প্রেমঘোর পর্ব ২৩
নার্গিস সুলতানা রিপা
নৌশিন নাড়াচাড়া করে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্ঠা করে চলেছে……………….
“প্লিজ এমন নাড়াচাড়া করো না জান,এমন করে নাড়াচাড়া করলে তোমার নরম শরীর আমার শরীরে কেমন জানি ভেতরে ডুকে যায়…..তখন তোমার প্রতি লোভটা বেড়ে যায়……”
“ধুর অনেক রাত হয়েছে,ছাড়ো….”
“রাতেই তো শুভ কাজ করতে হয় ম্যাম…..”
“আগে যাও আমার টাওয়েল টা রাখো…..”
“কি বলো,টাওয়েল ও খুলে রাখবো এতো ফাস্ট তুমি!!….”
“উম….ছিঃ….তুমি না!….আমি বলছি টাওয়েল টা খুলে ড্রেস পড়ে নিতে….আর নিজে তো উল্টোটা বুজলে……”
“আচ্ছা!টাওয়েল চেন্স করে কি হবে….একটু পর তো…..”
নৌশিন সাদাদকে কথাটা শেষ করতে দেয় না……তার আগেই বলে উঠে “আমার একটু অস্বস্তি লাগছে…ছাড়ো…”
“কিহ্?????”
“হুম….চুল মুছি নি ভালো করে পানি ঝড়ছে তাই…..ছাড়ো একটু প্লিজ…”
“ঝড়ুক না পানি….ভিজো তুমি সাথে আমিও…..”
“সত্যি বলছি….একটু খারাপ লাগছে চুলের পানিতে একটু মুছতে হবে….ছাড়ো না…..”
“ধুর তুমি না রোমান্টিক মোড টা নষ্ট করতে এক্সপার্ট…………. ”
সাদাদ নৌশিনকে ছাড়ে…মুখে একটা বিরক্ত ভাব…….আর নৌশিন সাদাদের মুখের এই অবস্থা দেখে না হেঁসে পারে না…….
নৌশিন সাদাদকে ধাক্কা দিয়ে রোমের দিকে পাঠাতে থাকে আর বলে “যাও ড্রেস পড়ো…..আমি আসছি……”
“আরে।।।। যাচ্ছি তো…..”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সাদাদ রোমে ডুকে দেখে নৌশিন আগে থেকেই ওর জন্য একটা টিশার্ট আর টাওজার খাটের উপর রেখে গেছে………….
সাদাদ টাওজার টা পড়ে নেয়…..আর নৌশিন সাদাদের ভাঙা ফোন,সিম,মেমোরি নিয়ে রোমে ডুকে………এমন ভাবে ফোন টা ছুড়ে মেরেছে সাদাদ সব আলাদা হয়ে গেছে আর ফোনের মার্দার বোর্ড টা পর্যন্ত চার খন্ড হয়ে গেছে…………….
সাদাদ কেবল টিশার্ট হাতে নিয়েছে পড়বে বলে…….
তার মাঝেই নৌশিন রোমে ডুকে পরলো আর বলে “হাই রে আমার বর রে…..এমন করে ফোন কে পিটানোর কি দরকার ছিলো?এক লাক্ষ টাকা শেষ করলা এক মিনিটেই….তবু আবার আমি একটু বেশি ব্যয় করলে আমাকে বকে….নিজে যে রাগ করে কত কিছু নষ্ট করে সেটা কিছু না……..”
নৌশিন কথা বলে চলেছে কিন্তু সাদাদের সেদিকে হুস নেই….এতোক্ষণ বারান্দায় সাদাদ নৌশিন কি পড়ছে সেটা খেয়াল করে নি কিন্তু রোমে ডুকার সময় সাদাদ নৌশিনকে দেখে ‘থ’……..
সাদাদ রিলেশন চলাকালীন সময়ে নৌশিনকে অল টাইম থ্রি-পিচ আর হিজাবে দেখছে…..আর একদিন ঐ যে অনুষ্ঠানে ভার্সিটিতে শাড়িতে প্রথম তারপর রিং ইনগেজমেন্টের দিন….বিয়ের আগে জাস্ট এই দু দিন শাড়িতে দেখছে…আর কাল থেকে তো শাড়িতে নানা ভাবে দেখে ক্রাস খাচ্ছে নিজের বউয়ের উপর………বাট আজ??……………………
একটা কালো প্লাজো,অফ হোয়াইট ফতুয়া টাইপ একটা কামিজ….আর এক পাশে শিপন কালো একটা উড়না….দেখে মনে হচ্ছে চৌদ্দ পনেরো বছরের কোনো কিশোরী…….
