তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৮

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৮
তাবাস্সুম খাতুন

নিশান রুমে ঢুকে ডিভানে গিয়ে বসলো, বসে ফোন স্ক্রল করতে লাগলো । জিহান ও নিশানের রুমে ঢুকে ওর পাশে বসলো জিহান নিশানের দিকে তাকাচ্ছে। নিশান এর কোন রিয়েকশন নেই? মানে টা কি? এইসবের। জিহান এইবার নিশানের হাত থেকে ফোন টা কেড়ে নিলো। নিশান জিহানের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,,
“কি রে সমস্যা কি ফোন নিলি কেন?”
জিহান — “এই একই প্রশ্ন আমার তোর সমস্যা কি? বিয়েতে রাজি!এইদিকে আমার সাথে সিমির বিয়ে আজব তুই কিছুই বললি না উল্টে রাজি হয়ে গেলি?”
নিশান ডিভানে মাথা রেখে বললো,,

“কত বছর আর ভার্জিন থাকবো? ভার্জিন তো এইবার নষ্ট করতে হবে? ঠিক সময়ে বিয়ে করলে এত দিন নিজের মেয়েকেও বিয়ে দিতে পারতাম। মনটা খালি এখন বউ বউ করে বউ কে আদর করে বউ কে চুম্মা দিতে।”
জিহান নিশানের এইসব কথাই তেমন পাত্তা না দিয়ে বললো,,
“সে তুই আদর কর চুমু খা যা খাবি করবি কর তাতে আমার কিছু যাই আসে না। তবে তুই কাকে বিয়ে করতে চাচ্ছিস? আর এইদিকে সিমির সাথে আমার অসম্ভব আমি এইটা মানবো না আন্দোলন করবো নয়তো তোর নামে থানায় মামলা দিবো। আরে ভাই সিমি কে আমি নিজের বোনের চোখে দেখি।”
নিশান — “তুই দেখিস but আমি দেখি না।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

জিহান — “তুই যে ওকে কোন সময় বোনের নজরে দেখিস নি এইটা আমি জানি। কিন্তূ তুই এইটাও জানিস ভালো ভাবে তুই সিমি কে কত টা চাস সেখানে তুই সিমি কে রেখে অন্য মেয়েকে বিয়ে করার কথা ভাবলি কিভাবে? সাথে আমার আর সিমির বিয়ের কথা বললো কিচ্ছু বললি না কেন?”
নিশান চোখ বন্ধ করে বললো,,
“কুল ব্রো কুল, বিয়েতে রাজি হয়েছি বিয়েও হবে, বাসর ও হবে, বাচ্চা কাচ্চা ও হবে। একেবারে ফুটবল টিম।”
জিহান চোখ ছোট ছোট করে বললো,,
“শুধু ফুটবল টিম কেন তুই একেবারে ফুটবল টিমের সাথে ক্রিকেট টিম ও বানিয়ে ফেল। আমি একদম মাইন্ড করবো না কিন্তূ সিমির সাথে বিয়ে তে আমি রাজি না।”

নিশান জিহানের দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,
“শালা একশো বার আমার ইশু কে টানছিস কেন? তোকে কে বলেছে আমার ইশু কে বিয়ে করতে?”
নিশানের কথা শুনে জিহান কিছু ক্ষণ চুপ রইলো তারপর উল্লাশিত কণ্ঠে বললো,,
“তারমানে তুই?”
নিশান বাঁকা হেসে বললো,,
“হ্যা বিয়ে করবো। মনটা আমার শুধু বউ বউ করছে।”
জিহান নিশানের পিঠে হাত দিয়ে বললো,,
“কর কর আমি আছি তো সাক্ষী আমি।”

রাত বারোটা চল্লিশ। চৌধুরী বাড়ির সবাই গভীর ঘুমে আছন্ন। সামিয়া আজকে জারা দের সাথে ঘুমিয়েছে। কারণ সিমি কে ডাকতে নিষেধ করেছে সবাই। সিমি আজকে রুমে একা আছে। এমন সময় নিশান নিজের রুম থেকে বেরোলো। সোজা সিমির রুমের সামনে এসে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে রুম খুললো। ভিতরে ঢুকলো অন্ধকার। নিশান দরজা লক করে দিয়ে লাইট অন করলো। সে বেডে তাকিয়ে দেখে সিমি নেই। নিশানের কুঁচকানো ভ্রু যুগল যেন আরো বেশি কুঁচকে গেলো। সে ওয়াশরুম এ গেলো না সেইখানেও নেই। নিশান এইবার বেলকুনিতে গেলো। বেলকুনিতে গিয়ে দেখতে পেলো ফ্লোরে হাত পা ছড়িয়ে বসে আছে সিমি। চুলগুলো খোঁপা করা। তার আশেপাশে অনেক ভাঙা কাঁচের টুকরো।

