পারমিতা পর্ব ৩০

পারমিতা পর্ব ৩০
Nabila Ahmed

হুট করে অরিয়ন প্লেট মেঝেতে ফেলে দেওয়াতে সবাই যেন অবাক হয়ে গেল। শান্তশিষ্ট স্বভাবের অরিয়নকে এতো রাগতে কোনোদিন দেখেনি কেউ। হাবিব চৌধুরী, মায়া চৌধুরী ও ওয়াহিদ চৌধুরী যেন পাথর হয়ে রইল নিজের জায়গায়।
আফরিন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অরিয়নের দিকে। হঠাৎ মিতার কথায় কেন এতো রেগে গেল তা বুঝতে পারছে না আফরিন। ছোটবেলা থেকে অরিয়নকে দেখে আসছে আফরিন, ৬ বছর একদম কাছ থেকে দেখেছে তাও অরিয়নের এরূপ কোনোদিন দেখেনি আফরিন।

–অরিয়ন?
নিরবতা ভেঙ্গে বলে উঠে হাবিব চৌধুরী।
অরিয়নের কানে হাবিব চৌধুরীর কথা যেন ঢুকলোই না। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মিতার দিকে তাকিয়েই আছে। মিতা কিছুক্ষণ আফরিনের দিকে তাকাচ্ছে তো কিছুক্ষণ অরিয়নের দিকে।
–রুমে রাইট নাউ।
চেচিয়ে বলে অরিয়ন।
হঠাৎ করে সামনে এসে অরিয়ন চেচাতেই মিতা লাফিয়ে উঠলো, ক্ষণিকেই দৌড়ে চলে যায় সবার সামনে থেকে। অরিয়ন মিতার প্লেট হাতে নিয়ে তাতে খাবার নিতে থাকে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

–অরিয়ন।
একটু রাগ হয়ে বলে হাবিব চৌধুরী।
–আমার কানে সমস্যা না বাবা, শুনছি। কি বলবে বলো।
প্লেট হাতে হাবিব চৌধুরীর সামনে এসে বলে অরিয়ন।
–কি ছিলো এটা?
ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে হাবিব চৌধুরী।
–তোমার জানতে হবে না।
বলেই হাটা শুরু করে অরিয়ন।
–কি দেখলাম ভাইয়া।
অবাক হয়ে বলে ওয়াহিদ চৌধুরী।
–বুঝতে পারছি না।
অরিয়নের দিকে তাকিয়ে থেকে উত্তর দেয় হাবিব চৌধুরী।

গেস্ট রুমে দৌড়ে এসেছে মিতা। হঠাৎ করে অরিয়ন চেচিয়ে উঠাতে ভয় পেয়ে গেছে মিতা। ঠোঁট ভেঙ্গে কান্না আসছে প্রচুর। মিতার সাথেই কেন এরকম রাগ হয়ে কথা বলে তা বুঝতে পারছে না মিতা। অথচ আফরিনের সাথেও কত সুন্দর করে হাসছিলো অরিয়ন। ” কারণ ও আফরিনকে ভালোবাসে ” মনে মনে ভাবে মিতা।
“ওর জন্য এখন তোর জীবন নিয়েও টানাটানি শুরু হয়েছে” হঠাৎ করেই আনিকা চৌধুরীর কথাটা মনে পরে যায় মিতা। “আমার জন্য মানে? কি বলছিলো আন্টি? আমার জন্য অরিয়নের জীবনে ঝুঁকি? ” মনে মনে ভাবতে থাকে মিতা।
মোবাইলে এলার্ম বাজতেই ব্যাগ গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে মিতা। একটু পরেই কলেজ যেতে হবে।

