নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩৫

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩৫
সিনথিয়া

“ভাই..! থাম! মেরে ফেলবি নাকি ওকে?”
আয়ানের কন্ঠস্বর তটস্থ! ব্যগ্র কদমে ছুটে এলো শেহজাদের কাছে। পর্বতসম দৃঢ় মানুষটাকে টেনে সড়াতে বেগ পেতে হলো অফিসারকেও।
আক্রোশের অঙ্গারে জ্বলজ্বলে দুটো চোখ!
রক্তাক্ত কাঁধ। অনড় সত্তায় খুন চেপেছে যেনো!
“আই সয়্যার আ’ল কিল হিম!”
দাঁতে দাঁত পিষে কথাগুলো আওড়ালো শেহজাদ। লম্বা পা টা জুতো সহ আরো গেড়ে বসলো আদির গলায়।
সামান্য নড়লো না নিস্তেজ শরীরটা।
শ্বাস রোধ হওয়ায় নার্ভ সিস্টেম ডাউন।
অজ্ঞান হয়ে গেছে!

কয়েকজন “এনওয়াইপিডি” এর টিম মেম্বাররাও এলো ওদের কাছে! ধরাধরি করে সড়ালো প্রফেসরকে। অচেতন অবস্থাতেই আদিকে নিয়ে নেয়া হলো পুলিশি হেফাজতে!
স্নোবলকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে জারাও উঠে এলো ওপরে!
অদূরেই দাঁড়িয়ে বিধ্বস্ত প্রায় আরশি!
ঠোঁট শুকিয়ে ফ্যাকাসে।
জারা দৌঁড়ে এসে ওর হাতের দড়ি খুললো! বুকে জড়িয়ে নিলো পরিশ্রান্ত মুখটা!
“আমি না করেছিলাম না তোকে? কি দরকার ছিল এসবের? যদি কিছু হয়ে যেতো?”
“আমাদের প্ল্যান সাকসেসফুল জারা! সবটা রেকর্ড করা হয়ে গেছে!”
মলিন হেসে কথাগুলো বললো আরশি।
আননজুড়ে বিজয়ের আবেশ। সন্ধ্যার লাল আলো মিলিয়ে অনন্ত অন্ধকারে ঢাকতে শুরু করেছে প্রকৃতি। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু পথচারীরা। শুভ্র বরফেরা গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ঝরছে উপর থেকে। ওভারকোটের কাধে পুরু আস্তরণ তার অস্তিত্বের।
এসবের মধ্যেই মুখ তুলে চাইলো আরশি। জারার ভেজা চোখগুলো মুছে ক্লান্ত হাসলো।
কিন্তু দৃষ্টি ফিরিয়ে শেহজাদের দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠলো অন্তঃকরণ।
আশঙ্কায় খামচে ধরলো বুকটা। দুরুদুরু কাঁপলো ঐ রাগী রাগী চোখদুটো দেখে!
যেনো নীল সমুদ্রে উত্তাল ঝড়ের পূর্বাভাস চলছে সেখানে!
আরশিকে জানিয়ে দিতে চাইছে,
“আজকের পাকনামির শাস্তি আদির চাইতেও ভয়ানকভাবে পাবে তুমি! তৈরি থেকো!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

