ধূসর রংধনু পর্ব ২৯

ধূসর রংধনু পর্ব ২৯
মাহিরা ইসলাম

ওসমান ভিলার সন্ধ্যার পরের পরিবেশটা আজ কেমন থমথমে।
তাসফির বাসায় না ফেরার খবর শুনে সকলের মুখে দুঃচিন্তার ছাপ স্পষ্ট। চিন্তায় কাহিল তাদের মুখভঙ্গি।
তার মাঝে মেজ বউ ইনায়া শুধু ঢং বলে আদিক্ষেতায়
মুখ বাঁকাচ্ছে তবুও আড়ালে।তবে তা কেউ আমলেও নিচ্ছে না।
মেজ চাঁচি যখন বলল, তাসফি বাসায় ফেরেনি তারা ভেবেছিলো হয়তো কোনো বান্ধবীর বাসায় গিয়েছে।
কিন্তু দুঃচিন্তা তাদের কমার বদলে বাড়তে শুরু করলো যখন সবাই একে একে তাসফির নম্বরে ফোন করতে শুরু করলো।

ফোন নট রিচেবল বলছে।
যতবার ফোন দেওয়া হচ্ছে মহিলা অসহ্য কন্ঠটি একি বাক্য শুনতে তাদের আর ধৈর্য্য কুলাচ্ছে না।মহিলার কন্ঠস্বর সুন্দর মোটেও অসহ্য বা কর্কশ কোনোটাই নয়।তবুও দুঃচিন্তার সময় সেই মিষ্টি কন্ঠস্বর ও মাঝে মাঝে সবার কাছেই অসহ্য।
বাসন্তীর কাছে আশার নাম্বার ছিল।একবার দিয়েছিল তাকে তাসফি।
সে দ্রুত ফোন লাগালো তাকে।প্রথমে আশা বাসন্তী কে চিনতে পারলো না। তাসফির ননদ বলায় বুঝতে পারলো।সেদিন তাসফিদের বাসায় দেখেছিলো সে বাসন্তী কে।
আশা জানালো কই নাতো তাসফি তো তাদের সঙ্গে আসে নি।
ওও তো প্রাক্টিক্যাল ক্লাস করতে থেকে গিয়েছিল।
এতক্ষণে তো বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা।
আশার মাঝে ও চিন্তারা ভর করে বসলো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আশা পড়লো চিন্তায় এতটা সময় হয়ে গেল।তার বান্ধবী এখনো বাসায় ফিরলো না। কোনো বিপদে পড়লো না তো।
সবার তখন আক্কেল গুরুম অবস্থা।
নিলয় সাহেব বের হলেন পুলিশ স্টেশনে খবর দিতে।
কি করবে কোথায় খুঁজবে তারা ভাবতে পারলো না।
আটটা গড়িয়ে নয়টায় কাছাকাছি। ফোন বন্ধ করে একটা মেয়ে এতক্ষণ বাড়ির বাহিরে থাকবে তার প্রশ্নই ওঠে না। তাসফির ক্ষেত্রে তো নয়ই।
মেয়েটা আগে কখনো এমন করে নি।
নির্ঘাত কোনো বিপদে পড়েছে।

অনিমা বেগম এই মুহুর্তে হসপিটালে থাকা ছেলেকে ফোন না দিয়ে কোনো উপায় দেখছে না।
নিলয় সাহেব একা একা বা কি করবেন।
অনিমা বেগম নিস্তব্ধ কে বারবার ফোন দিয়ে লাভ হচ্ছে না।ছেলেটা ফোন ধরছে না।
অনিমা বেগম হতাশ হয়ে ফোন রেখে দিলেন।
বাসন্তী জিজ্ঞেস করলো কি হলো মা?
অনিমা বেগম হতাশ কন্ঠে বললেন,
-” কল তুলছে না নিস্তব্ধ ”
দাদুকে ঘরে শুইয়ে রাখা হয়েছে।তাসফির খবর শুনে
তার পেশার বেড়ে গিয়েছে।এমনিতেই তার হাই পেশার।
আয়েশা চট করে বলল,

-” মা নিস্তব্ধ’র বন্ধুের তো খবর দেওয়া যেতে পারে?ওরা যদি কিছু একটা করতে পারে।”
বাসন্তী বলল,
-” হ্যাঁ ঠিক বলেছো।”
ওদের সবার নম্বরই বাসন্তীর কাছে ছিল।
সে প্রথমেই সুজনের নম্বরে কল দিলো।কিন্তু কাজ হলো না।সুজন ও নিস্তব্ধ’র মতন ফোন তুলছে না।
বার বার দিয়েও ব্যর্থ হলো।
আয়েশা আশ্বাস দিয়ে বলল,
-” কোনো ব্যাপার নয় সৃজন কে কল দাও।”

