নূরজাহানের সংসার পর্ব ৫
শ্রীমতি প্রজ্ঞা মঞ্জরী
“নূরজাহান এর মা অর্থাৎ আমার শাশুড়ি বিয়ের আগে আমায় বলেছিলেন নূরের কোনোদিন বাচ্চা হবেনা। শারীরিক কোনো জটিলতার কারণে সে বাচ্চা জন্ম দিতে অক্ষম। আর বিয়েতে আমি মূলত সে কারণেই রাজি ছিলাম তাসিন।”
“কিহ্! মানে তুই বিয়ের আগে জানতি ভাবী সন্তান জন্মদানে অক্ষম?”
“এমনটাই আমাকে বলা হয়েছিলো। তুই জানিস আমি অভ্রকে নিয়ে কতো চিন্তায় থাকতাম।তাহিরা যখন আমাদের ছেড়ে চলে গেলো তখন অভ্রর বয়স সবে আড়াই বছর।আমি বিয়ে করতে চাইনি তাসিন।কিন্তু আমি সারাদিন অফিসের কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকি।আমার বাচ্চাটাকে আম্মা একা সামলাতে পারেন না;তারও বয়স হচ্ছে। এতোকিছুর মাঝে যখন বিয়েতে রাজি হই তখন আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম কোনো অবিবাহিতা নারীকে আমি বিয়ে করবো না। ডিভোর্সি বা বিধবা হতে হবে। আমি কারো জীবন নষ্ট করতে চাইনি তাসিন।” কথাগুলো একনাগাড়ে বলে একটু বিরতি নিলো অর্ণব। তার গলা শুকিয়ে আসছে,অপরাধবোধ হচ্ছে কিন্তু তা স্বীকার করতে পারছেনা।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
“তাহলে ভাবীকে কেন বিয়ে করলি?সে তো ডিভোর্সি বা বিধবা কোনোটাই নয়। শুধু বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম বলেই তাকে বিয়ে করেছিলি?”
তাসিনের প্রশ্নে মাথা নাড়ায় অর্ণব। একটু পরে বলে ওঠে,
“নূরজাহানকে আমি যেদিন দেখতে যাই সেদিনই আমার ওকে খুব পছন্দ হয়। নূরের মাকে আমি জিজ্ঞেস করি নূর ডিভোর্সি বা বিধবা কি-না। নূরের মা তখন আমায় বলে নূর বন্ধ্যা,এই কারণে নাকি তার বিয়ে হচ্ছেনা। তিনি আমার সামনে কাতর কাণ্ঠে বলেন,নূরের বাবা মারা গেছে,মেয়েটা এতিম। সেদিন বাড়ি ফিরে আমি অনেক ভাবনা-চিন্তা করি।এমন একজন নারী যে সন্তান দানে অক্ষম তাকে অভ্রর মা হিসেবে আনলে সে অভ্রকে নিজের সন্তানের মতো করেই ভালোবাসবে। নিজের সন্তান না হবার কষ্ট আমার অভ্রকে দিয়ে ভুলে যাবে;আর আমার অভ্রও মায়ের ভালোবাসা পাবে। নূরের মাকে আমি নিজের প্রথম সংসার আর সন্তানের কথা জানাই।তিনি বলেন নূর রাজি আছে এই বিয়েতে;তবে বিয়ের সময় অভ্রকে যেন না আনি। আত্মীয় স্বজনরা কানাঘুষা করবেন। আমিও তার কথায় সায় দেই;অত:পর এই বিয়ে।”
অর্ণবের কথায় তাসিন রীতিমত বিরাট শক পেয়েছে।নিজের মেয়ের সাথে কেউ এমনটা করে! ভেবে পাচ্ছেনা তাসিন।
“আন্টি জানেন ভাবীর প্রেগন্যান্সির কথা?”
“নাহ্।বলিনি আমি।”
“ভাবীর মা যে বলেছিলেন ভাবী বন্ধ্যা; এ কথা কি আন্টি জানতেন?”
“না, আমি আম্মাকে বলিনি এসব।শুধু আমি,নূরের মা আর নূর-ই জানতো এই কথা।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে নূর নিজেও জানতো না।”
“দেখ ভাই, ভাবীর উপর তুই জুলুম করেছিস।মানছি বাচ্চার খবর শুনে তুই শকে ছিলি,কিন্তু এতোটা রুড কি করে হলি?।পাশাপাশি তুই ভাবীকে সরাসরি প্রশ্ন না করে এবরশনের দিকে চলে গেছিস। একজন মায়ের জন্য তার বাচ্চা ন*ষ্ট করা কতোটা যন্ত্রণাদায়ক তুই আশা করি বুঝিস।”
তাসিনের কথায় অর্ণব উত্তর করলো না। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে গাড়ির সাথে নিজের মাথাটা ঠেকিয়ে আকাশের দিকে মুখ করে চোখজোড়া বন্ধ করলো।মনের ভিতরটা তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে তার;সে ভুল করেছে,চরম ভুল।নূরকে তার কথার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছে।রাগের মাথায় নিজের সন্তানকে পর্যন্ত ন*ষ্ট করতে বলেছে।অর্ণব পাপী,অপরাধী;তার স্ত্রী আর অনাগত সন্তানদের অপরাধী সে।
কিছুক্ষণ বাদে অর্ণবকে ডেকে ওঠে তাসিন; চোখ মেলে তাকায় অর্ণব।
“চল!”
