ধূসর রংধনু পর্ব ২
মাহিরা ইসলাম
ভীষণ চমৎকার একটি সকাল। তবে আকাশে কেমন মেঘলা মেঘলা ভাব বিদ্যমান।
চারপাশ কেন আজ এমন গুমুট ভাব ধরে থাকবে। আকাশ কেন কালো থাকবে? তারা জানেনা বুঝি কাল তাসফি’র বিয়ে হলো। আজ কি তাদের দুঃখী মানায়।
গুমোট ধরা আকাশ যেন তাসফির মনের অন্দরে ঢুকে পড়েছে, সঙ্গে সংগ্রহ করে নিয়েছে তার সকল চিরাচরিত ভাবনা, সুখ দুঃখের সংমিশ্রণ ।
দুঃখ ছাড়া করার তো কিছু নেই। যেখানে তার বর টাই পঁচা,বাসি, গন্ধ। তার কিশোরী বয়সের স্বপ্ন ছিল বিয়ের পরদিন ভোরে উঠে প্রথমে বরের মুখখানা দর্শন করিবে। কিন্তু কি হলো, তার আশায় সেগুরে বালি ঢেলে অসভ্য ডাক্তার চলে গিয়েছেন রুম ছেড়ে। সকাল সকাল তাসফি চোখ মেলে দেখলো তার মাথার উপরের শুভ্র ছাঁদখানা। পাশে নেই কেউ। আর না ঘরে।
ঘরে সূর্যের আলো ও নেই, তার বর ওও নেই।
তার কিশোরী বয়সের প্রথম দেখা স্বপ্নটাই এবাড়িতে অপূর্ণ রয়ে গেল। তবে বাকি স্বপ্ন গুলো কি করে পূরণ হবে তার, সেটাও ভাববার বিষয়।আদ্যেও কি হবে কিনা কে জানে।
এমন সময় বাসন্তীর হাক ডাক ভেসে এলো দরজার ওপাশ হতে। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে এলো সে। তাড়া দিয়ে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
— ” এই তাসফি উঠ তো। অনেক বেলা হয়েছে কিন্তু। দ্রুত ফ্রেস হয়ে নিচে আয়। নতুন বউ দেখতে আবার পারা-প্রতিবেশী আসলো বলে। বুঝিনা বাপু এই যুগে ও এমন বউ দেখার কি আছে। রেডি হয়ে নিচে আয়। আমি যাচ্ছি। কত কাজ বাবা। একটা বিয়ে সামলানো কি চাট্টিখানি কথা নাকি বাফু। কাল আবার বউভাত।এই যুগে এসেও এদের কত ভাত যে মুখে নিতে হয় খোদা মালুম”
বাসন্তী আপার কথায় তাসফি মধ্যে কোনো চঞ্চল ভাবমূর্তি দেখা গেল না। সে হাই ছাড়তে ছাড়তে উদাস ভঙ্গিতে বিছানা উঠে বসলো।রাতে কাঁদার ফলে চোখমুখ কিছুটা ফুলে আছে। তার গোলগাল ফর্সা মুখশ্রী যেন কচি পানপাতার ন্যয় উজ্জ্বলদীপ্ত।ডাগর ডাগর চোখ দুটোয় শুধুই শূন্যতা।
ওয়াশরুমে ঢুকে তার মনে পড়লো ফ্রেস হতে সে সঙ্গে কিছুই আনেই নি।কালকের গায়ের শাড়ি ও খোলা হয় নি। এত অস্বস্তি লাগছে। এখনি তার গোসল সারা দরকার।
শাড়ি খুলে গোসল শেষ করলো। শুধুমাত্র পেটিকোট ব্লাউজ পড়ে ওয়াশরুম হতে পুনরায় বেরুলো জামা নিতে।
নিস্তব্ধ হসপিটাল যাবে।তখন তার মোবাইল টা ফেলে যাওয়ায় রুমে এসেছিল নিতে।
তখনি কি তাসফি বের হলো ওয়াশরুম থেকে? হ্যাঁ হলো তো। তাসফির পদতলে পিষ্ট হলো নিস্তব্ধর চিত্ত।তাসফিকে ওই অবস্থায় দেখে নিস্তব্ধ ইয়াসারের চোখ কপালে। শুধু অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে থাকলো সে। কিছু বলতে চেষ্টা করলো কিন্তু মুখ দিয়ে কোনো শব্দ সে উচ্চারণ করতে পারলো না। হতবিহ্বলের মতো তাকিয়ে রই এক অপূরুপ সৌন্দর্য ধারী রমণীর পানে।
তার ভাষায় নাবালিকা বলা রমণী যেন পরিপূর্ণ যুবতী।রমণীর শরীরের ভাঁজে ভাঁজে যেন রহস্যরা খেলা করছে।
সারা অঙ্গে যে তার ঝলসানো জ্যোতি।। মাদকায় আচ্ছন্ন পরিবেশ।
শুষ্ক ঢোক গিললো নিস্তব্ধ।
তবে এটাই তার পুঁচকে বউ?
