তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ২৪
অহনা আক্তার
ফারিশদের ড্রয়িং রুমে দাঁড়িয়ে মা মা বলে জোরে জোরে চিল্লাচ্ছে রিশাদ। রিশাদের গলা শুনে জহির দ্রুত উপর থেকে নিচে নামে। জিন্নাত তার ভাইয়ের মেয়েদের নিয়ে সোফায়ই বসে ছিল। রিশাদকে দেখে কড়া কণ্ঠে বলে,
— কি হয়েছে?এমন ষাঁড়ের মতো চেচাচ্ছিস কেন?এটা ভদ্র মানুষের বাসা। তোর আর তোর বাপের মতো ল*ম্পটদের বাসা নয়।
রিশাদ হাওয়ার বেগে তার মায়ের সামনে এসে দাঁড়ায়। ফাইজা আর মুসকান জিন্নাতের পাশেই ছিল। রিশাদকে এভাবে আসতে দেখে দু’জনেই খানিকটা পিছিয়ে যায়। মুসকানের দিকে এক পলক তাকিয়ে মায়ের উদ্দেশ্য বলে রিশাদ,
— এখানে কি করছো? দু’দিন ধরে খোঁজছি তোমায় বাড়ি চলো।
— কেন তোর বাপের হাতে মা’র খাওয়ার জন্য? ( শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে সিড়ি দিয়ে নামার সময় কথাটি বলে ফারিশ)
রিশাদ কপাল কুঁচকে সেদিকে তাকায়। ফারিশ পেন্টের দু পকেটে হাত ঢুকিয়ে আরামসে রিশাদের সামনে এসে দাঁড়াল। ঘুুুম থেক ওঠে আসায় তার চোখমুখ ফুলে.. চেহারায় স্পষ্ট ক্রোধ অথচ গলার স্বর শান্ত,
— এখানে কেন এসেছিস?
— আমার মা…
—” ডোন্ট কল হার মা ” ঘর কাঁপিয়ে হুংকার ছাড়লো ফারিশ,,—‘তোর মতো কু/লা/ঙ্গা/রে/র কোনো রাইট নেই আমার ফুপিমণি কে মা ডাকার। ফুপিমণির মতো মা ডিজার্ব করিস না তুই।’
রিশাদও ক্ষেপে গেলো। উচ্চকণ্ঠে বলল,
— তুই কে আমাকে নিষেধ করার? আমার মাকে আমি মা ডাকব না কি ডাকব সেটা বলার তোরও কোনো রাইট নেই।
প্রচন্ড বেগে রিশাদের কলার চেপে ধরলো ফারিশ,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
— খবরদার গলা উঁচাবি না। কণ্ঠনালী ছিঁ*ড়ে ফেলব একদম।
রুমের প্রতিটি মানুষ আতঙ্কে। সকলেই ভীতি হয়ে তাকিয়ে আছে । দরজার বাইরে মোকলেসও ছিল। ভিতর থেকে সরগম শুনে দ্রুত চলে আসে। ফারিশকে রিশাদের কলার চেপে ধরে রাখতে দেখে চিল্লিয়ে বলে,
— আমার ছেলের কলার ধরেছো কেন তুমি? ওর কলার ছাড়ো।
জহির এসে মোকলেসের সামনে দাঁড়ায়,,
— তোরা আমাদের সামনে জ্যান্ত আছিস এই অনেক।
— কেন কি এমন করেছি আমরা? (মোকলেস)
জহির মোকলেসের বুকে ধাক্কা দিতে দিতে বলল,
— কি করেছিস! কি করেছিস! আমার বোনের জীবনটা শেষ করে এখন বলছিস কি করেছিস! তোকে আমি জে*লে প’চিয়ে মা’রব।
মোকলেস মুখটাকে একদম অসহায় বানিয়ে ফেলে। যেমন সে কিছুই বুঝতে পারছে না,
— এসব আপনি কি বলছেন ভাইজান! জিন্নাত আপনাদের যা বলেছে সব বানিয়ে বলেছে বিশ্বা….
