ধূসর রংধনু পর্ব ৮

ধূসর রংধনু পর্ব ৮
মাহিরা ইসলাম

তাসফিকে এভাবে দৌঁড়ে আসতে দেখে বাসন্তী অবাক হয়ে বলল,,
— “কি ব্যাপার তাসফি এভাবে দৌঁড়ে আসছিস কেন? কিসে তাড়া করলো রে আবার তোকে।”
তাসফি হাপাতে হাপাতে বলল,,
–” তাছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না তো আপা।পাগলা ষাড়ে তাড়া করেছিলো যে।”
বাসন্তী ঠাট্টার স্বরে বলল,, বলিস কি বাড়ির মধ্যে তুই ষাড়ের হদিস পেলি কেমন করে।
— “কেন তোমার ভাই, ফর্সা পাগলা ষাড়।তোমার ভাই থাকতে আবার নতুন করে ষাড় থাকার প্রয়োজন নেই তো আপা।”
বাসন্তী শব্দ করে হেঁসে দিলো। হাসতে হাসতে বলল,,

— “তা আমার ভাই তোকে শুধু শুধু কেন তাড়া করবে।
তুই তার ঘরে কত অকাম কুকাম করে রেখেছিস তবুও তো তোকে কিচ্ছু বলতে দেখলাম না। তোর পিঠের ছাল তুলেনি এই তো ভারী অবাক করা বিষয়।কাহিনি কিন্তু আমি বুঝলাম না। কি এমন বশিকরণ করলি বলতো।”
তাসফি নাটকীয় ভঙ্গিমায় বলল,,
” তোমার ভাইকে করব আমি বশিকরণ। অসম্ভব। তাছাড়া তোমার গোমরামুখো ভাইয়ের কখন কি মতিগতি হয় তা কি আর আমি বুঝতে পারি। সারাক্ষণ মুখখানা কে বাংলার পাঁচের মতো করে রাখলে কেই বা বুঝবে তার মনোভাব বলো।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অতঃপর মনে মনে বলে,,” তোমার ভাইয়ের তো কিছু বলার প্রয়োজনই পড়ে না আপা, তার কথার তীরেই তো এই তাসফি কপোকাত হয়ে যায় মুহুর্তের মাঝে।”
তাসফি সারারুমময় পায়চারি করছে সে এখন তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনবে কি করে।সে লোকটার সামনে টিকবে কি করে। লজ্জায় অস্বস্তিতে তাসফি তটস্থ।
কাল কলেজে যেতে হবে। অহংকারী পুরুষটি তো তার আগে আর কলেজে যাবে না নিশ্চয়ই, এখন কি করে সে তার জিনিসপত্র আনবে। ভাব তাসফি ভাব। মাথা টা সঙ্গে রেখেছিস কেন একটু বুদ্ধি বের কর তোর মস্তিষ্ক ঘাটিয়ে।
নিশ্চয় এক সময় না এক সময় বাইরে বের হবে লোকটা।
সে তখন টুপ করে সেগুলো নিয়ে আসবে।হ্যাঁ এটাই উপায়।তাকে তক্কে তক্কে থাকতে হবে। কখন বের হয় বলা তো যায় না।লোকটার মর্জি তো বোঝা দায়।

তাসফি দুপুরে খাবার এনে রুমে বসে খেয়েছে। আর বাইরে বের হয়নি। ওই লোকের সামনে পরার মানেই হয় না।
বিকালের দিকে তাসফি দেখলো ডাক্তার সাহেব বাহিরে বের হচ্ছে।
তাসফি উৎফুল্লতা নিয়ে নিস্তব্ধ”র রুমের দিকে এগিয়ে গেল।
তবে দরজা সামনে পোঁছাতেই তার সমস্ত আশা যেন হতাশায় পরিনত হলো।কে জানতো তার এই বুদ্ধিটাও দুধে ঘোলে মিশে যাওয়ার মতোই অবস্থা হবে।
দরজায় ইয়া বড় একখানা তালা ঝুলছে। মানে টা কি দিন দুপুরে রুম তালা দেওয়ার কি প্রয়োজন আজব।
বিরক্ততে কপাল কুঁচকে সে রুমে এলো।
বাসন্তীকে সামনে পেয়ে রাগ দেখিয়ে বলল,,

