প্রিয় ডাক্তার সাহেব সিজন ২ পর্ব ২০
মারশিয়া জাহান মেঘ
নিজের কো’ম’ড়ে কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলো আভা। পেছন ফিরে তাকাতেই তার চোখ কপালে উঠে গেল। তাশরীফকে নিজের সাথে মিশিয়ে যেতে দেখে সংকোচে বলল,
“ক্ ক্ও কি ক্ কর্ করছেন আপনি?”
তাশরীফ আভার ঘা’ড়ে গ/র/ম নি’শ্বা’স ফেলতে ফেলতে নেশালো স্বরে বলল,
“কি করছি? এত বিরক্ত কেন করছিস আভা?”
“প্লিজ ছাড়ুন। অসমাপ্ত, সম্পর্কের এমন পরিণতি দিবেন না। আমি ভীষণ দূ’র্ব’ল, এইসব দ্বারা ক’ষ্ট পেতে চাই না।”
“আমি যতদিন তোর জীবনে আছি, কষ্টকে টাচও করতে দিবো না তোকে। বুঝলেন? মিসেস তাশরীফ চৌধুরী।”
জো’র করে নিজেকে তাশরীফের থেকে ছাড়িয়ে নেয় তোহা। ঘো’র এখনো কা’টছেনা ওর। কি হতে যাচ্ছিলো এইটা! চিৎকার করে উঠে আভা। ছলছল চোখে তাশরীফের দিকে তাকিয়ে বলল,
“কি চান আপনি? কি চাননন? আমাকে কাছেও চান, আবার চানও না। জীবনটাকে পুতুল খেলা পেয়েছেন? যখন ইচ্ছে খেলবেন, যখন ইচ্ছে রেখে দিবেন পুতুলের মত। আমি কি মানুষ না? নাকি রোবট? আপনি আসলে চানটা কি? আমার অনুভূতির সাথে কেন খেলছেন? কেননন ডক্টর তাশরীফ চৌধুরী?”
তাশরীফ চোয়াল শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে। হাত দুটো মুঠোবন্দী করে সে। আভার একেকটা কথা, তার মন ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে। তাশরীফ টাওজারের দুই পকেটে দুই হাত রেখে এক ধ্যানে তাকালো আভার দিকে। তারপর বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“তারপর? তারপর কি? থামলি কেন? বল… কি হলো, বলছিস না কেন?”
আভা চুপসে দাঁড়িয়ে আছে ছলছল নয়নে। এই বুঝি গাল বেয়ে পা’নি পড়বে। রা’গে তার দে’হ কাঁ’প’ছে। কি থেকে কি বলল রাগের মাথায় সে নিজেও বোধহয় জানে না। তাশরীফ হঠাৎ আভার হাত শক্ত করে ধরে।
“ছাড়ুন, ছাড়ুন আমার হাত। কি হলো? ছাড়ুন বলছি। আমার লাগছে, লাগছে আমার।”
তাশরীফ শুনলো না আভার কথা। এক ধা’ক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয় আভাকে সে। তাশরীফ টিশার্ট খু’ল’তে খু’ল’তে বলল,
“আজ স্বামীর অধিকার সবটুকু নিব আমি। সেই সাথে, তোকে সম্পূর্ণ ওইটা অনুভব করাবো, ” তোকে কোনো পুতুল নয়, নিজের ওয়াইফ হিসেবে নিয়েছি নিজের জীবনে।”
চারিদিকে আজানের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আভা উঠল কোনোরকমে। নিজের থেকে তাশরীফকে সরিয়ে বিছানা থেকে শাড়িটা আলতো প্যাঁচিয়ে নামে সে। রাতের ঘটনা ভাবতেই সারা শ’রী’র কাঁ/প/ছে তার। কি থেকে কি হয়ে গেল! সব ভাবনা মাথা থেকে দূরে সরিয়েও ফেলতে চাইলেও, দূরে সরাতে পারছে না সে। আভা ওয়াশরুমে যায়। সর্বাঙ্গে দূ’র্ব’ল অনুভব করছে সে। গোসল সেরে এসে দেখে, তাশরীফ জেগে আছে। এত ভোরে তাশরীফকে এই প্রথম জাগতে দেখেছে আভা। মাথা নীচু করে ফেলল নিমিষেই। আভাকে বের হতে দেখে, তাশরীফও ওয়াশরুমে গেল। গোসল সেরে সেও বের হলো। দেখলো, আভা ড্রেসিং টেবিলে নিজেকে এক ধ্যানে দেখছে। ভেজা চুলে সৌন্দর্য যেনো উপচে পড়ছে। তাশরীফ গলা ঝেড়ে বলল,
“আজ একটু বেশিই সুন্দর লাগছে। আমার স্পর্শে? নাকি এইটা কেবল ধারণা?”
আয়নায় পেছন ফিরে তাকালো আভা। তাশরীফকে দেখছে সে।বু/কে/র ভে/জা লো’ম’গুলো থেকে বিন্দু বিন্দু পা’নি ঝরছে। আভা টাওয়াল নিয়ে এগিয়ে দিলো তাশরীফের দিকে। কোমল কন্ঠে বলল,
“ভালো করে মু’ছে নিন। ঠান্ডা লেগে যাবে।”
“আজ ঠান্ডা লাগবে না।”
“কেন?”
“এত জানতে হবে না তোর। এক কাপ কফি করে দেতো। ঠান্ডা স্নিগ্ধ অনুভূতি নিয়ে গরম গরম কফি খাব।”
“অনুভূতি আবার ঠান্ডা হয় নাকি?”