‘ চুপপপ ‘ চোখ লাল করে গর্জে উঠলো জহির,
— আমার বোনের বিরুদ্ধে আর একটা কথা বললে তোর মুখ ছি*লে ফেলব আমি।
মোকলেস ঢুক গি’লে। যে ভয়টা পাচ্ছিল সেটাই হয়েছে। জিন্নাত সব বলে দিয়েছে। সে ভেবেছিল এতোদিনের মতো আজও জিন্নাত কাউকে কিছু বলেনি। যার জন্য এখানে ছুটে এসেছে। ব্যবসার ইদানীং খুব বড় লস যাচ্ছে। যদি কোনো ফায়দা করতে পারে। কিন্তু এখানে এসেতো দেখছে পরিস্থিতি ভিন্ন। তারা বাবা, ছেলে দু’জনই ভয়ংকর ক্ষেপে আছে। না নাহ পরিস্থিতি আর গ’রম হতে দেওয়া যাবে না। যে করে হোক সব মিটমাট করতে হবে। ওরা যদি সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় তাহলে তো আরো বিপদ।
রিশাদ কলার থেকে ফারিশের হাত ছাড়ানোর জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করেছে। ঘরের সকলে আতঙ্কিত। জিন্নাত বাঁধা দিল,
— ওর কলার টা ছেড়ে দে বাবা। আমি ওদের সাথে এমনিতেও যাব না।
মোকলেস গলার স্বর করুন করে বলল,
— এ তুমি কি বলছো? তোমার সংসারে তুমি যাবে না?
জিন্নাত ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকায় মোকলেসের দিকে। এই লোকটার অভিনয় সে আর সহ্য করতে পারে না।
ফারিশ কলার ছেড়ে দেয় রিশাদের। শার্ট টা ঝেড়ে দিতে দিতে অত্যন্ত ঠান্ডা সুরে বলে,
— যা বাড়ি যাহ! তোর আর তোর বা*পের ছায়াও যেন আর না দেখি।
— আমি আমার মাকে নিয়ে,,,,
বাকিটুকু বলতে পারল না রিশাদ। ফারিশ হাত মুষ্টি বদ্ধ করে রিশাদের মুখ বরাবর ঘু’ষি মা’রল। সাথে সাথে নাক ফে’টে র’ক্ত বের হয়ে আসলো রিশাদের। ঘরের সকলের বিস্ময়ে মুখে হাত। ফারিশ চেঁচাল,
— কিসের মা? মা কিসের? যখন তোর বাবা তোর মায়ের গায়ে হাত তুলে তখন মনে পরেনা মা’কে?
মায়ের জন্য প্রতিবাদ করতে পারিস না, রুখে দাঁড়াতে পারিস না, মাকে সম্মান দিতে পারিস না, কেমন ছেলে তুইই?
নাকের রক্ত মুছে বলে রিশাদ,
— তুই কিন্তু বেশি বারাবাড়ি করছিস ফারিশ?
রিশাদের বুকের শার্ট খামচে ধরল ফারিশ,
— বারাবাড়ির দেখেছিস কি। লজ্জা করে না যিনি জন্ম দিয়েছেন তাকে ঘে*ন্না করি বলতে। যেই মায়ের মমতায় বড় হয়েছিস তাকে দিনের পর দিন বাবার হাতে মা*র খেতে দেখতে?
— আমি তখন নে’শাক্ত ছিলাম। বুঝতে পারিনি..
— কি বুঝতে পারিস তুইইই?
