নীলের হুরপাখি পর্ব ২৩
কারিমা ইসলাম কেয়া
নীল কফি বানিয়ে হুরের হাতে দেওয়ার আগেই কফির কিছুটা অংশ হুরের বুকে গিয়ে পড়লো।
নীল ঃ উফ পাখি জ্বলছে।
নীল হুরের শার্টের বোতাম খুলতে লাগলো। 1 টা বোতাম খুললো । তারপর ঠোঁট গোল করে ফু দিতে থাকলো।
নীল ঃ পাখি এখনো জ্বলছে।
হুর ঃ হুম।
নীল এবার তার পকেট থেকে রোমাল বের করে, রোমালটা ভিজিয়ে হুরের বুকে আলতো চেপে ধরলো। ঠাণ্ডা পানির স্পর্শে হুরের যন্ত্রনা কিছুটা কমতে লাগলো।
নীল দুষ্টামি হেঁসে বললো,
নীল ঃ ওয়েট পাখি এবার তোমরা যন্ত্রনা পানি একেবারে ভেনিস করে দিব ।
হুর নীলের কথা শুনে কিচেন কাউন্টারের উপর থেকে নামতে চেষ্টা করলো দ্রুত কিন্তু নীল হুরকে সেই সুযোগ দিল না। কাধ চেপে ধরে এবার দেয়ালের সাথে মিশিয়ে দিল।
নীল হুরের পোড়া যাইগায় জিহ্বা দিয়ে লহন ও চুমু খাওয়া শুরু করলো।
হুর তার সার্ট চেপে ধরলো।
হুর মিন মিন করে বললো,
হুর ঃ খুব খিদে পেয়েছে নীল ভাই।
নীল হুরের কথা না শুনে এবার হুরের গলায় চুমু খাওয়া শুরু করলো।
হুর ঃ নীললল ছেড়ে দাও খিদে পেয়েছে।
নীললল এবার সাথে সাথে ছেড়ে দিয়ে হুরের দিকে তাকালো। তার কানে এখনো নীলল ওয়ার্ড টা এখনো বারি খাচ্ছে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নীল ঃ আজ দিয়ে দুবার তুই আমায় নীল বলে ডাকলি। দুবারই আমি তোর কথা মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় পালন করলাম।
উফ পাখি এভাবে ডাকলে তহ জানটাও দিয়ে দিব।
পাস্তা সিদ্ধ হয়ে গেছে। নীল এবার সেটাঁ ফ্রাই করা শুরু করলো।
10 মিনিট পর
নীল ঃ পাখি হয়ে গেছে।
নীল কাটাঁ চামচে খাবার তুলে ফু দিয়ে ঠাণ্ডা করতে লাগলো। তারপর খুব যত্নে হুরকে খাইয়ে দিচ্ছে।
হুর বাচ্চাদের মতো খেতে লাগলো। নীল খুব যত্নে হুরের ঠোঁটে লেগে থাকা খাবারের ক্ষুদ্র অংশ মুছে দিল।
নীল ঃ তোমাকে না একদম ছোট বাচ্চাদের মতো লাগছে।
হুর এবার নিজের এলোমেলো চুল ঠিক করলো।
হুর ঃ তুমি আমার সাথে মজা করছো।
নীল ঃ হুম।
হুর ঃ আমাকে কীহ খুব বাজে লাগছে দেখতে।
নীল ঃ না কিউট লাগছে। উফফ পাখি তুমি এত কিউট কেনো। আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে।
হুর লজ্জায় দু হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নিল। একটু সময় নিয়ে মুখ থেকে হালকা হাত সরিয়ে চোঁখ বের করলো।
হুর ঃ নীল ভাই বন্ধ কর পাম দেওয়া। পাম বরি আর ব্লাসন ছাড়াই লজ্জায় গালদুটো ফুলে লাল হয়ে যাচ্ছে।
