তোমাতেই আসক্ত পর্ব ২৩
তানিশা সুলতানা
হাসপাতালের বেডে অবচেতন অবস্থায় পড়ে আছে আসিফ। ডান হাত সাদা রংয়ের ব্যান্ডেজ দ্বারা আবৃত্ত। এবং সেই হাত খানা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে উঁচু করে। বা পা খানার অবস্থাও বাজে। সেটিও সাদা রংয়ের ব্যান্ডেজ দ্বারা আবৃত্ত। কপালে তিনটে সেলাই পড়েছে। উঁচু নাক খানা থেঁতলে গিয়েছে।
দুটো নার্স দাঁড়িয়ে আছে আসিফের দু পাশে। মূলত তারা সেন্স ফেরার অপেক্ষায় আছে। মধ্য বয়সী একটা মহিলা বসে আছে কেবিনের এক কোণায়। ভীষণ চিন্তিত সে। ইতোমধ্যেই কয়েকবার নার্সদের জিজ্ঞেস করেছে “সে ঠিক হবে তো?”
নার্সরা আশ্বাস দিয়েছে ঠিক হবে। তবুও মহিলাটির মন মানছে না। যতক্ষণ না তার বাচ্চা চোখ খুলে বলবে “খালামনি আ’ম ওকে”
ততক্ষণ চিন্তা লাঘব হবে না। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে কয়েকবার কল এসেছে। আসিফের খোঁজ করছে। সত্যি কথা বলতে দ্বিধাবোধ হচ্ছে ওনার৷ কিভাবে বলবে “দুই দিনের জন্য ঘুরতে এসে এক্সিডেন্ট করেছে আসিফ আদনান? অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের বেডে?”
অগত্য ফোন খানা বন্ধ করতে যায় তখনই পূণরায় বেজে ওঠে। ফোনের স্কিনে সুইজারল্যান্ড এর নাম্বার দেখে রিসিভ করে। ওপাশ থেকে ভেসে আসে সুইজারল্যান্ড এর ভাষায় বলা কথা গুলো
“হ্যালো ক্যার্তিরা ম্যাম বলছেন?
মূলত ওনার নাম ছিলো কাকলি বেগম। বাবা মা বড়ই শখ করে দুই বোনের নাম মিলিয়ে রেখেছিলো কনিকা এবং কাকলি। তবে সুইজারল্যান্ড এ আসার পরে নিজের নাম বদলে রেখেছেন ক্যার্তিরা। কাকলি নামটা ওনার হাজব্যান্ড এর ভালো লাগে নি। অগত্য স্বামীকে খুশি করতেই নামের এই পরিবর্তন।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” হ্যাঁ বলছি।
“একচুয়েলি আপনার ছেলের এক্সিডেন্ট হয়েছে এ টি তাসিন এর গাড়ির সঙ্গে। ওনাকে চিনেন নিশ্চয়? আমরা তদন্ত করে দেখেছি দোষটা ট্যাক্সি ড্রাইভারের ছিলো। আই মিন আপনার ছেলে যে ট্যাক্সিতে ছিলো সেই ট্যাক্সির। এ টি তাসিন এর চার কোটি টাকার গাড়ি ভেঙে গিয়েছে।
