প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ৪০
তানিশা সুলতানা
গোধূলি লগ্ন। সূর্য্যিমামা পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে। নদীর ওইপাড়েই কি ডুবে যায় সূর্য্যি মামা? তেমনটাই মনে হচ্ছে। এপাড় হতে দেখে মনে হচ্ছে ওইপাড়েই পৃথিবীর শেষ সীমান্ত। সেখানেই বিলুপ্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ে সূর্য। সূর্যের শেষ রশ্মির প্রভাবে নদীর পানি স্বর্নের মতো চকচক করছে। চোখে লাগছে বেশ। ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে। সেই বাতাসের তালে দুলছে মিষ্টির ওড়নার দুই কোণা। উদাসীন রমনী আসমানের পানে তাকিয়ে গভীর মনোযোগ সহকারে দেখে চলেছে প্রকৃতির লীলা। হৃদয় ছটফট করছে ক্ষণে ক্ষণে। বুকের ব্যাথা বেড়েই চলছে। চিনচিনে ব্যাথা। কিসের কারণে হয় এই ব্যাথা? ডাক্তার জানবে বোধহয়। ঔষধ দিবে কি? সেই ঔষধে সাড়বে? কে নিয়ে যাবে তাকে ডাক্তার খানায়?
চোখের কুর্ণিশ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে দুই ফোঁটা অশ্রুকণা। কারো কি সময় রয়েছে তার জন্য?
অভিমানি রমণী করুন সুরে আপনমনে বলেন
“যদি পরজনম বলে কিছু থেকে থাকে
তাহলে পরজনমে আমি পূর্ণতা হয়ে দুনিয়াতে আসতে চাই। সকলের ভালোবাসা পেতে চাই। অসম্ভব সৌন্দর্যের অধিকারিণী হতে চাই। ইফতিয়ার নামক ওই পুরুষটির নজর কাড়তে চাই।
পরমুহূর্তেই মন বলে ওঠে
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
” বোকা মিষ্টি অভিশপ্ত জীবন কেনো চেয়ে নিচ্ছিস। তুই কি দেখিস না পূর্ণতার দুঃখ। সৌন্দর্যই যে তার অভিশাপ। বহু পুরুষের কুনজরের অধিকারীনি। যখন তখন হামলে পড়বে। ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে নিষ্পাপ মেয়েটিকে।
হাঁটু মুরে বসে পড়ে মিষ্টি। নদীর পানিতে ভিজে যায় নীল রংয়ের জামাখানা। চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। কান্নার তালে বুকের ভেতরের যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। ব্যাথায় দম বন্ধ হয়ে আসছে যেনো। নদীর পানির দিকে দৃষ্টি ফেলে কান্না দমন করে। জোরে জোরে শ্বাস টানতে থাকে।
হাতের মুঠোয় থাকা ফোনখানা টিপে ডায়াল করে “চৌধুরী সাহেব নামে সেভ করা নাম্বারটিতে। কথা বললে সুস্থ অনুভব করবে সে
রিসিভ হতে সময় লাগে না। ঠোঁট কামড়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে করুণ কন্ঠে মিষ্টি বলে
” আমার সাথে একটু কথা বলবেন চৌধুরী সাহেব? আমার বুকে ব্যাথা হচ্ছে। অসয্য যন্ত্রণায় ভুগছি। হাসফাস লাগছে। শান্তি পাচ্ছি না। একটু কথা বলুন প্লিজ। আমাকে ডাক্তার খানায় নিয়ে চলুন।
মিষ্টির এমন অগোছালো এবং ভাঙা গলায় হৃদয় গলানো কথা শুনেও পাষাণ ইফতিয়ারের মন গলে না। বরং রেগে যায়। কথা বলার জন্য বুকে ব্যাথার নাটক সাজাচ্ছে। কঠোর স্বরে জবাব দেয়
“তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।
বিরক্ত করিও না।
কল কাটে ইফতিয়ার। চোখ ভর্তি পানি নিয়েও মুচকি হাসে মিষ্টি। ভীষণ রেগে আছে যে চৌধুরী সাহেব। তার পূর্ণতার খেয়াল রাখে নি যে ঠিকভাবে। রেগে যাবে না?
শুকনো ঢোক গিলে মিষ্টি বিরবির করে বলে
“একটাবার হাসিমুখে মিষ্টি বলে ডাকুন না চৌধুরী সাহেব। প্রয়োজনে আমি সারাজীবন পূর্ণতার পা ধরে বসে থাকবো। আমি যে সইতে পারছি না।
দুই দিন হলো ইফতিয়ার কথা বলে না মিষ্টির সাথে। কল ধরে না। নিজ থেকে কল দিয়েও জিজ্ঞেস করে না ” পূর্নতা কেমন আছে”
ওই মানুষটার কন্ঠস্বর না শুনলে যে মিষ্টির ভালো লাগে না। বুকের ভেতরে শান্তি শান্তি লাগে না। প্রতিদিন কয়েকবার কল করে “মিষ্টি কি করছো? পূর্ণতা ভালো আছে? খেয়েছো তোমরা?
