পারমিতা পর্ব ১৪
Nabila Ahmed
–চাচ্চু ভিতরে আসবো?
দরজায় নক করে অনুমতি চায় মিতা।
–আয়।
ভেতর থেকে উত্তর আসে।
দরজা খুলে ধীরগতিতে রুমে প্রবেশ করে মিতা। রুমের একপাশে রাখা সোফায় বসে টিভি দেখছিলেন হাবিব চৌধুরী।
–আয়, এখানে বস।
নিজের পাশের সোফা দেখিয়ে বলে হাবিব চৌধুরী।
মিতা কোনো কথা না বলে চুপচাপ সোফায় গিয়ে বসে। যদিও হাবিব চৌধুরী মিতাকে খুবি আদর করে থাকে তাও কেমন যেন হাবিব চৌধুরীকে দেখলেই মিতার ভয় লাগে। হয়তো বয়সে বড় বলেই।
–দিনকাল কেমন কাটছে এখানে?
মিতার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে হাবিব চৌধুরী।
–ভালো চাচ্চু।
মৃদু হেসে জবাব দেয় মিতা।
–আর পড়ালেখা?
আবারও বলে হাবিব চৌধুরী।
–পড়ালেখাও ভালো যাচ্ছে।
জবাব দেয় মিতা।
হাবিব চৌধুরী টিভি দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন, ডেকে পাঠিয়েও কেনো আর কিছু বলছেন না একা একা বসে সেটাই ভাবছে মিতা। কিছুক্ষণ রুমের এদিকটা তো কিছুক্ষণ ঐদিকটা দেখতে মিতাও ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
–অরিয়নের সাথে সব কিছু কেমন যাচ্ছে?
হুট করেই বলে উঠে হাবিব চৌধুরী।
হঠাৎ করে কথা বলাতে ভয় পেয়ে যায় মিতা। বইয়ের তাক থেকে নজর সরিয়ে হাবিব চৌধুরীর দিকে তাকায়।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
–হ্যাঁ?
কি জবাব দিবে বুঝতে পারছে না মিতা।
–আফরিন আর ফিরবে না মিতা, সেটা কি তুই জানিস?
টিভিটা বন্ধ করে হাবিব চৌধুরী মনোযোগ দেয় মিতার দিকে।
–জ্বি চাচ্চু।
মন খারাপ করে জবাব দেয় মিতা।
–আমি জানি তুই অরিয়নকে খুব ভালোবাসিস।
হাবিব চৌধুরীর কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মিতা।
–গাধাটা অন্ধ হতে পারে কিন্তু আমি অন্ধ নই। আর আমার এই চুল? এই চুল বাতাসে পাকেনি মিতা।
এবার মিতা মাথা নিচু করে নিজের হাতের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। কি বলবে তা বুঝতে পারছে না মিতা।
–তোকে দেখলেই বোঝা যায়। অরিয়ন তোর আশে পাশে আসলেই তোর চোখে যেন এক অন্য রকম আনন্দ ফুটে উঠে। আমি সব কিছুই খেয়াল করি মিতা।
–আগে ব্যাপারটা অন্যরকম ছিলো কিন্তু এখন তেমন নয়। আফরিন আর ফিরবে না, তাই অরিয়নকে নিয়ে সংসার করলে তুই খারাপ হয়ে যাবি না। কেউ বলবে না তুই নিজের বোনের হবু বরকে কেরে নিয়েছিস। এখন অরিয়ন তোর স্বামী, আফরিনের আর কিছুই না।
–অরিয়ন আর আফরিনের মধ্যে যা ছিলো কবুল বলার সাথে সাথে সবটা চিরতরে শেষ হয়ে গিয়েছে।
একের পর এক কথাগুলো হাবিব চৌধুরী মিতার উদ্দেশ্যে বলে যাচ্ছেন।
–পৃথিবীতে সব চাইতে কঠিন কাজ কি জানিস?
প্রশ্ন করে হাবিব চৌধুরী।
মিতা নিজের মাথা তুলে হাবিব চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে না বোঝায়।
–সবচাইতে কঠিন কাজ কাউকে ভালোবাসলে সেই ভালোবাসাটা ধরে রাখা।
হাবিব চৌধুরী বলে।
–যে একবার ভালোবাসতে পারে সে দ্বিতীয়, তৃতীয় বারও ভালোবাসতে পারে। তার শুধু চাই একজন বিশ্বস্ত মানুষ, যে কিনা তাকে প্রমাণ করে দিবে দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বার ভালোবেসে সে কোনো ভুল করেনি।
–অরিয়নও তোকে ভালোবাসবে, আর তার জন্য তোকে বার বার ট্রাই করে যেতে হবে। অরিয়নকে দেখিয়ে দিতে হবে তুই আফরিনের মতো ধোকা দিবি না অকে,দেখিয়ে দিতে হবে তোর সাথে অকে বিয়ে দিয়ে আমি কোনো ভুল কাজ করিনি। তোর প্রতি আমার যে অটুট বিশ্বাস তা তুই কখনো ভাঙ্গতে দিবি না আমি জানি।
–কিন্তু চাচ্চু, অরিয়ন ভা..
