তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১২

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১২
তাবাস্সুম খাতুন

নিশান দরজা বন্ধ করে, গায়ে লেপ্টে থাকা ভিজে শার্ট টা টেনে খুলে ছুড়ে ফেলে দিলো। এক পা এক পা করে বেডে এগিয়ে আসলো। সিমি এখনো সেন্সলেন্স হয়ে আছে। নিশান সিমির বাম পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লো কাত হয়ে। সিমির মুখের দিকে কিছু পল তাকিয়ে শান্ত কণ্ঠে বললো,,
“খুব সাহস হয়েছে ইশু তোর, সমস্যা নেই উড়তে থাক। বেশি ক্ষণ না আর কিছু ঘন্টা তারপর তোর ডানা কেটে ফেলার দায়িত্ব আমার।”

বলে সিমির শুষ্ক ঠোঁট জোড়ার দিকে তাকালো, এমন শুষ্ক দেখে ভ্রু কুঁচকিয়ে বললো,,
“তিন ঘন্টা আগেও ভিটামিন দিয়েছি তাও ঠোঁট এমন শুষ্ক। Why?”
নিশান এর উত্তর সিমি কিভাবে দেবে? সে তো অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। নিশান সিমির কাছে এগিয়ে গেলো। সিমির শুষ্ক ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিলো। কিস করার বদলে কামড়ে দিতে লাগলো দুই মিনিট পযন্ত। তারপর সিমি কে ছেড়ে দিয়ে নিজের ঠোঁট মুছে ফেললো সিমির দিকে একটু ঝুঁকে বললো,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“জাস্ট ভিটামিন দিলাম, তবে এইটা ভাবিস না ছেড়ে দিয়েছি। আমি আসছি কিছু ঘন্টা পরে তৈরী থাকিস ইশু।”
বলে নিশান উঠে দাঁড়ালো পোশাক চেঞ্জ করে আরেক টা পড়লো। ফোন হাতে নিয়ে কাউকে কল দিতে দিতে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। এই বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি নিয়ে সে যেন এক অজানা গন্তব্য পারি জমালো। জিহান যাই নি সে বাড়িতেই আছে। নিশান কে চলে যেতে দেখে বাড়ির সকলে নিশানের রুমে আসলো। কিন্তূ এসেও শেষ রক্ষা হলো না রুম বাইরে থেকে লক করা। সবাই একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবারো নিজেদের কাজে চলে গেলো।

অবস্থান টা শহরের শেষ সীমানায় এক পরিত্যক্ত বিল্ডিং এর অন্ধকার এক রুমের ভিতরে। কেউ একজন এই অন্ধকার রুমে বন্ধী আছে, হাত পা বাঁধা অবস্থায়। চোখে কালো কাপড়। মুখেও কাপড় গোঁজা কোন কথা বলতে পারছেনা। হাত পা ও নাড়াতে পারছেনা। শুধু জোরে জোরে নিশ্বাস নেওয়ার শব্দ শোনা যাচ্ছে। ঠিক এমন সময় ভারী বুটের শব্দ তুলে এগিয়ে আসছে কেউ। রুম তার সামনে এসে খট করে শব্দ তুলে দরজা টা খুলে ফেললো। বন্ধী লোকটা যেন ভয় পেলো তাও নিজের মধ্যে সাহস যোগালো। হেঁটে ভিতরে ঢুকলো সে সুইচ বোর্ড খুঁজে লাইট অন করলো। চারিদিকে হলদেতে আলো তে আলোকিত হলো। দৃশ্য মান হলো ব্যাক্তিটা সে আর কেউ নই। চৌধুরী বাড়ির বড়ো ছেলে তানভীর চৌধুরী নিশান। নিশান এগিয়ে গেলো বন্ধী লোকটার কাছে। চোখে থাকা কাপড় খুলে ফেললো। কিন্তূ সে চোখ খুলতে পারছেনা। ঝাঁপসা লাগছে অন্ধকার। তাই কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে রাখলো। নিশান মুখের কাপড় তাও খুলে দিলো। লোকটা যেন জান হাতে পেলো সে বড়ো বড়ো নিশ্বাস নিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখে নিশান দাঁড়িয়ে আছে। লোকটা ভ্রু কুঁচকে বললো,,

