ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৯

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৯
মাহিরা ইসলাম মাহী

বাসন্তী পুনরায় প্রশ্ন করলো,
“ তোমাদের বাসা কোথায় মা? তোমার মা-বাবা কোথায় থাকেন?”
নাওমীর নিজের বাবা মায়ের সম্পর্কে কাউকে বলতে খারাপ লাগে।বাসন্তী প্রশ্ন করায় নাওমী হৃদয় ভার হয়।ডিভোর্স শব্দটা কেন জানিনা মুখে উচ্চারণ করতে গেলে কন্ঠ জরিয়ে যায়।
বুকে চাপ অনুভূত হয়।নাম না জানা ব্যাথা শব্দটার সঙ্গে অদৃশ্য ভাবে যুক্ত।
সে মৃদু কন্ঠে বলল,

“ বাবা মা’র সঙ্গে থাকা হয় না আমার আন্টি।তারা ডিভোর্স নিয়েছেন।”
বাসন্তী কয়েক মুহুর্ত থম মেরে রইলো।
পুরনো স্মৃতি ঘাটতেই বেরিয়ে এলো কতগুলো বছর আগের তীব্র যন্ত্রণার ঘটনার মুহুর্তগুলো।
সেও তো ডিভোর্স দিয়েছিল তার প্রথম স্বামী কে।
তবে সে তো স্বামী ছিল না ছিল কাপুরুষ, শয়তান,হারামী,জানোয়ার ।জানোয়ারের সঙ্গে কি কখনো সংসার করা যায়? উহু!সংসার তো করতে হয় মানুষের সঙ্গে কোনো জানোয়ারের সঙ্গে নয়।
সেই যন্ত্রণা দায়ক মুহুর্তগুলো থেকে মাহীন তাকে উদ্ধার করায় সে তার কাছে হাজারো কৃতিত্ব।
মানুষটা এত কিছুর পরেও তাকে ভালোবাসে এতেই বাসন্তী বেঁচে থাকার নতুন তাগিদ পেয়েছিলো।
নীবিড় মায়ের পানে তাকালো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মায়ের ভিজে আসা চোখ মুখ দেখে নীবিড়ের নাওমীর উপর প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হলো।মেয়েটার এখন কেন এসব কথা বলতে হবে।সে তো এড়িয়েও যেতে পারতো কথাটা।বেয়াদব মেয়ে।
বাসন্তী নিজেকে সামলে বলল,
“ আচ্ছা, আচ্ছা কোনো সমস্যা নেই।কিরে নীবিড় তুই তো আমায় আগে বলিস নি।”
নীবিড় অসহায় কন্ঠে বলল,
“ মা….এই মেয়ে আমার বান্ধবী নয়। এই মেয়ে নিশান-নিশানী কে প্রাইভেট পড়াতে এসেছে।”
বাসন্তী যেন আকাশ থেকে পড়লো।
“ আশ্চর্য এই কথাটা তুই আগে আমায় বলবি না?”
“ তুমি আমায় বলতে দিলে টা কখন মা?”

“দেখেছ কত কান্ড ঘটিয়ে ফেললাম বাদরটার কথায়।ঠিক ভাবে কথাও বলতে পারে না।
ওর বাপটাও এমন জানো তো মা।
আমাদের বিয়ের সময় সে কি কান্ড বাঁধালো।
ওর মামাকে সরাসরি আমার বিয়ের প্রস্তাব না দিয়ে উল্টো চিঠি লিখলো। “
বাসন্তী নীবিড়ের দিকে চেয়ে সুধালো,
“তুই এখনো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? যা ওকে বজ্জাত দুটোর ঘরে দিয়ে যায় হারামী। “
“জানো নাওমী শেষ বয়সে এসে কনসিভ করলাম।প্রথমে তো একটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু বেরুলো দুটো।
ওই দুটোতে আমার হাড় মাংশ এক করার উপক্রম।”
নাওমী মেকি হাসলো।
হইহট্টগোলে মাহরিসা রুম থেকে বেরিয়ে এলো।

“ মা কি শুরু করলে তোমরা বলো তো?বাসায় কি এখন আমি শান্তিতে একটু পড়তে বসতেও পারবো না?”
বাসন্তী মেজাজ খিঁচিয়ে বলল,
“ কি পড় তুমি হ্যাঁ কি পড়? সারাদিন ছাইপাঁশ বইগুলো পড়।যতই পড় তুমি আমার আদ্রিত বাজানের মত ডাক্তার তুমি হতে পারবে না।”
মাহরিসা বিরক্ত কন্ঠে বলল,
“ তো আমি কখন বললাম তোমার আদ্রিত বাজানের মতন ডাক্তার হবো? সে হলো হার্টের ডাক্তার,আমি হবো গাইনোকোলজিস্ট দুটো অবিয়েসলি ডিফারেন্স মা।।
“ তুই চাইলেও হতে পারবি না। “
মাহরিসা ফিসফিস করে বলল,

