নিষিদ্ধ শব্দের দিনলিপি পর্ব ২৪
ঝিলিক মল্লিক
রিদি তখন আরবিনের বুকের ওপর শুয়ে আছে। আরবিন ওকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। রাতের তৃতীয় প্রহর তখনো শেষ হয়নি। আর কিছুটা সময় গড়ালেই ভোর।
রিদি চুপ করে রয়েছে অনেকক্ষণ হলো। আরবিন এবার আলতো করে ওর মাথায় হাত রেখে বললো,
“একটা কথা বলি?”
“জি বলুন।”
“কিছু কিছু সম্পর্ক কেমন হয় জানো?”
“কেমন?”
“এধরনের সম্পর্কে ফিজিক্যাল নিডস এর বাইরে কিছু হয় না। যতটুকু যা থাকে, ওই ফিজিক্যাল নিডস অবধিই। মানে শরীর পর্যন্ত। মন পর্যন্ত আর গড়ায় না। তোমার-আমার সম্পর্কটাও তেমনই। যা কিছু, সব ফিজিক্যাল নিডসের জন্য। মনস্তাত্ত্বিক কোনো ব্যাপার নেই।”
আরবিনের কথা শুনে চকিতে মুখ উঠিয়ে ওর মুখের দিকে তাকালো রিদি। নিস্তব্ধ, নির্বাক ও। মুখ রক্তিম হয়ে উঠেছে। আরবিন স্বাভাবিক। রিদির প্রতিক্রিয়ার যেন কোনো তোয়াক্কা নেই ওর কাছে। রিদি ধীরে ধীরে সরে গেল আরবিনের বুকের ওপর থেকে। আরবিন বাঁধা দিলো না ওকে। রিদিকে প্রশ্ন করলো,
“অবিশ্বাস করছো?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“মোটেও না। আমার-ই ভুল। সব দোষ আমার। ভুলবশত পঁচা শামুকে পা দিয়ে পা কেটে ফেলেছি৷ এখন শুধু গ্রাংগ্রিনে পঁচে যাওয়া বাকি৷ আর তারপর মৃত্যু।”
“আমি তোমাকে ভুল কিছু বলিনি রিদি। এমনকি কষ্ট দেওয়ার জন্যও নয়। শুধুমাত্র অপ্রিয় সত্যিগুলো মনে করিয়ে দিলাম। মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে বুঝি?”
“একদম-ই না। বরং জেনে খুশি হলাম। আপনার সংস্পর্শে এসে মোহে পড়ে আমি তো প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম আপনার সাথে আমার সম্পর্কটা কেমন! যাক, আপনি মনে করিয়ে দিলেন।”
রিদি সামলে নিলো নিজেকে। সারারাতের এই মোহময় মুহূর্তগুলোর শেষে আরবিন যখন এমন ভয়ংকর কথা শোনালো, তখন রিদির খুব রাগ হওয়ার কথা ছিল আরবিনের ওপর। তবে ও রাগ হলো নিজের ওপর৷ নিজের গালে নিজের থাপ্পড় মারতে মন চাইলো ওর। নিজেকেই সর্বদিক দিয়ে দোষী সাব্যস্ত করলো। আরবিন উঠে বসে ওর দিকে তাকিয়ে বললো,
“আমার ওপরে রাগ হচ্ছে খুব?”
রিদি মাথা নেড়ে “না” বোঝালো। তারপর সরে বসে প্রশ্ন করলো,
“তারমানে আমার জন্য আপনার মনে কখনোই কোনো ফিলিংস ছিল না?”