একটু আগে সাওয়ার নেওয়ার শরীর টা এখনও শিক্ত……সাদাদ অবাক হয়ে দেখছে…..এমন রূপে নৌশিনকে দেখবে সে ভাবতেই পারে নি…..নৌশিন বাসায় এই ড্রেস আপে থাকে ভাবতেই সাদাদের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে…….নৌশিন আয়ানার সামনে গিয়ে মাথায় প্যাঁচানো টাওয়েল টা খুলে চুলগুলো ছড়িয়ে দেয় আর সাদাদ হাতে টিশার্ট ধরে নিয়ে হা করে তাঁকিয়ে আছে-নৌশিন যে কথা বলে চলেছে কোনো কথাই শুনছে না সে……..
“কি হলো???কথার কোনো উত্তর ই তো দিচ্ছো না……..”
সাদাদ::::হুম……(বেঘোরে)
“কি হুম হুম করছো….??…..”(নৌশিন)
….সাদাদের কোনো শব্দ নেই…ও নৌশিনকে এভাবে দেখে থমকে গেছে…………
নৌশিন সাদাদের কোনো সারা না পেয়ে আর কিছু বললো না…..গুনগুন করতে করতে টাওয়েল দিয়ে চুল ঝাড়তে শুরু করলো…….সাদাদ যে ওর পেছনে সেটা দেখতে পায় নি অবশ্য সাদাদ আয়ান নৌশিনকে আর নিজেকে খুব ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছে…..কিন্তু নৌশিন আয়নায় তাঁকায় নি তাই দেখতেও পায় নি………
নৌশিন চুল ঝাড়ছে আর চুলের সব পানি ছিটে সাদাদের শরীর যাচ্ছে….
চুলগুলো একপাশে নিয়ে ঝাড়ার ফলে নৌশিনের ঘাড় টা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আর এতক্ষণ চুলের পানি পড়তে পড়তে অফ হোয়াইট কামিজ টা ভিজে পিঠের সাথে পুরো লেপ্টে গেছে……..মেয়েটার চুল অনেক হওয়াতে ঘারের নিচের দিকেও ছোট ছোট বেশ কিছু চুল আছে……যেগুলো এখনও ভেজা চুয়ে চুয়ে এখনও পানি পড়ছে নৌশিনের ঘারে……সাদাদ আতকে উঠছে এভাবে নৌশিনকে দেখে…..একটা মেয়ের এতো রূপ কি করে হতে পারে??সাদাদের মাথায় আসছে না………….এই রূপে ভয় লাগছে সাদাদের….”এতো ভাগ্য আমার??এই সৌন্দর্য আমার বুকে সারা জীবন রাখবো আমি……এই মেয়ে আমার জন্য সৃষ্টি……..এতো সিন্গ্ধ আর পবিত্র হতে পারে একটা মেয়ে…….আমি কি পারবো সামলাতে……….”….ভাবতে ভাবতে এগিয়ে যাচ্ছে এক পা দু পা করে নৌশিনের দিকে……
(আসলে অনেকেই হয়তো ভাবছে,চার বছরের রিলেশনের পরও এমন সাধারণ ভাবে দেখে এমন লাগার কোনো লানে নেই!!কিন্তু এমন লাগার অনেক মানে আছে কারণ নৌশিন নামের মেয়েটা সব সৌন্দর্য ওর স্বামীর জন্য আগলে রেখেছিলো এত দিন তাই প্রেমিক সাদাদ শুধু হিজাব পরিহিতা মুখটুকুই দেখেছিলো,যদিও সাদাদের অনেক ইচ্ছাও ছিলো নৌশিনকে সাধারণ ভাবে দেখার কিন্তু নৌশিন নিজে থেকেই কোনো দিন সাদাদের সামনে হিজাব থ্রি-পিচ ছাড়া যেতো না…সাদাদ কিছু বললে বলতো…”সব হবে কিন্তু বিয়ের পর….কিন্ত নৌশিন যে এতটা কমল আর আবেগী রূপের অদিকারী হবে সাদাদ ভাবতেই পারে নি….ও তো নৌশিনের মায়াবী মুখ,টানা চোখ,চিকন দুটো ঠোঁট-মুচকি হাঁসি,পর্দা আর ব্যবহার দেখে প্রেমে পড়েছিলো কিন্তু তারজন্য এতো গভীর সৌন্দর্য অপেক্ষা করছে ভাবতেই পারে নি….যেমন রিলেশনের এক বছর পর অবাক হয়েছিলো নৌশিনের চুল দেখে তার চেয়েও অনেকগুন অবাক হচ্ছে সে)।।।।।।।।
……নৌশিন এতক্ষণে চুল ঝেড়ে ড্রেসিং এর উপর টুলে বসেছে…..