খাবারের প্লেট নিয়ে রুমে ঢুকতেই রুমে মিতাকে দেখতে পায় না অরিয়ন। “গেস্ট রুম” বিরবির করে কথাটা বলেই নিজের রুম থেকে বেরিয়ে যায় অরিয়ন।
অরিয়ন গেস্ট রুমে প্রবেশ করতেই দেখতে পায় মিতা কলেজ ড্রেস পরে আয়নার সামনে বসে নিজের চুল আচরাতে ব্যস্ত। কোনো কথা না বলেই রুমে ঢুকে বিছানায় খাবারের প্লেট রাখে অরিয়ন। মিতা অরিয়নকে দেখেই মাথা নিচু করে রাখে। অরিয়ন কোনো কথা না বলে মিতার পেছনে গিয়ে দাঁড়ায়। নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়ে চিরুনি নিয়ে নেয় মিতার হাত থেকে। পরক্ষণেই মিতার চুল আচরাতে থাকে। মিতা আয়নায় অরিয়নের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকিয়ে আছে। অরিয়ন কি করতে চাইছে তা বুঝার চেষ্টা করছে। অরিয়নের চেহারা থেকে রাগের চিহ্ন চলে গেছে। কেউ দেখলেও বুঝবে না একটু আগেও চেচামেচি করে এসেছে এই লোক।

চুলে বেনি করা শেষ হলে আলতো করে মিতার মাথায় চুমু খায় অরিয়ন। মিতার হাত ধরে বিছানায় বসায়। প্লেট হাতে তুলে নিয়ে খাবার মিতার মুখের কাছে ধরে। মিতা চুপ করে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছে। হঠাৎ করে এরকম শান্ত বা চুপ হওয়ার কারণ কি হতে পারে তা বুঝার চেষ্টা করছে। মিতা নিজের মুখ না খুলে হাত দিয়ে খাবার নিতে গেলেই অরিয়ন হাত পিছিয়ে আনে। বড় বড় চোখ করে মিতার দিকে তাকায়। মিতা ভয়ে নিজের হাত নামিয়ে ফেলে। আবারও খাবার মিতার মুখের সামনে ধরে অরিয়ন।
এবার মিতা এক প্রকার হার মেনেই চুপচাপ মুখ খুলে খাবার খেতে থাকে। অরিয়ন চুপচাপ মিতার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছে মুখের খাবার শেষ হওয়ার। মুখের টা শেষ হতেই আবারও খাবার সামনে নিয়ে নেয় যায় অরিয়ন।
খাবারের প্লেট বেডসাইড টেবিলে রেখে পানির গ্লাস ধরে মিতার মুখের কাছে। এবারও মিতা চুপচাপ পানি পান করে নেয়।

গ্লাস টেবিলে রেখে একটু দাঁড়ায় অরিয়ন। অরিয়নের দেখাদেখি মিতা দাঁড়াতে নিলেই কাধে হাত রেখে বসিয়ে রাখে অরিয়ন। নিজের প্যান্টের পকেট থেকে ডেবিট কার্ড বের করে মিতার পাশে আবারও বসে অরিয়ন। মিতার হাত নিয়ে হাতের তালুতে কার্ডটা রাখে। হঠাৎ করে কার্ড কেনো দিলো বুঝতে না পেরে ভ্রু কুচকে অরিয়নের দিকে তাকায় মিতা।
–নিজের পছন্দ মতো যা কিনতে মন চায় কিনে নিস।
কথাটা বলেই মিতার দু গাল ধরে নিজের কাছাকাছি এনে ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু খায়।
–ঐ বাড়িতে যাবি না তুই।
মিতা থেকে সরে এসে বলে অরিয়ন।
এতোক্ষণে অরিয়নের মোটিভ বুঝতে পারে মিতা। এতো আদর যত্ন সব নিজের কথা মানিয়ে নেওয়ার কৌশল তা বুঝতে পারছে মিতা। রাগ করে হাতের ডেবিট কার্ড বিছানায় ছুড়ে মারে মিতা। কার্ড গিয়ে কোথায় পরলো তা অরিয়ন দেখেও যেন দেখলো না। নিজের চেহারা আগের মতোই শান্ত।