তাসিনের কথায় অর্ণব বলে ওঠে, “কোথায় যাবো?”
“তোর বউ মানে আমার ভাবীকে খুঁজতে। হেড কোয়াটারে যাবো,ভাবীর নাম্বারের লোকেশন ট্র্যাক করবো।লাস্ট লোকেশন জানলেও কিছুটা কাজ হবে আশা করা যায়।”
অর্ণবের কাছ থেকে গাড়ির চাবিটা নিয়ে গাড়িতে উঠতে উঠতে বলে তাসিন। অর্ণবও জলদি করে গাড়িতে উঠে সিটবেল্ট লাগায়।
“এখান থেকে হেডকোয়াটার আধা ঘন্টার পথ। কিন্তু এই টাইমে রাস্তায় জ্যাম থাকবে;দেড় ঘন্টাও লেগে যেতে পারে।তুই ঘুমিয়ে নে;অসুস্থ হলে বউকে না খুঁজে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।” বলেই গাড়ি স্টার্ট দেয় তাসিন। অর্ণব নিজের চোখজোড়া বন্ধ করে নেয়। ঘুম হয়তো আসবেনা, কিন্তু ক্লান্তিভাব যদি একটু কমে,এই আশায়।
বেলা গড়িয়ে গেছে অনেকটাই। নূর প্রায় একঘন্টা হলো ঘুমিয়েছে। হঠাৎ ঘুমটা হালকা হয়ে এলো নূরের,চোখটা মেলতেই গা গুলিয়ে বমি পেল। একরকম দৌঁড়ে ওয়াশরুমে যেতেই গড়গড় করে পেটে যা ছিলো সব উগড়ে দেয় নূর।
কারো গোঙানির আওয়াজে রুমে আসে স্নেহা।এসে নূরকে বিছানায় না পেয়ে নাম ধরে ডাকতে থাকে।ওয়াশরুম থেকে নূরের অস্পষ্ট ধ্বনি পেলেই দ্রুত পায়ে সেখানে যায় স্নেহা।নূরের তখন বমি কতে নাজেহাল অবস্থা,মাথাটা ঘুরছে প্রচণ্ড।স্নেহা আসতে স্নেহার উপর নিজের সমস্ত ভার ছেড়ে দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে নূর।
নূরের অবস্থা দেখে হকচকিয়ে যায় স্নেহা।জোরে চিৎকার দিয়ে নিজের মা মারজানাকে ডাকে। মারজানা তখন নিজের ঘরে ছিলেন,নূরের দেওয়া চিঠিটা পড়ে তিনি অসম্ভব রকমের হতভম্ভ হয়েছেন।মেয়ের চিল্লানির আওয়াজে চিঠিটা আলমারিতে রেখে দৌঁড়ে ঘর থেকে বের হন মারজানা। ওয়াশরুমে নূরকে এমন অবচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখে তিনি যেন দিকবেদিক শুণ্য হয়ে যান।এক মগ পানি এনে নূরের মুখটা ধুঁয়ে দেন তিনি।স্নেহার সাহায্য নিয়ে কোনো রকমে নূরকে ঘরে এনে সাবধানে বিছানায় শুইয়ে দেন।
“স্নেহা দ্রুত তোর বাবাকে খবর দে।ও সেন্সলেস হয়ে গেছে,বেশি দেরি করা যাবেনা।”
মায়ের কথায় দ্রুত নিজের বাবাকে কল করে স্নেহা। মারজানা আগেই খালিদ অর্থাৎ স্নেহার বাবাকে জানিয়েছিলেন নূরের আসার খবর। ভদ্রলোক খুশি হয়ে কর্মচারীদের কাছে দোকান রেখে বাজারে যান বড় মাছ আর মাংস কিনতে।
“মা,বাবাতো ফোন ধরছে না। এদিকে নূরের জ্ঞানও ফিরছে না,আমরা বরং ওকে মেডিকেলে নিয়ে যাই মা?”