গাড়ির ড্রাইভিং সিটে আয়ান। পাশেই স্নোবলকে কোলে নিয়ে বসেছে জারা।
পিছনে আরশি আর শেহজাদ।
ক্লিনিক হয়ে সোজা হাসান ভিলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ওরা।
গাড়ির ভিতর চুপচাপ গুমোট পরিস্থিতি। এতোক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে হাঁসফাঁস করছে আয়ান। আবার মুখ ফুটে কিছু বলতেও পারছে না শেহজাদের যন্ত্রণায়।
মানুষটা এমনিতেই খেপে আছে। বারবার আগুন চোখে তাকাচ্ছে সবার দিকে।
কাঁটা জায়গাগুলোতে স্টিচ করে ব্যান্ডেজ করা। ডক্টর বলেছেন ক্ষত মারাত্মক নয়, তবে সময় মতো ড্রেসিং করতে হবে! নয়তো ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে!
নড়েচড়ে বসলো আয়ান। নীরবতা ভাঙতে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজালো। মুখে হাসি টেনে বললো,
“রাগ করছিস কেনো ভাই? তুই অমন ফুলে থাকলে আমার বিয়ে হবে?”
জারা মাথা নোয়ালো বিরক্তিতে! এ ছেলে এতো সিরিয়াস মোমেন্টেও বিয়ের কথা বলছে?
রিয়ার ভিউ মিররে তাকাতেই ঢোক গিললো আয়ান। শেহজাদের ক্রুদ্ধ দৃষ্টির ফাঁকফোঁকর দিয়ে ওদের বন্ধুত্বটা খোঁজার হাল ছেড়ে দিলো বিষন্ন মুখে!
থমথমে গলায় আওড়ালো,
“একটা ইমম্যাচিওর ডিসিশন! আরশির সাথে হিডেন ক্যামেরা আর রেকর্ডার দিয়ে ওখানে পাঠিয়ে ছিলাম কারণ জানতাম আমাকে আঁটকে দিলেও আরশিকে ওরা ঠিক তোর অবধি নিয়ে যাবে! আর মাস্কম্যানের তার রহস্যটাও ফাঁস করবে!”

এ পর্যায়ে থামলো আয়ান! দম নিয়ে ফের বলা শুরু করলো,
“আর যেটা ভেবেছিলাম ঠিক সেটাই হলো! আরশি ভেতরে ঢোকার সাথে সাথে ওরা সামহাউ টের পেয়ে যায় আমার কথা! আর বিল্ডিং এ ঢোকার সমস্ত রাস্তাও বন্ধ করে দেয় তখন! বাট দ্য রেস্ট ওয়াজ ট্র্যাজিক!
আমি ভাবতেও পারিনি আমার প্ল্যানটা এভাবে ব্যাকফায়ার করবে! সরি শায়ান!”
মন খারাপ হয়ে গেলো আরশির! ইশশ! ওর জন্য দুই বন্ধুর এতো সুন্দর সম্পর্কটা নষ্ট হবে?
তড়িঘড়ি চাইলো শেহজাদের দিকে। সবটুকু সাহস একসাথে জুগিয়ে বলে উঠলো,
“আয়ান ভাইয়ের কোনো দোষ নেই! আমিই জেদ ধরেছিলাম আপনার কাছে যাওয়ার জন্য!”
“না ভাই! তুই ভাবীকে বকিস না! সব দোষ আমার!”
জারা চোখ তুললো এবার! বিষাদসিন্ধু দৃষ্টিতে আয়ান আর আরশিকে দেখে নিয়ে চাইলো শেহজাদের আনত মুখের দিকে!
“আরশির ফ্রেন্ড হিসেবে আমার ওকে আঁটকানো উচিত ছিল! আ’ম সরি প্রফেসর!”
সেকেন্ডের মাথায় তিনজনের রেডিও চলতে শুরু করলো একসাথে! সবাই যেনো একে অপরের দোষ ঢাকতে মরিয়া! কে কি বলছে কারোটাই স্পষ্ট নয়! তবুও থামছে না ওরা!
“চুপ কর সবাই!”
শেহজাদের বাজখাঁই এক ধমক! ওরা সহ কেঁপে উঠলো চার চাকার যানটাও! পিনপতন নীরবতা ছেয়ে গেলো সবার গলায়! স্নোবলের ঘুম শেষ! সতর্ক কান দুটো খাড়া তার। মুখ তুলে গোপ নাড়িয়ে নাড়িয়ে দেখলো সবার শুকিয়ে যাওয়া চেহারাগুলো।

