ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৬৩ (২)

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৬৩ (২)
মাহিরা ইসলাম মাহী

লক খুলে ফ্লাটে ঢুকেই নীলাদ্র ঝাঁপিয়ে পড়লো আদুরে বিছানায়।তাকে কেমন হাতছানি দিয়ে ডাকছিলো।গিফট বক্সটা পরে রইলো ড্রয়িংরুমের সোফায়।
ঘুমে জড়িয়ে আসছে দু চোখের পাতা।
শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো পাশ বালিশটা।
উমম পাশ বালিশের বদলে একটা বউ হলে মন্দ হতো না।কিংবা,কিং..বা কাশফি।মন্দ হতো না নিশ্চয়ই?
নীলাদ্র চট করে উঠে বসলো।
নাহ ঘুম নেই চোখে।ঘুমেরা হুট করেই পালিয়েছে দূর দেশে।
তার হুপিংকাশির কথা ভাবলেই কেন জানি ঘুম নামক শব্দটা তার থেকে দশ হাত দূরত্ব বজায় রাখে।কেন কে জানে।
একদিন ঘুম কে জাপ্টে ধরে জিজ্ঞেস করাই যায়।কে সে পালায়?
বিরক্ততে নীলাদ্র গায়ের নীল রঙা টি-শার্টটা খুলে ছুঁড়ে ফেলল দূরে।
ইদানীং তার নীল রঙটা একটু বেশিই পছন্দ হচ্ছে। নীলে নীলে ভরেছে তার ঘর দোয়ার।
এই তো সেদিন তার লাল রঙের নতুন ব্রাশটা চট করে ডাস্টবিনে ফেলে ততক্ষণাৎ একটা নীল রঙের হাম্বা ব্রাশ কিনে আনলো।

শপিংমল থেকে একগাদা নীল রঙা টি-শার্ট,শার্ট আর টাউজার কিনে নিলো।
তার বিছানার চাদরটা পর্যন্ত নীল রঙের।
জানালার পর্দা।বেলকনিতে রাখা ফুলের টব গুলো এমনকি টবে লাগানো কয়েকটা গাছেও নীল ফুল ঝুলে আছে।
গোলাপ বাদে সে আর কোনো ফুলের নাম জানেনা।সেদিন একটা নীল রঙের ডায়েরি ও তো কিনলো।দুদিন পর আবার তা হারিয়েও গেল।
আছে কোথাও হয়তো সেই খুঁজে পাচ্ছে না। বদ্ধ ফ্লাটে যাবেই বা কোথায়।
কাল তো সাফওয়ান কে দিয়ে সোফার কভার গুলোও বদলে দিলো নীল রঙের মাঝে সন্ধ্যাতারা ফুলের ছাপায়।
সন্ধ্যাতারা তার প্রিয় ফুল। আর একটি প্রিয় ফুল তার আছে অবশ্য আর তা হলো কাশফুল।
দুটো ফুলই তার জীবনে সবকিছুর চাইতে দামী।
একটা ছেড়ে আরেকটাকে আঁকড়ে ধরে সে বাঁচতেই পারবেনা। নীলাদ্র’র জীবনে সুখী হতে চাইলে দুটো ফুল সঙ্গে থাকা আবশ্যক।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অবশ্য তার স্বপ্ন পূরণ হবে তো? হতেই হবে।
সে নিজে পূরণ করবে।তার জন্য তার যা করতে হয় করবে।
এই যে এত এত কিছু যে রমণীর জন্য সে কি এসবে খেয়াল রাখছে আদৌও?
হয়তো রাখছে।কিংবা না।
“যার মনে যা গোপন বিলাপ
সবার সনে করতে আলাপ
করতে মানা।”
সে আলাপ করতে মানা থাকলে জানবে কেমন করে মানবী মনের গোপন কুঠিরে লুকায়িত অভিসার।
পায়চারি করতে করতে নীলাদ্র ড্রয়িংরুমে পৌছালো।ততক্ষণাৎ চোখ পড়লো তার সেই গিফট বক্সটার দিকে।
নিঃশব্দে এগিয়ে গিয়ে তুলে নিলো সে হাতে।
সাফওয়ান তখন মেইন ডোর দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে ঠোঁট বাকিয়ে বলল,

