ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৩৪

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৩৪
মাহিরা ইসলাম মাহী

ধীর পায়ে নীবিড় দু’কদম আদ্রিতের পানে এগোয়।
“ এত রাতে এখানে কি করছো তুমি ব্রো?”
“ হা-ডু ডু খেলতে এসেছিলাম রে মহিষের বাচ্চা। বাট অভদ্র বাচ্চা বউটা সে সুযোগ দিলো না। থাপড়ে গাল ফাটিয়ে দেওয়ার দরকার।বাট পারলাম না।কি বলতো ভীষণ আদুরে তো।বুকে লাগে ইশশ।”

আদ্রিতের স্রেফ উত্তর।চমকানো ভরকানোর লেশ তার মাঝে পাওয়া গেল না।
আদ্রিত চলে যায়।
নীবিড় হতভম্ব দৃষ্টিতে কিছু বিরবির করে।বোঝা দায়।
আদ্রিতের কথন তার বোধগম্য হয়নি।
অথবা সে বুঝতে চাইছে না। হয়তো নিজের মনের মাঝে পোষা অহেতুক যুক্তি সে মেনে নিতে চাইছে।
এটাই যে মানুষের দোষ।
তারা চোখের সামনে যা কল্পনা করে সেটাকেই বাস্তবতায় রুপ দিতে চায়।ভেতরের অদৃশ্য কিছু সত্য তারা জানতে চায় না।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তখন মাঝরাত।রাতের অন্ধকারে আচ্ছন্ন দিনের আলোয় ফোটা সকল রহস্য।
অদিতি নিজ বিছানায় শুয়ে।
খানিক ক্ষণ পর পর তার গা কেঁপে কেঁপে উঠছে কান্নার তোপে।
বুকে তার নিদারুণ ব্যথা।
নিজ ভালোবাসা হারানোর ভয় এতটা তীব্র কেন হয়।কেন হয় মরণ যন্ত্রণা। আচ্ছা মৃত্যুর স্বাধ ও বুঝি এর থেকে ভয়ংকর।

মেয়ের রুমের লাইট জ্বলতে দেখে তৃপ্তি অবাক হয়।এতরাত পর্যন্ত মেয়ে তার কখনো জেগে থাকে না।থাকেনা বললে ভুল হবে, পারে না। অদিতির ঘুম একটু খানি কম হলেই মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়।তীব্র যন্ত্রণা।
দরজায় ধাক্কা দিতেই তা হাট করে খুলে যায়।তৃপ্তি আরো অবাক হয়।
অদিতির রুম রাতে লক না করে ঘুমোয় না।
হঠাৎ কি হলো তার অবুঝ মেয়েটার?
বিছানায় কাছে গিয়ে তৃপ্তি মেয়ের কাঁধে হাত রাখে।
অদিতি চট করে ঘুরে মা কে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে।
তৃপ্তি খানিকটা হোঁচট খায়।

“আমি বোধহয় তোমার ন্যায় ভুল কাজটা করেই বসলাম মা।”
তৃপ্তি দু মিনিট নিশ্চুপে মেয়েকে জড়িয়ে রাখে নিজ বুকে।
ধীরে সুস্থে মেয়ের মাথায় হাত বুলায়।
কান্নারত মেয়েকে দু মিনিট স্থির হতে সুযোগ দেয়।
সে এক অভাগী,হতভাগী, তার মা ছিল না। তাকে সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার কেউ ছিলো না।
অসময়ে তার মাথায় আদুরে হাত রাখার মতো কেউ ছিলো না।
কিন্তু তার অতিথি পাখির জন্য তো সে আছে।তার তৃপ্তি মা আছে।
নিজের মেয়েকে সে কখনো সিদ্ধান্তহীনতা, অনিশ্চয়তার মাঝে ঠেলে দেবে না যে ভুলটা সে অতীতে করেছিল।
উহু কখনো না।অনিশ্চিত জীবনের দিকে মেয়েকে সে কখনো ছুটতে দেবে না।

“ আমাদের ভাগ্যে যা আছে তা যে ঘটবেই মামনী।
আমরা চাইলেও তা আটকাতে পারবো না।যেমন করে আমিও পারিনি ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানকে পরিবর্তন করতে। ওইযে সময়কে কখনো পরিবর্তন করা যায় না। সময় বয়ে চলে নিজ গতিতে।
কি আমি পেরেছি নিজেকে পরিবর্তন করতে।
নিজের অনুভুতি কে পরিবর্তন করতে।
সময় পরিবর্তন নাই বা করতে পারলাম।
নিজেকে তো পরিবর্তন অবশ্যই করতে পারবো। আমি সেটাই করেছি। অতীতে নিজের মাঝে পুষে রাখা অনুভুতিকে কবর দিয়েছি।
ভবিষ্যতে’র জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি ক্রমাগত।
তোমায় ওও সেটাই করতে হবে আমার অতিথি পাখি।জ্যান্ত কবর দিতে হবে নিজের মাঝে পোষা অতীতের সমস্ত অনুভূতির লেশ কে। তোমার মাঝে যে সদ্য জন্মানো অনুভুতি।আমার যে ছিলো বছরের পর বছর একটু একটু করে জন্মানো অনুভুতি। কেউ কিছু জিনিস না চাইতেও পেয়ে যায়। আবার কেউ হাজার সাধনা করেও পায়না বুঝলে অতিথি পাখি। ”