তাসফি নিজের জামা নিয়ে ভাবলেশহীন ভঙ্গিতে পুনরায় ওয়াশরুমে ঢুকে ঠাস করে নিস্তব্ধ’র মুখের উপর দরজা টা লাগিয়ে দিল। যেন রুমে নিস্তব্ধ ছিলই না এমন একটা ভাব।
কোথায় এই মেয়ে নিস্তব্ধ কে দেখে লজ্জা পাবে দুহাতে বুক ঢাকবে। কাপড়ে দেহ আবৃত করবে।কিন্তু এই মেয়ে তাকে দেখলোই না। কই গল্পে, সিরিয়ালে তো এমনটা হয় না।
তারা তো বলে
” নেহি, এ কেয়া বাত হে। আপনি আমার সব ইজ্জত লুট করে নিলেন। মে কিয়া কারু,মে কিয়া কারু।”
নিস্তব্ধ নিজের মাথাটা দুবার ঝাঁকি দিলো। তবুও কেমন ভনভন করছে।
ছিঃ সে কি সব ভাবছে। সব লেইম চিন্তা ধারা। সব এই নাবালিকা মেয়ের দোষ।
ভাব দেখে তো মনে হয় না নাবালিকা। ভাব দেখো বোধ হয় পঁচিশ বছরের যুবতি। অথচ বয়স তার আঠারো ওও হয় নি।
নিস্তব্ধ নিজ মোবাইল হাতে নিয়ে হনহন করে বেড়িয়ে গেল রুম ছেড়ে।
দরজা কাঁছে বাসন্তী কে পেয়ে নিস্তব্ধ কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
” এই মুহুর্তে আমার রুমে যে পুঁচকে মেয়েটার অবস্থান, তাকেই আমি বিয়ে করেছি সিওর তুই আপা?”
নিস্তব্ধ’র হঠাৎ এমন উদ্ভট প্রশ্নে ভ্রু তুলে চাইলো চাইলো বাসন্তী। জবাব দিলো “হ্যাঁ। কেন কি সমস্যা। ”
নিস্তব্ধ বিতৃষ্ণার স্বরে বলল, ” ছিঃ আপা। ছিঃ। এইরকম লেইম একটা কাজ তোরা করতে পারলি আমার সাথে?”
বাসন্তী ভাইয়ের কথায় আশ্চর্য হয়ে গেল।
হতবাক কন্ঠে বলল ” আরে বাবা করলামটা কি সেটা তো বল।”
নিস্তব্ধ আবারো একই সূরে বলে উঠলো, ” নাবালিকা মেয়ে সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিস আমি সেটা সহ্য করে নিয়ে ছিলাম আপা। সঙ্গে ওই পুঁচকে মেয়ে যে দেখতে এতটা কুৎসিত আমায় তো আগে বলিস নি।এমন কুৎসিত চেহারার মেয়ে আমার ঘারে চাপিয়ে দিলি তোরা।
একটু মায়া দয়া হলো না তোদের। আমার মতো হ্যান্ডসাম ছেলের সামনে ওই পুঁচকে মেয়ে টিকতে পারবে বলে ভাবছিস তোরা?
