তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৭৪
নীল মণ
মালদ্বীপের আকাশে সকালের সোনালি আলো যখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, তখনই ফ্লাইটটা আস্তে আস্তে নেমে এলো। সকালের মিষ্টি রোদের প্রথম ঝলক যেন বিমানের কাচের জানালা ভেদ করে প্রত্যেকের মুখে ছুঁয়ে গেল। তিয়াশা প্রথমেই অনুভব করলো ক্লান্তির পরেও এই আলোতে আছে এক অদ্ভুত প্রশান্তি, যেন একটা নতুন জীবনের সূচনা। জানালা দিয়ে তাকিয়েই সবার চোখ বড় হয়ে গেল, চারপাশে বিস্তৃত সমুদ্র, তার বুক চিরে ছোট ছোট সবুজ দ্বীপ যেন ছড়ানো নীল রত্নের মতো বসানো।
ভেতর থেকে যতটা সুন্দর লাগছিল, বিমানবন্দর থেকে বের হতেই সেই দৃশ্য যেন আরও হাজার গুণ বাস্তব হয়ে সামনে ধরা দিল। নীলাভ সমুদ্রের ঢেউ চিকচিক করছে সকালের রোদে, যেন অসীম আয়নার উপর সোনালি রঙের তুলির আঁচড় পড়ছে। নারকেল গাছের সারি বাতাসে দুলে উঠছে ছন্দ মিলিয়ে, আর সেই হাওয়ায় ভেসে আসছে সমুদ্রের লবণাক্ত গন্ধ। গন্ধটা কেমন যেন কানে কানে ফিসফিস করে বলছে স্বপ্নের জগতে এসেছো, সব ক্লান্তি ভোলো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কিন্তু এ সৌন্দর্যের মাঝেই একেবারে ভিন্ন আবহ ছড়িয়ে আছে জায়ন আর তিয়াশার মধ্যে। তিয়াশা ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই ফ্লাইটে একটিও কথা বলেনি জায়ন। তার মুখ গম্ভীর, দৃষ্টি শক্ত, যেন বুকের ভেতরে কিছু একটার ভার জমে আছে। তিয়াশা এতটুকুতেই বুঝে ফেললো, মানুষটার ভেতরে রাগের কোনো ঝড় বইছে। তবুও জায়নের যত্নে একটুও ঘাটতি নেই প্লেন নামার সময় শক্ত করে তার হাত ধরে রাখা, ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হওয়ার সময় পাশে দাঁড়ানো, নামার সময় ভিড়ের মধ্যে তাকে আগলে রাখা সবই করছে অভ্যাসের মতো নিখুঁত যত্নে, কিন্তু একটা কথাও বের হচ্ছে না ঠোঁট থেকে। এই নীরবতা তিয়াশার বুককে আরও ভারী করে তুললো।
অন্যদিকে, ইউভি আর অনু বেরিয়েই যেন হাসিতে ভরে দিল চারপাশ। দুজনের চোখে-মুখে ক্লান্তি নেই বললেই চলে, যেন ভোরের আলোতে তাদের উচ্ছ্বাস নতুন করে জন্ম নিল। দুজন একে অপরের হাত ধরে লাগেজ ঠেলছে, মাঝেমধ্যে হেসে তাকাচ্ছে চারপাশে, আর ফিসফিস করে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছে।
আকাশ আরোহীও পিছিয়ে নেই, তবে তাদের আবহ একেবারেই আলাদা। আকাশের মুখে একটু লাজুক হাসি, ক্লান্ত ভ্রমণের পরেও চোখে ঝলক। আরোহীর চোখে সেই রাগ-অভিমান, যা ঢাকার এয়ারপোর্ট থেকে ওঠার সময় শুরু হয়েছিল, এখনও টিকে আছে। তবুও তার ভেতরে যেন এক চুমুক আনন্দ লুকিয়ে আছে, যা চাইলে সে লুকিয়ে রাখতে পারে না।
সবাই মিলে যখন এয়ারপোর্টের বাইরে এসে দাঁড়াল, তখন মুহূর্তটা যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন রঙে রাঙিয়ে উঠলো। চারপাশে রোদ, বাতাস, সমুদ্রের নীলাভ আভা, আর তাদের চোখেমুখের আলাদা আলাদা অনুভূতি—কারও মনে অভিমান, কারও মনে উচ্ছ্বাস, কারও মনে গোপন চিন্তা সব মিলিয়ে মুহূর্তটা যেন একসঙ্গে হাসি, অভিমান আর ভালোবাসার অদ্ভুত মিশ্রণে ভরে উঠল।
দুটো গাড়ি বুক করা হয়েছে রিসর্টের বোটের কাছে যাওয়ার জন্য। এয়ারপোর্টের ভিড়, ব্যস্ততা আর কোলাহল পেরিয়ে যখন সবাই বাইরে এসে দাঁড়াল, তখন হালকা রোদে চকচক করছে চারপাশ। নীল আকাশে ভেসে আছে সাদা তুলোর মত মেঘ, তার নিচে ঝলমল করছে সমুদ্রের নীল জলরাশি। সবাই মিলে একরকম দম ফেলার সুযোগ না পেয়েই গাড়ির দিকে এগিয়ে গেল।
জায়ন চুপচাপ, মুখ গম্ভীর করে তিয়াশার হাত শক্ত করে ধরে গাড়িতে উঠিয়ে দিল। তার স্পর্শে একরকম অদ্ভুত নিশ্চয়তা থাকলেও, সেই গম্ভীরতা তিয়াশার বুকের ভেতর একটা অস্বস্তি ছড়িয়ে দিল। চোখে চোখ একবারও মিলল না, অথচ হাত ছাড়ল না এক মুহূর্তের জন্যও।
ইউভি যেন সব সময়ের মতোই প্রাণখোলা হাসি নিয়ে অণুর হাত ধরে হালকা টান দিল। অণু লাজুকভাবে হেসে উঠলেও চোখে মুখে শিশুসুলভ উচ্ছ্বাস লুকোল না। ইউভির চোখের আনন্দ তখন শুধু তার বউয়ের হাসি ঘিরেই সীমাবদ্ধ। যেন অণুর প্রতিটা চাওয়াই তার সবচেয়ে বড় পাওয়া।
আরোহী সবার আগে নিজে থেকে গাড়িতে উঠে পড়ল। পিছনেই আকাশ। বসতেই মুখ ভার করে থাকা আরোহীর দিকে কাতর চোখে তাকিয়ে আকাশ যেন হাতজোড়া করে ফেলল,
__” সোনা তুমি আর কতক্ষণ রাগ করে থাকবে, আমি আমার বাড় গুষ্টির কসম খেলাম, ফ্লাইটে বসে তবুও এরকম করছো।”
আকাশের ভরসাহীন গলায় এমন অসহায়তা ফুটে উঠল যে চারপাশের সবাই হেসে ফেলতে গিয়েও চাপা দিল। আরোহীর রাগ আসলে অনেক আগেই কেটে গেছে। তবুও ওর ভালো লাগে যখন আকাশ এভাবে প্যাম্পার করে, নিজের সব অহং ভেঙে মাথা নিচু করে কাছে আসে। মনে মনে হাসি চেপে রেখে সে এবার আর বাড়াবাড়ি না করে একটু নরম হয়ে গেল। নিজের দুই হাতের মধ্যে আকাশের হাতটা নিয়ে কাঁধে হেলান দিতেই আকাশের চোখমুখে ফুটে উঠল স্বস্তির আলো। যেন জলপরী বউটা আবার তার হয়ে ফিরে এসেছে।
গাড়ির ভেতরে তখন হাসি আর ছোট ছোট মজার খুনসুটি মিশে এক আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করল। কেউ জানালার বাইরে তাকাচ্ছে, কেউ হাত ধরে আছে, কেউ আবার লুকিয়ে লুকিয়ে হাসছে। এই রঙিন মুহূর্তগুলো যেন ভ্রমণের ক্লান্তি এক নিমিষে মুছে দিল।
কিছুক্ষণ পরই গাড়ি এসে থামল রিসোর্টের নির্ধারিত জায়গায়। সেখান থেকে বোটে চড়ার আয়োজন। সবাই নামতেই সমুদ্রের হাওয়ায় ভেসে এল লবণাক্ত তাজা গন্ধ। চারপাশের দৃশ্য যেন অবিশ্বাস্য সুন্দর নীল সবুজ ঢেউয়ের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি কাঠের জেটি, দূরে দেখা যাচ্ছে স্বপ্নের মতো সাজানো ভিলাগুলো।
বোটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যেন পৃথিবীর আরেক কোণে চলে গেল সবাই। নীলাভ পানির ওপর দিয়ে বোট ছুটতে শুরু করতেই চারদিকে ছিটকে পড়ল রোদের সোনালি ঝিলিক। অনু হঠাৎই ছোট্ট বাচ্চার মতো চিৎকার করে উঠল,