বাসন্তী সৃজনের নম্বরে কল দিলো।কিন্তু সে জানালো তারা আজ বিকালেই গ্রামের বাড়িতে এসেছে।
বাসন্তী কাঁদো কাঁদো চোখে সবার দিকে চাইলো।
ওই যে কথায় আছে না।বিপদ যখন আসে চারিদিক থেকে একসঙ্গে এসে ঘীরে ধরে।
অনিমা বেগম বললেন,
-” মাহীন কে একটা ফোন দে না।”
বাসন্তী হালকা ইতস্তত মুখ করে মাহীন কে ফোন দিলো।
এবারে ওপাশের ফোন রিসিভ হলো।
পারুল ধরেছে ফোন।

ওপাশে পারুলের কন্ঠ শুনে বাসন্তী আরো জড়োসড়ো হয়ে বলল,
-” তোমার ভাইয়া কে একটু দেওয়া যাবে পারুল। একটু দরকার ছিল।”
পারুল তার হবু ভাবীর কন্ঠ শুনে খুশিতে আত্মহারা। চিৎকার করে মাহীন কে ডেকে বলল,
-” ভাইয়ায়া ভাবী ফোন করেছে,ভাইয়ায়া।”
মাহীন নিজের রুমে কি জানো করছিলো।
ওর চিৎকার শুনে বেরিয়ে এসে পারুলে মাথায় টোকা দিয়ে ফোনটা নিলো।
মাহীন ফোন ধরে দুষ্টুমি করে বলল,
-“কি ব্যাপার বাসন্তী সুন্দরী আজ নিজে থেকে আমায় ফোন করলো যে?”
এবারে ওপাশে মাহীনের কন্ঠ শুনে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো সে।
বাসন্তী কন্ঠে বিষাদ মিশিয়ে বলল,

-” তোমার ফাজলামো রাখো মাহীন।”
মাহীন কিছুটা চিন্তিত হলো।চিন্তিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো-” কি হয়েছে বাসন্তী কেঁদেছেন কেন? গলাটা কেমন ভার ভার লাগছে। ”
বাসন্তী প্রশ্রয় পেয়ে আরো গলে গিয়ে কাঁদোকাঁদো স্বরে বলল,
-” তাসফিকে পাওয়া যাচ্ছে না মাহীন।”
মাহীন আশ্চর্য হয়ে বলল,
-” পাওয়া যাচ্ছে না মানে?”
-” কলেজ থেকে এক্ষনো বাড়ি ফিরে নি। ওর বন্ধুদের কাছে ওও খোঁজ নিয়েছি ওরাও বলছে কিছু জানেনা।”
মাহীন চিন্তিত হয়ে বলল,
-” নিস্তব্ধ কে জানিয়েছেন। ”
-” না ভাই ফোন তুলছে না তো।”

-” আচ্ছা আমি দেখছি। আপনারা টেনশন করবেন না।জলজ্যান্ত মেয়েটা তো উধাও হয়ে যাবে না।”
মাহীন বাসন্তীর উদ্দেশ্যে আর একটু আদুরে স্বরে বলল,
-” আপনি একদম টেনশন করবেন না বাসন্তী। রিল্যাক্স, আমি দেখছি ব্যাপারটা।”
মাহীন নিস্তব্ধ কে কল করলো কিন্তু ফোনটা রিসিভ হলো না।
রিসিভ হবেই বা কেমন করে নিস্তব্ধ তো ফোনের কাছেই নেই।
রাতের পার হলো আরো কিছুটা সময়।
নিস্তব্ধ আর সুজন দুজনেই মাত্র ওটি থেকে বের হলো।
নিস্তব্ধ ক্লান্ত ভঙ্গিতে হেঁটে নিজ চেম্বারে গিয়ে চেয়ারে গাঁ এলিয়ে দিলো।
ফোনটা হাতে নিয়ে ফোনের ভাইব্রেট খুলতে মুহুর্তে সশব্দে তার ফোনটা বেজে উঠলো।
মাহীনের ফোন।
মাহীন ওপাশ থেকে জিজ্ঞেস করলো,

-” তুই কোথায় ভাই?”
নিস্তব্ধ হসপিটালে বলতেই ওপাশ থেকে মাহীন শুধু বলল” আমি আসছি।”
এরপরই কেটে দিলো।নিস্তব্ধ অবাক হলো।
ফোনের নোটিফিকেশন চেক করে দেখলো বাড়ি থেকে অনেক গুলো কল এসেছে।সে ভারী অবাক হলো।
নিস্তব্ধ বুঝতে পারলো না হঠাৎ কি হলো।
ফোন দিতেই যাবে তখন সুজন দৌড়ে এলো বলল,
-” এই বাসন্তী আপার তো অনেকগুলো মিস কল উঠে রয়েছে।কি হলো বলতো।”
নিস্তব্ধ আরো চিন্তিত হয়ে পড়লো।
বলল,