বাইরে থেকে আশা ল্যাম্প পোস্ট এর আলো তে সিমির মুখ দেখা যাচ্ছে। চোখে পানি চিকচিক করছে। আবার মুখে রক্তের ফোঁটা। নিশানের বুকের ভিতরে যেন ঝর বয়ে যাচ্ছে। সে সিমির বাহু টেনে ধরে দাঁড় করালো। আচমকা এমন হওয়ায় সিমি ভরকে গেলো। সে সামনে তাকিয়ে দেখে নিশান ভাই তার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নিশান সিমির হাত দেখলো সব রক্ত ফ্লোর ও রক্তে লাল হয়ে গেছে। তার যা বুজার বুজা হয়ে গেছে। নিশান সজোরে চড় বসালো সিমির গালে। একেতো কিছু খাওয়া নেই তার উপরে হাত কেটে এত রক্ত পড়েছে আবার নিশানের এত বড়ো চড় খেয়ে মাথা ঘুরে পরে যেতে নিলে নিশান সিমির বাহু চেপে ধরলো জোরে। সিমি ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলো নিশান দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,

“এই মেয়ে এই আমাকে মারবি তুই? হ্যা বল আমাকে মারবি? আমাকে মারলে কিন্তূ তোকেও আমার সাথে মরতে হবে? দেবদাস হয়েছিস? হ্যা দেবদাস যে এইভাবে হাত কেঁটেছিস?”
সিমি কান্না করতে করতে বললো,,
“নিশান ভাই আমার লাগছে ছাড়ুন প্লিজ।”
নিশান — “লাগুক লাগার জন্যই তো ধরেছি? তুই হাত কাটলি কেন?”
সিমি এইবার সাহস নিয়ে বললো,,
“আমার হাত আমি কাটতেই পারি তাতে আপনার সমস্যা কি?”
নিশান সিমির বাহু আরো জোরে চেপে ধরলো নিজের আরো কাছে নিয়ে আসলো। নিশানের গরম নিশ্বাস সিমির মুখে আঁচড়ে পড়ছে। সিমি চোখ বন্ধ করে ব্যাথা সয্য করছে নিশান আবারো একই ভাবে বললো,,
“হাত তোর হলেও জান টা আমার। তোকে বলেছিলাম না আমার অনুমতি বিনা নিশ্বাস তাও নিতে পারবিনা? ভুলে গেছিস।”

সিমি — “কেন কে হন আপনি আমার যে আপনার কথা তে আমার নিশ্বাস নিতে হবে। ”
সিমির এই কথা যেন নিশানের রাগে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো। নিশান আচমকা সিমির কাঁপতে থাকা কোমল ঠোঁট জোড়াতে নিজের শুষ্ক ঠোঁট দ্বারা দখল করে নিলো। সিমির কান্না থেমে গেসে বুজতে পারছেনা কি হচ্ছে। নিশান এক হাত দিয়ে সিমির মাথা চেপে ধরে। আরেক হাত দিয়ে সিমির কোমরের খাঁজে শক্ত করে হাত দিয়ে সিমির ঠোঁটের উপরে রাজত্ব চালাচ্ছে। সিমি য্খন হুস আসলো তখন যেন ওর দম টা বন্ধ হয়ে আসছে। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তূ পারছেনা। ঠোঁট জ্বালা করছে। কেটে গেলো নাকি। সিমির যেন এইবার নিশ্বাস একদম বন্ধ হয়ে গেছে হাত দিয়ে নিশান কে সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তূ নিশান সে আরো শক্ত করে সিমি কে জড়িয়ে ধরে সিমির ঠোঁট এ নিজের ঠোঁট লাগিয়ে আছে। তাও যেমন তেমন না একেবারে রক্ত বাহির করে দিয়েছে শুধু কামড়াচ্ছে। আর সিমি ব্যাথা তে চোখ বন্ধ করে আছে। দম বন্ধ।এইভাবে টানা পনেরো মিনিট পরে নিশান সিমির ঠোঁট ছেড়ে দিলো। সিমি ছাড়া পেতেই জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো ঠোঁট এ জ্বালা পোড়া হচ্ছে প্রচুর। সাথে নিশ্বাস মনে হয় এইভাবে আর একটু থাকলে ও দম বন্ধ হয়ে মারা যেত। নিশান সিমির উড়না তুলে ঠোঁট মুছে নিয়ে বললো,,

“প্রমান করে দিলাম আমার অনুমতি বিনা তুই নিজের নিশ্বাস তাও নিতে পারবি না।”
সিমি নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো,,
“আপনি আমার ভাই হোন এইসব কি করলেন আমার সাথে?”
নিশান — “আমি তোকে কোন সময় বোনের নজরে দেখি নি। আর দেখবো না। সাথে তোকেও আজ থেকে আমাকে ভাই এর নজরে দেখা অফ করতে হবে।”
বলে সিমি কে কোলে তুলে নিলো। সিমি হাত পা ছুড়াচুরি করতে লাগলো। নিশান বললো,,
“হাত পা ছুরাছুরি ঠিক আছে but চিৎকার করলে ফাঁসবি তুই মাইন্ড it..!”