–” কি শুরু করেছে তোমার ভাই এই ভর দুপুরে তার কেন ঘরে তালা দিয়ে বাইরে যেতে হবে বলো। কি এমন জিনিস আছে তার ঘরে।সোনা দানা, লক্ষ লক্ষ টাকা পয়সা তো আর নেই।আর থাকলেও মানুষের তোর আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই তোমার জল্লাদ ভাইয়ের রুমে গিয়ে তল্লাসি চালাবে।”
বাসন্তী কৌতুক করে বলল,

–” কেউ তল্লাসী চালায় কিনা তা তো দেখাই যায়।আর কেন তালা দিলো সেটা তুই বরং ভাইকে গিয়েই প্রশ্ন কর তাসফি। আমি কি করে জানবো বলতো। তার রুম তার মর্জি। তাছাড়া বর্তমানে তো তার রুমে হুটহাট একটা ছোট্ট ইদুরের উৎপাত ঘটেছে তাই বোধহয় এই নিরাপত্তা।”
— আপা। তুমিও অন্তত আমায় অপমান করো না। ধূর ভাল্লাগে না, তোমরা দুই ভাই বোনই এক রকম।দিন দিন তুমি ওনার মতো হয়ে যাচ্ছো।
বাসন্তী টেনে টেনে বলল,

— বা.. বা ওনা..র?
তাসফি খানিক লজ্জা পেয়ে মিছে রাগ দেখিয়ে বলল,
-” ধূর যাও তো তুমি আপাই। ভাই বোন দুটোই বদমাশ তোমরা।”
সন্ধ্যার পরে তাসফি পান্না কে পাকড়াও করে বলল,,
— “পান্না সোনা যাও তো দেখে আসো তো তোমার কাকাই রুমে আছে কিনা।দেখে এসে আমাকে জানাবে কেমন।”
— পান্না ভদ্র বাচ্চার মতো মাথা নাড়লো। তার কাকিয়ার সব কথা মেনে চলে সে।
সে একদৌড় গিয়ে আবার ফেরত এলো।
তাসফি ভ্রু নাচিয়ক জিজ্ঞেস করলো,,

— কি দেখলে?
— রুমে কেউ নেই তো কাকিয়া।
— তুমি একদম ঠিক দেখেছো তো?
ওয়াশরুম? ওয়াশরুমে কেউ নেই তো?
– নাহ।
— আচ্ছা। তুমি যাও তাহলে। তোমায় কাল চকলেট দেবো।
তাসফি তবুও চুপিচুপি পা ফেলে নিস্তব্ধ’র রুমের দিকে এগুলো। বলা তো যায় না সাবধানের মার নেই।
দরজা দিয়ে সে উকি মেরে দেখলো সত্যি রুমে কেউ নেই। ওয়াশরুমের দরজা খোলা। তার মানে বান্দারাম সত্যি সত্যিই রুমল নেই।এই সুযোগ।

নিশ্চিত হতেই তাসফি চট করে ঢুকে পড়লো রুমে।ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দিলো টুক করে।
নিচু হয়ে নিজের কাপড় তুলতে শুরু করলো জরুরি ভঙ্গিতে।
তখনি বেলকনি থেকে নিস্তব্ধ কফির মগ হাতে রুমে প্রবেশ করলো।
দেখলো ম্যাডাম নিচু হয়ে কাপড় গুছাতে ব্যস্ত।
নিস্তব্ধ দেওয়ালে হেলান দিয়ে তাসফির কার্যক্রম তীক্ষ্ণ চোখে পরখ করতে লাগলো। কফির মগে চুমুক দিয়ে ঠাট্টার স্বরে ব্যঙ্গ করে বলে উঠলো,,
” ক্লাসে সাইড টকিং আর কুজো হয়ে বসা প্রাকটিস করার জন্য ম্যাডাম বর্তমানে কলেজে যায় বুঝি।
সেই প্রাকটিস বাড়ি ওও শুরু করেছেন নাকি। গুড ভেরী গুড।স্বাস্থ্য ভালো থাকবে চালিয়ে যান।”
নিস্তব্ধ হঠাৎ বলে উঠা কথায় তাসফি চমকে তার দিকে তাকালো।