“ওইভাবে ছিল না বললে ভুল হবে রিদি। তবে যত রাগ-ক্ষোভ-ই থাকুক না কেন, আমি যে জাস্ট ফিডিক্যাল নিডসের জন্য তোমার কাছে আসি— এটা কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই। ওটাকেই নাহয় ফিলিংস বুঝে নাও।”
রিদি চেতলো না। শুধু নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলো আরবিনের দিকে। ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে আরবিনের এই কথাগুলো শুনে। রিদি এতোদিন ভেবেছিল—ভালোবাসা, মোহ কিছু না হোক; সামান্য টান হয়তো ওর প্রতি থাকবে আরবিনের। কিন্তু আজ রিদির ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। আরবিনের ওর প্রতি সামান্য টানও নেই। নিজের মাথা দেয়ালে ঠুকতে ইচ্ছে হলো রিদির। পারলে এখন নিজেকে নিজে সর্বোচ্চ শাস্তিস্বরূপ যদি মৃত্যু দিতে পারতো, তবে তা-ই করতো। কিন্তু রিদি এমনটা করতে পারবে না৷ মৃত্যু বড় ভয়ানক বিষয়। সবাই চাইলেই স্বেচ্ছায় মরতে পারে না। রিদিও পারবে না৷ সেই দুঃসাহস এখনো পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি ওর। সাক্ষাৎ জাহান্নামী হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। আর কে-ই বা চায় জাহান্নামী হতে? পৃথিবীতে কোনো চো’র-ডাকাত, খু’নি-বদমাশ; কেউই চায় না জাহান্নামী হতে, শাস্তি পেতে। কিন্তু অপরাধ করতে আবার ছাড়ে না।
কিন্তু রিদি এই মুহূর্ত খুব করে চাচ্ছে, ওর কৃতকর্মের শাস্তি হোক। যেই সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা নেই জেনেও নিজে একধাপ এগোলো; সেই হিসেবে ওর সর্বনাশ ও নিজে হাতেই করেছে। রিদি নিজের হাত মুঠো করে ঠুকতে থাকে মেঝেতে। আরবিন ফিচেল হাসে ওর কান্ড দেখে। তারপর বলে,
“আমি জানি তুমি আমার প্রতি দুর্বল।”
“না, মোটেও না! আমি আপনার প্রতি কখনোই দুর্বল নই। আগেও ছিলাম না, আর না তো এখন। সাময়িক মোহ ছিল। ভুল করেছি আমি। ওই আপনার কথায় ফিজিক্যাল নিডসের জন্যই।”
“তুমি মিথ্যে বলতে পারো না রিদি। তোমার চোখ তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। তুমি যে আমার ওপর দুর্বল, তা অস্বীকার করতে পারবে না। সে যাইহোক, আমার কিন্তু তোমার প্রতি; ইভেন দুনিয়ার কোনোকিছুর ওপরই মোহ নেই৷ নাহলে আব্বা-আম্মাকে ছেড়ে এভাবে জীবনের বেশিরভাগ সময় নিজের মর্জিমতো একা কাটিয়ে দিতে পারতাম না। খুব পাষাণ আমি৷ তোমার ধারণারও বাইরে।”
“আমি জানি আপনাকে।”
“না, তুমি জানো না। ইভেন কেউ-ই আমাকে জানে না। আমাকে পড়তে পারার ক্ষমতা তোমার নেই। জগতের কারোই নেই।”
রিদির এবার মুখ শক্ত হয়ে এলো। নিজেকে ঠিকঠাক করে উঠে দাঁড়ালো ও। আজ কান্না আসছে না রিদির। তবে নিজেকে থাপড়াতে ইচ্ছা করছে। চূড়ান্ত শিক্ষা বোধহয় হওয়ার-ই ছিল। এতটুকু জব্দ না হলে হতো না। আজ রিদি স্বেচ্ছায় পরাজিত হয়েছে। নিজেকে নিজে ডুবিয়েছে। উঠে বসে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে শক্ত গলায় আরবিনকে বললো,
“আমি আপনাকে ডিভোর্স দেবো।”
“এতোকিছুর পরেও?”
“আমার জন্য তেমন কোনো ব্যাপার নয়।”
“যদি তোমার পেটে আমার বাচ্চা আসে তখন? তখন কী করবে?”
আরবিন কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করে। রিদি তবু শক্ত গলায় জবাব দেয়,
“তবু ডিভোর্স দেবো। তাছাড়াও বাচ্চাকাচ্চা হওয়ার মতো কিছু হয়নি আমাদের মধ্যে।”
আরবিন আবারও হেসে বললো,
“জানি, বাজিয়ে দেখছিলাম তোমাকে। এই স্বভাবটা ইউনিট কমান্ডারের থেকে পাওয়া। তিনিও মানুষেকে বাজিয়ে দেখতে খুব ভালোবাসেন।”
“সে যাইহোক, আমি আপনাকে ডিভোর্স দিচ্ছি, এটা শেষ কথা। কনফার্ম থাকুন।”
“পারবে না তুমি।”
“আলবাত পারবো। আপনার মতো মানুষের সাথে সংসার করা সম্ভব নয় আমার পক্ষে।”
“কী? ঘৃণা হচ্ছে এখন আমার প্রতি?”
“হ্যাঁ। প্রচন্ড।”
“পারলে এখন খু’ ন করতে আমাকে?”
