তোর নেশা পর্ব ৬

তোর নেশা পর্ব ৬
তুষার আহমেদ কাব্য

নিরব আর নিধি বাড়িতে প্রবেশ করে, সবাই ছুটে আসে!বাড়ির আদরের মেয়ে নিধি।কিন্তু এসেই শোনে নিধি কাউকে না বলে নিরব কে বিয়ে করেছে,সবাই স্তব্ধ হয়ে যায় কিন্তু নিধির এই কাজ সবাই মেনে নেয় কারন নিধির সব চাওয়া পুরন করে এসেছে তারা তাই এই কাজ টাও সমর্থন করতেই হলো। নিধির একটা ইচ্ছে একবার পুরন না করায় সে সুইসাইড করতে গিয়েছিলো,বড্ড জেদি মেয়ে!

মাইশা এসে বোকার মতো তাকিয়ে থাকে। কাব্য যদিও ব্যাপার টা জানে,নিরব আগেই ফোনে সব বলে দিয়েছে। মাইশার পাশ দিয়ে নিধি যাবার যাবার সময় একটা বিষাক্ত নজরে তাকায়। মাইশা কারন টা বুঝতে পারলো না।
মাইশার সাথে কথাও বলল না নিধি।মাইশা কিছু না বলে রুমে এসে দেখে কাব্য বিছানায় শুয়ে আছে কিন্তু অদ্ভুত ভাবে।মাইশা দেখলো ফ্যান চলা অবস্থায় ও কাব্য ঘেমে আছে।মাইশা দ্রুত কাব্যের কাছে এসে দেখে কাব্য জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে। বারবার ডেকেও সাড়া পায়না।
মাইশা চিতকার দিয়ে সবাই কে জড়ো করে। মাইশা কাব্যকে কোলে নিয়ে কাদছে৷ তার কান্না দেখে নিধি সহ বাকিরা অবাক হয়ে যায়, কারন সে সহজে কাদার মেয়ে না।
ডক্টর এসে কাব্যকে চেক করতে থাকে। মাইশা চুপ করে ফুপিয়ে কাদছে

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

—মাইশা তুই বাচ্চা?( মা)
— মা আমার একদম ভালো লাগছে না,ওর হঠাৎ কি হয়েছে (মাইশা)
তখনই ডক্টর বের হয়ে জানায় কাব্যের প্রেসার হাই হয়ে গেছে তাই জ্ঞান হারিয়েছে।
অতিরিক্ত চিন্তার ফলে
ডক্টর চলে যায়।
মাইশা কাব্যের পাশে বসে। সবাই এক এক করে চলে যায়। নিধির গা জ্বলে যাচ্ছে এসব দেখে।
নিধির রুমে
নিরব রুমের দিকে তাকিয়ে দেখে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো, সব কিছুর মধে ফুটে উঠেছে নিধির খুশি। তখনই নিধি রুমে আসে

—- কি দেখছেন(নিধি)
—আপনার রুম(নিরব)
— সুন্দর না?
—খুব।।.
— জানেন এসব কিছু আমি আর মাইশা সাজিয়েছি
—- ওহ
— তা আপনাদের রুম তো তেমন সুন্দর না
—হুম কাব্য তেমন সৌখিন না,আর আমি সময় পাইনা
—- কাব্যের কি প্রেসারের সমস্যা আছে?
—অতিরিক্ত চিন্তা করলে হয় এমন
—- ঠিক হয়ে যাবে?
— হ্যাঁ
— আমার ঘুম পাচ্ছে,আপনি গান পারেন?
—- হ্যাঁ

— পা সোজা করুন,আমি পায়ে মাথা দিবো আর আপনি গান গাইবেন
নিরব পা সোজা করে দেয় আর নিধি মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ে। নিরব গান গাইতে থাকে।
অন্যদিকে কাব্যের মাথা মাইশার কোলে.. মাইশা কাব্যের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
বাইরের চাদের আলো এসে রুমে পড়ছে, রুমের লাইট বন্ধ করা।
হঠাৎ কাব্য চোখ খুলে দেখে মাইশা বিছানায় হেলান দিয়ে আছে আর সে তার কোলে। কাব্য ঝট করে উঠতে গেলে মাইশা চেপে ধরে
তারপর ধীরে ধীরে উঠে বসে কাব্য!

