প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ৩
আদ্রিতা নিশি
অরিত্রিকা মন খারা প করে নিজ রুমের বেলকনিতে বসে আছে।শূন্য দৃষ্টিতে অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশে তাকিয়ে আছে সে।মন খারা পের কারণ হলো সারহান।রাতে কেনো যে ওই রগচটা মানুষটার রুমে গিয়েছিলো? নিশাদের কথা বলাই উচিত হয়নি।ওই নিশাদের কথা নিয়েই তো অপমান করেছে।সে ভেবে পায়না তার আর ওই রগচটা মানুষটির এতো কিসের শ ত্রুতা?সবসময় মুখ গম্ভীর করে রাখে।আচ্ছা সারহান ভাই কি হাসতে জানেনা? কবে যে হেসেছে তাও তার মনে নেই।কবে যে একটু ভালো করে কথা বলেছে তাও মনে পড়ছেনা।মাঝে মাঝে এসব ভেবে খুব মন ভার হয় অরিত্রিকার।
একটু ভালো করে কথা বললে কি এমন হয়? সে কি খুব খা রাপ মেয়ে নাকি?তার মনে পরে যখন সারহান আগে ভার্সিটির হলে থাকতো।ভার্সিটি থেকে বাড়ি কাছে হলেও তেমন বাড়িতে থাকতোনা।আসলেও দুই একদিন থেকে চলে গেছে। সারহান কখন বাড়ি আসতো অরিত্রিকা খেয়াল করতোনা।কারণ সে হয়তো স্কুলে থাকতো নয়তো কলেজে।সারহানের সাথে তেমন একটা কথাও হতোনা। অরিত্রিকার মনে হতো সারহান তাকে এড়িয়ে চলছে।সরাসরি চোখাচোখি হলেও যে যার মতো পাশ কাটিয়ে চলে এসেছে। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে একবছর ধরে সারহান এ বাড়িতে থাকছে।এখান থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত আছে।এই একবছরে সারহান তাকে শাষণ করেছে,খুব কম সময়ই ভালোভাবে কথা বলেছে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আমার সকল অভিযোগে তুমি…
তোমার মিষ্টি হাসিটা কি আমি…
আমার না বলা কথার ভাঁজে…
তোমার গানের কত সুর ভাসে….
তোমায় নিয়ে আমার লেখা গানে..
অযথা কতো স্বপ্ন বোনা আছে…
আমার হাতের আঙুলের ভাঁজে…
তোমাকে নিয়ে কতো কাব্য রটে…
ভুলিনি তো আমি তোমার মুখের হাসি…
আমার গাওয়া গানে তোমাকে ভালোবাসি…
আসো আবারও কাছে,হাতটা ধরে পাশে…
তোমায় নিয়ে যাবো আমার পৃথিবীতে………
সুমধুর মেয়েলী কন্ঠস্বরের গান সারহানের কর্ণকুহরে প্রবেশ করছে অনেকক্ষণ ধরে ।সারহান নিজ রুমের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে জরুরী কথা বলছিলো।এমন সময় সুরেলা গলায় কারো গান শুনে কিছুটা কৌতুহলী হয় সে।কথা বলা শেষ করে আশেপাশে তাকায়।তার এই কন্ঠস্বর ভীষণ চেনা।তবুও বুঝতে পারছেনা কে গান গাইছে।তার রুমের বেলকনি থেকে কিছুটা দূরে আরেকটা বেলকনি দৃশ্যমান।সেখানে থেকেই ভেসে আসছে গান। গানে মিশে আছে অভিযোগ,বিষাদের সুর। বেলকনিতে মেয়েলী অবয়ব অস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ওটা অরিত্রিকার রুমের বেলকনি। তবে কি অরিত্রিকা গান গাইছে?সে আরো মনোযোগী হয়ে গানটা শুনতে লাগলো।সে বুঝলো এটা অরিত্রিকার কন্ঠস্বর।তবে কি অরিত্রিকার মন খা রাপ?।এর মাঝেই গান থেমে গেছে।তবুও অরিত্রিকা ওখানেই বসে আছে।
~মন খারা প করে আছিস কেনো? আর কাকে নিয়ে গানের মাঝে অভিযোগ জানাচ্ছিস?
