প্রণয়ের প্রিয়কাহন পর্ব ১৪
শার্লিন হাসান
মিষ্টির দোকানের সামনে দাঁড়ানো তাসকিন। মূলত অপেক্ষা করছে, জাইমার জন্য। গতকাল রাতে কল দিয়ে বলেছে আজকে যাতে মিষ্টির দোকানে অপেক্ষা করে। তাসকিন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, “এতো জায়গা থাকতে মিষ্টির দোকান কেন?”
জাইমা জবাব দিয়েছে, “কাজ আছে।”
এখন কী কাজ সেটা জানার জন্য তাসকিন অপেক্ষা করে আছে।তাকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। জাইমা উপস্থিত হয়েছে ততক্ষণে। পরণে টুপিস। জামা বেবি পিংক কালারের, প্যান্ট হোয়াইট কালার। চুলগুলো মৃদু কার্ল করা। মাথার উপর কালো চশমা ওঠানো। ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি ছুঁইছুঁই। তাসকিন জাইমাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকায়। জিজ্ঞেস করে, “কীরে খবর কী? এখানে ডাকলি যে?”
“আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তোর খবর কী?”
কন্ঠস্বরে লাজুক একটা ভাব। তাসকিন জাইমাকে দেখছে। জবাব দিতে মনে নেই। মনে,মনে হাজারটা প্রশ্ন এক্কাদোক্কা খেলছে। জাইমা তাসকিনের তাকানো দেখে বলে, “এভাবে তাকাচ্ছিস কেন?”
“তোর কী হয়েছে বল তো?”
“অনেক কিছু।”
“মানে?”
“আমার বিয়ে ঠিক।”
কথাটা বলে দু’হাতে দিয়ে মুখ ডেকে নেয়। জেনো কী লজ্জা পেয়েছে সে। কিন্তু এরকম কিছু না। তখন তাসকিন বলে, “এই সর। কথার ভাবে বুঝা যাচ্ছে নির্লজ্জ, হাত দিয়ে মুখ ডেকে বুঝাতে হবেনা তুই লজ্জা পাচ্ছিস।”
“বেয়াদব।”
“মিষ্টি কেন?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“শোন, আমি গত চারবছর ধরে বিয়ের জন্য লাফিয়েছি। একটা বছর পড়াশোনা ড্রপ দিয়েছি বিয়ের আশায়। যাই হোক, অনেক সাধনার পর বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি আমার ডিপার্টমেন্টের সবাইকে মিষ্টি খাওয়াব।”
“কীভাবে?”
“আজকে নেব।”
“ভার্সিটিতে এরকম রুলস আছে?”
“তোর রুলস নিয়ে তুই বসে থাক। সর সামনে থেকে।”
কথাটা বলে জাইমা এগিয়ে যায় সাজানো মিষ্টির কাছে। তখন সেলসম্যান জিজ্ঞেস করে, “আপু আপনার কী চাই?”
“ভালো মানের দামী, মিষ্টি দিবেন। আমার বিয়ে ঠিক, সবাইকে মিষ্টি খাওয়াব।”
হাসি মুখে কথাটা বলে জাইমা। তাসকিন এসে জাইমার পাশে দাঁড়ায়। জাইমা মিষ্টি কিনে, টাকা পে করে। তাসকিনের দিকে তাকিয়ে বলে, “তোকে কী ট্রিট দেওয়া যায়—বল তো?”
“আমার ট্রিট লাগবেনা। তুই বরং তোর বরের নাম্বারটা দিস।”
“আমার বরের নাম্বার দিয়ে কী করবি?”
“একটু সমবেদনা প্রকাশ করব। তোর মতো এতো বড় আপদ জীবনে তুলবে। তার জন্য আমার আফসোস হচ্ছে।”
“সর। তোর ট্রিট সাথে বিয়ের দাওয়াত দুটোই ক্যান্সেল।”
“আরেহ ইয়ার বল তোর বরের ডিটেইলস।”
জাইমা সামনে এগোয়। তাসকিনও এগোয়। দু’জন তাসকিনের গাড়িতে বসে। তাসকিন অবশ্য ড্রাইভ করছে,পাশে জাইমা বসা। গাড়ি স্টার্ট দিতে জাইমা বলে, “আমার বিয়েটা লাভ এট ফার্স্ট সাইড।”
“এহহহ!”
“হ্যাঁ! আমাকে প্রথম দেখায় ওনার ভালে লেগেছে। অনেক কষ্টে বাসার ঠিকানায় জোগাড় করে, বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। আমি তো রাজী না। রাজী হবো কী করে তুই বল? কিন্তু উনি নাকী আমাকে ছাড়া অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করবেনই না। প্রয়োজনে আজীবন দেবদাস হয়ে থাকবেন। তবুও তার জাইমাকে চাই। দেখ, কতটা ভালোবাসলে এরকম কিছু বলে মানুষ। আমার তো আবার দয়ার মন! আমার জন্য একজন মানুষ দেবদাস হয়ে থাকবে, আমি বেঁচে থাতে সম্ভব? একদম না! সেজন্য রাজী হয়েছি।”
একনাগাড়ে এতোগুলা কথা বলে জাইমা হাপিয়ে যায়। বোতল থেকে পানি পান করে। তাসকিন জাইমার কথায় মৃদু কেশে ওঠে। জাইমার কথার আগাগোড়া কোনটাই তার বিশ্বাস হয়নি। জাইমা হেঁসে তাসকিনের দিকে তাকায়। কিন্তু তাসকিনের মুখে হাসি না দেখে,নিজের হাসি হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো মিইয়ে যায়। তাসকিন মুখটা গম্ভীর করে নেয়। জিজ্ঞেস করে, “তোর বরের বায়োডাটা?”
“নাম গোলামেরপুত। পেশা, ধমকানো। সে মানুষ হোক আর পিঁপড়ে কোনটা বাদ যাবেনা। দেখতে সাদা মুরগির প্রিমিয়াম ভার্সন। চোখ কাঠকালার, তাকালে নিজের পাপ মনে পড়ে। আর উচ্চতা,উটের গলা লজ্জা পায়। ‘ভাই, এত লম্বা হয়ে লাভ কী যদি মাথায় বুদ্ধি না থাকে?”
“এটা কারোর বায়োডাটা বাকী বদনামডাটা?”
“বায়োডাটা।”
“এই না তোকে ভালোবেসে বিয়ে করছে, তাহলে রাগ ঝাড়ছিস কেন?”
“ওহ্….হ্যাঁ ঠিকই তো। নাম ইশরাক খান মর্ম।”
জাইমার কথায় তাসকিন হো হো করে হেঁসে ওঠে। জাইমা বিরক্ত হয়ে তাকায়। তাসকিন হাসি থামিয়ে বলে, “এই জন্যই এতো রাগ?”
“তা নয়ত কী?”
“ওই ফার্স্ট সাইড লাভটা?”
“বানানো গল্প।”
সহজ স্বীকারোক্তি। তাসকিন লম্বা শ্বাস ফেলে। জাইমার দিকে তাকিয়ে বলে, “বিয়ের পর ঝগড়া করিস না। টিচার মানুষ! স্টুডেন্ট, বউ দু’টো ভেবেই মারতে পারবে।”
জাইমা জবাব দেয়না। তাসকিনের সাথে ভার্সিটি আসে। ক্লাস শুরুর আগে নিজের ডিপার্টমেন্টের ক্লাসে যায়। সবাই যখন উপস্থিত হয়েছে জাইমা উঠে দাঁড়ায়। সবার আগে মেহেরকে মিষ্টি খাওয়ায়। এরপর একে,একে সবাইকে দেয়। যখন জিজ্ঞেস করেছিল, “কিসের মিষ্টি?”
জাইমা লাজুক হেঁসে বলেছিলো, “আমার বিয়ের মিষ্টি।”
সবাই কিছুক্ষণ থম মেরে ছিলো। সিরিয়াসলি? বিয়ে ঠিক হয়েছে সে খুশিতে কেউ ভার্সিটি অব্দি মিষ্টি নিয়ে আসে?
জাইমা একটা মেয়ের সামনে দাঁড়ায়। মিষ্টির প্যাকেট বাড়িয়ে দিয়ে বলে, “আমার বিয়ের মিষ্টি।”
মেয়েটা মিষ্টি নেয়। জিজ্ঞেস করে, “তাই বলে ভার্সিটি?”
“আমার সবচেয়ে বড় ড্রিম বিয়ে। যেটা পূরণ হতে চলেছে। মিষ্টি খাওয়াব না?”
“বাহ্! তোমার মতো বিয়ে পাগল মেয়ে দুটোও দেখিনি।”
“আমি একপিস।”
কথাটা বলে জাইমা চলে আসে। সবাই যখন আনন্দ নিয়ে মিষ্টি খাচ্ছিলো, তখন ক্লাসে আগমন হয় ইশরাকের। তার ক্লাসের সময় হয়ে গেছে। কিন্তু জাইমার মিষ্টি বিলি করতে,করতে লেট হয়ে গেছে। ইশরাক এসে প্রথমে জাইমাকে দেখে। ভেবেছিল, বিয়ের খুশিতে ভার্সিটি আসবে না এই মেয়ে। কিন্তু না! ভার্সিটি এসেছে। ইশরাক আসতে সবাই নিজ,নিজ সীটে বসে যায়। জাইমার হাতে মিষ্টির প্যাকেট দেখে ইশরাক ভ্রু কুঁচকে তাকায়। জাইমা ইশরাককে দেখে নিজের হাসি মিইয়ে নেয়। ইশরাক জাইমার দিকে তাকায়। গুরুগম্ভীর কন্ঠে বলে, “আপনি কী করছেন?”