__”দেখো দেখো কালারিং মাছ!”
চোখের সামনে পানির ভেতর থেকে রঙিন মাছ লাফিয়ে উঠছে। অনুর সেই উচ্ছ্বাস দেখে ইউভি মুচকি হেসে তার হাত আরও শক্ত করে চেপে ধরল। যেন সে বলতে চাইছে
__”এই আনন্দটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুখ।”
বোটের সামনের দিকে দাঁড়িয়ে আকাশ একাগ্র দৃষ্টিতে আরোহীকে দেখাচ্ছিল দূরের ভিলাগুলো। কাঠের পিলারের উপর দাঁড়ানো স্বচ্ছ কাচঘেরা ঘরগুলো যেন পানির বুকেই ভাসছে। প্রতিটি ঘরের বারান্দা থেকে নিচে তাকালেই দেখা যাবে স্বচ্ছ জলে রঙিন মাছেদের খেলা। আরোহীর চোখে সেই দৃশ্যের মায়া ফুটে উঠল, আর আকাশ তার দিকে তাকিয়ে অনুভব করল—এই সৌন্দর্যের মাঝেও তার সবচেয়ে বড় সৌন্দর্যটা বসে আছে তার পাশেই।
তিয়াশা এ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে হাত মুখ ঢেকে বলল,
__”, এই জায়গাটা তো স্বপ্নের মতো!”
তার চোখে-মুখে যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ছিল, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল, এ সৌন্দর্যের কাছে সে হার মানছে। কিন্তু জায়নের কঠিন মুখভঙ্গি বদলাল না। তার নীরবতায় তিয়াশার বুকের ভেতর আবারও অস্বস্তির হাওয়া বয়ে গেল। মুখে অসহায় ভাব ফুটে উঠল, যেন হাজার আনন্দের মাঝেও সে একা।
অবশেষে বোট এসে থামল এক লম্বা কাঠের জেটির পাশে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা স্টাফরা হাসিমুখে হাতে তুলে দিল নারকেলের ঠান্ডা পানি। সবাই পানির স্বাদ নিতে নিতে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল চারপাশের অপূর্ব সাজসজ্জার দিকে। সাদা বালুর সৈকত, সারি সারি নারকেল গাছ আর কাচঘেরা ভিলা মিলে পুরো পরিবেশটা যেন একদম রূপকথার রাজ্য।
হাসি আনন্দ, খুনসুটি, ছোটখাটো রাগ আর মনের গোপন টানাপোড়েন সব মিলিয়ে মুহূর্তটা হয়ে উঠল রঙিন আর স্মরণীয়।
হোটেলের কাচের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই যেন একেবারে অন্য জগতে পা রাখল সবাই। ভেতরের মেঝেটা পুরোপুরি স্বচ্ছ কাচে মোড়া, নিচেই তরঙ্গ তোলা সমুদ্রের নীলাভ জল। সেই জলের বুক চিরে ছুটে বেড়াচ্ছে অসংখ্য রঙিন মাছ, যেন হাত বাড়ালেই ধরা যাবে। এক মুহূর্তের জন্য কারোরই কথা বের হলো না মুখ দিয়ে, শুধু অবাক দৃষ্টিতে চারপাশে তাকিয়ে রইল তারা।
তিয়াশা হাঁ করে দাঁড়িয়ে গেল, চোখে জমল জলভরা বিস্ময়। জীবনে এত সুন্দর দৃশ্য সে আগে দেখেনি। তার চোখের পাতা কেঁপে উঠল বারবার, ঠোঁট থরথর করছিল, যেন সৌন্দর্য সামলানোই তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
আরোহী ঠোঁট কামড়ে আকাশকে তাকিয়ে মৃদু কাঁপা গলায় ফিসফিস করে উঠল,
__”আমরা সত্যিই এখানে থাকব?”
আকাশের চোখে তখন গর্বের ঝিলিক, যেন সে পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গাটা বউকে এনে উপহার দিতে পেরেছে। সে মুচকি হেসে কানে কানে বলল—
__” হ্যাঁ সোনা, এখানেই।”
এই মুহূর্তে আকাশ আরোহীর চোখেমুখে যে খুশির দীপ্তি ছড়িয়ে উঠল, সেটা যেন চারপাশকেও আলোকিত করে দিল।
তারপর সবাই আলাদা আলাদা ভিলায় উঠে গেল। জায়ন তিয়াশা একদিকে, আকাশ আরোহী আরেকদিকে, ইউভি অণু অন্য ভিলায়। ভেতরে ঢুকে প্রত্যেকেরই একটাই অনুভূতি হলো এটা যেন কোনো হানিমুন স্পট না, বরং রূপকথার এক অদ্ভুত রাজ্য।
হোটেলের স্টাফরা একে একে সব ব্যাগ রুমে পৌঁছে দিতেই ভিলার ভেতরে নেমে এল এক শান্ত পরিবেশ। ভেতরে ঢুকেই যে যার মতো দরজা টেনে দিল। বাইরে থেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ ভেসে আসছিল, আর কাচঘেরা ভিলার ভেতর যেন হালকা গুঞ্জনের মতো শোনা যাচ্ছিল সবার নিঃশ্বাস।
জায়ন নিজের রুমে ঢুকেই তিয়াশার হাত ছেড়ে দিল। ফ্লাইট থেকে শুরু করে ভ্রমণের প্রতিটা মুহূর্তে যে হাত ধরে রেখেছিল, সেটাই এক মুহূর্তে ছেড়ে দেওয়া তিয়াশার বুকের ভেতরে অকারণ এক ফাঁকা ভাব তৈরি করে দিল। জায়ন লাগেজ থেকে জামাকাপড় বের করে কাবার্ডে গুছিয়ে রাখল, তারপর একটা সাদা টাওয়াল নিয়ে তিয়াশার দিকে বাড়িয়ে দিল। তার সেই ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট সে যেন ফ্রেশ হয়ে নেয়।
কিন্তু তিয়াশা টাওয়ালটা নিতে পারল না। বুকের ভেতর রাগ জমে উঠছিল। কেন এমন করছে জায়ন? কেন এত এড়িয়ে যাচ্ছে? একটা শব্দ পর্যন্ত মুখে আনছে না কেন? তিয়াশা নিজের ভেতর সেই রাগ আর অভিমানের ঝড় নিয়ে এগিয়ে গেল জায়নের দিকে। তার হাত টেনে নিজের দিকে ফিরিয়ে গম্ভীর গলায় বলে উঠল,
__” কি হয়েছে তোমার? এরকম করছো কেন? কথা বলছো না কেন?”
জায়ন কোন উত্তর দিল না। তার চোখে চোখ রাখল না একবারও। হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে সোজা কাচের স্লাইডিং দরজা ঠেলে ভিলার ব্যাকইয়ার্ডে চলে গেল। সেখানে সামনে অসীম সমুদ্রের ঢেউ, কিন্তু সেই সৌন্দর্যও তিয়াশার চোখে তখন অর্থহীন মনে হচ্ছিল।
তিয়াশার বুক কেঁপে উঠল। ঠোঁট বেয়ে বেরিয়ে এলো অভিমান মেশানো একটা কথা,
__” ঠিক আছে, বলতে হবে না কথা।”
গজগজ করতে করতে সে অবশেষে টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।
শাওয়ারের ঠান্ডা জলে দাঁড়িয়ে কিছুটা সময় শান্তি পেলেও বেরোনোর সময় বিপদ হয়ে গেল। কোনো জামাকাপড় আনেনি। তাই বাধ্য হয়েই শুধু একটা টাওয়াল জড়িয়ে বেরিয়ে এলো। ভিজে চুল, কাঁপা শরীর, উন্মুক্ত কাঁধ তার সেই অবয়ব দেখে নিজেকেই লজ্জা লাগছিল। কিন্তু বাইরে এসে যা দেখল, তাতে রাগ আবারো মাথা ছুঁল।
কাচের দরজা দিয়ে স্পষ্ট দেখা গেল জায়ন সিগারেট টানছে। তিয়াশার চোখ বিস্ফারিত হলো। মনে মনে যেন ভেঙে পড়ল,
__” উনি সিগারেট খায়?”
সে জানেই না আসলে জায়ন চেইন স্মোকার নয়, তবে দিনে তিন থেকে চারবার এই অভ্যাসটা আছে।
রাগে ক্ষোভে অভিমানে ভর করে তিয়াশা দরজা ঠেলে বেরিয়ে এলো। চোখ লাল, গলায় কান্নার ফোঁটা জমে থাকা কণ্ঠে ফুঁপাতে ফুঁপাতে গর্জে উঠল,
__” তুমি সিগারেট খাও?”
কথা টা কানে আসতেই জায়ন তড়িঘড়ি করে সিগারেটটা ডাস্টবিনে ফেলে দিল, ধোঁয়াটা বাতাসে ছড়িয়ে দিল। কিন্তু যখন পেছনে তাকাল, বুকটা যেন হঠাৎ ধাক্কা খেল। এই অবস্থায় তিয়াশাকে দেখে গলার ভেতর শুকিয়ে গেল, বুক ওঠা নামা করতে লাগল অস্থিরভাবে, শিরা জেগে উঠেছে নিজের উপর নিজের রাগ হচ্ছিল,