“এইসবের মানে কি নিশান?”
নিশান ঠোঁট দুটো চেপে ধরলো তারপর শান্ত। কণ্ঠে বললো,,
“দেখতেই পারছিস?”
লোকটা — “তুই আমাকে কিডন্যাপ করেছিস কেন?”
নিশান এগিয়ে টি টেবিলের কাছে গেলো। সেই জায়গা থেকে একটা ছোট ছুরি হাতে তুলে নিয়ে সেইটা ঘোরাতে ঘোরাতে লোকটার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললো,,
“দুনিয়া থেকে তোকে বিদায় দেওয়ার জন্য।”
লোকটা উঁচু গলায় বললো,,
“What? নিশান তোর মাথা ঠিক আছে এইসব ছেচড়া মার্কা কথা বলস?”
লোকটার এই কথা শেষ হতেই নিশান তার কলার টেনে ধরলো, ছুরি টা তার একদম মুখের কাছে এনে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,

“শুয়ারের বাচ্চা!তোর সাহস দেখে আমি অবাক, আমার পার্সোনাল জিনিসে তুই লোলপ দৃষ্টি ফেলেছিস। তোর এই fucking চোখ আমি তুলে ফেলবো। জানোয়ার।”
বলে লোকটাকে কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেই ছুরিটা সোজা ঢুকিয়ে দিলো লোকটার চোখের মনিতে, এক ঘোর দিয়ে ছুরি তুলে ফেললো। সাথে সাথে রক্তের ঝর্ণা বয়ে গেলো।লোকটা আর্তচিৎকার করে উঠলো। তার চিৎকার যেন এই পরিত্যক্ত বিল্ডিং কেউ কাঁপিয়ে তুলছে। নিশান দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,

“আমার নজর সব দিকেই থাকে, আমার ইশু কে কেউ বাজে নজরে দেখবে সেইটা আমার চোখ এরাবে না।”
বলে একই ভাবে বাম চোখের মনিতেও ছুরি দিয়ে এক ঘোর দিয়ে তুলে ফেললো। আবারো রক্ত আবারো চিৎকার। নিশান এর এতেও যেন শান্তি হলো না। সে আবারো টেবিলের কাছে গেলো দুটো বোতল রাখা আছে সেখানে। নিশান আগে হাতে গ্লাফস পরে নিলো তারপর বোতল দুটো হাতে। নিয়ে লোকটার কাছে গেলো। লোকটার অবস্থা খুবই খারাপ। এর মধ্যে বোতলে থাকা নাইট্রিক এসিড সম্পূর্ণ দুই বোতল ঢেলে দিলো লোকটার গায়ে। সারা দেহ ঝলসে গেলো ব্যাথায় ছটফট করতে লাগলো। ফোকস্কা পরে গেলো। জ্ঞান হারাবে হয়তো এক্ষুনি। নিশান প্যান্টের পিছনে গুঁজে রাখা পিস্তল টা বাহির করে লোকটার বুক বরাবর টার্গেট করে বাঁকা হেসে বললো,,

“আমার ইশু কে নিয়ে বাজে মন্তব্য, বাজে নজরে তাকালে, তার পরিণতি মৃত্যু।”
বলেই পরপর দুইটা গুলি চালালো। সেইখানেই মারা গেলো লোকটা। নিশান বেড়িয়ে গেলো সেই রুম থেকে। ফোন হাতে নিয়ে কাউকে কল লাগালো। ফোন রিসিভ করতেই সে বললো,,
“লাশ। টা নদীতে ভাসিয়ে দিতে।”
বলে কল কেটে দিলো। নিশান একটা সিগারেট বাহির করে ধরালো। সেইটাতে টান দিতে দিতে বিল্ডিং থেকে বেড়িয়ে নিজের গাড়িতে বসলো। গন্তব্য বাড়ির উদ্দেশে।

রাত নয়টা বেজে দশ মিনিট। নিশান এমন সময় বাড়িতে ফিরলো। ড্রইং রুমে কেউ নেই, হয়তো নিজের রুমে আছে। নিশান নিজের রুমের কাছে এসে লক খুললো। ভিতরে ঢুকে দরজা আবারো লক করে দিলো। সে বেডের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো সিমি উঠে বসে আছে গায়ে ব্লাঙ্কেট জড়িয়ে নিশান কে দেখে যেন সে আরো একটু ব্লাঙ্কেট এর ভিতরে ঢুকে গেলো। নিশান কোন কথা না বলে গায়ে থাকা শার্ট এর বোতাম খুলে শার্ট খুলে ফেললো। সিমি ব্লাঙ্কেট এর নিচে ঢুকে পড়লো। নিশান প্যান্ট পরিত্যাগ করে একটা শর্টস প্যান্ট পড়লো। তাছাড়া আর কিছু না। নিশান সিমির দিকে তাকালো সিমি ব্লাঙ্কেট এর নিচে। নিশান ওয়াশরুম এ ধুকে পড়লো দশ মিনিট পরে বেড়িয়ে আসলো। সিমি এখনো ঐভাবেই আছে নিশান গম্ভীর কণ্ঠে। সিমি কে উদ্দেশ্য করে বললো,,