সারহানের কন্ঠস্বর শীতল। অরিত্রিকা সারহানের শীতল কন্ঠস্বর শুনতেই কিঞ্চিৎ চমকালো। সে অশ্রুসিক্ত চোখ হাতের উল্টোদিকে মুছে পাশের বেলকনিতে তাকালো।তাকিয়েই দেখলো সারহান দাঁড়িয়ে আছে।তবে লাইট অফ থাকায় অবয়ব বোঝা যাচ্ছে না তেমন।
অরিত্রিকা মলিন হেসে উত্তর দিলো~ কাকে নিয়ে অভিযোগ করবো আমার তো অভিযোগ করার মানুষ নেই আর না আছে অভিযোগ শোনার মানুষ।মন খা রাপ ছিলো তাই ভাবলাম গান গেয়ে একটু নিজের মনটা হালকা করি।বড় হয়ে গেছি তো। এখন আর কাউকে মন খা রাপের কারণ বলতে ইচ্ছে করেনা।
সারহান অরিত্রিকার মুখে বড়দের মতো কথার ধরণ দেখে বেশ অনেকটাই অবাক হলো।যে মেয়ে আজও তার রুমে গিয়ে উদ্ভট পাগ লামী করলো সে এই অল্প সময়ে ম্যাচিউর হয়ে গেলো?
সারহান একটু ভেবে শান্ত কন্ঠে বললো~ আমি বকেছি বলে মন খারা প করেছিস?
অরিত্রিকা মিথ্যা বললো~ আপনি তো আমায় প্রায় সময়ই বকেন।আমি কি কখনো মন খারাপ করে থেকেছি?উহু! করিনি। আজ কেনো করবো বলুন তো?
সারহান বুঝলো অরিত্রিকা তাকে কিছু বলবেনা।সে আর জোর করে জানতে চাইলো না। তপ্ত শ্বাস ফেলে বললো~ অনেক রাত হয়েছে। ঘুমিয়ে পর রাত জাগলে শরীর খারাপ করবে।
অরিত্রিকা বিমর্ষ গলায় একটু হেসে বললো~ আপনি সবসময় আমার ভালোর জন্য বকেছেন।তবুও কেনো যেনো আপনার রুঢ় আচরণে মন খারাপ হয়।আপনি কি জানেন অনেকদিন পর আপনি স্বাভাবিক শান্ত ভাবে কথা বলেছেন আমার সাথে?বহুদিন পর। এভাবে সবসময় বললেই তো পারেন।
সারহান অরিত্রিকার কথা শুনে বিস্মিত হলো।এই মেয়ে এটাও মনে রাখে সে কবে শান্ত ভাবে কথা বলেছে?আগে কখনো তার শাষণ বারণ নিয়ে কখনো কথা বলেনি তবে আজ করেছে। কেমন যেনো গোলমেলে লাগছে তার কাছে।অরিত্রিকা এতিমধ্যে তার রুমে চলে গেছে।সারহান বেলকনি থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলো।দৃষ্টি তার বাহিরে অনামিশা ময় পরিবেশের দিকে।আজ রাতটা খুবই অন্ধকারাচ্ছন্ন।
সারহান পার্টি অফিসে বসে কিছু রাজনৈতিক নেতাদের তথ্য সম্পর্কে অবগত হচ্ছে।রাজনীতিতে কাউকে কখনো বিশ্বাস করতে নেই।কে কখন পিঠ পিছে ছু ড়ি চালিয়ে দেয় তা বলা যায় না।কয়েক মাস পর ইলেকশন আছে।একজন গণ্যমান্য এমপির হয়ে সে কাজ করছে।সেই এমপি হলো রাজশাহী (১) এর এমপি নাম মো:আজাদ শেখ(নামটি কাল্পনিক)। সারহান ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত।রাজশাহী ভার্সিটিতে পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে ছাত্ররাজনীতিতে তার অবাধ বিচরণ ছিলো আর এখনো আছে।তার বাবা,চাচাও রাজনীতিতে যুক্ত আছেন। তবে সারহান তাদের থেকেও একধাপ এগিয়ে আছে।
~সারহান তোর সাথে দুজন দেখা করতে এসেছে।
আবিরের কন্ঠস্বর শুনেই সারহান দরজার দিকে তাকালো।
সে ইশারায় আবিরকে ভেতরে আসতে বললো।আবির সারহানের ইশারা করা দেখে ভেতরে প্রবেশ করলো।
সারহান জানতে চাইলো~ কে এসেছে?