“হ্যাঁ, তা-ই করি। তুই এক কাজ কর,গাড়ি ডাক। ওইযে হাসান আছেনা? ড্রাইভার;ওকে খবর দে।আমি বোরকা টা পড়েই আসছি।” বলেই মারজানা ছুটলেন নিজের ঘরের দিকে। আলমারি থেকে বোরকা বের করে পড়ে নিলেন, আর কিছু টাকা নিয়ে নিলেন সাথে করে।
“মা, নিচে চলো;গাড়ি এসে যাবে এক্ষুণি।” স্নেহার কথায় মারজানা মাথা নাড়ালেন।অত:পর মা-মেয়ে মিলে নূরকে অনেক কষ্টে তিনতলা থেকে নিচে নামালেন। ততক্ষণে বাড়ির সামনে গাড়িও এসে গেছে। নূরকে নিয়ে গাড়িতে উঠেই মারজানা বলে ওঠেন, ” ল্যাবেইডে চলো।মেডিকেল যেতে অনেক সময় দরকার। মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে আছে, রিস্ক নিতে পারবো না।” ড্রাইভার সায় দিলো মারজানার কথায়।অত:পর গাড়ি স্টার্ট দিলো;গন্তব্য ল্যাবেইড স্পেসালাইজড হসপিটাল।
ঘড়ির কাঁটায় সময়টা সাড়ে বারোটা।সূর্য এখন মাথার উপর খাড়া ভাবে কিরণ দিচ্ছে।একটুও বাতাস নেই আসেপাশে;গুমোট আবহাওয়া সাথে ভ্যাপসা গরম।হয়তো দু’একদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হবে।
অর্ণবের গাড়িটা এসে সবা পুলিশ হেডকোয়াটার এর সামনে থেমেছে।তাসিনের কথা মতোই আধা ঘন্টার পথ দেড় ঘন্টা গেলে গেছে তাদের।তাসিন নিজের সিটবেল্টটা খুলে অর্ণবকে ডাক দিলো।সবেমাত্র একটু ঘুমের রেশ এসেছিলো অর্ণবের,তাসিনের ডাকে চোখ মেলে তাকায় সে।
“ওঠ ব্যাটা,এখন ঘুমাস না।ভাবীকে খুঁজে পাই আগে তারপর শান্তির ঘুম দিবি বউ নিয়ে।”
অর্ণব মৃদু হাসে তাহসিনের কথায়।অত:পর গাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশ হেডকোয়াটার এর ভিতরে যায়। তাসিন সাথে থাকায় অর্ণবকে কেউ বাঁধা দেয়নি ভিতরে যেতে। তবে কন্ট্রোল রুমের ভিতর সিভিলিয়ানদের প্রবেশ নিষেধ; তাই অর্ণবকে ওয়েটিংরুমে বসিয়ে রেখে তাসিন নিজের কাজে যায়। যাওয়ার সময় অর্ণবের থেকে নূরের নাম্বারটা নিয়ে নেয়।
ওয়েটিং রুমের ধাতব চেয়ারে বসে আছে অর্ণব। চোখে-মুখে এক অজানা ভয় তার।
“নূরজাহান কোথায় চলে গেলে তুমি? সকাল অবধি একটু অপেক্ষা করা গেলো না আমার জন্য? এতোটা অভিমান করলে যে ছেড়েই চলে গেলে? দেখো! তুমি চলে গেছো একটা দিনও হয়নি কিন্তু আমার দুনিয়া-জাহানের সমস্ত আলো তুমি নিয়ে গেছো।এতো আলো এতো সাজসজ্জার মাঝেও আমি তোমায় ছাড়া সব অন্ধকার দেখছি নূরজাহান। ফিরে এসো প্লিজ, আমায় প্রশ্নবিদ্ধ করো। কেন আমি তোমায় কষ্ট দিলাম তা নিয়ে আমায় প্রশ্নবিদ্ধ করো, দরকার হলে গাল-মন্দ করো তবুও একবার দেখা দেও নূরজাহান।” বিড়বিড় কিরে বলে ওঠে অর্ণব।চোখজোড়া জলে টইটুম্বুর হয়ে গেছে। অনুসূচনার অনলে পুড়ে নিঃশ্বাস হয়ে যাচ্ছে সে।
“ভাই,পেয়েছি।” ওয়েটিং রুমের দরজা খুলে ঢুকতে ঢুকতে বলে ওঠে তাসিন। অর্ণব দু’হাতের তালুতে তাড়াতাড়ি করে চোখের জল টুকু মুছে নেয়।
“ভাবীর লাস্ট লোকেশন ফরিদপুর। বড় বাসস্টপেজের আশেপাশে। এরপরের লোকেশন ট্র্যাক করা সম্ভব হয়নি;হয়তো সিমকার্ড খুলে ফেলেছেন বা ফোনের ব্যাটারি ডেড।”
তাসিনের কথা শেষ হতে না হতেই অর্ণব বলে ওঠে, “ফরিদপুর? ওখানে কেন যাবে নূরজাহান?”