ঘাবড়ে যায় ক্যার্তিরা। আবরার তাসনিন সম্পর্কে ধারণা রয়েছে তার। বিশাল বড় বিজনেসম্যান সাথে ভীষণ অহংকারী।
কিছু বছর আগে আবরার তাসনিন এর গাড়ির সঙ্গে অপর একটি গাড়ি ধাক্কা লেগেছিলো। তাতেই সেই গাড়ি ড্রাইভারকে মারতে মারতে আধমরা করে ফেলেছিলেন আবরার। এবং বড় অঙ্কের টাকা জরিমানা নিয়েছিলো।
” এ টি তাসিন এর ধারণা মতে ট্যাক্সি ড্রাইভার আপনার ছেলের সঙ্গে তর্ক করতে করতে ড্রাইভ করছিলো। দুজনই ড্রাংক অবস্থাশ ছিলো। এবং সেই জন্যই এক্সিডেন্ট হয়েছে।
শুকনো ঢোক গিলে ক্যার্তিরা। অনুন্নয়ের স্বরে বলে
“আমার বাচ্চা কিচ্ছু করে নি।
পুলিশ পূণরায় বলে
” আই নো দ্যাট বাট এ টি তাসিন বুঝবে না। আমি একটা সলিউশন দিতে পারি। আপনার ছেলেকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দিন। এবং এ টি তাসিনকে স্যরি বলুন।
কার্তিরা সম্মতি জানিয়ে কল কাটে। এবং তখুনি অনলাইনে ইমার্জেন্সি টিকিট বুক করে ফেলে। আসিফ চোখ খুললেই তাকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দিবে।
অনুভব করে কপাল বেয়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝড়ছে।
বরাবরই আবরার তাসনিন ভীষণ সুদর্শন মানুষ। তবে আজকে যেনো তার সৌন্দর্য দ্বীগুণ বেড়ে গিয়েছে। ধবধবে ফর্সা শরীরে সাদা রংয়ের শার্ট কালো জিন্স এবং কালো শু। বা হাতে লেপ্টে আছে কালো রংয়ের রোলেক্স ঘড়ি। শার্টের হাতা কনুই ওবদি গোটানো। এবং বুকের কাছে তিনটে বোতাম খোলা। বড় বড় চুল গুলো জেল দিয়ে পরিপাটি করে রেখেছে। শক্ত চোয়ালে খোঁচা খোঁচা চাপ দাঁড়ি। হাত নারিয়ে নারিয়ে কড়কড়ে ইংরেজিতে ভাষণ দিচ্ছে গম্ভীর স্বরে। তার ভাষণ দেওয়ার স্টাইলও জোশশ।
গোলাপি অধরের পানে নজর পড়তেই জিভ দ্বারা ঠোঁট ভিজিয়ে নেয় আদ্রিতা। কালকে এই ওষ্ঠ জোড়াই ছুঁয়ে দিয়েছিলো তার ওষ্ঠ। কাঙ্ক্ষিত মুহুর্তের কথা স্মরণ হতেই গাল দুটো ভাড়ি হয়ে আসে। হাঁসফাঁস করে ওঠে হৃদয়খানা।
শ্বাস আটকে আসছে বুঝি?
জোরে জোরে শ্বাস টেনে দু পা পিছিয়ে যায় আদ্রিতা।
নিজেকে বকতে বকতে বলে
“ছিহহ আদ্রিতা ছিহহহ
তুই না আসিফকে ভালোবাসিস?
এই অসভ্য বেয়াদব পুরুষের চুমু খেয়ে ব্ল্যাশ করছিস কেনো?