—সরি আমি আসলে…(কাব্য)
বলার আগেই মাইশা কাব্যের কলার টেনে ধরে
—কিসের চিন্তা এতো? তোমার আম্মু আব্বু?তারা সুস্থ আছে, চাকরি? আরো পাবে। আর কি? এই ২মাস তোমার সব চিন্তায় শুধু আমি থাকবো (মাইশা)
কাব্য অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে
—- শুধু পরিবার এর জন্য তোমাকে বইতে হচ্ছে নাহলে কবেই ডিভোর্স দিতাম(মাইশা)
—হুম(কাব্য)
—কোলে মাথা দাও
— না আমি নিচে যাচ্ছে
মাইশা কাব্যের চুল টান দিয়ে কোলে শুইয়ে দেয়। কাব্য উঠতে গিয়েও পারেনা। একটা মিস্টি ঘ্রাণ আসছে নাকে। এটা কেমন ঘ্রাণ? মাইশার চুল এসে কাব্যের গলার কাছে এসে লাগছে। মাইশার ঘ্রান একটা নেশার ঘোর বানিয়ে তুলেছে । কাব্য ঘুমিয়ে পড়ে।
পরেরদিন সকালে
কাব্য উঠে দেখে মাইশা নেই রুমে। উঠে ফ্রেশ হয়ে বাইরে গিয়ে দেখে মাইশা রান্নাঘরে নাস্তা বানাচ্ছে।
আর কেউ নেই,কাব্য ধীরে ধীরে রান্নাঘরে যায়

— বাড়ির সবাই কোথায়?(কাব্য)
— বাইরে গেছে(মাইশা)
— আপনি একা নাস্তা বানাবেন?
—হুম
কাব্য কিছু না বলে বের হয়ে যাবে কিন্তু কি ভেবে আবার ঘুরে তাকায়
— আমি রুটি ভেজে দেই?(কাব্য).
— পারবে?(মাইশা)
—হুম
— আচ্ছা এসো
কাব্য গিয়ে রুটি ভাজতে থাকে। মাইশা কাব্যকে দেখিয়ে রুটি এলোমেলো বানাতে থাকে
—একি রুটি গোল হচ্ছে না তো(কাব্য)
— আমি গোল বানাতে পারিনা(মাইশা)
— দিন আমি বানিয়ে দিচ্ছি

কাব্য মাইশা কে সরিয়ে একটা রুটি বানায়,তারপর আবার মাইশা বানাতে দাঁড়ায় কিন্তু ইচ্ছে করেই এলোমেলো বানায়। কাব্য কয়েকবার দেখনোর পর কাব্য বিরক্ত হয়ে মাইশার পেছনে গিয়ে দুহাত পেছন থেকে ধরে রুটি বানাতে থাকে, পেছন থেকে জড়িয়ে ধরার মতো।
মাইশা কাব্যের দিকে তাকায়, মুখে একটা হাসি।মাইশা কেমন একটা ঘোরে পড়ে যায়। হঠাৎ কাব্যের দিকে ঘুরে তাকায়। আটা মাখনো হাত দিয়ে কাব্যের গলা আলতো ভাবে ধরে কাব্যের পায়ের উপর ভর দিয়ে উঠে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে। তারপর কাব্যকে ধাক্কা দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। কাব্যের হাত ধরে নিজের কোমরে দেয়। ঠোঁট যেনো খেয়ে নেবে মাইশা। কিছুক্ষন পর মাইশা ঠোঁট ছেড়ে কাব্যের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে কাব্যের ঘাড়ে কামড় দিয়ে কাব্য কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।

তোর নেশা পর্ব ৫

হঠাৎ রুটি পুড়ে যাবার গন্ধে ঘোর কেটে যায়। মাইশা ঝট করে দূরে সরে যায়। কাব্য প্রচন্ড লজ্জা পেয়ে দ্রুত বেরিয়ে যায় সেখান থেকে।
মাইশা ও বুঝতে পারলো না কেন সে এমন করলো
মাইশা নাস্তা বানানো শেষ করে রুমে গিয়ে দেখে কাব্য চুপ করে বসে আছে। ওর কি ব্যাপার টা খারাপ লাগলো?
মাইশা কিছু বলবে তার আগেই পেছন থেকে কেউ তার কাধে হাত রাখে…

তোর নেশা পর্ব ৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here