সিমি হাত পা ছুড়াচুরি ও বন্ধ করলো। সত্যি এইভাবে কেউ দেখলে দোষ তো তার হবে। আর এই বিদেশি কুত্তা তাকে নিয়ে যাচ্ছে কই। ঠোঁট ও জ্বলছে। না পারছে কিছু বলতে না পারছে করতে। নিশান সিমি কে ঐভাবে কোলে করে নিয়ে সোজা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলো। সিমি এখনো চুপ আছে সে চুপচাপ থেকে দেখতে চাচ্ছে এই বিদেশি কুত্তা কি করে?নিশান সিমি কে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো। এইদিকে ড্রাইভিং সিট্ এ জিহান বসে ছিলো আগে থেকে। নিশান উঠে বসতেই জিহান গাড়ি নিয়ে গেলো গন্তব্যর দিকে। এইদিকে সিমির লাগছে ভয় এই দুই ভাই মিলে কি তার নামে কোন প্ল্যান করেছে তাকে কি পাচার করে দিতে যাচ্ছে নাকি। ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে মুখ দিয়ে কথা বাহির হচ্ছে না। টানা বিশ মিনিট ড্রাইভ পরে গাড়ি এসে থামলো একটা অফিসের সামনে।

নিশান গাড়ি থেকে নামলো সিমি কে নামালো। সিমির হাত নিজের হাত মধ্যে নিয়ে অফিসের ভিতরে ঢুকলো পিছু পিছু জিহান ও আসলো। সিমি এইদিকে ওইদিকে তাকাতে লাগলো না কোথাও কেউ নেই। আর এই অফিসে টাই বা কিসের। সে অফিসের এইদিকে ঐদিকে তাকিয়ে একটা সাইন বোর্ড পেলো যেইখানে লেখা “কাজী অফিস ” এইটা পরে সিমির পা থেকে যেন মাটি সরে গেছে এই বিদেশি কুত্তা আর জবেদার ভাতার তাকে কাজী অফিসে আনলো কেন? নিশান জিহান সিমি অফিসের ভিতরে ঢুকলো দেখলো একটা মধ্যে বয়স্ক টুপি পরা লোক একপাশে বসে আছে। আরেক পাশে বসে আছে কোর্ট প্যান্ট পরা এক লোক। নিশান সিমি কে নিয়ে মধ্যে বয়স্ক টুপি পরা লোকটার কাছে গেলো। সিমির ভয় লাগছে খুব। নিশান বসলো সাথে সিমি ও। নিশান লোকটা কে বললো,,
“শুরু করুন।”

সিমি ভয় পাচ্ছে খুব কি শুরু করবে? এরা। লোকটা হলো কাজী। তার সবকিছু আগে থেকেই লেখা ছিলো। এখন তারা আসতেই পরা শুরু করলো,,
“আমি সালাউদ্দিন চৌধুরী ও রোজিনা চৌধুরীর কন্যা ঈশিতা জাহান সিমিকে প্রশ্ন করছি, আপনি কি তাজউদ্দিন চৌধুরী ও সেলিনা চৌধুরীর পুত্র তানভীর চৌধুরী নিশানকে দুই টাকা মোহর ধার্য করে নিজের বৈধ স্বামী হিসেবে কবুল করেছেন? যদি করেন তাহলে কবুল বলুন। ”
সিমি চুপ করে বসে কান্না করছে। কাজী আবারো বললো,,
“মা কবুল বলো।”
সিমি এখনো চুপ আছে। কাজী নিশানের দিকে তাকিয়ে বললো,,
“বাবা মেয়ে হয়তো এই বিয়েতে রাজি না।”

নিশান — “রাজি আছে কিনা নেই আপনার কানে কানে বলেছে?”
কাজী মাথা দুইপাশে নাড়ালো মানে না। কাজী আরো একবার সিমি কে কবুল বলতে বললো কিন্তূ সিমি চুপ করে আছে। নিশান উঠে দাঁড়ালো সাথে সিমি কেউ দাঁড় করালো নিশান বাঁকা হেসে বললো,,
“সোজা আঙ্গুল এ ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাঁকাতে হয়।”
বলে সিমির গালে জোরে একটা চড় মারলো সিমি গালে হাত দিয়ে নিশানের দিকে তাকালো নিশান শান্ত কন্ঠে বললো,,