“আমি জানি কে কি করেছে! আর এটাও জানি, কে বারন না মেনে রীতিমতো খরগোশকে হার্নেস পরিয়ে এখানে চলে এসেছে! সুতরাং কারো হয়ে তোদের কোনো সাফাই গাইতে হবে না!”
আয়ান জারা দু’জনেই অসহায় চোখে একবার তাকালো আরশির দিকে। বেচারির মুখ শুকিয়ে এইটুকু! কৃষ্ণ গহ্বর ধোঁয়াশা।
যেনো এক্ষুনি ভিজে উঠবে অক্ষিযুগল। দুঃখগুলো হামাগুড়ি দেবে গাল বেয়ে!
“অমন রামধমক শুনলে বড় বড় মানুষেরও প্রেশার বেড়ে যাবে! সেখানে আরশির মতো বাচ্চা মেয়েটাকে তুই বকছিস? আর বকিস না ভাই! যা বকাঝকা করার আমাকে কর! আমি মাথা পেতে নিতে রাজি!”
আয়ানের কথার পিঠে জারাও সম্মতি জানালো!
“আমিও রাজি!”
“দেখলি! আমার বউও রাজি!”

থতমত খেলো জারা। প্রকট চোখে তাকালো আয়ানের দিকে। মানলো না হয় ও নিজে থেকে এবার প্রপোজ করেছে, তাই বলে বড় ভাইয়ের সমান প্রফেসরের সামনে এতো অবলীলায় ওকে বউ বলে ডাকবে?
শেহজাদ কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু মুখ খোলার আগেই বিকট শব্দে চেঁচিয়ে উঠলো আয়ান!
উরুর উপর চিমটি কেঁটেছে জারা!
ব্যথায় লাফিয়ে উঠতে নিয়েও নিজেকে সামলালো অফিসার! হেম চোখে পৃথিবীর সবটুকু বিস্ময় ঢেলে তাকালো মেয়েটার দিকে!
ভালো মানুষ পেয়ে এভাবে চিমটি কাঁটলো ওকে? এভাবে?

শুভ্র তুষারের আস্তরন জমা রাস্তা দিয়ে ওদের গাড়ি এসে থামলো হাসান ভিলার সামনে। কনকনে ঠান্ডায় তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাসের ঘরে। বাতাসের গতিবেগ প্রবল! ঝড় হওয়ার আশঙ্কায় সন্ধ্যের আগেই নীরে ফিরেছে সারাদিনের কর্মব্যস্ত মানুষগুলো!
আয়ান ভেবেছিল শেহজাদ থমথমে মুখে বাড়িতে ঢুকবে! ফিরেও তাকাবে না ওর দিকে। কিন্তু ঘটলো তার উল্টোটা।
গাড়ি থেকে নেমেই ভিতরে আসতে বললো ওদের। পরপর দীর্ঘ কদমে এগিয়ে গেলো সদর দরজার দিকে!
আরশিও জোরাজোরি করলো খুব! স্নোবলও নড়তে চাইলো না জারার কোল থেকে। অগত্যা!
রাজি হলো আয়ান জারা দুজনেই।
তিনজোড়া পা একসাথে প্রবেশ করলো হাসান ভিলায়!
আয়ানের জন্য নতুন নয় এ বাড়ি! ছোটবেলায় প্রচুর এসেছে এখানে। কখনো শেহজাদের সাথে খেলতে তো কখন ছোট্ট রুশাকে দেখতে!
রুশার কথা মনে পড়তেই ঢোক গিললো অফিসার।
খারাপ লাগলো ভীষণ! তার থেকেও বেশি অবাক হলো যখন দেখলো পুরো বাড়িতে কোথাও ছোট্ট রুশার কোনো ছবি নেই!