__” কেন আমি এই মেয়ের সামনে গেলে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি? কেন?”
সে দাঁতে দাঁত পিষে চোখ বন্ধ করল, হাত শক্ত করে মুঠি বানাল, আর কোনো কিছু না বলে ভেতরে ঢুকে গেল,তিয়াশার পাশ কাটিয়ে সোজা চলে যাচ্ছিল। কিন্তু তিয়াশা তার হাত টেনে রুদ্র দৃষ্টিতে তাকাল,
__” আমি কিছু বলছি তো, জবাব দিতে পারছ না? সমস্যা কি তোমার?”
জায়ন এবারও চুপ করে রইল, মুখ ঘুরিয়ে নিল। কিন্তু তিয়াশা সহজে ছেড়ে দেওয়ার মেয়ে নয়। তার জেদ, তার অধিকার যেন স্পষ্ট গলায় ভেসে উঠল,
__” আমার জবাব চাই, তুমি জবাব দিয়ে যাও।”
এবার আর জায়ন নিজেকে থামাতে পারল না। চোখে লাল রক্তিম আভা ছড়িয়ে উঠল। সে তিয়াশার দিকে ঝুঁকে কপাল কপালে ঠেকাল, তিয়াশার দুই বাহু শক্ত করে ধরে কাপা কণ্ঠে চিৎকার করে বলে উঠল,
__” হ্যা খাই! খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছি আসতে আসতে। কিন্তু এখন আমার মাথা ঠিক নেই তাই খাচ্ছি। শান্তি চাই তাই খাচ্ছি। তোর কি মনে হয় আমি রোবট? আমি মানুষ না? আজ এক মাস ধরে দিনে তিন চার বার করে শাওয়ার নিচ্ছি, বুঝিস না কেন নিচ্ছি? আমার কি কোন চাওয়া পাওয়া তোর কাছ থেকে থাকতে পারে না?”
তিয়াশা থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।বুক কেঁপে উঠল, অথচ মুখ দিয়ে কিছু বের হলো না। মনে মনে শুধু ভাবল,
__” তাহলে কালকের রাতের কারণেই স্যারের এত রাগ।”
জায়নের কণ্ঠ আবার কেঁপে উঠল, এবার আরও ভারী, আরও যন্ত্রণায় ভরা,
__” কি হলো বল? জানিস কত কষ্ট হয়? মাথা ছিঁড়ে যায় আমার ,এই যে এখনো টাওয়াল পরে দাঁড়িয়ে আছিস, মনে হচ্ছে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলি তোকে। কিন্তু তুই বুঝবি না। আমি একটা বা*ল জানিস তো যে নিজের বউ কে যখন ই দেখে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে ।”
সে এক মুহূর্তও আর দাঁড়াতে পারল না। চোখ লালচে, নিঃশ্বাস ভারী। নিজের টাওয়ালটা নিয়ে দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।
তিয়াশা স্তব্ধ। তার বুকের ভেতরে হাজারো অনুভূতি কাঁপছিল রাগ, ভালোবাসা, অভিমান, আবার কোথাও এক চিলতে হাসি। সে অজান্তেই হেসে ফেলে ফিসফিস করে বলল,
__” এত পাগল উন্মাদ নিয়ে আমি কই যাব যে?”
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে জায়ন রুম সার্ভিসে ব্রেকফাস্ট অর্ডার করল। একসঙ্গে চুপচাপ খাওয়া হলো। তারপর ক্লান্ত শরীর একেবারেই আর সইল না। যে যার মতো বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
অন্য ভিলাগুলোতেও একই অবস্থা। আকাশ আরোহী, ইউভি অণু সবাই ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ল ঘুমের দেশে। গতকাল থেকে এত বিয়ের চাপ, এত আবেগ, এত উচ্ছ্বাসে কেউই আসলে ঠিকমতো চোখের পাতা এক করতে পারেনি। শুধু তিয়াশা ফ্লাইটে একটু ঘুমিয়েছিল, বাকিরা সবাই যেন প্রাণপণে বিশ্রামের অপেক্ষায় ছিল।
সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ, হাওয়ার মৃদু ছোঁয়া আর চারদিকে ছড়িয়ে থাকা রূপকথার মতো সৌন্দর্যের মাঝেই তারা ডুবে গেল গভীর নিদ্রায়।
বিকেলের আলো তখন মালদ্বীপের সমুদ্রের উপর সোনালী ঝিলিক ফেলছে। নীলাভ আকাশে সাদা মেঘেরা আলগোছে ভেসে যাচ্ছে। সেই শান্ত অথচ মনমাতানো পরিবেশের মধ্যেই তিয়াশার ঘুম ভাঙলো। দীর্ঘ ঘুমের পর চোখ মেলতেই প্রথমেই বুঝতে পারলো জায়ন বিছানায় নেই। বুকের ভেতরে কেমন হালকা অস্থিরতা দোলা দিল। তাড়াহুড়ো করে উঠে একবার ওয়াশরুম, একবার ব্যাকইয়ার্ড ঘুরে দেখলো, কোথাও কোনো খোঁজ নেই। টেবিলের উপর সুন্দর করে ঢাকা দেওয়া লাঞ্চ রাখা, মনে হলো জায়নই হয়তো রুম সার্ভিসে অর্ডার করে দিয়ে গেছে।
কিন্তু এতেই মনটা শান্ত হলো না তিয়াশার। নিজের ভেতরে একটা চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছিল হঠাৎ করে উনি কোথায় গেলেন? তার উপর আবার রাগও করে আছে। এই ভাবনা নিয়েই চোখে পানি ছিটিয়ে একটু নিজেকে গুছিয়ে নিলো, তারপর দ্বিধা সত্ত্বেও আরোহীদের ভিলার দিকে পা বাড়ালো। নতুন দম্পতির ঘরে হুট করে যাওয়া হয়তো ঠিক নয়, তবুও জায়নের খোঁজ পেতে সে আর দেরি করতে পারলো না।
ভিলার দরজায় দাঁড়িয়ে নক করলো। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া নেই। তিয়াশা এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ফিরে আসতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই চোখে পড়লো আরোহী আর অনন্যা হেসে হেসে তার দিকে আসছে। আরোহীর মুখে দুষ্টুমি মাখা হাসি।
__”কি ম্যাডাম, ঘুম ভাঙলো? ভাইয়া বুঝি এত ডিস্টার্ব করেছে যে এত টায়ার্ড ছিলে ঘুমই ভাঙছিল না।”
মুহূর্তেই অনু হেসে ফেললো। তিয়াশা তাদের কথা শুনেও কোনো উত্তর দিল না, বরং বাইরে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে একটু ম্লান মুখে বলল,
__”তোদের ভাইয়া রেগে আছে, কোথায় গেছে লোকটা বলে যায়নি। জানিস তোরা উনি কোথায় গেছে?”
অনু তখনই উচ্ছ্বাসে বলে উঠলো,
__”শুধু ভাইয়া নয় আপু, তোমার ভাইয়ারাও গেছে। একজন লোক এসে কোথায় যেন ডেকে নিয়ে গেলো।”
এবার আরোহী অনুর দিকে চোখ পাকিয়ে দিল,
__”বলদী মেয়ে, ওনাদের স্কুবা ডাইভিং-এর জন্য স্লট বুক করতে গেছে। ওই লোকটা হোটেলের ম্যানেজার ছিল। জায়ন ভাইয়া নাকি পরশু দিন রিটার্ন করবে, তাই কালকে একটু স্কুবা ডাইভিং করতে চায়। তাই আকাশ আর ইউভি ভাইয়া ও গেছে বড় ভাইয়ার সঙ্গে।”
কথাটা শুনে তিয়াশা যেন জমে গেল। বুকের ভেতর ধাক্কা খেলো উনি চলে যাবে মানে? তারা তো ভেবেছিল এক সপ্তাহ একসাথে থাকবে। হতবাক চোখে আরোহীর হাত ধরে ফিসফিস করে বললো,