সাদাদ ওর দিকে এগিয়ে আসছে সেটাও খেয়াল করে নি……..সাদাদের ভাঙা ফোন টা সাইড করে রাখে ড্রেসিং টেবিলের উপরেই…..আর সিম,মেমোরী নিয়ে ওর ফোনে ডুকিয়ে দিয়ে বলে….”এই যে….আমার ফোনে সব আছে আপনার…..আপাতত কাল পর্যন্ত চালান আমার টা….আমার তো আর ফোন লাগছে না,আমাকে তো আপনি ছাড়া কেউ ফোন করবে না আর আপনি তো আমার সাথেই আছেন এখন…… আর ও বাড়িতেই নেই আমি যে মা ফোন করবে আর বন্ধুরা আজ মে বি কল করছে না………তাই আজ আর ফোন দরকার নেই আমার এমনকি কালও না…………….”
সাদাদ শুনলে তো ওর কথা…….সাদাদ নৌশিনের একদম কাছে এসে টুলের ঠিক পেছন দিকে বসে….টুলে বাসায় নৌশিনের চুলগুলো ফ্লোরে পড়ে ছিলো আর তাই নৌশিন চুলগুলো সামনে নিয়ে নিজের কোলে রাখে….সাদাদের কোনো সারা না পেয়ে পেছন ঘুরতে যাবে এমন সময় সাদাদ নৌশিনের ঘারে চুমু দেয়…
হঠাৎ এমন কমলতা পেয়ে শিউরে উঠে নৌশিন………
সাদাদ তো কালও ওকে পুরো শরীর জুড়ে এই কলমতা দিয়েছে তাহলে আজও কেন সাদাদের ছোঁয়া ওর নতুন লাগছে….
এ যে এক নতুন ভালোবাসার ছোঁয়া…..
মাতাল কন্ঠে সাদাদ বলে….”আমার পবিত্র ভালোবাসার জায়গায় নতুন ভাবে ছু্ঁয়ে দিলাম তাই এমন লাগছে তোমার….”……চমকে যায় নৌশিন সাদাদের এমন মাতাল কন্ঠে,আর নৌশিন তো কিছু বলেও নি কিন্তু সাদাদ তার আগেই নৌশিনের মনে উধিত হওয়া প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয় সাদাদ…………………
সাদাদ নৌশিনের ভেজা চুলে নাক ডুবায়…..হারিয়ে গেছে সাদাদ নৌশিনের সিন্গ্ধতায়………………..
আবার চুমু খায় নৌশিনের ঘারে…..আবারও শিউরে উঠে নৌশিনের সারা শরীর চোখ বন্ধ করে ফেলে সে….
সাদাদ আয়নায় তার লজ্জাবতী লতিকাকে দেখছে…….সারা শরীর মৃদু কাঁপছে নৌশিনের-সাদাদ উপলদ্ধি করতে পারছে…..
সাদাদের গরম নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ছে নৌশিনের ঘাড়ে…..নৌশিনেও শ্বাসও ভারী হয়ে আসছে…….সাদাদ আর দেরী করে না কুলে তুলে নেয় নৌশিনকে…………..
নৌশিন চোখ বন্ধ করেই সাদাদের গলায় হাত রাখে….সাদাদ পলকহীন দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে নৌশিনের নিষ্পাপ মুখের দিকে……..পবিত্রতা ভালো জানা ছিলো সাদাদের কিন্তু এতটা!!সাদাদ মুগ্ধ আজ নৌশিনের এমন পবিত্র কমলতায়………………
সাদাদ নৌশিনকে আস্তে করে খাটের উপর রাখে…এমন করে রাখে যেন একটু জোরে ফেললে ওর প্রিয়তমা ব্যাথা পাবে…..তাই এমন করে শুয়িয়ে দেয় যেন বিছানা টা টাও টের না পায়……বিছানার চাদর বুঝি ভাবছে ওর উপর কোনো গোলাপের পাপড়ি পড়ছে………সাদাদ রোমের আলো নেভায়……ড্রিম লাটটা জ্বালিয়ে দেয়….
