসা হয়ে উঠলো তার। তাজদার সিদ্দিকীর কাছে এই বিষয়টা বিরক্তির হয়ে উঠবে না তো?
তাজদার ওয়াশরুম থেকে বের হয়েছে খেয়াল হতেই সে চোখের জল আড়াল করে নিল।
তাজদার তার হাত থেকে রিপোর্টটা নিয়ে নিল। বলল,”পড়ায় ফোকাস করা দরকার।”
শাইনা চুপ করে রইলো। তাজদার মাথাটা মুছতে লাগলো। শাইনা তার দিকে তাকিয়ে মৃদুস্বরে বলল,
“রিপোর্টে কি লেখা স্পষ্ট বুঝতে পারছিনা। যদি আপনি একটু বলতেন।”
সে তাজদারের মুখে সবটা শুনতে চায়। এই বাচ্চা হবে না এইসব নিয়ে সে কি ভাবে? তার মতামত কি? কারণ উনি নিজেই তো বিয়ের শুরু থেকে বাচ্চা বাচ্চা করছিল।
তাজদার স্পষ্ট ভাবে বলল, “তোমার হরমোনাল প্রোফাইল পরীক্ষা করা হয়েছে। অনিয়ম দেখা গেছে গর্ভধারণ সম্ভব নয় বলেছে। মানে সবাই যা ভাবছে তা ভুল। ক্লিনিক্যাল কমপ্লেইনগুলো তো মিলে যাচ্ছে তাই না?”
“হু।”
“রিপোর্ট বলছে তোমার গর্ভাশয় স্বাভাবিক আকারের। ওভারি সামান্য সিস্টিক, ফলোপিয়ান টিউব ব্লকড নয়, হালকা হাইপোথাইরয়েডিজম আছে মানে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম। আর হালকা গ্যাস্ট্রিক ইরিটেশন আছে। কোনো গুরুতর সমস্যা নেই। আমি এইসব নিয়ে ভাবতে চাইনা। বাড়ির কাউকে যদি কিছু বলতে হয় আমি বলবো।”
শাইনা ঢোক গিলে বলল,”কিন্তু বড়আম্মু বলছে…
“বলবেই। সবাই সেটাই ভেবেছে। সম্ভাবনা কম বলেছে। একেবারে হবে না সেটা তো বলেনি। এইসব নিয়ে এত মাথাব্যথার কি আছে? ইউকে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করাবো। আর একটা মাস সময় মাঝখানে। এখন ফোকাস অন্যদিকে চলে গেলে সমস্যা।”
শাইনা চুপ করে রইলো। প্রেগন্যান্সি কিট আনতে বলেছিল সে। এখন জিগ্যেস করতেও লজ্জা লাগছে।
তাজদারের ফোনে কল এল। সে ফোনটা রিসিভ করে কানে তুলে বলল,
“হ্যাঁ বল।”
তৌসিফ ওপাশ থেকে বলল,”আরেকটা সিদ্দিক সাহেব এসেছে।”
“আলহামদুলিল্লাহ। সুস্থ আছে দুজনেই?”
“হ্যাঁ আছে। তুমি কাল সকালে এসো। শাইনার রিপোর্ট এসেছে কিনা জিগ্যেস করছে বড়আম্মা।”
“হ্যাঁ এসেছে। বাড়িতে আসুক বলবো সবাইকে।”
ফোন রাখার পর শাইনার দিকে তাকালো সে। বলল,”ছেলে হয়েছে।”
শাইনা আলতোকরে হাসলো।
“ভাবি আর বাচ্চা সুস্থ আছে?”
“হুম।”
তাজদারের কথার ধরণ দেখে শাইনা চুপচাপ রইলো। তাজদার কফিটা শেষ করতে করতে তার দিকে তাকালো একপলক। শাইনার মুখটা কালো হয়ে গেছে। তাজদার চোখ সরিয়ে নিল দ্রুত। এত অস্থির লাগছে কেন?