“সত্যিই করতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত করতে পারছি না।সমাজের মানুষ যে আমার ওপরেই ছিছি করবে।”
আরবিন সোজা হয়ে বসে। রিদি আবারও বললো,
“আমার ফ্রেন্ড ভুল কিছু বলতো না জানেন! ও আমাকে সবসময় সতর্ক করে গেছে, এই ডিফেন্সের লোকেরা খুব বদমাশ, চতুর আর চরিত্রহীন হয়৷ আমি তখন অতোটা মানিনি ওর কথা। সতর্ক হইনি। কিন্তু আজ আপনার আচরণ, কর্মকাণ্ড কথাটা শতভাগ প্রমাণ করে দিলো। আমি আপনাকে ঘৃণা করছি আরবিন। প্রচন্ড ঘৃণা হচ্ছে আপনার ওপর। এমন কেন আপনি? একটা মানুষ এমন হয় কীভাবে? কীভাবে?!”
রিদি ধাক্কা দিলো আরবিনকে। আরবিনের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। মুখের ভাবভঙ্গি স্বাভাবিক। মৃদু হেসে বললো,
“তুমি আমাকে বুঝতে পারবে না রিদি। কেউই পারে না। প্রয়োজনও নেই। তবে দোষ তুমি করেছো। আমি কী বলেছিলাম তোমাকে আমার কাছে আসতে? জোর করেছিলাম কখনো? করিনি তো। তুমি দুর্বল হয়েছো প্রতিবার, এটা তোমার দোষ।”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ! সব আমার দোষ। সব! আপনি খারাপ না। খুব ভালো লোক আপনি। আর ভালো-খারাপে মেলে না৷ এজন্য আমি আপনাকে ডিভোর্স দেবো এবং সেটা খুব তাড়াতাড়ি।”
“তোমার ধারণা ভুল। আমি খারাপ লোক। তুমি খুব ভালো মেয়ে। আমার আবার এক স্থানে বেশিদিন মোহ থাকে না বুঝলে। এটা আমার দোষ। তাই চাই না, তোমার মতো একটা ভালো মেয়ে আমার সাথে থেকে বখে যাক। বখে যাওয়া মানে বোঝো? এই ধরনের বখে যাওয়া তেমন নয়। এতে কষ্ট পেতে হয় বেশি। তাছাড়া, তোমার তো খুব সমস্যা আমার প্রফেশনের জন্য, তাই-না? তাহলে ডিভোর্স দিতে চাইলে আমারও কোনো অসুবিধা নেই।”
রিদির আর কিছু শোনার বাকি নেই। যা কিছু শোনা দরকার, সব শোনা হয়ে গেছে ওর। বরং একটু বাড়তি-ই শুনেছে৷ আর কিছু অবশিষ্ট নেই উন্মুক্ত হওয়ার মতো। দু’জনের হৃদয়ের কথাই উন্মোচিত হয়েছে। আরবিনের মনোভাব বোঝা হয়ে গেছে রিদির। ঘৃণায় গা ঘিনঘিন করছে ওর। কি চরম অপমান! এতোটা অপমানিত রিদি ওর জীবনে কখনো হয়নি। এর থেকে মৃত্যু বুঝি ভালো?
না ভালো না। বরং বেঁচে থাকা সুন্দর। রিদি আজ থেকে সুন্দরভাবে বাঁচবে বলে সিদ্ধান্ত নিলো। নিজের জীবন থেকে আরবিন নামটা পুরোপুরি মুছে দেবে। কোনো অস্তিত্ব-ই রাখবে না। একসাথে কিছুদিন থাকলেও আরবিনকে কোনো গুরুত্ব দেবে না৷ ওকে চিনবেই না। সবকিছু ভুলে গিয়ে সামনে এগোবে। জীবনে কিছু একটা করবে। অবশ্যই করবে। আরবিনকে দেখিয়ে দেবে। রিদি মনে মনে পণ করলো। আরবিনের সঙ্গে আর একটা কথাও বললো না। ভোর হতেই তাড়াহুড়োয় বেরিয়ে পরতে হলো আরবিনের সাথে।
রিদিকে নিয়ে আরবিন মূল সড়কে উঠে এগোলো সামনের দিকে। কপাল ভালো, পকেটে মানিব্যাগটা ছিল অন্তত। একটা ট্রাক থামালো পথিমধ্যে। তাদেরকে মোটামুটি কিছু ঘটনা চেপে গিয়ে সমস্যার কথা বলতেই তারা ওদেরকে ট্রাকে নিতে রাজি হলো। এসব জায়গায় সহজে ছোটোখাটো যানবাহন বা বাস ধরা যায় না। ট্রাকে চড়ে এখান থেকে মধুপুর অবধি যাবে। সেখান থেকে সোজা ক্যান্টনমেন্টে।
পথিমধ্যে রিদি আর একটা কথাও বললো না আরবিনের সাথে। ওর দিকে মুখ ঘুরিয়েও তাকালো না। তাতে অবশ্য আরবিনের কোনো তোয়াক্কা নেই। কোনো তোয়াজও করলো না। ফোন নিয়ে কি কি যেন করতে লাগলো ও। একবার কাকে কল দিলো। সম্ভবত ড্রাইভারকে হবে৷ কল রিসিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটা খাস বাংলা গালি দিলো ড্রাইভারকে। বোঝাই যাচ্ছে, রাগের মাথায় গালিটা দিয়েছে৷ তবু রিদি চোখ বড় বড় করে আড়চোখে দেখলো ওকে। তারপরেই তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো,
“ছিহ! এ-ও দেখতে বাকি ছিল!”