নৌশিন এখন চোখ বন্ধ করেই আছে………………
সাদাদ নৌশিনের উপর আসছে নৌশিন অনুভব করতে পারছে……………
সাদাদ আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দিচ্ছে নৌশিনের ঠোঁট জোড়া।।।।কেঁপে উঠে নৌশিন……..নৌশিনের উপর এমন ভাবে শুয়েছে সাদাদ পুরো ভর দেয় নি….
“আমি যখন একটু ছোঁয়ে দিতে চাইতাম তুই বলতি,’বিয়ের পর’।।।।।একটু সাজতে বললে জবাব দিতি ‘বিয়ের পর’…
কিন্তু বিয়ের পর তুই আমার জন্য এতো কিছু জমা করে রেখেছিস সেটা তো জানতাম না………….
এতো রূপ বেঁধে রেখেছিস শুধু আমার জন্য……আমি শেষ করবো কি করে!!বল তো???আমাকে যে তুই তোর প্রেম সাগরে ডুবিয়ে মারছিস……….”
নৌশিন সাদাদের প্রতিটি কথায় হারিয়ে যাচ্ছে অজানায়…………..
সাদাদ নৌশিনের চুলগুলো ওর পিঠের নিচ থেকে সরিয়ে বালিশের উপর দিয়ে মেলে দেয়………
“তোর এই ভরা রূপে আমাকে ডুবিয়ে মারার এতো পরিকল্পনা তোর!!!!…..আমি তো একা মরবো না তোকেও মারবো আমার ভালবাসার ছুড়িতে…….তোর পুরো শরীরে আমাকে ওদের অহংকার প্রদশ্রণ করছে…..আমি কিন্তু সত্যিই সব অহংকার শেষ করে দিবো……তোর শরীর প্রতিটা লোম আমাকে জ্বালিয়ে দিতে চাইছে….তুই বলে দে আমি ভালোবাসায় সব পুরিয়ে দিতে পারবো…….”
সাদাদ পা দিয়ে নৌশিনের পা স্লাইশ করতে করতে প্লাজো উপরের দিকে তুলছে……..নৌশিনের নিঃশ্বাসের শব্দ ঘন থেকে ঘনতর হচ্ছে……………….
“একটু চোখ খুলবি?????”
নৌশিন সাদাদের কথায় ঢুক গিলে….নিজের ঠোঁট নিজেই চেপে ধরে………..
গলা শুকিয়ে আসছে মনে হয় তাই মুখগহ্বের লাসায় নিজের ঠোঁট আর গলা ভিজিয়ে নিলো………..
চোখ এড়ায় না সাদাদে..
“আচ্ছা,খুলতে হবে না…..
জানিস এখন ১.৪৩ বাজছে…কাল ঠিক এমনসময় তুই একটা ভার্জিন মেয়ে ছিলি কিন্তু আজ দেখ তোর ভার্জিনিটি নেই……কাল ১.৪৩ এর কিছু সময় পর মনে হয় ৪ টার দিকে তোর ভার্জিনিটি টা আমি নিয়ে নিয়েছিলাম……..পরম সুখ দিয়েছিলি তুই আমায়…..আজ আমি আবারও হারিয়ে যাবো তোর গভীরে……সাঁতার কাটবো….তোর ভেঙে ফেলা ভার্জিনিটি আবারও ভাঙবো……..আগুন ধরাবো তোর প্রতিটা লোমে খুব অহংকার তোর শরীরের প্রতিটা লোমের আমাকে খুব জ্বালায়….হিংসে হয় আমার…….আমার কি দোষ বল…..সব দোষ তোর….হুম সব দোষ তোর….”সাদাদ কথা বলতে বলতে নৌশিনের পায়ের কাছে যায়…..পা দিয়ে প্লাজো টা বেশ উপরের দিকে উঠিয়ে নিয়েছে সাদাদ….নৌশিনের পায়ের প্রতিটি লোম জেগে উঠছে…
সাদাদ নৌশিনের পায়ে চুমু দিতেই নৌশিন পা সরিয়ে নিতে চায়……..সাদাদ বাঁধা দেয়…….”কি ক ক করছো,পা পায়ে হা হাত দি দি তে নেই……”
সাদাদ কোনো কথা না বলে ছুঁয়ে দেয় নৌশিনের পা দুটো।।।।কি সিন্গ্ধা পা দুটোর মাঝে…….দু পায়ে চুমু দিয়ে আবার নৌশিনের শরীরের উপর চেপে উঠে…
নৌশিনের পুরো শরীর কাঁপছে….শ্বাস এতোটাই বেড়ে গেছে দেখে মনে হবে বুকের ঠেউ বয়ে যাচ্ছে…..