সেটা দুঃস্বপ্ন এবং খারাপ মুহুর্ত ছিলো। ভুলে যা। এবং এই বেয়াদবের থেকে দূরে থাক।
কানের পিঠে চুল গুঁজে নিজের কপালে দুটো থা*প্প*ড় মারে আদ্রিতা। মুখ বাঁকিয়ে ভেঙায় নিজেকে এবং পরপরই দু পা এগিয়ে সিয়াম এর পাশাপাশি দাঁড়ায়।গড় গড় করে ইংলিশ ঝাড়া আবরার তাসনিন এর পানে এক পলক তাকাতেও ভুলে না। সব গুলো কর্মচারী জড়ো হয়েছে। কিছু বোঝাচ্ছে তাদের। তারাও মাথা দুলিয়ে সায় জানাচ্ছে এবং নিজেদের হ্যান্ডবুকে নোট করে নিচ্ছে। আয়ান এর এক হাত অকেজো তবুও সে ফোনে টাইপ করে রাখছে।
আদ্রিতা মুখ বাঁকায় এবং সিয়ামের কানে ফিসফিস করে বলে
” সিয়াম ভাই হাতির ভাষণ শুনতে ইচ্ছে করছে না। বোরিং লাগছে। চলুন কফি খেয়ে আসি।
সিয়ামের হাত থেমে যায়। ইমপটেন্ট আর্টিকেল লিখছিলো সে। ইতোমধ্যেই ভুলে গিয়েছে। চোখ বন্ধ করে মনে করার চেষ্টা করে তবে ব্যর্থ হয়। হাঁসের মতো গলা উঁচু করে পাশের জনের পানে তাকায়।
তখনই আদ্রিতা পূণরায় সিয়াম এর শার্ট টেনে বলে
“এই ভাইয়া।
চলুন না প্লিজজজ। হাতির বকবক ভাল্লাগছে না। বলছি তো।
শুকনো ঢোক গিলে আদ্রিতার পানে তাকায় সিয়াম। পরপরই আবরারের পানে তাকিয়ে দেখে নোটিশ করেছে কি না।
তারপর অসহায় ভঙ্গিমায় বলে
“কফি খাই না আমি। এলার্জি আছে
আদ্রিতা বোধহয় বিরক্ত হলো। সিয়াম এর হাত থেকে টান দিয়ে নোটবুক নিয়ে নেয় এবং বলে
“আপনি দাঁড়িয়ে থাকবেন আমি খাবো। চলুন
সিয়াম দুই হাত জোর করে বলে
” প্লিজ মা।
আদ্রিতাও সেম প্রসেসে জবাব দেয়
“প্লিজ ভাইয়া। বোরিং ফিল করছি আমি।
সিয়াম কিছু একটা চিন্তা করে। এবং বলে
” তুমি এই কেবিনে গিয়ে বসো। আমি কফি নিয়ে আসছি।
আদ্রিতা মুচকি হেসে সেই কেবিনের দিকে পা বাড়ায়। হাতে এখনো সিয়াম এর নোটবুক সেটা আর দিয়ে যায় না।
অসহায় সিয়াম বিরবির করে আওড়ায়
“এই জামাই বউ দুজন মিলে আমাকে শহিদ দিবস বানিয়ে ছাড়বে।
ঘন্টা পেরুবে একই ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো আদ্রিত। বড়ই নির্দয় এবং বেয়াদব লোক আবরার তাসনিন। নিজে আরাম করে নরম কেদারায় বসে ভাষণ ছাড়ছে আর বাকিদের দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
শালা হনুমান জীবনেও বউ জুটবে না তোর কপালে। অভিশাপ দিলাম।
সিয়াম ভাইদেরও বলি হারি। এরকম অত্যাচার সহ্য করে এই লোকের অফিসে কাজ করার কি দরকার?
বিরবির করতে করতে ঢুকে পড়ে কেবিনে। কোনোদিক না তাকিয়ে সোজা গিয়ে বসে নরম কেদারায়। পরপরই গা এলিয়ে দেয়। আরামে চোখ বন্ধ করে বলে
“এ্যানিরে তোকে আনলে তুই দেখতে পেতিস কেমন সুন্দর এই অফিস। কয়েকটা সেলফি তুলতে পারতাম তোর সাথে।
মিটিং শেষ হতে ঘন্টা খানিক সময় লেগেছে। স্টাফরা বড়ই ক্লান্ত। আবরার তাসনিন “এন্ড” বলার সঙ্গে সঙ্গে যে যার কেবিনে ফিরে গিয়েছে। সিয়াম কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। মাথায় তার বিশাল টেনশন। টপিক নোটস করতে পারে নি। এবার কি হবে?
আবরার তাসনিন এর ঝাঁড়ি থেকে কে বাঁচাবে?
“এক্সকিউজ মি স্যার?