“ শুনো মা আমিও চাই ও না তোমার আদ্রিত বাজানের মতন খারুস মার্কা ডাক্তার হতে। হার্টের ডাক্তার হয়ে সে মানুষের হার্টের খবর রাখেনা।যেসব ডাক্তারের মাঝে মায়াদয়া নেই তারা ডাক্তার না কষাই।সারাদিন আমার মতো অবলা প্রাণীর উপর টর্চার আর ধমকই দিতে পারে।হুহ!”
মাহরিসা সে কথা কারো কান পর্যন্ত পৌঁছালো না।বাসন্তী তো দূর।
নিশান, আর নিশানীর স্টাডি রুম আলাদা আলাদা।
আজ প্রাইভেট পড়ার খাতিরে দুজন একত্র হয়েছে। দুজন বসে ছিল দু দিকে মুখ করে।
নাওমী তখন গম্ভীর মুখে রুমে প্রবেশ করে সালাম দিলো।
হঠাৎ এভাবে কারো সালামে দুজন চমকে উঠে চট করে নাওমীর পানে ভ্রু কুঁচকে চাইলো।
নাওমী দুজনের চেহারার মেলবন্ধন করতে চেষ্টা করলো।
নাহ জমজ হলে কি হবে, সে কারো সঙ্গে কারো মিল পেল না।
নিশানীর বোধহয় নীবিড়ের ফেসের সঙ্গে মিলে খানিকটা।
দুজনে সালামের উত্তর দিলো।
নাওমী ওদের থেকে নাম জেনে নিলো।
নাওমীর তার জন্য রাখা চেয়ারে গিয়ে বসলো।
বসার সঙ্গে সঙ্গে সে চোখ বড় বড় করে ফেলল।
“ আমরা পড়তে চাই না। আমাদের দাবি মানতে হবে মানতে হবে।”
দুজনের খাতায় এসব লেখা দেখে সে হতভম্ব হয়ে দুটো বিচ্ছুর পানে চাইলো।
বিচ্ছু দুটো দাঁত কেলিয়ে হাসছে।

“ এসব কি লিখেছ তোমরা?”
নিশানী চট করে বলে উঠলো
“ কেন আপু ভালো হয় নি? আপনার জন্য তো নিউ ওয়েলকাম স্টাইল ছিল এটা। বুঝেন নি।”
নাওমী হতবাক হয়ে গেল।
নাওমী ওদের বই খাতা নিয়ে পড়ানো শুরু করতে গেলেই দুজনে ততক্ষণাৎ বলে উঠলো,
“ একি কি করছেন আপু। আপনাকে না ওয়েলকাম করা হলো বিদায় নেবেন না এবারে? “
“ মানে?”
“ মানে খুব সোজা আমরা আপনার কাছে পড়ছি ন আকার না। বুঝেছেন?”
নাওমী মুচকি হাসলো।সে ও তো ছাড়ার পাত্র নয়।
নাওমী বই বের করতে করতে ভাবলেশহীন স্বরে সুধালো,

“ কিন্তু আমি ও যে তোমাদের না পড়িয়ে যাবো না সোনামণিরা।”
নিশান -নিশানী দু’জন দু’জনের দিকে চাইলো।
বুঝলো এভাবে হবে না।
মিনিট পাঁচ পেরুতেই বাসন্তী হন্তদন্ত হয়ে রুমে এলো।
নাওমীর উদ্দেশ্যে বলল,
“ শুনো মা। আজ আর পড়ানোর দরকার নেই বুঝলে। আমাদের এক্ষুনি বের হতে হবে, ওদের নিয়ে। ওদের মামাতো বোন হঠাৎ একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।আমাদের যেতে হবে সেখানে বুঝলে মা।তুমি কাল চলে এসে সময় মতো ঠিকআছে।”
বাসন্তীর চোখ ছলছল।
অগত্যা আর কোনো উপায় না পেয়ে মাথা নাড়িয়ে বেরিয়ে গেল নাওমী।
যাওয়ার আগে সে নীবিড়ের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চাইতে ভুললো না।
নীবিড়ের এলোমেলো চুল দেখে সে ফিক করে হেসে দিলো।
নীবিড় সঙ্গে সঙ্গে রুমের ভেতরে গিয়ে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো।