-” হ্যাঁ তাই তো দেখছি।ওয়েট আমি কলব্যাক করে দেখছি হঠাৎ কি হলো।”
নিস্তব্ধ কোনো অজানা বিপদের আশঙ্কা করছে। সন্ধ্যা থেকেই তার মন টা কেমন অস্থির অস্থির লাগছিলো।
নিস্তব্ধ ফোন করতেই অনিমা বেগম ফোন ধরলেন।
নিস্তব্ধ চিন্তিত কন্ঠে বলল,
-” কি ব্যাপার মা।হঠাৎ এতগুলো মিস কল। এনি প্রবলেম?”
অনিমা বেগম আতঙ্কিত কন্ঠে বলল,
-“তাসফি কে সন্ধ্যা থেকে পাওয়া যাচ্ছে না নিস্তব্ধ। ফোন বন্ধ। এখনো বাড়ি ফেরে নি।”
নিস্তব্ধ উত্তেজিত হয়ে বলল,

-” কি বলছো কি মা।ও তো কোনো পাঁচ বছরের ছোট বাচ্চা নয় মা যে মেলায় হারিয়ে যাবে।এর আগেও রাতে যাতায়াত করেছে সে। তোমাদের কোনো আইডিয়া আছে কি বলছো তোমরা।রাত দশটা বাজতে চলল,
আর তোমরা বলছো সে এখনো বাসায় ফেরেনি।
মা তোমরা কান খুলে শুনে রাখো আমার বউয়ের কিছু হলে আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলবো না।তোমাদের সবাইকে আমি দেখে নিবো।”

নিস্তব্ধ ফোন কাটার পরে অনিমা বেগম আরো হতাশ হয়ে পড়লেন।
ছেলেটা তার আরো উত্তেজিত হয়ে পড়লো।
সুজন নিস্তব্ধ কে শান্ত করার চেষ্টা করলো।
নিস্তব্ধ আরো উত্তেজিত হয়ে পড়লো,
-” কি শান্ত হবো বল। তুই ভাবতে পারছিস।যদি কোনো বড়সড় বিপদে পড়ে থাকে? সন্ধ্যা থেকে এখনো বাড়ি ফিরে নি।পুঁচকে মেয়েটা নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবতে শুরু করেছে। বেশি ডানা গজিয়েছে। ওর ডানা যদি আজ না ছাটিয়েছি আমি।”

নিস্তব্ধ ফোন করলো তার চেনা এক ভাইকে।
তাকে বলল,” যে করেই হোক তার দেওয়া ফোনের লোকেশন ট্রাকিং করতে।
অতঃপর গাঁ থেকে এপ্রোন খুলে ছুরে ফেলে ফোন পকেটে ঢুকিয়ে দ্রুত গাড়ির চাবি নিয়ে বাইরে বের হয়ে গেল।
সুজন পেছন থেকে চিল্লিয়ে বলল,
-” কোথায় যাচ্ছিস।আমি ও আসছি।এভাবে হাইপার হোস না ভাই।”
নিস্তব্ধ’র কর্ণ সুজনের কথা গুলো পৌঁছালো না।

অন্ধকার এক রুমের মাঝে তাসফি কাতরাচ্ছে।
প্রতি মুহুর্তে গাঁ শিউরে ওঠা ভয়ে তার হাত পা ঠান্ডা হয়ে এসেছে।
তখন কেউ পিছু থেকে চেপে ধরায় ভয়ে তাসফি জ্ঞান হারিয়েছিলো।ঘন্টা খানেক আগে তার জ্ঞান ফিরেছে।
জ্ঞান ফিরতেই তাসফি চোখ চোখ পিটপিট করে তাকালো।
চারিদিকে অন্ধকার। বুঝতে অসুবিধা হলো না ইতোমধ্যে রাত ঘনিয়ে এসেছে অনেকটা।
তার হাত, পা বাঁধা। কিন্তু এখন চোখ খুলে দেওয়া।
তাসফি দেখতে পেল দূরে অবস্থিত ল্যাম্পপোস্টের আলো রুমটার জানালা দিয়ে প্রবেশ করছে। সেই আবছা আলোয় রুমের চারিদিকে অবলোকনের পর তাসফি ভয়ে আতঙ্কে মুর্ছা গেল।এই বুঝি পূনরায় সে জ্ঞান হারাবে।কি ভয়ংকর। চারিদিকে লাশে লাশে সজ্জিত।