“কোনো ফ্রেন্ড?রিলেটিভস? এমনি এমনি তো আর একটা শহরে চলে যাবে না।”
“এর উত্তর নূরের মা দিতে পারবে।নূরের বাবার বাড়ি যেতে হবে তাসিন।তুই যাবি?”
“আলবাত যাবো। চল!”
অর্ণব বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়,অত:পর ওয়েটিং রুম থেকে বড় বড় পা ফেলে বের হয় তাসিন আর অর্ণব। গাড়িতে ড্রাইভিং সিটে বসে অর্ণব গাড়ি স্টার্ট দেয়, তার পাশের সিটেই তাসিন। রাস্তার রৌদ্র-উত্তপ্ত ধুলো উঁড়িয়ে গাড়ি নিয়ে নূরদের বাড়ির উদ্দেশ্যে অগ্রসর হয় তারা।
হাসপাতালের করিডোরে চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে আছে স্নেহা,তার পাশেই চেয়ারে বসে আছেন মারজানা। ডাক্তার ভিতরে নূরের চেকাপ করছে। একটু পরে ডাক্তার বেরিয়ে আসলে বসা থেকে উঠে দাঁড়ান মারজানা। স্নেহা এগিয়ে যায় ডাক্তারের কাছে।
“নূরের কি অবস্থা ডাক্তার? কি হয়েছে ওর?”
“পেশেন্ট আপনার কি হন?” স্নেহাকে জিজ্ঞেস করেন ডাক্তার।
“আমার বোন হয় পেশেন্ট।”
“আপনারা কি জানেন না যে সে প্রেগন্যান্ট? এগুলো নরমালি প্রেগন্যান্সিতে হয়েই থাকে।চিন্তা করবেন না,ওনাকে স্ট্রেসমুক্ত রাখুন।মানসিকভাবে যদি ভেঙ্গে পড়েন তাহলে বাচ্চার ক্ষতি হবে। আরো শিওর হতে একটা প্রেগন্যান্সি টেস্ট আর আলট্রাসাউন্ড করিয়ে নিবেন।”
ডাক্তারে কথায় যেন অবাকের চরম সীমায় আছেন মারজানা।নূরের যে বিয়ে হয়ে গেছে তা জানেন না তিনি। নূর যদি অবিবাহিতা হয় তাহলে বাচ্চা কিভাবে? ইকবাল ভাইয়ের মেয়ে এমন কাজ করতে পারেনা, সেই বিশ্বাস নূরের উপর তার আছে।
“ডাক্তার এই রিপোর্ট টা দেখুন তো।এখান থেকে কিছু জানা যায় কিনা।” বলেই নিজের ব্যাগ থেকে একটা রিপোর্ট বের করে ডাক্তারের হাতে দেয় স্নেহা।
ডাক্তার রিপোর্ট টা পর্যবেক্ষণ করেন সময় নিয়ে। অত:পর বলে ওঠেন, “আমার ধারণা সঠিক,উনি প্রেগন্যান্ট। ওয়ান মান্থ প্লাস, টু ফেটাস। ওনার যত্ন নিবেন।এখানে প্রেসক্রিপশনে যেই মেডিসিন দেওয়া আছে ওগুলো নিয়মিত খাওয়াবেন। আর অবশ্যই রুটিন চেকাপের মধ্যে রাখবেন।” বলেই ডাক্তার স্নেহার হাতে রিপোর্ট এর ফাইলটা দিয়ে চলে গেলেন।
নূরজাহানের সংসার পর্ব ৪
“তুই এই রিপোর্ট কোথায় পেলি?” মারজানা প্রশ্ন করেন স্নেহাকে।
“নূরের ব্যাগে পেয়েছি মা। একটু আগে ও যখন অজ্ঞান হয়ে গেলো, ওর গায়ের কাপড়টা নোংরা হয়ে গেছিলো।তাই ওর ব্যাগ থেকে একটা জামা বের করে ওকে চেইঞ্জ করাতে নিচ্ছিলাম।তখনি রিপোর্ট টা আমার চোখে পড়ে,আমি ভালোমতো খেয়াল করিনি এইটার উপর গাইনোকলোজিস্ট এর নাম লেখা। ভাবলাম ডাক্তারি রিপোর্ট, হয়তো ওর সমস্যার পাস্ট হিস্টোরি জানতে পারবো।এজন্যই নিয়ে এসেছিলাম।”
“নূরের জ্ঞান ফিরলে ওকে জিজ্ঞেস করবো?এই বাচ্চার বাবা কে?”
“একদম না মা। ও নিজেই বলবে তোমায়।তুমি জিজ্ঞেস করলে অপ্রস্তুত হয়ে পড়বে। আর আমি যদি ভুল না হই তবে ওর হাসবেন্ডের নাম অর্ণব।”