আবির গা এলিয়ে চেয়ারে বসে বললো~তোর বোনেরা এসেছে।
সারহানের ভ্রুযুগল কুঁচকে গেলো।সে বললো~ কোন বোন?আমার কোনো বোন নেই তুই জানিসনা।
আবির ঠোঁট এলিয়ে হেসে বললো~ তোর চাচাতো বোন আর ফুফাতো বোনের কথা বলছি।
কথাটা শুনেই সারহানের স্বাভাবিক মুখশ্রী গম্ভীর হয়ে গেলো।সে গাম্ভীর্য ভাব নিয়েই বললো~ভেতরে আসতে বল ওদের।
~উনাকে আর যেতে হবেনা আমরাই এসে পরেছি।কথাটি বলতে বলতে অফিসে ঢুকলো ইশরা। সাথে অরিত্রিকাও আছে। তারা অনেকটা হাঁপিয়ে গেছে। দুপুরের এই কাঠফাটা রোদে বেরিয়ে মস্ত বড় ভুল করেছে দুজন।
সারহান আকাশী রঙা থ্রি পিস পরিহিত অরিত্রিকার দিকে তাকালো।ফর্সা মুখশ্রী লাল হয়ে গেছে। ঘর্মাক্তক হয়ে আছে পুরো মুখ।দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছে।সে তাই দেখে বললো~ এই অসময়ে তোরা কোথায় গিয়েছিলি?আর অরিত্রির কিছু হয়েছে?
ইশরা অরিত্রিকাকে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলো।সে দুহাতে মাথা ধরে মুখশ্রী নিচু করে রইল।ইশরা ব্যস্ত ভঙ্গিতে বললো~ ভাইয়া বলছি।আগে আপনি ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করুন।অরিত্রিকার মাথা ঘুরছে।
সারহান কথাটা শুনেই চেয়ার থেকে দাড়িয়ে পড়লো। ব্যতিব্যস্ত ভঙ্গিতে টেবিলে থাকা গ্লাসটা নিয়ে অরিত্রিকার সামনে দাঁড়ালো। তারপর বললো~ এই নে পানি।
তারপর আবিরকে উদ্দেশ্য করে বললো~ খাবারের ব্যবস্থা কর।দুপুরে হয়তো না খেয়ে বেরিয়েছে তাই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
আবির সারহানের কথা শুনে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে বললো~এখানে নিয়ে আসবো?
~হুম।
ইশরা সংবাদপত্র দিয়ে অরিত্রিকাকে বাতাস দিতে লাগলো। অরিত্রিকা দুর্বল চিত্তে হাত বাড়ালো সারহানের হাত থেকে পানি নেয়ার জন্য।তার হাত এখনো কাঁপছে।
সারহান অরিত্রিকার হাত কাঁপতে দেখে শান্ত স্বরে বললো~ আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
অরিত্রিকা হাত নামিয়ে দুর্বল চোখে সারহানের দিকে তাকালো।সারহান অরিত্রিকার সামনে পানির গ্লাস ধরে ইশারা করলো খাওয়ার জন্য।অরিত্রিকা ভদ্র মেয়ের মতো ইশারা অনুসরণ করে গ্লাসে চুমুক দিলো।পানি খাওয়া হতেই গ্লাস থেকে মুখ সরিয়ে নিলো অরিত্রিকা।সারহান হাতে থাকা গ্লাসটি টেবিলে রাখলো।
এসির রিমোট নিয়ে পাওয়ার বাড়িয়ে দিয়ে বললো~এখন ভালো লাগছে?
অরিত্রিকা সারহানের কথা শুনে শুধু মাথা দুলিয়ে হ্যা বললো শুধু।
ইশরা অরিত্রিকার পাশে চেয়ার নিয়ে বসলো।এরমাঝেই কেটে গেছে কিছুক্ষণ। সারহান নিজ চেয়ারে বসে অরিত্রিকার দিকে তাকিয়ে বললো~ এই দুপুর বেলা কোথায় গিয়েছিলি?নিশ্চয়ই না খেয়ে বেরিয়েছিস।সময় দেখেছিস তিনটা বেজে গেছে।বাহিরে এতো রোদ আবার না সময় মতো না খেলে অসুস্থ হয়ে যাস এতোটা কেয়ারলেস কেনো তুই?
ইশরা একটু ঘাবড়ে গেলো।এখন আবার বকবে নাকি?
অরিত্রিকা মাথা উঁচিয়ে সারহানের দিকে তাকালো।
ঠোঁট ভিজিয়ে বললো~আমরা এগারোটার দিকে বেরিয়েছিলাম জানতাম না এতোটা দেরি হয়ে যাবে। সকাল থেকেই শরীর খারাপ লাগছিলো। আম্মু জোর করে পাঠিয়েছিলো তাই আসতে হলো।আপনার পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম মাথা ঘুরছিলো তাই জন্য এসেছি।না হলে আসতাম না।
তাদের কথোপকথনের মাঝেই আবির খাবার নিয়ে হাজির হলো।আবির সারহানকে উদ্দেশ্য করে বললো~ খাবার কই রাখবো?