এটা কোনো সাধারণ রুম নয়।এটা তাদের কলেজের মর্গ।
চারদিকে লাশের বহর সাঁজানো।
তাসফি চিৎকার করে উঠললল।
কিন্তু হায় আফসোস উমম উমম ব্যতীত কোনো শব্দ তার মুখ দিয়ে বের হলো না।
সে দাঁড়াতে পারছে না তার পা বাঁধা, হাত বাঁধা।
কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয়েছে।
ভয়ে কেঁপে কেঁপে উঠছে। অন্ধকারের সঙ্গে একা থাকায় তার ফোবিয়া আছে।
মনে হচ্ছে এই বুঝি লাশ গুলো জীবিত হয়ে ক্রমাগত তার দিকে এগিয়ে আসবে।
তাসফি থেকে থেকে কেঁপে কেঁপে উঠছে।ফুঁপিয়ে কাঁদছে।সে খুব ভালো করে বুঝতে পারছে কেউ ইচ্ছা করে তাকে এই কানে রেখে গিয়েছে।যারা তাকে এখানে রেখে গিয়েছে তারা খুব ভালো করে জানে সে অন্ধকারে ভয় পায়। সঙ্গে আরো ভয় পাওয়াতে এই মর্গই যথেষ্ট। ভয়ে একদম কাবু হতে চোখগুলো খুলে দিয়েছে।
আতঙ্কে তাসফির প্রতিটা মুহুর্ত প্রতিটা সেকেন্ড দুর্বিষহ ভাবে কাটছে।
নিস্তব্ধ সি সি ক্যামেরার কাছে গিয়েও কোনো লাভ হলো না।ক্যামেরা নষ্ট। নিস্তব্ধ ভেবে পেল ক্যামেরা গুলো হঠাৎ নষ্ট হলো কি করে।

সি সি ক্যামেরার দ্বায়িত্বে থাকা লোকটাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারল এগুলো দুদিন আগেই নষ্ট হয়েছে।কাল নতুনগুলো ডেলিভারী হবে।
নিস্তব্ধ ভেবে পেল না এতবড় কেয়ারলেস ভাবে এতবড় একটা হসপিটাল, কলেজ চলছে কেমন করে।
দুদিন যাবত সি সি ক্যামেরা নষ্ট অথচ ঠিক করার তাগিদ নেই।
নিস্তব্ধ কিছুক্ষণ লোকটার উপর চিল্লাফাল্লা করলো।
তাকেই বা দোষ দিয়ে লাভ কি।দোষ তো অথরিটির।
নিস্তব্ধ পিয়ন কে জিজ্ঞেস করলো।আপনি সব রুম বন্ধ করার সময় ভালোভাবে চেক করেছিলেন তো।
পিয়ন বলল,

-” হ্যাঁ স্যার কেউ নাই ভিতরে আমি সব রুম চেক করে তবেই তালা মেরেছি।”
-” ওয়াশরুম? ওয়াশরুম চেক করেছে? ”
-” জ্বী স্যার।”
নিস্তব্ধ মাথা চেপে বসে পড়লো।
নিস্তব্ধ’র নিজেকে এখন একটা অপদার্থ মনে হচ্ছে।
নিস্তব্ধ’র ফোন বেঁজে উঠলো সুজন কে ইশারা করে তাকে ধরতে বলল তার কিছুই ভালো লাগছেনা।
-” সুজন ফোন রিসিভ করে কথা বলল।”
ফোনের লোকেশন ট্রাক করা গেছে।
ততক্ষণে মাহীন ওও চলে এসেছে কলেজে।
লোকেশন জেনে নিস্তব্ধ ছুটল গাড়ির দিকে।
এবার হয়তো বউয়ের খোঁজ পাবে নিস্তব্ধ এই আশায়।
নিস্তব্ধ’র সঙ্গে সুজন আর মাহীন ওও এলো।
নিস্তব্ধ নিজে ড্রাইভ করতে লাগলো।

গাড়ির স্প্রিড দেখে পরা দুজনেই ভয় পেল।কেনো অঘটন না ঘটে যায়।
নিস্তব্ধ ইয়াসারের মাথায় তখন একটাই চিন্তা যে করেই হোক তার বউকে সেভ করতে হবে।তা যেভাবেই হোক।সে করবেই।
তখন রাত এগারোটা পেরিয়ে গিয়েছে।

ধূসর রংধনু পর্ব ২৮

নিরব হাইওয়ের রাস্তা ধরে নিস্তব্ধ দ্রুত বেগে তার গাড়িটা ছুটিয়ে চলেছ।গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
উদ্দেশ্য, গন্তব্য একটাই “তাসফি”।
এদিকে অন্ধকার মর্গে তাসফির নিঃশ্বাস ক্রমেই বন্ধ হয়ে আসছে।
তবে কি এখানেই এভাবে ছটফট করতে করতে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হবে।

ধূসর রংধনু পর্ব ৩০