–আমি যাবো। এখানে আর থাকবো না আমি। আমার ভালো ল…
–চুপ, একদম চুপ।
মিতার কথা শেষ হওয়ার আগেই অরিয়ন নিজের হাতের তালু দিয়ে মিতার মুখ চেপে ধরে কথাটা সম্পূর্ণ করতে বাধা দেয়।
–যাবি না, মানে যাবি না।
গম্ভীর কন্ঠে বলে অরিয়ন।
নিজের মাথা নাড়িয়ে না করতে থাকে মিতা।
–আমাকে দিয়ে এমন কিছু করাস না, লাভ। যেন আমাকে পরে পস্তাতে হয়।
মিতার মাথা ধরে নিজের বুকে চেপে ধরে বলতে থাকে অরিয়ন।
–তুই বলেছিস তুই আমাকে ভালোবাসিস। ভালোবাসলে সব সময় থেকে যেতে হয়। তুইও থেকে যাবি।
শান্ত কণ্ঠে খুব অনায়াসে কথাগুলো বলে অরিয়ন।
যেন মিতাকে জোর করে আটকে রাখছে না।
অরিয়নকে এক ধাক্কা দিয়ে সরে আসে মিতা। এক দৃষ্টিতে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে অরিয়নের দিকে।

–পাগল তুমি? সাইকোদের মতো বিহেভ করছো কেনো? এই ভালো তো এই খারাপ। আমি এখানে থাকবো না। আপু চলে এসেছে, আমি আমার বাড়ি চলে যাবো।
এক শ্বাসে কথাগুলো বলে মিতা।
অরিয়নের এসব ব্যবহার দেখে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মিতা। তার থেকেও বড় কথা, আফরিনের দিকে তাকালে লজ্জা লাগে মিতার। দু জন ভালোবাসার মানুষের মাঝে বাধা হয়ে থাকতে চায় না মিতা। আফরিন মিতার জন্য নিজের ভালোবাসার মানুষকে পর্যন্ত ত্যাগ করতে রাজি হয়ে গেছে। আর মিতা? সব সময় শুধু নিয়েই যাবে? আজ না হয় আফরিনের আফনানকে ফিরিয়ে দিয়ে কিছুটা হলেও ঋণ পরিশোধ করবে মিতা।

–এটাই তোর বাড়ি, এটাই।
রাগান্বিত অরিয়ন চেচিয়ে উঠে।
মিতা অরিয়নের রাগ দেখে ভয় পেলেও নিজেকে শক্ত করে রাখে।
রাগান্বিত অরিয়ন নিজের দু হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢাকে, হাত নিয়ে চুল ধরে টান দিয়ে নিজেকে একটু শান্ত করার চেষ্টা করে। ডাইনিং টেবিলের ওখানে মিতা ভয়ে লাফিয়ে উঠেছিলো তা লক্ষ্য করেছিলো অরিয়ন। তাই তো একটু কোমলতার সাথে মিতার সাথে কথা বলছিলো কিন্তু মিতা, মিতা মাথাটা খারাপ করেই দেয় বার বার।
বড় বড় করে শ্বাস নিয়ে ও ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় অরিয়ন। মিতার সামনে গিয়ে আলতো করে এক হাসি দেওয়ার চেষ্টা করে।
–ঠিক আছে। কাল আমি নিয়ে যাবো, ২/১ দিন থেকে আবার একসাথে চলে আসবো, ওকে?
মিতার হাত ধরে বলে অরিয়ন।
মিতা অরিয়নের কথা শুনে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। বিরক্তবোধ করলো এরকম অবুঝের মতো কথা বলার কারণে।

–আমি একেবারে যে…
–আহ..
মিতার কথা শেষ হওয়ার আগেই চুলের মুঠি শক্ত করে ধরে অরিয়ন।
–লাভ,লাভ,লাভ।
মিতার কাছাকাছি নিজের মুখ নিয়ে হেসে হেসে বলে অরিয়ন।
মিতার চোখে সেদিনের থাপ্পড়ের সিনটা ভাসতেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে মিতার। আবারও চড় মে*রে বসে নাকি তা ভাবতেই কাঁপতে থাকে। অরিয়ন হাসি বন্ধ করে গম্ভীর চেহারায় মিতার নাকের সাথে নিজের নাক স্পর্শ করায়।
–আমাকে ছেড়ে যাওয়ার আগে তোকে আমি খু*ন করে ফেলবো, পরী।