~টি টেবিলে রাখ।
আবির খাবারগুলো টি টেবিলে রাখলো।রেখে সারহানকে বললো~আজাদ সাহেব তোর সাথে দেখা করতে চাইছে এই মুহুর্তে হয়তো কোনো ঝা/মেলা হয়েছে।
~মজনুকে গাড়ি বের করতে বল।আমি আসছি।
~ঠিক আছে।বলেই আবির চলে গেলো।
সারহান অরিত্রিকার তাকিয়ে ইশরা কে বললো~ টেবিলে খাবার আছে অরিত্রিকে খাইয়ে দে। আমি আবিরকে বলে দিচ্ছি তোদের গাড়িতে করে পৌঁছে দিবে তোদের।
সারহান উঠে কিছু কাগজপত্র গুছিয়ে নিতে লাগলো।অরিত্রিকা সারহানের দিকে তাকিয়ে দুর্বল চিত্তে বললো~আপনি দুপুরে খেয়েছেন?
সারহান ব্যস্ত ভঙ্গিতে কাগজপত্র গুছাতে গুছাতে বললো~না খাওয়ার সময় পাইনি।
~খাবার খেয়ে যান।আপনার তো কোনো খাবার টাইমের ঠিক নাই।
সারহান পাঞ্জাবির পকেটে ফোন পুরে কাগজপত্র হাতে নিয়ে অরিত্রিকার সামনে এসে দাঁড়ালো। তারপর ভরাট কন্ঠে বললো~ আমার সময় নেই।আমার এমপি মহোদয়ের সাথে মিটিং আছে যেতে হবে।
অরিত্রিকা মিইয়ে যাওয়া কন্ঠে বললো~অল্প খেয়ে যান।
সারহান নিবৃত্ত দৃষ্টিতে অরিত্রিকার দিকে তাকিয়ে বললো~পরে খেয়ে নিবো।সময় নেই।
অরিত্রিকা বললো~ আপনি যেহেতু চলে যাচ্ছেন আমরা থেকে কি করবো? আমরা চলে যাবো।গাড়ির ব্যবস্থা করে দিন আমাদের।
সারহানের ভ্রু কুঁচকে গেলো।সে সন্দিহানি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো~তুই না একটু আগে অসুস্থ ছিলি এখন তোর অসুস্থতা ঠিক হয়ে গেছে?
~আমি এখন ঠিক আছি।আমায় বাসায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন।
সারহান কিছু একটা ভেবে বললো~চল আমার সাথে।তোদের বাসায় রেখে তারপর যাবো।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েছে।নিশাদ হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে।তার হাত পা ব্যান্ডেজে মোড়ানো।কপালেও ব্যান্ডেজ করা। শরীর কিছু অংশে কালসিটে পরে গেছে।নিশাদের কেবিন ফাঁকা তার মা -বাবা ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেছেন।
দরজায় খট করে আওয়াজ হতেই নিশাদ দরজার দিকে তাকালো। তখনি দরজা খুলে প্রবেশ করলো তার অতিপরিচিত মুখের মানুষটি।দেখা মাত্রই মুখশ্রী ক/ঠিন বর্ণ ধারণ করলো নিশাদের। পরিচিত মুখের মানুষটি প্রবেশ করলো কেবিনে তার মুখে ফিচেল হাসির রেখা।
নিশাদ অগ্নি দৃষ্টিতে মানুষটির দিকে তাকিয়ে বললো~তুই এখানে কেনো এসেছিস?
মানুষটি হাসলো।হেসে এগিয়ে আসতে আসতে বললো~ তুই মা/র খেয়ে হসপিটালে এডমিট আর আমি আসবো না?আমি তো তোর বিপদের সময়ে সব সময় পাশে থাকি তাই এইবারেও পাশে থাকার জন্য এসেছি।
~আমার সাথে মশকরা করছিস?
প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ২
~আরে না।তোর সাথে কি আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক? আমি আর তুই তো চির শ ত্রু।
~আমার এই অবস্থার জন্য তোর হাত নেই তো?
সারহান চেয়ার টেনে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে মুখশ্রী শক্ত করে বললো~ একদম ঠিক। আমিই তোর এই অবস্থা করেছি। এর পরের বার আমার নজরে পরলে কথা বলার অবস্থায় ও থাক বিনা।