কথায় আছেনা
যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যাে হয়।
তাসফির বেলায় সে কথা শত ভাগ সত্য প্রমানিত হলো।
তারমানে এই বদলোক তাকে ক্লাসে দেখেছে।
অথচ সে কতটা বোকা। ভেবেছিলো নিচু হয়ে থাকলেই তাকে দেখা যাবে না।
অথচ এখন হচ্ছে উল্টো। এই অহংকারীর লোকের থেকে তার অপমানমূলক কথা শুনতে হচ্ছে।
আর এখন সে এই বোকামিটা করলো কি করে। লোকটা রুমে ছিল সে দেখতেই পেলো না। রুমে নয় নিশ্চয়ই বেলকনিতে ছিল।উফপ তাসফি তুই এতটা মাথামোটা কবে থেকে হতে শুরু করলি।বেলকনি তা একটু চেক দিবি না।
তাসফি একবার দরজার দিকে তাকালো একবার নিস্তব্ধ’র দিকে, তিতলিয়ে বলল,,

— আপনি.. আপনি রুমে ছিলেন।
— আজ্ঞে হ্যাঁ।
— আমি কেন দেখতে পেলাম না।
নিস্তব্ধ কৌতুক স্বরে বলল,,
— সেটা আপনার ব্যাডলাক ম্যাডাম।
তাসফি দৌড়ানোর সুযোগ খুঁজছে
তাসফি পুনরায় দৌড়াতে নিতেই নিস্তব্ধ এগিয়ে এক হাত দিয়ে তাসফির হাত খপ করে ধরে ফেলল।
নিজের অপর হাতে কফির মগ টেবিলে রাখলো।বলল,,

–“সবসময় এত দৌঁড়ানোর এনার্জি পাও কই বলোতো।হরলিকস খেতে শুরু করলা নাকি?
পুঁলচকে মেয়ে পুঁচকে মেয়ের মতো থাকবে। এত ওড়া উড়ি কিসের শুনি”
তাসফি হাত ছোটানোর চেষ্টা করতে করতে রাগী চোখে নিস্তব্ধ’র দিকে তাকিয়ে প্রতিবাদ করে বলল,,
— ” শুনুন আমি না মোটেও পুঁচকে নই। আ’ম অলরেডি এইটটিন প্লাস ওকে।”
নিস্তব্ধ ঠোঁট কামড়ে বাঁকা হেঁসে বলল,

— “তাই নাকি।”
— জ্বী।
নিস্তব্ধ হ্যাচকা টানে তাসফিকে নিজের কাছে টানলো।
তাসফি পিট পিট করে তাকালো।
তার নিঃশ্বাসের গতি উঠানামা করছে দ্রুত বেগে। বুক ডিপডিপ করছে।কি জ্বালা উফফ।
নিস্তব্ধ তার চোখের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ফিসফিস করে বলল,
–” সে আপনার যত টিনই প্লাস হোক না কেন আমার থেকে গুনে গুনে আপনি এগারো বছর পিছিয়ে।বুঝলে পুঁচকে মেয়ে। তাই বেশি বড় হওয়ার ভাইব নিয়ে চলবে না। টিকটে পারবে না।সো বি কেয়ারফুল ওকে।”
তাসফির হাত ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে গিয়ে কি যেন ভেবে আবার পিছু ফিরে চাইলো।
পিছিয়ে এসে তাসফির সোজাসুজি দাড়িয়ে নিজের মাথাটা একটু নিচু করে ফিসফিস করে বলল,,
-“আর ম্যাডাম কাইন্ডলি আপনার মহা মূল্যবান বস্ত্রগুলো এভাবে আমার ওয়াশরুমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন না। আই ডোন্ট লাইক ইট,ওকে।”