সময়ের সাথে সাথে বাড়িটাও কত বদলে গেলো!
তবে জারার চোখেমুখে ততোধিক বিস্ময়! কত্ত বড় বাড়ি! ঠিক আয়ানের বাড়িটার মতো! কিন্তু বেশ গোছানো! টিপটাপ! সবকিছুতেই যেনো মা মা একটা ছোঁয়া আছে!
“কি ব্যাপার? এতো শান্ত কেনো বাসাটা? আঙ্কেল আন্টি নেই?”
আয়ানের প্রশ্নে ভ্রম কাটলো জারার। ত্রস্ত দৃষ্টি ফেরালো নিজের দিকে!
“ঘুরতে গিয়েছে! এ্যামি আপুসহ! একটু পরেই মনে হয় এসে পড়বে!”
আরশি স্মিত হেসে বললেও পিছন থেকে ভেসে এলো গম্ভীর কণ্ঠস্বর!
“ আর এই সুযোগে তুমি বেরিয়ে গেলে বাসা থেকে?”
ফিরে চাইতেই মুখ থেকে রক্ত সরে গেলো আরশির।
ভদ্রলোক বুকে হাত বেঁধে সটান এসে দাঁড়ালো সামনে! নীল অক্ষিপটের তীর সীমানায় অনুভূতির ছিটেফোঁটা টুকু নেই। মেজাজ তুঙ্গে!

“আমি…মানে!”
“আমি বারন করেছিলাম কি না তোমায় বলো?”
কেঁপে উঠলো মেয়েটা। মস্তিষ্ক শূন্য! খুঁজে টুঁজেও জুতসই উত্তর পেলো না বলার।
তৎক্ষনাৎ আরশিকে আড়াল করে দাঁড়ালো আয়ান আর জারা। ভড়কে গেলো শেহজাদ!
স্নোবলও এসে দাঁড়িয়ে পড়লো ওদের সামনে। ঘড়ঘড় আওয়াজে একাত্মতা পোষণ করলো।
তারা সবাই আরশির বকার বিরুদ্ধে! কেউই চায় না আরশি বকা খাক! আয়ানের প্রতিবাদী সুর,
“টিম স্নোবল স্কয়্যাড থাকতে আরশিকে তুই বকতে পারবি না!”
শেহজাদ হতভম্ব,
“কি স্কয়্যাড?”
“স্নোবল স্কয়্যাড!”
“হোয়াট দ্য–!”
শেষের শব্দটা বের হতে হতে হলো না প্রফেসরের মুখ থেকে!
“এবার বল! বকবি আর ভাবীকে?”

আয়ানের প্রশ্নে দীর্ঘশ্বাস ফেললো শেহজাদ।
“আসামিরই যদি এতোগুলো উকিল থাকে, সেই আসামিকে শাস্তি দেয়ার উপায় আছে?”
আরশির যেনো নিজের কানকেই বিশ্বাস হলো না! জাম্বুবান কি ইনডিরেক্টলি বকবে না বললো? ইউরেকা! ওরে আরশিরে! এটা তো গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখা উচিত!
হাসি ফুটলো আয়ান আর জারার মুখেও। তক্ষুনি কল আসলো বাসার ল্যান্ডলাইনে! আরশি ধীরেসুস্থে গিয়ে ফোনটা তুলতেই ভেসে এলো মরিয়মের কন্ঠ!
“আরশি মা? শায়ান এসেছে বাসায়?”
ঢোক গিললো মেয়েটা। প্রফেসরের দিকে একবার তাকালো সতর্কদৃষ্টিতে! হাতে ব্যান্ডেজ; কাঁধে সেলাই! রক্তের
দাগ সমস্ত শার্টে। আন্টি তো আর জানে না আজ কি কান্ড করেছে ওরা!
“কি রে? এসেছে শায়ান?”
ফের তাগাদা দিলেন মরিয়ম!