নিস্তব্ধতা হসপিটালের বেডে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হচ্ছে।
এ ছাড়া তার আর কাজ কি।
সকালে হসপিটালে তাকে ভর্তি করেছে আদ্রিত।
আর খবর পেয়েই নিস্তব্ধ আর তাসফি ছুটে এসেছে।
নিস্তব্ধ কঠোর স্বরে বলেছে,
“ নিরু মামনী ব্যাথা পুরোপুরি না সারার আগে তোমার হসপিটালে থেকে বের হওয়া নিষেধ। আমি কি বুঝাতে পেরেছি তোমাকে?”
বাবার কথার স্বর নরম হলেও সে স্পষ্ট বুঝতে পারছিলো বাবা তাকে আদেশ করেছে স্রেফ।
নিস্তব্ধতা বুঝে বাবার চিন্তার কারণ।
নিস্তব্ধ জানে মেয়ে তার বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টইটই করে ঘুরে বেড়াবে।
তাসফি ও তাকে একই হুশিয়ারী দিয়েছে।
তারপরেও এভাবে হসপিটালে বসে থাকতে কার ভালো লাগে।
সকালে পরে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়েছে পুরনো ক্ষততে।
হ্যাঁ সে এর আগেও পায়ে আঘাত পেয়েছিলো।ভীষণ বাজে ভাবে আগাত পেয়েছিলো।এখনো তার বাম পায়ে ক্রাচ লাগানো।

পুরনো স্মৃতি ঘাটতেই নিস্তব্ধতা’র মনটা হঠাৎ-ই বিষাদে ছেয়ে যায়।
এই তো দুবছর আগের ঘটনা।
তিয়াশা, নীলাদ্র তখন নিস্তব্ধতা আর সাদাফের জুনিয়র ছিলো।দুজনের সঙ্গে তাদের দুজনের ঝগড়া এক প্রকার লেগেই থাকতো। তিয়াশা একদিন খুব চতুরতার সঙ্গে তার সঙ্গে বাইক রেস করতে বাধ্য করেছিল।
নিস্তব্ধতা রাগে বোকার মতে রাজি ও হয়ে গিয়েছিল।
তখন তাদের ফাইনাল ইয়ারের এক্সাম চলছিলো।
রেসের এক পর্যায়ে তিয়াশা ইচ্ছে করে তার সামনে চলে এসেছিলো।
তাল সামলাতে না পেরে সে ততক্ষণাৎ ব্রেক কষতে গেলেই ছিটকে পরে দুরে।
অতঃপর যা হবার তাই হয়।

দুটো বছর হারিয়ে যায় তার জীবন থেকে।ইয়ার লস হয় দারুণ ভাবে।
তখন থেকে তার বাইকে চরা প্লাস চালানো নিস্তব্ধ আর তাসফি কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করে দেয়।
তবুও তো সে মাঝে মাঝে লুকিয়ে চুরিয়ে উঠে পরে সাদাফের বাইকের পেছনে।
আর সাদাফ? সাদাফের তখনকার করা পাগলামির কথা ভাবলে নিস্তব্ধতার এখন ও হাসি পায়। বলদটা তার জন্য দুটো বছর ভার্সিটিতে গ্যাভ দিয়েছে।
তাকে ছাড়া সাদাফ পড়বেনা তো পড়বেনা।
মানুষ কতবড় গাধা হলে এমন কাজ করে বেড়ায়।
তার ইচ্ছে হচ্ছিলো সাদাফের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পর বসাতে।
মেরেছিলো ওও সে থাপ্পড় ।
তবুও সজনেডাঁটার বাচ্চাটা হাসতে হাসতে তার মারা থাপ্পড় কে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছে।
বলে ছিলোও সে আচ্ছারকম।

“ কেন রে হারামজাদা, তুই আমার জন্য ইয়ার লস দিবি।আমি কি তোর মিতা? গাধা কোথাকার।”
সাদাফ হাসতে হাসতে বলেছে,
“ বিশ্বাস কর তুই নীরু তোর এসব ফাঁকা বুলিতে আমি কিচ্ছু মনে করিনা। আর একটু গালি দে না। রেকর্ড করি।”
নিস্তব্ধতার পাশে থাকা গ্লাস সে সাদাফের দিকে ছুঁড়ে মেরেছে।
সকলে হাজার বোঝানোর পরেও সাদাফ মানে নি।
অবুঝ কে বুঝিয়ে কাজ করানো যায়।কিন্তু বুদ্ধিমান কে কি করে বুঝিয়ে সে কাজ করানো যায়, যে কাজে সে একবার না করে দেয়।
উহু যায় না।
নীবিড় অবশ্য দুবছর গ্যাভ দেয় নি। সে ভার্সিটিতে ভর্তিই হয়েছিল থার্ড টাইম।
আর সে যেদিন পা ভেঙে বেহুশ হয়ে হসপিটালের বেডে পরে ছিল। বলদটা নাকি সারাটা দিন তার পাশে বসে আবুলের মত কেঁদেছে।