সে কফিটা শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে গেল। শাইনা সেটা খেয়াল করলো। বাচ্চা আসবে না এটা শোনার পর তাজদার সিদ্দিকীর আচরণে পরিবর্তন এসেছে। আগের মতো মজা করছে না। নইলে বাইরে থেকে এসে শাইনার গালে আর অথবা কোমরে একটা চিমটি মাস্ট।
শাইনার দমবন্ধ লাগছে। চোখ ঝাপসা হচ্ছে। এমন না যে তাজদার সিদ্দিকীর এটেনশন পাওয়ার জন্য সে মরিয়া হয়ে উঠেছে কিন্তু সারাজীবন এমন একটা মানুষের সাথে সে কি করে কাটাবে যে বাচ্চা হবে না শুনে সাথে সাথে আচরণ পাল্টে ফেলেছে?
শাইনা দরজাটা বন্ধ করে কেঁদে নিল। তার কান্নাগুলো চার দেয়াল ছাড়া কারোর দেখার অধিকার নেই। তারপর আবারও সে পড়ায় ডুব দিল। ইউকেতে নিশ্চয়ই ভালো ট্রিটমেন্ট আছে। নিজের ভাবনায় সে নিজেই আশ্চর্য হলো পরে। তার জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য রাতারাতি পাল্টে গেল? এখন মনে হচ্ছে মা হওয়াটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড়ো অর্জন হতে পারে। আর হতে না পারলে যত্নবান তাজদার সিদ্দিকীকে আর পাওয়া যাবে না। ভাবতে ভাবতে তার চোখ আবারও ভিজে উঠলো।
তাজদার ঘরে ঢুকে পড়লো। বলল,”মমতাজ ছাদে চলো।”
শাইনা দ্রুত চোখ মুছে নিল। তাজদার তাকে কিছু বলতে না দিয়ে টেনে নিয়ে গেল ছাদে।
রাতের আকাশটা স্বচ্ছ। দূর থেকে নেড়ি কুকুরের ডাক ভেসে আসছে। শাইনা এত সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে হাঁপাচ্ছে। খুব কষ্ট সিঁড়ি বেয়ে ছাদে ওঠা।
তাজদার তাকে আচমকা পাজাকোলা করে কোলে তুলে নিল। শাইনা তার গলা জড়িয়ে ধরে তার মুখের দিকে তাকালো। তাজদার উঠতে উঠতে বলল,
“Part of the exercise.”
শাইনা কথাটা শুনে আলতোভাবে হাসার চেষ্টা করলো।
হঠাৎ তাজদারকে প্রশ্ন করলো,
“আপনার কি আমাকে বিয়ে করে আফসোস হচ্ছে?”
তাজদার তার মুখের দিকে তাকালো না। অন্যদিন চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। শাইনা না তাকালে শাইনাকে জোর করে তাকাতে বাধ্য করে। আজ তার আচরণ এত অস্বাভাবিক!
“আমি কোনোকিছু নিয়ে আফসোস করিনা।”
“সত্যি করেন না?”
“যা নিয়ে করি তা প্রকাশ করিনা।”
“আপনি নিজের অজান্তেই তা প্রকাশ করে দেন।”
তাজদার এতক্ষণ পর তার মুখের দিকে তাকালো। ছাদে এসে পড়ায় শাইনা তার কোল থেকে নেমে গেল। চাহনিটা বেশিক্ষণ স্থির হতে পারলো না।
ছাদে তারা অনেকক্ষণ ছিল। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আকাশের চাঁদ তারাগুলো দেখলো। পাশাপাশি দাঁড়িয়েও চাঁদের মতো নিজেদের নিঃসঙ্গ মনে হলো।
শাইনা কেমন আনমনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল চুপ করে। তাজদার তার পেছনে এসে দাঁড়ালো। শাইনা কিছু বুঝে উঠার আগেই তার ঘাড়ে আর কান আর গলার আশেপাশে মুখ ডুবিয়ে চুম্বন করে বলল,”আমি এই শাইনা মমতাজকে চাই না।”
শাইনা শাড়ি আঁকড়ে ধরলো দু’হাতে। তাজদার তার পেছন থেকে সরে গিয়ে রেলিঙয়ে দু-হাত ভরে দাঁড়িয়ে রইলো। শাইনা তার দিকে চেয়ে রইলো। এই শাইনা মমতাজকে চায় না মানে? আর একমুহূর্তও সে দাঁড়ালো না। এত সত্যি একটা কথা এভাবে বলে দিতে পারলো?