“হু? হ্যাঁ! এ-এসেছে এসেছে! তোমরা কখন আসবে? বাইরের যা অবস্থা–”
“আরে ঐজন্যই তো কলটা দিলাম! আর বলিস না! এদিকটায় তো ঝড় শুরু হয়ে গেছে! আজ রাতে এখানকারই একটা হোটেলে থেকে যাবো বুঝলি! এই ঝড়ের মধ্যে তোর আঙ্কেলও গাড়ি চালানোর সাহস পাচ্ছে না!”
“তারমানে আসতে পারবে না আজকে?”
“না রে মা! তোরা দুটোতে খেয়ে নিস কেমন! আমি সব রান্না করে ফ্রিজে রেখে এসেছি! খালি একটু গরম করলেই হবে! পারবি না?”
ঝুপ করেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো আরশির। আঙ্কেল আন্টি থাকলে কত ভালো হতো! জারার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারতো! ধূর!
ম্লান হলো মুখটা! উদাস স্বরে আওড়ালো,
“পারবো আন্টি!..তোমরা সাবধানে থেকো!”
“এই তো আমার লক্ষ্মী মেয়ে! রাখছি তাহলে?
কেমন?”

লাইনটা কাটতেই ঘুরে দাঁড়ালো আরশি! সবাই ওর দিকে তাকিয়ে! ঠোঁট টিপলো ও। মন খারাপ করে বললো,
“আঙ্কেল-আন্টি আসবে না রাতে! ঝড় থামলে কাল সকালে বোধ হয় রওনা হবে!”
শেহজাদ বুকে হাত গুঁজেই বিজ্ঞের মতো মাথা নাড়লো! পরপর আয়ানকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
“তোদেরও আজ আর ফিরে কাজ নেই! একেবারে কাল সকালে ফিরিস! আজ রাতটা এখানে থেকে যা!”
আবেগে ভেসে গেলো অফিসার! দুম করে এসে জড়িয়ে ধরলো শেহজাদকে। মিছেমিছি চোখে পানি আনলো! আপ্লূত কন্ঠে বলে উঠলো,
“থ্যাংকু ভাই! থ্যাংকু! বন্ধু হিসেবে তোর এই উপকার আমি কক্ষনো ভুলবো না! তোদের বাড়িতে তো এক্সট্রা রুমও নেই! তবুও তুই থাকতে বললি! হায়য় মেরা দিল…! থাক আমি আর জারা এক রুমে ম্যানেজ করে নেবো! তুই চিন্তা করিস না ভাই!”
এতক্ষণে রোগ ধরতে পারলো শেহজাদ! আয়ানকে বুকের ওপর হতে সরিয়ে কাঁধে হাত রাখলো। শান্ত স্বরে বললো,
“আরে না না! দু দুটোই এক্সট্রা রুম আছে! তোদের কষ্ট করে ম্যানেজ করতে হবে না! দুই রুমে দুজনে আরামসে ঘুমোতে পারবি!”

দপ করে নিভে গেলো আয়ানের চেহারা। নেতিয়ে পড়া বার্থডে বেলুনের মতো নুয়ে পড়লো শিরদাঁড়া! যেনো দুঃখে কষ্টে ভর ছেড়ে দিয়েছে শরীরের!
কি ভেবেছিল আর এটা কি হলো?
এতক্ষণে মুখ খুললো আরশি! শেহজাদের দিকে তাকিয়ে বললো,
“এ আবার কেমন নিয়ম? আপনি থাকতে আয়ান ভাই আলাদা ঘরে কেনো ঘুমোবে? তাছাড়া জারার সাথে আমার কত্তদিন পর দেখা হলো! কত কথা জমে আছে আমাদের জানেন? আজ রাতে আমি আর জারা একসাথে ঘুমোবো আর আপনি আর আয়ান ভাই একসাথে ঘুমোবেন! এটাই ফাইনাল! ব্যস!”

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩৪

এবারটায় চোয়াল ঝুলে পড়লো প্রফেসরের।
আহত চোখে চাইলো আরশির দিকে! ওদিকে মনে মনে
রাবণের মতো হুহা করে হেসে উঠলো আয়ান। শেহজাদের কানের কাছে এসে বললো,
“কবি বলিয়াছেন! বন্ধুর প্রেমে বাগড়া দিলে নিজের প্রেমও এভাবেই ভেস্তে যাইবে! এবার দেখ যা ভালো বুঝিস!”

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩৬