পাতা বাহার পর্ব ৪৩(২)
বেলা শেখ
রাত গভীর হতে এখনো ঢের বাকি। ঘড়িতে সবে সারে আটটা। কেবিন টা পুরোই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আছে। ভোর ঘুমে আচ্ছন্ন। অরুণ ছেলের পাশে শুয়ে আছে। পাতা অপর বেডে একাই ঘুমিয়ে পড়েছে। অরুণ একবার ভেবেছিল ডাকবে এই বেডেই শুয়ে পড়ার জন্য। কিন্তু সিঙ্গেল বেড! জায়গা সংকুলান। তার উপর মেয়েটা তার উপর রেগে আছে। একটু আগের ঘটনায় যেন জড়তা আরো ভিড় জমায়। বলতে পারে নি অরুণ।তার চোখে ঘুম ধরা দেয় নি এখনো। আরিয়ানরা সাতটার দিকেই চলে গেছে। পাতা তারও বেশ পরে কেবিনে আসে। শুভ তার পিছনেই প্রবেশ করে। অরুণ আড়চোখে চেয়েছিল। পাতা অবশ্য ফিরেও তাকায় নি। ব্যাগ থেকে জামা কাপড় বের করে ওয়াশ রুমে চলে যায়। অরুণের বন্ধুরা বিদায় নেয়।
পাতা চেঞ্জ করে এসে দেখে ভোর ঘুমিয়ে পড়েছে। বেডে কমলার খোসায় ছড়াছড়ি।পাতা বেড ঝেড়ে নেয়। অরুণ চুপচাপ বুকে হাত গুটিয়ে দাঁড়িয়ে গম্ভীর মুখে তাঁর কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করে। পাতা ব্যাগ থেকে অরুণের শার্ট প্যান্ট বের করে বেডের কিনারায় রাখে। মুখে বলে নি ঠিকই কিন্তু অরুণ বুঝতে পারলো চেঞ্জ করতে বলেছে তাকে। অরুণের মনটা খানিক পুলকিত হলো কি? তবে সে যায় না চেঞ্জ করতে ভাবে পাতা মুখে বলবে তাকে। কিন্তু তাঁর আশায় গুড়ে বালি মিশিয়ে পাতা কিছুই বলে না। ছোট টেবিলের উপর রাখা ব্যাগ থেকে খাবারের বক্স বের করে খাওয়া শুরু করে আপন মনে।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
অরুণ খানিকক্ষণ গম্ভীর মুখে সব অবলোকন করে বেড থেকে শার্ট প্যান্ট নিয়ে ওয়াশ রুমে যায় হনহন করে। বেরিয়ে এসে পাতার সামনে চেয়ারে বসে।পাতার মধ্যে কোনো ভাবান্তর দেখা যায় নি। তবে টেবিলের একটা বক্স ঠেলে দেয়। যার অর্থ হয়তোবা এটা দাঁড়ায় এটা তাঁর ভাগের খাবার। অরুণ কপালে গাঢ় ভাঁজ ফেলে বক্স হাতে নেয়। মোরগ পোলাও! অরুণ ঘুমন্ত ছেলের দিকে তাকায়। মোরগ পোলাও ছেলেটার পছন্দের। ছেলেকে রেখে সে কিভাবে খাবে? নামবে না তার গলা দিয়ে। অরুণ উঠে বেডে শুয়ে পড়ল ছেলের পাশে। পাতা বক্স আঁটকে উঠে পড়ে। পুরো কেবিনে পায়চারী করে অপর বেডে শুয়ে পড়ে।
ভাবতে ভাবতে অরুণের চোখ লেগে যায় কিন্তু ছেলের গোঙানির আওয়াজে অরুণ ধরফর করে ওঠে। ছেলেটা ঘুমের ঘোরেই কাঁদছে। অরুণ তার গায়ে গলায় কপালে হাত বুলায়। জ্বর এসেছে হালকা। অরুণ উঠে বসে। ব্যাগ হাতরে পাতার এক ওড়নার একাংশ ছিঁড়ে ওয়াশ রুম থেকে ভিজিয়ে আনে ছেলের কপালে রাখে। ভোর ঘুম হালকা হয়ে আসে। সরিয়ে দেয় জলপট্টি। বিড়বিড় করে বলে,
-” কুকুর আবার আসবে আব্বু? ভোরকে কামড়াবে। তুমি মা’কে ডাকো? আমার শীত করছে অনেক। ভয়ও করছে।”
অরুণের ছেলের কাঁধ গলিয়ে হাত রেখে উপড়ে তুলে বলে,
-” কলিজা আব্বু আছে ভয় নেই। ঘুমাও তুমি!”