মোকলেস এগিয়ে আসে। ভয়ে রীতিমতো ঘামছে সে। একটু সাহস সঞ্চয় করে বলে,
— ওকে ছেড়ে দাও ফারিশ আমি আর তোমার ফুপিমণির গায়ে হাত তুলবো না।
ফারিশ রক্তচক্ষু নিয়ে তাকায়,
— আপনাকে সেটার সুযোগ দিলেতো! এই ধরেন আপনার ছেলে (রিশাদকে ধাক্কা মেরে তার বাবার দিকে ছুড়ে) দ্বিতীয় বার আমার ফুপিমণির ধারে কাছেও যেন আপনাদের না দেখি। আর যদি দেখি,,(আঙুলে তুড়ি বাজিয়ে) নারী নি’র্যাতনের মামলা দিয়ে বা*প, বে*টাকে জে/লে ভরে দিবো। মামা,চাচা,ভাই, ভ্রাদার’স চোদ্দগুষ্টির যত আছে কেউ রক্ষা করতে পারবে না মাইন্ড ইট।
জিন্নাত মুখে আঁচল চেপে ঘরের দিকে ছুটলো। পেছন থেকে রিশাদ ‘মা, ‘মা, বলে চিল্লালেও শুনলো না। মোকলেস ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। বাবার পাশে মাথা নুইয়ে হাঁটছে রিশাদ। কোনো প্রকার কথা বলছে না। ফারিশের কথা গুলো এখনো ঝংকার তুলে কানে বাজছে। ছোট থেকে বাবা, দাদা পরিবারের সকলের আদর পেয়ে উচ্ছন্নে চলে গিয়েছে সে। কোনটা ভুল কোনটা সঠিক সেই বিবেকটা কখনো কাজে লাগায়নি । অন্যায় করার জন্য কেউ শাসনতো দূর বরণ আরো আশকারা দিয়ে মাথায় তুলেছে।
মা শাসন করতে আসলে বাবার আর পরিবারের মানুষের কারণে থেমে গেছে। শাসন আর তার অন্যায়টা কেউ ধরিয়ে না দেয়ার জন্য আজ এতোটা বিগড়ে গিয়েছে সে। তার মায়ের সাথে যে কতটা অন্যায় হয়েছে বা করেছে সেটা আজ হারে হারে বুঝছে রিশাদ। মা যে তার জীবনে কতোটা ইম্পর্টেন্ট এই দু’দিন ধরে মায়ের খোঁজ না পাওয়ায় ভিষণ ভাবে উপলব্ধি করতে পারছে রিশাদ। অনুতপ্তে জ্বলছে তার ভিতরটা। মাকে এতোটা কষ্ট দিয়ে ওই কথাগুলো না বললেও পারতো। সে খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে তার মা তার বাবার মা’র খেয়ে বাড়ি ছাড়ে নি বরং তার কথায় কষ্ট পেয়ে ছেড়েছেন। নাহলে বাবাতো মা’কে আগেও কতো মে’রেছে। কই মা তো তখন বাড়ি ছাড়েনি। রিশাদের আজ গলা ফাটিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। তার মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইতে ইচ্ছে করছে। সে ভুল করেছে। খুব ভুল।
তার পরের সময়টা গেল ঝড়ের বেগে। মুসকান আর ফাইজার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলো। পরীক্ষা দিতে মুসকান আবারও গ্রামে গেল। তাজমহল এতোদিন ফারিশদের বাড়িতে থাকলেও মুসকানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে গ্রামে চলে আসল। এরশাদ তালুকদার বিচক্ষণ মানুষ। এই বয়সে এসে মেয়ে স্বামীর ঘর করতে চাইছে না বিষয় টা ওনার কাছে একটু অন্যরকম লেগেছে। তবে নির্দয়ের মতো মেয়ের গায়ে আ’ঘাত করার কথা শুনে তিনিও ভিষণ ক্ষেপেছেন। আদরের একমাত্র মেয়ে। ছোটবেলা থেকে গায়ে হাত তুলবে তো দূরের কথা কখনো একটা ধমকও দেননি। উনার চোখ রাঙানোতেই ছেলে,মেয়েরা কপোকাত হয়ে যেত। মোকলেসের পুরো পরিবারের সাথে টোটালি সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন এরশাদ তালুকদার । না কারো ফোন ধরছে আর না কাউকে নিজের বাড়ির ত্রিসীমানায় আসতে দিচ্ছে। মোকলেস আর মোকলেসের বাবা মা অনেকবার চেষ্টা করেছে যোগাযোগ করার। মোকলেসও ক্ষমা চেয়েছে বারংবার। এটাই শেষ আর কখনো এমন ভুল করবে না। লাস্ট বারের মতো ক্ষমা করে দিতে বলছে। কিন্তু তালুকদার বাড়ির একটা সদস্যেরও মন গলাতে পারেনি। মেয়ে রাজি না বলে এরশাদ তালুকদারও আর জোর দেননি। এখনতো যোগাযোগই বন্ধ।