“মুখ বাহির কর।”
সিমি শুনলো না ঐভাবেই রইলো। নিশান এইবার চিৎকার দিয়ে বললো,,
“বেয়াদব মুখ বাহির কর।”
সিমি এইবার ভয়ে ভয়ে একটু মুখ বাহির করলো। নিশান সিমি কে আর কিছু না বলে, তাকে কিছু বলতে না দিয়ে সিমি কে কোলে তুলে নিলো এক ঝটকায় সিমি হতভাগ। নিশান সিমি কে নিয়ে সোজা ওয়াশরুম এ ঢুকলো। সিমি কিছু বলবে তার আগে তাকে বাথটাব এ ফেলে দিলো। এইভাবে ফেলে দেয়াই সে ব্যাথা পেলো। চোখ মুখ খিচে বন্ধ করলো। এইদিকে নিশান সিমির ডান হাত আর বাম হাত দুই হাত এক জায়গায় করে স্কচ টেপ জড়িয়ে দিলো। তারপর হাতে আবারো উড়না বাঁধলো। উড়না বেঁধে সেইটা একটা স্টিলের স্ট্যান্ড এ বেঁধে দিলো। সিমির হাতে ব্যাথা লাগছে। সাথে তাকে যে বাথটাবে ফেলছে সেইটা থেকে বিচ্ছিরি গন্ধ বাহির হচ্ছে। পুরো বাথটাব এর পানি লাল। এইটা আদাও পানি কিনা সিমি জানে না। নিশান সিমি কে শান্ত। কণ্ঠে বললো,,

“আমার অনুমতি বিনা বৃষ্টিতে ভিজার সাহস কে দিলো তোকে?”
সিমি — “আমার মর্জি আমি ভিজবো কিনা।”
সিমির এই কথা শুনে নিশান জোরে সিমির বাম গালে একটা চড় মেরে বললো,,
“তোর মর্জির গুষ্টি মারি আমি? ভিজেছিস কেন?”
সিমি মুখটা অন্ধকার করে বললো,,
“ইচ্ছা করছিলো।”
সিমির খাপছাড়া উত্তর যেন নিশান কে আরো রাগিয়ে দিচ্ছে। নিশান এইবার নিজেও বাথটাবে নামলো। সিমির গাল চেপে ধরে বললো,,

“তোর ইচ্ছা তে আমি মুতে দেই, বল কেন ভিজেছিস? ভিজেছিস আবার তাহলে সেন্সলেন্স হয়েছিস কেন বল? জ্বর বাঁধায় ছিস কেন? বল বল উত্তর দে?”
সিমির গালে ব্যাথা হচ্ছে। নিশান এত জোরে ধরেছে যে তার গাল যেন ভেঙে যাচ্ছে। নিশান সিমির অবস্থা বুজতে পেরে নিজেকে শান্ত। করার জন্য দুই তিনবার বড়ো বড়ো নিশ্বাস নিলো সিমির গাল ছেড়ে দিলো। সিমি কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললো,,
“ভিজলে যে জ্বর আসবে, আমি জানতাম নাকি?”
নিশান — “জানিস কি? জামাই আদর করলে কান্না করতে হয়, শুধু এইটা জানিস?”
নিশানের কথাই সিমি মাথা নিচু করে আছে। নিশান ও চুপ রইলো হুট্ করে সিমি বললো,,
“এইটা কিসের পানি এত দুর্গন্ধ কেন? আর আপনি আমার হাত বেঁধেছেন কেন?”
নিশান এইবার সিমির দিকে তাকালো মুখে দুস্টু হাসি ঝুলছে বললো,,
“লাল ওয়াইন ভর্তি বাথটাবে তোর সাথে রোমান্স করবো বলে হাত বেঁধে রেখেছি।”
নিশানের এমন কথাই সিমি চোখ বড়ো বড়ো করে বললো,,
“কিহহহ….!”