–কোনো কিন্তু মিন্তু না মিতা, এটা আমার অনুরোধ তোর কাছে। তুই অরিয়নকে নিয়ে ঘুরে আয় কিছুদিনের জন্য। নিজেদেরকে সময় দে, এই সম্পর্ককে সময় দে, তাহলেই সব ঠিক হবে। প্লিজ মিতা না করিস না। একজন বাবা হিসেবে তার ছেলের জন্য তোর কাছে আমি হাত জোড় করে অনুরোধ করছি।
মিতার হাত ধরে বলে হাবিব চৌধুরী।
হাবির চৌধুরীর চেহারায় তার ছেলের জন্য যে ডেস্পারেশন ফুটে উঠেছে, মিতা তা কিভাবে ইগনোর করে যাবে তা জানেনা। তবে কিছু কথা মিতার নিজেরও ঠিক মনে হয়েছে। বিয়ের সম্পর্ক কোনো ছেলেখেলা নয়। যে কারণেই হোক, অরিয়ন এখন মিতার স্বামী তাই নিজের বিয়েটা সফল করতে মিতারও উচিৎ একটু চেষ্টা করা।
–ওকে চাচ্চু, আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো।
বড় করে শ্বাস নিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে মিতা।
–দ্যাটস মাই গার্ল। আমি জানতাম তুই কখনো আমাকে নিরাশ করবি না।
মিতার মাথায় হাত রেখে বলে হাবিব চৌধুরী।
–যা আর বেশিক্ষণ আটকে রাখবো না। রাত হয়ে গিয়েছে, গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।
বলে হাবিব চৌধুরী।
–আচ্ছা চাচ্চু।
কথাটা বলেই উঠে দাঁড়ায় মিতা।
–আর মিতা শুন, সব কাপড় গুছিয়ে রাখ।
–কিন্তু অরিয়ন ভাইয়া যাবে না বললো যে?
জবাব দেয় মিতা।
–অরিয়ন অবশ্যই যাবে। শুধু তুই নিজের জায়গায় স্থির থাক, ও যাই বলুক ভয় পেয়ে না করবি না। ঠিক আছে?
বলে হাবিব চৌধুরী।
–ওকে।
উত্তর দেয় মিতা।
হাবিব চৌধুরীর সাথে কথা শেষ করে মিতা রুম থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুলতেই সামনা-সামনি দেখা হয়ে যায় আনিকা চৌধুরীর সাথে। আনিকা চৌধুরী মিতাকে দেখতেই যেন তার মুডটা খারাপ হয়ে গেলো। মিতা কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে দরজা আটকাতেই ভেতর থেকে আনিকা চৌধুরীর কণ্ঠ ভেসে আসে।
–তুমি এরকম কিছুই করবে না হাবিব, অরিয়ন আর ঐ মেয়ে। আমি এমনটা কখনো হতে দিবো না।
–এমনটাই হবে আনিকা।
–সব কিছু জানার পরও তুমি এরকম করবে? ঐ মেয়েকে আমি কতটা ঘৃণা করি তা জানার পরও?
কাঁদতে কাঁদতে বলে আনিকা চৌধুরী।
–বিনা কারণেই তুমি অকে ঘৃণা করছো আনিকা, যা হয়েছে তাতে ওর কোনো দোষ নেই।
শান্ত গলায় জবাব দেয় হাবিব চৌধুরী।
মিতা দরজার সামনে আর দাঁড়িয়ে না থেকে নিজের রুমের দিকে চলে যায়। নিজের রুমে প্রবেশ করে খাটের উপর গিয়ে বসে।
“কি এমন করেছি যার জন্য এতো ঘৃণা করো আমাকে? কি এমন ক্ষতি করেছি তোমার? অরিয়নকে ভালোবাসাই কী আমার দোষ নাকি বিয়ে করাটা? কিন্তু এর আগে থেকেই তো আমাকে দেখতে পারতে না তুমি” মনে মনে ভাবে মিতা।
“তবে কি এমন কোনো কারণ আছে যা সম্পর্কে আমি অবগত নই?” প্রশ্ন জাগে মিতার মনে। “সত্যটা আমাকে জানতেই হবে” বিছানায় গা এলিয়ে দিতে দিতে ভাবে মিতা।
আজ রাতেও ডাইনিং টেবিলে সবাই এক সাথে বসে আছে। অপেক্ষা করছে অরিয়নের জন্য। অরিয়ন এসে নিজের ডিসিশন জানালেই কাল সকালের ফ্লাইটে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে অরিয়ন আর মিতা।
অফিস থেকে এসে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং টেবিলের সামনে আসতেই বুঝতে পারে সকলেই অপেক্ষা করছে অরিয়নের জন্য। মিতার পাশের চেয়ার টেনে বসে অরিয়ন।
–তোমার ডিসিশন কি অরিয়ন?