এতো বছরের বিবাহিত জীবনে এই প্রথম স্বামী, সন্তান, সংসার ছেড়ে এতোগুলো দিন আলাদা থেকেছে জিন্নাত। থাকতে বাধ্য হয়েছে। মনতো বারবার চাইতো চলে যাক ফেলে আসা সেই সংসারে,,, ” তার সন্তানরা ভালো আছে তো তাকে ছাড়া! আচ্ছা রিতাকে কলেজে যাওয়ার জন্য রোজ সকালে ঘুম থেকে কে ডেকে তুলে? তার শ্বশুর, শাশুড়ির ঔষধ গুলো ঠিক মতো দেয়া হয়তো? আচ্ছা রিশাদ কি ঠিক মতো খেতে পারে ? সে তো আবার নিজের পছন্দের তরকারি না হলে ভাতই খায় না! সোফাটা নিশ্চয়ই কাপড়ের স্থুপ বানিয়ে রেখেছে।” এরকম আরো হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খায় জিন্নাতের মাথায়। ইচ্ছে করে ছুটে চলে যাক তাদের কাছে। কিন্তু যখনই মোকলেসের আচরণ আর ছেলের দেওয়া কষ্ট গুলোর কথা মনে পরে আর মন সায় দেয় না। স্বামী, সন্তান যখন তাকে বোঝলই না তাহলে কি লাভ অযথা সংসার নামক কা’রাগারে যাওয়ার।
এক হাত ফারিশের চুলে ডুবিয়ে অন্যহাতে বই নিয়ে মনযোগ সহ কারে পড়ছে মুসকান। এক্সাম আরো তিনটা বাকি। কাল মধ্যরাতে হোট করেই তালুকদার বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় ফারিশ। হাতে ছিল ফুলের তোরা। সাথে অবশ্য আরো একটা গিফটও এনেছিল। যেটা এখন মুসকানের ফর্সা গলায় সোনালি রোদ্দুরের মতো চিকচিক করছে। রাতের কথা মনে পরতেই ক্ষীণ হাসে মুসকান। ফারিশ যে তার সতেরো তম জন্মদিনে এভাবে চমকে দিবে ভাবতে পারেনি সে। পরীক্ষার আগের দিন রাত জেগে পড়া মুসকানের পুরনো অভ্যাস। অভ্যাস অনুযায়ী কাল রাতেও সে বিছানায় বই খাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে বসেছিল। হঠাৎ দরজায় ঠকঠক শব্দ শুনে সেদিকে গেল। আনমনা হয়ে দরজা খুলতেই দেখল ফারিশ তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসা। হাতে অসংখ্য লাল গোলাপের বাঁধাই করা একটি তোরা। তাজা ফুল গুলো থেকে সুগন্ধি তীব্র ভাবে ভেসে এসে নাকে বারি খাচ্ছে । মুসকান অবাক চোখে তাকাতেই ফারিশ চমৎকার হেসে বলল,
— ” শুভ জন্মদিন সপ্তাদশী ”
সাথে সাথে হইহট্টগোল বেলুন ফুটানোর শব্দ শুনে মুসকান আরো চমকিত হলো। ফারিশের পেছনে বাড়ির সকলে দাঁড়িয়ে। মুসকানের চোখে পানি জমে। সে ভেবেছিল বারোটা বেজে গেছে এবার কেউ তাকে ওইস করবে না। সবাই হয়তো তার জন্মদিন টা ভুলে গেছে।
ফারিশের সাথে ফোনে কথা হলেও ফারিশ তার বার্থডে বা আজকে আসবে এসব নিয়ে কোনো কথা বলেনি।
জিন্নতের ডাকে ঘোর কাটে মুসকানের,
— কিরে ছেলেটা কখন থেকে তোর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে। ফুলটা নিয়ে এবার একটু ছেলেটাকে উঠে দাঁড়াতে সুযোগ দে..