জাইমা কৃত্রিম হাসি টেনে বলে, “আমার বিয়ের মিষ্টি সবাইকে দিচ্ছিলাম। আপনি খাবেন?”
ইশরাক চোয়াল শক্ত করে নেয়। মৃদু ধমকে বলে, “হুয়াট কাইন্ড অব টক ইজ দিস? ইট’স ইউনিভার্সিটি, নট এনিওয়ান’স হোম। আন্ডারস্ট্যান্ড?”
জাইমা উপরনিচ মাথা নাড়ায়। ইশরাক বিরক্ত হয়ে চোয়াল শক্ত করে নিয়েছে। জাইমার দিকে তাকিয়ে বলে, “গেট আউট অব মাই ক্লাস।”
“স্যরি স্যার।”
জাইমার কথায় ইশরাক থামে। লম্বা শ্বাস নেয়। সবার দিকে একনজর তাকায়। পরক্ষণে জাইমাকে হাত দিয়ে ইশারা করে বসার জন্য। জাইমা বসেই ইশরাকের গালি দেওয়া শুরু করে। এখনি এমন করছে? বিয়ের পর? ভেবেই জাইমা হা-হুতাশ করছে। কেন যে বিয়েতে রাজী হলো সে।
ইশরাক মুখটা গম্ভীর করে রেখেছে। তার রাগ সাংঘাতিক। হুট করে কী বলে বসে,করে বসে নিজেও ঠিক জানে না। এই তো কিছুদিন আগের ঘটনা। রাগের মাথায় জাইমাকে তাদের বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আজকে আবার ক্লাস রুম থেকে চলে যেতে বলেছে।
ইশরাক তো ভেবেছে, জাইমা সবাইকে বলে দিয়েছে তার সাথেই বিয়ে ঠিক। বিয়ের ব্যপার হাইড না রাখলেও জাইমা যে তার ওয়াইফ হবে বা ওয়াইফ এ ব্যপার সে হাইড রাখবে। মূল কারণ, মেশেটা আধপাগল,উড়নচণ্ডী। জাইমা যে মেয়ে, তার মান সন্মান ডুবাতে দুমিনিটও লাগবে না। তখন সবাই বলবে, “এটা প্রফেসর ইশরাক খানের ওয়াইফ।”
সেদিনের মতো জাইমা চুপচাপ হয়ে যায়। ইশরাক একটু হলেও টের পেয়েছে, জাইমা তার ধমকে থামে। কিছুটা হলেও নিজেকে ভদ্র রাখে।
সেদিন পুরো ক্লাসে জাইমা স্তব্ধ ছিলো। জেনো সে শক খেয়েছে। তার হবু বর তাকেই ক্লাস রুম থেকে বের করে দিতে চাচ্ছে। এরপর তো উনিশ-বিশ হলে লাইফ থেকে বের করে দিবে।
সেদিন জাইমা একটা ক্লাস করে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে চলে এসেছে। বাসায় এসে দরজা লক করে শুয়ে পড়েছে সে।
টানা দু’টো দিন বিয়ের শপিং করেছে দুই পরিবার। ডালা এক্সচেঞ্জও হয়েছে। আজকে সন্ধ্যায় জাইমা ইশরাকের হলুদ। ইশরাকের পরিবার অবশ্য হলুদ বলতে, মেয়েরা ই যা দুষ্টুমি করবে। ইশরাক কোন হলুদ মাখবেনা। সে মেহমানের মতো বসে থাকবে।
জাইমাদের বাসায় টুকটাক ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। একদম ঘরোয়া হলুদ করা হবে। সেটাতেও জাইমার মন নেই। তার মাঝে উদাসীনতা কাজ করছে।
তবুও শাড়ি পরে, ফুল দিয়ে সেজেছে জাইমা। লিভিং রুমের এককোনায় ফুলের ডেকোরেশন করা হয়েছে। সেখানেই বসানো হয়েছে তাকে। খান পরিবার থেকে একের পর এক কল আসছে। জাইমাকে দেখছে সবাই। অপরপ্রান্তের সবার মুখে হাসি। জাইমাকে হলুদ ছোঁয়াচ্ছে সাজ্জাদ খান। জামিলাও মেয়েকে হলুদ দিয়েছে। পাশে বসা জাইমার ভাই জারাফ। সে হোস্টেল থেকে ফিরেছে একদিন হলো। মূলত বোনের বিয়ের উপলক্ষে। সে ভীষণ নম্র ভদ্র ছেলে। যা দুষ্টুমি সব জাইমার মাঝে। জারাফ জাইমার হাতে হলুদ দেয়। জাইমা ভীষণ উদাসীন হয়ে বসে আছে। ঠোঁটে এক চিলতে হাসিও নেই। রাহেলা খান নাতনির মুখের দিকে তাকান। তখন কলে এক্টিভ আছে ইশরাত। পাশে ইশরাক এবং ইরা বসা। সে দাদীর ফোনে জাইমাকে দেখছে। রাহেলা খান জাইমাকে বলেন, “গত দুইদিন ধরে মুখ একটা এরকম করে রেখেছিস কেন? এতোদিন তো বিয়ের জন্য এক্সাইটেড ছিলি। এখন কী হলো?”