মিতার দিকে তাকিয়ে থেকে বলে অরিয়ন।
মিতা অরিয়নের চোখের দিকে তাকিয়ে দুষ্টামি বা মিথ্যে খোজার চেষ্টা করলো কিন্তু সিরিয়াসনেস ছাড়া আর কিছুই পেলো না। মিতার গালে আলতো করে চুমু দেয় অরিয়ন। এক পা পিছিয়ে এসে দাঁড়াতেই মিতা দু পা পিছিয়ে পড়ে।
–আফরিন সমস্যা তাই তো? আফরিন চলে যাবে বাসা থেকে। কিন্তু তোর মুখ থেকে যেন দ্বিতীয় বার যাওয়ার কথা না শুনি।
মিতা চুপ করে অরিয়নের কথা শুনছে। কি জবাব দিবে বুঝতে পারছে না।

–ব্যাগ নিয়ে নিচে আয়। আমি কিছুক্ষণের মধ্যে আসছি।
কথাটা বলেই প্লেট নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় অরিয়ন।
মিতা কোনো কিছু না ভেবেই রুমের দরজা লাগায়। সুটকেস বের করে তাতে পাগলের মতো কাপড় ঢুকাতে থাকে। অনেক হয়ে গেছে অরিয়নকে ভয় পাওয়া। ম*রতে হলে মরবে তাও আর এখানে থাকবে না মিতা। নিজের বোনের জন্য হলেও থাকবে না। অরিয়নের সব কথা শোনার জন্য এখানে আসেনি মিতা। সুটকেসে কাপড় ঢুকিয়ে ব্যাগ হাতে নেয় মিতা।
প্লেট নিয়ে মিতার রুম থেকে বের হতেই সামনা সামনি দেখা হয় আফরিনের সাথে। আফরিন কিছুটা অবাক হয়ে অরিয়নের দিকে তাকিয়ে থাকলো। অরিয়ন কোনো রিয়েকশন না দিয়েই হাটা শুরু করে।
–কি হয়েছে তোমার? তুমি তো এরকম ছিলে না।
পেছন থেকে আফরিন বলে উঠে। আফরিনের কথা শুনতেই দাঁড়িয়ে যায় অরিয়ন। আফরিনের দিকে ঘুরে তাকায়।
–সেই আফনান কোথায় যাকে আমি চিনতাম?
প্রশ্ন করে আফরিন।

–সেই আফনান তার আফরিনের সাথেই ম*রে গেছে। এখন আমি শুধুই অরিয়ন।
রোবটের মতো বলে অরিয়ন।
–মিতাকে ভালোবাসো তুমি?
আবারও প্রশ্ন করে আফরিন।
–কতবার বলেছি না, বাসি না।
বিরক্ত হয়ে জবাব দেয় অরিয়ন।
–না বাসলে ওর থাকা না থাকায় কি আসে যায়? ওকে যেতে বাধা দিচ্ছো কেন?
ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে আফরিন।
–অনেক কিছু যায় আসে, ও আমার ওয়াইফ। ও আমার সাথেই থাকবে।
দাঁতে দাঁত চেপে বলে অরিয়ন।

–কিন্তু ওর…
–কোনো কিন্তু মিন্তু না। ও এখানে থাকবে মানে এখানেই থাকবে। আর কথা বাড়াতে চাই না আফরিন।
কথাটা বলেই চলে যায় অরিয়ন। আফরিনের কোনো কথার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করলো না।
আফরিন দাঁড়িয়ে থেকে অরিয়নের চলে যাওয়া দেখছে। মিতাকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই যেন অরিয়নের চেহারার রঙ বদলে গেলো। “আমি যা ভাবছি তাই কি?” মনে মনে ভাবে আফরিন। “মিতাকে সাবধান করতে হবে সময় থাকতে” মনে মনে কথাটা ভেবেই মিতার রুমের দিকে হাটা শুরু করে আফরিন।
মিতা ব্যাগ নিয়ে রুম থেকে বের হতে নিতেই দরজার কাছে আফরিনের সাথে দেখা হয়।