বসতে না বসতেই প্রশ্ন করে হাবিব চৌধুরী।
হাবিব চৌধুরীর কথা শুনে মনে মনে হাসে অরিয়ন। অরিয়নের ডিসিশন কি তা কিছুই ম্যাটার করে না, যা ম্যাটার করে তা হলো মিতার। আর মিতাকে গতকাল ভালো করেই যা বোঝানোর তা বুঝিয়ে দিয়েছে অরিয়ন।
–আমি রাজি।
জবাব দেয় অরিয়ন।
–ওকে, তাহলে সবকিছু গুছি..
–পরী তোমাকে কিছু বলতে চায় বাবা।
হাবিব চৌধুরীর কথা শেষ হওয়ার আগেই বলে অরিয়ন।
অরিয়নের কথা শুনে অবাক হয় মিতা। কিছুক্ষণ হাবিব চৌধুরীর দিকে আবার কিছুক্ষণ অরিয়নের দিকে তাকিয়ে থাকে। অরিয়ন চোখের ইশারা দিয়ে মিতাকে বোঝায় যা বলার তা বলে দিতে। অন্যদিকে, হাবিব চৌধুরী চোখের ইশারায় জানতে চাইছে ঘটনা কি।
–কি হয়েছে বল..
মিতাকে কিছু বলতে না দেখে একটু গম্ভীর হয়ে বলে অরিয়ন।
–আমি বলতে চেয়েছিলাম যে…যে…যে আরিয়ান ভাইকেও সাথে করে নিয়ে যাই?
কি বলবে বুঝতে না পেরে চোখের সামনে আবরারকে দেখতে পেয়ে বলে ফেলে মিতা।
–একদম না। হানিমুনে থার্ড পারসন যায় না।
বলে হাবিব চৌধুরী।
–আচ্ছা।
জবাব দেয় মিতা।
অরিয়ন যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছে না। রাগে মিতার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। মিতা ভয়ে আর অরিয়নের দিকে তাকায় নি। চুপচাপ নিজের খাবার শেষ করে নিজের রুমে চলে যায়।
ঘুমন্ত মিতার ঘুম ভাঙ্গে রুমের দরজা খোলার শব্দে। তাড়াতাড়ি করে মোবাইল হাতে নিতেই বুঝতে পারে সময় প্রায় ১ টা। এতো রাতে কে বাইরে থেকে লক খোলার চেষ্টা করছে বুঝতে পারছে না মিতা।
–কে? কে ওখানে?
ভয়ে ভয়ে বলে মিতা।
দরজা খুলতেই মোবাইলের আলো দরজার দিকে ধরতেই নজরে আসে অরিয়নকে।
–রিয়ন..
বিরবির করে বলে মিতা।
চোখের সামনে অরিয়নকে এতো রাতে দেখতে পেয়ে যেন স্বপ্ন মনে হচ্ছে মিতার। কিন্তু মিতার স্বপ্ন ভাঙ্গে লাইট ধরাতেই। সামনের দাঁড়িয়ে আছে অরিয়ন, দেখে মনে হচ্ছে একটুও ঘুমায় নি।
রুমের দরজা ভেতর থেকে আবারও লক করে অরিয়ন।
–তুমি এখানে এতোরাতে? কিছু বলবে?
মিতা খাট থেকে নামতে নামতে বলে।
–কিছু হিসাব বরাবর করার ছিলো।
মিতার দিকে ধীরে ধীরে হেটে এগিয়ে আসতে আসতে বলে অরিয়ন।
–মানে?
বুঝতে না পেরে বলে মিতা।
–তোকে বলেছিলাম বাবাকে না করে দিতে।
অরিয়নের কথায় মনে পড়ে মিতার। অরিয়ন যা বলেছিলো তার উলটোটাই করেছে মিতা। ঘুমের ঘোরে মনেও ছিলো না মিতার। এই কথা বলতে এতো রাতে রুমে এসেছে ভাবতেই ভয় কাজ করতে মিতার।
–বাবাকে না করিস নি কেনো?
দাঁতে দাঁত চেপে বলে অরিয়ন।
মিতা কিছু না বলে চুপ করে রইল। কি বলবে নিজেও বুঝতে পারছে না।
–সকালে উঠেই বাবাকে না করে দিবি তুই।
মিতার সামনে এসে বলে অরিয়ন।
–না।
জবাব দেয় মিতা।
–কি বললি?