সাদাদ আর অপেক্ষা কীতে পারছে না……….নেশস ধরে গেছে ওর-ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়…..নৌশিন কি সামলাবে ওর তো সব কিছু সাদাদের জন্য পাগলপাড়া হয়ে উঠেছে…..আকড়ে ধরে সাদাদের ঘার আর চুল….দুজনেই দু জনের ঠোঁটের পরম স্বাদ নিতে শুরু করে……….অনেক সময় পর দুজন ছেড়ে দেয় ঠোঁট…..নৌশিন হাঁপিয়ে গেছে।।।ঠোঁট দুটো লাল একদম…..সাদাদ দেখে আর সামলাতে পারে না কামড় দিতে শুরু……….
প্রতিটা লাভ বিটে নৌশিন এমনভাবে শিহরণ দিচ্ছে সাদাদ আরও পাগল হয়ে যাচ্ছে…….মুখ,গলা,চোখ,কানের লতি সব কিছুতে চুমু আর লাভ বিটে ভরিয়ে দিচ্ছে সাদাদ।।।।।নৌশিনের পুরো শরীর জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে সাদাদের এমন ভালোবাসা পাগল হয়ে যাচ্ছে নৌশিন….আর এমন মধুর সময় আবার ফোনের আওয়াজ……..সাদাদের মাথায় রক্ত উঠে যায়…….নৌশিন ঘোরে চলে গেছে এতক্ষণে তাই এবার ফোনের আওয়াজ টা সাদাদ নৌশিনের আগে শুনে….সাদাদ চায় না নৌশিন এ ঘোর কেঁটে যাক তাই কোনো রকমে হাত বাঁড়িয়ে ফোন টা নিজের কাছে নেয়……যা ভেবেছিলো তাই….
সাদাদ ফোন হাতে নিয়েই বুঝতে পারে ওর সিম ডুকানো আর যার কথা আন্দাজ করছে ফোনের ও পাশে সে ই আছে………না সাদাদ এতক্ষণ অনেক ভাবে বুজিয়েছে ওকে এবার অন্যভাবে বুজানো দরকার…..তাই ফোন না কেটে ফোন রিসিভ করে পাশে রাখে…..নৌশিন কিচ্ছু বুজতে পারে নি কি করে বুজবে ও যে সাদাদে মেতে গেছে সর্ম্পূণ…আর সাদাদও যে ফোনের কাজ টা খুব সাবধানে করেছে…..
সাদাদ জানে এমন মুধুর শব্দ বাইরের কাউকে শোনাতে নেই কিন্তু এই মুহুর্তে আর ফোনের আওয়াজ না শোনার একমাত্র রাস্তা এটাই….
সাদাদ ফোন টা এমন করে রাখে যেন নৌশিনের করা সব সুখের আওয়াজ ফোনের ওপাশে পৌঁছে আর সাদাদের ভালোবাসার সব কথাও যেন শোনে……..
সাদাদ নৌশিনের গলায় আবারও গভীর করে কামড় বসিয়ে দেয় যেন নৌশিন আওয়াজ দিতে বাদ্ধ হয়…..আর হলোও তাই….”আউউউউউউ…..”(নৌশিন)
সাদাদ আবারও এমন শব্দ শুনতে চায় আর ফোনের ওপাশে কাউকে বুঝাতে চায় সে নৌশিনকে নিয়ে কতটা সুখে মেতে আছে তাই নৌশিনের কানের লতিতে আবারও কামড় বসায়……আর নৌশিন আবারও সুখের ঘুঙানী দেয়…….সাদাদ সজোরে চুমু খেয়ে যাচ্ছে নৌশিনকে…….নৌশিন খামছে ধরছে সাদাদের পিঠ…..চমড়া উঠে যাচ্ছে পিঠের সাদাদ আরও পাগল হয়ে গেছে…..