তবে শুনে রাখ এই নিস্তব্ধ ইয়াসার কে টেক্কা দেওয়া এত সোজা নয়।”
বলেই নিস্তব্ধ হনহন করে বেরিয়ে গেল।
বাসন্তী হতবিহ্বলের মতো ভাইয়ের যাওয়ার দিকে চেয়ে রইলো।বিয়ের শোকে তার ভাইয়ের মাথা তাঠা খারাপ হলো না তো আবার। ইয়া খোদা।
তাসফি রুম ছেড়ে নিচে নামলো মেরুন রংয়ের থ্রি পিচ পড়ে।
নিস্তব্ধ’র কথাগুলো কর্ণগোচর হতেই চোখ বড় বড় করে নিলো সে।
” কতবড় বদমাশ লোক। রুমে ড্যাব ড্যাব করে তার দিকে তাকিয়ে থেকে এখন তাকে কুৎসিত বলা হচ্ছে। সালা পল্টিবাজ।
সঙ্গে সঙ্গে তাসফি নিজ মুখে হাত দিলো,
ছিঃ ছিঃ। মুখের ভাষা পাল্টা তাসফি। এখন তোর বিয়ে হয়েছে। স্বামীকে কেউ এসব বলে গালি দেয়।”
ড্রয়িংরুমের দিকে এগিয়ে যেতেই তাসফি কে দেখে ফিরোজা বেগম চোখ উল্টে ফেললেন।বিলাপ করে বললেন,
” ছিঃ, ছিঃ একি নাত বউ এসব কি পড়েছোস তুই। বিয়ের পড়দিন কোথায় শাড়ি পড়বি। মাথায় ঘোমটা দিয়ে থাকবি।
তা না এইসব জামা পড়ে চলে এসেছিস রে ছেমড়ি। ”
তাসফি অবাক ঝরা গলায় বলল,
” সে কি আমার শ্বাশুড়ি মা তো এগুলো সব সময় পড়ে দেখো নি বুঝি। দুঃখিত নানি।”
ফিরোজা বেগম কোমড় বাকিয়ে উঠে এসে তাসফির হাত ধরে সোফায় বসালেন।
সে পাশে বসে ফিসফিস করে বলল,,
-” আরে ছেমড়ি বুঝোস না। তোর সুয়ামী তো বিয়েতে নারাজ। এখন এগুলা পড়ে যদি সারাক্ষণ তার সামনে ঘুরঘুর করোস তার মন পাবি কেমনে ছেমড়ি। শাড়ি পড়ে তার সামনে ঘুরঘুর করবি তবেই না তার চোখে লাগবে। আর তোরে ভালোবাসমু।”
–“তাসফি মনে মনে হাসে ইশশ ভালোবাসা না ছাঁই। তোমার নাতি তো একটা কষাই নানি, সে আবার ভালোবাসবে কি করে বলো তো।যে বিয়ের রাতে নতুন বউয়ের সঙ্গে একটু ভালো মুখে কথা বলে না। ভালো মুখে আর কি কথাই তো বলে না।সারাক্ষণ তার কপালখানা কুঁচকে রাখে।বোধহয় কপাল কুঁচকানোর ব্যারাম আছপ তার। ”
ফিরোজা বেগম চোখ পাকিয়ে তার দিকে তাকালো।
— চুপকর ছেমড়ি। সে যাইহোক তোর সোয়ামী। তাকে খুশী করা দোর দ্বায়িত্ব বুঝলি।
তাসফি বুঝদারের মতো মাথা নাড়লো।
ফিরোজা বেগম ফিসফিস ছেড়ে এবার কর্কশ গলায় বললেন,,
— এবার যা তো নাত বউ সকলের জন্য চা করে নিয়ে আয়। নতুন বউয়ের হাতে চা না খেলে কি আর চলে নাকি।
তাসফি বিরবির করে বলল,, ” ইশশ বুড়ি কেমন মুহুর্তেই নিজের রং পাল্টে ফেললো দেখেছো।
তার বাড়ি বুড়ি দাদি ও এত দ্রুত রং পাল্টায় না।