“ কি ব্যাপার বলতো তোর? এভাবে দরজা খুলে রেখে করছিস টা কি?”
নীলাদ্রকে এভাবো আদল গায়ে গিফট বক্স হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খানিকটা ভরকালেও পরক্ষণে চকচকে চোখে এগিয়ে গেল সে।
“ কি আছেরে এতে? কে দিলো?”
“ জানিনা।”
“ জানিস তো খুল না।এই বোম টোম হবে না তো? ইন্ডিয়ায় এমন কাহিনি একবার হয়েছিল কিন্তু। বিয়ের গিফট বক্সে বোম পাঠিয়েছিল ভাবতে পারছিস।”
নীলাদ্র দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“ আমার তো বিয়ে হয়নি ইডিয়েট।”
সাফওয়ান মাথা মাথা চুলকালো,
“ সেটাও তো। তবে কি উদ্দেশ্যে গিফট পাঠালো।”
কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে এদিক ওদিক চাইতে চাইতেই সোফার পেছনে লাগানো ক্যালেন্ডারে চাইতেই চিৎকার করে উঠলো সে।

“ নভেম্বরের পাঁচ তারিখ আজ ওও মাই গডড।
বলে আরো জোড়ে চিৎকার জুড়ে নীলাদ্র’র বুকে একপ্রকার ঝাঁপিয়ে পরলো সে।
“ দোস্ত,দোস্ত, দোস্ত।হ্যাপি বার্ডে। “
নীলাদ্র দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“ সর সর,ছাড় বলছি।একদম এমন মাইয়া মানুষের মতন জাপ্টা জাপ্টি করবি না।”
সাফওয়ান দাঁত কেলিয়ে হাসলো।
“ উইস করলাম আর তুই ধমকাচ্ছিস আশ্চর্য। একটু ধন্যবাদ তে দিতেই পারিস।হুহ।”
“ তোকে ধন্যবাদ দিতে বা* কানছে আমার।যা সর।”
সামওয়ান ভেঙি কাটে।

“ তোর এই অপমানের জবাব আমি দেব দেখে নিস নীল সমুদ্র। “
কোনো বার্তা বিহীন চট করে নীলাদ্র সাফওয়ানের নাক বরাবর ঘুসি মেরে বসলো।হিসহিসিয়ে বলল,
“ ওটা শুধুমাত্র আমার হুপিংকাশির স্পেশাল ডাক।তোকে ডাকতে বলেছি?”
সাফওয়ান হতভম্ব হয়ে নাকে হাত দিয়ে রইলো।
কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল,
“ তাই বলে মারবি? তাও আবার নাক বরাবর।আমার শক্ত পোক্ত পেশিতেও তো মারতে পারতিস।অসভ্য। আমাী বুনু কাশফির কাছে যদি নালিশ না দিয়েছি।দেখেনিস তুই।”
নীলাদ্র সাফওয়ানের দিকে চেয়ে শয়তানী হাসি দিতেই সে মুহুর্তে চুপসে গেল।
নিলাদ্র কথা না বাড়িয়ে গিফট বক্সের উপরে জড়ানো রঙিন পেপারগুলো খুলতে আরম্ভ করলো।
বক্স থেকে বেরিয়ে এলো একটা মলম,আর একটি বিশাল চিরকুট।
সাফওয়ান হতবাক হয়ে বলল,

“ একটা মলম কেউ গিফট পাঠায় নাকি? আশ্চর্য।”
নীলাদ্র জবাব দিলো না। তার মনে হচ্ছে নিজের অপ্রিয় কিংবা প্রিয় কিছু সত্য জানতে চলেছে সে।
এক নিমিষে চিরকুটের ভাঁজ মেলে ধরলো সে চোখের সামনে।
★“ শুভ জন্মদিন গুন্ডা,
কি ব্যাপার বলতো গুন্ডা? নিজের জন্মদিনটাই ভুলে বসলি।
সেদিন আমার সঙ্গে অদ্ভুত একটি ঘটনা ঘটলো জানিস তো।যার জন্য এই এত এত বছর পর আমি কাঁদতে বাধ্য হলাম।
তো সেদিন কি হলো শোন।

কথায় কথায় অদিতি আর কাশফিকে বললাম তুই আমার ভাই।
দুই মানবী এমন ভাবে আমার দিকে চাইলো যেন পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যের কথা কর্ণগোচর করেছে।
আর একটু খানি চোখ গুলো বড় বড় করে চাইলেই বোধহয় মনিগুলো বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা ছিলো, নব্বই পার্সেন্ট কনফার্ম ।
কাশফি কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
“ ভা..ই মানে?”
আমি বললাম
“ ভাই মানে ভাই।”
“ আগে তো তুই কখনো নীল সমুদ্রের কথা বলিসনি।”
অদিতিও সায় মেলালো,