দুই-তিন দিন পর ঝিমলিকে নিয়ে আসা হয়েছে। বাড়িতে উৎসব উৎসব আমেজ। মেহমান আসছে একের পর এক। শাহিদা বেগম এসে শাইনা হাত ধরে বললেন,
“শানু ডাক্তার দেখাসনি।”
শাইনা বলল,”ডাক্তার বলেছে কোনোদিন মা হতে পারব না। আমাকে জ্বালিওনা তো আম্মা।”
মেহমান সামলাতে গিয়ে সবাই নাস্তানাবুদ। তাজদার অসম্ভব বিরক্ত। শাইনা একবার ঘরে আসতেই সে দরজা বন্ধ করে দিয়ে শাইনাকে বলল,
“কি সমস্যা শাইনা? পড়ার টেবিল ছেড়ে এইসব কি?”
শাইনা বলল,”আমাকে নিয়ে যাবেন সাথে করে?”
“তো?”
“ওইদিন ছাদে যে বললেন আমাকে চান না।”
তাজদার বিরক্ত হয়ে বলল,”তোমার সাথে কোনো কথাই বলবো না আমি। যাও ঝিগিরি করো। যাও।”
শাইনা যাওয়ার সময় বলল,”আপনাকে একটা সত্যি কথা বলবো?”
“কি?”
“আপনাকে ডার্ক ব্লু রঙের শার্টে খুব মানায়।”
তাজদারের কুঞ্চিত কপাল মসৃণ হয়ে এল। সে ঝট করে শাইনার হাত ধরে ফেলে বলল,
“দ্যাট মিনস আমাকে অন্য শার্টে ভালো লাগেনা?”
“আপনাকে সব শার্টেই ভালো মানায়।”
তাজদার তার হাত ছেড়ে দিল। শাইনা বেরোনোর সময় দেখলো তাজদার সিদ্দিকী আয়নায় নিজেকে দেখছে। শাইনা আলতো হেসে বেরিয়ে গেল। রান্নাঘরে যেতেই মনে হলো ভাতের মাড়টা কেমন গন্ধ ঠেকছে তার।
আইইএলটিএস পরীক্ষার আগের দিনই শাইনার ভীষণ জ্বর এল। জ্বর নিয়ে সে পরীক্ষা দিয়েছে। কতটা ভালো করেছে নিজেও জানেনা। কিন্তু খুব ডিপ্রেশনে ছিল সে। তাজদার তাকে ভরসা যুগিয়েছে। সান্ত্বনা দিয়েছে। ভালো কিছুই হবে।
শাইনার বোনের বাড়িতে দাওয়াত দিয়েছে তাদের। তাজদার যেতে পারবেনা বলে দিয়েছে। সে শাইনাকে কোথাও যেতে দিতে চাইছেনা। এটা নিয়ে শাইনাদের বাড়িতে বেশ গন্ডগোল লেগে গেছে। শাইনার বড় বোন বলেছে,
“তোমাদের ছোট জামাইকে জীবনেও আর দাওয়াত দেব না আম্মা। দেখে নিও। কোনো যোগাযোগও রাখবো না। অত হেডামওয়ালা মানুষের দরকার নেই আমাদের।”
তাজমহল পর্ব ৪১
শাহিদা বেগম শাইনাকে সবটা বললো। শাইনা অসুস্থ ছিল তাই শান্তভাবে বলল,
“তুই তো জানিস উনি কেমন। আমি এখানে কি করবো বল? আমাকে বলছে আমি হুট করে গিয়ে একদিন ঘুরে আসবো। দাওয়াত লাগবে না।”
আপা খেপে গিয়ে বলল,”দরকার নেই আসার। তোর বড়লোক জামাই না এলেও চলবে। তুইও আসিস না।”