“ কিন্তু এত শক্ত কাজ কি আমার দ্বারা হবে মা?”
অদিতি ফুঁপিয়ে কাঁদে।
তৃপ্তি হাসলো।
“অবশ্যই পারবে।মানুষ চাইলে সব করতে পারে।
আমার অতিথি পাখিও পারবে।
মাকে বিশ্বাস করো তো? “
অদিতি মাথা নাড়ে।
সবসময় হাসিখুশি থাকা মেয়েটা কান্নায় ভেঙে পরে মায়ের কোলের মাঝে।
যেটা তার শেষ আশ্রয়স্থল।
হয়তো এই কান্নাই তার ভবিষ্যতে শক্ত হওয়ার মূলমন্ত্র। কে জানে, মানব জীবনে কখন কি ঘটে।
সময়ের চাকা কখন ঘুরে যায় কে বলতে পারে।

“ নীবিড় ভাইয়াকে খুব ছোট থেকে চিনিস তাই না রে কাশফি?”
কাশফি চমকে চায়।
সে ছিল ক্লাসে অন্যকারো ধ্যানে মগ্ন।
“ মানে?”
নাওমী একই প্রশ্ন পুনরায় করে।
“ চিনতাম।”
কাশফির দীর্ঘশ্বাস লুকায়িত ছোট উত্তর।
নাওমী তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কাশফির পরিবর্তন হওয়া মুখশ্রী অবলোকন করে।
“ ভালোবাসিস নীবিড় ভাইয়া কে?”
কাশফি নাওমীর চোখে চোখ রাখে।ফিসফিস করে বলল,
“ তোর কি মনে হয় নাউডুবা চশমিশ? “
নাওমী হাসলো তৃপ্তির হাসি।তার উত্তর সে পেয়ে গিয়েছে।

নীবিড় দাঁড়িয়ে পার্কিংয়ে।
কালকের ন্যায় আজ ও সে একই দৃশ্য অবলোকন করে।
দেখে নাওমী নিচের দিকে চেয়ে।ঠিক আদ্রিতের যাওয়ার পানে।
মেজাজ তার ক্ষিপ্ত হয়। অগ্নি জ্বলে ভেতরে। দগ্ধ হয় হৃদয়।
তাদের বাসায় থেকে এসব ফষ্টিনষ্টি একদম চলবে না। একদমই নয়।
ব্রো কি করে এমন একটা ঘৃন্য কাজ করতে পারে?বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
রাত তখন বারোটা প্রায়। ঘুম না আসায় নাওমী রুম থেকে বের হয়ে ছাঁদে হাটাহাটি করছিলো।
ধপ করে কিছু পরার শব্দ পেয়ে নাওমী নিচে তাকায়।
দুজন মানুষকে দেখে অবাক হয় নাওমী।
আদ্রিত ভাইয়া তবে আজও এসেছিল? মারু আপু তবে ঢুকতে দেয়নি রুমে?
নাওমী মুচকি হাসে।

কিন্তু সে হাসি তার দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় না।
পিছু ফিরতেই আবছা পুরুষালী অস্তিত্ব ঠাহর করে নাওমী হকচকায়।
নীবিড় তার দিকে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে।
নীবিড়কে এতটা কাছে দেখে কথা বলতে ভুলে বসে নাওমী।
এত অসভ্য কেন মহিষের বাচ্চাটা। দেখ কেমন করে একদম তার গাঁ ঘেসে দাঁড়িয়ে আছে ঝুঁকে।
নাওমী নিশ্বাস বন্ধ হবার জোগাড়। নিশ্বাস নেয় সে ক্রমাগত।
ধাতস্থ হতে তার মিনিট দুই সময় লাগে।