“ হ্যাঁ তাইতো।ইনফ্যাক্ট তোদের কখনো কথাই বলতে দেখিনি একে অপরের সঙ্গে। ক্ষেপলি নাকি? দুজনের আকাশ পাতাল তফাৎ। “
আমি আনমনে ক্লাসের জানালা দিয়ে ভার্সিটির পেছনে ওই কৃষ্ণচূরা গাছটার দিকে চাইলাম।যেখানটায় সেদিন তুই বসে বসে কাশফিকে তোর নিজস্ব রাজকুমারের গল্পটা শোনালি। যে কারো লিপস টক আমি ছোট বেলা থেকে স্পষ্ট পড়তে জানিস তো?
তার পর ও কি জানিস তো তোর রাজকুমারের গল্পটা কিন্তু আমি আগে থেকেও জানতাম।
ওই যে তোর নীল রঙের ডায়রীখানা সেদিন নিউমার্কেট থেকে কিনলি আমি তো দেখলাম রিক্সায় বসে।
সাফওয়ান ভাইয়ের থেকে তোর ফ্লাটের চাবিটা নিয়ে হাজির হলাম তোর আস্তানায়।
বিশ্বাস কর তোর মতো বস্তি আমি আর একটাও দেখিনি দুনিয়ায়।
পুরো ফ্লাটের কি ছিরি ছিঃ,ছিঃ।তোর বাসায় তো কাক ওও ডিম পারতে আসবে না রে গুন্ডা।
ব্যস সেদিন সব গুছিয়ে দিয়ে এলাম।

সাফওয়ান ভাইয়াকে তোকে বলতে বললাম , সে সব গুছিয়েছে।ব্যস ক্রেডিট সাফওয়ান ভাইয়ার।
গোছানোর এক পর্যায়ে তোর সেই নীল রঙা ডায়রিটাও পেলাম।ব্যস জেনে গেলাম তোর রাজকুমারের গল্প।
ডায়রিতে এতবার লিখে প্রাকটিস করেছিস বুঝলাম।তাই বলে এভাবে বোকার মতো ওটা যেখানে সেখানে ফেলে রাখবি? ম্যানার্সলেশ গুন্ডা।
কাশফি যদি তোর বাসায় এসে কখনো দেখে ফেলতো।লজ্জা পেতি না বল? বল লজ্জা পেতি তো? তাই তো আমি ওটা তোর বিছানার তলায় রেখেছি।”
কাশফি নীলাদ্রকে লজ্জা না দিলে কি হবে।কিন্তু এই মুহুর্তে চিঠি পড়ে লজ্জায় যে নীলাদ্র’র গাল রাঙা হচ্ছে শিওর।
নীলাদ্র আবার পড়তে আরম্ভ করলো।
“আমি কি বলতে চাইছি তুই বুঝতে পারছিস তো?
জানি বুঝতে পেরেছিস।

ছোট বোন সব জেনেছে জেনে একদম লজ্জ পাস না। আমি জানি তুই মোটেও লজ্জা পাস না।কিন্তু এই মুহুর্তে লজ্জা পাবি আমি জানি তাই আগেই তোকে সাবধান করে দিলাম।
অদিতি আর কাশফির হাজার প্রশ্নের ভীরে আমি ওদের একটাই উত্তর দিলাম,
“ শোন নীলাদ্র নামের যে গুন্ডাটা আছে? ওটা আমার ভাই। আর কেন আমি ওর সঙ্গে কথা বলিনা সেটা ওর দোষ।গুন্ডামী, ভন্ডামী, বেপরোয়া স্বভাব ছেড়ে সে যেদিন ভালো হবে সেদিন-ই এই নাওমী তার কাছে ভিড়বে। “
আজ তোকে কেন এত বড় বড় ভাষণ দিচ্ছি বলতো? কারণ তোকে একটা শেষ সুযোগ দিতে চাইছি। জেল খাটা আসামীকেও তো তার শেষ ইচ্ছা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।
সপখানে তোকে একটা সুযোগ দিলে কি এমন ক্ষতি হবে বল? হবে না নিশ্চয়ই?
কি ভাবছিস এত সহজে তোকে সুযোগ দিচ্ছি? উহু মোটেও না।

সেদিন দেখলাম আর সিগারেট খাচ্ছিস না। তোর গ্যাঙ্গের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিস না।
সাদাফ ভাইয়া আর মহিষের বাচ্চার সঙ্গে মিশে গেলি। আনফরচুনেটলি আমি যদি ভুল না হই তুই আমায় নিজের গুড সাইন দেখাতে চেষ্টা করছিলি রাইট?”
শোন কাশফি আর অদিতি কে তোর জন্মদিনের কথাটা বললাম।
তোর আর আমার জন্মদিন যে একই দিনে নভেম্বরের পাঁচ তারিখ তা বলতেই কাশফি অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে রইলো।
বললাম গুডাটাকে কি গিফট দেওয়া যায় বলতো?
কাশফি ছুটে এসে আমায় জড়িয়ে ধরলো।কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ফিসফিস করে বলল,