ভোর এবার নিভু নিভু প্রদীপের মতো চোখ খুলে পিটপিট করে চায়। বাবাকে দেখে ঠোঁট উল্টিয়ে বলে,
-” শীত করছে। ব্যাথা করছে। মা’ কে আনো বাবা। ভোরের কষ্ট হচ্ছে!”
অরুণ কপাল থেকে ভেজা পট্টি সরিয়ে চুমু খায়। বাহুতে জড়িয়ে নিয়ে বলে,
-” তোমার আম্মু ঘুমোচ্ছে। সেও অসুস্থ তাই না? আব্বু আছে না ভোরের কাছে!”
ভোর চোখ বুজে নিয়ে বলে,
-” মা’ র বুকে থাকলে ব্যাথা কমে যায়। কষ্ট হয় না বাবা!”
অরুণ ছেলের শুকনো ঠোঁটে বেশ কয়েকবার চুমু দিয়ে বালিশে শুইয়ে দেয়। উঠে এসে পাতার বেডে বসে। মেয়েটা ঘুমুচ্ছে গালে হাত রেখে। হাত পা গুটিয়ে রেখেছে; ঠান্ডা লাগছে বোধহয়। অরুণ তাঁর কপালে গলার ভাঁজে হাত রাখে; নাহ জ্বর আসে নি। পাতার গালে হাত রাখে। বৃদ্ধাঙ্গুল নাড়াচাড়া করে আস্তে করে বুলিয়ে দেয়। মেয়েটার ফর্সা গাল লালচে হয়ে আছে। থাপ্পড়টা জোড়েই পড়েছিল হয়তোবা। তাঁর অতশত খেয়াল নেই। সে তো ছেলেকে দেখেই পাগল হয়ে গিয়েছিল। মেয়েটাকে খেয়ালই করেনি। করলে হয়তো থাপ্পড় মারার মতো দুঃসাহস দেখাতো না। অরুণ ঝুঁকে এসে গালে অধর ছোঁয়ায় কয়েকবার। গভীর ভাবে চুম্বন বসিয়ে সোজা হয়। গায়ের উপর থাকা চাদরটা সরিয়ে দিয়ে হাতের ক্ষতস্থানে হাত বুলিয়ে চুমু দেয়। পেটের ক্ষত দেখার জন্য কামিজটা উপরে তোলে। নাভিকুন্ডের একপাশে ছোট ব্যান্ডেজ। অরুণের হাত সেথায় ছুঁয়ে যায়। পাতা ঘুমের ঘোরেই কেঁপে কেঁপে ওঠে। কামিজ নামিয়ে পাতার গালে হাত রেখে ডাকে। পাতার ঘুম হালকা হয়। পিটপিট করে চোখ খোলে। অরুণ আবার ডাকে,
-” এই? পাতাবাহার?”
পাতার ঘুম ছুটে যায়। এতো আদুরে গলায় সুন্দর সম্মোধনে ডাকায় পাতা ফ্যালফ্যাল করে চায়।অধরকোনে হাসি ফুটবে ফুটবে ভাব; পাতার মস্তিষ্ক সচল হয়। হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে। অরুণ উঠে দাঁড়িয়ে শান্ত গলায় বলে,
-” ছেলেটার জ্বর এসেছে। ব্যাথায় গোঙাচ্ছে! বিড়বিড় করে মা কে ডাকছে। ওর পাশে শুয়ে একটু বুকে নাও পাতাবাহার!”
পাতা চোখে মুখে চিন্তার উদ্রেক স্পষ্ট দেখা যায়। সে তড়িঘড়ি করে নেমে ভোরের কাছে যায়। কপালে গলায় হাত রেখে দেখে সত্যিই জ্বর এসেছে। অরুণ ভেজা কাপড়ের টুকরা পুনরায় ভিজিয়ে পাতার কাছে দেয়! পাতা ভোরের কপালে দিলে ভোর চোখ খোলে। পাতাকে দেখে ঠোঁট নাড়িয়ে দূর্বল গলায় বলে,
-” আম্মু? কুকুর গুলো আবার আসছে। আমার ভয় করছে! হাতে পায়ে ব্যাথা করছে। খুব কষ্ট হচ্ছে!”
পাতা ভোরের পাশে গা এলিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
-” সব ঠিক হয়ে যাবে বাবা! আর কোনো কুকুর নেই। তুমি বাজে স্বপ্ন দেখেছো!”
ভোর কপালের কাপড় ফেলে পাতার বুকে মুখ লুকিয়ে বলে,
-” আম্মু আমার শীত করছে। তুমি শক্ত করে জড়িয়ে ধরো! তাহলে ব্যাথাও পালিয়ে যাবে!”
-” এই তো নিয়েছি! বাবা কিছু খাবে? বিস্কুট কেক?”
-“উঁহু। শুধু তুমি থাকো!”