তাসফির মাথায় টোকা মেরে নিস্তব্ধ দরজা খুলে বেরিয়ে যেতে যেতে কড়া স্বরে বলল,,
— “আর নিজের সব জিনিসপত্র ছাফ করে এখনি রুম থেকে বেরিয়ে যাও।ফাস্ট। ”
তাসফি বুঝলোনা অসভ্য ডাক্তার কিসের কথা বলল।
তাসফি বিরবির করলো,,

— বেরিয়ে যাও। ফাস্ট। কেন রে এই তাসফি কি তোর রুমে থাকতে চাইছে নাকি। সে তো তার জিনিসপত্র নিতেই এসেছিলো।তুই ছিলিনা তাইতো এইকদিন একটু ফায়দা লুটেছিলো।হুহ!
আধা ঘন্টা পর নিস্তব্ধ আবার নিজ রুমে এলো দেখলো তাসফির প্রায় সব নেওয়া কম্পিলিট।শেষ ব্যাগটা নিয়েই বের হচ্ছে।
— দাঁড়াও
তাসফি ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল,,
— “কি হলো আবার পিছু ডাকছেন কেন সব তো নিয়েই নিয়েছি।”
নিস্তব্ধ কটমট করে বলল,
— তাই না সব নিয়েই নিয়েছো?
— আজ্ঞে।
নিস্তব্ধ তাসফির হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল ওয়াশরুমে।
চিবিয়ে চিবিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে বলল,,
— “তাহলে তোমার এগুলো রেখে যাচ্ছো কার জন্যে। এইসব মেয়েলি জিনিস কি এখন তুমি আমায় পরতে বলবে।আশ্চর্য! ”
তাসফি জিবে কামড় দিলো। আসতাগফিরুল্লাহ।
ছিঃ আসল জিনিস নিতেই তো সে ভুলে গেছে।
সেম অন ইউ তাসফি। তোর মতো আহাম্মক আর দুটো হয় না। যা নিয়ে এত হুলুস্থুল কান্ড। সেই লজ্জাকর ঘটনাই বার বার সামনে এসে যাচ্ছে।

লোকটা তাহলে একটু আগে এটার কথাই বলেছিল।আর সে বুঝতে পারলো না
ছিঃ!
নিস্তব্ধ গটগট পায়ে বেলকনি তে চলে গেল।
তাসফি লজ্জায় অস্বস্তিতে কোনো রকমে ওগুলো তুলে সেগুলো নিয়ে ছুটলো রুমে। তাকে আর পায় কে।
চারিদিকে অন্ধকারে নিস্তব্ধ নিরবতা বিরাজমান। নিরবতা কাজ কারাই বাহুল্য। কারণ এখনই তো একটা সময় যখন পুরো শহর ঘুমন্ত থাকে।নাহলে সারাদিনে লাঠি চার্জ করেও তো কোথায় একটা নিরিবিলি যায়গা খুঁজে পাওয়া সম্ভব না।
বিছানায় শুয়ে নিস্তব্ধ হাসফাস করলো কিছুক্ষণ।ঘুম আসছে না কিছুতেই। সে বুঝতে পারছে না এমন কেন হচ্ছে তার সাথে।