এসব জিজ্ঞেস করতো। এটাই ছিলো মিষ্টির সুখ।
মাগরিবের আজান শেষ হতেই বাড়ির চৌকাঠে পা রাখে মিষ্টি। অগোছালো পায়ে ছুটে যায় শিউলি বেগমের কক্ষের পানে। মায়ের কোলে মাথা রেখে একটু শুয়ে থাকলে শান্তি লাগবে বোধহয়?
দরজা বন্ধ। মিষ্টি দুবার টোকা দেয় দরজায়
” মা দরজা খুলবে? আমি তোমার কাছে শুতে চাই। আমার বুকে ব্যাথা করছে৷ একটুও শান্তি পাচ্ছি না
ভেতর থেকে শিউলি বেগম জবাব দেয়
“বিরক্ত করো না মিষ্টি। আমি কাজ করছি।
” বাবা কোথায় মা?
মনোয়ার জবাব দেয়
“খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো ব্যাথা কমে যাবে।
হতাশার নিঃশ্বাস ফেলে মিষ্টি। ছুটে যায় মমতা বেগমের কক্ষের পানে। দরজা ওবদি যেতেই দেখতে পায় মমতা বেগম, মনা এবং রেশমা পূর্ণতার নামে গপিস করছে।
পিছিয়ে আসে মিষ্টি। ধীর গতিতে পা ফেলে নিজ কক্ষের দিকে অগ্রসর হতে হতে মুঠো ফোনে দৃষ্টি ফেলে অভিকে কল করে।
দুবার রিং হয়ে কেটে যায়। তৃতীয় বারের মাথায় রিসিভ করে অভি। ব্যস্ত স্বরে শুধায়
” মিষ্টি কিছু বলবি? কাজ করছি।
“আমার সাথে একটু কথা বলবে দাভাই। আমার বুকে ব্যাথা হচ্ছে। ভালো লাগছে না। সইতে পারছি না। ডাক্তা
পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই অভি বলে
” কাজ শেষ করে কল করবো। পূর্ণতাকে দেখে রাখিস। দুই দিন বাড়ি ফিরতে পারলাম না। নিশ্চয় রেগে আছে। দুজন মিলে খেয়ে নিস ঠিকমতো।
কল কাটে অভি। ততক্ষণে নিজ কক্ষে চলে এসেছে মিষ্টি। পড়ার টেবিলে বসে পড়ে। আরেকটা বার কল করতে মন চাচ্ছে ইফতিয়ারকে। মনের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে নিলজ্জের মতো দ্বিতীয় বার কল করে ইফতিয়ারকে। এবারেও সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ হয়।
“আমার সাথে একটু দেখা করবেন চৌধুরী সাহেব? আপনাকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে। কেনো জানি মনে হচ্ছে এখন না দেখলে আর কখনোই আপনাকে দেখতে পাবো না।
ইফতিয়ার ধমকের স্বরে জবাব দেয়
” কাজ করছি আমি।
শুকনো ঢোক গিলে মিষ্টি। বিচলিত হয়ে বলে
“আপনাকে আসতে হবে না। কোথায় আছেন বলুন আমি আসছি। দূর থেকে একটু দেখেই চলে আসবো। আপনাকে বিরক্ত করবো না কথা দিলাম।
” এখনই তো বিরক্ত করছো আমায়। বলছি না কাজ করছি? বুঝতে পারছো না।
এবারেও কল খানা কেটে যায়। ফোন বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে খাতা-কলম হাতে বসে পূর্ণতা। লিখতে থাকে নিজের মনের মধ্যে লুকানো ব্যাথা গুলো। চোখের পানি গুলো টপটপ করে পড়তে থাকে সাদা কাগজের ওপর।
মিষ্টিকে এড়িয়ে চলতে ইফতিয়ারেরও বেশ খারাপ লাগছে। আমেনা বেগম শুনেছে ছেলের ফোনকলে বলা কথা গুলো। চিন্তিত ছেলের নিকটে এসে বসেন। ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন
“মেয়েটার সাথে এমন কেনো করছো?