তাসফি কে কিচেনে দেখে অনিমা বেগম ধমকালেন,,
— কি ব্যাপার তুমি আজ কিচেনে কেন এসেছো তাসফি। যাও ড্রয়িংরুমে যাও সোফায় বসো নাস্তা করবে। তারপর তোমায় দেখতে কিছু পরিবেশি আসতে পারে। যাও।এসবের অনেক সময় পাবে। যাও। এখন এগুলো তোমার কাজ নয়। সময় হলে নিজের ইচ্ছাতেই করবে।
তাসফি বাধ্য মেয়ের মতো কিচেন ছেড়ে বেড়িয়ে এলো।
সে কি যেতে চেয়েছিলো নাকি। ওই বুড়ি তো তাকে পাঠালো।
তাসফি পুনরায় এসে ফিরোজা বেগমের পাশে বসতেই তিনি মুখ বাঁকালেন।
তাসফিকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলল,,
” এই মেয়েকে নিয়ে আর পারিনা। নতুন বউকে কিচ্ছু করতে দেবেনা। আমার মেয়েটা বড্ড ভালো কিনা।
তবে তুই ভাবিস না বেচে গেলি। তোকে দিয়ে আজ না হলে কাল আমি ঠিকই চা বানিয়ে খাবো।হুহ!”
তাসফি নিরাশ মুখে বসে রইলো। সব ভালো হয়ে ও কেমন যেন বিষাদ। বিষাদ।এমন কেন লাগছে তার।
ছেহ বিয়ের পর বুঝি এমন নিরামিষ জীবন পার করতে হবে তার।বাড়িতে থাকতে এতক্ষণ তার চাচাতো ভাই বোনের সঙ্গে যুদ্ধ লেগে যেতো।
অনিমা বেগম তাসফি কে নাস্তা করতে ডেকে পাঠালেন।
সেও শান্ত মেয়ের মতো নাস্তা করতে বসে গেল। নাস্তার টেবিলে দেখা গেল তার বড় ভাসুরের পাঁচ বছরের মেয়ে পা্ন্না কে। ভারী মিষ্টি দেখতে।
— কাকিয়া, কাকিয়া তুমি কেমন আছো?
ইশশ কি আদুরে ডাক, তাসফির মনে চাইলো এখনি ওই ফোলা গাল দুটো ধরে একটু টেনে দিক।
তাসফি মুচকি হেঁসে তার কথার জবাব দিল।
“ভালো। তুমি কেমন আছো। কি নাম তোমার।”
পান্না তার মধুর স্বরে জবাব,
“আমিও ভালো আছি কাকিয়া। আমার নাম পাঁন্না। তোমার কি গো।”
“ইশশিরে। ”
পাশ হতে পান্নার মা পায়েল ধমক দিলো।
” কাকিয়াকে এসব কি প্রশ্ন তোমার পাঁন্না। চুপচাপ খাবার খাও।”
“আহাঃ ধমকাবেন না ভাবী ছোট মানুষ। ইশশ কি আদুরে। একদম রসগোল্লা।
পায়েল তাসফির কথায় হেঁসে দিলো।
“তুমিও কিন্তু খুব মিষ্টি তাসফি।আমার দেওর যে কেন এত ঘাউড়ামি করছে। এমন মিষ্টি বউয়ের সঙ্গে কেউ গোসা করে বুঝি।”
পায়েলের কথায় তাসফি হালকা লজ্জা পেল। তবে তা মুহুর্তেই গায়েব হয়ে গেল।
সে মনে মনে বলল,
” আপনার বদমাশ দেওর কি করে বুঝবে আমি মিষ্টি না তেঁতো। সে তো আমায় চেখেই দেখেনি ভাবি। স্বাদ বুঝবে কেমন করে।”
নিস্তব্ধ মেজো ভাইয়ের বউ ইয়ানা আড়চোখে এদের আদিক্ষেতা দেখে মুখ ছিটকালো।
যত্তসব ডং এদের।