“ সকলের জীবনে যে অতীতটা থাকে তা বোধহয় আমরা অন্যের থেকে না যেনেই ভালো থাকি বুঝলি।জানলেই তো মন কেমনের বৃষ্টি শুরু হয়।
সে বৃষ্টির ঝাপ্টা যে আর শেষ হতে চায় না।একদমই চায় না। অসহ্য রকমের যন্ত্রণা দেয় তা।সব বর্ষণে প্রেম সাজে না।মাঝে মাঝে দুঃখরাও ডানা ঝাপটায়।
অতীতের স্মৃতিতে মোড়া দুঃখগুলোকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।”
আমি থমকে দাঁড়িয়ে রইলাম।জানিস তো বুকের ভেতরের কোথাও একটা কেমন করে যেন নাড়া দিলো।আমার চোখ দু’টো বেয়ে অশ্রুর ধারা যেন ক্রমাগত বৈতে লাগলো।আমি কিছু বুঝলামই না।মাথাটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা মনে হলো।
কাশফি মাথা উঠিয়ে চোখের কোণে জমা জলটুকু আলগোছে মুছে মুচকি হেসে বলল,

“ বোকা মেয়ের মত কাঁদছিস কেন।তোর ভাইয়ের জন্মদিনের গিফট আমি এখুনি নিয়ে আসছি। ওয়েট কর।”
কাশফি একছুটে কোথায় যে গেলো ফিরে এলো প্রায় ঘন্টা খানেক পর।
আমার হাতে এই মুহুর্তে তোর হাতে থাকা মলমের বক্সটা দিয়ে বলল,
“ এটা তোর পক্ষ থেকে দেওয়া ভাইয়ের জন্য বেস্ট উপহার।এই মলম দিয়ে যে কোনো দাগ উঠানো সম্ভব। হোক সে হাত,পা কিংবা বুক।”
মলমটা ওও আমায় কেন দিলো জানিনা। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে ডায়রিতে তুই কোনো একটি বাক্য লিখিস নি।ইচ্ছে করেই লিখিসনি বোধহয়। আসলে জানিস তো আমি সেদিন অনুভব করলাম কিছু কিছু জিনিস, কিছু চুপকথা নির্দিষ্ট কারো জন্যই তোলা থাকে।

তাই তো তোর এই আইডিয়া থেকে নিজের মাঝে একটি আইডিয়া আবিষ্কার করলাম।আর আমার কিছু চুপকথা আমার সেই নির্দিষ্ট মানুষটাকে বলে দিলাম। ব্যস।এক ঢিলে দুই পাখি মেরে দিলাম।
তোকে জন্মদিমের শুভেচ্ছা একবার দিয়েছি রে গুন্ডা আর দিতে পারবো না।
এই শোন না তোর সঙ্গেও আমার আরো একটি নির্দিষ্ট চুপকথা রয়েছে দেখা করিস তো।একান্তে।
শুধু হুপিংকাশির অপেক্ষায় থাকলে হবে হুম?
জাগতিক সংসার ভুললে হবে কেমন করে।
বেস্ট অফ লাক!
ইতি
তোর সন্ধ্যাতারা
৫-ই নভেম্বর ★

সাফওয়ান হতভম্ব হয়ে চেয়ে রইলো নীলাদ্র’র পানে। একবার সোফায় থাকা সন্ধ্যাতারা কাপড়ের ছাপার দিকে তাকালো তো একবার নীলাদ্র’র চোখ মুখের দিকে।
অতঃপর কিচ্ছুটি না বলে নিঃশব্দে বেরিয়ে গেল সে ফ্লাট ছেড়ে।
কখনো কখনো কাউকে একা ছেড়ে দিতে হয়। মুহুর্তটুকু অনুভব করতে দিতে হয় তাকে।
নীলাদ্র নিশ্চুপ বসে রইলো অনেকটা ক্ষণ।এরপর হুট করেই তখন ছুঁড়ে ফেলা টি-শার্টটা গায়ে জড়িয়ে দুম করে মেইনডোর লাগিয়ে বের হয়ে গেল ফ্লাট ছেড়ে।

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৬৩

রাত তখন সাতটা কিংবা আটটা।হালকা কুয়াশা ঘেরা চারিপাশ।শীতকালের জানান দিয়েছে যে ইতোমধ্যে। এ যে তারই আগমনী আভাস।
বাইকে চরে বসলো নীলাদ্র। গতি কত? আশি,নব্বই? হয়তো আরো বেশি।গন্তব্য হবে কোথাও সে বলতে ইচ্ছুক নয়।
ওই যে চাঁদমামা চলছে তার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানো মাত্র সেই জানিয়ে দেবে সকলকে।

ধূসর রংধনু ৩ শেষ পর্ব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here