বালিশের পাশ হাঁতিয়ে বের করলো একখানা গোলাপি ওড়না।মিষ্টি গন্ধে নিস্তব্ধ আবেশে চোখ বুঝে নিলো।ইশশ! মুহুর্তেই ঘুম ধরা দিলো তার চোখে।
ধীরে ধীরে তার চোখে ম্লান হতে শুধু করলো ধরণীর সকল রহস্য।
পরদিন ক্লাসে তাসফি মন মরা হয়ে বসে ছিল।তখন আশার আগমন ঘটলো।
— কি খবর রে তোর তাসু। মুখ এমন ভার করে রেখেছিস কেন।
তাসফি মাথা নাড়িয়ে কিছু না বোঝালো।
যথাসময়ে নিস্তব্ধ ক্লাসে উপস্থিত হলো।
চারপাশে গুঞ্জন থামলেও ফিসফাস চলতেই থাকলো।
তাসফি এদের ন্যাকামোতে প্রচুর বিরক্ত হলো।
লেকচারের মাঝে নিস্তব্ধ হঠাৎ পিছে ঘুরে একটা মেয়ে কে ইশারা করে শান্ত স্বরে বলল,,

— “হেই ইউ,, স্টান্ড আপ।”
মেয়েটা নিজের দিকে আঙুল তাক করে বলল,,” স্যার আমি?”
নিস্তব্ধ শান্ত ভঙ্গিতে বলল,,
— “ইয়াহ, গেট আউট ফ্রোম মাই ক্লাস।”
— কিন্তু স্যার…
— “গেট আউট”।
এবারে আর শান্ত নয়।বর্জ্য কন্ঠে বলে উঠলো সে,
নিস্তব্ধ ধমকে কেঁপে উঠলো ক্লাসের সকলে। তাসফি হাত থেকে কলমটাই ঠাস করে পরে গেল।
সে নিজের বুকে থু থু দিল। ও মা গড।এই লোকটা এভানে ঝাড়ি দিতে পারে,তার ভাবনাই ছিল না।কোন কুক্ষণে যে সে এর সাথে গাঁটছড়া বেধেছিলো কে জানে।তার ঝাল তা সে এখন হারে হারে টের পাচ্ছে।
মেয়েটা নিঃশব্দে বেরিয়ে গেল।
নিস্তব্ধ পুনরায় সকলকে শাষিয়ে বলল,,

“পরবর্তী দিন থেকে আমার ক্লাসে কেউ কোনো সাইড টকিং করবে না।যে করবে সে আস্তে করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাবে সসম্মানে। তার এ্যানাটমি পড়ার কোনো দরকার নেই। আন্ডারস্ট্যান্ড।বাইরে গিয়ে মাঠের ঘাস পরিষ্কার করাই বেটার। হিউম্যান বডির কার্যকলাপ জানার তার কোনো দরকার নেই। ”
নিস্তব্ধ ঘুরে পুনরায় নিজের লেকচার শুধু করলো।
সকলে ভয়ে তটস্থ। কারণ তাদের ক্লাস গুলো করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একবার বের হলে পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ সিডিউল গুলো আর পাবে না।
কে বলবে এই সুদর্শন হ্যান্ডসাম ডাক্তার এতটা রাগী হতে পারে। কেউ তো ভাবতেই পারেনি।প্রথম দিন তো শান্তই ছিল।

নিস্তব্ধ লেকচার শেষে রুম ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই চারপাশের গুঞ্জন আবার শুরু হলো। নিস্তব্ধ কে ফেলা হলো সুদর্শন রাগী কড়া ডাক্তার প্লাস লেকচারার এর খাতায়। তাদের কলেজে আরো দুজন হ্যান্ডসাম লেকচারার রয়েছে তবে তারা এতটাও কড়া নয়।
নিস্তব্ধ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশা হাই হুতাশ করে বলল,,
— “বইন এত সুদর্শন একজন পুরুষ কে কেন এত কড়া রাগী হতে হবে বলতো। একটু মিষ্টি করে কথা বললে কি হয় বল।”
তাসফি কৌতুক করে বলল,,

ধূসর রংধনু পর্ব ৭

— “কেন স্যার না তোর ক্রাস।আরো খাও ক্রাস।”
এই লোক কি জিনিস সেটা তো শুধু তাসফিই জানে
আশা আফসোস করে বলল,,
— “আর ক্রাস। বাপের জন্মে আর ক্রাস খাবো না।”

ধূসর রংধনু পর্ব ৯