“কবুল বল।”
সিমি ও জেদ ধরে আছে ও কিছুতেই এই বিদেশি কুত্তা কে বিয়েকরবে না।এই কুত্তা কে বিয়ে করার থেকে জবেদার ভাতার কে বিয়ে করা অনেক ভালো। সিমি বললো,,
“মরে গেলেও বলবো না।”
সিমির এই কথা শুনে নিশান আবারো একটা চড় মারলো। কাজী, উকিল ওরা হবার মতো বসে আছে। এইদিকে সিমি চড় খেয়ে কান্না করতে করত বললো,,
“আমার ব্যাথা লাগছে।”
সিমির কথাই পাত্তা না দিয়ে নিশান আবারো চড় মারলো সিমি এইবার জোরে জোরে বললো,,
“বিদেশি কুত্তা কবুল, ন্যাসপাতি ভাই কবুল, এনাকোন্ডা কবুল।”
সিমি কবুল বলেছে ঠিকই কিন্তূ কি কি নাম বললো এইগুলো। নিশান আপাতত শান্ত থেকে কাজী বলার আগে সে বলে দিলো,,

“কবুল, কবুল, কবুল।”
কাজী শুধু এই ইউনিক বিয়েটা সম্পূর্ণ দেখলো শেষ হতে বললো,,
“তোমাদের ইসলাম শরীয়তে বিয়ে শেষ আলহামদুলিল্লাহ। ”
নিশান এইবার উকিলের কাছে গিয়ে সাইন করলো সিমি ও করলো। তাদের ইসলাম ও আয়নি দুই ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হলো। সিমি এখনো দুই গালে হাত রেখে কান্না করছে। বিয়ের কাজ শেষ হতে নিশান সিমি কে টানতে টানতে আবারো গাড়ির কাছে আনলো ভিতরে ঢুকে বসলো। জিহান আসলো এসে গাড়ি চালালো। পুরো নিস্তব্ধ গাড়ির ভিতরে। শুধু সিমির নাক টানার আওয়াজ ছাড়া আর কিছু আসে না। চৌধুরী ভিলা তে গাড়ি য্খন পৌঁছালো তখন রাত একটা ত্রিশ বাজে। নিশান সিমি কে কোলে নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো। জিহান ও আসলো জিহান নিজের রুমে গেলো। এইদিকে নিশান সিমি কে তার রুমে না দিয়ে এসে নিজের রুমে নিয়ে গেলো। নিশান রুমে ঢুকে দরজা লক করে সিমি কে বেডে চেলে দিলো। সিমি বললো,,

“আমাকে এইখানে আনলেন কেন? আমার রুমে দিয়ে আসেন।”
নিশান — “এইটাই তোর রুম। আজ থেকে তুই এইখানে ঘুমাবি, আমার সাথে আমার পাশে।”
বলে নিশান ও বেডে বসলো। গায়ে থাকা টি শার্ট খুলে ফেলে দিলো। উন্মুক্ত হলো বুক লোম হীন বুক। তবে এই উন্মুক্ত পরিষ্কার বুকে কোন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না। কারণ বুকের ডান পাশ দিয়ে বাহু পযন্ত সম্পূর্ণ ট্যাটু।একটা ড্রাগনের ট্যাটু। বাম পাশের ঘাড়ের কাছে আছে। পিঠেও হয়তো আছে। সিমির তো নিশানের এইসব দেখে আরো বেশি ভয় লাগছে। নিশান লাইট অফ করলো বেডে শুয়ে সিমি কে টান দিয়ে নিজের বুকের মাঝে আনলো। তারপর সিমির গলায় মুখ গুঁজে দিয়ে বললো,,

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৭

“অনেকদিনের ক্লান্ত আমি। ঘুমাতে চাই টাই আমাকে ঘুমাতে দে।”
নিশান কথা বলাই সিমির গলায় তার গরম নিশ্বাস পড়ছে সিমি কেঁপে উঠছে সিমির কাঁপা দেহ দেখে নিশান বললো,,
“বিয়ে করেছি বাসর করার হক রাখি। But করছি না। নিজেকে অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করেছি তাই এইভাবে কাঁপাকাঁপি করবি না। করলে ফরজ গোসল করিয়ে দিবো। So চুপচাপ ঘুমা আর আমাকেও ঘুমাতে দে।”
সিমির যেন এইবার নড়াচড়া তাও বন্ধ হয়ে গেলো নিশ্বাস তাও যেন সে নিচ্ছে তো আবার নিচ্ছে না। নিশান ঐভাবে গলায় মুখ গুঁজে দিয়ে কখন যেন ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলো। সিমির ও ঘুম আসছে। তার তো নড়তে ভয় লাগছে এই বিদেশি কুত্তা যদি কিছু করে। একসময় চোখ বুজে আসলো সেও ঘুমিয়ে পড়লো ঐভাবে।

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৯