“এতরাতে বাহিরে কি করছো তুমি মিস নাউডুবা চশমিশ? প্রেমিকের জন্য অপেক্ষা করছিলে বুঝি?”
নাওমী চোখ পিটপিট করে চায় নীবিড়ের হঠাৎ ছুঁড়ে দেওয়া অদ্ভুত প্রশ্নে।
“ আমি অবাক হয়ে শুধু তোমার স্পর্ধা দেখছি। শুনে রাখো।কান খুলে শুনে রাখো।আমার বাড়িতে এসব ফষ্টিনষ্টি একদম চলবে না। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে আসবো।”
নাওমী চোখ বড় বড় করে চায়।
কি বলছে কি এসব ছেলেটা। মাথা-তাঠা পাগল হয়ে গেল না তো।
“ ব্রো কেন এসেছিস এত রাতে?”
“ সেটা আপনার বোনের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করুণ।”
“ কেন?”
নাওমী জবাব দেয় না।

“ ওয়েট এ্যা মিনিট।কোনো ভাবে ব্রো তোমার কাছে আসে নি তো?”
“ আসতাগফিরুল্লাহ।আপনার দুলাভাই আমার কাছে আসবে কেন?”
“ হোয়াট।দুলাভাই মানে?
নাওমী বেফাঁস কথা বলে নিজেও থতমত খায়।
কি করবে এবারে সে।
নাওমীকে চুপ করে থাকতে দেখে নীবিড়ের মেজাজ গরম হয়।চট করে সে নাওমী হাত দুটো চেপে ধরে।
নাওমী চোখ বড় বড় করে চায়।
“ দেব ফেলে ছাঁদ থেকে?নাকি সত্যি বলবে? কোনটা?”
নাওমী শুষ্ক ঢোক গিলে।
সে কথা ঘুরানোর চেষ্টায়।
“ দেখুন একদম বাজে কথা বলবেন না। আমার প্রেমিক থাকুক আর না থাকুক তাতে আপনার কি? আপনাকে আমি কিছু বলতে বাধ্য নই।আর শুনুন একদম না নিজের বাড়ি নিজের বাড়ি করবেন না এটা আঙ্কেলের বাড়ি।”

মধ্যে রাত আরাধ্য নিজ অফিস রুমে বসে।
দুহাত তার টেবিলে ভর দিয়ে রাখা।তাতে মাথা ঠেকানো। টেবিলে জ্বলছে একটুকরো ফিনফিনে আলো।
বাড়ি যাওয়ার তাগিদ নেই তার মাঝে।
কিসের তাগিদ থাকবে তার?
বিশাল বাড়িটায় কি আছে তার? কিচ্ছু নেই। কিচ্ছু না। কেউ অপেক্ষা করে নেই সেথায় তার জন্য। কেউ না। কেউ না।একা সে একা।সম্পূর্ণ একা।না ছেলে,না মেয়ে আর না স্ত্রী।
তবে কেন বেঁচে আছে সে? কি কারণে?
এত ধনদৌলত দিয়ে কি হবে? যদি জীবনে সুখটুকু না থাকে।সুখটুকু কোথায় পাবে সে।খোদার কাছে চাইলে কি দেবে সে?

অবশ্যই দিতে হবে।দিতে বাধ্য হবে।
সে করবে বাধ্য। দেখা যাক ওপরওয়ালার তার উপর কতকাল মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারে।
উঠে দাঁড়ায় আরাধ্য।
এতক্ষণ জ্বলতে থাকা টেবিল ল্যাম্পটাও বন্ধ করে দেয়।অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয় পুরো রুম। হ্যাঁ এখন ভালো লাগছে।এই অন্ধকারই তার জন্য ঠিক আছে। ধীর পায়ে জালানার ধারে গিয়ে দাঁড়ায় সে।
পর্দা সরিয়ে থাই গ্লাসটা খুলে দেয় হাট করে।
নিস্তব্ধ রাতের ফিনফিনে হাওয়া গায়ে মাখে সে।নিজেকে জড়িয়ে নেয় ঠান্ডা, শীতলতার আঁচরে।
আরাধ্য’র এসিস্ট্যান্ট মনসুর রুমে প্রবেশ করে নিঃশব্দে।
অন্ধকার রুম দেখে একটুও অবাক হয় না সে।
এটা তার স্যারের প্রায় দিনের রুটিন।
মনসুরের কপাল বেয়ে ঘাম ঝরে।

কারণ তার স্যারের রুম অন্ধকারে মোড়া থাকে তখনই যখন তিনি অত্যন্ত গম্ভীর থাকেন,রাগী থাকে মেজাজ।
সেই মুহুর্তে কোনো কথা তোলা যায় না তার কানে।
কিন্তু মনসুরের এই মুহুর্তে তথ্যটা দিতেই হবে।
মনসুর ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গিয়ে স্যারের পিছে গিয়ে দাঁড়ায়।
মনসুরের ধারণাকে ভুল প্রমানিত করে আরাধ্য কথা বলে উঠলো,
“ কোনো আপডেট মনসুর?”
মনসুর থতমত খেয়ে চায়।
“জ্বী জ্বী স্যার।”
কি আশ্চর্য তার স্যারের হুট করে আচরণ পরিবর্তন হলো কি করে।
“ বলো।”
আরাধ্য’র গম্ভীর স্বর।