অবাক হয়ে প্রশ্ন করে অরিয়ন।
–আমি…আমি এরকম কিছুই বলবো না চাচ্চুকে।
আমতা আমতা করে বলে মিতা।
–হাহাহহাহাহাহাহাহাহ।
শব্দ করে হাসতে থাকে অরিয়ন।
হঠাৎ করে কেনো এভাবে হাসতে শুরু করেছে কিছুই বুঝতে পারছে না মিতা। তবে এই হাসি আনন্দের না, এই হাসি তাচ্ছিল্যের হাসি। পরক্ষণেই হাসি বন্ধ করে গম্ভীর হয়ে মিতার দিকে তাকায় অরিয়ন। দু পা এগিয়ে যায় মিতার দিকে,অন্যদিকে মিতাও দু পা পিছিয়ে পড়ে।
–বর বউ খেলার শখ হয়েছে তোর!
মিতার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলে অরিয়ন।
–তুই ভাবছিস তোর সাথে দু চারদিন সময় কাটালে তোকে ভালোবাসবো আমি?
বাঁকা হাসি দিয়ে বলে অরিয়ন।
–তুমি…তুমি যেমন ভাবছো…তে..।
পিছিয়ে যেতে যেতে আমতা আমতা করে বলার চেষ্টা করে মিতা।
–তুমি মনে করিস তুই…তুই আমাকে,আমাকে সামলাতে পারবি?
দেয়ালের সাথে লেগে যাওয়া মিতার একদম কাছাকাছি দাঁড়িয়ে বলে অরিয়ন।
দেয়ালের সাথে লেগে যাওয়া মিতা পেছনের দিকে তাকিয়ে যাওয়ার আর কোনো জায়গা না দেখতে পেয়ে সামনে তাকাতেই দেখতে পায় অরিয়ন, মিতার একদম কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। আর এক পা এগিয়ে আসলেই একে অপরের নিশ্বাস নেওয়া অনুভব করতে পারবে এতোটা।
–আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু হার্ট ইউ পরী।
এক দৃষ্টিতে মিতার দিকে তাকিয়ে বলে অরিয়ন।
–তাই আবারও বলছি, বাবাকে তুই না করে দিবি।
নিজের ডান হাত দিয়ে মিতার গাল স্পর্শ করে বলে অরিয়ন।
অরিয়নের দৃষ্টি এখন আর মিতার চোখের দিকে নেই, যেখানে অরিয়নের হাত মিতার গালকে স্পর্শ করেছে সেখানে তাকিয়ে আছে অরিয়ন। কি ভাবছে বা কি করতে চাইছে কিছুই বুঝতে পারছে না মিতা। কিন্তু এখন যে ভয় পাওয়ার সময় নয় তা ভালোই জানে মিতা। একবার চেষ্টা না করে হার মানতে চায় না মিতা।
–না।
সাফ জানিয়ে দেয় মিতা।
মিতার জবাব শুনে অরিয়নের হাত স্থির হয়ে রইল নিজের জায়গায়। নজর আবারও ফিরে আসলো মিতার চোখের দিকে। মিতার চোখে যেন সিরিয়াসনেস ছাড়া আর কিছুই দেখলো না অরিয়ন। রাগে দাঁতে দাঁত চেপে ধরলো শক্ত করে।
–ওকে।
হঠাৎ করে বলে উঠে অরিয়ন।
এতো সহজে অরিয়ন মেনে যাবে তা যেন বিশ্বাস হচ্ছে না মিতার। অবাক হয়ে অরিয়নের দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু বোঝায় চেষ্টা করছে। অরিয়নের নজর আবারও মিতার চোখ থেকে সরে গলায় কামড় দেওয়া জায়গার দিকে গিয়ে আটকায়। কামড়ের দাগটা অনেকটা হালকা হয়ে এসেছে। পরক্ষণেই অরিয়নের হাত দিয়ে স্পর্শ করে সেই জায়গা। হঠাৎ অরিয়নের হাত গলাতে স্পর্শ করায় চোখ বন্ধ করে নেয় মিতা।
–আহ…
হুট করেই অরিয়ন কামড়ের জায়গায় দু আঙ্গুল দিয়ে চিমটি কাটায় ব্যাথায় শব্দ করে উঠে মিতা।
অরিয়নের হাত ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় মিতা।
পারমিতা পর্ব ১৩
–ওয়েলকাম টু মাই হেল..
–ওয়াইফ।
কথাটা বলেই রুম থেকে বেড়িয়ে যায় অরিয়ন।
মিতা দৌড়ে আয়নার সামনে যেতেই দেখতে পায় হালকা হয়ে যাওয়া দাগটা আবারও লালচে হয়ে উঠেছে।