–আপু।
বলে মিতা।
–কলেজ যাচ্ছিস?
মিতাকে দেখে বলে আফরিন।
–হ্যাঁ আপু। আগামী মাস থেকে বোর্ড এক্সাম।
জবাব দেয় মিতা।
–তোর সাথে কিছু কথা ছিলো।
–হ্যাঁ আপু, বলো না।
–আমার ম….আচ্ছা তুই আগে কলেজ থেকে আয় এরপর বলবো কথা।
বলে আফরিন।
–বেশি ইম্পোর্টান্ট হলে এখন বলতে পারো আপু।
–নাহ তেমন কিছু না। তুই আয়, এরপর বিকালে বলবো।
–ওকে আপু। আমি তাহলে আসি।
–ওকে।

গাড়িতে উঠে বসেছে মিতা। অরিয়ন পাশেই বসে আছে। মিতা রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। অরিয়ন মাঝে মধ্যে আড় চোখে মিতার দিকে তাকালেও মিতা সেদিকে নজর দিচ্ছে না। নিজের হাতে মিতার হাত নিয়ে নেয় অরিয়ন। আঙ্গুলের ভাজে হাত গুজে দিয়ে শক্ত করে ধরে রাখে অরিয়ন।
মিতা অরিয়নের হাত ধরলো না। যেমন ছিলো তেমন ই রেখে দিলো।
–সমস্যা কি তোর,হ্যাঁ?
চেচিয়ে উঠে অরিয়ন।
হঠাৎ করে অরিয়নের চেচানো শুনে ড্রাইভার চাচাও লাফিয়ে উঠে এক প্রকার। অরিয়নের কথা শুনে অরিয়নের দিকে তাকায় মিতা।
–মানে?
বুঝতে না পেরে প্রশ্ন করে মিতা।
–হাত ধরছিস না কেন? সমস্যা কি? এমন ভাবে আছিস যেন আমি তোকে কোনদিন স্পর্শ করিনি।
রেগে রেগে বলে অরিয়ন।

–আমাকে বিয়ে করার কারণ কি ছিলো?
হুট করে প্রশ্ন করে বসে মিতা।
মিতার কথা শুনে হাত ছেড়ে দেয় অরিয়ন।
–কি হলো? এখন তুমি জবাব দেও। আমাকে বিয়ে করার কারণ কি ছিলো?
–কারণ কি জানিস না? আফরিন আসেনি তাই করেছি।
অন্যদিকে তাকিয়ে জবাব দেয় অরিয়ন।
–আমাকে মা*রতে চায় কারা?
প্রশ্ন করে মিতা।
অরিয়ন বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইল মিতার দিকে।

–কি হলো জবাব দেও?
–আমি কোনো জবাব দিতে বাধ্য নই।
উত্তর দেয় অরিয়ন।
–অবশ্যই তোমরা বাধ্য। আমার জীবনের….কি হলো আমার দিকে তাকাও।
মিতার কথা শুনতেই ফোনের দিকে তাকিয়ে টাইপ করতে ব্যস্ত হয়ে যায় অরিয়ন।

পারমিতা পর্ব ২৯

–জবাব দেও। তাকাও বলছি।
রাগ হয়ে বলে মিতা।
অরিয়ন মিতার দিকে ফিরেও তাকালো না।
–ওকে।
বলেই অন্যদিক করে ফিরে বসে মিতা।
“সময় হয়ে গেছে সব সত্য উন্মোচন করার” মনে মনে বলে মিতা।

পারমিতা পর্ব ৩১