“ ছোট সাহেব কে কদিন যাবত একটি মেয়ের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে স্যার।মেয়েটা ইদানীং স্যারের ফ্লাটে ও যাচ্ছে স্যার।এটা তো মোটেও ভালো লক্ষণ নয়।কোনো ভাবে ছোট সাহেব বাজে মেয়ের নেশায়…”
বাকিটা বলতে সুযোগ দেয় না আরাধ্য।
হাতের ইশারায় থামিয়ে দেয় মনসুর কে।
“ আই গেস মেয়েটার ব্যাপারে তুমি কোনো খোঁজ নাও নি।”
মনসুর ধরা পরে যায়।আসলেই সে কোনো খোঁজ নেয়নি মেয়েটার ব্যাপারে।সে চেয়েছিলো নীলাদ্রকে তার বাবার কাছে খারাপ বানাতে।কিন্তু বোধ হচ্ছে না সফল হবে।

“ সঠিক তথ্য আমায় দেবে।নয়তো আমি অন্যকাউকে রেখে দেব।তোমায় ছুটি দেব চিরজীবনের জন্য। মিষ্টি মেয়েটাকে আমি আমার ছেলের ভার্সিটিতে দেখেছি।গাড়িতে বসে আমার ছেলের ফ্লাটেও যেতে দেখেছি।
ছেলে মেয়ে আমার কাছে নেই তো কি ওদের সকল নারী-নক্ষত্র আমি চিনি,জানি।
আমার ছেলে কখনো বাজে কাজ করবে না।অন্তত মেয়েদের সঙ্গে তো নয়ই।
ছেলের মতিগতি বুঝে আমায় জানাবে।”
মনসুর চোখ বড় বড় করে মাথা নাড়ে।
“ কি মুশকিল খারাপ বানাতে চাওয়া মেয়েটাকে স্যারের মিষ্টি মনে হতে হলো কেন।”
এরপর যদি মেয়েটাকে স্যার ছেলের বউ করার ধান্ধায় নামে তবে তো আরো মুশকিল।

পরদিন সময়টা সন্ধ্যা নাগাদ।
নিস্তব্ধ’র রেস্টুরেন্টে বসে তাসফি।
নিস্তব্ধ নেই সে হসপিটালে ডিউটিতে।
পুরোনো কিছু স্মৃতি আঁকড়ে ধরে তাসফিকে।
নিস্তব্ধ’র সঙ্গে তার বন্ধুদের আলাপ, আরাধ্য সঙ্গে তার শত্রুর বিয়ে।
আজ তারই এক বন্ধু’র সঙ্গে দেখা করতে এসেছে তাসফি।কিছু হিসাবের গড়মিলের মাসুল দিতে এসেছে সে।
আরাধ্য হন্তদন্ত হয়ে তাসফির সামনের চেয়ারটায় বসে পরে,

“ এই তাসফি দেরী করে ফেললাম নাকি রে? কিছু মনে করিস না দোস্ত। অফিসে এত কাজ…”
তাসফি অবাক চোখে আরাধ্য’র পানে চেয়ে।
তাসফি ফিরে গেল সেই ত্রিশ, পয়ত্রিশ বছর আগে।
ঠিক সেই আগের ন্যায় আছে আরাধ্য’টা একটুও পরিবর্তন হয়নি। সেই একই কথার টোন।একই চেহারার ভাবভঙ্গি। তবে কি সে নিজেই অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গেছে?
নয়তো ছেলেটা তার সঙ্গে কি সহজ ভঙ্গিতে কথা বলে ফেলল কিন্তু সে কেন পারছে না সহজ হতে?

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৩৩

“ আমায় কি মাফ করা যায় না আরাধ্য। ভুলের মাসুল নিবি আমার থেকে? কি করে দেব সে মাসুল বল।”
আরাধ্য’র উত্তর দেবার পূর্বে পেছন থেকে তীক্ষ্ণ পুরুষালী কন্ঠ স্বর ভেসে আসে।
“ সত্যিই মাসুল দিতে চান শ্বশুড়ি মা? তবে আপনাদের মেয়েকে আমায় দিয়ে দিন বুঝলেন?
টিট ফর ট্যাট।”
উক্ত কন্ঠে তাসফি আর আরাধ্য চমকে পেছনে চায়।
কি আশ্চর্য ছেলেটা কিসব উল্টা-পাল্টা বলছে?

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৩৫