মুসকন গাল গরম করে ফারিশের হাত থেকে ফুলটা নিল। এভাবে কেউ এতো মানুষের সামনে ওইস করে। ফারিশও ওঠে দাঁড়াল। রাতুলকে উদ্দেশ্য করে কেকটা সামনে নিয়ে আসতে বলল। সকলের সাথে হাসি খেলে কেক টা কাটার মাঝেই রাতের এই বিশেষ মুহূর্তটা ব্যয় করল মুসকান। আগামীকাল তার ব্যবসায়ী উদ্যেগ পরীক্ষা। যার জন্য সকলেই দ্রুততার সহিত রুম ত্যাগ করল। ফারিশ কে পেয়ে মুসকান পড়ায় মনযোগ দিতে না পারলেও ভোর রাতের দিকে পড়তে বসেছে। তখন থেকেই ফারিশ মুসকানের কোমর পেচিয়ে উবুড় হয়ে শুয়ে। মুসকান দূরে সরে যেতে চাইলে ফারিশ বলে,
— আমিতো তোমায় কোনো ডিস্টার্ব করছি না জাস্ট শুয়ে আছি। মাথায় তোমার হাতের স্পর্শ না পেলে শান্তির ঘুম হয় না আমার ?
মৃদু হাসে মুসকান। উৎকণ্ঠিত স্বরে বলে,
— তাহলে এতোদিন কিভাবে ঘুমিয়েছেন?
ফারিশ ফটাফট জবাব দেয়,
— কোথায় ? একটা রাতও ঘুমাতে পারিনি বিশ্বাস করো। সারাক্ষণ তোমার শুন্যতায় ছটফট করেছি। এসব এক্সাম,ফেক্সাম সব বাদ। আমি আর এগুলো বরদাস্ত করবো না। বউ চাই আমার। এরপর যদি ওখানের কলেজে পড়তে চাও পড়বে নাহলে পড়ারও দরকার নেই।
ফারিশের অভিমানে শব্দ করে হাসে মুসকান। আদুরে গলায় বলে,
— এদিকে আসেন মাথায় হাত বুলিয়ে দেই খুব গরম হয়ে আছে। ঠান্ডা করার প্রয়োজন।
ফারিশ আর কথা না বলে মুসকানের কোমর পেচিয়ে শুয়ে চোখ বুঝল। মেয়েটাকে এবার একটু পড়ার সুযোগ দেয়া প্রয়োজন।
তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ২৩
ঘুমে তলিয়ে আছে ফারিশ। ক্ষণেক্ষণে ফারিশের চুলে হাত বুলিয়ে লাজুক হাসছে মুসকান। ফারিশের ঘুমন্ত চেহারা বরাবরের মতোই তাকে আকৃষ্ট করে। সময়টা তার কাছে ভালো লাগছে। খুব ভালো লাগছে। ভাগ্যেস আজকের এক্সামটা সহজ পরেছে। নাহলে এই অল্প পড়ায় কি লিখতো সে…