ক্যান আই হেল্প ইউ?
সিয়াম বড়বড় নয়নে তাকায় মেয়েটির পানে। মানে একটা মেয়ে এসে তাকে বলছে “হেল্প লাগবে কি না?”
এতোদিন এই অফিসে রয়েছে কোনোদিন একটা কুকুরও সেঁধে কথা বলতে আসলো না আর আজকে সুন্দরী একটা মেয়ে?
আজকে কি একটু বেশিই হ্যান্ডু লাগছে? আয়না থাকলে একটু দেখে নেওয়া যেতো।
ওহহ সিয়ামের গুড নেস। হ্যান্ডু সিয়াম জিন্দা বাদ।
মেয়েটি পূণরায় বলে
“একচুয়েলি আমি নোটিশ করেছি একটা মেয়ে আপনার নোটবুক নিয়ে গিয়েছে। স্যার ভীষণ স্টিক। জানতে পারলে রেগে যাবে। জাস্ট
মেয়েটির কথা শেষ হওয়ার আগেই সিয়াম বলে
” হ্যাঁ হ্যাঁ লাগবে হেল্প। তোমার আই মিন আপনার নোটবুক দিবেন একটু? কালকেই দিয়ে দিবো।
মেয়েটি মুচকি হাসে এবং নোটবুক সিয়ামের পানে এগিয়ে দিয়ে বলে
“ঠিক আছে।
সিয়াম সেটা হাতে নিয়ে বলে
” আপনার ফোন নাম্বার
ততক্ষণে মেয়েটি চলে যায়। সিয়াম নোটবুক বুকে গুঁজে মেয়েটির চলে যাওয়া দেখতে থাকে।
“প্রেম এসেছিলো কালকে
ছিলাম না বাড়িতে
আজকে আবার চলে এসেছে অফিসে।
কি করে ফিরিয়ে দিবো তাকে প্রেম না দিয়ে?
মিটিং শেষে আবরার তাসনিন নিজের কেবিনে ঢুকে পড়ে। আদ্রিতাকে নিজের জন্য বরাদ্দকৃত কেদারায় বসতে দেখে ভ্রু কুচকে ফেলে। কাঁচের তৈরি টেবিলে পা তুলে দিয়েছে যেনো এই রাজ্যের রাণী সে।
আদ্রিতা সামান্য চোখ খুলে দেখে নেয় আবরারকে। এবং পূণরায় চোখ বন্ধ করে নেয়। কিছুতেই সে উঠবে না এখান থেকে। প্রয়োজনে ঘুমের ভাজ ধরে আজীবন পড়ে থাকবে। একটু নাক ডাকার অ্যাকটিং করলে কেমন হয়? অভিনয় খানা জমে যাবে নিশ্চয়।
নিজের বুদ্ধির তারিফ করে নাক ডাকা শুরু করে। আবরার বিরক্ত হয়। বিরবির করে আওড়ায়
“ইডিয়েট
আদ্রিতার থেকে নজর ফিরিয়ে অন্য চেয়ার দখল করে নেয়।
পরপরই আমান আহাদ এবং ইভান ঢুকে পড়ে। ক্লান্ত ভঙ্গিমায় সোফায় বসে পড়ে সকলেই। তখনই হতদম্ভ হয়ে ঢুকে পড়ে সিয়াম। মুখে তার লাজুক হাসি।
” মেয়েটি আসলো। আমার সামনে দাঁড়ালো তারপর জড়িয়ো ধরে ডিরেক্টলি বললো “সিয়াম আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না। তুমিই আমার শেষ এবং মহাশেষ ভালোবাসা”
আমি বললাম “ছাড়ুন প্লিজ। আমার লজ্জা লাগছে। কেউ দেখে ফেলবে”
কিন্তু মেয়েটা ছাড়ছেই না। কি একটা ঘটনা ঘটে গেলো আমার সাথে। লজ্জা মুখ দেখাতে পারছি না আমি।
আবরার ফোন দেখছিলো গভীর মনোযোগ দিয়ে এবার ফোন রেখে ছোট ছোট নয়নে তাকায় সিয়াম এর পানে।
আমান গালে হাত দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে। আহাদ চেয়ার থেকে প্রায় পড়েই যাচ্ছিলো। অনেকটা কষ্টে নিজেকে সামলে নেয়। ইভান শুকনো ঢোক গিলে।।
সিয়াম পূণরায় বলে
“তোরা বুঝিস নি নিশ্চয়?