“আমার মেজাজ ঠান্ডা তাই, অনুভূতিও ঠান্ডা।”
আভা কফি আনতেই যাচ্ছিলো ঠিক তখনি পেছন থেকে এক ঝটকায় ভে/জা বু/কে তাশরীফ আভাকে মিশিয়ে নেয়। কি জানি হলো হঠাৎ, তাশরীফ আভার ঠোঁ/টের সাথে নিজের ঠোঁ/ট ডুবিয়ে দেয়। কিছু সময়ের জন্য অন্যরকম সুখে মত্ত হয়ে উঠে তারা। আভা জো/র করে ছাড়িয়ে নেয় নিজেকে। তাশরীফ ঠোঁ/ট আঙ্গুল দিয়ে মু’ছে বাঁকা হেসে বলল,
“আজ থেকে এমন রোমান্টিক অ’ত্যা’চার’ই তোকে স/হ্য করতে হবে আভা। বিকজ, ইউ আর মাই ওয়াইফ। স্বামীর অধিকারতো রোজ খাটাতেই হবে তাই না?”
পা’নির তৃষ্ণায় জেগে উঠে তোহা। জ্বরে অবস্থা ভীষণ করুণ তার। ঠোঁ/ট মুখ শুকিয়ে আছে। মলিন হয়ে আছে পুরো চেহারা। বিছানার পাশ থেকে পা’নির গ্লাসটুকু হাতে নিয়ে এক ঢো’কে পুরো পা’নি শেষ করে সে। আবার মাথা রাখে বালিশে। পেইন করছে মাথা। তাও পাশ থেকে ফোনটা হাতে নিলো সে। কাব্যকে এত ম্যাসেজ করলো কোনো সীন নেই? অথচ সে অনলাইনে এসেছিল। উ’ত্তে’জ’নায় আরও বেশি খারাপ লাগা কাজ করছে ওর মাঝে। ঠিক তখনি ফারাবী আসে তোহার রুমে। তোহাকে জেগে থাকতে দেখে থতমত খেয়ে গেলো ফারাবী। তোহা অবাক হয়ে ছোট ছোট চোখ মেলে প্রশ্ন করলো,
“এত সকালে আপনি এইখানে কি করছেন?”
তোহা অবুঝ। সেতো আর জানে না, প্রেয়সীর অসুস্থতা, ফারাবীর দু চোখ সারা রাত এক হতে দেয়নি। অস্থিরতায় কেটেছে সারা রাত৷ রাতের মধ্যে ৭/৮ বার দেখে গেছে সে তোহাকে। মধ্য দিয়ে কপালে ভে/জা কাপড়ের পট্টিও রেখেছিল। তোহার এই পরিস্থিতির জন্য বার বার নিজেকে দায়ী করছে ফারাবী। ভেতর থেকে সে বড্ড কষ্ট পাচ্ছে।
“কি হলো জবাব দিচ্ছেন না কেন?”
তোহার আবারও প্রশ্নে ফারাবী বলল,
“তোমার ভীষণ জ্বর শুনলাম, তাই দেখতে এসেছি।”
“আমার জ্বর এইটা দেখতে এসেছেন? নাকি, মরে গেছি কিনা এইটা দেখতে এসেছেন?”
“তোহা….”
“আপনাকে আমার স/হ্য হচ্ছে না, প্লিজ চলে যান আমার চোখের সামনে থেকে।”
“আমি যাব না। অ/স/হ্য মানুষ, জিনিস, অথবা সবকিছুকে স/হ্য করতে শিখো তোহা। অস/হ্য মানুষটার সাথে সারাজীবন থাকতে হবে তোমাকে।”
“আপনি আসলে চানটা কি?”
“তোমাকে। বিশ্বাস করো, শুধু তোমাকে চাই। তুমি জীবনে চলে আসলে, আর কিছু লাগবে না আমার।”
“কিন্তু আমার আপনাকে চাই না।”
“তুমি হয়তো ভুলে গেছ, অলরেডি উই আর হাসবেন্ড এন্ড ওয়াইফ।”
তোহা তাচ্ছিল্য করে হাসলো। বলল,
“ফোর্সলি? মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে, জো’র করে বিয়ে করেছেন আমাকে। ভুলে যাচ্ছেন কেন? আপনি আমাকে পাবেন ঠিকিই। কিন্তু আমাকে নয়। অর্থাৎ আমার মনকে নয়, আমার দে’হকে ঠিকিই পাবেন।”
ভেতরে ভেতরে কষ্ট পেলেও ফারাবী তা প্রকাশ করলো না। বলল,
“সে যা হবে দেখা যাবে। তুমি ঘুমাও। নীড রেস্ট, রাইট?”
“আমার চোখের সামনের থেকে চলে যান বলছি, চলে যানননন।”
প্রিয় ডাক্তার সাহেব সিজন ২ পর্ব ১৯
তোহার আলতো চিৎকার শুনে ফারাবী বের হয়ে গেল তোহার রুম থেকে। ব্ল্যাক টিশার্ট, ব্ল্যাক টাওজার পড়েছে ফারাবী। বু/কে দু হাত গুঁজে নিজেকে প্রশ্ন করলো সে,
“তোহা কি কখনোই আমাকে ভালোবাসবে না? আজীবব ইচ্ছের বিরুদ্ধেই আমার সাথে সংসার করবে? সত্যি সত্যিই কি তা হবে!?”