“গালিগালাজ প্রায় সব পুরুষ মানুষ-ই দেয়।”
“আমার আব্বুকে কখনো দেখিনি গালি দিতে।”
“তাহলে তো তোমার আব্বু অত্যন্ত ভালোমানুষ। তবে আমি অতো ভালোমানুষ নই।”
“ঘৃণা করার আর কোনো কারণ বাকি নেই দেখছি।”
“করতে থাকো ঘৃণা। আমাকে সহ্য করতে পারবে না, আগেই বলেছি৷ ডিভোর্স-ই দাও বরং। বেঁচে যাবে।”
“হ্যাঁ তাই-ই দেবো। হুট করে সম্ভব নয়। একটু সময় প্রয়োজন৷ আমার অ্যাডমিশন কোচিং শুরু করবো এখানে। অ্যাডমিশনের পরে ঢাকায় ফিরে ডিভোর্সের জন্য মামলা করবো।”
“ওকেহ, কোরো। ফুল সাপোর্ট পাবে আমার তরফ থেকে। চিন্তার প্রয়োজন নেই।”
রিদি আর কথা বাড়ালো না৷ আরবিনকে কেমন যেন অচেনা লাগছে। খুব বেশি! আগের মানুষটার সাথে এই মানুষটার একটুও মিল নেই। একটুও না! কি যেন একটা হয়েছে আরবিনের৷ তবে এতটুকু তো বুঝে গেছে, আরবিন পাষাণ। খুব পাষাণ। রিদিও এবার শক্ত হবে। ইংরেজিতে যাকে বলে “স্ট্রং!” রিদি এবার নিজেকে চিনবে। নিজেকে জানবে। যথেষ্ট শাস্তি পাওয়া হয়েছে ওর৷ ভুলের মাশুল গুনবে না আর৷ বরং ভুলগুলো চিনে রাখবে প্রতি পদে পদে৷ আরবিন কেউ নয়। কেউ নয় ওর। এই জঘন্য সত্যিটা রিদি আজ বুঝে গিয়েছে। আর দুর্বল হবে না ও। আরবিনের চাহিদাকে প্রশ্রয় দেবে না৷ নিজেও ভুল করবে না। মোহ কাটিয়ে বেরিয়ে আসবে।
মাইক্রোবাসটা পাওয়া গেল মধুপুরের বাইরে। ড্রাইভার গাড়িটা সড়কের পাশেরই একটা পেট্রোল পাম্প স্টেশনের এরিয়ায় রেখে টঙের দোকানে বসেছিল। সারারাত অপেক্ষা করেছে পেট্রোল স্টেশনেই। এতগুলো টাকা পাওনা। না নিয়ে নড়া যায় না৷ আর ড্রাইভার লোকটা অতি বিশ্বস্ত আরবিনের৷ এজন্য লোকটা আশায় ছিল, আরবিন আসবেই। রাতে কয়েকবার নাকি ফোনও দিয়েছিল আরবিনের নাম্বারে। কিন্তু ফোনে সংযোগ পাওয়া যাচ্ছিল না৷
নিষিদ্ধ শব্দের দিনলিপি পর্ব ২৩
দেখা হওয়ার পরে আরবিনকে জিজ্ঞাসা করতেই আরবিন জানালো, ফোনে নেটওয়ার্ক ছিল না; তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরবিন আর রিদি মাইক্রোতে উঠলো আবারও৷ ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিলো৷ গাড়ি চলতে শুরু করলো সিলেট ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে। আর ঘন্টা দুয়েকের অপেক্ষা৷ তারপর শুরু হবে তাদের এক নতুন জীবনের। সামনে আসন্ন ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে ওদের জন্য তা ওরা কেউই জানে না! অথচ দু’জন পরিকল্পনা করে রেখেছে ভিন্ন ভিন্ন। বিচ্ছেদের পরিকল্পনা!