মানে ছেলে মানুষ যে এত পরিমাণে কান্না করতে পারে হুঁশে থাকলে সে দেখতে পারতো।
মানুষ কি পরিমাণ বলদ হলে এভাবে অন্যের ব্যাথায় কান্না করতে পারে ভাবা যায়।
কথাগুলো ভাবলেই নিস্তব্ধতার কেন জানিনা এখন ভীষণ হাসি পায়।
এই তো বোকাটা এখনও বোধহয় তার আজকের খবর পায় নি।পেলে এতক্ষণে ছুটে চলে আসতো।
আর তার কানের কাছে এাে ঘ্যানঘ্যান করে তার কান ঝালা ফালা করে ফেলল।
কেবিনের দরজা খুলে আদ্রিত প্রবেশ করতেই নিস্তব্ধতা’র ভাবনার ছেদ ঘটলো।
আদ্রিত গম্ভীর স্বরে প্রশ্ন করলো,
“কি করছিলি।”
“ কি করছিলাম তুমি দেখতে পাচ্ছো ভাই? হা-ডুডু খেলছিলাম তো আমি।”
“ উহু তুমি সেটা এই মুহুর্তে চাইলেও খেলতে পারবেনা নিস্তব্ধতা।”
নিস্তব্ধতা রেগে গেল,
“ তো জানো যখন জিজ্ঞেস করছো কেন? এত প্রশ্ন না করে বাবা কে বলে আমায় বাড়ি নেওয়ার ব্যবস্থা করলেও তো পারো।”
আদ্রিত নির্লিপ্ত কন্ঠে সুধালো,

“ উহু সেটি তো হচ্ছে না। তোমরা সবাই আমার থেকে তোমার অসুস্থতার ব্যাপারটা গোপন করেছ। বিশেষ করে তুমি। তাই আমি তোমার এই আর্জি মানতে পারছি না। সরি।”
“ ধূর এভাবে বসে থাকতে ভালো লাগে না ভাই।”
আদ্রিত ঝটপট উত্তর করলো,
“ তোমার সঙ্গে বকবক করার জন্য কি সাদাফ কে এনে দেব? আই গেস তুমি ওকে দেখে ভীষণ খুশি হবে।ওকে দেখার তাগিদেই তো দ্রুত ভার্সিটি যাচ্ছিলে তুমি এম আই রাইট নিস্তব্ধতা? “
নিস্তব্ধতা’র গাল লাল হয়ে উঠলো।
আদ্রিতের কথা সে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে প্রত্যুত্তর করলো,

“ নো.. তুমি শুধু শুধু আমায় ব্লেইম দিচ্ছো ভাই।”
“ ওকে। ডাকছিনা ওকে।এ্যাজ ইউর উইস।”
নিস্তব্ধতা চোখ ছোট ছোট করে চাইলো ভাইয়ের পানে।
তার ভাইটাকে এতটা বুদ্ধিমান হতে কে বলেছিল?
একটু বোকা সোকা হলে কি হতো।তবে তো তার উপরে এভাবে ছুড়ি ঘুড়াতে পারতো না।
বাসন্তী, নীবিড়, মাহরিসা সকলে হন্তদন্ত হয়ে কেবিনে প্রবেশ করলো।
বাসন্তী নিস্তব্ধতা’র দিকে এগিয়ে গিয়ে তার পাশে বসলো।
মাথায় আদুরে হাত বুলিয়ে সুধালো,
“ এখন কেমন আছিস নিরু? বেশি ব্যাথা করছে না তো?”
নিস্তব্ধতা ফুফুর কথায় হাসলো।সঙ্গে সকলের আগমনে তার মন পুলকিত হল মুহুর্তেই। এতক্ষণের গুমোট ধরা ভাব কমতে শুরু করেছে।

মাহরিসা টিপটিপ পায়ে কেবিনে প্রবেশ করে আদ্রিত কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এক কোণায় জড়সড় হয়ে দাঁড়ালো
এই মুহুর্তে আদ্রিত কে এখানে একদমই আশা করেনি সে।
লোকটা কি আজ হসপিটালে যায়নি নাকি।
মাহরিসা আঁড় চোখে আদ্রিতের পানে চাইতেই সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নিলো।
ইশশ, লোকটা একদম জহুরীর ন্যায় তীক্ষ্ণ চোখে তার পানেই চেয়ে আছে।
আশ্চর্য এভাবে তাকানোর কি আছে।

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৮

নীবিড় আদ্রিত কে দেখতেই গিয়ে জরিয়ে ধরলো,উচ্ছ্বসিত কন্ঠে আওড়ালো,
“ ব্রো… কেমন আছো? অনেক দিন পর তোমার দেখা পেলাম। ইশশ।তুমি তো আমাদের ভুলেই গেছ।”
মাহরিসা ফিসফিস করে বলল,
“ ভুলে গেছে না ছাঁই। ভুললে কি করে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে জ্বালাতন করছে ক্রমাগত।

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ১০