সাদাদ যে উন্মুক্ত শরীরে খামচি খাচ্ছে আর নৌশিন জামা পরিহিতা অবস্থায়-কিন্তু সাদাদ তো মেনে নিবে না….নৌশিনের শরীরে থাকা ওড়না ফ্লোরে ছুড়ে দিয়ে,জামার চেইনখুলে নৌশিনকে এক টানে বসিয়ে জমা টা খুলে নেয়….নৌশিনের শিহরিত বুকে হারিয়ে যায় সাদাদ…..ভালাবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিচ্ছে বুক,পিঠ,পেট…..নৌশিন সুখের আওয়াজ দিতে ব্যস্ত….ছটফট করছে পরুো…আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সাদাদ শরীরে….
“আগুন আরও ধরাবো সেক্সি লেডি এই তো শুরু কেবল…..ভয় নেয় নিভিয়েও দিবো…..”
সাদাদের খেয়াল ছিলো না ফোনের কথা-মনে পরতেই ফোনের দিকে তাঁকায় আর বুঝতে পারলো কল টা ৩ সেকেন্ড আগে কেটেছে ওপাশ থেকে…….সাদাদ মুচকি হাঁসে………আবারও নৌশিনের মাঝে হারিয়ে যায়…….ভালাবাসার সাগরে তলিয়ে যায় দুটি মানুষ……পরমসুখে একাকার হয়ে আছে দুটি আত্মা…….জান্নাতের সুখের কিঞ্চিত সুখ পৃথিবীতে ধারণ করে আনে-এ সুখ যেন শেষ হওয়ার নয়…..নৌশিনের কামনা ‘ইশ সময় টা থেমে যাক….আর না আবারও বিগ ব্যাঙ্ক হোক….যেভাবে একটা বিগ ব্যাঙ্কে সময়ের সূচনা হয়েছিলো ঠিক সেভাবে আবারও থেমে যাক সময় টা………’
সাদাদদের কামনা ‘এমন মধুর সময় যেন না শেষ হয়…..নৌশিনের অতল গহীন ভালোবাসার স্রোতে ভেসে থাকুক এইভাবেই…..”
তবু সময় তো নিজের গতিতেই ছুটে চলে…..মহা সুখে দুটি মানব-মানবীর আত্মা-ভালোবাসার পূর্ণতা লাভ করে ফেলে……………..
মুখ তুলে চায় সাদাদ নৌশিনের দিকে…….
মুচকি হাঁসে সাদাদ যেন বিশাল রাজ্য নয় পুরো পৃথিবী টা ই জয় করে ফেলেছে……আর নৌশিনের চোখ টা যে এখনও বন্ধ-মুখ দেখে ই মনে হয় ‘এই দুনিয়ায় ওর চেয়ে সুখী আর কেউ নেই….’
দুষ্টু সাদাদের দুষ্টু মন কড়া নাড়ে…..”কি ব্যাপার ম্যাডাম????এখনও চোখ বন্ধ কেন???আরও কিছু চাই নাকি???”
নৌশিন নিশ্চুপ কিন্তু ঠোঁটের কোণে হাঁসি আর লজ্জার আভাস…………..
“চোখ টা কি খুলা যাবে????…..খুলো না রে…এভাবে লজ্জা পাওয়ার কি আছে…..”
নৌশিন:…………
“আরে সব তো শেষ করে দিলাম-তবু লজ্জা………আচ্ছা!এই লজ্জায় কি আমাকে আবারও মাতাল করতে চান আপনি????তাহলে তাই হোক……….”
সাদাদ মুখ এগিয়ে নিয়ে যায় নৌশিনের দিকে নৌশিন বুজতে পেরে চোখ মেলে তাঁকায়……..”বাহ্…..”
নৌশিন সাদাদের দিকে তাঁকাতে পারছে না……
“কি?কেমন ফিল হচ্ছে???আজ কি ব্যাথা পেয়েছেন বেশি???”
“ধ্যাত…”বলেই সাদাদে জড়িয়ে ধরে…..মুখ লুকায় সাদাদের লোমশ বুকে……
“আজকে তো ব্যাথা আমি পেলাম……বুকে এভাবে কামড় দিলা মনে হচ্ছিলো রক্ত বের করে ফেলবে….আর পিঠ,ঘার এগুলোতে খাচমির কথা কি বলবো আমি???নখ তো এতো বড়ও না তাহলে এভাবে কেমন করে দিলা??জ্বলছে পুরো…….”
প্রেমঘোর পর্ব ২২
নৌশিন সাদাদের বুকে মুখ লুকিয়েই জবাব দেয়…..”তুমি বুঝি কিছু করো নি……..!!”
“আচ্ছা!কি করেছি আমি???…..”
“জানি না………”
মুচকি হাঁসে সাদাদ সাথে নৌশিনও.