আরেহহ ইয়ার জীবনে প্রপোজ পেয়েছিস যে শটকার্ট কথা বুঝবি?
এই অফিসের সব থেকে বিউটিফুল লেডি আমাকে প্রপোজ করেছে। এমনকি রুম ডেট করার অফারও করেছে। আবার বিয়েও করতে চাইছে।
মানে বলছে আমাকে না পেলে সে বাঁচবে
বাকি কথা শেষ হওয়ার আগেই আদ্রিতা সোজা হয়ে বসে বলে ওঠে
” সিয়াম ভাই আপনি ভীষণ হ্যান্ডসাম তাই মেয়েটি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে নি।
সিয়াম ঠিক কোথায় যাবে বুঝতে পারছে না। লাজুক হেসে দুই হাতে মুখ ঠেকে ফেলে। ইসস লজ্জা পাওয়ারই দিন এটা। বাকিটা পূণরায় হতবাক হয়ে যায়। কেবিনে ঢুকেই তারা দেখলো আদ্রিতা নাক ডাকছে। আর এখনই উঠে গেলো? স্ট্রেঞ্জ?
“প্রথমবার কেউ বললো। আদ্রিতা মা তুমি না বললে আমি জানতেই পারতাম না আমিও হ্যান্ডসাম। এতোদিন কেনো বলো নি?
আমান বলে
” মেয়েটি এখানে জব করে?
“হ্যাঁ। এখানেই তো। আমাকে অনেকদিন ধরে নোটিশ করছে। মনের কথা বলবে বলবে করেও বলতে পারছে না।
ইভান বলে
” তাহলে তো একবার দেখা উচিত।
আবরাট সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়ে।
“চল দেখে আসি হবু ভাবিকে।
সিয়াম এর হাসিমাখা মুখ খানা চুপসে যায়। আহাদ সমান উৎসাহ নিয়ে বলে
” চল চল সিয়াম মিট করিয়ে দে আমাদের। হবু ভাবিকে একটা সালাম দিয়ে আসি।
আদ্রিতাও প্রস্তুতি নেয় যাওয়ার এবং বলে
“আমিও দেখতে চাই। চলুন সবাই মিলে যাই৷ খালি হাতি থাকুক। নাহলে দেখা যাবে ওনাকে দেখে ভয়ে ভাবি দৌড়ে পালালো। সিয়াম ভাই বিধবা হয়ে যাবে।
বলেই ঠোঁট টিপে হাসে আদ্রিতা। তবে বাকিরা হাসে না বরং বড়বড় নয়নে তাকায়। সেটা দেখে আদ্রিতার হাসিও থেমে যায়।
আবরার গম্ভীর নয়নে বলে
তোমাতেই আসক্ত পর্ব ২২
” আহাদ সব গুলো স্টাফকে জড়ো কর। ইমিডিয়েটলি
সিয়াম শুকনো ঢোক গিলে কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে
“আমি চাপা মারছি। আমাকে কেউ প্রপোজ করে নাই।
আদ্রিতা ভ্রু কুচকে ফেলে। আবরার পূণরায় চেয়ার দখল করে বসে এবং আদেশের স্বরে বলে
“প্রাইভেসি লাগবে আমার।
চুমু খাওয়ার ক্রেভিন উঠছে। তোরা আসতে পারিস এখন।