__”তোদের ভাইয়া চলে যাবে মানে? উনি তো এক সপ্তাহর জন্য এসেছে। চলে যাবে কেন?”
আরোহী এবার দুই হাত গুটিয়ে বুকের উপর রেখে নাটকীয় ভঙ্গিতে আবার চোখ পাকালো তারপর তিয়াশার উদ্যেশ্যে বলল,
__”আমরাও অবাক হয়েছিলাম শুনে। কিন্তু ভাইয়া নাকি আমাদের থাকতে বলেছে এখানে। বলেছে এক সপ্তাহ থাকিস। কিন্তু তোর আকাশ ভাইয়া আর ইউভি ভাইয়া বড় ভাইয়া ছাড়া থাকবে না কিছুতেই। তাই আমরাও সবাই একসাথে চলে যাবো।”
তিয়াশার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেলো। বুকের ভেতর হাহাকার জমে উঠলো। রাগ হলো নিজের উপরও তার কারণে যদি জায়ন সত্যি চলে যায়, তাহলে কি ভীষণ ভুলটাই না হবে, সে তো শুধু সঙ্গ চাওয়া, তার বউকেই কাছে পেতে চাইছে মানুষটা। এতকিছুর মাঝেই অনু মন খারাপ করে বললো,
__”এত সুন্দর জায়গা, যেতে একদম ইচ্ছে করছে না। ভাইয়ার হঠাৎ কি হলো কে জানে।”
কিন্তু পরিস্থিতি হালকা করতে আরোহী আবারও দুষ্টু হাসি ছুঁড়লো অনুর দিকে,
__”থাকতে চাইলে তোর আপুকে বল ভাইয়ার রাগ ভাঙাতে। আমি নিশ্চিত, আমাদের ভাইয়া আমার বেবীর উপর রাগ করেই এখানে আর থাকবে না।”
কথাগুলো শুনে তিয়াশার বুক ভারী হয়ে উঠলো। চোখেমুখে অসহায় ছায়া এসে পড়লো। আর এক মুহূর্তও দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না, তাড়াতাড়ি নিজের রুমের দিকে ফিরে গেল।
তার পিছনে দাঁড়িয়ে আরোহী হেসে কাঁধে হাত রাখলো অনুর, যেন তাকে আশ্বস্ত করতে চাইছে,
__”আর মন খারাপ করতে হবে না সোনা, ভাইয়া আর যাবে না।”
অনু অবাক দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করলো,
__”কি করে বুঝলে রুহি আপু?”
আরোহী তার গাল টেনে নরম হেসে বলল,
__”ওদের কথা বাদ দে, নিজের বাসরের জন্য তৈরি হও, যাও সোনা ।”
এই কথায় অনুর গাল টকটকে লাল হয়ে গেল। কিছু না বলে লজ্জায় দৌড়ে ছুটে গেল নিজের রুমের দিকে, যেন তার বুকের ভেতরেও এক নতুন আবেগ ঢেউ তুলছে। আরোহী অণুর অবস্থা দেখে মনে মনে হাসছে।
——–
সন্ধ্যা নেমে এলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই জায়ন নিজের রুমে ঢুকতেই বুকটা ধক করে উঠল। রুমের আলো নিভে গেছে, চারপাশে জ্বলছে মোমবাতির নরম ফ্রেগেন্স যেমন আবেশ ঘিরে ধরেছে প্রতিটি কোণ।
জায়নের চোখ বড় বড় হয়ে উঠল। টিভিতে বাজছে এক নেশা মাখানো গান,
__”
🎶 জ্যারা জ্যারা ব্যহেকতা হ্যায়
ম্যাহেকতা হ্যায় আজ তু ম্যারা ত্যান বেদান
মে প্যায়াসি হুঁ মুঝে ভ্যার লে আপনি বাহ মে……..
🎶
ওয়াশরুমের দরজা কট করে আওয়াজ আসতেই জায়ন তাকাল। কেবল ফ্রেগেন্সই নয়, সেখানে যেন বাতাসে ভেসে আসছে এক অদ্ভুত আবেশ, যা পালানোর উপায় নেই। গলার অ্যাডাম-আপেলস ওঠা নামা করছে, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে উঠল। মুহূর্তেই চোখে ঘোর তার সামনে দাঁড়ানো তিয়াশা লাল জর্জেট শাড়ি পরে, যা কোমর থেকে শুরু করে বুক পর্যন্ত তার ঢেউ খেলানো রূপকে হালকা অস্বচ্ছভাবে ফুটিয়ে তুলছে।
ফুটিয়ে তুলছে প্রতিটি শরিরের বাক ।
লাল চুরি হাতে, কপালে টিপ, চোখে কাজল, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক এ যেন রূপকথার রূপবতী, শুধু জায়নের সাম্রাজ্যের জন্য।
জায়ন নিজেকে সামলাতে পারছে না, সে হেলাফেলা করতে লাগল ,জায়ন চলে যেতেলাগল কিন্তু তিয়াশা তার হাত টেনে ধরে। সেই টানেই জায়নের বুকের মধ্যে উঠলো এক ভয়ঙ্কর ঝড় , আর পারল না সে নিজেকে সামলাতে ,জায়ন তাত্ক্ষণিকভাবে তিয়াশাকে ঘুরিয়ে, তার পিঠ ঠেকিয়ে দিল নিজের বুকের সঙ্গে। জায়ন এর শক্ত হাত জড়িয়ে ধরল তিয়াশার বাঁকানো কোমর, তিয়াশার কান ভেজাতে ভেজাতে কানের কাছে হাস্কি স্বরে বলল,
__”এবার তুই বললেও ছাড়বো না, অনেক জ্বালিয়ে ছিস আমার পক্ষে ইম্পসিবল। তুই আজকে শেষ জান, আমার মধ্যে জংলী পশুকে জাগিয়ে তুললি বেইব।”
জায়নের গরম নিঃশ্বাস তিয়াশার গলায় পড়তেই, তিয়াশা চোখ বন্ধ করে মাথা ঠেকিয়ে দিল জায়নের বুকে, কাপা কণ্ঠে বলল,
__”আমাকে শেষ করে দেও আজ তোমার স্পর্শে।”
জায়নের চোখ জ্বলে উঠল উগ্র কামনার নেশা তার চোঁখকে লাল করে রেখেছে। মুহূর্তেই সে তিয়াশাকে সামনে ঘুরিয়ে বসালো, ঠোঁট জড়িয়ে ধরল তিয়াশার ঠোঁট। ঝড়ের মতো চুম্বন, শরীরের প্রতিটি স্পর্শে উত্তেজনার ঢেউ। তিয়াশা পেঁচিয়ে আছে, ছোট হাত দুটো জায়নের গলায়।
জায়ন এর শরীর ঘেমে উঠছে ,জায়ন এক হাত দিয়ে তিয়াশার বাঁকানো কোমর শক্ত করে জড়িয়ে নিজের শার্ট এর বোতাম খুলতে লাগল , তিয়াশার ঠোঁ*ট থেকে নিজের ঠোঁট সরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুঁড়ে ফেলল নিজের পড়নের জামা। তার পুরো শরিরে এখন রয়েছে শুধু ট্রাউজার তিয়াশার বুক কাপছে প্রায় একমাস পর তারা আবার এতটা ঘনিষ্ট হতে যাচ্ছে ।
জায়ন এর কৃত্রিম অ্যাবস আলা বুক ও সুঠাম শরীর দেখে তিয়াশার মন উথাল পাতাল হতে লাগল। জায়ন এর এই সুঠাম দেহে হাজারো মেয়ে জ*বাই হতে চাইবে কিন্তু জায়ন এর জন্য শুধু মাএ তার রোদ, শ্বাসচাপ বাড়ছে দুজনেরই, চোখের মধ্যে অজানা উত্তেজনা ঝলমল করছে। তিয়াশা বারবার ভারী নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে হালকা হাসি দিয়ে জায়ন এর থেকে একটু দূরে যেতে চাইল , রুমে বাতাসে তাদের নিঃশ্বাস মিশে যাচ্ছিল, চুলের স্পর্শ ও চোখের খেলা যেন এক ধরনের নেশার সুর তৈরি করছে।
কিন্তু জায়ন তিয়াশার শাড়ির আচল টেনে নিজের বুকের মধ্যে টেনে নিল আর উন্মাদনার সুরে বলে উঠলো,
__” আর না জান , কেউ বাঁচাতে পারবে না আজ তোকে , আমাকে জ্বালানোর সব শাস্তি পাবি জান ।”
এই বলেই খুলে দিল তিয়াশার শাড়ি এখন তিয়াশার পরনে শুধু ব্লা*উজ আর পে*টিকোট , জায়ন এক ঝটকায় উঠিয়ে নিল তিয়াশা কে নিজের কোলে। বিছানার দিকে নিয়ে যেতে লাগল, বিছনার চাদরে শরীর মিশে যাচ্ছে তিয়াশার আর তার ওপর ভর করেছে তার ভালোবাসার পুরুষের শরীর।
এদিকে গান বেজেই চলেছে ,
🎶 __” ইউহি ব্যারাস ব্যরাস কালী ঘ্যাটা ব্যার্সে,
হাম ইয়ার ভিগ যায়ে ইস চাহাত কি বারিস মে….
ম্যারি খুলি খুলি ল্যাটোকো সুলঝায়ে তু আপনি উঙ্গিলিও সে , ম্যায় তো হু ইস খোয়াইস মে……
শ্যার্দি কি রাতো মে হাম সোয়ে র্যাহে
এক চাদর মে….