পাতা ভোরকে জড়িয়ে ধরে বুকের মধ্যিখানে আগলে নেয়। অরুণের দিকে তাকিয়ে বলে,
-” টেবিলে রিপোর্ট আছে। সেখানে ডাঃ নাজনীনের নম্বর আছে। কল করুণ! আমি কথা বলবো তার সাথে!”
অরুণ সরকার ঝটপট ফোন লাগিয়ে পাতার কাছে দিয়ে চুপচাপ ব্যাথিত নয়নে দাঁড়িয়ে থাকে। ব্যাথা পেলে মানুষ সবার আগে মা কে স্মরণ করে। মুখ থেকে অজান্তেই বেড়িয়ে আসে মা ডাক! মা যে ব্যাথা উপশমের সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে সবার আগে মায়ের সান্নিধ্য খুঁজে বেড়ায়। কেননা মায়ের হাতের ছোঁয়ায় রহমত,আদর, ভালোবাসা মিশে আছে।সেই ছোঁয়া মানুষকে সুস্থ হতে সাহায্য করে। মায়ের সান্নিধ্য পেলে কষ্ট লাঘব হয়। অরুণের চোখ ভিজে ওঠে।
তাঁর লাস্ট কবে শরীর খারাপ করেছিল মনে নেই। সে খুব একটা অসুখ বিসুখে পড়ে না। হয়তোবা যত্ন নেবার কেউ নেই তাই উপর ওয়ালা অসুখ বিসুখে পড়তেই দেয় না। সে যখন মেসে প্রথম প্রথম উঠলে সেই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে তার অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। দশ দিনের জ্বরে ভুগেছিল। তখন সে জ্বরের ঘোরে মা মা করেছিল। তার বন্ধুরা বলেছিল তাকে। এরপরও বেশ কয়েকবার অসুখে ভুগেছিল। তখনও মায়ের কথা খুব মনে পড়তো। মায়ের পুরনো স্মৃতি মনে করে ভুলে থাকার চেষ্টা করতো! কিন্তু হায়! স্মৃতি গুলোই যে আবছায়া; চোখের পাতায় ভাসে না।
পাতা ডাক্তারের সাথে কথা বলে। ডাক্তার জানায় এটা স্বাভাবিক! ছোট্ট নাজুক শরীর এতো ডোজের টিকা, সাথে শরীরের ক্ষত! জ্বর আসাটা স্বাভাবিক! যে ওষুধগুলো খাওয়াতে বলেছিল তাতে জ্বরের সিরাপ ছিল। টেনশনের কিছু নেই। ঠিক হয়ে যাবে একটু পর। জ্বর নেমে যাবে! পাতা আশ্বস্ত হলেও বুকের ভিতর খচ খচ করে। সে ফোন রেখে দেয়। ভোরের মাথায় হাত বুলিয়ে অরুণের উদ্দেশ্যে বলে,
-” ছেলেটা নাক টানছে জলপট্টি দিতে হবে না। আরো ঠান্ডা লাগবে। একটু সরিষার তেল হলে ভালো হয়! মাথায় ঘষে দিলে ভালো লাগবে!”
অরুণ ফোনটা নিয়ে বেড়িয়ে যায়। এখন সরিষার তেল কোথায় পাবে?
অরুণ চলে গেলে পাতা ভোরকে তুলে বসায়। মুখটা ধুয়ে দিয়ে আপেল দেয়। ভোর এক কামড় দিয়ে মুখ কুঁচকে নেয়। পাতা জোড় করে না। টেবিলে রাখা বক্সটা খুলে কয়েক লোকমা পোলাও খাওয়ায়। জ্বরের মুখে ঝাল ঝাল মোরগ পোলাও ভালো লাগায় ভোর খায়! এরই মাঝে অরুণ আসে। হাতে ছোট তেল, পানি ও জুসের বোতল! পাতা হাত ধুয়ে ভোরের মাথায় তেল ঘঁষে দেয়।
-” ছেলেটা কয়েক লোকমা খেয়েছে। বাকি টুকু খেয়ে নিন। নষ্ট করে কি লাভ!
গম্ভীর মুখে বলে পাতা। তার গোমড়া মুখ দেখে অরুণও মুখটা গম্ভীর বানিয়ে বলে,
-” ক্ষিধে নেই আমার!”
পাতা আর কিছু বলে না। ভোরের মাথায় তেল মালিশ করে বুকে ও হাত পায়ের তালুতে ঘষে দেয়। ছেলেটার শীত লাগছে বলল। আর হাত পাও ঠান্ডা হয়ে ছিল। এখন একটু আরাম পাবে। সত্যিই ভোর আরামবোধ করে। মুচকি হেসে বলে,
-” আম্মু এখন একটু ভালো লাগছে আমার!”