নীল ঃ এটাঁই তোহ ভালো গাল দুটো ফুলে একদম রসগোল্লা হয়ে যাচ্ছে। আমি এই রসগোল্লার রস আস্তে আস্তে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবো।
হুর ঃ তুমি তোহ রসগোল্লা পছন্দ করো না।
নীল ঃ হুম বাট বউ রসগোল্লা আমার খুব পছন্দ দেখলেই জ্বীহ্বে পানি চলে আসে।
হুর এবার লজ্জায় আবার পুরো মুখ ঢেকে নিল।
রক্তিম ঃ আমি কখনোই ভাবতে পারিনি আপনি এতটা নিচ। আপনি হুর পরি কে মেরে ফেলার জন্য কাচঁ গুড়ো করে দুধের গ্লাসের ভিতর মিশিয়ে দিয়েছিলেন।
তুবা ঃ হ্যাঁ আমিই এমনটা করেছি। বেশ করেছি। ওই নষ্টা মেয়ে আমার থেকে আমার নীলকে কেড়ে নিয়েছে।
রক্তিম ঃ চুপ। একদম চুপ। এই নষ্ট মুখে একবার ওহ আপনি হুরপরির পবিত্র নাম মুখে নিবেন।
তুবা ঃ তোহ তোমার এত জ্বলছে কেন। হুরকে ভালোবাসো।
রক্তিম ঃ হ্যাঁ আমি হুরকে ভালোবাসি। কিন্তু হুর আমার জন্য কখনোই বরাদ্দ নয়। আমি হুরকে এক তরফা দূর থেকেই ভালোবাসি। কখনোই সে আমার হবে না, আমি এটাঁ জেনেই তাকে ভালোবাসি।
তুবা তুমি নিজের ভালো চাও তোহ হুরের থেকে দূরে থাকো। মনে রেখো আমরা যে আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখি, সেই আয়নায় কিন্তু আমাদের জীবনে সবচেয়ে বড় ধোকা দেয়।
রক্তিম রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
লামহা ঃ তোমরা আমার মেয়েটার জীবন নষ্ট করে দিয়েছো, আমি কখনোই তোমাদের ক্ষমা করবোনা।
হায়দার ঃ লামু পরিস্থিতি সবসময় আমাদের সঙ্গী হয় না। তারা ও কখনো কখনো আমাদের ধোকা দেয়।
আমি নিশ্চয়ই বাবা হয়ে আমার মেয়ের খারাপ চাইবো না, সে আমি মানুষটা যতো খারাপ ই হয় না কেনো।
রাত 2 : 30 তুবা পানি খাওয়ার জন্য নিচে আসলো। রুমে পানি নেই।
তুবা জগ থেকে গ্লাসে পানি ভরে চুমুক দিল। এক চুমুক দেওয়ার সাথে সাথেই তুবা গলা ধরে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
তুবার চিৎকারে রক্তিম উপর থেকে নিচে নেমে আসে। তুবা গলা চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করছে।
রক্তিম ঃ কীহ হয়েছে।
তুবা গ্লাসের দিকে ইশারা করলো। রক্তিম আন্দাজ করতে পারলো তবুও গ্লাসটা কাত করতেই ছোট ছোট কাচেঁর দানা বেরিয়ে আসলো।
রক্তিম সবাইকে ডাকলো। সকলেই উপর থেকে নামতে লাগলো। নীল আর হুর ওহ আসলো।
নীল ঃ কীহ হয়েছে এতো রাতে।
নীলের হুরপাখি পর্ব ২১+২২
রক্তিম ঃ ভাইয়া তুবার গলায় কাচঁ বিধেঁছে।
এবার সবাই নীলের দিকে তাকালো।
নীল ঃ আরে সবাই এভাবে আমার দিকে কীহ দেখছো। তোমরা কিহ ভাবছো এটাঁ আমার কাজ।
Exactly right তোমরা সকলেই ঠিক।