হাম দোনো ত্যানহা হো না কোই র্যাহে
ইস ঘর মে ……
কিন্তু বাইরে কে যেন নক করে উঠলো , তখন জায়ন
বিরক্ত হয়ে বিছানা থেকে উঠে গর্জে বলে উঠলো,
__” আজকে যে শুয়োরের বাচ্চা হোক না কেনো শা**লা পুতেই দেবো ।”
অন্যরুমে এখন ইউভি পেঁচিয়ে আছে তার দুই হাত অণুর কোমরে , অনুর পরনে কালো সিল্কের হাফ গাউন , ইউভি অনুর গলায় মুখ ডুবিয়ে নেশা মাখা সুরে বলে উঠল,
__”” পাঁচ বছরের খিদে আজ মেটাবো পাখি নিজেকে সামলে রাখিস । ”
অনু সরে যেতে চাইলো লজ্জায় কিন্তু পারল না ইউভির
শক্ত দুই হাত তুলে নিল অনু কে তার কোলে।
এদিকে ও একি গান বাজছে ……
🎶
জ্যারা জ্যারা ব্যহেকতা হ্যায়
ম্যাহেকতা হ্যায় আজ তু ম্যারা ত্যান বেদান
মে প্যায়াসি হুঁ মুঝে ভ্যার লে আপনি বাহ মে………
জ্যারা জ্যারা ব্যহেকতা হ্যায়
ম্যাহেকতা হ্যায় আজ তু ম্যারা ত্যান বেদান
মে প্যায়াসি হুঁ মুঝে ভ্যার লে আপনি বাহ মে………
__” শোনেন আমার ভয় লাগছে ।”
এই কথা অনু কাপা কাপা কন্ঠে বলে উঠলো কিন্তু ইউভি বাঁকা হাসি দিয়ে জবাব দিল ।
__” ভয় নেই পাখি , আই ইউল বি জেন্টেল। ”
অনুকে সুইয়ে দিল বিছানায় ইউভি , তারপর ঠোঁ”ট বসিয়ে দিল অণুর ঠোঁ”টে , দুজনের স্বাস মিলিয়ে যেতে লাগল ঘরের বাতাসে। গভীর ছিল সেই চুম্বন, ইউভির হাত চলে গেল অনুর বু”কে হঠাৎ অনু কেঁপে উঠলো কিন্তু ইউভি আর চেপে বসলো।
তখন ই দরজায় নক করল কেউ , আর সেই নক কানে আসতেই ইউভি গর্জে বলে উঠলো,
__”কোন চু*দির ভাই রে ”
জায়ন আর ইউভি দুজনেই বাইরে বেরিয়ে দেখল আকাশ দাড়িয়ে আছে অসহায় মুখ নিয়ে। জায়ন এর অবস্থা ভয়ানক তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়ন কি পরিস্থিতি তে ছিল , জায়ন এর শরীরে শুধু ট্রাউজার তাও শোচনীয় অবস্থায় ।জায়ন এর চোঁখ দিয়ে আগুন বেরোচ্ছে আকাশের দিকে এগিয়ে ওনার কলার চেপে বলে উঠলো ,
__” এই বা*ল এখানে কি ছিঁড়তে এসেছিস, আজকে
বাল পুতেই দেব?”
আকাশ জায়ন এর দিক তাকিয়ে একবার বুঝতে পারল জায়ন এর পরিস্থিতি কি , তাই কাপা কন্ঠে বলে উঠলো,
__” ভাই বুঝি নাই তোমরা …..”
জায়ন আকাশের পায়ে লাথি মেরে বলে উঠলো,
__” এবার বুঝে গেছিস , এবার বিদায় হ।”
ইউভি ও ফসফসিয়ে তাকাচ্ছে আকাশের দিকে ,
ইউভির ও শার্টের বোতাম খোলা , আকাশ ইউভির
দিকে তাকিয়ে বলল,
_”” সরি ইউভি ভাই , কিন্তু আমার জলপরী কেমন আঁকা বাকা হয়ে যাচ্ছে আমার উপর । ”
ইউভি আর জায়ন এক বিরক্তির চাহনি দিয়ে উঠল আকাশের দিকে, জায়ন ইউভির দিকে তাকিয়ে বলল,
__” ভাই এই আ*বাল কে বুঝিয়ে রুমে পাঠা আমি এখন রুমে না যেতে পারলে এর কপালে দুঃখ আছে ।”
এই বলে জায়ন রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল,
ইউভি আকাশের কাঁধে হাত দিয়ে হেসে বলে উঠল,
__” পাগল তোর বউ তোকে বাজাচ্ছে এবার রুমে যা আর বউ এর তালে তালে বেজে ওঠ।”
আকাশ আমতা আমতা করে বলে উঠল,
__” কিন্তু ইউভি ভাই ….. ”
ইউভি এক গভির নিঃশ্বাস বলে উঠলো,
__” দেখ ভাই আমার পাখি ঘরে , আমি বহুত কষ্টে বাইরে দাঁড়িয়ে আছি , এবার বিদায় হ।”
এই বলে ইউভি ও চলে গেলো, আকাশ ও নিজের রুমে গিয়ে দেখল আরোহী শর্ট নাইট গাউন পরে দাড়িয়ে আছে বেডের কাছে ।
গান বাজছে ,
🎶 জ্যারা জ্যারা টাচ মি টাচ মি টাচ মি….
জ্যারা জ্যারা কিস মি কিস মি ….
আরোহী নেশালো দৃষ্টি তে আকাশের দিকে এগিয়ে
আসছে । আকাশের সামনে আসতেই আকাশের বুকে নিজের হাতের খেলা চালাতে লাগলো । আকাশের নিঃশ্বাস আটকে গেল, শরীর কাপছে সে আবারো কাপতে কাপতে বলে উঠলো,
__” পরি আসতাছি এক মিনিট।”
এই বলেই আকাশ পালিয়ে গেলো আর আরোহী গর্জে উঠে বিরক্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে পরল রাগ দেখাতে দেখাতে,আর সেই গর্জন এই বলে উঠছিল
__” বা*লের হানিমুন, ওহ আল্লাহ এ কার পাল্লায় পরলাম।”
জায়ন আবারো তিয়াশাকে নিজের কোলে টেনে আনলো। তার ঠোঁট যেন উন্মাদ হয়ে তিয়াশার ঠোঁ”ট খুঁজে নিতে লাগলো প্রতিটা স্পর্শে নেশা, কা”মনা আর উগ্র উচ্ছ্বাস মিশে আছে। তিয়াশা হাসি চেপে মাথা কাত করলো, বুকের ভেতর লজ্জার ঢেউ খেলছে, কিন্তু জানে এই মুহূর্তে জায়নের চোখে অন্য কিছু নেই শুধু উগ্র নেশার ঝড়।
হঠাৎ দরজায় জোরে নক পড়লো।
জায়ন দাঁতে দাঁত পেষে বিরক্ত হুংকার দিয়ে বললো,
__”এই শুয়… রের ব্যবস্থা না করলে আমার রোমান্সের চোদ্দটা বাজিয়ে দেবে।”
তিয়াশা কোনো উত্তর দিলো না, শুধু মুচকি হেসে মাথা নিচু করলো। তার সেই দুষ্টু হাসি জায়নের রাগ আরও বাড়িয়ে দিলো। বাঁকা হাসি দিয়ে জায়ন গর্জে উঠলো,
__”আগে তোর আর আমার বলদ ভাইয়ের ব্যাবস্থা করে আসি, তারপর তোর হাসি কি করে কান্নায় বদলে যায় দেখবি।”
এমন বলেই সে বিছানা থেকে উঠে দ্রুত লাগেজ খুলে একটা চকোলেট বার বের করলো। দরজার দিকে এগিয়ে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখতে পেলো আকাশ দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখে লজ্জা আর অবাক হওয়ার মিশ্রণ।
বিরক্ত জায়ন এক ঝটকায় চকোলেটটা খুলে আকাশের মুখে পুরে দিলো। আকাশ চমকে উঠলো, হতভম্ব চোখে জায়নের দিকে তাকিয়ে রইলো। জায়ন ঠান্ডা গলায় বললো,
__”ভালো করে খেয়ে নে চকলেটটা।”
জায়নের চোখে তখন এক অদ্ভুত উচ্ছ্বাস হাসি, রাগ, খুনসুটি সব মিলেমিশে। জায়ন আকাশের হাত ধরে আকাশকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো,আকাশ কে কিছু বলার সুযোগ দিল না ,তার রুমের সামনে নিয়ে গজেতেই হঠাৎ আকাশের পেছনে এক লাথি মেরে আকাশকে রুমের ভিতরে ঠেলে দিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিল।। আর গর্জে বলে উঠলো,
__” এবার বেরোলে তুই আমার হাতে খু” ন হবি।
জায়ন রুমে ঢুকতেই তিয়াশা অভিমানী কণ্ঠে বলে উঠলো,
__” তুমি আকাশ ভাইয়া কে চকলেট দিলে আমায় দিলে না কেন?”
অভিমানী মুখে সে শাড়ি উঠিয়ে আবার শরীরে পেঁচিয়ে নিলো। ধীরে ধীরে হেঁটে গিয়ে থাই গ্লাস জানলার পাশে দাঁড়ালো। জায়ন এদিকে নিজের পোর্এররাউজার খুলে ফেলে দিলো, এখন তার গায়ে শুধু ডার্ক ব্লু রঙের ট্র্যাংকস। চোখে এক ধূর্ত হাসি নিয়ে তিয়াশার পেছনে গিয়ে কোমর জড়িয়ে ধরলো। ফিসফিস করে বললো,