” মা ও মিথ্যে বলা শিখে যাচ্ছে। আমি চাই না ও মিথ্যে বলুক। বাবা চাচাদের মতো হোক। এখন সহজে ক্ষমা করে দিলে দ্বিতীয় বার মিথ্যে বলার সাহস করবে। একটু দুঃখ পাক। এটাই ওর প্রাপ্য।
আমেনা বেগম মুচকি হাসে
“বড্ড ভালোবাসে তোমায় মেয়েটা।
তৃপ্তির হাসি হাসে ইফতিয়ার।
“ওকে বোধহয় আল্লাহ পাঠিয়েছে আমার দুঃখ ভোলার ঔষধ বানিয়ে। বিশ্বাস করো মা এখন আর চোখ বন্ধ করলে পূর্ণতার মুখখানা ভেসে ওঠে না। মিষ্টির মুখটা দেখতে পাই। এখন আর পূর্ণতার কথা মনে পড়লে কষ্ট হয় না। পরমুহূর্তেই মিষ্টির কথা মনে পড়ে যায়। মনে হয় আমারও কেউ আছে। পূর্ণতা সারাজীবন আমার হৃদয়ে থেকে যাবে। আর মস্তিষ্ক এবং ভাগ্যে মিষ্টি।
” ধীরে ধীরে পূর্ণতার কথা সম্পূর্ণ ভুলে যাবে তুমি৷
“ভুলতে চাই না মা। আজ থেকে বিশ পঁচিশ বছর পরে যখন পূর্ণতার সাথে দেখা হবে। তখন মিষ্টির হাতটা শক্ত করে আঁকড়ে ধরে বলতে চাই ” শোনো পূর্ণতা আমি তোমাকে আজও অসম্ভব ভালোবাসি। আমার হৃদয়ের গভীরে এখনো তোমার নামটা খোদাই করে লেখা রয়েছে। তোমাকে কখনো বলতে পারি নি আজকে বলে দিলাম।
আর মিষ্টিকে বলবো “তুমি আমার অশান্ত হৃদয়ের এক টুকরো শান্তি। তোমায় আমি ভালোবাসি না। তবে অসম্ভব বিশ্বাস করি এবং শ্রদ্ধা করি। তুমি আমার ভালো থাকার কারণ।
খারাপ স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙে পূর্ণতার। ধপ করে চোখ খুলে হাঁপাতে থাকে। বুকটা অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপছে। ইতোমধ্যেই ভোরের আলো ফুটে গিয়েছে। মিষ্টি রোদের হাতছানিতে আলোকিত হয়েছে গোটা দেশ। খাটের হেডবোর্ড ধরে উঠে বসে৷ বুকে হাত দিয়ে কয়েকবার আল্লাহ উচ্চারণ করে। পরমুহূর্তেই মনে পড়ে ভোরের স্বপ্ন সত্যি হয়। চটজলদি বিছানা থেকে নামে। চপ্পল ছাড়াই দৌড়ে বেরিয়ে পড়ে কক্ষ হতে। পড়তে পড়তে নিজেকে সামলে নেয়। মিষ্টিকে সুস্থ স্বাভাবিক না দেখা পর্যন্ত মনটা শান্ত হবে না। কলিজা ঠান্ডা হবে না। স্বপ্ন খানা যে মিষ্টিকে ঘিরেই দেখা।
মিষ্টির কক্ষের দরজা মেলতেই পূর্ণতার শরীর কাঁপতে শুরু করে। নয়নে টলমল করতে থাকে অশ্রুকণা গাল বেয়ে গড়াতে থাকে। স্বপ্নের সাথে মিলে যাচ্ছে যে।
ফ্লোরে পড়ে আছে মিষ্টি। পূর্ণতা চিৎকার করে ডেকে ওঠে ইমন ইশানকে। বাড়ির সকলেরই কর্ণকুহরে প্রবেশ করে পূর্ণতার চিৎকার। হতদম্ভ হয়ে ছুটে আসে সকলেই। পূর্ণতা ততক্ষণে মিষ্টির শরীরে হাত দিয়ে ফেলেছে। অসম্ভব ঠান্ডা গা। শক্ত হয়ে গিয়েছে।
মনোয়ার ইমন ইশান মিষ্টির হাত পা ঘসতে থাকে। শিউলি রেশমা রিমা মমতা সকলেই চিৎকার করে কান্না করছে। আল্লাহকে ডাকছে। মিষ্টিকে ফেলে যেতে অনুরোধ করছে। পূর্ণতা তাকিয়ে আছে মিষ্টির মুখপানে। ঠোঁটের কোণায় রক্ত গুলো শুকিয়ে গিয়েছে। শ্যাম বর্ণের মুখখানা কালচে রং ধারণ করেছে।
অতঃপর মনোয়ার মেয়ের নাকের কাছে হাত এগিয়ে বুঝতে পারে তার রাজকন্যা দুনিয়া হতে চিরতরে বিদায় নিয়েছে।
প্রিয় ইফতিয়ার
নাম ধরেই ডাকলাম। বড্ড সাধ ছিলো আপনাকে নাম ধরে একবার ডাকার। আপনার হাত ধরে কিছুটা পথ এগিয়ে যাওয়ার। জমিদার বাড়ির রাজকন্যা আমি। একশো বিঘা জমির মালিক। আমার নামে জমে আছে অনেক অনেক টাকা। বাবা ভাই দাদু সকলেই আমার জন্য টাকার পাহাড় বানিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি এসব চাই নি৷ চেয়েছিলাম একটা পরিবার একটু ভালোবাসা।
আমার মাকে ওরা পতিতালয়ে রেখে এসেছে। পলি দাদিমা মুখে শুনেছিলাম আমার জন্মের এক সপ্তাহ পরেই তাকে রেখে আসা হয়েছে। তার অপরাধ ছিলো সে দাদুর কুকর্মের কথা পুলিশকে জানাতে চেয়েছিলো। জানেন চৌধুরী সাহেব আমার না আমার মাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিলো। তার কোলে মাথা রেখে মা মা গন্ধটা অনুভব করার বড্ড সাধ ছিলো। একবার জড়িয়ে ধরার আক্ষেপটা এজীবনে মিটবে?