“জাইমা হাসিখুশি একটা মেয়ে। আজকে এরকম উদাসীন কেন?”
ইশরাতের কথায় ইশরাক ফোনের স্ক্রীনে তাকায়। জাইমার ফেস নজরে আসে। শাড়িতে সুন্দরই লাগছে। ইশরাতের দিকে তাকায় ইশরাক। আমতাআমতা করে বলে, “চাচ্চু ছবি পাঠায়নি?”
“জাইমার ছবি লাগবে?
” না।”
“সত্যি লাগবেনা?”
তখন ইরা বলে, “আমি দেকবু নতুন বুউকে।”
ইশরাত ইরার গাল টানে। জাইমার ছবি বের করে ইশরাকের দিকে দেয়। ইরা ফোন হাতে নেয়। জাইমাকে দেখে বলে, “নতুন বুউ সুন্দুর।”
ইশরাক নিজেও জাইমাকে দেখে। শাড়িতে ভীষণ সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে। তাঁদের ছবি দেখাদেখির মাঝে পোহা এসে ইশরাতের পাশে বসে। ইরার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে, “এদিকে আসো মা।”
“নো! তুমি পুচা।”
পোহা ইরার দিকে তাকিয়ে হাসে। ইশরাক মেয়ের কথায় মৃদু হাসে। তখন ইশরাত জাইমার ছবি পোহাকে দেখায়। পোহা জাইমাকে উপরনিচ পরখ করে বলে, “ওকে আজকে কেমন জেনো লাগছে। মনে হয় ফুলে তেমন মানায়নি।”
“কই? ওকে মাশাআল্লাহ ভীষণ সুন্দর লাগছে।”
ইশরাতের কথায় পোহা সোফায় হেলান দেয়। বলে, “ও তো খাটো। দেখবি,দুজনকে একসাথে দাঁড়ালে তেমন স্যুট করবে না।”
ইশরাক কিছু বলেনা। ইশরাত মৃদু বিরক্ত হয়ে বলে, “ভাইয়ার বউ তার সমস্যা না থাকলে এসব বলে তোর লাভ কী?”
“আরেহ, আমি আমার মত দিলাম।”
“বাদ দে।”
জাইমা পুডিং হাতে নিয়ে সোফায় বসেছে। পাশে সাজ্জাদ খান বসা। তিনি বসে,বসে জাইমার খাওয়া দেখছেন। জাইমার চোখেমুখে কোন পরিবর্তন নেই৷ সাজ্জাদ খান মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, “তুমি আপসেট কেন?”
“কিছুনা বাবা। এমনিতে!”
“কেউ কিছু বলেছে?”
“উঁহু না।”
“তাহলে?”
“কিছুনা।”
“কে কী বলেছে?”
জাইমা এবার চুপ। বাবার দিকে তাকায়। উপরনিচ মাথা নাড়িয়ে বলে, “ইশরাক আমাকে ক্লাসে ধমকেছে।”
“তুমি কী করেছ?”
“মিষ্টি খাওয়াচ্ছিলাম সবাইকে।”
“কিসের মিষ্টি?”
“আমার বিয়ের।”
“ভার্সিটিতে কেউ মিষ্টি নেয়?”
“আমি নিয়েছি।”
“সেজন্য বকা শুনেছ।”
“ইশরাককে আমার পছন্দ না।”
জাইমা বলে। সাজ্জাদ খান মেয়ের কথায় জিজ্ঞেস করেন, “কী সমস্যা?”
“ওনার গার্লফ্রেন্ড আছে।”
“কে বলেছে তোমায়?”
“ওনার গার্লফ্রেন্ড বলেছে।”
“কী নাম?”
“পোহা।”
প্রণয়ের প্রিয়কাহন পর্ব ১৩
“পোহা,ইশরাকের আন্টির মেয়ে। ইশরাকের যদি ওর সাথে প্রেম থাকত,তাহলে তোমায় বিয়ে করতে আসত না।”
“ওদের ব্রেকআপ হয়ে গেছে।”
“আম্মা,মৈশানীকে ঠান্ডা পানি দ্যান। ও উল্টাপাল্টা কথা বলছে।”