__” রাগ করেছো জান?”
তিয়াশা মুখ ঘুরিয়ে বিরক্ত কণ্ঠে বললো,
___” আকাশ ভাইয়া কে দিলে আমাকে দিলে না?”
___” ওইটা নরমাল চকলেট না সোনা।”
জায়ন ঝুঁকে তার কানে কিছু একটা বললো। কথাটা শুনে তিয়াশার চোখ বিস্ময়ে বড় হয়ে গেলো। যেন আকাশ থেকে পড়লো সে। অবাক হয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলো,
__” তুমি ওইসব খাও?”
জায়ন তিয়াশার কোমর আঁকড়ে ধরে ঘাড়ে ঠোঁ*ট দিয়ে ভিজিয়ে দিলো। ভারী কণ্ঠে বললো,
__” আমার লাগে না ওইসব। আমার যা অবস্থা হয় আমার বউ কে দেখলে, তাতে আমি এমনি ঠিক থাকি না। আর যদি খাই, তাহলে আমার বউ কে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।”
তিয়াশা ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন ছুঁড়লো,
__” তাহলে সঙ্গে নিয়ে কেন ঘুরছ?”
জায়নের ঠোঁটে এক অশ্লীল মুচকি হাসি খেলে গেলো,
__” তোকে খাওয়ানোর জন্য।”
তিয়াশা চমকে উঠে ঠোঁট কামড়ে বললো,
__” অসভ্য।”
জায়ন তিয়াশার ঘাড়ে ঠোঁ”টের স্পর্শ ভিজিয়ে দিতে লাগল ,
__” হ্যা জান, এক্ষুনি দেখবা একটা জংলী অসভ্য কে।”
তিয়াশা জায়ন এর কথায় কান দিলো না তার চলে নজর চলে গেলো কাচের জানলা দিয়ে বাইরের দিকে
যেখান থেকে চাঁদ টা পুরো স্পষ্ট জার কিরন সমুদ্রের পানিতে পড়ে চিকমিক করছে ,যা দেখে তিয়াশা অবাক হয়ে বলে উঠলো। এদিকে জায়ন তিয়াশার ঘা*ড় ভিজিয়ে দিচ্ছে ঠোঁ*টের স্পর্শে ,জায়ন এর ছোঁয়ায়
তিয়াশা নিজেকে ডুবিয়ে দিচ্ছ তবুও কাপা কাপা গলায় বলল ,
__” ওয়াও, দে দেখো, এ এখান থেকে চাঁদটা কত সুন্দর লাগছে।”
কিন্তু জায়ন বাইরে তাকালো না। তার চাঁদ তো একেবারে সামনে দাঁড়ানো। নেশায় মাতাল দৃষ্টিতে তিয়াশার দিকে তাকিয়ে সে শা*ড়ির আঁচল টেনে নামিয়ে দিলো। একে একে ব্লা*উ*জের গিঁট খুলতে লাগলো, তারপর শা*ড়ি, পে*টি*কোট সব ছুঁড়ে ফেলে দিলো মেঝেতে মুহূর্তে তিয়াশা দাঁড়িয়ে রইলো শুধু অ*ন্তর্বাসে, বুক ভরা লজ্জায়।
তিয়া শাকে এই ভাবে দেখতেই জায়নের চোখ লালচে হয়ে উঠলো, গর্জনমাখা হাসিতে বললো,
__” ইয়েস বেইব, ইউ আর রাইট। এখন আমারো মনে হচ্ছে ওকে কিছু সুন্দর সুন্দর ভিউ দেখানো উচিত কাম বেইব।”
এই বলে হঠাৎ তিয়াশাকে কোলে তুলে নিলো। তিয়াশার পা আঁকড়ে ধরলো জায়ন এর কোমর, হাতগুলো শক্ত করে জায়ন এর গলায় জড়িয়ে ধরলো। জায়ন তাকে থাই গ্লাসের সঙ্গে চেপে ধরলো, আধো উন্মুক্ত বুকে মুখ ডুবিয়ে ঝড়ের মতো চু*মু দিয়ে প্রশান্তির মহাসাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিয়াশাকে এতটাই উন্মাদনার সাগরে ডুবিয়ে দিচ্ছে যে সে নিজেকে ধরে রাখতে পারল না,তিয়াশা কাঁপতে কাঁপতে তার চুলে আঙুল চালিয়ে ফিসফিস করে বললো,
__” উমমম, পা পা গল করে দিচ্ছ।”
কিন্তু জায়নের কানে কিছুই ঢুকলো না, সে পাগলের মতো তিয়াশার ঘাড়, কানে নিজের ঠোঁ*টের গাঢ় স্পর্শে দিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে। নিশ্বাস ভারী হয়ে গেছে ,হাস্কি কণ্ঠে বললো,
__” পাগল তুই আমায় করিস জান প্রতিবার। উফফ, তোর মধ্যে কি আছে যে আমার মন ভরে না! মনে হচ্ছে আজকে বেইব আমি অনেক বেশি কষ্ট দেবো তোকে । আর সেই কষ্ট সামলে নিবি তুই, সঙ্গে আমাকেও।”
তারপর তীব্র শক্তিতে তিয়াশাকে আবারো থাই গ্লাসে চেপে ধরলো।
__” বেইব, ইউর স্মেল ইজ সো গুড জান,ওহ গড আমাকে শক্ত করে ধর।”
এই বলেই এক গভীর নিঃশ্বাস টেনে হঠাৎ থাইগ্লাসে এমন এক ধাক্কা লাগল যে তিয়াশার চোঁখ দিয়ে পানি বেরিয়ে গেল । জায়ন থাইগ্লাসের উপর ঝড় ওঠাতে শুরু করল , থাইগ্লাস এর উপর অত্যাচার শুরু করতে লাগল আর ভেসে উঠতে লাগল তিয়াশার চিৎকার আর জায়ন এর ভারী নিঃশ্বাস । জায়ন যেন চোখে কোনকিছু দেখছে না পাগলামির তীব্র পর্যায় নিজের স্বাসের গতি বাড়িয়ে চলেছে । জায়ন পাগলামিতে ভরপুর কণ্ঠে গোঙাতে গোঙাতে বললো,
__” বে বেইব, আমি জানি না তোর নামটা কেন আমার বুকের ভেতর এত জোরে বাজে। তোকে সামনে পেলে মনে হয় সময় থেমে গেছে। তোর গন্ধে মনে হয় দুনিয়াটা তোর উষ্ণতায় গলে যাচ্ছে। আমি চাই না পৃথিবী আমাকে ভালোবাসুক, শুধু চাই তোর এক নিঃশ্বাস, তোর কাঁপুনি, তোর উষ্ণতা আমার গায়ে মিশে যাক।”
একটু থেমে কাঁপা গলায় ফিসফিস করে বললো,
__” বেইব, কল মি ড্যাডি।”
তিয়াশা চোখের কার্নিশ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে আবারো কেঁপে উঠলো। কণ্ঠ আটকে এলেও বললো না। জায়ন রেগে আবারো এমন কাজ করল যার তেজে থাইগ্লাস এ জোড়ে এক ধাক্কার শব্দে পুরো থাইগ্লাস কেঁপে উঠলো, তিয়াশা আর সহ্য করতে পারল না সেই উগ্র তেজ ,ব্যাথায় জায়ন এর পিঠে নখ বসিয়ে দিলো যার কারনে বেরিয়ে এলো র*ক্ত। কিন্তু জায়ন নির্বিকার, হাস্কি কণ্ঠে গর্জে উঠলো,
__” কিটি, কল মি ড্যাডি রাইট নাউ।”
তিয়াশা অবশেষে ভাঙা গলায় বলে উঠলো,
__” ড্যা… ড্যাডি।”
শব্দটা কানে যেতেই জায়ন পাগলের মতো গোঙাতে লাগলো।
__” ওহ ফাঁ*ক বেইব, তোর মুখে এই শব্দটা আমার পাগলামি বাড়িয়ে দিল জান।”
বলেই ঠোঁট বসিয়ে দিলো তিয়াশার ঠোঁ*টে। মুহূর্তেই ঘর কেঁপে উঠলো তাদের উন্মাদনায়। বাইরে চাঁদের আলো নিভু নিভু, কিন্তু রুমের ভেতরে জ্বলে উঠলো এক জংলী আগুন যার সাক্ষী হলো উনিশ বছরের এক রমণীর চিৎকার আর জায়নের বেপরোয়া নিশ্বাস।
অন্যদিকে, কয়েক মিনিট আগে জায়ন যখন আকাশকে জোর করে রুমে ঢুকিয়ে দিলো, তখন আকাশ অবাক চোখে চারপাশে তাকাল। ঘর আধো অন্ধকার, বাতাসে মিশে আছে হালকা পারফিউমের গন্ধ এখন আর গান বাজছে না । বিছানায় মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে আছে আরোহী হয়তো রেগে আছে । আকাশ দাঁড়িয়ে চকলেট চিবোতে চিবোতে এগিয়ে গেলো তার দিকে। নরম গলায় জিজ্ঞেস করলো,