পলি দাদিমা আমাকে মায়ের কথা জানিয়েছে বলে দাদু এবং চাচ্চু তাকে মেরে ফেলেছে। নিজ চোখে দেখেছি আমি।
আমি পূর্ণতাকে ভীষণ ভালোবাসি। আপনার কথায় না আমি ভালোবেসেই পূর্ণতার সঙ্গ দেই। সত্যি কথা কি জানেন?
গোটা দুনিয়ায় পূর্ণতা ছাড়া আমাকে কেউ ভালোবাসে নি।
কেউ আমায় বুকে টেনে নেয় নি৷ কেউ মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় নি৷
দিন শেষে সবারই একটা নিজস্ব মানুষ রয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়স্থল রয়েছে। আমার নেই।
বড্ড আফসোস হয় নিজের ভাগ্যের ওপর। এমন জীবন নাহলেও পারতো।
আজকে ভীষণ খারাপ লাগছিলো। গত কয়েকদিন আমার বুকে ব্যাথা। কাউকে বলতে পারি নি। সবাই ব্যস্ত। আজকে বুকের ব্যাথাটা বড্ড বেড়েছিলো। অসয্য যন্ত্রণা হচ্ছিলো। মাকে বলতে গিয়েছিলাম শুনলো না। দাদুকে বলতে গিয়েছিলাম। দাভাইকে বললাম আপনাকেও বললাম। কেউ শুনলেন না আমার কথা।
আমার না মনে হচ্ছে আমি বাঁচবো না। আমি মরতে চাই না। মৃত্যুকে বড্ড ভয় পাই আমি। আমাকে একটু ডাক্তার খানায় নিয়ে চলুন না চৌধুরী সাহেব।
এখনো আপনাকে প্রাণ ভরে দেখা বাকি। এখনো আপনার সাথে গল্প করা বাকি। আপনার বুকে মাথা রেখে ঘুমানো বাকি।
আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন না চৌধুরী সাহেব।
আপনি আমার সাথে একটু কথা বললেই আমি বেঁচে যাবো। একটু কথা বলুন না দয়া করে। আমাকে বাঁচিয়ে তুলুন।
শেষবার ক্ষমা করুন আমায়। আমি সারাজীবন আপনার পায়ে পড়ে থাকবো। যা বলবেন তাই শুনবো।
চৌধুরী সাহেব আমি সত্যিই বাঁচবো না। দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার। আমি চোখ জোড়া খুলে রাখতে পারছি না।
আমি মরে গেলে আপনার বাড়ির কালো গোলাপ বাগানের পাশে কবর দিয়েন আমার। এক মুঠো মাটি দিয়েন আমার কবরে৷ কখনো সময় পেলে একটু বসিয়েন আমার পাশে। হাত বুলিয়ে দিয়েন মাথার পাশটায়।
প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ৩৯
আমাকে মনে রাখবেন তো চৌধুরী সাহেব?
কখনো মনে পড়বে আমার কথা?
অনুভব করবেন আমায়?
আমাকে ভুলে যাইয়েন না চৌধুরী সাহেব। আপনাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। অসম্ভব ভালোবাসি।
আমা আর কিছু লেখা নেই। হয়ত লিখতে লিখতেই জীবন প্রদীপ নিভে এসেছিলো মিষ্টির।