নিশান সিমির কাছে একটু সরে আসলো একদম কাছাকাছি, মুখোমুখি।নিশানের লোম হীন বুক এ ড্রাগনের ছবি যেন আকৃষ্ট করছে সিমি কে। এই ওয়াইন লাগাই যেন আরো জীবন্ত জীবন্ত লাগছে। সিমি নিজেকে ঠিক করলো। অনেক কষ্টে চোখ দুটো সামলে নিয়ে চোখ বন্ধ করলো। নিশানের এত কাছে আসায় সিমির নিশ্বাস যেন আগের থেকে দ্বিগুন বেড়ে গেলো। দুইজনের নিশ্বাস একে ওপরের উপরে আঁচড়ে পড়ছে। নিশান হাঁস্কি টোনে বললো,,
“জানবাচ্চা রোমান্স করে তোকে শাস্তি দেবো এই ওয়াইন ভর্তি বাথটাবে।”

বলে নিশান সিমির গলার কাছে হাত দিয়ে একটু ঝুঁকে তার ঠোঁট দুটো নিজের দখলে করে নিলো। সিমির হাত ও বাঁধা সে এইবার নড়তেও পারছেনা। নিশান সিমির কোমরের খাঁজে হাত দিয়ে চেপে ধরলো। সিমি চোখ মুখ খিচে বন্ধ করলো। আবারো শুরু হয়ে গেছে এই বিদেশি কুত্তার দম বন্ধ খেলা। নিশান সিমির ঠোঁটে ইচ্ছা মত যুদ্ধ করতে লাগলো।প্রায় পনেরো মিনিট পরে সে সিমি কে ছেড়ে দিলো। সিমি জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে জ্বালা করছে ঠোঁট কেটে গেছে। এই ঠোঁট এমনেই আগে কাঁটা ছিলো আবারো কাটছে, সাথে এই ওয়াইন লাগছে সিমির ব্যাথা যেন অজ্ঞান হওয়ার যোগাড়। নিশান সিমির গলার কাছে মুখ ডুবালো। ঘাড়ের একটু কাছে জোরে বাইট দিলো। গলায় ও কামড় বসালো। কানে কামড় দিলো। এক প্রকার শাস্তি হিসাবে সারা গলা ঘাড়ে কামড়ের দাগে ভরিয়ে দিলো। কামড়ের দাগ গুলো যেন নীল হয়ে গেছে। সিমির চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। তার জীবন টা তেজপাতার থেকেও অধম করে দিলো এই বিদেশি কুত্তা। নিশান সিমির ঠোঁটে শব্দ করে একটা চুমু খেয়ে বললো,,

“আজকের জন্য এইটুকু থাক, পরের বার এমন ভুল হলে, তিনদিন বিছানায় থাকার ব্যবস্থা করে দিবো।”
বলে নিশান সিমির হাত উড়না খুলে দিলো স্কচ টেপ তাও খুলে দিলো। সিমি হাত সামনে এনে দেখলো লাল হয়ে গেছে। ব্যাথা ও করছে। এইদিকে নিশান উঠে গেছে। সিমি কেউ হাত ধরে টেনে তুললো। সিমির কেমন বমি বমি পাচ্ছে এই গন্ধ তার যেন আর সয্য হচ্ছে না। নিশান সিমি কে নিয়ে ঝর্ণার নিচে দাঁড়ালো। ঝর্ণার পানি দুইজনের শরীরে পড়ছে। সিমি ব্যাথায় চোখ মুখ বন্ধ করে আছে। জ্বালা যন্ত্রনা হচ্ছে। যত পানি লাগছে তত যন্ত্রনা হচ্ছে। আর দুই তিন মিনিট ঐভাবেই থাকার পরে নিশান বেড়িয়ে গেলো। রুমে ঢুকে কাভার্ড থেকে একটা তোয়ালে নিয়ে সেইটা পেঁচিয়ে নিলো কোমরে। আর সিমির জন্য পোশাক বাহির করে সেইটা ওয়াশরুম এর কাছে এসে সিমির হাতে দিলো। সিমি হাতে নিতেই নিশান বাঁকা হেসে বললো,,

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১১

“পড়তে পারবি নাকি পড়িয়ে দেবো?”
সিমি মুখ ভাঙচিয়ে বললো,,
“সজ্ঞানে আছি এখনো।”
নিশান দুষ্টামি করে বললো,,
“ওও তাহলে অজ্ঞান হো পড়িয়ে দেই আমি।”
নিশানের কথা শুনে সিমি বিড়বিড় করে বললো,,
“বিদেশি কুত্তা তোকে অভিশাপ দিলাম, এই জীবনে তুই বউ পাবি না সারাজীবন সিঙ্গেল বিদেশি কুত্তা থাকবি।”

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৩