__” সোনা কি হয়েছে, শরীর খারাপ?”
আরোহী মুখ ঘুরিয়ে বিরক্তির সুরে উত্তর দিলো,
__” না, কপাল খারাপ।”
কথাটা হাওয়ায় ঝুলে রইলো, কিন্তু আকাশের মাথায় যেন কিছুই ঢুকলো না চকলেট গলা দিয়ে নামতেই মাথার মধ্যে ঘুরপাক দিয়ে উঠল , তার চোখে ভেসে উঠছে শুধু আরোহী তার দেহভঙ্গি, নিঃশ্বাস, ভেজা চোখ। বুকের ভেতর অদ্ভুত নে*শা জমতে লাগলো। হঠাৎই সে শুয়ে থাকা আরোহীর দিকে ঝুঁকে পড়লো। আরোহী কেঁপে উঠলো, গলায় কাঁপুনি নিয়ে ফিসফিস করে বললো,
__” কি হলো তোমার হঠাৎ?”
আকাশ কাঁপা হাতে তার দুই হাত শক্ত করে চেপে ধরলো। ঠোঁটে দুঃসহ নেশা জমে উঠেছে। নিঃশ্বাস ফেলে ফিসফিস করে বললো,
__” সোনা, তোমার উপর আমি আমার গভীর নিঃশ্বাসের স্পর্শ রেখে দিতে চাই।”
আরোহী হতভম্ব হয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু তার আগেই আকাশ ঝুঁকে ঠোঁ*ট বসিয়ে দিলো আরোহীর ঠোঁটে। মুহূর্তেই আরোহীর শরীর অবশ হয়ে গেলো। বুকের ভেতর কাঁপুনি, চোখে ভয় আর লজ্জা, কিন্তু মনে হচ্ছিল এই প্রথম তার মনের মানুষটা আজ তাকে ভালোবাসার জোয়ারে ভাসিয়ে দিতে চাইছে ।
চুম্বন আরও গভীর হলো, আকাশ শক্ত করে চেপে ধরলো তার হাতদুটো। আরোহীর চোখ বড় বড় হয়ে উঠলো, শ্বাস কেঁপে যাচ্ছিল।
কিছুক্ষন গভির চু*ম্বনের পর এক ঝটকায় আকাশ উঠে বসলো বিছানায়। নেশায় পাগল মানুষের মতো নিজের শরীরের কাপড় ছিঁড়ে ফেলতে লাগলো। তার চোখ জ্বলছিল কা*মনার, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে উঠছিল। আরোহী ভয়ে, অবাক চোখে তাকিয়ে ভাবছিল কি হলো এই মানুষটার!
কোনো দ্বিধা না করেই আকাশ এবার ঝাঁপিয়ে পড়লো তার দিকে। মুহূর্তেই ছিঁড়ে ফেললো আরোহীর হালকা সিল্কের নাইট ড্রেস।
আরোহী লজ্জায় কেঁপে উঠলো। দু হাত দিয়ে বুকের সামনে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করতে করতে কাঁপা গলায় বলে উঠলো,
__” কি কি কর করছো তুমি?”
কিন্তু আকাশের চোখে তখন অন্য এক নেশা। তার দৃষ্টি গিলছে আরোহীর শরীর। চোখের পাতা ভারী, চোয়াল শক্ত, গলায় গভীর দম ওঠানামা করছে। কাছে এসে হাসকি কণ্ঠে ফিসফিস করে বললো,
__” আমার বউ এত সে…… জানা ছিল না সোনা। আমাকে তোমার মধ্যে ডুবতে দাও। দেবে ডুবতে?”
এই কথা শুনে আরোহীর গাল লাল হয়ে উঠলো। বুক ধড়ফড় করতে লাগলো। লজ্জা হাসি মিশ্রিত মুখে সে একটু অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো ,এটাই ছিল তার নীরব সম্মতি।
এই সম্মতিই যেন আগুনে ঘি ঢাললো,মুহূর্তে আকাশের চোখে উন্মাদ আগুন জ্বলে উঠলো। ছিঁড়ে ফেললো আরোহীর অন্তর্বাস। আরোহীর শ্বাস আটকে গেলো, চোখ বিস্ময়ে বড় হয়ে উঠলো।
হঠাৎ, কোনো নিয়ন্ত্রণ না রেখেই আকাশ ঝাপিয়ে পড়লো তার উপর। বিছানার নরম গদিতে শরীর দুলে উঠলো। আরোহীর ঠোঁট থেকে বেরিয়ে এলো এক তীব্র কান্না, ভেঙে পড়লো তার সমস্ত বাঁধা।
ঘর কাঁপতে লাগলো। ভেতরে মিশে রইলো আরোহীর কান্না, আর আকাশের নেশাভরা তীব্র নিঃশ্বাস। সেই মুহূর্তে রুম সাক্ষী হয়ে রইলো দুজন নবদম্পতির পাগলামী আর উন্মত্ত মিলনের।
অন্য প্রান্তে ঠিক জায়ন এর উন্মাদনা তেও ভেসে উঠছে তিয়াশার চিৎকার যেন পৃথিবী এক মুহূর্তে মিলেমিশে গেছে।
অন্য এক রুমে তখন নিস্তব্ধতা ভাঙছিল শুধু দুটো শরীরের বেপরোয়া শ্বাসের গতি আর মিশে যাওয়া সুখের কান্না। মৃদু আলো আর ফ্রেগান্স মোমবাতির মিষ্টি সুবাসে চারপাশ যেন কেমন মাতাল হয়ে উঠেছে।
অনন্যা চোখ শক্ত করে বুজে রেখেছে, চোখের কার্নিশ বেয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে। তার শরী*র তীব্র যন্ত্রণায় কেঁপে উঠছে, ঠোঁট শক্ত করে কামড়ে সে নিজের চিৎকার চেপে রাখার চেষ্টা করছে। তবু সেই যন্ত্রণার ভেতরেই অদ্ভুত এক সুখের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে তার বুক জুড়ে।
ইউভি তার কপাল, গলা, ঠোঁট একের পর এক নিজের ওষ্ঠের ভেজা স্পর্শে ভাসাতে ভাসাতে ফিসফিস করে বলল,
__” পাখি, খুব কষ্ট হচ্ছে? আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।”
অনন্যা কোনো জবাব দিল না, শুধু কাঁপা হাতে ইউভিকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। তার আলিঙ্গনের চাপই যেন বলে দিল যত যন্ত্রণাই হোক, তার দেওয়া প্রতিটি ক্ষত, প্রতিটি নিঃশ্বাস সে স্বেচ্ছায় আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
ইউভির বুক ধড়ফড় করতে লাগল আরও জোরে। তার চোখের ভেতর এক অদ্ভুত নেশা জমে উঠল। হঠাৎ অনন্যার ঠোঁ”টকে নিজের আয়ত্তে টেনে নিয়ে ঝড়ের মতো আক্রমণ করতে লাগল। নিঃশ্বাস গুলিয়ে যাওয়া, শরী*র জুড়ে কম্পন ছড়িয়ে পড়া সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত পাগলামি।
মুহূর্তেই কাপা কণ্ঠে ইউভি ফিসফিস করে উঠল,
__,” থ্যাংক্স পাখি, তুই আমায় পরিপূর্ণ করলি। আর তোকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ আমি পেয়েছি। আই লাভ ইউ, মাই প্যারাডাইস।”
তারপর অনন্যা চোখ ভেজা অথচ ঠোঁটে ছোট্ট এক লাজুক হাসি নিয়ে ইউভিকে আরও জোরে জড়িয়ে ধরে বলল,
__” আই লাভ ইউ টু, আশমীন ইউভান।”
রাতের আঁধার, মোমবাতির আলো আর দুটো শরীরের নিঃশ্বাসের আগুনে ঘরটা এক নেশার কারাগারে পরিণত হলো। ঘামের ফোঁটা, কেঁপে ওঠা দেহ আর আবেগের ঝড়ে বিছানা যেন সাক্ষী থাকল তাদের সমস্ত উন্মাদনার।
দীর্ঘ এক ঘন্টা কেটে গেল তাদের মিলনের উত্তাপে। শেষে ক্লান্ত অথচ প্রশান্ত ইউভি আলতো করে অনন্যাকে নিজের কোলে তুলে নিল। তার ভেজা চুল কপালে পড়ে আছে, চোখে নিস্তেজ সুখের ঝিলিক। ইউভি তাকে কোলে নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল শাওয়ারের দিকে যেন প্রতিটি ফোঁটা জলে ধুয়ে দিতে চায় তাদের উন্মাদ ভালোবাসার সমস্ত দাগ
কিন্তু জায়ন দের রুমে……..