পাতা হেসে তাঁর গালে মুখে আদর করে বুকে জড়িয়ে বলে,
-” এখন চুপটি করে ঘুমাও বাবা। সকালে উঠে দেখবে সব ব্যাথা ভ্যানিশ হয়ে গেছে।”
ভোর হুম বলে চুপটি করে পড়ে থাকে। হঠাৎ বাবার কথা খেয়াল হয়। উঁকি দিয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে বলে,
-” আব্বু আই এম ফাইন! তুমি খেয়ে নাও নইলে তোমারও অসুখ করবে। তখন আমার একটুও ভালো লাগবে না!”
পাতার অধরকোনে হাসি ছড়িয়ে পড়ে নিমিষেই। ছেলেটার সব দিকেই খেয়াল! অরুণ এগিয়ে এসে ঝুঁকে ছেলের কপালে চুমু দেয়। পাতা কাঠ হয়ে পড়ে থাকে। লোকটা তার উপর ঝুঁকে আছে। ভোর যে তাঁরই বুক থেকে উঁকি দিয়েছে। অরুণ সরে এসে খাবার খেয়ে নেয়। ওয়াশ রুম হয়ে এসে ভাবে কোথায় শোবে! এখানে ছোট বেডে তিনজন আটবে না। আর অন্য বেডে তার ঘুম হবে না। সে এই বেডেই অল্প একটু জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিবে ভেবে উঠতে নিলে পাতা শক্ত গলায় বলে,
-” ছোট একটা বেড! দু’জনেরই ঠিকঠাক জায়গা হয় না। অন্যত্র যান।”
-” আমি ম্যানেজ করে..”
-” আমি পারবো না মানিয়ে নিতে!”
এরকম কাঠের মতো শক্ত জুবানের পৃষ্ঠে অরুণ কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে। মেয়েটা এভাবে বলতে পারলো? তার পাতাবাহার তো এতোটা কঠোর নয়! তাহলে আজকের ব্যবহারেই কি তার এতো পরিবর্তন? অরুণ কঠোর পাতা চায়; তবে সেটা অন্য সবার ক্ষেত্রে। তার ক্ষেত্রে তার নরম চঞ্চলতায় ঘেরা পাগলাটে মেয়েটাই মানানসই। অরুণ দীর্ঘ শ্বাস ফেলে লাইট নিভিয়ে বেডে গা এলিয়ে দেয়। শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সিলিং বরাবর। নিঃশ্বাস তার ভারি হয়ে আসে। তাঁর জীবনের পাতায় সুখের আগমন ঘটে কিন্তু সময়ের সাথে সেটা হারিয়ে যায়। এবার আর সে হারাতে দেবে না।
অরুণ প্রায় আধা ঘন্টার মতো ওভাবেই শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। চোখের কার্নিশ বেয়ে নোনাজল গড়িয়ে বালিশ ভিজে যায়। একসময় অরুণ উঠে বসে। আবছা আলোয় ওপাশের বেডে আসে। পাতা কাত হয়ে ভোরকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে আছে। পেছনে অল্প জায়গা আছে। সেটুকু অরুণের মতো বলিষ্ঠ দেহের মানবের জন্য যৎসামান্য তবুও সেটুকু জায়গায় নিজের শরীর এলিয়ে দেয়। পাতার পিঠের সাথে বুক ঘেঁষে শুয়ে পড়ে। এক হাত ছেলের পিঠে রেখে দু’জনকেই বাহুবন্ধনে বেঁধে নেয়। পেছনে কিঞ্চিত পরিমাণ জায়গাও নেই। ওপাশ ফিরলেই আর রক্ষে নেই ধপাস করে পড়ে যাবে।পাতার উন্মুক্ত ঘারে নাক ঠেকিয়ে শ্বাস টেনে নেয় অরুণ। এখন একটু ভালো লাগছে তার। দম বন্ধ কর পরিস্থিতি থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।
পাতা বাহার পর্ব ৪৩
পাতা বুজে রাখা চোখ খোলে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভোরকে নিয়ে ওদিকটায় আরেকটু সেটে যায়। অরুণ চমকে ওঠে। মেয়েটা ঘুমায় নি? অরুণ সৃষ্টি হওয়া স্বল্প দূরত্বটুকুও ঘুচে নেয়। আবার বলিষ্ঠ বুকের সাথে লেপ্টে যায় পাতার পিঠ। অরুণ পাতার মসৃণ উন্মুক্ত ঘারে নাক মুখ ঘষে। কানের পিঠে গভীর ভাবে চুমু দিয়ে বলে,
-” ওখানে দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। ট্রাস্ট মি আর মানিয়ে নিতে হবে না; আমি সামলে নেবো প্রমিজ!