ভদ্রমহিলা ভারী অহংকারী।বাপের বাড়ি গাদি গাদি টাকা থাকায় অহংকারে তার মাটিতে পা পড়ে না।তবে অনিমা বেগমের কাছে এসব বড়লোকি একদমই খাটে না।
অনিমা বেগমের এক ধমকে ইয়ানা চুপসে যায়।
“কি ব্যাপার তাসফি তুই তো কিছুই খাচ্ছিস না। খাবার কি ভালো হয় নি নাকি? ”
বাসন্তীর প্রশ্নে তাসফি হালকা হেঁসে বলল,
” না আপা খাবার ভালো হয়েছে।কিন্তু আমি আসলে বেশি গরুর মাংশ খেতে পারি না। ডিম হলে ভালো হতো।”
তাসফি’র নিঃসংকোচ আবেদনে সবাই অবাক হলো।
মেয়েটা কেমন একবেলায় সবার সঙ্গে মিশে গিয়েছে।
পায়েল বলল,
” আমি এখনি এনে দিচ্ছি তুমি একটু খানি বসো।
এই রুম্পা তাসফিকে আরেকটা প্লেট দে তো। তুইও খেটে বসে যা।
” যাই বউদি মনি”
নিলয় সাহেব তাদের মালি হাজিকে নিয়ে বেড়িয়েছেন বাজারে। বিয়েটা বেশি বড় করে করা হয়নি বলে কাছের জন ছাড়া প্রায় লোকই জানেন না।ছেলে তার বলে দিয়েছে এই মুহূর্তে সে ঘটা করে কিছু করতে চাইছে না। যখন সময় আসবে তখন সে নিজেই মানুষ ডাকবে। তাছাড়া অহেতুক টাকা নষ্ট করে মানুষের পিছনে কোনো লাভ নেই।
এও বলেছে তার কর্মস্থলে কেউ যেন না জানে বিয়ের খবর। আনম্যাচিউরড একটা মেয়েকে তো সে নিজের কলিগদের সাথে বউ বলে পরিচয় করাতে পারবেনা। তার পক্ষে অসম্ভব! নিলয় সাহেব বুঝে পায়না তার ছেলের নাম রাখলো নিস্তব্ধ। অথচ ছেলের কথায় কথায় এমন গোলা বারদ ছোটায় কি করে।
নাম রাখা উচিত ছিল আগুন তাহলে বোধহয় একটু শান্ত শিষ্ট হতো ছেলেটা তার।
একঝাক মহিলা এসে তাসফিকে দেখে গিয়েছে। শাড়ির বদলে থ্রী পিচ পড়ায় কেউ কেউ চোখ ছোট্ট ছোট্ট করে তাকিয়েছে। আড়ালে মুখ ভেঙচি কেটেছে। তাতে তাসফির কি। কেউ কেউ তো বলেছে সুন্দর দেখতে, আবার কেউ বলেছে নিস্তব্ধ এর মত ছেলের সাথে একটু কম মানিয়েছে।
আরেকজন ঠেস দিয়ে বলল,
ধূসর রংধনু পর্ব ১
” আমাদের ছেলের থেকে একটু খাটো মনে হয়।”
তাসফি ভেবে পায় না আজকাল শহরেও এমন কুসংস্কারাচ্ছন্ন রীতির মানুষ কে খুঁজে পাওয়া যায়।আশ্চর্য। যে যা খুশি বলুক তাতে তার কি। সে কি এখন টিপিকাল বউদের মত এদের কথায় মন খারাপ করে ঘরে বসে থাকবে? নাকি নাকের জলে, চোখের জলে একাকার করবে? অবশ্যই না, হাস্যকর বিষয়।
তাসফি বরং এদের কথায় ভারী মজা পাচ্ছে।
অবশ্য তার শ্বাশুড়ি মা বড় ভালো মানুষ সবাই কে এটা ওটা বলে কথা ঘুড়িয়ে নিচ্ছে।
যেমন…..