সন্ধ্যা অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। রাতের নিস্তব্ধতা এখন যেন ভয়ঙ্করভাবে নেমে এসেছে চারদিকে। ঘড়িতে বাজে দশটা পনেরো মিনিট। অথচ এই মুহূর্তে জায়নের শরীরের উন্মাদনা থামার নাম নিচ্ছে না। তার বুক ওঠানামা করছে বেপরোয়া ছন্দে, শ্বাস যেন অগ্নি করে বেরোচ্ছে। তিয়াশার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ছে, সে আর নিতে পারছে না এই পুরুষের দমবন্ধ করা কামনার ঝড়।
তিয়াশার দুই হাতের কব্জি জায়নের এক হাতের শক্ত মুঠোয় বাঁধা। ঘরের দেয়াল কেঁপে উঠছে জায়নের প্রতিটি গোঙানির ভারে। তার উগ্র ভালোবাসার স্পষ্ট চিহ্ন ছড়িয়ে আছে তিয়াশার কোমল শরীরজুড়ে। ঘামে ভিজে টলমল চোখে তিয়াশা কাতর গলায় বলল,
__”প্লী প্লীজ ছাড়ো, প্লীজ।”
কিন্তু জায়নের কানে যেন শব্দ ঢুকল না। বরং সে আরও হিংস্র হয়ে উঠল। তিয়াশার কণ্ঠ ছিঁড়ে চিৎকার বেরোল, আর তার উত্তরে দাঁতে দাঁত পিষে গলায় কামড় বসিয়ে জায়ন ফিসফিস করে বলে উঠল পুরোনো ঘটে যাওয়া ঘটনা জার প্রতিটা শব্দ মনে করে রেখেছে সে ,
__”আমার কলিকাতা হার্বাল লাগবে তাই না? দেখ তুই বল এবার, বল আমার কি লাগবে? বলে ছিলাম না সব মনে রাখবো আর শোধ তুলবো”
তার গলায় একেকটা ভারী শ্বাস বেড়িয়ে আসছে নক মুখ দিয়ে আর তিয়াশার কণ্ঠে একেকটা তীব্র আর্তনাদ।
__”আকাশ আর জেমস অনেক সুন্দর তাই না? আর তোর বর বুড়ো। নে সহ্য কর এই বুড়ো কে। সামলাতে পারছিস না কেন এই বুড়ো কে?
__”আমার এখনো কিছু হয়নি, এখনো রাত পরে আছে, এখনি হার মানলে হবে বেইব। আজকে তোকে শেষ করে দেব আমি, আমাকে জ্বালিয়েছিস, দুইদিন ধরে বারবার বলেছি, আয় কষ্ট কম দেব আসিসনি, দেখ এই এক মাসে আমার মধ্যে কি তৈরি হয়েছে।”
আবারও ভেসে উঠল তিয়াশার যন্ত্রণার চিৎকার
জায়ন এক নিঃশ্বাস টেনে উঠে দাঁড়াল, তারপর ধপ করে তিয়াশার উপর থেকে সরে গেল। তিয়াশা চোখ বন্ধ করে হাঁপাতে হাঁপাতে ভেবেই নিল বাঁচল, অবশেষে মুক্তি পেল তার ভালোবাসার পশুর হাত থেকে।
কিন্তু না…
বিছানা থেকে নেমে জায়ন লাগেজ খুলে কিছু বের করতে শুরু করল। একে একে বের হওয়া অদ্ভুত জিনিসগুলো দেখে তিয়াশার বুক কেঁপে উঠল মনে হচ্চে সে এখনো নিস্তার পায়নি তার মানে ।সেই জিনিসগুলো হাতে নিয়ে তিয়াশার দিকে এগোতে লাগল আর তিয়াশার নিস্তার পাওয়ার ভাবনা ব্যতিক্রম হয়ে উঠতে লাগল , ভয় অনুভব করলো। ভয়ে চমকে গিয়ে গায়ে কাটা দিয়ে উঠল না পেরে কাপা কণ্ঠে ফিসফিস করে বলল,
__”এটা কি বর?”
জায়ন ঠোঁটে বাকা হাসি টেনে বিছানার পাশে দাঁড়াল, চোখ লাল, কণ্ঠ হিংস্র,
__”সরি বেইব, তোকে 50 Shades of Grey মুভি দেখাতে ভুলে গেছি। কোন ব্যাপার না, আজ জানবি এটা কি।”
সেই হাসি মিলিয়ে গেল মুহূর্তে। গম্ভীর চোখে তিয়াশার পা ধরে কাছে টেনে এনে নিচু গলায় ফিসফিস করল,
__”নাউ কাম এন্ড বেগ ফর ইট। আদারওয়াইজ টুডে আই উইল ডেস্ট্রয় ইউ, মোর দ্যান ইউ থট।”
তিয়াশার চোখ বড় বড় হয়ে উঠল বিস্ময়ে। মনে হচ্ছিল আজ সে সত্যিই শেষ হয়ে যাবে। কাঁপা গলায় সে শুধু বলল,
__”আ… আমায় ছাড়ো, আ আমার ভয় করছে।”
কিন্তু জায়নের চোখে তখন উন্মাদ লালচে নেশা। হাতের সেই লাভস্টিক একপাশে রেখে তিয়াশাকে উল্টে দিল। এক রবন দিয়ে তার দুই হাত শক্ত করে বেঁধে দিল পেছনে। নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে জায়নের। ধোঁয়াটে গলায় সে বলল,
__”না ছাড়বো না বিকজ তোর লাভ স্টিক থেরাপি এখনো বাকি কিটি ক্যাট। এন্ড ইউ উইল বেগ ফর ইট।”
তিয়াশা কাঁপতে কাঁপতে বলল,
__” মা… মানে?”
লাভস্টিকের ঝড় নামিয়ে দিয়ে জায়ন ভারী কন্ঠে বলে উঠল,
__”জান সে ড্যাডি প্লীজ।”
তিয়াশা কিছু বললো না ,তবে এত কিছুর পরেও যেন সেই লাভ স্টিকের স্পর্শে ভেসে যাচ্ছে এক অন্য ভালোবাসার দুনিয়ায়। হঠাৎ সে চিৎকার করে উঠল,জায়নের গম্ভীর কণ্ঠ আবার ধাক্কা দিয়ে এল,
__”জান, আই সেইড সে প্লীজ ড্যাডি।”
তার হাত বাঁধা, চুল এলোমেলো হয়ে আছে। জায়নের মুঠোয় সেই চুল শক্তভাবে ধরা। তিয়াশার চোখ জলে ভিজে উঠেছে, কণ্ঠে আর শব্দ বেরোচ্ছে না। তবু তার শরীর অদ্ভুতভাবে হার মেনে যাচ্ছে এই উন্মত্ত আগুনের কাছে । ঠোঁট কাঁপতে কাঁপতে ধীরে ধীরে সে বলে উঠল,
__”প্লী…. প্লীজ ড্যাডি।”
শব্দ টা শুনতেই যেন জায়ন এর পুরো শরীর কেপে উঠল , কারেন্ট তৈরি হতে শুরু করলো,
হাস্কি স্বরে জায়ন আবার চিৎকার করল,
__” ওহ ফাঁ”*ক বেইব সে ইট এগেইন ।”
__” প্লী প্লীজ ড্যা ডি”
__” ইটস ফিল সো গুড বেইব ,
হু ওউনড ইউ জান? আই নিড পারফেক্ট আন্সার বেইব।”
কথাটা যেন একটু গম্ভীর ভাবেই বলল জায়ন
তিয়াশা কাপা কণ্ঠে নিঃশব্দে জবাব দিল,
__”মা…. মাই ড্যাডি, মা মাই হাজবেন্ড।”
আবারো জায়ন পাগলামির চরম সিমায় পৌঁছে গেলো।
সময় তখন রাত বারোটা পঁচিশ। তিয়াশার শরীরে একটুও শক্তি নেই। চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, শরীর নিস্তেজ। শেষ পর্যায়ে জায়ন এক গভীর নিঃশ্বাস ছেড়ে গা এলিয়ে দিয়ে বিছানায় তিয়াশার ছোট্ট শরীর নিজের বিশাল বুকে মুড়ে তিয়াশার চোঁখ মুখ ঠোঁটে চুম্বনে ভিজিয়ে দিল।
কপালে কপাল ঠেকিয়ে তারপর কণ্ঠ কেঁপে উঠে বলল,
__সরি জান…. আমি জানি আমি একটা পাগ*লা*চো*দা। কি করব বল? পাগলা হয়ে যাই শুধু তোর জন্য। গভীরভাবে আসক্ত হয়ে উঠি। নিজের আলফা উলফ ভর করে বসে থাকে সরি জান, আর আমি এরকমই থাকব। কারণ তোর প্রতি আমার এই অবসেশন কখনোই কম হবে না। আর না, তুই আমার হাত থেকে কখনো মুক্তি পাবি। তাই সহ্য করার ক্ষমতা বাড়িয়ে নে বিকজ আই লাভ ইউ সো মাচ মোর দ্যান ইউ থট।”
কিন্তু তিয়াশার কানে কিছুই গেলো না ,কথা শেষ করে জায়ন তিয়াশার নিস্তেজ উন্মুক্ত শরীর নিজের উষ্ণতার আচ্ছাদনে মুড়ে কোলে তুলে নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে চলে গেল।
তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৭৩ (২)
আকাশ আর আরোহীর রুমের অবস্থা ভীষণ বেহাল। বিছানার হেডবোর্ড দেখা যাচ্ছে ভাঙ্গা অবস্থা, ক্লান্ত, ঘামভেজা আরোহীর উন্মুক্ত শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে, চোখ বন্ধ। আকাশের বুক ধুকপুক করছে আতঙ্কে। কাঁপা হাতে আরোহীর চোখে মুখে পানি ছিটাতে ছিটাতে সে বলল,
_”সোনা… চোখ খোলো।”
